08/15/2021
রবার্ট ডব্লুউ ম্যালোন, এমআরএনএ ভ্যাকসিন আবিষ্কারে যে কয়জন বিজ্ঞানীর অবদান আছে, তার মধ্যে একজন। তিনি সম্প্রতি টুইটারে বলেছেন-
এক ইসরাইলি বিজ্ঞানি তাকে বলেছে, ফাইজার কোম্পানি আর ইসরাইল গর্ভমেন্টের সাথে নাকি একটা চুক্তি হয়েছে, তাদের দেশে করোনা ভ্যাকসিন দেয়ার ফলে যে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হচ্ছে, তা আগামী ১০ বছরে মধ্যে প্রকাশ করা যাবে না।
এ কথা পড়ে আমার একটা কথা মনে হচ্ছে,
ভ্যাকসিন কোম্পানিগুলোর সাথে বাংলাদেশে সরকারেরও কি এমন কোন গোপন চূক্তি হতে পারে ? যে গোপন চূক্তি অনুসারে- বাংলাদেশে ভ্যাকসিন নেয়ার পর তার কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া প্রকাশ করা যাবে না ?
কয়েকদিন আগে একজন বিসিএস ডাক্তারের সাথে অনলাইনে কথা হচ্ছিলো।
সে জানালো- প্রতিদিন করোনায় যে লোক মারা যায়, তাদের মধ্যে কতজন ভ্যাকসিনেটেড ছিলো, সেই তথ্য সরকারের আছে। সরকার প্রতি জেলায় জেলায় কোভিড তথ্য সংগ্রহ করে। প্রতিদিন যে দুই-আড়াইশ’ লোক মারা যায়, তাদের আত্মীয় স্বজনদের কাছে ফোন করে জেলা কোভিড তথ্য কেন্দ্র জেনে নেয় অনেকগুলো তথ্য। তারমধ্যে একটি তথ্য হচ্ছে, ঐ লোক এক বা দুই ডোজ ভ্যাকসিন নিয়েছিলো কি না?
টিকা দেয়ার পর অনেকে তৎক্ষণাত হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোক করে মারা যাচ্ছে সেই হিসেব বাদ দিলাম। অনেকে কোভিড আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছে, এই তথ্য কিন্তু সরকারের কাছে আছে। কিন্তু আমি অনলাইনে থেকে বিচ্ছিন্নভাবে কিছু তথ্য সংগ্রহ করে দেখেছি- টিকা নেয়ার পর করোনায় মৃত্যু হার কিন্তু কম না, অনেক। সরকার কাছে সেই হিসেব পুরোপুরি আছে। কিন্তু দুঃখজন বিষয় এখন পর্যন্ত সরকার প্রকাশ করেনি, ভ্যাকসিন নিয়ে এখন পর্যন্ত কয়জন করোনায় মারা গেছে, কিংবা ‘আজকে যতজন মারা গেলো, তাদের মধ্যে এতজন এক বা দুই ডোজ ভ্যাকসিনেটেড ছিলো। ’
হতে পারে, তা ভ্যাকসিন কোম্পানিগুলোর সাথে গোপন চূক্তির কারণ। অথবা এ তথ্য যদি সরকার এখন প্রকাশ করে, তবে হয়ত অনেক মানুষ ভয়ে ভ্যাকসিনই নিবে না। ফলে লকডাউন তুলে দেয়া যাবে না।
এ সম্পর্কে বলতে হয়, গত মার্চের মাঝামাঝি ঢাকা সিএমএইচের আইসিইউ ইনচার্জ বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মাসুদের দেয়া তথ্যে জেনেছিলাম, গত ফেব্রুয়ারীর শুরুতে দেশে ভ্যাকসিন দেয়া শুরু হয়, তার ১৫ দিনের মধ্যে সিএমএইচের আইসিইউ’র ৫০% রোগী ছিলো ভ্যাকসিনেটেড। (সূত্র- কমেন্টে)
একইভাবে, গত এপ্রিল-মে মাসে খবর নিয়ে জেনেছিলাম, পিজির আইসিইউ’র একটা বড় অংশ ছিলো ভ্যাকসিন নেয়া লোক।
আসলে ‘ভ্যাকসিন ভালো’, ‘ভ্যাকসিন ভালো’- সারা দিন মুখে আপনি যতই জপ করেন, মানুষের মনের মধ্যে সত্য বিশ্বাসটা তখনই আসবে, যখন আপনি নিজে সত্য নিয়ে লুকোচুরি না করে, সত্যটা খোলাখুলি প্রকাশ করবেন। যখনই পাশ্বপ্রতিক্রিয়ার বিষয়টি নিয়ে লুকোচুরি করবেন, তখন বুঝতে হবে কোন একটা ঝামেলা আছে। যেভাবে কোন সেলসম্যান তার পণ্যের দোষ-ত্রুটি লুকিয়ে পণ্য সেল করে, ঠিক একইভাবে আপনিও ভ্যাকসিনের দোষ-ত্রুটি লুকিয়ে ভ্যাকসিন বিক্রি করছেন।