Bharat Barta

Bharat Barta BHARATBARTA VISION STATEMENT
Daily newspaper of India in regional languages, unified with the fundame
(4)

19/07/2022
https://bharatbartanews.com/Mediapage.aspx?Id=131&pg=1&des=COVERহিন্দুদের জন্য, হিন্দু দ্বারা, হিন্দু সম্পর্কিত সংবাদ।রা...
14/07/2022

https://bharatbartanews.com/Mediapage.aspx?Id=131&pg=1&des=COVER

হিন্দুদের জন্য, হিন্দু দ্বারা, হিন্দু সম্পর্কিত সংবাদ।রাজনৈতিক দলের সাথে সম্পর্ক বিহীন।মালিকানা ভারতীয় শেয়ারহোল্ডারদের মধ্যে সীমাবদ্ধ। হিন্দু ঐক্যের প্রচার। রাজনীতি ও সরকারে দুর্নীতি ফাঁস, ভারত এবং বিশ্বজুড়ে হিন্দুত্বের স্বার্থকে রক্ষা (সনাতন ধর্ম, হিন্দুত্ব)।

Bharatbarta News Pvt. Ltd. Registered Office Kolkata, West Bengal Phone: +91 7980621891 Email: [email protected]

শিগগিরই আসছে। For the Hindu by the Hindu of the Hindu.https://Bharatbartanews.com
26/06/2022

শিগগিরই আসছে। For the Hindu by the Hindu of the Hindu.
https://Bharatbartanews.com

Bharatbarta News Pvt. Ltd. Registered Office Kolkata, West Bengal Phone: +91 7980621891 Email: [email protected]

03/01/2022
......"তখন ব্রহ্মচারী মহেন্দ্রকে কক্ষান্তরে লইয়া গেলেন। সেখানে মহেন্দ্র দেখিলেন, এক অপরূপ সর্ব্বাঙ্গসম্পন্না সর্ব্বারণভূ...
27/10/2019

......"তখন ব্রহ্মচারী মহেন্দ্রকে কক্ষান্তরে লইয়া গেলেন। সেখানে মহেন্দ্র দেখিলেন, এক অপরূপ সর্ব্বাঙ্গসম্পন্না সর্ব্বারণভূষিতা জগদ্ধাত্রী মূর্ত্তি। মহেন্দ্র জিজ্ঞাসা করিলেন,"ইনি কে?"

ব্র। মা -যা ছিলেন।

ম। সে কে?

ব্র। যিনি কুঞ্জর কেশরী প্রভৃতি বন্য পশুসকল পদতলে দলিত করিয়া, বন্য পশুর আবাসস্থানে আপনারপদ্মাসন স্থাপিত করিয়াছিলেন। যিনি সর্ব্বালঙ্কারপরিভূষিতা হাস্যময়ী সুন্দরী ছিলেন। ইনি বালার্কবর্ণাভা, সকল ঐশ্বর্যশালিনী। ইঁহাকে প্রণাম কর।

মহেন্দ্র ভক্তিভাবে জগদ্ধাত্রীরূপিণী মাতৃভূমিকে প্রণাম করিলে পর, ব্রহ্মচারী তাঁহাকে এক অন্ধকার সুড়ঙ্গ দেখাইয়া চলিলেন। "এই পথে আইস।" ব্রহ্মচারী স্বয়ং আগে আগে চলিলেন। মহেন্দ্র সভয়ে পাছু পাছু চলিলেন। ভূগর্ভস্থ এক অন্ধকার প্রকোষ্ঠে কোথা হইতে সামান্য আলো আসিতেছিল। সেই ক্ষীণালোকে এক কালীমূর্ত্তি দেখিতে পাইলেন।

ব্রহ্মচারী বলিলেন, "দেখ, মা যা হইয়াছেন।"

মহেন্দ্র সভয়ে বলিল, 'কালী।"

ব্র। কালী - অন্ধকারসমাছন্না কালীমাময়ী। হৃতসর্ব্বস্বা, এই জন্য নগ্নিকা। আজি দেশে সর্ব্বত্রই শ্মশান - তাই মা কঙ্কালমালিনী। আপনার শিব আপনার পদতলে দলিতেছেন -- হায় মা।

ব্রহ্মচারীর চক্ষে দর দর ধারা পড়িতে লাগিল। মহেন্দ্র জিজ্ঞাসা করিলেন, "হাতে খেতক খর্পর কেন?"

ব্রহ্ম। আমরা সন্তান,অস্ত্র মার্ হাতে এই দিয়াছি মাত্র - বল, বন্দে মাতরম।

"বন্দে মাতরম' বলিয়া মহেন্দ্র কালীকে প্রণাম করিল। তখন ব্রহ্মচারী বলিলেন, "এই পথে আইস।" এই বলিয়া তিনি দ্বিতীয় সুড়ঙ্গ আরোহণ করিতে লাগিলেন। সহসা তাঁহাদিগের চক্ষে প্রাতঃসূর্য্যের রশ্মিরাশি প্রভাসিত হইল। চারি দিক হইতে মধুকণ্ঠ পক্ষীকুল গাহিয়া উঠিল। দেখিলেন, এক মর্ম্মরপ্রস্তরনির্ম্মিত প্রশস্ত মন্দিরের মধ্যে সুবর্ণনির্ম্মিতা দশভুজা প্রতিমা নবারুণকিরণে জ্যোতির্ম্ময়ী হইয়া হাসিতেছে। ব্রহ্মচারী প্রণাম করিয়া বলিলেন, - "এই মা যা হইবেন। দশ ভূজ দশ দিকে প্রসারিত, - তাহাতে নানা আয়ুধরূপে নানা শক্তি শোভিত, পদতলে শত্রু বিমর্দ্দিত, পদাশ্রিত বীরকেশরী শত্রুনিপীড়নে নিযুক্ত। দিগভুজা - নানাপ্রহরণধারিণী শত্রুবিমর্দ্দিনী - বীরেন্দ্র-পৃষ্ঠাবিহারিণী - দক্ষিণে লক্ষী ভাগ্যরূপিণী - বামে বাণী বিদ্যাবিজ্ঞানদায়িনী - সঙ্গে বলরূপী কার্ত্তিকেয়, কার্য্যসিদ্ধিরূপী গণেশ; এস আমরা মাকে উভয়ে প্রণাম করি।" তখন দুইজনে যুক্তকরে উর্দ্ধমুখে এককণ্ঠে ডাকিতে লাগিল, -

"সর্ব্বমঙ্গল - মঙ্গল্যে শিবে সর্ব্বার্থ -সাধিকে।
শরণ্যে ত্র্যম্বকে গৌরী নারায়ণী নমোহস্তু তে।" ["আনন্দমঠ" - একাদশ পরিচ্ছেদের কিয়দংশ/ঋষি বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়]

নমস্তুতে মহামায়ে মহা ঘোরপরাক্রমী -

পরাক্রমী তিনি, শত্রুনাশিনী, উগ্রক্ষত্রিয়া, রক্তলেহন তাঁর স্বভাবজাত, তাঁর ভীষণদর্শনা উপস্থিতিই পাপীর হৃদয়ে আতঙ্ক ও মৃত্যুভয়ের সঞ্চার করে নিমেষে -- শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে এই ভয়ঙ্করীকেই পূজা করে এসেছে হিন্দু জাতি - তেজ ও পরাক্রমের প্র্রতিমূর্ত্তি রূপে। ধর্মরক্ষার যখন কোন আশাই নেই আর তখন ধার্মিকের একমাত্র প্রতিষ্ঠা নির্ভর করে কালীর উদয়ে। তাঁর চিন্তা, স্ফুরণ হতাশাগ্রস্তকে মুহূর্তে পরিণত করে তেজোদৃপ্ত যোদ্ধায় যিনি আপন ও যবনের শোণিতে রক্ষা করবেন ধর্মকে।

অন্ধকারাচ্ছন্ন মধ্যযুগে আবির্ভাব হয় তান্ত্রিক কালী-সাধকদের মধ্যে অগ্রগণ্য শ্রী শ্রী কৃষ্ণানন্দ আগমবাগীশের। মূলত, তাঁর মাধ্যমেই অখণ্ড বঙ্গে কালীপূজার প্রারম্ভ। কথিত আছে, যে ক্ষণে বঙ্গের সাধকেরা তন্ত্রের মূলধারা থেকে বিচ্যুত হয়ে যাচ্ছিলেন তখন আদ্যাশক্তি মহামায়া তাঁকে তন্ত্রশাস্ত্রের পুনরুদ্ধার এবং তাঁর মাতৃরূপিণী বিগ্রহের পূজা করার নির্দেশ দেন। ঠাকুর শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ, শ্রী রামপ্রসাদ, শ্রী শ্রী রামপ্রসাদ, শ্রী শ্রী কমলাকান্ত ও বহু অজানা পরম শ্রদ্ধেয় কালীসাধকের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায়, অনিমেষ সাধনায় স্মশানবাসিনী ক্রমে রূপান্তরিত হলেন গৃহদেবীতে। আতঙ্ককে পরিহার করে মানুষ মেতে উঠলেন এক নব ধর্মোপাসনায়।

অশান্ত, রক্তলোলুপা ভয়ঙ্করী কিন্তু রয়ে গেলেন মনসংযোগের কেন্দ্রবিন্দু। তাঁর অধর্মের সর্বনাশসাধন রূপের প্রতি এক তীব্র আকর্ষণ ব্যাহত হলনা সমাজমধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টার মধ্যে। ধর্ম ও সমাজের সঙ্কটকালে তিনিই রয়ে গেলেন এক ও অদ্বিতীয়া উপাস্যরূপে - যা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বারংবার বঙ্গের জাতীয়তাবাদী সংগ্রামের উচ্চতম তরঙ্গের কালে, সশস্ত্র বিপ্লবের বজ্রঘোষণায় ও তার বাস্তবায়নে।

এক নব দিগন্ত উপস্থিত হয় "Kali the Mother" নামক কবিতায় - স্বামী বিবেকানন্দ এই কবিতাটি রচনা করেন ১৮৯৮ সালে যখন উনি কাশ্মীরের ডাল লেকে একটি হাউসবোটের মধ্যে বসবাস করছিলেন। কবিতাটির মধ্য দিয়ে উনি মাতা কালীর ভয়ঙ্করী রূপকে পূজা করেছিলেন। প্রখ্যাত কবি শ্রী সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত দ্বারা কৃত ভাবানুবাদ "মৃত্যুরূপা মাতা" য় দেখা যায় -

".......কালী, তুই প্রলয়রূপিণী, আয় মা গো আয় মোর পাশে।

সাহসে যে দুঃখ দৈন্য চায়, মৃত্যুরে যে বাঁধে বাহুপাশে,

কাল-নৃত্য করে উপভোগ, মাতৃরূপা তারি কাছে আসে।'....

১৮৭০-এর দশকে Masculine Hinduism-এর উদ্ভব কালীপূজোকে করে তোলে মর্মস্পর্শী। শক্তি ও দেহচর্চার সাথে ভয়ঙ্করীর উপাসনা হয়ে যায় একাত্ম।

'স্বামী বিবেকানন্দ জগন্মাতার নিকট বাঙ্গালী জাতিকে মানুষ করিবার প্রার্থনা জানাইয়াছিলেন - সতীশচন্দ্র (শ্রী সতীশ্চন্দ্র বসু) সেই কর্মভার গ্রহণ করেন। ......বাঙ্গালী জাতিকে শৌর্যে, বীর্যে, সর্বাঙ্গসুন্দর করিতে হইবে, বাঙ্গালী জাতি সকল বিষয়ে শীর্ষস্থান অধিকার করিবে, ইহাই ছিল তাঁহার পরিকল্পনা। .....অপরদিকে খ্যাতনামা ব্যারিস্টার পি. মিত্র মহাশয়ও পরাধীনতার শৃঙ্খল মোচনের প্রকৃষ্ট উপায় হিসাবে বাঙ্গালীর শক্তিচর্চার আবশ্যকতা অনুভব করিতেছিলেন। সরলা দেবী চৌধুরাণীও এই উদ্দেশ্যে বীরাষ্টমী ব্রত প্রবর্তন করিয়াছিলেন। ...সোদপুরের শশীদা (শশীভূষণ রায় চৌধুরী) মিত্তির সাহেবকে সমিতিতে আনেন। .....স্মরণ রাখিতে হইবে, জাতীয় জীবনের এক গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণে অনুশীলন সমিতির উদ্ভব ও প্রতিষ্ঠা। ঋষি বঙ্কিমচন্দ্রের অনুশীলন তত্বে শারীরিক, মানসিক, নৈতিক ও আধ্যাত্মিক উৎকর্ষ-সমন্বিত আদর্শ মানবগঠনের যে নির্দেশ আছে -- যাহাই অনুশীলন সমিতির ভিত্তি।' - ''ভগিনী নিবেদিতা" - প্রব্রাজিকা মুক্তিপ্রাণা। .

এমতাবস্থায় শক্তিচর্চার প্রেরণাদাত্রী রূপে উপস্থিত কে হতে পারেন সম্মুখে? যাঁর সামনে মাতৃভূমির স্বাধীনতা সংগ্রামে সশস্ত্র বিপ্লবের পক্ষপাতী যুবকেরা নিজেদের ছাতির রক্ত উৎসর্গ করতে পারবেন? অধিষ্ঠিত হলেন মননে পুনরায় তাঁর ভীষণ দর্শন ও প্রকৃতি সহ - দেবী কালী।

এই সময় জেলা জজ শ্রী বরদাচরণ মিত্র প্রণীত সঙ্গীত বিপ্লবী তরুণদের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।

"শক্তি মন্ত্রে দীক্ষিত মোরা
অভয়া চরণে নম্র শির।
ডরিনা রক্ত ঝরিতে ঝরাতে
দৃপ্ত মোরা রক্ত বীর।
আবাহন মার যুদ্ধ ঝরণে
তৃপ্তি তপ্ত রক্ত ক্ষরণে
পশুবল আর অসুর নিধনে
মায়ের খড়গ ব্যগ্র ধীর
মায়ের অরাতি নাশন
পদে অঞ্জলি বাঞ্ছাপূরণ
শত্রু রক্তে মায়ের তর্পণ
জবার বদলে ছিন্ন শির -"...

১৯০৫ সালে শ্রী/ঋষি অরবিন্দ ঘোষের "ভবানী মন্দির" প্রকাশিত হয়। দেবী ভবানী একাধারে দূর্গা এবং কালী ও তারই সাথে দেশমাতৃকার প্রতীক রূপে উপস্থিত হন।

"জন্মভূমির মুক্তিকল্পে শক্তিসাধনাই ছিল সে কালের যুগধর্ম। ........সমিতির অধিবেশন সমূহে সমবেতভাবে নীচের এই চন্ডীমন্ত্রটি আবৃত্তি করা হত -
ইত্থ্যং যদা যদা হি বাধা দানবোত্থা ভবিষ্যতি।
তদা তদা তদাবতীর্যাহং করিষ্যাম্যারিসংপক্ষয়ম।।
ভারতীয় কৃষ্টির চরম সামাজিক আদর্শ এক ধর্মরাজ্য প্রতিষ্ঠা। শ্রীকৃষ্ণ, অশোক, শিবাজী প্রভৃতি আমাদেরই পূর্বপুরুষদের প্রদর্শিত পথে বাঙ্গালী তার স্বাধীনতার প্রেরণা পেয়েছিল।
….সমিতির সদস্যদের মধ্যে যে যেরকম কাজের উপযুক্ত তাকে সেই কাজের ভার দেওয়া হত। সাধারণ সভ্যদের মধ্য হতে পরীক্ষা করে বিশেষ বিশেষ কর্মী সংগ্রহ করা হতো। গুপ্তকাজের জন্য কালী মন্দিরে দীক্ষা দেওয়া হতো। দেবী সমক্ষে স্বীয় অঙ্গুলির রক্ত দ্বারা প্রতিজ্ঞাপত্র স্বাক্ষরিত হতো। কোন মন্ত্রণা বা তথ্য প্রকাশ করবে না, কোন প্রতারণা করবে না, সমিতির বিরুদ্ধাচরণ করবে না, বা রাজশক্তির গুপ্তচরবৃত্তি করবে না, নিমকহারামী করবে না। প্রাণ পর্যন্ত পণ করে উদ্দেশ্য সিদ্ধির সহায়তা করবে। কাজ সফল করবার প্রয়াস পাবে। এমন মন্ত্রগুপ্তি শিক্ষা দেওয়া হতো যে, একজন সভ্য কি করে না করে অন্য সদস্যদের কেউ জানতে পারতো না - এমন কি কেউ কেউ নিজেই কি করছে তাও বিশেষভাবে বুঝতো না।" - (ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে অনুশীলন সমিতির ভূমিকা - শ্রী জীবনতারা হালদার)।

মাস্টারদা সূর্য সেনের সহযোগী শ্রীমতী কুন্দপ্রভা সেন দ্বারা লিখিত ও ১৯৬২ সালে প্রকাশিত “কারাস্মৃতি” অনুযায়ী, “কিছুদূর গিয়ে এক মন্দিরের কাছে দু’জনে পৌঁছলাম। দরজা খোলাই ছিল। মাস্টার ও আমি ভেতরে ঢুকলাম। তারপর সে টর্চ জ্বালাল। দেখলাম ভীষণা এক কালী মূর্তি। মাস্টার একহাত লম্বা একখানা ডেগার বার করে আমার হাতে দিয়ে বলল, মায়ের সামনে বুকের রক্ত দিয়ে পূজো কর। ওখানে বেলপাতা আছে। আমি বুকের মাঝখানের চামড়া টেনে ধরে একটুখানি কাটার সঙ্গে সঙ্গে কয়েক ফোঁটা রক্ত বের হলো। তা বেলপাতায় করে মাস্টারের কাছে নিয়ে গেলাম, সে বেশ স্পষ্ট করে বলল-মায়ের চরণে দিয়ে বল জীবনে বিশ্বাসঘাতকতা করব না। আমি অসংকোচে মায়ের চরণে রক্ত আর মাথা রেখে এ প্রতিজ্ঞা করলাম।”

বাঁকুড়া জেলার কালীতলার কালীপুজোর সাথে বঙ্গের সশস্ত্র বিপ্লবের সম্পর্ক চিরস্থায়ী। লোকমুখে প্রচলিত, পুজোর সাথে মিশে আছে অগ্নিযুগের ক্ষত্রিয়দের যজ্ঞশক্তি। এই কালীতলা অঞ্চলেই শ্রী রামদাস চক্রবর্তীর নেতৃত্বে কালী মন্দিরের পাশেই তৈরি হয় বিপ্লবীদের গোপন ডেরা ও যা পরিচিত ছিল রামদাস পালোয়ানের আখড়া হিসাবে। এই আখড়ায় তৎকালীন সশস্ত্র বিপ্লবী আন্দোলনের বহু বিপ্লবীর আনাগোনা ছিল । ব্রিটিশদের চোখ এড়িয়ে এখানেই বিপ্লবীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হত লাঠি খেলা , ছোরা খেলা , অস্ত্র চালনা , কুস্তি ও মল্ল যুদ্ধের প্রাথমিক পাঠ । নিয়মিত শরীর চর্চাও হত সেখানে । কথিত আছে রামদাস পালোয়ানের আখড়ার বিপ্লবীরা কোনো অভিযানে যাওয়ার আগে বড় কালী মন্দিরে পুজো দিয়ে তারপর আখড়া থেকে বের হতেন । বহু বিপ্লবী এই কালী মন্দিরে আরাধ্য দেবীর পায়ে হাত দিয়ে দেশ মাতৃকার নামে শপথও নিয়েছেন বলে শোনা যায় ।

পরিশেষে, ১৯৪৬-এর নোয়াখালীতে ঘটা হিন্দু গণহত্যার প্রতিবাদে ভাগলপুরে আগুন জ্বলে উঠলেও কলকাতা ও তার পার্শ্ববর্তী অঞ্চল স্তব্ধ থাকতে বাধ্য হয়েছিল ব্রিটিশ প্রশাসন ও সেনার চাপে। তাই সেই বছর প্রত্যেক কালী পূজার মণ্ডপেই শস্ত্র পূজার আধিক্য চোখে পড়ে যার পূর্ণ সদ্ব্যবহার করা হয়েছিল সেপ্টেম্বর, ১৯৪৭ এ।

বাঙ্গালীর সাথে কালীপূজার সম্পর্ক অকৃত্ৰিম ও অবিচ্ছেদ্য। মাতা কালী বিনা বাঙ্গালী -প্রত্যেক অর্থেই অবাস্তব ও অসম্পূর্ণ। যেমন শস্ত্রহীন হিন্দু। নিরস্ত্র হিন্দু ধর্মদ্রোহিতার নামান্তর ও অশাস্ত্রীয় - যা আর্য সনাতন হিন্দু ধর্মের বিধি ও বিধানকে লঙ্ঘন করে প্রতিনিয়ত।

বাঙ্গালী হিন্দু তার মুলে ফিরুক - এইই তার অস্তিত্বরক্ষার একমাত্র পথ। তীক্ষ্ণ তরবারি হোক তার গঙ্গাজল, কটিমধ্যে লুক্কায়িত ছোরা হোক তার বীজমন্ত্র, বাঘনখ হোক তার অলঙ্কার। .

ওঁম জয়ন্তী মঙ্গলা কালী ভদ্রকালী কপালিনী
দূর্গা, শিবা, ক্ষমা, ধাত্রী স্বাহা স্বধা নমোহস্তুতে।।

ওঁম কালী কালী মহাকালী কালীকে পাপাহারিণী
সর্ব বিঘ্ন হরে দেবী নারায়ণী নমোহস্তুতে
মহিষাগ্নি মহামায়ে চামুণ্ডে মুণ্ডমালিনী
আর্য়ুর আরোগ্য বিজয়ং দেহি দেবী নমোহস্তুতে।

বিশেষত যাঁরা স্বাধীন বাংলা গঠন করতে উৎসাহী বা হিন্দু-মুসলমান নির্বিশেষে বাঙালীই সব/বাঙালী একটি জাতি নামক হাঁসজারু তত্বের...
18/10/2019

বিশেষত যাঁরা স্বাধীন বাংলা গঠন করতে উৎসাহী বা হিন্দু-মুসলমান নির্বিশেষে বাঙালীই সব/বাঙালী একটি জাতি নামক হাঁসজারু তত্বের প্রবক্তা - তাঁদের জন্য -

"এ রকম একটি সময়ে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় একটি মৌলিক প্রশ্ন তুললেন গান্ধীজির কাছে। সেটি হল - আর্দশের দিক দিয়ে 'স্বাধীন সার্বভৌম বাংলা' মেনে নেওয়া হল। কিন্তু সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে 'স্বাধীন সার্বভৌম বাংলা' পাকিস্তানের অঙ্গপ্রদেশে পরিণত হতে চাইলে, তার বিরুদ্ধে কি রক্ষাকবচ আছে। শরৎ বসু প্রস্তাব দিলেন, সে - ক্ষেত্রে একটা সিদ্ধান্ত নিতে হলে আইনসভার দুই-তৃতীয়াংশের সংখ্যাগরিষ্ঠতার বিধান থাকবে। গান্ধীজির মত ছিল - সার্বভৌম বাংলা পরে যদি পাকিস্তান অথবা ভারতবর্ষের সঙ্গে যুক্ত থাকতে চায়, তবে সে সিদ্ধান্ত গ্রাহ্য হবে কেবল সংখ্যালঘু হিন্দুদের দুই-তৃতীয়াংশ তা সমর্থন করলে। শ্যামাপ্রসাদ দাবি করলেন যে কয়েক মাস আগের কলকাতা ও নোয়াখালী দাঙ্গার পরিপ্রেক্ষিতে সমগ্র পরিস্থিতির বিচার করতে হবে। সুরাবর্দিকে 'স্বাধীন সার্বভৌম বাংলা' -র শাসনতান্ত্রিক কাঠামোতে এই লিখিত প্রতিশ্রুতি দিতে হবে যে, 'স্বাধীন সার্বভৌম বাংলা' কখনও কোনওভাবে পাকিস্তানের অঙ্গপ্রদেশে পরিণত হবেনা। গান্ধীজি সুরাবর্দির দিকে তাকিয়ে জানতে চাইলেন, সুরাবর্দি এ ব্যাপারে মত দেবেন কি না। সুরাবর্দি সাহেব ওই প্রতিশ্রুতি দিতে তার অক্ষমতা জানালেন। বস্তুতপক্ষে, 'স্বাধীন সার্বভৌম বাংল কাহিনীর এখানেই সমাপ্তি। "

এ প্রসঙ্গে Gandhi : The Last Phase - এ প্যারেলাল বলেছেন - He (Suhrawardy) was playing for high tricks but lacked the courage or the will or perhaps the both to face up to Quaid-i-Azam who suffered no nonsense in the Moslem League camp and was trying to thread on a thin wire. And Sarat Bose and his friends, with more zeal than prudence, were permitting themselves unwillingly to be drawn into Saheed’s desperate gamble. (সূত্র : বঙ্গসংহার এবং - শ্রী সুখরঞ্জন সেনগুপ্ত।..পৃষ্ঠা - ৪৮)...

What's the deduction then? - মূল কথা হল অখণ্ড বাঙ্গালী জাতি বলে কিছু হয়না। বাঙ্গালী মাত্রই হিন্দু কারণ তাঁর সমস্ত সত্তা দেশজ, বহির্জগতের মোড়কে আবদ্ধ নয়।

17/10/2019

বেঙ্গল ভলান্টিয়ার্সের সম্মেলন ও বাঙ্গালী হিন্দু -

রাজনীতির মূল অর্থ স্বার্থ স্থাপনের চেষ্টা - ব্যক্তিগত, জাতিগত বা রাষ্ট্রগত। এবং সেই প্রয়াসই ইতিহাসের চালিকাশক্তি রূপে স্বীকৃত আছে মানবসভ্যতার উষালগ্ন থেকে। সমগ্র পৃথিবীর প্রত্যেক ক্ষেত্রেই এটিই এক অত্যন্ত স্বাভাবিক বৈশিষ্ট্য রূপে পরিচিত, ভারতবর্ষের অন্যত্রও। ভারতের উত্তর-পূর্ব থেকে দক্ষিণ থেকে উত্তর থেকে মধ্য - প্রত্যেক ধর্ম/ভাষাগত জনগোষ্ঠীই নিজস্ব পথে চলতে অভ্যস্ত - এক অত্যন্ত স্বাভাবিক প্রক্রিয়া।

সমস্যা শুধুমাত্র বাঙ্গালী হিন্দুদের ক্ষেত্রে। এই ধর্ম-ভাষা সমন্বিত জনগোষ্ঠীকে বিশ্বমানবতার পাঠ নিতেই হবে - এ যেন এক অদৃশ্য বিধান - an utter stalemate propounded by a notion of stark defeatism and cowardice is an infectious disease । কিন্তু নির্মোহ বিশ্লেষণ করলে প্রমাণিত হয় বারংবার যে ১৯শ শতকের বঙ্গের নবজাগরণের প্রবক্তাদের সামগ্রিক দৃষ্টি ও বক্তব্য ছিল আত্মসচেতনতার ওপর নিহিত একমাত্র। হিন্দু জাতীয়তাবাদের বেঙ্গল স্কুল অফ থটের মূল চিন্তন ছিল এটিই, যা আজ অনেকাংশেই বিলুপ্ত।

বর্তমানে উত্তেজনার চরমতম শিখরে অবস্থানরত NRC এবং CAB - এর ক্ষেত্রেও একই দৈন্যতা দৃষ্ট হচ্ছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, জনগোষ্ঠীর নির্দিষ্ট বক্তব্য রয়েছে এ ক্ষেত্রে কিন্তু বাঙ্গালী হিন্দুর বক্তব্য নেই কোনভাবেই যা আপন স্বার্থ বিঘ্নিত করছে ভয়াবহ রূপে। কিসের অভাব? ঋতুর পরিবর্তন এক স্বাভাবিক প্রক্রিয়া, চিন্তার ক্ষেত্রেও তাই।

বিগত প্রায় ৮০ বছরের আত্মঘাতী চিন্তা ও পদক্ষেপকে সম্পূর্ণরূপে ত্যাগ করে নতুন দৃষ্টিকোণ বরণ করতে হবে এইবার নতুবা এই হতভাগ্য কিন্তু গুণশ্রেষ্ঠ জাতির আসন্ন মৃত্যু রোধ করা কার্যত অসম্ভব।

এই সন্ধিক্ষণে বাঙ্গালী হিন্দু জাতীয়তাবাদের প্রতিভূ বেঙ্গল ভলান্টিয়ার্স ট্রাস্টের উদ্যোগে গঠিত হতে চলেছে একটি মহতী সম্মেলন -

বিষয় - NRC, নাগরিকত্ব ও বিবিধ।
তারিখ - ২০/১০/২০১৯..সময় - বিকাল ৫টা - ৭টা।
স্থান - ঐতিহাসিক ভারত সভা হল (কলকাতা, বৌবাজার ক্রসিং, ফিরিঙ্গি কালীবাড়ীর বিপরীতে)

পরিশেষে, রাষ্ট্রীয় বিকাশে NRC - এর গুরুত্ব অসামান্য কিন্তু বাঙ্গালী হিন্দুর স্বার্থ ক্ষুণ্ণ করতে দেওয়া হবেনা কোনমতেই।

তীব্র স্বাজাত্যবোধই হোক বাঙ্গালী হিন্দুর একমাত্র আলোকবর্তিকা আগামীতে।

ব্যোম কালী।

দেবী ৯ দিন ৯ রাত্রি যুদ্ধের পর বধ করলেন মহিষাসুরকে - সেই দিবস চিহ্নিত বিজয়া দশমী রূপে।শ্রী শ্রী চন্ডী অনুসারে, দেবী আবি...
07/10/2019

দেবী ৯ দিন ৯ রাত্রি যুদ্ধের পর বধ করলেন মহিষাসুরকে - সেই দিবস চিহ্নিত বিজয়া দশমী রূপে।

শ্রী শ্রী চন্ডী অনুসারে, দেবী আবির্ভূত হন আশ্বিন মাসের কৃষ্ণা চতুর্দশীতে, মহিষাসুর বধ হয় শুক্লা দশমীতে।

রামায়ণ অনুসারে, আশ্বিন মাসের শুক্লা দশমীতেই শ্রী শ্রী রামচন্দ্র বধ করেন লঙ্কেশ্বর রাবণকে - সেই দিবস চিহ্নিত বিজয়া দশমী রূপে।

মহাভারত অনুসারে, পান্ডবগণ ১২ বৎসর বনবাস ও ১ বৎসরের অজ্ঞাতবাস শেষে শমী বৃক্ষে তাঁদের লুক্কায়িত অস্ত্র-শস্ত্র উদ্ধার করেন ও আপন পরিচয় প্রকাশ করেন আশ্বিন মাসেরশ শুক্লা দশমীতে - সেই দিবসও চিহ্নিত বিজয়া দশমী রূপে।

শস্ত্রচর্চার মাধ্যমে শাস্ত্রজ্ঞানের প্রকাশ আর্য সনাতন হিন্দু ভারতবর্ষের চিরন্তন ঐতিহ্য।

প্রশ্ন ওঠে - আজ যখন আজানের ধ্বনিতে মুখরিত পূজামন্ডপ ও শস্ত্রহীনা দুর্গার অবয়ব এক তীব্র অশনি সংকেত বহন করছে তখন বাঙ্গালী হিন্দু কি অন্তর্নিহিত অর্থ না বুঝে "শুভ বিজয়া দশমী" বার্তাই ছড়িয়ে দিয়েই ক্ষান্ত হবে?

১৯০৭ সালে মহালয়ার ভোরে, ভগিনী নিবেদিতার আহ্বানে ৫০,০০০ - এর অধিক বাঙ্গালী হিন্দু কলকাতার কালীঘাট মন্দির প্রাঙ্গণে সমবেত হয়ে অঙ্গীকার করেন যে তাঁরা বিদেশী বস্ত্র আর ব্যবহার করবেন না। বিপ্লবীদের মরণপন সশস্ত্র সংগ্রাম, বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর এহেন দৃঢ়তা ব্রিটিশ সাম্রাজ্যকে করে তুলেছিল সন্ত্রস্ত।

১৯৪৬ সালের কলকাতার ডাইরেক্ট অ্যাকশন ডে ও পরিশেষে, রক্তাক্ত যুদ্ধের পর হিন্দুদের বিজয়কালেই জ্বলে ওঠে ঢাকা শহরের উয়াড়ি অঞ্চল। ইসলামিক মৌলবাদীদের উপর্যপুরি আক্রমণে ত্রস্ত হিন্দু শেষ পর্যন্ত বিধ্বস্তে পরিণত হয়। ক্রমশ পূর্ববঙ্গ তাঁদের মুষ্টিমুক্ত হয়। সেই অঞ্চলের বর্তমান অবস্থার সাথে সকলেই পরিচিত প্রায়।

বাঙ্গালী কোন পথে যাবে? ১৯০৭ বা ১৯৪৬?

"বিজয়া দশমী" বীরদের জন্যই একমাত্র। ক্লীব/মেরুদণ্ডহীনদের জন্য নয় কদাপি। পথভ্রষ্ট, দ্বিধাগ্রস্ত, নপুংশক বাঙ্গালী হিন্দুর জন্য তো নয়ই। "বিজয়া দশমী" - এর রক্ততিলক ললাটে ধারণ করতে যোগ্যতা লাগে।

সর্বপ্রথম, বাঙ্গালী তার যোগ্যতা প্রমাণ করুক।

পিতৃপক্ষের অবসান, দেবীপক্ষের সূত্রপাত - দেবী দুর্গার আবাহনের মধ্য দিয়েই আগামী দিনপাত হবে হিন্দু বাঙ্গালীর। কিন্তু অন্যায়...
27/09/2019

পিতৃপক্ষের অবসান, দেবীপক্ষের সূত্রপাত - দেবী দুর্গার আবাহনের মধ্য দিয়েই আগামী দিনপাত হবে হিন্দু বাঙ্গালীর।

কিন্তু অন্যায়, ঔদ্ধত্যের ও দুর্গতির একমাত্র সংহারকারিণী, রণসজ্জায় সজ্জিত দেবীকে কি বাঙ্গালী তাঁর চির পরিচিত রূপেই আহ্বান করছে!?

কোথা সেই প্রজ্ঞা, কোথা সেই জ্ঞান, কোথা সেই পরাক্রম যা মাতার প্রকৃষ্ট রূপকে উপস্থাপিত করে?

ভক্ত যখন নির্জীব, তখন মা সজীব হয়েই বা কি করবেন? তাই তিনি আজ অন্তঃপুরবাসিনী, গৃহের উমা, কুললক্ষী -- রুদ্র, বিনাশিনী মাতা আজ পরিণত হয়েছেন সর্বংসহাতে।

কিন্তু সহ্যই তো একমাত্র সত্য নয় - ঈশ্বর অনন্ত প্রেমময় নন একমাত্র, অনন্ত শক্তিময়ও। হিন্দু শাস্ত্রের অভ্রান্ত মতও তাই।

প্রয়োজন আজ নির্জীবতার এই তামসিক মনোবৃত্তিকে ধ্বংস করার - পুনর্জাগরিত হোক বাঙ্গালীর প্রাচীন প্রথা - শস্ত্রসহকারে দেবীর আরাধনা।

যা চন্ডী মধুকৈটভাদিদৈত্যদলনী যা মাহিষোন্মূলিনী
যা ধূম্রেক্ষণচন্ডমুন্ডমথনী যা রক্তবীজাশনী |
শক্তিশুম্ভনিশুম্ভদৈত্যদলনী যা সিদ্ধিদাত্রী পরা
সা দেবী নবকোটীমূর্তিসহিতা মাং পাতু বিশ্বেশ্বরী ||

আন্তর্জাতিক পরিসরে পরিবেশ রক্ষার ব্যস্ততা লক্ষ্য করা যাচ্ছে ক্রমশ। আহ্বান এসেছে পাশ্চাত্য জগৎ থেকে যদিও পরিবেশের সর্বনাশ...
27/09/2019

আন্তর্জাতিক পরিসরে পরিবেশ রক্ষার ব্যস্ততা লক্ষ্য করা যাচ্ছে ক্রমশ। আহ্বান এসেছে পাশ্চাত্য জগৎ থেকে যদিও পরিবেশের সর্বনাশের দায় তাদের ওপরেই বর্তায় বৃহদাংশে।

কিন্তু - পরিবেশ সম্পর্কে সচেতনতা পাশ্চাত্য সভ্যতার দান নয় কোনমতেই। মানবসভ্যতার ঊষালগ্নেই তার মহত্তম অর্থ, ব্যাপ্তি ও গুরুত্ব প্রতিধ্বনিত হয়েছিল আর্য সনাতন হিন্দু সভ্যতায়। ঋষিকন্ঠে উচ্চারিত সেই মহান বাণী শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে প্রবাহিত হচ্ছে ভারতবর্ষের আত্মায় -

"ওঁ মধু বাতা ঋতায়তে মধু ক্ষরন্তি সিন্ধবঃ।
মাধ্বীর্নঃ সন্তোষধীঃ।।
মধুনক্তমুতোষসো মধুমৎ পার্থিবং রজঃ।
মধু দয়ৌরস্তু নঃ পিতা।।
মধুমান্নো বনস্পতির্মধু - মানস্তু সূর্যঃ।
মাধ্বীর্গাবো ভবন্ত নঃ।।" - ( ঋগ্বেদ ১/৯০/৬-৮)...

অনুবাদঃ হে পরমাত্মন্! বায়ু ও নদীসমূহ মধু বর্ষন করুক,আমাদের জন্য ঔষধী সকল মধুময় হোক।
আমাদের রাত্রি ও উষা মধুময় হোক।পৃথিবীর ধূলিকণা মধুময় হোক,বর্ষণশীল ও পুষ্টিকারী দ্যুলোকও মধুময় হোক।
বনস্পতিও আমাদের মধুময় হোক। সূর্য আমাদের জন্য মধুময় হোক।গো -জাতি আমাদের জন্য মধুময় হোক।.............

আসুন, সেই মহান চিন্তার সার্থক উত্তরাধিকারী হয়ে আমরা পরিবেশ রক্ষায় ব্রতী হই।

মহামান্য কেন্দ্রীয় সরকার দ্বারা গৃহিত প্লাস্টিকজাত দ্রব্যকে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্তকে এক ঐতিহাসিক কর্তব্য ও 'নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গিকার' হিসাবে গণ্য করে সেই পথেই অগ্রসর হই।

পরিবেশ রক্ষার এক সৈনিক আমি - এই হোক সার্বিক প্রত্যয়।

জাতীয়তাবাদী পশ্চিমবঙ্গের সৃষ্টির ভাবনায় উদ্বুদ্ধ একদল রাষ্ট্রবাদী যুবকের প্রচেষ্টা - আমন্ত্রণ জানাই প্রত্যেক রাষ্ট্রবাদী...
26/09/2019

জাতীয়তাবাদী পশ্চিমবঙ্গের সৃষ্টির ভাবনায় উদ্বুদ্ধ একদল রাষ্ট্রবাদী যুবকের প্রচেষ্টা -

আমন্ত্রণ জানাই প্রত্যেক রাষ্ট্রবাদী ব্যক্তিকে -

অসামান্য তাঁর পান্ডিত্য, সংস্কৃত সাহিত্যে তাঁর ব্যুৎপত্তি প্রবাদপ্রতিম কিন্তু বিধবা বিবাহ-জড়িত প্রায় মরণপন আন্দোলন ও ব...
26/09/2019

অসামান্য তাঁর পান্ডিত্য, সংস্কৃত সাহিত্যে তাঁর ব্যুৎপত্তি প্রবাদপ্রতিম কিন্তু বিধবা বিবাহ-জড়িত প্রায় মরণপন আন্দোলন ও বিজয়কেই তাঁর জীবনের সর্বোত্তম সাফল্য রূপে গণ্য করা হয়। সাময়িকদের মতে, এইসময় বোধকরি তিনি যেন এক ধ্যেয়বস্তু নির্দিষ্ট, তীক্ষ্ণ মেধাসম্পন্ন ধ্যানমগ্ন ঋষিতে রূপান্তরিত হয়েছিলেন।

শুধু কি অসহায় বিধবাদের হিন্দু সমাজের নিষ্পেষণ থেকে মুক্ত করাই একমাত্র উদ্দেশ্য ছিল তাঁর? একই প্রশ্ন উঠেছিল আর এক পন্ডিতপ্রবর শ্রী ভূদেব মুখোপাধ্যায়ের অন্তরে। বিদ্যাসাগর মহোদয় উত্তরে বলেছিলেন আধুনিক জীব-বিজ্ঞানসম্পন্ন সমাজ সৃষ্টি করতে না পারলে হিন্দু রক্ষা পাবেনা। হিন্দু পরিবার ও সমাজ নিত্য ভাঙছে, সমগ্র পৃথিবীতে তার উপস্থিতি নেই বললেই চলে, কিন্তু খৃষ্টান ও মুসলমানের দাপটে জগৎ তটস্থ।

১৯০৯ সালে প্রকাশিত Col. UN Mukherjee - এর "Hindus - A Dying Race", ভারতবর্ষের 'Mein Kamph' রূপে পরিচিত ও হিন্দু জাতীয়তাবাদী সংগ্রামের প্রয়োজনীয়তার উন্মেষ/groundbreaker রূপেও প্রসিদ্ধ, গ্রন্থেও বিদ্যাসাগর মহোদয়ের চিন্তার প্রতিধ্বনি অনুভব করা যায়।

আর্য সনাতন হিন্দু ধর্মে ঈশ্বর এক অতীব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় কিন্তু একমাত্র বা of sole importance নয় কখনই। তার মধ্যে Spiritualism ও Materialism - এর সহাবস্থান প্রবাহিত হয়ে এসেছে শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে। প্রাচীন শুক্রাচার্যের দন্ডনীতি, কৌটিল্যের অর্থশাস্ত্র থেকে আধুনিক যুগের সতীশ চন্দ্র মুখোপাধ্যায়, বিনয় সরকার তার সাক্ষ্যই বহন করে।

পান্ডিত্য যদি ধর্ম, সমাজহিতে ব্যবহৃত না হয় তা নিষ্ফল হয়। প্রাচীন ধর্মশাস্ত্রের এই নির্দেশ অক্ষর অক্ষরে পালিত হয়েছে বিদ্যাসাগর মহোদয়ের জীবনচর্চায়। ধর্ম পালনের exaggeration তাঁর মধ্যে কোন কালেই ছিলনা কিন্তু ধর্মমতে তিনিই আদ্যন্ত স্থিতপ্রজ্ঞ, কর্তব্যেহস্মিন।

জয়তু জয়তু মহাপন্ডিত শ্রী ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর।

প্রণাম করি আজ তাঁকে তাঁর আবির্ভাব দিবসে।

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে এক কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর আগমনকে কেন্দ্র করে তথাকথিত প্রতিবাদ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে যে বীভৎসতার নজির সৃ...
20/09/2019

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে এক কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর আগমনকে কেন্দ্র করে তথাকথিত প্রতিবাদ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে যে বীভৎসতার নজির সৃষ্টি হল -

তারপরেও কি বলা যায় পশ্চিমবঙ্গে গণতন্ত্র বিরাজ করে?

এই নৈরাজ্যেও কোন সহৃদয় ব্যক্তি তাঁর মূলধন বিনিয়োগ করবেন? পশ্চিমবঙ্গের অর্থনৈতিক উন্নতি - হা হতোস্মি।

19/09/2019

এসেছে বাঙ্গালীর আপন ভাষা আন্দোলন পালনের ক্ষণ -

দাড়িভিটের মৃত্যুঞ্জয়ী রাজেশ - তাপস আমাদের রক্তে, মননে, ঐতিহ্যে -

তর্কপ্রিয় বাঙ্গালী কর্মপ্রিয় হোক; বাক-চঞ্চল বাঙ্গালী হোক কর্ম-চঞ্চল। সে ছিল এক সময় যখন বিশ্বকর্মা পূজাকে বাঙ্গালীর জাতীয়...
17/09/2019

তর্কপ্রিয় বাঙ্গালী কর্মপ্রিয় হোক; বাক-চঞ্চল বাঙ্গালী হোক কর্ম-চঞ্চল।

সে ছিল এক সময় যখন বিশ্বকর্মা পূজাকে বাঙ্গালীর জাতীয় উৎসব গণ্য করা হতো। ঘুড়ি খেলা ও মাইক বাজানোর প্রতিযোগিতায় কান পাতা দায় হতো। তখনও হাওড়ার শিল্পভূমি শ্মশান হয়ে যায়নি। হোসিয়ারি, পটারি ইন্ডাস্ট্রি ও প্রাইভেট এন্টারপ্রাইজের অস্তিত্ব ও তৎসহ দাপট অনুভব করা যেত বিস্তর। ১৯৫৬ - এর নেহেরু, কৃষ্ণমাচারীর সর্বনাশা মাশুল সমীকরণ নীতি বাঙ্গালী হিন্দুর বাকি সর্বনাশ সম্পাদন করার জন্য সংসদে পাশ হয়ে গেলেও জনজীবনে তার প্রভাব তখনো তেমন পড়েনি। তখনও পশ্চিমবঙ্গ ভারতবর্ষের সর্বাপেক্ষা শিল্পোন্নত রাজ্য, কলকাতা ভারতের আর্থিক রাজধানী - পূর্ব [পাকিস্তান থেকে আগত বাঙ্গালী হিন্দু উদ্বাস্তুর চাপ, কেন্দ্রের সম্পূর্ণ অসহযোগিতা, বিমাতৃসুলভ আচরণ; তার সাথে যোগ্য সঙ্গত দেওয়া বামপন্থার ধ্বংসাত্মক পুঁজি বিতড়নের আন্দোলন সঙ্কট সৃষ্টি কফিনের শেষ পেরেকটি পুঁতে দেয়।

৩৪ বছর একটি দীর্ঘ সময়। বামফ্রন্ট, বিশেষত সিপিআইএম, যদি চাইতো তো অবশ্যই পারতো রাজ্যের অর্থনৈতিক পুনরুত্থানের। কিন্তু চায়নি, আর চায়নি বলেই বিরোধী পক্ষে বসে মৌলিক সমস্যা সমাধানের কথা বললেও ক্ষমতায় আসীন হয়ে ন্যূনতম unfair labor practice বন্ধ করার চেষ্টা পর্যন্ত করেনি। অবস্থা? ভয়াবহ। বামফ্রন্টের অবসান করে সিংহাসনে আসীন হওয়া তৃণমূলও একই তিমিরে। সরকারী তহবিলকে পৈতৃক সম্পত্তি মনে করে মোচ্ছব হচ্ছে শুধু দেউলিয়া ঘোষিত হওয়ার অপেক্ষায়।

অবশ্য, এটিও ঠিক - বাম থেকে দক্ষিণ থেকে তথাকথিত রক্ষণশীল অতি দক্ষিণ -- কারো কাছেই পশ্চিমবঙ্গের economic rejuvenation-এর কোন modus operandi নেই। কোনদিন হবে বলেও মনে হয়না .অবশ্যই তার জন্য কিঞ্চিত মেধা ও তার চর্চার প্রয়োজন থাকে। কিন্তু সেটি না থাকলে বা গড়ে তোলার ইচ্ছাও না থাকলে কি করা যেতে পারে? যথাপূর্বম তথাপরমই একমাত্র ভবিতব্য।

নইলে ভৌগোলিকভাবে এত গুরুত্বপূর্ণ বলয়ের মধ্যে অবস্থান করে, দক্ষিণ পূর্ব এশিয়াকে করায়ত্ত করতে ভারতকে যার ওপর নির্ভর করতে হবে সেই পশ্চিমবঙ্গ তথা কলকাতায় পুঁজির বিনিয়োগ হয় বা হবে না এটি কার্যত অসম্ভব। So there is some greater hindrance to pump in millions of dollars in Bengal market. …..now, what can it be? Conglomeration of thugs cutting across political and religious divergences?

মহামতি কৌটিল্যের মতানুযায়ী, এই সৃষ্টিতে প্রত্যেক বস্তুরই এক নির্দিষ্ট মূল্য আছে। এবং সেই মূল্যই হল অর্থ। অর্থব্যবহারে শাস্ত্রের কোন নিষেধ নেই, তা বর্ণভেদের ঊর্ধে, ভেদাভেদ বিহীন। অতএব, সেই অর্থের জন্য এক নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা শক্তির বিরুদ্ধে দুই আপাত বিরোধী শক্তি একত্র্রে মিলিত হবে - এ দৃষ্টান্তও বড় প্রাচীন। ১৯৪৭ এ দেশভাগের ক্রান্তিকালে বিধ্বস্ত, মূলত পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, পূর্ব পাকিস্তান, ও ভারতের অন্যত্র ছড়িয়ে যাওয়া বাঙ্গালী হিন্দু শিকার হিসেবে বড়ই সহজলভ্য। '৪৭ পরবর্তী দশকগুলি তা প্রমাণ করেছে বারংবার।

দুরাবস্থা থেকে পরিত্রাণ পাওয়া কি আদৌ সম্ভব? শ্রী হরিশ চন্দ্র মুখোপাধ্যায় থেকে শ্রী চপলাকান্ত ভট্টাচার্য, শ্রী বিবেকানন্দ মুখোপাধ্যায় পর্যন্ত যে প্রখর, নির্মোহ রাষ্ট্রবাদী সাংবাদিকতার ধারা প্র্রবাহিত ছিল তার অস্তিত্ব থাকলেও নির্ভরতা থাকতো। কিন্তু বৰ্তমানে পশ্চিমবঙ্গে সাংবাদিকতার বেশ্যাবৃত্তি চলছে। …….you were asked to bend but you crawled….. অতএব, সে আশাও ছলনা মাত্র।

আপাতত, পরিত্রাণ সুদূর পরাহত,কিন্তু নবজীবন লাভের প্রারম্ভের ভাবনাও ভাবা যায় যদি হিন্দু জাতীয়তাবাদের বেঙ্গল স্কুল অফ থট, সেই একই ভাবনার গণমাধ্যমের নবোত্থান ঘটে।

১৯৩৭ সালে মুসলিম লীগে সরকারের চাপে, তাবৎ হিন্দু সমাজের প্রবল প্রতিবাদকে অগ্রাহ্য করে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতীক -- শ্র্রী পদ্মকে মুছে দেওয়া হয়। এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসলামিক ইতিহাস বিভাগটি চালু করা হয়; ধর্মনিরপেক্ষ পশ্চিমবঙ্গ তথা ভারতে সাফল্যের সাথে চলছেও। যদিও হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন ইতিহাস বিভাগ নামক কিছুই নেই। (বর্তমান হিন্দুত্ববাদী আন্দোলনের সাথে জড়িত কর্তাব্যক্তিদের এই সামান্য বিষয় সম্পর্কে না জানলেও হবে।)

প্রয়াত, প্রখ্যাত বিদ্বান, গবেষক ডঃ দীনেশচন্দ্র সিংহের মতে, সেই যে শ্রী বিদায় নিয়েছিল বাঙ্গালী হিন্দু সমাজ থেকে তা আর ফিরে আসেনি।

দেব বিশ্বকর্মা আশীর্বাদ করুন - শৈশবাবস্থা থেকে বাঙ্গালী হিন্দু জাতির যে হতশ্রী/শ্রীভ্রষ্ট পরিস্থিতি দেখে আসছি, মৃত্যুর পূর্বে যেন তার বিপরীত দেখতে পাই।

"বহুরূপে সম্মুখে তোমার, ছাড়ি কোথা খুঁজিছ ঈশ্বর? জীবে প্রেম করে যেই জন, সেই জন সেবিছে ঈশ্বর।"ঈশ্বর - এক অন্তহীন প্রশ্ন, ...
13/09/2019

"বহুরূপে সম্মুখে তোমার, ছাড়ি কোথা খুঁজিছ ঈশ্বর?
জীবে প্রেম করে যেই জন, সেই জন সেবিছে ঈশ্বর।"

ঈশ্বর - এক অন্তহীন প্রশ্ন, উপলব্ধিও। আদি থেকে অনাদি সর্বত্র তাঁর দ্বারা অভিভূত। তিনিই প্রত্যেক স্থানে, প্রত্যহ অথচ পঞ্চেন্দ্রিয়ে তিনি নেই। জ্ঞান ও কর্ম, প্রকৃত অর্থে কর্তব্যেহস্মিন, তাঁকে উপলব্ধির একমাত্র পথ। নান্য পন্থা বিদ্যতে অয়নায় - আর কোন পথ নেই।

সমগ্র মানবসভ্যতায় ভারতবর্ষই একমাত্র ভূমি যেখানে এই উপলব্ধির মাধ্যমেই নিতান্ত সাধারণ ব্যক্তিও দেবত্বে উত্তীর্ণ হন। প্রত্যেক কংকরে অচিন্তনীয় শংকরের উপস্থিতি।

বঙ্গভূমিতে ব্রিটিশ-বিরোধী সশস্ত্র বিপ্লবে ভক্তি ও শক্তি একীভূত হয়েছিল যার দ্বিতীয় দৃষ্টান্ত বোধকরি সমগ্র মধ্যযুগে পাওয়া যাবেনা। স্বামী বিবেকানন্দই তার কেন্দ্রবিন্দু, নিঃসন্দেহে। সহস্র সহস্র আত্মত্যাগীদের মধ্যে কিছু রয়ে যান অনন্য - শ্রী যতীন্দ্রনাথ দাস, আধুনিক যুগের দধীচি, তাঁদের অন্যতম।

যতীন্দ্রনাথের সংগ্রামী জীবনের প্রারম্ভ মাত্র ২১ বছর বয়সে প্রখ্যাত বিপ্লবী দল "অনুশীলন সমিতি" র কনিষ্ঠ সভ্য হিসেবে। যদিও মূলধারার রাজনীতির গণসংগ্রামেও তিনি অংশগ্রহণ করেন এবং গান্ধী-নেতৃত্বাধীন অসহযোগ আন্দোলনে অংশগ্রহণ করে কারাবরণও করেন। সংগ্রামের রক্তাক্ত, পিচ্ছিল পথে পরিচিত হন নতুন সাথীদের সাথে; ক্রমে নিযুক্ত হন বোমা তৈরির শিক্ষক বা বিশারদ হিসেবে "অনুশীলন সমিতি" র উত্তর ভারতীয় শাখা আর তার প্রতিষ্ঠাতা শ্রী শচীন্দ্রনাথ সান্যাল কর্তৃক। তাঁর সহযোগীদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন শ্রী ভগৎ সিং। যতীন্দ্রনাথ র সুকৌশলে তৈরী বোমা সমগ্র উত্তর ভারত জুড়ে এক প্রচন্ডতা সৃষ্টি করে যা দমন করতে তদানীন্তন ব্রিটিশ পুলিশ এক সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে। জুন ১৪, ১৯২৯ সালে তিনি গ্রেপ্তার হন Lahore Conspiracy Case র অন্তর্গত হিসেবে এবং স্থান পান কুখ্যাত লাহোর জেলে।

রাজনৈতিক বন্দীর মর্যাদাপ্রাপ্তি র জন্য যতীন্দ্রনাথ গড়ে তোলেন এক মরণপণ আন্দোলন। যদিও অনেকেই শেষ পর্যন্ত ক্ষান্ত দেন, তিনি অনড় রইলেন তাঁর সংকল্পে - তাঁর অমরণ অনশনের দুর্দমনীয় বেগ সমগ্র পৃথিবীকে করল স্তম্ভিত। অবশেষে তিনি পরলোকগমন করেন ৬৩ দিন বাদে মাত্র ২৪ বছর বয়সে। যতীন্দ্রনাথ র মরদেহ সুদূর লাহোর থেকে কলকাতা পর্যন্ত নিয়ে আসেন বিখ্যাত বিপ্লবী, দূর্গা ভাবী। যে স্টেশন দিয়েই কলকাতা-গামী ট্রেন যায়, সহস্র সহস্র লোক ছুটে আসেন এই মৃত্যুঞ্জয়ী বিপ্লবীকে একবার দেখতে। কলকাতায় তাঁর মরদেহ নিয়ে দু-মাইল বিস্তৃত মিছিল (হাওড়া স্টেশন থেকে কেওড়াতলা শ্মশান পর্যন্ত) র নেতৃত্ব দেন শ্রী সুভাষচন্দ্র বসু।

তাঁর বীরত্ব, আত্মনিবেদন স্বয়ং রবীন্দ্রনাথকে করে মোহাবিষ্ট। আপ্লুত বিশ্বকবি তাঁর সংগ্রামের মূর্ছনায় অভিভূত হয়ে রচনা করলেন,"সর্ব খর্বতারে দহে তব ক্রোধদাহ, হে ভৈরব, শক্তি দাও, ভক্তপানে চাহো। দূর করো মহারুদ্র, যাহা মুগ্ধ, যাহা ক্ষুদ্র...." যা তাঁর "তপতী" নাটকে অন্তর্ভুক্ত হয় কালক্রমে। কিন্তু যতীন দাসের এটিই শেষ নয়, সম্ভবও নয়। তিনি মৃত্যুহীন; যখনই মেরুদন্ডহীন জাতি তার নিজস্ব চেতনালুপ্ত হয়ে এক ক্লীবে পরিণত হবে আর সেই ক্লীবত্বকে চূর্ণ করার জন্য অপর এক সংগ্রামী চেতনাসম্পন্ন গোষ্ঠীর আবির্ভাব হবে, তখনই যতীন্দ্রনাথের পুনরায় প্রকাশ ঘটবে।

ইতিহাস সাক্ষী, জাতির জীবনে দুর্যোগের ঘনঘটা আসলেই এমন যুবাশক্তির আবির্ভাব হয় যাঁরা আপন পাঁজরে হোমানলে জ্বেলে জাতির পুনরায় উত্থানের ক্ষেত্র প্রস্তুত করেন। আজকের যতীন দাস তাহলে কোথায়? আছেন, নিকটেই আছেন, শুধু একটি নিঃস্বার্থ, শ্রেষ্ঠ, বলিষ্ঠ আহ্বানের অপেক্ষা মাত্র। শুধু একটি পার্থক্যই থাকবে - "আমরা মরবো, জগৎ জাগবে" মন্ত্রের পরিবর্তে নির্মম হয়ে প্রত্যাঘাতের মন্ত্রে অভিষিক্ত হতে হবে।

সহস্র সহস্র আভূমি প্রণাম নিবেদন করি শ্রী যতীন্দ্রনাথ দাসকে আজ তাঁর মৃত্যুদিনে।

বন্দেমাতরম।

১৯৩০-৪০ র দশকে এহেন ভয়ংকর ঘটনা সমগ্র অবিভক্ত বঙ্গে দাবানল সৃষ্টি করতো।অত্যাচারের ঘটনা, তার পূর্ণাঙ্গ বিবরণ, প্রতিবাদী আ...
11/09/2019

১৯৩০-৪০ র দশকে এহেন ভয়ংকর ঘটনা সমগ্র অবিভক্ত বঙ্গে দাবানল সৃষ্টি করতো।

অত্যাচারের ঘটনা, তার পূর্ণাঙ্গ বিবরণ, প্রতিবাদী আন্দোলন সংগঠিত করা, ন্যায় প্রতিষ্ঠার ঝড় উঠতো। নেতৃত্বে থাকতেন রাষ্ট্রবাদী সংবাদপত্রগুলি ও তাদের প্রথিতযশা সম্পাদকেরা।

আজ সবই অতীত কিন্তু উদ্ধার করতেই হবে সেই আগ্নেয় মনোবৃত্তি।

Nikhil Retweeted Govardhan Math अगर स्वतंत्र भारत में भी हिन्दुओं को मरवाना ही था तो स्वतंत्रता की आवश्यकता ही क्या थी ?...
10/09/2019

Nikhil Retweeted Govardhan Math
अगर स्वतंत्र भारत में भी हिन्दुओं को मरवाना ही था तो स्वतंत्रता की आवश्यकता ही क्या थी ?!

If Hindus had to be crushed even in independent India, why did we even struggle for freedom?!
—Puri Shankaracharya ji



Subtitles in 7 languages: https://youtu.be/_EzBWgelkDw

If Hindus had to be crushed even in independent India, why did we even struggle for freedom? === DONATE: UPI Code: govardhanmath@allbank Account Details: ALL...

ভয়ঙ্কর!!!!  সংবাদ - সত্য না মিথ্যা?
09/09/2019

ভয়ঙ্কর!!!! সংবাদ - সত্য না মিথ্যা?

আগামী রাজনৈতিক কর্মসূচি ইত্যাদির বদলে ছ্যাবলামিই কি বঙ্গ বিজেপির একমাত্র পথ?আপনারা কি বলেন?
09/09/2019

আগামী রাজনৈতিক কর্মসূচি ইত্যাদির বদলে ছ্যাবলামিই কি বঙ্গ বিজেপির একমাত্র পথ?

আপনারা কি বলেন?

03/09/2019

আসামের NRC বুঝিয়ে দিল কংগ্রেস এখনো বিজেপিকে ফাঁদে ফেলে ঘুঘু দেখিয়ে দিতে পারে।

আসলে - ভারতবর্ষের প্রশাসনই কংগ্রেসী ধারায় পুষ্ট।

প্রখর রাষ্ট্রবাদী সাংবাদিকতার এক নব নিদর্শন - ভারত বার্তা। (নিম্নোক্ত লেখাটি প্রকাশিত হয়েছিল আগস্ট ১৫, ২০১৯)......১৫ ই আ...
02/09/2019

প্রখর রাষ্ট্রবাদী সাংবাদিকতার এক নব নিদর্শন - ভারত বার্তা।

(নিম্নোক্ত লেখাটি প্রকাশিত হয়েছিল আগস্ট ১৫, ২০১৯)......

১৫ ই আগস্ট - ভারতের স্বাধীনতা দিবস। প্রত্যেকবারই তা সমগ্র দেশে পালিত হয় প্রভূত উৎসাহ, উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে। কিন্তু সর্বক্ষেত্রেই তার তাৎপর্য সমান হয়না। বাকী ভারতের বিভিন্ন ধর্ম-ভাষা সমন্বিত সম্প্রদায়/জাতির কাছে তা সাফল্যের দ্যোতক রূপে পরিচিত হলেও বাঙ্গালী হিন্দুর কাছে তা এক অব্যক্ত যন্ত্রণারও প্রতীক। যন্ত্রণা কেন? উত্তর অত্যন্ত সহজ ও সংক্ষিপ্ত - বাঙ্গালী হিন্দু এই মুহূর্ত পর্যন্ত ১৯৪৭র মর্মন্তুদ দেশভাগের যন্ত্রণা, তার প্রভাব থেকে মুক্ত হতে পারেনি। বরং ক্রমশ সে তলিয়ে যাচ্ছে পাকেচক্রে। বস্তুতপক্ষে, তার ক্ষেত্রে যা হওয়ার কথা ছিল না কোনোমতেই তাই ঘটেছে তার অদৃষ্টে। ১৯৩৪-৩৪ সালের অবিভক্ত ভারতের সবচেয়ে শক্তিশালী বাঙ্গালী হিন্দু জাতি আজ ২০১৯ এ এসে রিক্ত, রক্তাক্ত, অস্তিত্বসঙ্কটে আক্রান্ত, রণক্লান্তও বটে। নিঃসন্দেহে, দেশভাগ না হলে বাঙ্গালী হিন্দুর মৃত্যু হত সেইদিনই; আবার এটিও সত্য বর্ত্তমানে বাংলাদেশ, আসাম, পশ্চিমবঙ্গ ও অন্যত্রর বাঙ্গালী হিন্দুর ক্লেশের উৎস সেই দেশভাগই।

বাংলাদেশের অকথ্য হিন্দু নির্যাতন, আসামের বাঙ্গালী হিন্দুর অস্তিত্বের সঙ্কট যা ক্রমশ ছায়া ফেলছে পশ্চিমবঙ্গেও; বিহার, ছত্তিশগড় ও অন্যত্র যে দিশাহীনতার পঙ্কিল আবর্তে বাঙ্গালী হিন্দু পড়ে আছে তা হতোনা যদিনা সেইদিনের রক্তাক্ত কিন্তু যশ্বস্বী বাঙ্গালী হিন্দুর প্রতি উপহার দেওয়া হতো জমিদারি উচ্ছেদ বিল - ১৯৫১, মাশুল সমীকরণ নীতি - ১৯৫৬, ভারতের কংগ্রেস-নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকারের বিমাতৃসুলভ নীতি। একই সময়ে বিভক্ত পাঞ্জাবে জনসংখ্যা বিনিময় থেকে প্ল্যানিং কমিশনে অকল্পনীয় কেন্দ্রীয় বরাদ্দ; বঙ্গের ক্ষেত্রে জনসংখ্যা বিনিময়ের প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রী নেহরুর ভারতবোধে (?) আঘাত করছে শুনে সংসদে বিদ্রুপ করি ডঃ শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় বলেছিলেন, "বোধকরি, পাঞ্জাবের ক্ষেত্রে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তাঁর বোধকে নিজস্ব দেরাজে বন্দী করে রেখেছিলেন"; বঙ্গের ক্ষেত্রে বরাদ্দ পাঞ্জাবের ঠিক অর্ধেক, হয়তো বা আরও কম। এহেন্ ব্যবহারের কারণ!? বাঙ্গালীর মতো ভারতে স্বাধীনতা সংগ্রামে আত্মনিবেদন করল কে? রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এর উত্তর পাওয়া যেতে পারে গান্ধী ও বিশেষত, নেহেরুর আদ্যন্ত বাঙ্গালী বিদ্বষের মধ্যে। এরই ফল হয়তো নেতাজী সুভাষচন্দ্রের চিরস্থায়ী অন্তর্ধান, শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়, হেমনাদ সান্যাল ও সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের অতি সুক্ষ হত্যার পরিকল্পনা ও তার সম্পাদন। বিশেষত, ১৯৫৩ সালে শ্যামাপ্রসাদের অকাল প্রয়াণে ঘনিয়ে এলো বাঙ্গালীর পতন।

সঙ্কটের দিনে সাময়িক ত্রাতা হয়ে আবির্ভাব হল আন্তর্জাতিকতাবাদে উদ্বুদ্ধ বামপন্থী নেতৃবৃন্দের আর তাতেই বাকিরও যবনিকা পতন হল। পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে দিল্লিতে আসীন কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে প্রায় বিদ্রোহ ঘোষণা করে, যুব সমাজকে সশস্ত্র বিপ্লবের নেশায় বুঁদ করিয়ে কখন যে বিপ্লব থেকে যাত্রাপথ পরিবর্তিত হল অপেক্ষাকৃত সুবিধেজনক সংসদীয় গণতন্ত্রে তা মোহগ্রস্ত বাঙ্গালীর বোধগম্য হল না। ততদিনে পতন হয়ে গেছে সর্বক্ষেত্রেই। কুলবধূ পরিণত হয়েছেন গণিকায়, শৈশব শেষ হয়েছে মুষ্টিবদ্ধ আন্দোলনে, যৌবন শেষ হয়েছে পাইপগানে, মান-সম্মান হয়েছে লুন্ঠিত, কল-কারখানা-শিল্পে অধোগতি থেকে বিশৃঙ্খলা হয়ে মৃত্যু। অবশেষে, ১৯৭৭ সালের মধ্যে ভূমিসংস্কারের দ্বারা জমিও হল বেহাত।

এবং এরই মধ্যে করাচী শহরে, ১৯৪৯ সালে পাকিস্তানের আইনসভায় বক্তব্য পাশের সময়ে শ্রী শ্রীশচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় দ্বারা পরিবেশিত - পূর্ব পাকিস্তানের ২৯% হিন্দু জনসংখ্য্য ক্রমশ ৭.৮% এ এসে থেমেছে। দৈনন্দিন অকথ্য অত্যাচার থেকে গণহত্যা - দুয়েরই হিসেবে পাওয়া যায়না। কারণ - তা মেলানো যায়না। একই সময়ে আসামের রক্তাক্ত ভাষা আন্দোলন, কার্যত দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিকে পরিণত হওয়া এবং তার সাথেই প্রতিনিয়ত রাজ্য তথা দেশ থেকে বের করে দেওয়ার রক্তচক্ষু, অন্যত্র ক্রমবর্ধমান বঞ্চনা - সবই এক অতি ক্রুর সত্য।

প্রশ্ন - এক্ষণে কি কর্তব্য? অস্তিত্বজনিত সঙ্কটে আচ্ছন্ন হয়ে মৃত্যুর জন্য অপেক্ষা করা না শেষ প্রচেষ্টা করে দেখা? পরাজয়ের শেষ সীমায় পৌঁছেও মরণপণ সংগ্রামের মাধ্যমে পুনর্জাগরিত হওয়া জাতির সংখ্যাও কম নয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরবর্তী দশকে জার্মান, জাপান অথবা ১৯৯১ র সোভিয়েত ইউনিয়নের বিলয়ের পর রুশ জাতির পুনরুত্থানও প্রত্যক্ষ আছে।

কিন্তু এও ঠিক - ওজস্বী, প্রখর বাগ্মী, দূরদৃষ্টিসম্পন্ন, স্বদেশপ্রাণ রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ - যার এক অবিরাম ধারা বিয়ে গিয়েছিল সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় পর্যন্ত - তার অপমৃত্যু ঘটেছে বঙ্গে। অপরপক্ষে, প্রখর রাষ্ট্রবাদী সংবাদমাধ্যম - হরিশ্চন্দ্র মুখোপাধ্যায়ের কাল থেকে ব্রহ্মবান্ধব উপাধ্যায়, রামানন্দ চট্টোপাধ্যায়, হেমেন্দ্রপ্রসাদ ঘোষ, মৃণালকান্তি বসু, চপলাকান্ত ভট্টাচার্য, বিবেকানন্দ মুখোপাধ্যায় পর্যন্ত - তারও মৃত্যু ঘটেছে। সংবাদ এখন চাটুকারিতায় পরিণত হয়েছে, সত্য ধর্ষিতায় ও সাংবাদিকতা বেশ্যাবৃত্তিতে। তাই বাঙ্গালী হিন্দুর নিজস্ব বক্তব্য, আকুতি, বিচারের প্রার্থনা কোথাও খুঁজে পাওয়া যায়না।

কিন্তু উত্তর, প্রতিকার চাই। এরকম করে মৃত্যুবরণ করা প্রত্যেক অর্থেই অসম্ভব। বাঙ্গালী হিন্দুকে তাঁর পান ধর্ম-ভাষা-অর্থনৈতিক স্বাতন্ত্র, অধিকারবোধ এবং প্রয়োজনে তা ছিনিয়ে নেওয়ার স্পর্ধা নিয়ে উঠে দাঁড়াতে হবে। সাম্প্রদায়িকতা/communalism র অভিযোগ করবেন? তার সাথে ethnocentrism র কথাও জুড়ে দিন। আমার সর্বনাশে যাঁকে দেখা যায়নি মিত্ররূপে তাঁর অবান্তর কথা শুনতে আমি প্রস্তুত নই।

বাংলা ও ইংরেজী - দ্বিভাষিক "ভারত বার্তা" র আবির্ভাব হচ্ছে সেই লগ্নে যখন ক্রমশ বাঙ্গালী হিন্দুর মধ্যে এই চিন্তা বদ্ধমূল হচ্ছে আর্য ভারতবর্ষের রাষ্ট্রীয় বিচারধারায় উদ্বুদ্ধ হয়েই তাঁকে আগামীর পথ চলতে হবে, শক্তিশালী করতে হবে অনাগত ভবিষ্যতকে। প্রথম লগ্ন থেকেই এই সংবাদপত্রের বক্তব্য ও লক্ষ্য নির্দিষ্ট - তা হল, বাঙ্গালী হিন্দুর উত্থান, হিন্দুত্ব ও রাষ্ট্রবাদের সম্পূর্ণ বিকাশ যা ত্বরান্বিত করবে সামাজিক উন্নতিকে। ধর্ম, ভাষা ও অর্থনীতির ত্রিভুজের সমাহারে সুজলা-সুফলা-শস্যশ্যামলা হোক মাতৃভূমি, সমগ্র ভারত।

প্রকাশিত হবে শীঘ্রই।

হতোবা প্রাপ্স্যসি স্বর্গং, জিত্বা বা ভোক্ষ্যমে মহীম।
তস্মাদুত্তিষ্ঠ কৌন্তেয় যুদ্ধায় কৃতনিশ্চয়ঃ।

Address

PA

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Bharat Barta posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Bharat Barta:

Shortcuts

  • Address
  • Telephone
  • Alerts
  • Contact The Business
  • Want your business to be the top-listed Media Company?

Share