Moushumi’s vlog USA

Moushumi’s vlog USA I’m Moushumi Dhor. I am an passionate girl. I upload my lifestyle.
(10)

ছবির এই লোকটাকে টেনে হিছড়েও কেউ ট্রেন থেকে বের করতে পারেনি। তিনি মরে যাওয়ার আগে বারবার বলছিলেন, "আমার বউ বাচ্চা আগুনে প...
01/05/2024

ছবির এই লোকটাকে টেনে হিছড়েও কেউ ট্রেন থেকে বের করতে পারেনি। তিনি মরে যাওয়ার আগে বারবার বলছিলেন, "আমার বউ বাচ্চা আগুনে পুড়ে গেছে, আমি বের হয়ে কি করবো?"।
হায়রে জীবন ———

12/25/2023
আমার প্রিয় Domino’s Pizza .
12/24/2023

আমার প্রিয় Domino’s Pizza .

কেউ ঘর থেকে বেরিয়ে গেলে সঙ্গে সঙ্গে দরজা লাগাতে নেই - ছোটবেলায় মা শিখিয়েছিল। এই কথা যখন বলেছিল তখন আমি খুবই ছোট। এত ক...
12/18/2023

কেউ ঘর থেকে বেরিয়ে গেলে সঙ্গে সঙ্গে দরজা লাগাতে নেই - ছোটবেলায় মা শিখিয়েছিল। এই কথা যখন বলেছিল তখন আমি খুবই ছোট। এত কিছু বুঝিনি। খালি চোখ বুজে মেনে নিয়েছিলাম মায়ের কথা।বয়স বাড়ার সাথে সাথে অনেক কিছু ভুলে গেছি কিন্তু এটা ভুলিনি। এখনো দরজার লাগানোর সময় দেখি লোকটি কতদূর গেছেন, তারপর এমন আস্তে করে দরজা লাগিয়ে দিই যাতে যে চলে যাচ্ছে তার কানে টুঁ শব্দ যেন না পৌঁছায়।
জীবনে কিছুজন আসেন যাদের ছেড়ে দিতে কষ্ট লাগে। মনে হয় আঁকড়ে থাকি অনেকক্ষন। সময়ের অভিশাপে তাদের ছেড়ে দিতে হয়। ছেড়ে দিয়ে শেষ অব্দি দেখি পিছন ফিরে সে তাকায় কি না, ক্রন্দনরত চোখে ' আরেকটু থাকার আকুতি' লুকিয়ে আছে কি না।
তখন আর দরজা লাগাই না। শুধু তার চলে যাওয়া দেখি।

- Samadrito Majumdar

09/14/2023

মা আমার প্রথম ভালোবাসা , ভালোলাগা তুমি। কত বছর তোমাকে দেখিনা । তোমার শরীরের ঘ্রাণ পাইনা। তোমার হাতের সব রান্নাই আমার ভালো লাগে।কত বছর তোমার হাতের রান্না খাই না। রাতে যখন বাচ্চারা ঘুমিয়ে পড়ে সারাদিনের ক্লান্ত আমি তখন তোমায় ভাবি।দু-তিনদিন কথা না বললে তুমি কত টেনশনে থাকো মা। ফোনটা রিসিভ করেই আগে জানতে চাও শরীরটা ভালো আছে কি না।যখন বলো ‘আমার খবর নিস রে মা তর কথা না শুনলে আমার শান্তি লাগে না।’ চোখ গড়িয়ে তখন জল পড়ে মা তোমার কথা ভেবে।ভগবান সব সময় তোমাদের ভালো রাখুক ।

09/06/2023
09/05/2023

আম্মাকে তসবীহ হাতে গ্রিল ঘেঁষে নীরবে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কাঁদতে দেখছি অনেকক্ষণ ধরে।

কাছে যাবার সাহস হচ্ছেনা।

শেষ বিকেলের আলোতে যে এতো বিষাদ আগে কখনো খেয়াল করিনি!

আমার একমাত্র ভাই অনিন্দ্য গতকাল কানাডা চলে গেল।University of Toronto তে ও ফুল স্কলারশিপ পেয়েছে পিএইচডির জন্যে।

বলে গেছে ঘরে ফিরবে।কিন্তু আম্মা বিশ্বাস করছেন না।

তোমাদের যাদের বয়স ১৫-১৬ বছর তারা এই ছবিটা মনে রেখ।

'পড় পড় পড়!!' বলে এখন তোমার 'মাথা খাওয়া' মা টা একদিন দেখতে ঠিক এরকম হবে!

ঠিক মিলিয়ে নিও, একদিন তুমি অনেক বড় হবে স্রেফ এটুকুর বাইরে তোমার 'রাগী' মায়ের দোয়াতে আর কিচ্ছু ছিল না!

ভাবছ তো একদিন টাকা দেবে,বাড়ি দেবে, হীরা দিয়ে মুড়ে দেবে মাকে!

আমাদের অসহায়ত্ব এখানেই যে,আমরা যখন ছোট থাকি শাসনের আড়ালের মায়াটা দেখিনা!

আর যেদিন আমাদের বোঝার বয়স হয়, সেদিন হয় আমরা দূরে চলে যাই বা তাঁরা আল্লাহর মেহমান হয়ে যান।

কি অদ্ভূত একটা সম্পর্ক!

M Raquib Ehsan - Only Allah knows how much I will miss you!♥️

09/05/2023

৫১ বছর ধরে প্রেমিকার ছবি বুকপকেটে নিয়ে বেঁচে আছেন একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। নাম তানেসউদ্দিন। প্রেমিকার নাম জোহরা।

এক ইন্টারভিউতে বিয়ে কেন করেননি? প্রসঙ্গে তানেসউদ্দিন বলেছিলেন, ‘আমি এখনও স্বপ্নে জোহরাকে দেখি। জোহরার মতো সুন্দর কখনোই কাউকে লাগেনি।’

তানেসউদ্দিন আর জোহরার প্রেমের শুরু ১৯৬৪ সালে। তানেসউদ্দিন তখন ক্লাস টেনে পড়েন। আর জোহরা ক্লাস এইটে। কিশোর মনের চঞ্চলতা, ভীরুতা নিয়েই হয়েছিল প্রেমের শুরু।

জোহরার সঙ্গে দেখা করার জন্য প্রায়ই সন্ধ্যায় তানেসউদ্দিনকে মেঘনা নদী পার হতে হতো নৌকায় করে। দেখা করে আবার নৌকায়ই ফিরতেন তিনি। একদিন তাঁদের সন্ধ্যায় দেখা হওয়ার কথা। আগে থেকেই জোহরাকে খবর দেওয়া হয়ে গেছে। সন্ধ্যায় মেঘনা নদীর ওপারে জোহরা অপেক্ষা করছিলেন। এদিকে পারাপারের জন্য নেই কোনো নৌকা। কীভাবে ওপারে যাবেন তানেসউদ্দিন?

উপায় না পেয়ে সাঁতরে মেঘনা পার হয়েছিলেন তিনি। ওপারে উঠে জোহরার সঙ্গে দেখা করেন তিনি। সেই রাতে উত্তাল জোয়ারের মধ্যে সাচ্চা প্রেমিকের মতো ছুটে গিয়েছিলেন তিনি। এমন পাগলামীর জন্য জোহরার বকাও খেয়েছিলেন। তাতে কী? সম্পর্কের গভীরতাটুকু তো বোঝাতে পেরেছিলেন।

একসময় ঘনিয়ে এল মুক্তিযুদ্ধের বছর। সাল ১৯৭১।
চারদিকে যুদ্ধের ডাক। সেই ডাকে সাড়া দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন তানেসউদ্দিন। এ কথা শুনে কেঁদে বুক ভাসিয়েছিলেন জোহরা। প্রথমে আপত্তি করেছিলেন, কিন্তু পরে সম্মতি দিয়েছিলেন ঠিকই।

তানেসউদ্দিন জোহরাকে বলেছিলেন, ‘দেশ স্বাধীন করে তবেই তোমাকে বিয়ে করব। তুমি অপেক্ষা কইরো।’
বিদায় দেওয়ার সময় তানেসউদ্দিনকে খামে মোড়ানো একটি চিঠি দিয়েছিলেন জোহরা। খামের ভেতর ১০০ টাকার একটি নোট ছিল। আর চিঠিতে লেখা ছিল, ‘শুধু টাকাই রাইখো না, সঙ্গে আমার ভালোবাসাও রাইখো।’

কলকাতা, আগরতলায় যুদ্ধ প্রশিক্ষণ শেষে দেশে ফেরেন তানেসউদ্দিন। লোকেশন রেকি করেন। মিটিং করেন। শত্রুপক্ষের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েন। এভাবেই মুক্তিযুদ্ধের দিন কাটতে থাকে তাঁর। জোহরা কেমন আছে? কী করছে? এসব ভেবে মাঝেমধ্যে আনমনা হয়ে পড়েন। স্টেনগান মাথায় ঠেকিয়ে ভবিষ্যতের কথা ভাবতেন তানেসউদ্দিন।

দীর্ঘ নয়মাস পর যুদ্ধ শেষ হয়। যুদ্ধ শেষে তানেসউদ্দিন সর্বপ্রথম জোহরাদের বাড়িতে ছুটে যান। গিয়ে জানতে পারেন, জোহরা ও তার বাবাকে পাকিস্তানি মিলিটারিরা হত্যা করেছেন।

রণক্ষেত্রে বসেও যে মন পড়ে থাকতো মেঘনা নদীর কাছে, যেখানে উত্তাল স্রোত ঠেলে যেতে হয়। যেখানে চাঁদের আলোর নিচে জোহরার আঁচল বিছানো। সেই জোহরার স্থান হলো বুক পকেটে। ৫১ টা বছর মেয়েটি সেখানে আছে। সেখানেই থাকবে!

থাকুক 🙂

#সংগৃহীত

08/28/2023

কেউ খুব করে চলে আসতে চাচ্ছে আমেরিকায় ,চলেই আসে কোন এক ভোরে। কেউ দিন রাত টাকা টাকা করছে, টাকাও চলে আসে একটা সময়। কেউ পাগলের মত সফলতা খুঁজছে, সফল ও হয়ে যায় একদিন।

আমরা যেটা মন থেকে পেতে চাই, তার বেশীরভাগই একটা সময় পেয়ে যাই। শুধু এইসব পাওয়ার দৌঁড়ে যাদের সাথে সম্পর্ক ছেটে ফেলি, তাদের আর ফিরে পাইনা। অথচ প্রতিটা সফল মানুষই শেষ জীবনে ঘর নয়, আশ্রয় খোঁজে৷ টাকা নয়, কথা বলার মানুষ খোঁজে।
কি পাওয়ার জন্য কি হারাচ্ছি, সেই হিসাব করার সময় কই!
ℭ𝔬𝔩𝔩𝔢𝔠𝔱𝔢𝔡

মোরা ভোরের বেলা ফুল তুলেছি, দুলেছি দোলায়বাজিয়ে বাঁশি গান গেয়েছি বকুলের তলায়।হায় মাঝে হল ছাড়াছাড়ি, গেলেম কে কোথায়আবার দেখ...
08/11/2023

মোরা ভোরের বেলা ফুল তুলেছি, দুলেছি দোলায়
বাজিয়ে বাঁশি গান গেয়েছি বকুলের তলায়।

হায় মাঝে হল ছাড়াছাড়ি, গেলেম কে কোথায়
আবার দেখা যদি হল সখা, প্রাণের মাঝে আয়॥

08/06/2023

আজ কোর্টের ১৭ নম্বর এজলাসে এক অভিনব কেস উঠেছে। এক ভদ্রমহিলা জীবনের মধ্যাহ্ন পেরিয়ে এসে স্বামীর কাছ থেকে আলাদা হতে চান, নিঃশর্তে। অথচ, স্বামী তার স্ত্রীকে কিছুতেই ছাড়তে চান না।

বিষয়টা এইরকম -- চাকরিরতা স্ত্রী, বয়স প্রায় পঞ্চাশের কাছে, হঠাৎ করেই ইচ্ছেপ্রকাশ করলেন যে, আর সংসার করবেন না তিনি। সংসার করতে তার আর ভালো লাগছে না। তাই, সব কিছু থেকে নিজেকে মুক্ত করতে নিঃশর্তে ডিভোর্স চাইছেন দাম্পত্য জীবন থেকে। কিন্তু স্বামী চান, স্ত্রীর সাথে জীবনের শেষদিন পর্যন্ত কাটাতে। একমাত্র মেয়ে তার নিজের জীবনে প্রতিষ্ঠিত, তাই জীবনের বাকি সময়টা স্ত্রীয়ের সাথে একান্তে, আনন্দে কাটিয়ে দিতে চান তিনি।

কোর্টের চত্বরে বিশাল কৌতূহল -- বিচারক কার পক্ষে রায় দেবেন। কার দলিল কতটা পোক্ত জেতার জন্য।

শঙ্খনীল আর অনুপমা, দাম্পত্য জীবনের পঁচিশ বছর কাটিয়ে দিয়েছেন একসাথে। একটি মাত্র কন্যাসন্তানকে নিয়ে গড়ে ওঠা তাদের সংসারে কেউ কখনো অশান্তি দেখেনি। বাইরে থেকে সবাই জানতো এরা সবাই সুখী। এমনকি, শঙ্খনীল - অনুপমার বন্ধুমহলে ওরা স্বামী - স্ত্রী হিসেবে সেরা দম্পতির একটা উদাহরণও ছিল। সেই দম্পতির এমন কাহিনী যেন মেনে নেওয়া যায় না। পঁচিশ বছরের দাম্পত্য জীবনে যখন মানুষ রজত জয়ন্তী বিবাহবার্ষিকী পালন করেন, ঠিক সেই সময়েই অনুপমার এমন আইনি আপিল।

বিচারক জিজ্ঞেস করলেন অনুপমাকে, "আপনার স্বামী কি পরকীয়া করেন? "

অনুপমার উত্তর, "বর্তমানে আমার স্বামীর জীবনে আমি ছাড়া কেউ নেই। আমিই তার সবচেয়ে কাঙ্খিত নারী। "

বিচারক আবারও জিজ্ঞেস করেন, "তাহলে উনি কি অত্যাচারী? ডোমেস্টিক ভায়োলেন্স হয় আপনার সাথে? "

অনুপমা হেসে বলল, "মোটা টাকা মাইনে পাওয়া বৌয়ের ওপরে ডোমেস্টিক ভায়োলেন্স করতে পারেন কোনো স্বামী? আমার মনে হয় না, সে ক্ষমতা কোনো স্বামীর থাকতে পারে বলে? "

"তাহলে কেন ডিভোর্স চান আপনি আপনার স্বামীর থেকে ? আপনার সাথে কোনো খারাপ কিছু না হলে তো আর শুধু শুধু একটা সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে যেতে পারেন না আপনি ? "

বিচারকের এমন প্রশ্নে অনুপমা উত্তর দিতে শুরু করলো, "আজকের ভালোটুকু দেখেই আপনি বিচার করবেন ধর্মাবতার? আমার বিগত পঁচিশ বছরের প্রত্যেকটা দিনের কষ্ট, গ্লানি, চোখের জল, অমানসিক শারীরিক পরিশ্রম -- তার কি কোনো মূল্যই নেই ?

কলেজ জীবনে বন্ধুত্ব দিয়ে প্রেম আসে আমার জীবনে। দীর্ঘ সাত আট বছরের প্রেমের পরে আমাদের বিবাহিত জীবন শুরু হয়। বিয়ের পরেই দেখলাম, আমার স্বামীর মধ্যে থেকে সেই প্রেমিক হারিয়ে গেলো। সে তখন আমাকে তার মায়ের সাথে আপোষ করে চলার শিক্ষা দেয়, রান্না শিখে নিতে বলে, তার রোজকার জীবনের বহুকাজ আমার উপরে চাপিয়ে নিশ্চিন্তে স্বামী হওয়ার মজা লুটতে শুরু করেন। স্বামীর মায়ের কাছে আমি তখন একজন তুচ্ছ প্রতিদ্বন্দ্বী মাত্র, যাকে রোজ অতি তুচ্ছ কারণে হেনস্থা, অপমান করে আমার শাশুড়িমা মজা লুটছেন মআমি কিন্তু তখনও চাকুরীরতাই ছিলাম, ছিলাম অর্থনৈতিকভাবে পুরোপুরি সাবলম্বী। তবুও স্বামীকে কাছে পাবার লোভে শাশুড়িমায়ের দেওয়া সমস্ত গ্লানি হাসিমুখে মেনে নিয়েছি। লোভ ছিল একটাই, আমার স্বামীর মধ্যে যে প্রেমিক মানুষটি আছে সে তার প্রেম দিয়ে আমায় ভরিয়ে রাখবে। যতই অর্থনৈতিকভাবে সাবলম্বী হই না কেন, বাজারে তো আর প্রেম বিকোয় না, যে অর্থ দিয়ে কিনে নেবো। তাই নিজের উজাড় করা ভালোবাসা দিয়ে, তার সংসারে নিজেকে মানিয়ে নিয়ে, তার মায়ের সামনে নিজেকে চরম ব্যর্থ হিসেবে প্রমাণ করে আমি সেই প্রেমিকের প্রেম পেতে চেয়েছিলাম, কিন্তু পাইনি আমি সেই প্রেম।সেই প্রেমিক ভালোবাসার কবরে চাপা পড়ে গিয়ে একজন স্বামীকে ফিরিয়ে দিলো আমার কাছে, যে খুব ভালো সন্তান, যে খুব ভালো ভাই, আবার যে খুব ভালো বাবা, ভালো বন্ধু এমনকি ভালো বসও প্রমাণিত হলো।শুধু হতে পারলো না আমার প্রেমিক। ভালো প্রেমিক চাইনি,, প্রতিপত্তি থাকা, অর্থবান প্রেমিকও চাইনি। শুধু সামান্য একজন প্রেমিককে চেয়েছিলাম যার বিশাল হৃদয়টা শুধু আমার জন্য তোলা থাকবে, কিন্তু কিছুই হয়নি।

আমি সেই মানুষটার ভালোবাসার বাঁধনে পড়ে তার সন্তানের মা হলাম। সংসার, সন্তান, চাকরি -- সবকিছু সামলাতে গিয়ে যখন আমি নাজেহাল, যখন প্রতিদিন প্রতি ক্ষনে আমার শাশুড়িমায়ের গঞ্জনায় আমি অতিষ্ট, তখন আমার প্রেমিককে একটু পাশে চেয়েছিলাম, যে আমার পিঠের ব্যথায় তার হাতটা বুলিয়ে দেবে, যে অফিস শেষে তার ক্লান্ত শরীরটা নিয়েই আমার ক্লান্ত শরীরের পাশে দাঁড়িয়ে বলবে, "চলো, আজ দুজনে মিলে কাজগুলো সেরে ফেলি। আমি মানা করলেও সে বলবে, "ক্লান্ত তো দুজনেই, অফিস তো দুজনেই করেছি, তাহলে ঘরের সবটুকু তুমি একা করবে কেন? "

আমি চেয়েছিলাম সেই প্রেমিককে যে তার মায়ের গঞ্জনার সামনে দাঁড়িয়ে বলবে, "এর চেয়ে বেশি কিছু আমার অনুপমা করতে পারবে না। তুমি ওকে অপমান করবে না। ভুলে যেওনা, অনুপমা শুধু আমার স্ত্রীই নয়, সে আমার ভালোবাসাও। "

সে বলেনি ধর্মাবতার, আমার হয়ে একটি কথাও খরচ করেনি সে | বরং বাচ্চা হওয়ার পরে যখন তখন আমার শরীরে, পেটে স্ট্রেচের দাগ, পেটটা মোটা, রাতের পর রাত না ঘুমিয়ে চোখের কোণে কালি পড়ে গেলো, তখন আমার সেই কুশ্রী চেহারাটাকে সে অবজ্ঞা করতে শুরু করে। তার কাছে সে সময় চেহারায় চড়া রঙ মাখা অফিস কলিগটির দুঃখ ছিল বেশি গুরুত্বপূর্ণ। অফিসের পরেও বাড়ি ফিরে এসে তার সাথে চলতো ফোনে বার্তালাপ। আমি সব দেখেও চুপ ছিলাম। বহুবার আমার স্বামীর কাছে কাকুতি মিনতি করে বলেছি -- "আমি তোমার প্রেমিকা হতে চাই। কিন্তু আমার স্বামী তখন অন্য মহিলার মধ্যে প্রেমিকা খুঁজতে ব্যস্ত। আমি তবুও যাইনি আমার স্বামীকে ছেড়ে, বুকের মধ্যে পাথর চাপা দিয়ে অপেক্ষায় থাকলাম -- যদি আমার সেই হারিয়ে যাওয়া প্রেমিকটাকে ফিরে পাই কোনোদিন, এই আশায়।

মেয়েকে নিয়ে আমি তখনও আলাদা হতে পারতাম, কিন্তু হইনি। কারণ, আমি চাইনি, আমার সন্তান তার বাবার ভালোবাসা থেকে বঞ্চিত হোক। কিন্তু আমার স্বামী কি ভেবে দেখেছিলেন, তার প্রেম, তার ভালোবাসাকে যদি আমি তার মতোই অপমান করতাম, বেচে আসতাম অন্য কোনো পুরুষের কাছে, তাহলে তার কেমন লাগতো? সে ভাবেনি ধর্মাবতার, সে কোনোদিন আমার জায়গায় তাকে বসিয়ে ভাবেনি, আমার কষ্টটা কোথায়? বরং আমার কিঞ্চিৎ প্রতিবাদও তার পৌরুষকে নাড়িয়ে দিতো। আমার সিঁথিতে এক চিলতে করুণার সিঁদুর দিয়েছে বলে সে বহুবার অতি সহজে বলতে পেরেছে , "বৌ, বৌয়ের মতো থাকবে। "

হ্যাঁ, ধর্মাবতার , "বৌ".... বৌ হয়ে বেঁচে থাকতে হয়েছে আমায়, প্রেমিকা হতে পারিনি। একমাত্র মেয়ের যাবতীয় দায়িত্ব একা বয়ে চলেছি, নিঃশব্দে, যতই কষ্ট হোক না কেন আমার, মুখ ফুটে বলতে পারিনি। কারণ আমি জানতাম আমার সব অনুরোধের একটাই উত্তর আসবে -- "পারবো না।

আমার স্বামী আমাকে সেরা বৌয়ের শিরোপা দিয়েছেন তার বন্ধুমহলে। গর্ব করে বুক ফুলিয়ে বলেছেন -- "আমার বৌয়ের সাথে আমার কখন ঝগড়া হয় না। আমার বৌ ভীষণ এডজাস্টিভ। আমার ব্যক্তিগত জীবনে নাক গলায় না কখনো। "

কি করে নাক গলাবো বলুন তো? কি করে এডজাস্টিভ হবো না বলুন তো? তার ব্যক্তিগত জীবনটা তো তার একার ছিল। সে বিবাহিত হয়েও বিনা নোটিসে বন্ধুদের সাথে বেরিয়ে পড়তো ভ্রমণের পথে, রাতের পর রাত আড্ডা দিয়ে কাটিয়ে দিতেন নির্বিদ্বিধায়। কখনো জানতে চাননি, অনুপমার তাকে প্রয়োজন আছে কিনা ? তার ব্যক্তিগত জীবনটা যেমন একান্ত তার, আমার ব্যক্তিগত জীবনটাও কি আমার একান্ত ব্যক্তিগত নয়?

আমি দীর্ঘ পঁচিশ বছর ধরে স্ত্রীর ভূমিকা পালন করেছি, তেইশ বছর ধরে মায়ের ভূমিকা পালন করেছি, যে সন্তানকে নিজে যেচে পৃথিবীতে নিয়ে এসেছিলাম, তার প্রতি সমস্ত দায়িত্ব পালন করে তাকে জীবনে প্রতিষ্ঠিত করে দিয়েছি, সাবলম্বী করে দিয়েছি। নিজের জীবনকে শূণ্য করে সবার জীবনকে পরিপূর্ণ করেছি।

কিন্তু বিনিময়ে আমি কি পেয়েছি -- কিচ্ছু না। বরং প্রতিক্ষনে আমার ভিতরের প্রেমিকাকে একটু একটু করে মরতে দেখেছি আমি , অবসাদে নিঃশব্দে তাকে কাঁদতে দেখেছি আমি। সেই প্রেমিকাকে আমি বাঁচাতে পারিনি ধর্মাবতার। কিন্তু আমার মধ্যে যে মানুষটা বেঁচে আছে এখনও, তাকে আমি পূর্ণরূপে বাঁচতে দিতে চাই, সেই মানুষটার জীবনে যত শূণ্য আছে, তাকে তৃপ্তি দিয়ে পূরণ করতে চাই তাই জীবন সায়হ্ন -- এ এসে আজ বন্ধন মুক্ত হতে চাই আমি, সংসারের সব মেকি সম্পর্ক থেকে। আমি জানি, আজ আমার স্বামী আমাকে ছাড়তে চাননা, কারণ, দীর্ঘ পঁচিশ বছর ধরে আমার সেবা পেয়ে আমার সেবা পাওয়া তার অভ্যেসে দাঁড়িয়ে গেছে, আমি আজ তার একটা অভ্যেস, একটা অবলম্বন, বলতে পারেন অন্ধের যষ্ঠীর মতো। কিন্তু অন্ধ হলেই যষ্ঠীর প্রয়োজন হয়, একটা লাঠির প্রয়োজন হয় ; একজন পঙ্গুর জীবনে তার লাঠিটা তার প্রয়োজন হতে পারে, কিন্তু তার ভালোবাসা হতে পারেনা কখনো আমার স্বামীর কাছেও আমি ঠিক তাই। আজ আমি তার একাকিত্ব জীবনে প্রয়োজন মাত্র , তার ভালোবাসা নই।

আমি এখন ইচ্ছেমতো ভোরের সূর্য্য দেখতে চাই, ইচ্ছেমতো পড়ন্ত দুপুর অব্দি বিছানার আলিঙ্গনে জড়িয়ে থাকতে চাই, ইচ্ছে মতো পাহাড় হতে চাই, ইচ্ছেমতো নদী। আমি সারারাত জেগে ডায়েরির বুকে মুখ লুকোতে চাই, লিখে রাখতে চাই মনের সব অভিব্যক্তি। পরেরদিন সকালবেলায় উঠে কাউকে চা জলখাবার করে দেবার তাড়া যেন আমাকে জোর করে ঘুমের কোলে না নিয়ে যেতে পারে, আমি সেই চেষ্টাটাই করতে চাই, আমি স্বাধীন হতে চাই।

খুব বেশি দাবী কি করেছি ধর্মাবতার? একটা মেয়ে হয়ে জন্মেছি বলে, আমৃত্যু শুধু দান করে যাবো, পাবো না কিছুই ? মনুষ্যজীবন তো পেয়েছি ঈশ্বরের কাছ থেকে , তাকে উপভোগ করার অধিকার তো কোনো পুরুষ বা কোনো সমাজ কেড়ে নিতে পারে না আমার কাছ থেকে ?

তাই, বাঁধনমুক্ত হয়ে মুক্ত বিহঙ্গের মতো জীবনের শেষ কটা বছর নিজের মতো করে বাঁচতে চাই, জীবনের সব ব্যর্থতা আর শুন্যতাকে আনন্দ আর পরিতৃপ্তি দিয়ে পূরণ করতে চাই। তাই, জীবনের সব পিছুটান থেকে নিজেকে মুক্ত করতে চাই আমি। "

অনুপমার বক্তব্যে আদালতের এজলাস নিঃশব্দতায় ভরে গেলো। সত্যিই কি অনুপমা বেশি কিছু দাবী করেছে ? সত্যিই কি এই দাবী অনুপমার শুধু একার ? এই দাবী কি পৃথিবীর সব অনুপমার নয় ? পৃথিবীর সব অনুপমাই কি স্বামীর মধ্যে একজন প্রেমিককে খুঁজতে খুঁজতে ফুরিয়ে যায় না ?

উত্তর জানা নেই কারোরই। বিচারকও স্তব্ধ। জীবনের আদালতে বিচার করা যে শুধু কঠিনই নয়, সে বিচার যে বড়ো বেদনাদায়কও ।

-----------------------কত নারীর জীবন এভাবে চলে যায়
কত নারীর জীবন এই বেদনা বয়ে বেড়ায় 😪😪😪😪

ছবিটি ২০১৮সালের ৩ ফেব্রুয়ারী, ন্যাশানাল জিওগ্রাফিক চ্যানেল প্রকাশ করে।ছবিতে দুইটি সাপ দেখা যাচ্ছে, একটি অজগর আরেকটি কিং...
08/05/2023

ছবিটি ২০১৮সালের ৩ ফেব্রুয়ারী,
ন্যাশানাল জিওগ্রাফিক চ্যানেল প্রকাশ করে।
ছবিতে দুইটি সাপ দেখা যাচ্ছে, একটি অজগর আরেকটি কিং কোবরা। দুজনেই সাইজে বড় এবং দুজনেই নিজেকে শ্রেষ্ট আর ক্ষমতাবান বলে মনে করে।এক পর্যায়ে অজগরটি ,কিং কোবরাকে দম বন্ধ করে দেয় এবং কিং কোবরা অজগরটিকে কামড়ে দেয়। দুটি সাপই মারা গেছে, একটি শ্বাসরোধে এবং অন্যটি বিষে।
আর ঠিক এভাবেই মানুষ একে অপরকে ধ্বংস করে। ঠিক এভাবেই বন্ধুত্ব শেষ হয়, সম্পর্ক শেষ হয় এবং হিংসা বাড়িয়ে তোলে। কারণ একজন সব সময় অন্যের চেয়ে শ্রেষ্ঠ হতে চায় বা নিজেকে বড় বা ক্ষমতাবান প্রমাণ করার চেষ্টা করে।
আবার কিছু মানুষ তাদের শ্রেষ্ঠত্বের অহংকারে মাটিতে পা পড়ে না, ক্ষমতা প্রমাণের চেষ্টা করে এবং তারা একে অন্যের ক্ষতি না করা পর্যন্ত পরচর্চা, হিংসা এবং প্রতারণা করে থাকে !!!
সুতরাং এগুলো বাদ দিয়ে ভালবাসা, সহানুভূতি, আনুগত্য এবং সততা বেছে নিন। যাতে নিজের মঙ্গল হয় এবং সকলের মঙ্গল হয় ।

07/11/2023
06/17/2023

Great page. আপনার পেইজটা অনেক সুন্দর। এগিয়ে যান । শুভ কামনা রইল ।

06/10/2023

Hare Krishna Kirtan in Times square

06/10/2023

Five Island Park .

Address

Parkchester
New York, NY
10462

Telephone

+13472933532

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Moushumi’s vlog USA posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Videos

Share