Mufti Bilal Ahmad Chowdhury

Mufti Bilal Ahmad Chowdhury Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from Mufti Bilal Ahmad Chowdhury, Video Creator, Ravenna, OH.

08/21/2023
আলহামদুলিল্লাহ নিজের হাতে বানানো কেমন হয়েছে।
12/15/2022

আলহামদুলিল্লাহ নিজের হাতে বানানো কেমন হয়েছে।

আলহামদুলিল্লাহ আমরা চার বন্ধু একসাথে ছিলাম আছি থাকবো ইনশাআল্লাহ।
10/24/2022

আলহামদুলিল্লাহ আমরা চার বন্ধু একসাথে ছিলাম আছি থাকবো ইনশাআল্লাহ।

শিক্ষকশিক্ষক মানেশেখা নতুন কিছু,শিক্ষক মানেছাত্রের পিছু পিছু।শিক্ষক মানেআদর সোহাগশিক্ষক মানেবেত্রা ঘাত।শিক্ষক মানেআদব-কা...
10/05/2022

শিক্ষক
শিক্ষক মানে
শেখা নতুন কিছু,
শিক্ষক মানে
ছাত্রের পিছু পিছু।

শিক্ষক মানে
আদর সোহাগ
শিক্ষক মানে
বেত্রা ঘাত।

শিক্ষক মানে
আদব-কায়দা
শিক্ষক মানে
নিয়ম সর্বদা।

শিক্ষক মানে
মানার যোগ্যতা,
শিক্ষক মানে
মনের উদারতা।

শিক্ষক মানে
ভয়ের কিছু
শিক্ষক মানে
হয় না নিচু।

শিক্ষক তুমি সত্যি মহান
বিজয় করিলা সারা জাহান
তোমারি নিজস্ব গুনেতে।

শিক্ষক তুমি আদর্শের প্রতীক
হয় না তোমার তুলনা।
তার প্রতিদান দিবেন স্বয়ং প্রভু রাব্বানা।

শিক্ষক তোমার আলোয় আলোকিত অন্ধকার হৃদয়
ফুটন্ত ফুলের সুবাস হারাবে না তার নির্যাস।
শিক্ষক তোমার স্মৃতি

মোর জীবনে হবে না ইতি।

মুফতি বিলাল আহমদ চৌধুরী
ইতালি প্রবাসী

উপকার করলে শরীরের চামড়া থাকেনা, এর জ্বলন্ত প্রমাণ অর্জুন গাছ।
08/17/2022

উপকার করলে শরীরের চামড়া থাকেনা, এর জ্বলন্ত প্রমাণ অর্জুন গাছ।

08/02/2022
01/08/2021

আসসালামু আলাইকুম
সবার কাছে দোয়ার দরখাস্ত।
আমার ফেইসবুক ইউজের জীবনে কারো কাছে কোন কিছু চাইনি, আজকে বাধ্য হয়ে আপনাদের কাছে শ্রদ্ধা ও বিনয়ের সাথে বলছি, আজ 3 ঘটিকায় আমার আম্মার চোখের অপারেশন। সবার কাছে আকুল আবেদন আমার আম্মার জন্য জুমার নামাজে দোয়ায় শরীক করিবেন। আল্লাহ তা'আলা তার বান্ধিকে অপারেশন সহজ করে ও সুস্থতার সহিত দীর্ঘায়ূ দান করেন।

10/21/2020

সন্তানের প্রতি মাতা পিতার কর্তব্য ও করণীয়।

সমুদয় প্রশংসা, বন্দনা ও স্তুতির মালিক মহাপরাক্রমশালী সর্বশক্তিমান আল্লাহ, যিনি সৃষ্টিজগতকে অস্তিত্বদানে অনুগৃহীত করেছেন। অভিনব পদ্ধতিতে ক্ষুদ্র থেকে মহাবিশ্ব সৃজনে যাঁর কোনো সাহায্যের প্রয়োজন হয় না। এক সৃষ্টি থেকে অসংখ্য সৃষ্টির মেলা সাজাতে যাঁর বিশ্ময়কর নৈপুণ্য। সৃষ্টিজগতের এ মজলিস সাজানোর অন্যতম ধারা মানবজন্ম। জন্মের পর ধীরেধীরে বর্ধনশীল।
মানবজাতির এ ক্রমবর্ধমান ধারার এক গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো সন্তানসন্ততি। এর মাধ্যমে আল্লাহ তা‘আলা মানব জীবনকে ভারসাম্যপূর্ণ এবং আকর্ষণীয় করেছেন। যাদেরকে আল্লাহ রাববুল আলামীন সন্তান দান করেছেন তাদের উপর এক মহান দায়িত্ব অর্পিত হয়েছে।

মা-বাবাই সন্তানের সবচেয়ে আপন। সুসন্তান পার্থিক জীবনে সুখ-শান্তির এবং পরকালে মুক্তির অন্যতম মাধ্যম। রসুলে আরবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফরমান, মানুষ যখন মৃত্যুবরণ করে তখন থেকে তার সব আমল বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু তিনটি আমল অবশিষ্ট থাকে। (এসবের সওয়াব সে মৃত্যুর পরেও প্রাপ্ত হবে।) ১. সদকায়ে জারিয়ার সাওয়াব, ২. মানবের উপকৃত জ্ঞানের পুণ্য এবং ৩. নেক সন্তানের দোয়া (মুসলিম, মিশকাত পৃষ্ঠা ৩২)।
আল্লাহ আলুসি (রহ.) বলেছেন, ধনসম্পদ প্রাণরক্ষার মাধ্যম, আর সন্তান বংশরক্ষার মাধ্যম। সন্তান আল্লাহ তাআলার বিশেষ নেয়ামত। বৃদ্ধকালে সন্তানই হয় মা-বাবার আল্লাহ ছাড়া একমাত্র ভরসা। সন্তানের প্রতি মা-বাবার কী করণীয় তার কতিপয় নিচে তুলে ধরা হলো :
** জন্মের পূর্বে :
মায়ের জন্য একজন সৎ ও চরিত্রবান বাবা, আর বাবা হলে একজন নেক্কার মা নির্বাচন করা। উভয়ের পারস্পরিক সৌহার্দ-সম্প্রীতির মিলবিন্যাসে থাকবে ধর্মীয় আচার-ব্যবহারের পূর্ণ প্রয়োগ। স্বামী হিসেবে স্ত্রীর অধিকার এবং স্ত্রী হিসবে স্বামীর অধিকারগুলো গুরুত্বের সাথে আদায় করা একান্ত কর্তব্য। এর মধ্যদিয়ে মহান আল্লাহ দয়া-অনুকম্পায় সন্তান দান করলে, যথাযথ মর্যাদায় বরণ করে তার জন্য নির্ণয় করতে হবে ভবিষ্যৎ পন্থা।

** জন্মের পর :
আযান দেয়া: সন্তান দুনিয়াতে আসার পর গোসল দিয়ে পরিষ্কার করে তার ডান কানে আযান দেয়া, তা ছেলে হোক বা মেয়ে হোক। এটি মা-বাবার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব। শিশুর কানে সর্বপ্রথম আল্লাহর শ্রেষ্ঠত্বের আওয়াজ পৌঁছে দেয়া এবং ওত পেতে থাকা শয়তান যাতে তার কোন ক্ষতি না করতে পারে। হাদিসে এসেছে, সাইয়িদুনা হযরত আবূ রাফে রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত-তিনি বলেন, “আমি রসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে হাসান ইবনে আলীর কানে আযান দিতে দেখেছি।” [সুনান আবূ দাউদ:৫১০৫]

**সুন্দর নাম নির্ণয়:
নামের মাধ্যমে মানুষের ব্যক্তিত্বের প্রকাশ ঘটে। দুনিয়ার এ নামেই পরকালে তাকে ডাকা হবে। এ নামের প্রভাব পড়ে বংশের মধ্যে। ফলে মাতা-পিতার কর্তব্য হলো তার সন্তানের একটি অর্থবহ নাম রাখা। মহানবী (সা.) অর্থবহ নয় এমন অনেক নাম পরিবর্তন করেছেন। [সহিহ বুখারি, মিশকাত পৃষ্ঠা-৪০৯।]

***আক্বিকা করা:
ইসলামি সংস্কৃতির অন্যতম বিষয় হলো সন্তানের আকীকা করা। ছেলের পক্ষ থেকে ২টি ছাগল এবং মেয়ের পক্ষ থেকে ১টি ছাগল আল্লাহর নামে যবেহ করা।

হাদীসে এসেছে, সাইয়িদুনা হযরত সামুরা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “সকল নবজাতক তার আক্বিকার সাথে আবদ্ধ। জন্মের সপ্তম দিন তার পক্ষ থেকে জবেহ করা হবে। ঐ দিন তার নাম রাখা হবে। আর তার মাথার চুল কামানো হবে।” [সুনান আবূ দাউদ: ২৮৩৮]
**সদকাহ করা:
সন্তান ছেলে হোক বা মেয়ে হোক সপ্তম দিবসে চুল কাটা এবং চুল পরিমাণ রৌপ্য সদকাহ করা সুন্নাত। সাইয়িদুনা হযরত আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, “রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাসান রাদিয়াল্লাহু আনহুর পক্ষ থেকে ১টি বকরী আকীকা দিয়েছেন এবং বলেছেন, হে ফাতেমা ! তার মাথা মু-ন কর এবং চুল পরিমাণ রৌপ্য সদকাহ কর।” [সুনান আত-তিরমিযী, হদিস নং-১৫১৯] এছাড়া রসুলে আকরম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম “শিশুদেরকে খেজুর দিয়ে তাহনীক এবং বরকতের জন্য দো‘আ করতেন।” [সহিহ বুখারি, হদিস নং-৩৯০৯ ; মুসলিম, হদিস নং-২১৪৬]

**খাতনা করা:
ছেলেদের খাতনা করানো একটি অন্যতম সুন্নাত। হাদীসে এসেছে, জাবির রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাসান এবং হুসাইন রাদিয়াল্লাহু আনহুমার সপ্তম দিবসে আকীকা এবং খাতনা করিয়েছেন।” [আল-মু‘জামুল আওসাত, হদিস নং-৬৭০৮]
***কুরআন শিক্ষা দান:
ছোট বেলা থেকেই সন্তানকে কুরআন শিক্ষা দিতে হবে। কুরআন শিক্ষা দেয়ার চেয়ে উত্তম কাজ আর নেই। সাইয়িদুনা হযরত উসমান রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ, “তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম ব্যক্তি সেই যে নিজে কুরআন শিক্ষা করে ও অপরকে শিক্ষা দেয়।’’ [সহিহ বুখারি, হদিস নং-৫০২৭]

হযরত আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, “তোমরা তোমাদের সন্তানদের তিনটি বিষয় শিক্ষা দাও। তন্মধ্যে রয়েছে তাদেরকে কুরআন তিলাওয়াত শিক্ষা ও কুরআনের জ্ঞান দাও।” [জামিউল কাবীর]
শিষ্টাচার শিক্ষা দেয়া: সন্তানদের আচরণ শিক্ষা দেয়া পিতামাতার উপর দায়িত্ব ও কর্তব্যের অন্তর্ভূক্ত। লুকমান আলাইহিস সালাম তার সন্তানকে বললেন, ‘আর তুমি মানুষের দিক থেকে তোমার মুখ ফিরিয়ে নিয়ো না। আর ভূ-পৃষ্ঠে দম্ভভরে চলাফেরা করো না; নিশ্চয় আল্লাহ কোন দাম্ভিক, অহংকারীকে পছন্দ করেন না। আর তোমার চলার ক্ষেত্রে মধ্যমপন্থা অবলম্বন কর, তোমার আওয়াজ নীচু কর; নিশ্চয় সবচাইতে নিকৃষ্ট আওয়াজ হল গাধার আওয়াজ।” [সূরা লুকমান, ১৮-১৯।]

***ইবাদতের প্রশিক্ষণ:
মাতা-পিতার অন্যতম দায়িত্ব হলো সন্তানকে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নামাজ, রোজা, কোরআন তিলাওয়াত, জিকির-আজকার, তাসবিহ-তাহলিল ইত্যাদি ইবাদতে অভ্যস্ত করা। তাছাড়া পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা, অপরকে সালাম দেওয়া এবং সুন্নত তরিকা মোতাবেক চলার প্রশিক্ষণ দেওয়া।
প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, “যখন তোমাদের সন্তানের বয়স সাত বছর হয়, তখন নামাজ পড়ার তাগিদ দাও এবং যখন দশ বছর বয়সে উপনীত হয় তখন নামাজ পড়ার জন্য মৃদু প্রহার কর এবং তাদের বিছানায় ভিন্নতা আনো।” [আবু দাউদ, মিশকাত পৃ. ৫৮।]
মমতা ও স্নেহ-ভালবাসার চর্চা: সন্তানদেরকে স্নেহ করা এবং তাদেরকে আন্তরিকভাবে ভালবাসতে হবে। সাইয়িদুনা হযরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাসান ইবনে আলী রাদিয়াল্লাহু আনহুকে চুম্বন দিলেন এবং আদর করলেন। সে সময় আকরা ইবনে হাবিস রাদিয়াল্লাহু আনহুও উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলতে লাগলেন, আমারতো দশটি সন্তান কিন্তু আমিতো কখনো আমার সন্তানদেরকে আদর স্নেহ করিনি। রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার দিকে তাকালেন এবং বললেন, যে অন্যের প্রতি রহম করে না আল্লাহও তার প্রতি রহম করেন না।” [সহিহ বুখারি, হাদিস নং-৫৯৯৭]

**সক্ষম করে তোলা:
সন্তানদেরকে প্রাপ্ত বয়স্ক পর্যন্ত লালন-পালন করতে হবে এবং তাদের জন্য প্রয়োজনীয় খরচ করতে হবে। উম্মে সালামাহ রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে আমি জিজ্ঞাসা করলাম আবূ সালামার সন্তানদের জন্য আমি যদি খরচ করি এতে কি আমার জন্য প্রতিদান রয়েছে? নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, হ্যাঁ যতদিন তুমি খরচ করবে ততদিন তোমার জন্য প্রতিদান থাকবে। [সহিহ বুখারি, হাদিস নং-৫৩৬৯।] তাদেরকে এমনভাবে সক্ষম করে গড়ে তোলা, তারা যেন উপার্জন করার মত যোগ্যতা অর্জন করতে পারে।
সা‘দ ইবনে আবি ওয়াক্কাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাকে এভাবে বলেছেন- “তোমাদের সন্তান সন্ততিদেরকে সক্ষম ও সাবলম্বি রেখে যাওয়া, তাদেরকে অভাবী ও মানুষের কাছে হাত পাতা অবস্থায় রেখে যাওয়ার চেয়ে উত্তম।” [সহিহ বুখারি, হাদিস নং-১২৯৫।]
মা-বাবাকে নিজেদের আচার ব্যবহার, চাল-চলন, কথা-বার্তা ইত্যাদির প্রতি সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। কারণ, শিশুর জন্য মাতৃক্রোড় পাঠশালাতুল্য। সে মাতা-পিতার অনেক কিছু অনুকরণ ও অনুসরণ করে। সন্তানের সঙ্গে রাগ করা, চেঁচামেচি করা, গালমন্দ করা ইত্যাদি বৈধ নয়। আল্লাহর প্রিয় হাবিব সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বালক সাহাবি হযরত আবদুল্লাহ (রা.)’র সাথে খানা খাওয়ার সময় শিক্ষা দিয়েছেন, হে বালক! বিসমিল্লাহ পড়ো, কাছের থেকে খাও এবং ডান হাতে খাও।
**সন্তানের জন্য দোয়া:
মা-বাবা সন্তানকে আদব-কায়দা ও সুশিক্ষা দিলেই যথেষ্ট হবে না, তাদের জন্য মহান প্রভুর দরবারে দোয়াও করতে হবে। অনুরূপ সন্তান লাভের জন্য দোয়া করতে হবে। জাকারিয়া আলাইহিস সালাম এভাবে দোয়া করেছেন, ‘হে আমার প্রতিপালক! আপনার পক্ষ থেকে আমাকে সৎ বংশধর দান করুন, অবশ্যই আপনি দোয়া শ্রবণকারী।’ [সুরা আলে ইমরান, আয়াত-৩৮।]
বিয়ের ব্যবস্থা করা: সন্তানসন্ততির মা-বাবার আরেকটি করণীয় হলো- তাদের উপযুক্ত সময়ে সুন্নাহ পদ্ধতিতে বিয়ের ব্যবস্থা করা। নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তিনটি কাজ দ্রুত করতে বলেছেন ১. ওয়াক্ত হলে নামাজ পড়া, ২. ছেলে-মেয়ে প্রাপ্তবয়স্ক হলে বিয়ের ব্যবস্থা করা, ৩. জানাজা উপস্থিত হলে জানাজা পড়া। [তিরমিজি ও মিশকাত]
আমাদের ইহজগত অত্যন্ত ক্ষীণ। কেউ স্থায়ী নই। তাই, আমাদের অবর্তমানে মহান আল্লাহর সাজানো অপরূপ এ বসুধার সৌন্দর্য ধরে রেখে আমাদের যথাযথ প্রতিনিধিত্ব এবং পরপারে আমাদের চিরশান্তির বুনিয়াদ গড়তে সন্তানসন্ততির প্রতি বিশেষ খেয়াল রাখা প্রয়োজন।

মুফতি বিলাল আহমদ চৌধুরী
সভাপতি
হানাফী ফিকহী পরিষদ হবিগঞ্জ।

10/19/2020

কোরআন হাদিসের আলোকে পিতা-মাতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব ও কর্তব্য

পিতা-মাতার প্রতি সদাচরণ যে কারণে করবে।

পিতা-মাতার শরীয়াত বিরোধী আদেশ ব্যতীত সবকিছু মানতে হবে।
পিতা-মাতার শরীয়াত বিরোধী আদেশ ব্যতীত সবকিছু মানতে হবে।

পিতা-মাতার প্রতিই সন্তানের দায়িত্ব ও কর্তব্য সর্বাধিক। যে পিতা-মাতার কারণে একজন সন্তান পৃথিবীতে ভুমিষ্ঠ হয়। রাব্বুল আলামিন আল্লাহ তায়ালা পিতা-মাতার মর্যাদা অনেক উপরে দিয়েছেন।
পবিত্র কোরআনুল কারিমে আল্লাহ তায়ালা তাঁর নিজের অধিকারের পরই পিতা-মাতার অধিকারের কথা উল্লেখ করেছেন। কোরআনে বর্ণিত হয়েছে,

وَقَضَى رَبُّكَ أَلاَّ تَعْبُدُواْ إِلاَّ إِيَّاهُ وَبِالْوَالِدَيْنِ إِحْسَانًا إِمَّا يَبْلُغَنَّ عِندَكَ الْكِبَرَ أَحَدُهُمَا أَوْ كِلاَهُمَا فَلاَ تَقُل لَّهُمَآ أُفٍّ وَلاَ تَنْهَرْهُمَا وَقُل لَّهُمَا قَوْلاً كَرِيمًا
وَاخْفِضْ لَهُمَا جَنَاحَ الذُّلِّ مِنَ الرَّحْمَةِ وَقُل رَّبِّ ارْحَمْهُمَا كَمَا رَبَّيَانِي صَغِيرًا
رَّبُّكُمْ أَعْلَمُ بِمَا فِي نُفُوسِكُمْ إِن تَكُونُواْ صَالِحِينَ فَإِنَّهُ كَانَ لِلأَوَّابِينَ غَفُورًا
‘আর তোমার প্রতিপালক আদেশ করেছেন যে, তোমরা তাঁকে ছাড়া অন্য কারু উপাসনা করো না এবং তোমরা পিতা-মাতার প্রতি সদাচরণ করো। তাদের মধ্যে কেউ অথবা উভয়ে যদি তোমার নিকট বার্ধক্যে উপনীত হন, তাহলে তুমি তাদের প্রতি উহ্ শব্দটিও উচ্চারণ করো না এবং তাদেরকে ধমক দিয়ো না। তুমি তাদের সঙ্গে নম্রভাবে কথা বলো’। ‘আর তাদের প্রতি মমতাবশে নম্রতার পক্ষপুট অবনমিত কর এবং বলো, হে আমার প্রতিপালক! তুমি তাদের প্রতি দয়া কর যেমন তারা আমাকে শৈশবে দয়াপরবশে লালন-পালন করেছিলেন’। ‘তোমাদের প্রতিপালক তোমাদের অন্তরে যা আছে তা ভালভাবেই জানেন। যদি তোমরা সৎকর্ম পরায়ণ হও, তবে তিনি তওবাকারীদের জন্য ক্ষমাশীল’ (সূরা: বনী ইসরাঈল, আয়াত: ২৩-২৫)।

উপরোক্ত আয়াতে আল্লাহ স্বীয় ইবাদতের সঙ্গে পিতা-মাতার সেবাকে একত্রিতভাবে বর্ণনা করেছেন। এর মাধ্যমে এটিকে তাওহীদ বিশ্বাসের ন্যায় গুরুত্বপূর্ণ বুঝানো হয়েছে। এর কারণ সৃষ্টিকর্তা হিসেবে যেমন আল্লাহর কোনো শরীক নেই, জন্মদাতা হিসেবে তেমনি পিতা-মাতারও কোনো শরীক নেই। আল্লাহর ইবাদত যেমন বান্দার ওপর অপরিহার্য, পিতা-মাতার সেবাও তেমনি সন্তানের ওপর অপরিহার্য। যেমন অন্যত্র বলা হয়েছে, أَنِ اشْكُرْ لِي وَلِوَالِدَيْكَ إِلَيَّ الْمَصِيرُ ‘অতএব তুমি আমার প্রতি ও তোমার পিতা-মাতার প্রতি কৃতজ্ঞ হও। (মনে রেখ, তোমার) প্রত্যাবর্তন আমার কাছেই’ (সূরা: লোকমান, আয়াত: ৩১/১৪)। এখানেও আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা এবং পিতা-মাতার প্রতি কৃতজ্ঞতাকে সমভাবে বর্ণনা করা হয়েছে।

উপরোক্ত আয়াতে وَقَضَى رَبُّكَ ‘আর তোমার প্রতিপালক আদেশ করেছেন’। এই আদেশ অর্থ ‘চূড়ান্ত ফায়সালা’। কেননা আল্লাহর ইবাদতের ফায়সালা যেমন চূড়ান্ত, পিতা-মাতার সেবা করার ফায়সালাও তেমনি চূড়ান্ত। এই সিদ্ধান্তে কোনো পরিবর্তন বা নড়চড় নেই। যেমন অন্যত্র এসেছে,قُضِيَ الْأَمْرُ الَّذِي فِيهِ تَسْتَفْتِيَانِ ‘তোমরা যে বিষয়ে জানতে আগ্রহী, তার সিদ্ধান্ত হয়ে গেছে’ (সূরা: ইউসুফ ১২/৪১)।

যাকারিয়া বিন সালাম বলেন, জনৈক ব্যক্তি হাসান বাসরী (রহ.) এর নিকট এসে বলল, আমি আমার স্ত্রীকে তিন তালাক দিয়েছি। জবাবে তিনি বললেন, তুমি তোমার প্রতিপালকের অবাধ্যতা করেছ। লোকটি বলল, আমার ওপর এটিই আল্লাহ আদেশ করেছেন। তখন হাসান বাসরী (রহ.) বললেন, আল্লাহ তোমার ওপর এটি আদেশ করেননি। বলেই তিনি অত্র আয়াতের প্রথমাংশটি পাঠ করলেন’ (কুরতুবী)। কারণ إِنَّ اللهَ لاَ يَأْمُرُ بِالْفَحْشَاءِ ‘আল্লাহ কখনো ফাহেশা কাজের আদেশ করেন না’ (সূরা: আরাফ ৭/২৮)। অনুরূপভাবে وَلاَ يَرْضَى لِعِبَادِهِ الْكُفْرَ ‘তিনি বান্দার কুফরীর ওপরে সন্তুষ্ট হন না’ (সূরা: যুমার ৩৯/৭)। অতএব, অত্র আয়াতে ‘আদেশ করেছেন’ অর্থ ‘ফায়সালা করেছেন’।

(১) পিতা-মাতার শরীয়াত বিরোধী আদেশ ব্যতীত সবকিছু মানতে হবে:

আল্লাহ তায়ালা বলেন, وَإِنْ جَاهَدَاكَ عَلَى أَنْ تُشْرِكَ بِي مَا لَيْسَ لَكَ بِهِ عِلْمٌ فَلَا تُطِعْهُمَا وَصَاحِبْهُمَا فِي الدُّنْيَا مَعْرُوفًا ‘আর যদি পিতা-মাতা তোমাকে চাপ দেয় আমার সঙ্গে কাউকে শরীক করার জন্য, যে বিষয়ে তোমার কোনো জ্ঞান নেই, তাহলে তুমি তাদের কথা মানবে না। তবে পার্থিব জীবনে তাদের সঙ্গে সদ্ভাব রেখে চলবে’ (সূরা: লোকমান ৩১/১৫)। এখানে শিরক বলতে আল্লাহর সত্তার সঙ্গে অন্য কিছুকে শরীক করা। একইভাবে আল্লাহর বিধানের সঙ্গে অন্যের বিধানকে শরীক করা বুঝায়। ধর্মের নামে ও রাষ্ট্রের নামে মানুষের মনগড়া সব বিধান এর মধ্যে শামিল। অতএব, পিতা-মাতা যদি সন্তানকে পবিত্র কোরআন ও সহিহ হাদিসের বাইরে অন্য কিছু করতে চাপ দেন, তবে সেটি মানতে সন্তান বাধ্য নয়। কিন্তু অন্য সব বিষয়ে সদাচরণ করবে।

মুছ‘আব বিন সা‘দ তার পিতা সা‘দ বিন খাওলা হ’তে বর্ণনা করেন যে, আমার মা একদিন আমাকে কসম দিয়ে বলেন, আল্লাহ কি আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করতে এবং পিতা-মাতার সঙ্গে সদ্ব্যবহার করতে নির্দেশ দেননি?فَوَاللهِ لاَ أَطْعَمُ طَعَاماً وَلاَ أَشْرَبُ شَرَاباً حَتَّى أَمُوتَ أَوْ تَكْفُرَ بِمُحَمَّدٍ ‘অতএব, আল্লাহর কসম! আমি কিছুই খাবো না ও পান করবো না, যতক্ষণ না মৃত্যুবরণ করব অথবা তুমি মুহাম্মাদের সঙ্গে কুফরী করবে’ (আহমাদ হা/১৬১৪)। ফলে যখন তারা তাকে খাওয়াতেন, তখন গালের মধ্যে লাঠি ভরে ফাঁক করে তরল খাদ্য দিতেন। এভাবে তিন দিন পর যখন মায়ের মৃত্যুর উপক্রম হলো, তখন সূরা আনকাবূত ৮ আয়াত নাজিল হলো, وَوَصَّيْنَا الْإِنْسَانَ بِوَالِدَيْهِ حُسْنًا وَإِنْ جَاهَدَاكَ لِتُشْرِكَ بِي مَا لَيْسَ لَكَ بِهِ عِلْمٌ فَلاَ تُطِعْهُمَا إِلَيَّ مَرْجِعُكُمْ فَأُنَبِّئُكُمْ بِمَا كُنْتُمْ تَعْمَلُونَ- ‘আর আমরা মানুষকে নির্দেশ দিয়েছি যেন তারা পিতা-মাতার সঙ্গে (কথায় ও কাজে) উত্তম ব্যবহার করে। তবে যদি তারা তোমাকে এমন কিছুর সঙ্গে শরীক করার জন্য চাপ দেয়, যে বিষয়ে তোমার কোনো জ্ঞান নেই, সে বিষয়ে তুমি তাদের কথা মান্য করো না। আমার কাছেই তোমাদের প্রত্যাবর্তনস্থল। অতঃপর আমি তোমাদের জানিয়ে দেব যেসব কাজ তোমরা করতে।’ (সূরা: আনকাবূত ২৯/৮)।

(মুসলিম হা/১৭৪৮; আহমাদ হা/১৫৬৭, ১৬১৪; তিরমিযী হা/৩১৮৯; মিশকাত হা/৩০৭১ (কেবল ‘অসিয়ত’ অংশটুকু) ‘অসিয়ত সমূহ’ অনুচ্ছেদ)।

অন্য বর্ণনায় এসেছে, মা বললেন, তুমি অবশ্যই তোমার দ্বীন ছাড়বে। নইলে আমি খাব না ও পান করব না, এভাবেই মরে যাব। তখন তোমাকে লোকেরা তিরষ্কার করে বলবে, يَا قَاتِلَ أُمِّهِ ‘হে মায়ের হত্যাকারী’! আমি বললাম, يَا أُمَّاهُ! لَوْ كَانَتْ لَكِ مِائَةُ نَفْسٍ، فَخَرَجَتْ نَفْسًا نَفْسًا مَا تَرَكْتُ دِينِي هَذَا فَإِنْ شِئْتِ فَكُلِي، وَإِنْ شِئْتِ فَلَا تَأْكُلِي ‘হে মা! যদি তোমার একশ’টি জীবন হয়, আর এক একটি করে এভাবে বের হয়, তবুও আমি আমার এই দ্বীন ছাড়ব না। এখন তুমি চাইলে খাও, চাইলে না খাও! অতঃপর আমার এই দৃঢ় অবস্থান দেখে তিনি খেলেন। তখন অত্র আয়াত নাজিল হলো। সা‘দ (রা.) বলেন, আমার কারণে এভাবে মোট ৪টি আয়াত নাজিল হয়েছে।

(কুরতুবী হা/৪৮৪৯, ৪৮৫০; তিরমিযী হা/৩১৮৯, হাদিছ সহিহ; ওয়াহেদী হা/৬৭০ সনদ হাসান, মুহাক্কিক কুরতুবী। বস্ত্তত: এমন ঘটনা সব যুগে ঘটতে পারে। তখন মুমিনকে অবশ্যই দুনিয়ার বদলে দ্বীনকে অগ্রাধিকার দিতে হবে।

(২) মুশরিক পিতা-মাতার প্রতি সদাচরণ:

(ক) আসমা বিনতে আবুবকর (রা.) বলেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমার মুশরিক মা আমার কাছে এসেছে। আমি কি তার সঙ্গে সদ্ব্যবহার করব? তিনি বললেন, হ্যাঁ। সদ্ব্যবহার কর’। (বুখারী হা/৩১৮৩; মুসলিম হা/১০০৩; মিশকাত হা/৪৯১৩)। ইবনু হাজার (রহ.) বলেন, ঘটনাটি ছিল হোদায়বিয়া সন্ধি থেকে মক্কা বিজয়ের পূর্ব পর্যন্ত সময়কার। যখন তিনি তার মুশরিক স্বামী হারেছ বিন মুদরিক আল-মাখযূমীর সঙ্গে ছিলেন (ফাতহুল বারী)।

(খ) আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, আমার মা ছিলেন মুশরিক। একদিন আমি তার নিকটে ইসলামের দাওয়াত দিলে তিনি আমাকে রাসূল (সা.) সম্পর্কে এমন কিছু কথা বলেন, যা আমার নিকট খুবই অপসন্দনীয় ছিল। তখন আমি রাসূল (সা.) এর নিকট গিয়ে কাঁদতে লাগলাম এবং তার হেদায়াতের জন্য দোয়া করতে বললাম। অতঃপর তিনি দোয়া করলেন। এরপর আমি বাড়িতে ফিরে এসে দরজা নাড়লে ভেতর থেকে মা বলেন, তুমি কিছুক্ষণ অপেক্ষা কর। তারপর তিনি গোসল সেরে পোষাক পরে দরজা খুলে দেন এবং কালেমায়ে শাহাদত পাঠ করে তার ইসলাম ঘোষণা করেন। (মুসলিম হা/২৪৯১; মিশকাত হা/৫৮৯৫)।

(৩) পিতা-মাতার প্রতি সদাচরণ যে কারণে করবে:

আল্লাহ বলেন,وَوَصَّيْنَا الْإِنْسَانَ بِوَالِدَيْهِ حَمَلَتْهُ أُمُّهُ وَهْنًا عَلَى وَهْنٍ وَفِصَالُهُ فِي عَامَيْنِ أَنِ اشْكُرْ لِي وَلِوَالِدَيْكَ إِلَيَّ الْمَصِيرُ- ‘(আল্লাহ বলেন,) আর আমরা মানুষকে তার পিতা-মাতার প্রতি সদাচরণের নির্দেশ দিয়েছি। তার মা তাকে কষ্টের পর কষ্ট করে গর্ভে ধারণ করেছে এবং তার দুধ ছাড়ানো হয় দু’বছরে। অতএব, তুমি আমার প্রতি ও তোমার পিতা-মাতার প্রতি কৃতজ্ঞ হও। (মনে রেখ, তোমার) প্রত্যাবর্তনস্থল আমার কাছেই’ (সূরা: লোকমান ৩১/১৪)। অন্যত্র আল্লাহ বলেন, وَوَصَّيْنَا الْإِنْسَانَ بِوَالِدَيْهِ إِحْسَانًا حَمَلَتْهُ أُمُّهُ كُرْهًا وَوَضَعَتْهُ كُرْهًا وَحَمْلُهُ وَفِصَالُهُ ثَلاَثُونَ شَهْرًا- ‘আমরা মানুষকে নির্দেশ দিয়েছি তার পিতা-মাতার প্রতি সদ্ব্যবহার করার জন্য। তার মা তাকে গর্ভে ধারণ করেছে কষ্টের সঙ্গে এবং প্রসব করেছে কষ্টের সঙ্গে। তাকে গর্ভে ধারণ ও দুধ পান ছাড়াতে লাগে ত্রিশ মাস’ (সূরা: আহক্বাফ ৪৬/১৫)। এর দ্বারা বুঝা যায় যে, গর্ভ ধারণের সর্বনিম্ন মেয়াদ ছয় মাস (কুরতুবী)। কেননা বাচ্চাকে দু’বছর যাবৎ বুকের দুধ খাওয়ানোর ব্যাপারে মায়েদের প্রতি নির্দেশ দিয়ে আল্লাহ বলেন,وَالْوَالِدَاتُ يُرْضِعْنَ أَوْلَادَهُنَّ حَوْلَيْنِ كَامِلَيْنِ لِمَنْ أَرَادَ أَنْ يُتِمَّ الرَّضَاعَةَ- ‘জন্মদানকারিনী মায়েরা তাদের সন্তানদের পূর্ণ দু’বছর দুধ পান করাবে, যদি তারা দুধপানের মেয়াদ পূর্ণ করতে চায়’ (সূরা: বাকারাহ ২/২৩৩)।

মানুষ তার পিতা-মাতার মাধ্যমেই দুনিয়াতে এসেছে। অতএব, তারাই সর্বাধিক সদাচরণ পাওয়ার যোগ্য। আল্লাহ বলেন,هَلْ أَتَى عَلَى الْإِنْسَانِ حِينٌ مِنَ الدَّهْرِ لَمْ يَكُنْ شَيْئًا مَذْكُورًا- إِنَّا خَلَقْنَا الْإِنْسَانَ مِنْ نُطْفَةٍ أَمْشَاجٍ نَبْتَلِيهِ فَجَعَلْنَاهُ سَمِيعًا بَصِيرًا- ‘নিশ্চয়ই মানুষের ওপর যুগের এমন একটি সময় অতিক্রান্ত হয়েছে, যখন সে উল্লেখযোগ্য কিছুই ছিল না’। ‘আমরা মানুষকে সৃষ্টি করেছি (পিতা-মাতার) মিশ্রিত শুক্রবিন্দু হতে, তাকে পরীক্ষা করার জন্য। অতঃপর আমরা তাকে করেছি শ্রবণশক্তিসম্পন্ন ও দৃষ্টিশক্তিসম্পন্ন’ (সূরা: দাহর ৭৬/১-২)।

মুফতি বিলাল আহমদ চৌধুরী
সভাপতি
হানাফী ফিকহী পরিষদ হবিগঞ্জ।
মুহাদ্দিস
হবিগঞ্জ জান্নাতুল ফেরদাউস মহিলা টাইটেল মাদ্রাসা।

Address

Ravenna, OH

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Mufti Bilal Ahmad Chowdhury posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Category


Other Video Creators in Ravenna

Show All