08/04/2024
Solar Eclipse, Eclipse Prayer (Salatul Kusuf) and Things to do
-
One of the wives of the Prophet (PBUH) was Maria bint Shamʿun. She was better known as Maria al-Qibtiya. In her womb, a son was born to the Prophet (PBUH) in 630. The Prophet (PBUH) named him Ibrahim. After the Battle of Tabuk, at the age of sixteen or eighteen months, the baby Ibrahim fell ill and died within a few days. The Prophet (PBUH) was very saddened by his death and even shed tears.
Coincidentally, a solar eclipse began on the same day. Many Companions of the messenger then began to say that because of the death of the Prophet's infant son Ibrahim (RA), the sun eclipsed to show sympathy with his sadness. When the sun started to eclipse, the Prophet (PBUH) entered the Masjid pulling his cloak. The people are called (to assemble for Salat) by saying 'As-Salatu Jami'atun'. Immediately the companions also entered the mosque.
The Messenger of Allah (PBUH) stood in prayer with his companions. People lined up behind him. He said Takbeer. Then He recited a long Qira’at. Then he said Takbeer and remained in ruku‘ for a long time. Then he stood up and recited a Qira’at again for a long time without prostrating. But it was shorter than the first Qira'at. Then he said 'Allahu Akbar' and made a long ruku‘, but it was shorter than the first ruku‘. Then went to prostration. He did the same in the next rak‘ah and thus completed four rak‘ahs with four prostrations. By then the sun was eclipse-free and clear.
Then the Messenger of God (PBUH) stood up, praised God, and said, that the eclipse of the sun and moon are only two of the signs of God. They don’t happen because of anyone’s death or birth; Rather, Allah Ta'ala warns and scares His servants through them. So, whenever you see an eclipse, be afraid of God and offer prayer, supplicate to Allah, proclaim His greatness, and give charity.
People asked, O Messenger of God! We saw that you were grabbing something from your place, and we saw that you retreated. He said, “I saw Paradise and stretched out my hand to a bunch of grapes. If I could’ve got it, you could eat it until the end of the world. Then I was shown hell, I have never seen such a horrible sight as today. I also saw that most of the inhabitants of hell are women. People asked, O Messenger of God! For what reason? He said: Because of their denial. It was asked, do they deny Allah? He replied, they are disobedient to their husbands and refuse favors. If you treat one of them well throughout your life, and then she (if) receives a slight fault from you, they say, I never received good treatment from you.
He also said, "O Ummah of Muhammad! By Allah, no one dislikes more than Allah if a man commits adultery, or a woman commits adultery. O Ummah of Muhammad! By Allah, if you knew what I know, you would laugh less and cry more. Finally, he ordered everyone to seek refuge from the 'torment' of the grave.
The Solar eclipse happened only once during the lifetime of the Prophet (PBUH).
[I have written the text chronologically in the light of the 27 hadiths (hadith no. 1040 - 1066) of Sahih Bukhari's 'Solar Eclipse' chapter and various tafseer books.]
সূর্যগ্রহণ, সূর্যগ্রহণের সালাত (সালাতুল কুসুফ) ও আমাদের করণীয়
-
রাসূল (সা)-এর একজন স্ত্রীর নাম ছিল মারিয়া বিনতে শামʿঊন। তিনি মারিয়া আল-কিবতিয়া নামে অধিক পরিচিত ছিলেন। তার গর্ভে ৬৩০ সালে রাসূল (সা)-এর এক পুত্র-সন্তান জন্মগ্রহণ করেন। রাসূল (সা) তাঁর নাম রাখেন ইবরাহীম। তাবুক যুদ্ধের পরে ষোল বা আঠারো মাস বয়সে শিশু ইব্রাহিম (রা) অসুস্থ হয়ে পড়লেন এবং কিছুদিনের মধ্যেই ইন্তেকাল করলেন। তাঁর মৃত্যুতে রাসূল (সা) অত্যন্ত ব্যথিত হন, এমনকি কেঁদে অশ্রু বিসর্জন করেন।
ঘটনাক্রমে ঐ দিন সূর্যগ্রহণ শুরু হয়। অনেক সাহাবী এসময় বলাবলি করতে লাগলেন যে নবী (সা)-এর শিশুপুত্র ইবরাহীম (রা) মৃত্যু-বরণ করার কারণে তাঁর ব্যথায় সমব্যথী হয়ে সূর্যগ্রহণ লেগেছে। যখন সূর্যগ্রহণ হচ্ছিল, তখন নবী (সা) চাদর টানতে টানতে মসজিদে প্রবেশ করলেন। ‘আস্-সলাতু জামি’আতুন’ বলে লোকজনকে (সালাতে সমবেত হবার জন্য) আহ্বান জানানো হল। সাথে সাথে সাহাবীরাও মসজিদে প্রবেশ করলেন।
আল্লাহ্র রাসূল (সা) সাহাবীগণকে নিয়ে সালাতে দাঁড়িয়ে গেলেন। লোকেরা তাঁর পিছনে সারিবদ্ধ হলো। তিনি তাক্বীর বললেন। দীর্ঘ কির’আত পাঠ করলেন। এরপর তাক্বীর বললেন এবং দীর্ঘক্ষণ রুকূ’তে থাকলেন। তারপর দাঁড়ালেন এবং সিজদায় না গিয়েই আবার দীর্ঘক্ষণ কির’আত পাঠ করলেন। তবে তা প্রথম কিরাআতের চেয়ে অল্পস্থয়ী। এরপর ‘আল্লাহু আকবর’ বললেন এবং দীর্ঘ রুকূ’ করলেন, তবে তা প্রথম রুকূ’র চেয়ে অল্পস্থায়ী ছিল। এরপর সিজদায় গেলেন। পরবর্তী রাকা’আতেও তিনি অনুরূপ করলেন এবং এভাবে চার সিজদার সাথে চার রাক’আত পূর্ণ করলেন। ততক্ষণে সূর্য গ্রহণ-মুক্ত হয়ে পরিষ্কার হয়ে গেল।
অতঃপর আল্লাহ্র রাসূল (সা) দাঁড়িয়ে আল্লাহ্র যথাযোগ্য প্রশংসা করে বললেন, সূর্যগ্রহণ ও চন্দ্রগ্রহণ আল্লাহ্র নিদর্শন সমূহের মধ্যে দু’টি নিদর্শন মাত্র। কারো মৃত্যু বা জন্মের কারণে গ্রহণ হয়না; বরং আল্লাহ্ তা’আলা এর মাধ্যমে তাঁর বান্দাদের সতর্ক করেন ও ভয় দেখান। কাজেই যখনই তোমরা গ্রহণ হতে দেখবে, তখনই ভীত হয়ে সালাত আদায় করবে, আল্লাহ্র নিকট দু’আ করবে, তাঁর মহত্ব ঘোষণা করবে এবং সদকাহ প্রদান করবে।
লোকেরা জিজ্ঞেস করল, হে আল্লাহ্র রসূল! আমরা দেখলাম, আপনি নিজের জায়গা হতে কি যেন ধরেছেন, আবার দেখলাম, আপনি যেন পিছনে সরে এলেন। তিনি বললেন, আমি জান্নাত দেখেছিলাম এবং এক গুচ্ছ আঙ্গুরের প্রতি হাত বাড়িয়েছিলাম। আমি তা পেয়ে গেলে দুনিয়া কায়িম থাকা পর্যন্ত তোমরা তা খেতে পারতে। অতঃপর আমাকে জাহান্নাম দেখানো হয়, আমি আজকের মত ভয়াবহ দৃশ্য কখনো দেখিনি। আমি আরও দেখলাম, জাহান্নামের অধিকাংশ বাসিন্দা নারী। লোকেরা জিজ্ঞেস করল, হে আল্লাহ্র রাসূল! কী কারণে? তিনি বললেনঃ তাদের কুফরীর কারণে। জিজ্ঞেস করা হল, তারা কি আল্লাহ্র সাথে কুফরী করে? তিনি জবাব দিলেন, তারা স্বামীর অবাধ্য থাকে এবং ইহ্সান অস্বীকার করে। তুমি যদি তাদের কারো প্রতি সারা জীবন সদাচরণ কর, অতঃপর সে তোমার হতে (যদি) সামান্য ত্রুটি পায়, তা হলে বলে ফেলে, তোমার কাছ থেকে কখনো ভাল ব্যবহার পেলাম না।
তিনি আরো বললেন, “হে উম্মাতে মুহাম্মাদী! আল্লাহ্র কসম, আল্লাহ্র কোন বান্দা যিনা করলে কিংবা কোন নারী যিনা করলে, আল্লাহ্র চেয়ে অধিক অপছন্দকারী কেউ নেই। হে উম্মাতে মুহাম্মাদী! আল্লাহ্র কসম, আমি যা জানি তা যদি তোমরা জানতে তাহলে তোমরা অবশ্যই হাসতে কম এবং বেশী করে কাঁদতে। পরিশেষে তিনি সবাইকে কবরের ‘আযাব হতে আশ্রয় প্রার্থনার আদেশ করলেন।
রাসূল (সা)-এর জীবদ্দশায় এই একবার-ই সুর্যগ্রহণ হয়েছিল।
[সহীহ বুখারীর ‘সূর্যগ্রহণ’ অধ্যায়ের ২৭ টি হাদীস (হাদীস নং ১০৪০ - ১০৬৬) এবং বিভিন্ন তাফসীর গ্রন্থের আলোকে ঘটনাক্রম অনুযায়ী লেখাটি লিখেছি।]