Uralpool - উড়ালপুল

  • Home
  • Uralpool - উড়ালপুল

Uralpool - উড়ালপুল Uralpool(www.uralpool.com) is a bilingual (Bengali-English) online literary magazine published from
(2)

NABC2023 at Atlantic City, NJ June 30-July 2 2023 Only one hotel is left ! Unparalleled cultural extravagance One hundre...
11/05/2023

NABC2023 at Atlantic City, NJ
June 30-July 2 2023
Only one hotel is left !
Unparalleled cultural extravagance
One hundred exhibitor stalls
Bengali Heritage Exhibitions
Jogen Chowdhury Painting Exhibition
Food Festival Coffee House
If you didn’t register yet, please register at
www.nabc2023.net

ত্রিদিব কুমার চট্টোপাধ্যায়ের লেখা: সমরেশ মজুমদার শেষ কথা ২৩শে এপ্রিল... ত্রিদিব, আমার এনএবিসি যাওয়া হবে না। আহা, আপনি এখ...
11/05/2023

ত্রিদিব কুমার চট্টোপাধ্যায়ের লেখা:

সমরেশ মজুমদার

শেষ কথা ২৩শে এপ্রিল...

ত্রিদিব, আমার এনএবিসি যাওয়া হবে না।

আহা, আপনি এখনই নেগেটিভ ভাবছেন কেন দাদা? যথেষ্ট সময় আছে। ডক্টর তো আপনাকে ফোনে বললেন, চলে যাইয়ে।

আমি তো আমার শরীরটা বুঝি। গৌতম আমার খুব প্রিয় ছেলে, বিজনেস ক্লাস টিকিট পাঠাচ্ছে, সব ঠিক। কিন্তু অতটা পথ, প্রায় ১৮ ঘন্টার ফ্লাইট, নাহ্, পারব না। তুমি বরং আমার বাংলাদেশের ভিসাটা করিয়ে দাও। আধঘন্টার ফ্লাইট, 'বাংলাদেশ প্রতিদিন' থেকে বারবার বলছে, শুনলাম তোমরাও যাচ্ছ, তোমাদের সঙ্গে যাব।

সে করিয়ে দিচ্ছি দাদা। আমেরিকার ভিসাটাও হয়ে থাকুক না!

যা ভালো বোঝ, করো। শুধুশুধু ওদের একগাদা টাকা খরচ করাচ্ছ।

একবছরের বাংলাদেশ ভিসা হয়ে এল। খুব খুশি। আমার চাপাচাপিতে ইউএস ভিসার ফর্ম ভর্তি করতে এলেন আমার অফিসে। গত মাসের মাঝামাঝি। অনেকক্ষণ আড্ডা হল। কিন্তু সেদিনই মনে হচ্ছিল, ওঁর শরীরে অস্বাচ্ছন্দ্য আছে, হাঁটাচলা করতে কষ্ট হচ্ছে।

গত বছরদুয়েক ধরে প্রায় রোজ সকালেই ফোনে কথা হতো। উনি করেছেন, আমি করতে ভুলে গেছি, অমনি প্রবল অভিমান, তুমি তো এখন অনেক বড় ব্যাপার ! আমাকেই তোমার খোঁজ নিতে হবে!

আবার এই ফোনালাপেই আমাদের মধ্যে চলত নানারকম খেলা! কখনো খাওয়া নিয়ে, কখনো লেখা নিয়ে, কখনো বাইরে যাওয়া নিয়ে, অসাধারণ সব 'গুল'। আমিও পালটা দিতাম, চলত সেয়ানে সেয়ানে কোলাকুলি। কখনো গুল ধরা পড়লে খেপেও যেতেন। এই যেমন গত ডিসেম্বরে আমেরিকা থেকে কবি গৌতম দত্ত এসেছে। দেখা করবে।

সমরেশদা, কাল বাড়ি আছেন তো? গৌতমকে নিয়ে যাচ্ছি। এনএবিসি নিয়ে আপনার একটা ভিডিও রেকর্ড করবে।

কাল এসো না, পরশু। আমি কল্যাণীতে একটা অনুষ্ঠানে যাচ্ছি কাল।

কল্যাণীতে অনুষ্ঠান! জানি না তো।

মানে! সব খবর তোমাকে জানাতে হবে নাকি? আমি কাল বাড়ি থাকছি না।

আমিও ছাড়ার বান্দা নই, সঙ্গে সঙ্গে দোয়েলকে ফোন। সে অবাক, কী বলছ কাকু? বাবা সবে অসুখ থেকে উঠল, এখন কোথায় যাবে? বাড়িতেই থাকবে।

ও দাদা, দোয়েল যে বলল, আপনি আছেন। গৌতম অল্প কটাদিনের জন্যে এসেছে।

কয়েক মুহূর্ত নিশ্চুপ। তারপর বোম ফাটল, মেয়েরা কি আমার ঘেঁটি ধরে বসে আছে, অ্যাঁ ?তুমি ওদের দিয়ে ভেরিফাই করাও কেন? ভেরি ব্যাড। আমি বলেছি, কাল দেখা করব না, ব্যস। পরশু আসতে হবে।

কী আশ্চর্য! একদিন পরে যখন গেলাম, সে অন্য মানুষ। ছাড়তেই চান না। কত পুরোনো স্মৃতি। ২০০৯ সাল। তখন গৌতমের বিরাট জিপ ছিল। সেই গাড়ির মাথায় বইমেলার বই তুলে সঙ্গে আরেক গৌতমদা ( ফিল্ম ডিরেক্টর) কে নিয়ে নিউইয়র্ক থেকে নিউ জার্সি যাত্রা... সুনীলদা, স্বাতী বউদিকে নিয়ে গভীর রাত অব্দি আড্ডা... পুরোনো কথা আর ফুরোচ্ছে না। সমরেশদা বলছেন, তোমার মনে আছে ত্রিদিব, গৌতমের বাড়ির সামনের বনে হরিণের দল ...ওদের চোখগুলো সোনার ফুলের মতো জ্বলছিল। তারপর মুষলধারে বৃষ্টি নামল।

সমরেশদা, নিউ জার্সির সেই রাতের কাণ্ডটা ভুলে গেলেন? গৌতম বলল, আপনাদের থাকার জন্যে ওরা মোটেল ভাড়া করেছিল। ডিনারের পরে আপনাদের নিয়ে মোটেলে এলাম। তখন রাত প্রায় ১২ টা, উইকএন্ড। চাবি নিলাম রিসেপশন থেকে। তারপর যেই আপনি একটা ঘরে চাবি দিয়ে তালা খুলেছেন, অমনি ভিতর থেকে ---

হ্যাঁ, ওরে ব্বাপস! সাত ফুটিয়া একটা ব্ল্যাক বেরিয়ে এল। পরনে শর্ট প্যান্ট, পিছনে ওর বান্ধবী। এই মারে তো সেই মারে! তুমি শেষে ওকে বুঝিয়ে --- নইলে কপালে দু:খ ছিল!

দোষটা পুরো ম্যানেজারের দাদা। মেলা কমিটি রুম বুক করে রেখেছিল। আসছি না দেখে ব্যাটা অন্য ফ্লাইং কাস্টমারদের দিয়ে দিয়েছে। ভেবেছে আমরা আসব না।

দশ মিনিটের জন্যে দেখা করবেন বলেছিলেন, কিন্তু আর ছাড়তেই চান না। শেষমেশ একরকম জোর করে আমরা যখন বেরিয়ে এলাম, রাত ১১ টা।

অথচ এই সমরেশ মজুমদারই আমায় দিনের পর দিন ঘুরিয়েছেন। অনীশ (দেব)দাকে খুব ভালোবাসতেন। তাঁর সঙ্গে গেছি। তখনও বলেছেন, 'দ্যাখো, আমি ত্রিদিবকে নতুন বই দিতে পারব না। পুরোনো বই দেব। ও বেচতে পারবে না। তখন ও আমায় দেখে পালিয়ে বেড়াবে। মাঝখান থেকে সুন্দর সম্পর্কটা নষ্ট হয়ে যাবে। এইটা আমি চাই না।' অনীশদা জোর দিয়ে বলেছেন, আপনি দিয়েই দেখুন না!

কী ম্যাজিক ঘটল, জানি না। এই মানুষটাই আবার এর বছর তিনেকের মধ্যে সুনীলদা, শীর্ষেন্দুদা, সুচিত্রাদিকে ফোন করে বলেছেন, আমাদের প্রকাশনাকে বই দিতে। গভীর ভালোবাসা, অপার স্নেহ। বাইরেটা শক্ত নারকেলের মতো, ভিতরে কুলকুল করে বইছে মধুর রস। সুনীলদার মতো সকলের সঙ্গে মিশতে পারতেন না, কিন্তু ওঁর ভালোবাসার ছোট বৃত্তে যারা একবার স্থান পেয়েছে, তারা সেই চুম্বক আকর্ষণ থেকে বেরোতে পারেনি।

আমি যে বই সমরেশ মজুমদারের কাছে চেয়েছি, পেয়েছি। ধারাবাহিক সিরিজ লিখছেন, কলিকাতায় নবকুমার, দাউ দাউ আগুন, বা স্বপ্নেই এমন হয়, সোনার শিকল... এমনকী দিলেন ' গল্পসমগ্র ' সিরিজ ও । কোভিডের সময়ে সরাসরি পাণ্ডুলিপি থেকে লিখে দিলেন দু-দুটো বই। কেন যে এত বিশ্বাস করতেন, কে জানে! শুধু আমাকে কেন, চুমকি, আমাদের দুই মেয়ে ... সবাইকেই। কিন্তু বাইরে খোঁচাতে ছাড়তেন না, যত বইই তোমায় দিই, রয়ালটি তোমার ফিক্সড, সে বাড়বে না!

সমরেশদার হাত ধরেই প্রথম আমার আমেরিকা, কানাডা যাওয়া। 'চলো, দেখবে, ওদেশে কত বাঙালি বাংলা বইয়ের জন্য মুখিয়ে আছে।' কিন্তু দাদা, ফ্লাইটের ভাড়া? কোত্থেকে পাব? ' আরে দাঁড়াও, সে ব্যবস্থা করছি।' করলেনও। তারপর গিয়ে উঠলাম, দাদার রক্তের সম্পর্কহীন বাংলাদেশী কন্যা শ্যামার বাড়ি। দু-দুবার। তার ওখানে একসাথে দিনের পর দিন, রান্নাবান্না করে খাওয়া, উ:, এখন মনে হয়, সব স্বপ্ন। সেখানেও কত ঘটনা, কাহিনী।

কোথায় না কোথায় গেছি দাদার সঙ্গে। ঢাকা, পুরুলিয়ার ভালোপাহাড় থেকে ডুয়ার্সের চা-বাগান, শিলচর থেকে শিলিগুড়ি, গৌহাটি, দিল্লি,ব্যাঙ্গালোর, লখনৌ। আরেকটা বিচিত্র ব্যাপার, ধীরা বউদি আর দুই মেয়ে দোয়েল, পরমা, তারাও আমায় ভারি ভরসা করতেন। বউদি একবার ফোন করে বললেন, আপনার দাদা কী পড়েন জানি না, আমায় কিন্তু কিশোর ভারতী প্রতিমাসে পাঠাবেন।

সিওপিডি, এই রোগটা অনেক দিন ধরেই দাদাকে কুরে কুরে খাচ্ছিল। যে মানুষটা চেন স্মোকার ছিলেন, রোজ সন্ধেয় যাঁর পানীয় লাগত, সব ছেড়ে দিয়েছিলেন বেশ কয়েক বছর। কিন্তু বছর দুয়েক আগে সম্পূর্ণ সুস্থ ধীরা বউদির আকস্মিক চলে যাওয়া মেনে নিতে পারছিলেন না। একটু একটু করে মানসিক অবসাদে ডুবে যাচ্ছিলেন। প্রায়ই ফোনে বলতেন, ভদ্রমহিলা আমায় ডুবিয়ে দিয়ে গেছেন। আমার কিচ্ছু ভালো লাগছে না।

বেশ কয়েকবার অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন দাদা। কিন্তু অসম্ভব মনের জোর, ফিরে এসেছেন, আবার লিখতে শুরু করেছেন। একবার তো বাংলা অক্ষরই ভুলে গেছিলেন! নতুন করে অ আ ক খ প্র‍্যাকটিস করে লেখায় ফিরলেন। ভাবা যায়!

আমার সঙ্গে শেষ কথা হয় ২৩ এপ্রিল, রবিবার। ২৪ শে এপ্রিল ফোন করতে ভুলে গেছি। ২৫শে এপ্রিল। ব্রেকফাস্ট টেবিলে চুমকি বলল, কী গো, কাল তো সমরেশদাকে কল করোনি। আজ একবার করো। বলতে বলতে ফোন বেজে উঠল, দোয়েল। 'কাকু, বাবার মনে হয়, ফের কিছু হয়েছে। কীরকম করছেন। আমি অ্যাপোলোতে নিয়ে যাচ্ছি।'

ব্যস, তারপর... তার আর পর নেই, নেই কোন ঠিকানা!

বোঝাতেও পারব না, আমার মনের মধ্যে এখনও কী চলেছে। সব ' বিগ জিরো। '

NABC2023 at Atlantic City, NJ June 30-July 2 2023 If you didn’t register yet, please register atwww.nabc2023.net
09/05/2023

NABC2023 at Atlantic City, NJ
June 30-July 2 2023
If you didn’t register yet, please register at
www.nabc2023.net

19/10/2022

আসুন যোগদান করুন উপভোগ করুন
NABC2023 at Atlantic City, New Jersey, USA
বঙ্গসম্মেলন ২০২৩ নিউ জার্সির আটলান্টিক সিটিতে
June 30, July 1, 2.

07/09/2022

সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় ৮৯ তম জন্মদিনে উড়ালপুল এর নিবেদন

বাঙালি মানুষের রাজা সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়-কবিসম্মেলন পত্রিকার সম্পাদক শ্যামলকান্তি দাশ আমাকে বললেন , গৌতমবাবু সুনীলদাকে নিয়...
07/09/2022

বাঙালি মানুষের রাজা সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়-
কবিসম্মেলন পত্রিকার সম্পাদক শ্যামলকান্তি দাশ আমাকে বললেন , গৌতমবাবু সুনীলদাকে নিয়ে ভেতর থেকে কিছু লিখুন বাইরের ছাল পালক ফেলে দিয়ে। আমারও বয়স হচ্ছে। অল্প বয়স থেকে অতিরিক্ত অসংযামী জীবনযাত্রার জন্য স্মৃতিগুলোও কে যেন কালো চকবোর্ড থেকে মুছে দিচ্ছে। পারিজাতের নতলার সুনীলদার বাইরের ঘরে আমি আর সুনীলদা বসে ছিলাম যেরকম সবসময় থাকতাম । মানুষের পর মানুষ আসত কেউ সাহায্যর জন্য , কেউ পরামর্শ নিতে, কেউ আমন্ত্রণ জানাতে । শ্যামলদাও এসেছিলেন সঙ্গে বোধহয় কবি শংকর চক্রবর্তী। সুনীলদাকে জানাতে উনি কবিসম্মেলন পত্রিকা প্রকাশ করবেন এবং সুনীলদার আশীর্বাদ চাই। সুনীলদা যেভাবে সকলের সঙ্গে আমার আলাপ করাতেন বললেন , শ্যামল ইনি আমার বন্ধু কবি গৌতম দত্ত , (একটু থেমে) আমেরিকায় থাকেন । আমি শ্যামলদার পত্রিকায় আমেরিকার কবিতা উৎসব ডজ পোয়েট্রি ফেস্টিভ্যাল নিয়ে লিখলাম। সুনীলদা কোনোদিন প্রবাসী কবি বিদেশী কবি বলে পরিচয় করাতেন না কিন্তু । এই রকমই একটা মজার ঘটনা জায়গাটা কোথায় মনে নেই। যোগেন চৌধুরীর আর্ট প্রদর্শনী হচ্ছে আমি আর সুনীলদা লিফটে উঠলাম। লিফটের ভিতরে একজন অভিজাত সুন্দরী মহিলাও উঠেছেন। সুনীলদাকে দেখে উনি হাতজোড় করে নমস্কার বললেন। সুনীলদাও প্রতিনমস্কার করে আমাকে বললেন , উনি আমার মালিকের স্ত্রী রাখী সরকার। আর ইনি আমার বন্ধু কবি গৌতম দত্ত , আমেরিকায় থাকেন । মালিকের স্ত্রী কথাটা কানে লাগল। ফেরার সময় জিজ্ঞাসা করলাম , আপনি মালিকের স্ত্রী বললেন কেন? সুনীলদা হেসে বললেন তবে কী বলব মালিকের স্ত্রী ই তো বটেই! সুনীলদা এই রকম অনেক কানে খটকা লাগা শব্দ ব্যবহার করতেন ।
আজ সুনীলদার জন্মদিন। আমার একটা দিনও কাটে না কোনো না কোনো ভাবে সুনীলদার কথা ভাবি। আমি কলকাতা থেকে বহুদূরে থাকি। তাই সুনীলদাকে যারা অল্প চিনত একটু চিনত সবাই কত কিছু লিখেছে । আমি কিছুই লিখি নি। সুনীলদার বাকী অর্ধেক জীবনের অনেকটাই উনি আমাকে দিয়ে গেছেন একথা কলকাতার অতি মিথ্যাবাদী মানুষও অস্বীকার করতে পারবে না। সুনীলদা আমাকে উজার করে তাঁর স্নেহ ভালোবাসা শিক্ষা সব দিয়েছেন। দুজনে একসঙ্গে কাজও করেছি অনেক । একসঙ্গে “ প্রথম আলো” নাটক করে আমেরিকার রাজ্যর পর রাজ্য নাটকের দল নিয়ে ঘোরা। সুনীলদা রাজা বীরচন্দ্র স্বাতীদি রানী ভানুমতি। ভাবা যায়। প্রতিটি শো হাউস ফুল। সুনীলদার নিজের গলায় গান!
প্রতি রাতে বাঁধভাঙা মচ্ছব পার্টি । এরকমই এক গভীর রাতে আমার স্ত্রী মুনিয়া ( একমাত্র মদ না খাওয়া) গাড়ি নিয়ে পাহাড়ে আছাড় মারল ঘুমন্ত চোখে। সুনীলদার মাথায় সেলাই, স্বাতীদির ছটা দাঁত গেলো ও হাতে চোট, আমার কপালে সেলাই!
সুনীলদার ছেলে পুপলু বোস্টন থেকে কল করেছে বাবা মা যেন নাটক না করেন আর। বাড়ি ভর্তি আমার নাটকের দলের প্রায় জনা বিশেক মানুষ ! সবাইএর মতামত এরপর বস্টনের শেষ শো বাদ দিয়ে দাও। থমথমে সারা বাড়ি। হঠাৎ রাজা বীরচন্দ্রের গানের কলি গাইতে গাইতে সুনীলদার প্রবেশ ।
কী হয়েছে কেউ মারা গ্যাছে না কী?
না আমরা সবাই খবর পেয়েই চলে এসেছি । আপনি কেমন আছেন এখন সুনীলদা ?
আমি তো বেশ দিব্যি ভালো, তবে স্বাতীর বোধহয় একটু বেশীই লেগেছে।
স্বাতীদি - পুপলু কল করেছিল বলতে আমাদের বাদ দিয়ে দিতে।
সুনীলদা- না না আমি অভিনয় করব। স্বাতী যদি না পারে তবে রুম্পাকে দিয়ে ভানুমতির অভিনয়টা করিয়ে নাও। একটাই তো শো বাকী ঠিক হয়ে যাবে। আমার জন্য কিন্তু শো ক্যানসেল করবে না!
এই হচ্ছে সুনীলদা ! আজন্ম লীডার, ঝাঁপিয়ে ফোন ধরেন , কথা দিলে কথা রাখেন।
এরকম বছর বছর স্মৃতি ! ভোরবেলা দুজনের টালিমোর ডিইউ আইরিশ হুইস্কি মিশিয়ে চায়ের পেয়ালায় চুমুক , দিল্লী থেকে জনি ওয়াকার ব্লু স্কচ খেতে খেতে সোজা নিউ ইয়র্ক । গভীর রাতে আমরা দুজন আর রাতের অন্ধকার ছাপিয়ে সুনীলদার উত্তেজনা মাখা দুচোখে বলতেন কতো নিজেস্ব গোপন সব ঘটনা- দ্বারভাঙা জেলার রমনীর গল্প - এত জনের মধ্যে থেকেও তিনি ছিলেন ভীষণ একা আর কয়েকজনকে পাশে থাকতে দিয়েও জানতেন সবাই কিছু প্রত্যাশা করে তাঁর থেকে। তিনি জীবন সমুদ্রের দিকশূন্যপুর খুঁজতে বেড়ানো এক নাবিক । বন্দরে বন্দরে থেমেছেন গিয়েছেন আতিথ্য নিয়েছেন অসংখ্য মানুষের, নীরাদের ঘরে। কোথায় একরাত কোথাও একবেলা আর এই মজার দাপুটে রাজাকে এইসব মানুষেরা ভেবেছে কতো যেন আপনজন! কতো কাছের মানুষ! কতো কতো ছবি - বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রীরা দৌড়চ্ছে কাঁদছে কবির পেছনে পেছনে ধাওয়া করে - গড়িয়ে হাট বাজারে ফুটপাথে বসা তরিতরকারীওয়ালাদের সমবেত রাজাবাবু এসেছেন রাজাবাবু ডাক-মানুষের রাজা ছিলেন তিনি - রাজার যেমন পারিষদরা থাকে কবির ও ছিল , ছিল রাজসভা। তাঁর ভ্রূপস্লবের ডাকে প্যারিস থেকে আমার আমেরিকার বাড়িতে না বলে ট্যাক্সি নিয়ে ছুটে এসেছিলেন এক স্বর্ণপরী শুধু একটু কথা বলতে। তবু এতকিছুর মধ্যে কবি সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় ছিলেন ভীষণ একলা জীবনসাগরের এক নাবিক।

সুনীল গঙ্গাপাধ্যায়ের বা আমাদের সকলের সুনীলদার জন্মদিনে
আমার শ্রদ্ধা দেবশঙ্কর হালদারের কন্ঠে আমার কবিতা “ আ্যাঞ্জেলিকা মুভি হল” -
এই লিংকটাতে ক্লিক করতে হবে

https://fb.watch/fnSjhT-uGQ/

07/07/2021

My First Poem Published in Desh By Joy Goswami " Ami Bosti Bariri Chaylay" আমি বস্তি বাড়ির ছেলে

Address


Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Uralpool - উড়ালপুল posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Uralpool - উড়ালপুল:

Videos

Shortcuts

  • Address
  • Telephone
  • Alerts
  • Contact The Business
  • Videos
  • Claim ownership or report listing
  • Want your business to be the top-listed Media Company?

Share