Critique

Critique CRITIQUE, A Criticism based Bangla featured web portal.

06/10/2024

রাশিয়ার একটানা বোমাবর্ষণে মারিউপোল যখন ধ্বংসস্তুপে আর শহরের রাস্তাঘাট কবরস্থানে পরিণত হচ্ছে, তখন এই শহরের কয়েক মিটার মাটির নিচেই একটা রোমান্সের জন্ম নিচ্ছে।

06/10/2024

সংগৃহীত :
শিক্ষণীয় ঘটনা ۔۔۔

একবার এক পর্যটক মেক্সিকোয় গেলেন; জেলেদের মাছের খুব প্রশংসা করলেন। তারপর বললেন,
“আচ্ছা, মাছ ধরতে আপনাদের কত সময় লাগে?”
“বেশিক্ষণ না” জেলেদের এক কথার উত্তর।

“তাহলে আপনারা আরও বেশি সময় দিয়ে আরও বেশি মাছ ধরেন না কেন?” লোকটা প্রশ্ন করেন। জেলেরা বলেন, "আমরা যে মাছে ধরি তাতে আমাদের প্রয়োজন মিটে যায়"।

“তাহলে মাছ ধরার পর বাকি সময়টা আপনারা কী করেন?” লোকটা জিজ্ঞাসা করে। জেলেরা জবাব দেয়,
“আমরা ঘুমায়, মাছ ধরি, বাচ্চাদের সাথে খেলা করি, বৌয়ের সাথে খাই, সন্ধ্যায় বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেই, মজা করি, হাসি, গলা ছেড়ে গান গাই…”। পর্যটক তাদেরকে থামিয়ে বলেন,
“আমি হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ করেছি। আমি আপনাদেরকে বুদ্ধি দিয়ে সাহায্য করতে পারি। আপনাদেরকে আরও বেশি সময় দিয়ে মাছ ধরতে হবে, বাড়তি মাছগুলো বিক্রি করে মাছ ধরার বড় নৌকা কিনতে হবে। ”

“তারপর?” জেলেদের প্রশ্ন।
“আপনারা বড় নৌকার সাহায্যে বেশি মাছ ধরবেন, বেশি আয় করবেন। সেটা দিয়ে আরও বড় দুটা, তিনটা বা আরও বেশি নৌকা কিনবেন। একসময় মাছ ধরার নৌবহর বানিয়ে ফেলবেন। তখন মধ্যসত্ত্বভোগী ব্যবসায়ীদের কাছে মাছ বিক্রি না করে, সরাসরি মাছ প্রসেসিং ফ্যাক্টরির সাথে বেচাকেনা করবেন। এক সময় নিজেরাই মাছ প্রসেসিং ফ্যাক্টরি খুলে বসবেন। তারপর অনেক ধনী হয়ে গ্রাম ছেড়ে মেক্সিকোর রাজধানী, আমেরিকার লসএঞ্জেলেস বা নিউ ইয়র্কে চলে যাবেন। সেখান থেকে আপনারা মেগা প্রজেক্ট চালু করবেন। ”

“এসব করতে কত সময় লাগবে?” জেলেদের প্রশ্ন।
“কুড়ি/পঁচিশ বছর তো লাগবেই।” জবাব দেয় পর্যটক।
“তারপর” জেলেরা প্রশ্ন করে।
লোকটা হেসে জবাব দেয়, “ব্যবসায় যখন আরও বড় হবে তখন আপনারা শেয়ার বাজারে যাবেন, মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার আয় করবেন।”
“মিলিয়র ডলার! ধরুন পেলাম মিলিয়ন ডলার। কিন্তু, তারপর?” জেলেরা সবিস্ময়ে প্রশ্ন করে। পর্যটক তখন জবাব দেন,
“আপনারা তখন অবসরে যাবেন। শান্ত গ্রামে ফিরে এসে সমুদ্রের ধারে ঘুমাবেন, বাচ্চাদের সাথে খেলা করবেন, বৌয়ের সাথে খাবার খাবেন, সন্ধ্যায় বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিবেন, মজা করবেন…,”। তখন জেলেরা বলেন,
“সেই কাজটাই তো আমরা এখন করছি। তাহলে এই বিশ/পঁচিশ বছরের এই কষ্টের জীবনের মানে কী?”

06/10/2024
06/07/2024

জবাবে মিলার বলেন, ‘ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে চলমান মামলার অগ্রগতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে যুক্তরাষ্ট্র। আমরা আগেও উদ্বেগ জানিয়ে বলেছি, এই মামলায় বাংলাদেশের শ্রম আইনের অপব্যবহার করা হচ্ছে। ড. ইউনূসকে হয়রানি করতে আর ভয় দেখাতে এমনটা করা হচ্ছে।’

06/07/2024

আওয়ামী লীগ সরকার যেভাবে ভারত সরকারের সমর্থন পাচ্ছিলো তা একইভাবে থাকবে কিনা সেটিও আলোচনায় আসছে।

06/07/2024

"বিজ্ঞানী এলিস সিলভারের চাঞ্চল্যকর দাবি: মানুষ পৃথিবীর জীব নয়

তাঁর 'হিউম্যান আর নট ফ্রম আর্থ: এ সায়েন্টিফিক ইভ্যালুয়েশন অফ দ্য এভিডেন্স' বইটিতে রীতিমতো যুক্তি দিয়ে প্রমাণ করতে চেয়েছেন, 'মানুষ পৃথিবীর জীব নয়'।

বিশ্ববিখ্যাত বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং অনেক আগেই বলেছিলেন, “এলিয়েন আছে, অবশ্যই আছে।” নাসার গবেষকেরা কেপলার টেলিস্কোপের সাহায্যে এমন ২০টি গ্রহের সন্ধান পেয়েছেন, যাদের মধ্যে সম্ভবত প্রাণ আছে। নাসার প্রথম সারির বিজ্ঞানী অ্যালেন স্টেফান, বিজ্ঞানী সিলভানো পি কলম্বানো, বিজ্ঞানী থমাস জুরবিউকেন বিভিন্ন সময় বলেছেন এলিয়েনদের থেকে নাসা আর বেশি দূরে নেই। কয়েক বছরের মধ্যেই নাসা এলিয়েনদের কাছে পৌঁছে যাবে।

কিন্তু সম্প্রতি নাসার এই বক্তব্যে জল ঢেলে দিয়েছেন এক বিজ্ঞানী। তাঁর চাঞ্চল্যকর মতবাদ নিয়ে ঝড় উঠেছে বিজ্ঞানপ্রেমীদের মধ্যে। তিনি দাবী করেছেন মানুষই এলিয়েন বা ভিনগ্রহের জীব। অথচ বিজ্ঞান বলেছিল, প্রায় ১৮ লক্ষ বছর আগে আফ্রিকায় সৃষ্টি হয়েছিল প্রথম মানব প্রজাতি হোমো ইরেকটাস।

এলিয়েনরা কি আদৌ এরকম দেখতে?
ডঃ এলিস সিলভার বললেন, মানুষই ভিনগ্রহের জীব
আমেরিকার প্রখ্যাত ইকোলজিস্ট ডঃ এলিস সিলভার। তিনি তাঁর ‘হিউম্যান আর নট ফ্রম আর্থ: এ সায়েন্টিফিক ইভ্যালুয়েশন অফ দ্য এভিডেন্স’ বইটিতে রীতিমতো যুক্তি দিয়ে প্রমাণ করতে চেয়েছেন, ‘মানুষ পৃথিবীর জীব নয়’। বহুদিন ধরে গবেষণা করার পর তাঁর সিদ্ধান্ত, অন্য জীবদের মতো মানুষের সৃষ্টি পৃথিবীতে হয়নি।

কয়েক লক্ষ বছর আগে অন্য গ্রহ থেকে মানুষকে পৃথিবীতে ছেড়ে যাওয়া হয়েছিল। ডঃ সিলভার বলেছেন, মানুষের শরীরে থাকা অনেক ত্রুটি বুঝিয়ে দেয়, পৃথিবী আমাদের নিজের গ্রহ নয়। পৃথিবীর অনান্য উন্নত প্রাণীর সঙ্গে মানুষের শরীরের এত পার্থক্য কেন! এই প্রশ্নটির ওপরেই দাঁড়িয়ে আছে ডঃ এলিস সিলভারের মতবাদটি।

ডঃ এলিস সিলভারের সেই চাঞ্চল্য সৃষ্টিকারী বই।
ডঃ সিলভারের সেই চাঞ্চল্যকর থিয়োরির কিছু ঝলক
● ডঃ সিলিভারের মতে, পৃথিবীতে মানুষ ছাড়া থাকা সব প্রজাতির উদ্ভিদ ও প্রাণী পরিবেশ থেকেই সরাসরি তাদের প্রয়োজন মিটিয়ে নেয়। উদ্ভিদ তার গায়ে এসে পড়া সূর্যালোক, বাতাসের কার্বন-ডাই-অক্সাইড আর মাটি থেকে জল নিয়ে নিজের খাবার তৈরি করে নেয়। বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণীরা সরাসরি উদ্ভিদকে খেয়ে, বা অনান্য প্রাণীকে খেয়ে পৃথিবীতে বেঁচে থাকে। কিন্তু মানুষ প্রকৃতিতে স্বাভাবিকভাবে পাওয়া বা গজিয়ে ওঠা খাবার সরাসরি খেতে অপছন্দ করে কেন!

ডঃ সিলিভারের মতে, সরাসরি পরিবেশ থেকে নেওয়া খাবার হজম করতে পারে না একমাত্র মানুষই। তাই সে অন্যভাবে তার খাদ্যের প্রয়োজন মেটায়। মানুষ যদি পৃথিবীরই জীব হতো, তাহলে সে বাকি প্রাণীদের মতোই পরিবেশ থেকে পাওয়া খাবার সরাসরি খেয়ে হজম করতে পারত।

● মানুষকে এই গ্রহের সবচেয়ে উন্নত প্রাণী বলে মনে করা হয়। কিন্তু ডঃ সিলভারের মতে মানুষই হল পৃথিবীর সবচেয়ে খাপছাড়া জীব। মানুষই হল পৃথিবীর জলবায়ুতে টিকে থাকার পক্ষে সবচেয়ে অনুপযুক্ত জীব। কারণ, পৃথিবীর বাকি সব জীব সারাজীবন খোলা আকাশের নীচে, প্রখর রৌদ্র, তুমুল ঝড় বৃষ্টি সহ্য করে বেঁচে থাকতে পারে। মানুষ কেন পৃথিবীর বাকি সব প্রাণীর মতো বৃষ্টিতে ঘন্টার পর ঘন্টা ভিজতে পারে না! কয়েকঘন্টার বেশি সূর্য্যের প্রখর রৌদ্রে থাকলে একমাত্র মানুষেরই কেন ‘সান স্ট্রোক’ হয়! সূর্য্যের আলোয় বেশিক্ষণ থাকলে আমাদের ত্বকের চামড়া কালো হয়ে যায় কেন! ! কেন সূর্যের আলোয় মানুষেরই চোখ ধাঁধিয়ে যায়! অন্য প্রাণীদের তো তা হয় না। এগুলি কি প্রমাণ করেনা সূর্য রশ্মি মানুষের পক্ষে উপযুক্ত নয় এবং মানুষ থাকত কোনও নরম আলোয় ভরা গ্রহতে।
● মানুষের মধ্যেই প্রচুর দীর্ঘস্থায়ী রোগ বা ক্রনিক ডিজিজ দেখা দেয় কেন! ডঃ সিলভারের মতে ব্যাক পেন (back ache) হল মানুষের অন্যতম দীর্ঘস্থায়ী রোগ। পৃথিবীর বেশিরভাগ মানুষ এই রোগে ভোগেন। কারণ মানুষ পৃথিবীর অনান্য প্রাণীর মতো চারপায়ে হাঁটে না। ফলে হাঁটা চলা ও বিভিন্ন কাজে মাধ্যাকর্ষণের সাহায্য পায় না। পৃথিবীর বাকি প্রাণীদের কি ঘাড়ে, পিঠে, কোমরে ব্যাথা হয়! মানুষের এই ‘ব্যাক পেন’ রোগটিই প্রমাণ করে, মানুষের দেহ অন্য কোনও গ্রহে বসবাসের উপযুক্ত হয়ে সৃষ্টি হয়েছিল। যে গ্রহের মাধ্যাকর্ষণ ছিল পৃথিবীর তুলনায় অনেক কমজোরি।

● পৃথিবীতে থাকা কিছু দীর্ঘজীবী প্রাণী, যেমন আফ্রিকার হাতি, অ্যালডাবরা ও গ্যালাপাগোস কচ্ছপ, বো-হেড তিমি, গ্রেটার ফ্লেমিঙ্গো, গ্রিন-উইং ম্যাকাওদের চোখেও কি চল্লিশের পর চালসে (হাইপার মেট্রোপিয়া) পড়ে! বয়েসের সঙ্গে সঙ্গে তাদের শ্রবণক্ষমতা কমে যায়!

● পৃথিবীর কোনও মানুষই ১০০% সুস্থ নয় কেন! প্রত্যেকেই এক বা একাধিক রোগে ভোগেন কেন!
● মানব শিশুর মাথা বড় হওয়ার জন্য নারীদের স্বাভাবিক উপায়ে প্রসব করতে প্রবল যন্ত্রণা ভোগ করতে হয়। প্রসব করতে গিয়ে আজ পর্যন্ত পৃথিবীতে লক্ষ লক্ষ মা ও শিশুর মৃত্যু হয়েছে। মানুষ ছাড়া পৃথিবীর অন্য কোনও প্রজাতির লক্ষ লক্ষ স্ত্রী প্রাণী ও শাবক প্রসবকালে মারা গিয়েছে কি? মানব শিশু জন্মের পরেই পৃথিবীর উন্নত প্রাণীগুলির শাবকদের মতো হাঁটতে শেখে না কেন?

● মানুষের দেহে কেন ২২৩টি অতিরিক্ত জিন আছে! পৃথিবীর অনান্য প্রাণীদের দেহে অতিরিক্ত জিন নেই কেন!

● মানুষের ঘুম নিয়ে গবেষণা করে গবেষকরা বলছেন পৃথিবীতে দিন ২৪ ঘন্টার, কিন্তু আমাদের দেহের অভ্যন্তরীণ ঘড়ি (body clock) বলছে, আমাদের দিন হওয়া উচিত ছিল ২৫ ঘন্টার। মানবজাতির সৃষ্টিলগ্ন থেকেই দেহঘড়িতে একটি দিনের জন্য কেন ২৫ ঘন্টা বরাদ্দ করা হয়েছিল!

বিভিন্ন বিজ্ঞানী ডঃ সিলভারের থিওরিটির বিস্তর সমালোচনা করেছেন। কিন্তু অনেকে আবার তাঁর পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন। তাঁরা বলেছেন ডঃ সিলভার যে যুক্তিগুলি হাজির করেছেন, সেগুলি কিন্তু একেবারেই ফেলে দেওয়ার মতো নয়। সত্যিই তো পৃথিবীর অনান্য প্রজাতির জীবের চেয়ে আমরাই কেন আলাদা হলাম। সত্যিই কি আমরা পৃথিবীর প্রাণী! নাকি আমরা ভিনগ্রহের প্রাণী হয়ে পৃথিবীকে শাসন করছি! রহস্যটির উত্তর লুকিয়ে আছে কালের গর্ভে। একটা প্রশ্নটা কিন্তু থেকেই গেল,মানুষের সৃষ্টি যদি পৃথিবীতে না হয়ে থাকে বা আমরাই যদি ভিনগ্রহ থেকে পৃথিবীতে এসে থাকি, তাহলে কাদের খুঁজতে নাসা ট্রিলিয়ন ট্রিলিয়ন ডলার খরচা করছে!"
লেখা ও ছবি সংগৃহীত। সৌজন্যে : Khan Aparna
৬-৬-২৪

06/07/2024
06/03/2024

বিনম্র শ্রদ্ধা…
ছোটবেলায় থাকতেন শান্তিপুরে। পরিবারে ব্যাপক অর্থকষ্ট | ছোট ছেলেটি বুঝল কাজে না ঢুকলে পরিবারের হাল ফেরানো অসম্ভব | পড়াশোনা ছেড়ে পাড়ি দিলেন কলকাতা | উঠলেন হ্যারিসন রোডের একটি মেসে। ওই মেসে ছেলেটির সঙ্গে থাকতেন শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়। রোজগারের জন্য তখন যা পেতেন তাই করতেন। চায়ের দোকানের কাজ। রেল কোম্পানির হয়ে সার্ভে। অর্থকষ্ট এতটাই ভয়াবহ ছিল। তবে সৃষ্টিশীল মনটা তাতেও হারিয়ে যায়নি | সারাদিন হাড়ভাঙ্গা খাটুনি খেটে রাতে এসে ঘন্টার পর ঘন্টা কবিতা লিখেছেন |

তিনি শিল্পী দেবদুলাল বন্দ্যোপাধ্যায় | ১৯৬০ সাল | সুধীন দাশগুপ্তই দেবদুলালবাবুকে আকাশবাণীর ‘অনুষ্ঠান ঘোষক’-এর পদে চাকরির কথা বলেন। পরীক্ষা দিয়ে ঢুকেছিলেন। তারপর একটানা বত্রিশ বছর আকাশবাণীর সংসারে নিজেকে উজাড় করে দিয়েছিলেন দেবদুলাল বন্দ্যোপাধ্যায়।

খবর পড়ায় একটা আলাদা ঘরাণা তৈরি করেছিলেন দেবদুলাল বন্দ্যোপাধ্যায়। ' কলকাতার আকাশবাণীতে '‘আকাশবাণী কলকাতা, খবর পড়ছি দেবদুলাল বন্দ্যোপাধ্যায়’'—ভরাট কণ্ঠের এই সম্ভাষণ আজও বাঙালির হৃদয়ে | সংবাদ পাঠকে তিনি এমন একটা জায়গায় নিয়ে গিয়েছিলেন যে, ঘরে ঘরে সংবাদ পরিক্রমা শোনার জন্য রেডিও খোলা হতো।

দেবদুলাল বন্দ্যোপাধ্যায়ের রেডিয়ো-জীবনে সবচেয়ে বড় ঘটনা সম্ভবত বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের সময় সম্প্রচারটি। ১৯৬৬ সাল থেকেই বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধারা চলে আসতেন কলকাতায়। তাঁরা সোজা গিয়ে দেখা করতেন আকাশবাণীর কলকাতা কেন্দ্রের সংবাদ বিভাগে। শোনাতেন নিজেদের অসহায় জীবনের নানা কাহিনী |

আকাশবাণীর ‘সংবাদ পরিক্রমা’-র লেখক প্রণবেশ সেন আর সংবাদ পাঠক দেবদুলালকে সেই সব কাহিনী অসম্ভব বিচলিত করেছিল।

প্রতিদিন রাত দশটা থেকে দশটা পাঁচ মিনিট দেবদুলাল বন্দ্যোপাধ্যায় পড়তে লাগলেন যুদ্ধের কথা। যন্ত্রণার ইতিহাস। যাঁরা রেডিয়োর সঙ্গে যুক্ত ছিলাম, তাঁরা তো বটেই শ্রোতারাও জানেন কী প্রচণ্ড জনপ্রিয় হয়েছিল সে অনুষ্ঠান।

১৯৭২ সালে এই সংবাদ পাঠের জন্যই পদ্মশ্রী উপাধি পান দেবদুলাল বন্দ্যোপাধ্যায়।

এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন -
আকাশবাণীর খবর পড়তে গিয়ে মাঝেমধ্যে নিজেকে আর সংবরণ করতে পারিনি। মনে হতো, আমিও একজন মুক্তিযোদ্ধা। সেদিন আমার বুকের ভেতরের সব লুকানো আবেগ আর উত্তেজনা ঢেলে দিয়েছিলাম আকাশবাণীর সংবাদ, সংবাদ-পরিক্রমা বা সংবাদ-সমীক্ষা পড়তে গিয়ে। রণাঙ্গনের খবর যখন পড়তাম, তখন মনে করতাম, আমিও সেই রণাঙ্গনের সৈনিক, যখন মুক্তিযুদ্ধের বিজয়ের কথা পড়তাম, তখন আমার মনের সমস্ত উল্লাস উচ্ছ্বাস নেমে আসতো আমার কণ্ঠজুড়ে। যখন করুণ হত্যাকাণ্ডের বর্ণনা পড়তাম, তখন কান্নায় জড়িয়ে আসত গলা। মুক্তিযুদ্ধের শেষ দিকটায় যেন নেশায় পেয়ে বসেছিল আমাকে। উত্তেজনা আর প্রবল আগ্রহে অপেক্ষা করতাম, কখন পড়বো বাঙলাদেশের খবর। এই খবর পড়ার জন্য কখনো কখনো রাতে বাড়িও ফিরিনি। রাত কাটিয়েছি আকাশবাণী ভবনে। ভোরের খবর পড়তে হবে যে!

বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর দেবদুলাল বন্দ্যোপাধ্যায়কে বাংলাদেশ সরকার তাদের দেশে যাওয়ার আমন্ত্রণ জানায়।
১৯৭২ সালে ১০ জানুয়ারি একটি অনুষ্ঠানে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান দেবদুলাল বন্দ্যোপাধ্যায়কে তাঁর অসামান্য সংবাদপাঠের জন্যে বুকে জুড়িয়ে ধরেন।

বাংলাদেশের মুক্তিসেনারা তাঁর নাম দিয়েছিলেন, " বাংলার দুলাল" |

সারা ভারতে এখনও পর্যন্ত যে তিনজন ব্রডকাস্টার পদ্মশ্রী পেয়েছেন, তাঁদের মধ্যে একজন দেবদুলাল বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্য দু’জন- AIR-এর মেলভিন ডি মেলো (Melville de Mellow) এবং ঊষা মেহতা, যিনি স্বাধীনতা আন্দোলনের সময় গোপন বেতার কেন্দ্র চালাতেন।

আজ দেবদুলাল বন্দ্যোপাধ্যায় বন্দ্যোপাধ্যায় মহাশয়ের প্রয়াণদিবসে আমাদের শ্রদ্ধাঞ্জলি |

তথ্য : আকাশবাণী কলকাতা খবর পড়ছি... (আনন্দবাজার পত্রিকা), উইকিপিডিয়া

06/01/2024
05/27/2024

নিউইয়র্ক বইমেলা থেকে সরাসরি। জেবিটিভি

05/01/2024
04/30/2024
04/28/2024
04/24/2024
04/21/2024
একটি পুরোনো বিজ্ঞাপন।
04/05/2024

একটি পুরোনো বিজ্ঞাপন।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সর্বশেষ কবিতা
04/02/2024

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সর্বশেষ কবিতা

যা দেখি নতুন লাগে উনত্রিশ
03/31/2024

যা দেখি নতুন লাগে উনত্রিশ

02/08/2024

আদিত্য শাহীনের সরাসরি কথন..

02/06/2024

#টাঙ্গাইল শাড়ি যদি ‘ছিনতাই’ হয়, কোনো পণ্যই নিরাপদ নেই

[সাক্ষাৎকার: বিবি রাসেল।
সাক্ষাৎকার নিয়েছেন শেখ রোকন]

(সমকাল, ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪)

জাতিসংঘ শুভেচ্ছাদূত ও ‘ফ্যাশন ফর ডেভেলপমেন্ট’ ধারণার প্রবক্তা বিবি রাসেল টেকসই তন্তু নিয়ে কাজ করছেন কয়েক দশক ধরে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ঐতিহ্যবাহী বয়নশিল্প পুনরুদ্ধারেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। বিবি রাসেল ১৯৭২ সালে প্রথম বাংলাদেশি নারী হিসেবে লন্ডন কলেজ অব ফ্যাশনে পড়তে যান। স্নাতক প্রদর্শনীর আগেই ইউরোপে মডেল হিসেবে সাড়া ফেলেন। ১৯৯৪ সালে স্থায়ীভাবে দেশে ফিরে তাঁত, বস্ত্র, হস্তশিল্প সংরক্ষণ ও উন্নয়নে ‘বিবি প্রডাক্টস’ প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি ২০০৪ সালে ইউনেস্কো পিস প্রাইজ, ২০১০ সালে স্পেনের সর্বোচ্চ বেসামরিক পদক ‘ক্রস অব অফিসার অব দ্য অর্ডার অব কুইন ইসাবেলা’, ২০১১ সালে জার্মানির ‘ভিশন অ্যাওয়ার্ড’ এবং ২০১৫ সালে ‘রোকেয়া পদক’ লাভ করেন

👉সমকাল:
আমরা জানি, আপনি বিশ্বের বিভিন্ন দেশ বা অঞ্চলে ঐতিহ্যবাহী বয়নশিল্প পুনরুদ্ধারে কাজ করেন। সেই সূত্রে পশ্চিমবঙ্গের ফুলিয়াতেও কাজ করেছেন। সেই ফুলিয়া তো গত দু’দিন ধরে খবরের শিরোনাম!

👇বিবি রাসেল:
আমি তো গত দু’দিন ধরে ঠিকমতো ঘুমাতেও পারছি না। আমি ফুলিয়া, নদীয়াতে হস্তচালিত তাঁতসামগ্রী নিয়ে কাজ করছি অনেক দিন ধরে। তারা নিজেরাও এটাকে টাঙ্গাইল শাড়ি বলে। এখান থেকে আমদানি করে। কিন্তু আমাদের দেশের টাঙ্গাইল শাড়ি যে তাদের ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য হিসেবে নিবন্ধন পাবে– এটা তো কল্পনারও বাইরে।

👉সমকাল:
টাঙ্গাইল শাড়ির জিআই রাইটস বা ভৌগোলিক নির্দেশক অধিকার পাওয়ার জন্য ভারতীয়রা যে আবেদন করেছে– এটা কখনও বুঝতে পেরেছিলেন?

👇বিবি রাসেল:
না, না। এটা তো কারও দুঃস্বপ্নেও আসার কথা নয়। কারণ টাঙ্গাইল তো একেবারে সীমান্ত থেকে দূরে। অনেক অঞ্চল দুই বাংলার মধ্যে বিভক্ত হয়েছে; যেমন নদীয়া অঞ্চল, দিনাজপুর অঞ্চল, রংপুর অঞ্চল। সেখানকার কোনো কোনো পণ্য নিয়ে দু’পক্ষের দাবি থাকতে পারে। কিন্তু টাঙ্গাইলের ক্ষেত্রে তো এমন প্রশ্নই আসে না। সেখানে যারা তাঁত নিয়ে, বস্ত্রশিল্প নিয়ে কাজ করে, তাদের প্রায় সবার সঙ্গে আমার পরিচয় ও যোগাযোগ আছে। কিন্তু কখনও এ বিষয়টি জানতে পারিনি। এ ঘটনায় আমি খুবই কষ্ট পেয়েছি; বিশ্বাসভঙ্গের কষ্টের মতো। আমরা কাছে মনে হচ্ছে, এটা যেন ছিনতাইয়ের ঘটনা।

👉সমকাল:
কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, ভারতের খোদ সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় তাদের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে দাবি করছে– টাঙ্গাইল শাড়ি ‘পশ্চিমবঙ্গ থেকে উদ্ভূত’ এবং তাদের সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের প্রতীক।

👇বিবি রাসেল:
যে-ই দাবি করুক; এটা এক উদ্ভট ও ভিত্তিহীন দাবি। কারণ ভারতে ‘টাঙ্গাইল’ বলে কোনো জনপদ নেই। আপনাকে মনে রাখতে হবে, টাঙ্গাইল শাড়ি উনিশ শতকে প্রসার লাভ করলেও এর অরিজিন আরও অনেক শতাব্দীপ্রাচীন। এর তাঁতিরা বিশ্ববিখ্যাত বাংলার মসলিন তাঁতিদের বংশধর। ব্রিটিশদের আগমনের পর যখন মসলিন শিল্পের দুর্দিন চলছিল, তখন টাঙ্গাইলের জমিদাররা এই তাঁতিদের পুনর্বাসন করার জন্য টাঙ্গাইলে নিয়ে যান। সেটাও কিন্তু বর্তমান বাংলাদেশের বাইরের কোনো অংশ থেকে মাইগ্রেট করেনি। ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ থেকে তারা সেখানে গেছে। প্রথমদিকে তারা শুধু সাদা শাড়ি তৈরি করত। এর সঙ্গে পরে রং ও নকশাযুক্ত হয়ে জামদানি ও টাঙ্গাইল শাড়ি স্বতন্ত্র ধারা হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। তাঁতিরাই ধীরে ধীরে নানা মোটিফ তৈরি করেছে। এটা একেবারে বর্তমান বাংলাদেশের নিজস্ব সম্পদ।

👉সমকাল :
ফুলিয়ার বসাকরা টাঙ্গাইলের বসাকদেরই একটি অংশ?

👇বিবি রাসেল:
একদম ঠিক বলেছেন। কেউ কেউ দেশভাগের আগে-পরে গিয়ে সেখানে বসতি স্থাপন করেছে। কিন্তু এখনও এমন অনেক পরিবার আছে, এক ভাই টাঙ্গাইলে, আরেক ভাই ফুলিয়ায় থাকে। তাদের মধ্যে নিয়মিত যোগাযোগ, পণ্য আদান-প্রদান হয়। কিন্তু এই বসাকরাই যখন একই ধরনের শাড়ি ফুলিয়ায় বুনছে, তখন সেটা ‘টাঙ্গাইল শাড়ি’ হচ্ছে না। যে কারণে বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর ৫০ লাখ পিস টাঙ্গাইল শাড়ি আমদানি করতে হয় ভারতকে।

👉সমকাল:
দেশভাগের পরবর্তী সময়ে যারা গেছে, তাদের কি ভারতে বিশেষ প্রণোদনা দেওয়া হতো? আমি বলতে চাইছি, টাঙ্গাইলের বসাকদের নদীয়ায় নিয়ে যাওয়ার পেছনে টাঙ্গাইল শাড়ির মেধাস্বত্ব নিয়ে নেওয়ার দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা ছিল কিনা?

👇বিবি রাসেল:
সেটা আমি জানি না। কারণ একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময়েও অনেকে চলে গেছে। আর তারা তো শুধু শাড়ি নয়; আরও অনেক বস্ত্রপণ্য তৈরি করে। সেখানকার শাড়িরও ভিন্ন নাম রয়েছে; টাঙ্গাইল শাড়ি নয়। নদীয়ায় টাঙ্গাইল শাড়ির অরিজিন বিষয়টি সোনার পাথরবাটি ছাড়া কিছু নয়। আর বিষয়টি শুধু দক্ষতা বা প্রযুক্তির নয়। টাঙ্গাইলে যেমন মিহি শাড়ি তৈরি হয়; সেটা ভারতে হয় না। সে কারণেই তো ভারতকে টাঙ্গাইল শাড়ি আমদানি করতে হয়।

👉সমকাল:
বস্ত্রশিল্পের সঙ্গে জলবায়ু ও প্রতিবেশ ব্যবস্থার নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে, আমরা জানি।

👇বিবি রাসেল:
সে তো বটেই; মাটি, আর্দ্রতা, কুয়াশা, বর্ষণ, উদ্ভিদের সম্পর্ক রয়েছে। আপনি জানলে খুশি হবেন, এর সঙ্গে নদী অববাহিকারও সম্পর্ক রয়েছে। যে কারণে মসলিন বা জামদানি ঢাকার বাইরে অন্য অঞ্চলে এত ভালো হয় না। কম্পিউটারাইজড ব্যবস্থায়ও হাতে বোনা জামদানির মতো জামদানি তৈরি করা যায় না পাওয়ারলুম দিয়ে।

👉সমকাল:
জিআই-সংক্রান্ত এ খবরের পর সেখানকার তাঁতিদের সঙ্গে কি আপনার কথা হয়েছে? তারা এখন কী বলছেন?

👇বিবি রাসেল:
গত দু’দিনে দুই দেশের বসাকদের সঙ্গেই কথা হয়েছে। তারা সবাই আমার মতো আশ্চর্য হয়েছে। টাঙ্গাইলের বসাকরাও খুব কষ্ট পেয়েছে এ ঘটনায়।

👉সমকাল:
ভারতের কোন কোন তাঁতির সঙ্গে কথা হয়েছে?

👇বিবি রাসেল:
নাম বলতে চাই না। তাতে তারা আবার সেখানে হয়রানিতে পড়তে পারে। কিন্তু আপনি জেনে রাখুন, এ ঘটনা ফুলিয়া বা নদীয়ার ঐতিহ্যবাহী তাঁতিরাও ভালোভাবে নেয়নি। তাদের সমর্থন নেই। কারণ তারা টাঙ্গাইল শাড়ির ইতিহাস জানে। শাড়ি তৈরি তো বসাকদের কাছে নিছক জীবিকা বা ব্যবসার প্রশ্ন নয়; ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির অংশ। এর সঙ্গে তারা মিথ্যা বা জালিয়াতির মিশ্রণ করতে চাইবে না।

👉সমকাল:
এখন তাহলে করণীয় কী?

👇বিবি রাসেল:
যা করার সরকারকেই করতে হবে। কারণ জিআই নিবন্ধন সরকারি সংস্থাকেই করতে হবে। দায়িত্বপ্রাপ্তরা যদি ঘুমিয়ে থাকে– এর চেয়ে দুঃখজনক আর কী হতে পারে!

👉সমকাল:
এর কারণ কি, জিআই নিবন্ধনের ক্ষেত্রে সঠিক মানুষ সঠিক জায়গায় নেই? যারা আছেন, তারা শুধু চাকরি হিসেবে নিয়েছেন?

👇বিবি রাসেল:
এ ছাড়া আর কী! দেখুন, আমি বস্ত্রশিল্প নিয়ে এতদিন কাজ করছি। ভারত ছাড়াও দক্ষিণ এশিয়া, পূর্ব এশিয়া, পশ্চিম এশিয়ার বিভিন্ন দেশ আমাকে তাদের ঐতিহ্যবাহী বস্ত্রশিল্প পুনরুদ্ধার ও সংরক্ষণের কাজে আমন্ত্রণ করে নিয়ে যায়। এমনকি লাতিন আমেরিকা থেকেও আমন্ত্রণ আসে। কিন্তু আমাদের দেশের কর্তাব্যক্তিরা কোনোদিন বিষয়টি নিয়ে আলোচনারও প্রয়োজন বোধ করেন না। আমি তো কারও কাছে কোনো অর্থ চাই না। মা-বাবা যা রেখে গেছেন, সেটাই অনেক। বিদেশেও আমি কোনো কনসালট্যান্সি ফি নিই না। মানুষের ভালোর জন্যই কাজ করি। কিন্তু বাংলাদেশে দেখলাম– বস্ত্রশিল্প, তাঁত, জিআই নিয়ে যাদের কাজ করার দায়িত্ব, তারা ঘুমিয়ে থাকে।

👉সমকাল:
টাঙ্গাইল শাড়ির এই ঘটনায় প্রমাণ হলো– ভারতের দায়িত্বপ্রাপ্তরা ঘুমিয়ে নেই।

👇বিবি রাসেল:
দেখুন, একটা প্রমাণ দিই। দু’দিন হলো, ভারত টাঙ্গাইল শাড়ির জিআই পণ্যের নিবন্ধন নিয়েছে। এরই মধ্যে তারা উইকিপিডিয়াতেও এই শাড়ির অরিজিন হিসেবে পশ্চিমবঙ্গের নাম লিখে রেখেছে। আমাদের দায়িত্বপ্রাপ্তদের খবর আছে? অনলাইন, উইকিপিডিয়ায় বাংলাদেশ নিয়ে যারা বিরাট বিরাট লেকচার দেন, তারাই বা কী করছেন? স্যরি, আমি খুবই ক্ষুব্ধ হয়ে আছি।

👉সমকাল:
এখন তাহলে কি সম্ভাব্য সব জিআই পণ্যই দ্রুত নিবন্ধন করে ফেলতে হবে?

👇বিবি রাসেল:
টাঙ্গাইল শাড়ির মতো বহুল পরিচিত ও প্রতিষ্ঠিত জিআই যখন অন্য দেশ পায়; যখন ছিনতাই হয়ে যায়, তখন আর কোনো পণ্য নিরাপদ আছে বলে মনে হয় না।

👉সমকাল:
এখন কি বাংলাদেশ সরকার প্রতিবাদ জানাবে?

👇বিবি রাসেল:
জানানো উচিত। ভানুর মতো বসে বসে দেখি না, কী করে বলার সময় নেই। প্রতিবাদ সরকারকেই জানাতে হবে।

👉সমকাল:
আপনার দিক থেকে কিছু করার আছে?

👇বিবি রাসেল:
সেই সিদ্ধান্ত সরকারকেই নিতে হবে। বাংলাদেশে জিআই পণ্য নিয়ে যেসব মেধা আছে, তাদের কাজে লাগাবে কিনা।

👉সমকাল:
প্রতিবাদ করার পর টাঙ্গাইল শাড়ির স্বত্ব কি আমরা ফিরিয়ে আনতে পারব? এমন নজির আছে?

👇বিবি রাসেল:
ফিরে আসা উচিত। কারণ বিশ্বের আর কোথাও টাঙ্গাইল নামে জনপদ নেই। এটা যে কেউ বুঝতে পারবে– এর মধ্যে একটা জালিয়াতি আছে। এই শাড়ি যে বাংলাদেশের নিজস্ব সম্পদ; গৌরবের বিষয়– এটা ভারতের তাঁতি ও গবেষকরাও স্বীকার করবেন।

👉সমকাল:
যদি স্বত্ব আমরা ফিরে না পাই, তাহলে কি বাণিজ্যিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবো?

👇বিবি রাসেল:
দেখুন, বিষয়টি বাণিজ্যের নয়; অধিকারের প্রশ্ন। বাংলাদেশের নিজস্ব সম্পদ অন্যরা নিয়ে যাবে কেন? তাহলে এত এত মন্ত্রণালয়, অধিদপ্তর, সংস্থা, কর্মকর্তা-কর্মচারী আছেন কী জন্য? প্রশ্নটা আপনাকেই করি।

👉সমকাল:
প্রশ্নটা আমরাও রেখে দিলাম। এত ব্যস্ততার মধ্যেও সময় দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।

👇বিবি রাসেল:
সমকালকেও ধন্যবাদ। বিষয়টি নিয়ে ভালোভাবে লিখুন। লেগে থাকুন। কারণ জিআই পণ্যের অধিকার একটি দীর্ঘমেয়াদি লড়াই। হঠাৎ সজাগ হয়ে আবার ঘুমিয়ে পড়লে কাজ হবে না।

Mostafizur Rahman এর পোস্ট থেকে নেয়া লেখাটি।ট্রান্সজেন্ডার বিতর্ক, বইএর পাতা ছিড়েঁ ফেলা দর্শনের শিক্ষক, পাঠ্যবই এক.  প্র...
01/30/2024

Mostafizur Rahman এর পোস্ট থেকে নেয়া লেখাটি।

ট্রান্সজেন্ডার বিতর্ক, বইএর পাতা ছিড়েঁ ফেলা দর্শনের শিক্ষক, পাঠ্যবই

এক. প্রথমে এক্সপার্টাইজড মতামত দিয়ে শুরু করা যাক। দুনিয়াতে সেক্স তিনভাবে ডিফাইন করা যায়। ১. ক্রোমোজোমাল সেক্স-যা অনুযায়ী ৪৬এক্স ওয়াই যাদের আছে তারা পুরুষ, ৪৬এক্সএক্স যারা তারা নারী; ২. গোনাডাল সেক্স-যাদের শরিরে টেস্টিস বা শুক্রাশয় আছে তারা পুরুষ, যাদের ডিম্বাশয় বা ওভারি আছে তারা নারী, ৩. ফেনোটাইপিক সেক্স: যাদের বাহ্যিক জননাঙ্গ পুরুষদের মত তারা পুরুষ, যাদের মেয়েদের মত তারা নারী। কিন্তু এই স্বাভাবিকতার বাইরে আরও বহু রকম ও প্রকরণ আছে যা DSD ( Disorder of sexual differentiation) নামে পরিচিত। যেমন কারও ফেনোটাইপ বাইরে থেকে নারীর মত কিন্তু তার দেহে কোন জরায়ু ডিম্বাশয় নেই। কারও ক্রোমোজোমই ত্রুটিযুক্ত, পিওর এক্সওয়াই নয় আবার এক্স এক্সও নয়। কেউ একটা মেয়ে হিসেবে সমাজে বড় হচ্ছে কিন্তু ক্রোমোজোমাল অ্যানালাইসিস করে দেখা গেল সে আসলে এক্স ওয়াই। আমরা এ ধরণের পরিস্থিতির মুখোমুখি প্রায়ই হই। congenital adrenal hyperplasia, Andogen insensitivity syndrome সহ আরও নানা ধরণের সমস্যায় এমন হতে পারে। এবং এই মানুষগুলোকে জঙ্গলে বা বনবাসে পাঠিয়ে দেয়ার কোন সুযোগ নেই। তারা সমাজেই থাকে এবং বড় হয়। এক সময় অন্যদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে পরিবার সমাজ ছেড়ে হিজড়া সমাজের অন্তর্ভুক্ত হয়। কেউ কেউ লেখাপড়া করে, ডিগ্রি নেয়, হোসনে আরা ম্যাডামের বা হোচিমিন ইসলামের মত সফল হয় বা ফরেন সার্ভিসেও চাকরি করে। সপ্তম শ্রেণীর পাঠ্যবইয়ের শরীফ (যে আসলে শরীফা) এরকমই একজন নিদোর্ষ শিশু। তার সাথে অন্য শিশুদের পরিচয় করিয়ে দেবার জন্য এই চ্যাপ্টার। নর্থ সাউথের বা ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিনগ্রহবাসী শিক্ষক ছাত্ররা তাদের চেনে না। তারা শরীফাদেরকে মানুষ নয় পশু মনে করে। আশা করি পরবর্তী প্রজন্ম এদের মত স্টুপিড হবে না। তারা শরীফাদেরকে চিনবে এবং সংবেদনশীল আচরণ করবে।
দুই. সেক্স ও জেনডার এক জিনিস নয়। সেক্স জিনিসটা মেডিকেলি বা বায়োলজিকালি ডিফাইন করা সম্ভব, জেন্ডার নয়। জেন্ডার তৈরি করে সমাজ, পরিপার্শ্ব। সামাজিক বিহেভিয়ারিয়ারাল প্যাটার্ন, এক্সপ্রেশন এবং আইডেন্টিটি জেন্ডার তৈরি করে। এখানে মনোজগতেরও একটা গভীর যোগাযোগ আছে। সব কিছু ঠিকঠাক থাকার পরও কেউ কেউ জেন্ডার ডিসফোরিয়াতে ভুগতে পারে। দেখা গেল সে ফেনোটাইপিকালি বা ক্রোমোজোমালি পুরুষ কিন্তু তার জেন্ডার ক্যারেকটারিস্টিক নারীর মত। সে মেয়েদের মত ভাবতে বা কাজ করতে ভালবাসে, মেয়ে নয় ছেলেদের প্রতি আকৃষ্ট হয়। এরাও সমাজের অংশ, আমাদের আশপাশেই আছে, এদেরকেও ধরে ধরে আমাজনের জঙ্গলে পাঠাবার অবকাশ নেই। সপ্তম শ্রেণীর পাঠ্যবইয়ে অবশ্য এদের কথা স্পষ্ট করে বলা হয় নি। অবাক ব্যাপার, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নাকি দর্শন পড়ান! শুনে বেকুব হয়ে গেলাম। জেন্ডার বিষয়ক ফিলোসফি আমার চেয়ে তার ভাল জানার কথা। কিভাবে সেক্স বিষয়টার চেয়ে সমাজে ইতিহাসে জেন্ডার বড় হয়ে উঠল এই বিষয়ে একজন ফিলোসফির অধ্যাপক হিসেবে তিনি একটা লেকচার দিতে পারেন।
তিন. এবার নন এক্সপারটাইজ কিছু কথা বলি। আমার ফেবু বন্ধুদের মধ্যে কাউকে কাউকে দেখছি লিখছেন ট্রান্সজেন্ডার বিষয়টা ইসলামে নাই, তাই এসব কথাকে গ্রহণ করা অবশ্যই হারাম। বক্তব্য প্রদানকারীদের কেউ কেউ চিকিৎসকও! তারা না পড়েছেন সায়েন্স, না পড়েছেন ধর্ম। তাই জিরাফের গলায় আটকে গেছেন। আসুন দেখি ইসলাম ট্রান্সজেন্ডার এবং জেন্ডার বিষয়ে কি বলে? ক্লাসিকাল ইসলামিক ল বা রুলস চার ধরণের জেন্ডার বা লিঙ্গবৈশিষ্ট্যকে ডিফাইন করে। পুরুষ, নারী, ডিএসডি বা খুনসা এবং মুখাননাত। খুনসা বা DSD কে আবার ইসলাম দুইটি সাব ক্যাটাগরিতে ভাগ করেছে। ওয়াদিহ বা খুনসা ঘায়ের এবং খুনসা মুসকিল। যখন বাহ্যিক জননাঙ্গ দিয়ে সেক্স ডিফাইন করা যাচ্ছে না তখন ইসলামে তাদের "মেলনেস" বা " ফিমেলনেস" চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য দিয়ে ডিফাইন করার কথা বলা হয়েছে। আর মুখাননাত হল জেন্ডার ডিসফোরিয়া। তার মানে এতক্ষণ যা বললাম তার সবই ইসলামে অলরেডি গৃহীত এবং প্রপারলি ডিফাইন্ড। এমনকি ফিকহ শাস্ত্রে তৃতীয় লিঙ্গের সম্পত্তির অধিকার, বিবাহের নিয়ম, নামাজ পড়ার নিয়ম, পরদা সম্পর্কেও বিস্তারিত বলা আছে। তাই যারা বলছেন ট্রান্সজেন্ডার, ইন্টারসেক্স বিষয়গুলো ইসলামে স্বীকৃত নয় তারা কিছু না জেনে বুঝেই বলছেন। এ বিষয়ে যারা আরও এক্সপার্ট তারা লিখলে বা বললে ভাল হত। আমরা স্পষ্ট জানতে পারতাম। ওপরের বক্তব্যের সমর্থনে কমেন্টে একটা লিংক দেয়া হল। এ ধরণের স্কলারলি আর্টিকেল আরও অনেকগুলো আছে। আগ্রহীরা পড়ে নেবেন।
চার. এবার আসি মুসলিম দেশের কথায়। ট্রান্সজেন্ডার দের চিকিৎসা নিয়ে সব দেশেই বিতর্ক আছে। তবে মুসলিম দেশগুলোতে স্বাভাবিক ভাবেই বেশি। তবে অন্যরা আমাদের মত তাদের উড়িয়ে দিয়ে বা বইএর পাতা ছিঁড়ার মত উদ্ভট কাজে বসে নেই। তারা এ নিয়ে রিলিজিয়াস লিডারদের সাথে বসে আইন কানুন তৈরি করছে। ২০০৬ সালে মালয়েশিয়ার ফতোয়া কমিটি অফ ন্যাশনাল কাউন্সিল অফ ইসলামিক রিলিজিয়াস এফয়ার্স কোন কোন ক্ষেত্রে জেন্ডার এসাইনমেন্ট সার্জাারি করা যাবে তার সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা দিয়েছে। এমনকি সৌদিআরব বা মিশরেরও নিজস্ব ব্যাখ্যা আছে। আমাদের এই সব হাস্যকর ও অপরিপক্ক আচরণের পরিবর্তে সমাজ, রাষ্ট্র উপযোগী একটা সুস্পষ্ট রুলস রেগুলেশন গড়ে তোলার সময় এসেছে এখন। সরকার তৃতীয় লিঙ্গের সামাজিক ও আইনগত স্বীকৃতি দিয়েছেন। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, চাকরি এবং সম্পদ বন্টনে তাদের সম অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। শরীফার মত হিজড়া পল্লীতে না গিয়ে তারা কিভাবে পরিবারে ও সমাজে বড় হতে পারে সেই চেষ্টা করতে হবে। সব শেষে একটা কথা না বলে পারছি না। আমাদের কম শিক্ষিত কম আধুনিক পুরনো সমাজেও হিজড়াদের কেউ ঘৃণা করত না (আমাদের দাদি নানিরা স্নেহও করতেন তাদের, পারলে সাহায্য সহযোগিতা করতেন, ডেকে দুটো খেতে দিতেন), বর্তমানে পর পর নর্থ সাউথ আর ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের নব্য আধুনিক আর সু? শিক্ষিত ইংরেজি বলিয়ে ছাত্র শিক্ষকরা যা করছেন তাতে অবাক হবারও ক্ষমতা হারিয়ে ফেলছি। এরা পোষা কুকুর বেড়াল নিয়ে আদিখ্যেতা করে আর তৃতীয় লিঙ্গ হওয়ায় একজন মানুষকে ঘৃণা করে! এই শিক্ষাক্রমের আগে যে শিক্ষাক্রম ছিল এরা তো তারই প্রডাক্ট। আমার আর কিছু বলবার নেই। (সংগৃহীত © Tanjina Hossain Tanni - Fayaza Ahmed এর পেজ থেকে)॥

পৃথিবী॥ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
01/28/2024

পৃথিবী॥ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

Address

New York, NY

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Critique posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Videos

Share

Category