02/19/2024
তিশার বাবার উচিত মুশতাকের মেয়েকে বিয়ে করা, তাহলে মুশতাক বুঝতে পারবে কেমন লাগে!
হেই, ইউ!
লাড়ালাড়ি করে বাড়াবাড়ি করোনা।
তিশার বাবার উচিত মুশতাকের মেয়েকে বিয়ে করা, তাহলে মুশতাক বুঝতে পারবে কেমন লাগে!
একটা হলুদ গামছাও নেই যে পেচিয়ে পোস্ট দেবো "বসন্ত এসে গেছে"
আজকালকার ভালোবাসা ফুল দিয়ে শুরু। আর ফার্মেসিতে শেষ।
ইন্ডিয়ান এক পর্নস্টারের ভিডিও দেখলাম। হাত জোড় করে নমষ্কারের ভঙ্গিতে উনি বলতেছেঃ
আপনাদের আশীর্বাদে এবং ভগবানের কৃপায় আমি আজকে এই অবস্থানে আসতে পেরেছি।
ব্যাপারটা ভালো লাগলো
Share 😂
সেইসব ছেলেরা জীবনে প্রথমবার ভোট দিয়ে আঙ্গুল এর ছবি দেখাইছেন তারা প্রথমবার বাবা হইলে কিসের ছবি দেখাবে?
শেয়ার করে দিন...
আপনার পরিচিত কার চরিত্র সেফুদার সাথে মিলে যায়?
একটি সুন্দর গল্প..
কোন এক হোস্টেলে ১০০ জন ছাত্র ছিল। তাদের টিফিনে প্রতিদিন "সিঙ্গাড়া" দেওয়া হত। কিন্তু ১০০ জনের মধ্যে ৮০ জনই প্রতিদিন এই একই খাবার খেতে চাইতো না। তারা টিফিনে অন্য কিছু খাবারের জন্য হোস্টেল সুপারের কাছে আবেদন জানালো। কিন্তু বাকি ২০ জন প্রতিদিন সিঙ্গাড়াই খেতে চাইলো।
অবশেষে হোস্টেল সুপার ভোটের ব্যবস্থা করলেন এবং বললেন, যে খাবার সর্বাধিক ভোট পাবে সেই খাবারই প্রতিদিন টিফিনে দেওয়া হবে।
ভোটে দেখা গেলো, ওই ২০ জন ছাত্র প্রতিদিন সিঙ্গাড়ার পক্ষেই ভোট দিয়েছে। বাকি ৮০ জন ভোট দিয়েছে ঠিক এইভাবে-
ডালপুরি - ১৮ জন
পরোটা ও সবজি - ১৬ জন
রুটি ও ছোলার ডাল - ১৩ জন
মাখন পাউরুটি - ১১ জন
নুডুলস্ - ১০ জন
ভেজিটেবল রোল - ৭ জন
এগটোস্ট - ৫ জন
ফলাফলে সেই সিঙ্গাড়া সর্বাধিক ভোট পাওয়ায় টিফিনে প্রতিদিন সিঙ্গাড়া দেওয়াই চলতে লাগলো...
👉বর্তমান বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো ঠিক ঐ ৮০ ভাগ ছাত্রের মতোই। একই দাবিতে তারা ভিন্ন পথে চলতেছে।
যতদিন ৮০ শতাংশ মানুষ নিজেদের স্বার্থপরতা নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত থাকবে, ততদিন ২০ শতাংশ মানুষই তাদের শাসন করবে।
মাইয়ার বাপেরা ২৫ বছর বয়সে আমাদের থেকে এমন কিছু চায়,যেটা তার নিজের বানাইতেই ৫০ বছর লাগছে।
Wait for the end
SAVAGE 😂
Just imagine *
রাতে Washroom এ গিয়ে দেখলেন আপনি আগে থেকেই ওখানে বসে!
কি কাটার কথা বলছে কমেন্টে জানিয়ে দাও
আপনার টাইম আউট হওয়া বন্ধুকে মেনশন দিন।
বন্ধুর বউ কইলো, তোমার বন্ধু আর ম্যাথিউস একই রকম...
না খেলেই আউট হয়ে যায়।
২০০৭ সালের কথা। ফখরুদ্দিন ক্ষমতায়। হঠাৎ চালের দাম বেড়ে যাচ্ছে। আন্তর্জাতিক বাজারের দোহাই দিয়েও মানুষকে বোঝানো যাচ্ছে না। হঠাৎ করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার একটা ফর্মুলা আবিস্কার করল -- 'ভাতের বদলে আলু খান, চালের উপর চাপ কমান।'
রেডিও টেলিভিশনে আলুর নানাবিধ গুণাগুণ প্রচারিত হতে লাগলো। বিটিভিতে সকাল বিকাল মমতাজ গান গাইতে শুরু করলেন,
'আমার একজন ভাবী আছে খুবই আলাপী ,
মাঝে মাঝে আলু দিয়ে বানায় জিলাপী।'
এখন চাল আর আলুর দাম সমান দেখে ষোল বছর আগের মমতাজ এর গাওয়া গান মনে পড়ছে,
'রাইতে যখন খাইতে বসে আমার ঘরের কর্তা,
একটু দিলে আরেকটু চায় সিদ্ধ আলুর ভর্তা।'
আজকে এলাকার এক মুরব্বি মারা গেছে সেজন্য মসজিদে বিরানী দিছে। এত কম দিছে। দেখলে কি বলবেন। এইভাবে আসলে দোয়া পাওয়া যায়না। এটা নেয়ার জন্য আবার মানুষ এত ধাক্কাধাক্কি করলো। হায়রে ভাই, আমাদের যত টাকা আছে আমরা চাইলে প্রতিদিন বিরানী খেতে পারি, সারাজীবন । এনিটাইম। মানে যখন খুশি তখন। খানা নিয়ে কঞ্জুশি করিনা। আপনারা সামান্য জিনিসের জন্য এমন করেন। দেখলে নিজের কাছেই নিজে ছোট হয়ে যাই। কি আর বলবো।
প্রায় প্রতি সপ্তাহে উচ্চশিক্ষা সংক্রান্ত বিভিন্ন সেশনে কথা বলার সুযোগ হয়, আমি উচ্চশিক্ষার স্বপ্নবাজদেরকে শুরুতেই কমন একটি প্রশ্ন করি, কেন বিদেশে উচ্চশিক্ষায় যেতে চাও?
কালবিলম্ব না করে উত্তর আসে, Secure Life তথা জীবনের নিরাপত্তার জন্য ভাইয়া। কিন্তু উত্তর আশার কথা ছিলো, নির্দিষ্ট সাবজেক্টে উচ্চশিক্ষা নিয়ে, বিশেষজ্ঞ হয়ে, স্কিলড হয়ে দেশে ফিরে এসে দেশের জন্য কাজ করতে চাই।
নাহ! এই উত্তর খুব একটা আসে না। সবাই যেন, পালিয়ে বাঁচতে চায়। জীবনের নিরাপত্তাহীন হয়ে, উদ্দেশ্যহীন হয়ে সবাই কোনো রকম দেশ থেকে বের হতে পারলেই যেন মুক্তি পায়।
একটি দেশের জন্য এর চেয়ে দুর্ভাগ্য আর কি হতে পারে? দেশের সবচেয়ে মেধাবী মুখগুলো দেশ ছেড়ে চলে যেতে যায়। যেখানে সামান্য বৃষ্টিতেও সিটি করপোরেশনের অব্যবস্থাপনার কারণে রাস্তায় মানুষ মরে পড়ে থাকে, সেখানে কেনইবা তারা বলবে না, ভাইয়া সিকিউরড লাইফের জন্য বিদেশে চলে যেতে চাই।
এত উন্নয়ন দিয়ে কি হবে, যদি দেশকে তরুণরা ভালোবাসতেই না পারে। উচ্চশিক্ষায় গিয়ে আবার ফিরে আসার সাহস করতে না পারে! এতটা অব্যবস্থাপনা যুদ্ধবিধ্বস্ত কোনো দেশেও নেই।
বৃষ্টির সময় দূর্ঘটনা এড়াতে বৈদ্যুতিক লাইন সম্পর্কে যে সকল সতর্কতা অবলম্বন জরুরী-
> ভেজা বৈদ্যুতিক খুটি/পোল হাত দিয়ে স্পর্শ করবেন না বা ধরবেন না।
> পড়ে থাকা বৈদ্যুতিক তার/কন্ডাকটর হাত দিয়ে ধরা বা সরানো থেকে বিরত থাকুন।
> কোন পোল/খুটি হেলে বা পড়ে গেলে সংশ্লিষ্ট অফিসের অভিযোগ কেন্দ্রে তৎক্ষণাৎ জানিয়ে দিন।
> তার/কন্ডাকটর ছিড়ে বা খুলে পড়ে থাকলে সংশ্লিষ্ট অফিসের অভিযোগ কেন্দ্রে তৎক্ষণাৎ জানিয়ে দিন।
শিশুদেরকে বৈদ্যুতিক লাইন ও খুটি হতে নিরাপদ দূরত্বে রাখুন।
> পানিতে বৈদ্যুতিক তার/কন্ডাকটর পড়ে থাকলে সেই পানিতে নামবেন না।
> লাইনের উপর গাছ বা গাছের শাখা পড়ে থাকলে সেই গাছ বা গাছের শাখা নিজে সরাতে যাবেন না, বিদ্যুৎ অফিসের অভিযোগ কেন্দ্রে কিংবা জরুরী সেবা কেন্দ্রে তৎক্ষণাৎ জানিয়ে দিন।
ক্রিকেটার তানজিম হাসান সাকিব অথবা আমি, আমরা প্রত্যেকটা মানুষের সাইকোলজি, ফিলোসফি, উপলব্ধি, পছন্দ, অপছন্দ, ফ্যান্টাসি মানুষ ভেদে ভিন্ন এবং এটাই স্বাভাবিক।
মানুষ ভেদে ধর্ম আলাদা, সংস্কৃতি আলাদা, রীতি, নীতি অনেক কিছুই আলাদা।
সবকিছু বাদ দিয়ে সরল নিয়মে বলি,
কত মানুষ তো কতকিছু নিয়েই বলছে, বলে। এটা যার যার বাকস্বাধীনতা অথবা ব্যক্তি বিশেষ চিন্তাভাবনা। কিন্তু, আমরা কাউকে পুরোপুরি অনুসরণ করি? কারো কথা শুনে পুরোপুরি বদলে যাই? সমাজ বদলায়? আপনি বদলান?
উত্তর, না। আমরা আমাদের মতোই চলি।
আমরা নিজেই তো নিজের কথা শুনি না৷ আমরা অবশ্যই বুঝতে পারি, দেখতে পাই যে,
কোনটা আমাদের জীবনের সাফল্য বয়ে আনবে, কোনটা আনবে না। অথচ কয়জন ব্যক্তি নিজেই নিজের কথা শুনি আমরা?
যেখানে আমরা আমাদের নিজের ভালোর জন্য বদলে যেতে পারি না শত, শত বই পড়ে, ক্লাস করে। সেখানে ক্রিকেটার তানজিম হাসান সাকিবের মন্তব্য নারীদের বদলিয়ে ঘরে রাখতে পারবে নাকি পেরেছে? একজন ক্রিকেটারের মন্তব্যে বা স্টাটাসে পুরো সমাজ রসাতলে চলে যাবে বলে আপনার মনে হয়? কখনোই না৷
তাহলে একজন মানুষের বক্তব্য নিয়ে এতোকিছু কেনো? কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর কি আছে? আপনার মতামত একরকম তার মতামত অন্যরকম। তার মন্তব্য তার কাছে। আপনার মন্তব্য আপনার কাছে। ভালো লাগলে ভালো। না লাগলে এড়িয়ে যান। কিন্তু, তার বাকস্বাধীনতা বা বিশ্বাসে হস্তক্ষেপ করা কতটুকু যুক্তিযুক্ত?
মুসলিম তার বক্তব্য রাখবে, হিন্দু তার বক্তব্য রাখবে৷ খ্রিষ্টান, বৌদ্ধ, সনাতন যে যেই ধর্মের হোক সেই অনুযায়ী বক্তব্য রাখবে৷ পৃথিবীতে আনুমানিক দশ হাজার ধর্মের মানুষ রয়েছে৷ প্রত্যেকটা ধর্মের নিজিস্ব বক্তব্য আছে এবং তা তারা অনুসরণ করতে বলে। যে মানুষ কোন ধর্মই বিশ্বাস করে না তারও নিজের ব্যক্তি মতামত আছে। তাই বলে কি আমরা সবাই সবাইকে মানি? মানতে চাই? অথবা চাইলেও তা মানা যাবে? যায়?
উত্তর পরিষ্কার। যে যার জায়গায় আছে৷ কোন দেশে বিয়ে ছাড়া সন্তান নেওয়া অপরাধ, কোন দেশে এটাই আবার রীতি। সমস্যা তো নাই। যার যার ব্যপার।
তাহলে এক তানজিম হাসান সাকিবের মন্তব্য নিয়ে এতোকিছু?
আমি লেখার শুরুতেই কিছু কথা উল্লেখ করেছি তা থেকেই আপনার ধারণা করে নেওয়া উচিত সারমর্ম।
আমরা যদি এতোই অন্যের কথা শুনি মোটিভেট হতাম তাহলে ছোট বেলায় স্কুলের দেয়ালে যেসব বড়ো বড়ো লেখকদের উক্তি ও বাণী পড়তাম তা পড়ে সেরকম মানুষ হতাম। অমানুষ এতো কোথা থেকে এলো?
আরেকটা কথা,
ক্রিকেটার তানজিম হাসান সাকিব তার ধর্মীয় কথা সে বলতেই পারে। তা নিয়ে এতো হইচই, কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করা মানুষ হিসেবে কি যায়?
যেসব কানে নেওয়ার কথা না। সেসব খুব কানে নিয়ে হইচই করি৷ যা নিয়ে আওয়াজ তোলা দরকার তা নিয়ে কয়জন মন্তব্য করি আমরা?
তারচেয়ে বড়ো কথা আওয়াজ তুলতে হলে সবকিছু নিয়ে তুলুন।
মুদ্রাস্ফীতি নিয়ে তুলুন, বাজার নিয়ে তুলুন, বাজেট নিয়ে তলুন, জিডিপি নিয়ে তুলুন এবং যেসব রাগোব বোয়াল দেশের টাকা পাচার করছে তাদের নিয়ে তলুন, দুর্নীতি, ঘুষ, অব্যবস্থাপনা নিয়ে তুলুন।
ক্রিকেটার তানজিম হাসান সাকিবের মন্তব্যে কিচ্ছু পরিবর্তন হবে না, হওয়ার কথাও না। সবাই সবার মতোই চলবে, চলছে, অতীত তাই বলে।
কিন্তু,
দেশ রসাতলে গেলে আমি, আপনি, আমরা সবাই কোনতলে যাবো তা নিয়ে ভেবেছেন?
শেয়ার করে দিন
ব্যাংকে পিন নাম্বারে টাকা তুলতে গিয়েছিলাম!
ডেস্কের সুন্দরী ম্যাডাম বললেন,
আমার কাছে ফোন দেন আমি লিখে দিচ্ছি।
আমি হাসি মুখে ফোনখানা এগিয়ে দিলাম,
পিন নাম্বার তুলার জন্য সেটাই আমার জন্য কাল হয়ে দাঁড়াইছে।
মাত্র দুইটা সংখ্যা তুলছে তখনি মেসেঞ্জারে মেসেজ আসছে একদম ফোনের স্ক্রিনের সামনে,
বাবু তুমি খেয়ে নিও। তুমি না খেলে আমার পেটে ভাত হজম হয় না।
সুন্দরী ম্যাডামটা মেসেজ দেখে মুচকি হেসে বললেন, প্রেমিকা খুব ভালোবাসে দেখা যাচ্ছে।
একটু পরে আরেকটা আইডি থেকে মেসেজ,
জান তুমি তাড়াতাড়ি অনলাইনে আসো আমি তোমাকে মিস করতেছি।
এবার ম্যাডাম চোখ ত্যাড়া করে বললেন,
বাহ দুইজন প্রেমিকা।
৬টা সংখ্যা লিখা শেষ হতেই আরেকটা মেসেজ,
বাবু আমার দম বন্ধ লাগছে তাড়াতাড়ি এসে চুমু দিয়ে অক্সিজেন দাও।
এই মেসেজ দেখে মন চাইছিল ধরে পিডাই,
এত ভালোবাসা দিতে কে বলছে?
ক্যান যে ডাটা অফ করলাম না।
ম্যাডাম এবার রাগি রাগি চেহারা বানিয়ে বললেন, প্রেমিকাদের গোডাউন খুলে বসেছেন।
পিন নাম্বার লিখে ফর্ম ফিলাপ করে হাতে ধরিয়ে বললো, নাম্বারটা দিয়ে যান।
দেখতে হবে কিভাবে এতো মেয়ে পটাইছেন!
ম্যাডামকে নাম্বার দিয়ে চলে আসছি,
রাতে ফোনও দিছেন। প্রায় ঘন্টা তিনেক গল্প করার পর,
ম্যাডামও বলতে শুরু করলেন তোমাকে বড্ড ভালোবেসে ফেলেছি।
তোমারে ছাড়া নিঃশ্বাস বন্ধ বন্ধ লাগছে..!
সব মুসিবত কেনো যে আমার উপর এসে পরে,
এর কারণ খুঁজে পাই না..!!😷😑🙃🤦♂️
বাজারে গেছিলাম মুরগী কিনতে!!
মুরগিওয়ালাকে বললাম,"একটা বগুড়ার মুরগী দেও!!"
মুরগিওয়ালা একটা মুরগি দিয়া বললো,"এই নেন বগুড়ার মুরগি!!"
মুরগীর পাছা দেখে বললাম,"অই মিয়া, এইডা তো বগুড়ার মুরগী না।
এটা যশোর এর মুরগী!!
মুরগিওয়ালা অনেক খুঁজে আরেকটা মুরগি দিয়া কইলো,"এই নেন, বগুড়ার মুরগি!!
আবার মুরগীর পাছা দেখে কইলাম,"ধুর মিয়া, এইডাও তো বগুড়ার মুরগি না।
এটা ফরিদপুরের মুরগী!!"
মুরগিওয়ালা এবার অনেকক্ষন খুঁজে আরেকটা মুরগি দিয়া কইলো,"এই নেন, এইটা তো বগুড়ার মুরগি হইবোই!!"
এবার আমি রাইগা কইলাম,"কি মিয়া
কি ব্যবসা কর??
একটা মুরগিও চিনো না??
তোমার বাড়ি কই?
এইবার মুরগিওয়ালা পিছন ফিরে লুঙ্গি উপরে তুইলা আমাকে কইলো,,,
"আপনেই আমার পাছা দেইখা কইয়া দেন আমার বাড়ী কই!!"
শনিবার সকালটা নষ্ট হলো ছেলের কলেজে টিচার-প্যারেন্টস মিটিং নামক এক শাউয়ার আয়োজনে। সেখানে গিয়ে এক ছাত্রীর মা আমাকে বললেন, দ্বিতীয় স্ত্রী হওয়ার পরও তাকে তার স্বামী অত্যাধিক ভালোবাসে। এ জন্য দুবাই থেকে তাকে গতমাসে ৮ ভরির বালা এনে উপহার দেওয়া হয়েছে। তিনি বাসায় গয়না রাখার জায়গা পাচ্ছেন না ইদানিং। ব্যাংকের সেফ কতটা নিরাপদ? অন্যদিকে আরেক ছাত্রীর মা জানালেন, তার খালাতো বোনের ছেলের এবার বিসিএস হয়ে গিয়েছে। তার মেয়েকে এই ছেলের সাথেই বিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। মেয়ে রাজি না। যার ফলে কঠোর ব্যবস্থার এন্তেজাম করা হচ্ছে। আর এদিকে এক ছাত্রের বাবা প্রতি দশ মিনিটে দু'বার করে এসে জানতে চেয়েছেন, ভাইসাহেব, আগুন হবে?
এতোসব ধনফন ডিল করে যখন ক্লাস টিচারের সাথে বসার সিরিয়াল এসেছে, তিনি জানালেন, আমার ছেলের রেজাল্ট ভালো। কিন্তু মেয়েদের সাথে সখ্যতা গড়ে তোলায় ওর আগ্রহ বেশি। আমি যেন মনিটর করি।
আমি বললাম, ছেলে হয়ে মেয়েদের সাথে সখ্যতাই তো স্বাভাবিক। তো ছেলে হয়ে কী সে আরেকটা ছেলের পেছন পেছন ঘুরবে?
স্যার বললেন, না আমি ঠিক সেটা বোঝাতে চাইনি।
বালের আলাপ শেষ করে কলেজ গেটের বাইরে গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছি। এর মাঝে সেই ছাত্রের বাবা এসে আবার জিজ্ঞেস করলেন, ভাইসাহেব, আগুন হবে?
জিনিসপত্রের দাম আকাশ ছুয়েছে। তাই কোম্পানি গুলো ব্যাতিক্রমি বুদ্ধি বের করে প্রোডাক্ট বেচতেছে। বিশেষ করে বিস্কুট, জুস ও চিপ্স কোম্পানি গুলো এই বুদ্ধি এপ্লাই করতেছে।
খেয়াল করলে দেখবেন বিস্কুটের দাম বাড়ে নাই। কিন্তু ওজন কমিয়ে দিছে। ১০ টাকার বিস্কুট ১০ টাকাই আছে, শুধু ওজন কমে গেছে। চিপ্স, বাটারবন, কেক, আইসক্রিমের ক্ষেত্রেও সেইম অবস্থা। এখন ২৫ টাকা দামের চকবার আইসক্রিম পাওয়া যায়। সাইজে অনেক ছোট। একটা খেলে কিছুই হয় না। দইয়ের কাপের সাইজ অনেক ছোট হয়ে গেছে। এমনকি জুসের প্যাকেটের সাইজও।
দাম বাড়ার সাথে সাথে মুরগীও ছোট ছোট ডিম পাড়া শুরু করেছে। আইফোন মিনি বের হয়েছে। খরচ কমাতে মেয়েরা এখন বুকে ওড়না পরিধান করছে না। তাদের প্লাজোর উচ্চতাও দিন দিন বাড়ছে। লং স্কার্ট যারা পরত তারা এখন কম কাপড়ের মিনি স্কার্ট পরা শুরু করেছে। ফুল হাতা জামা পরা মেয়ে দেশে পাওয়া দুষ্কর। খরচ কমানোর জন্য তারাও এখন হাতা কাটা জামা পরা শুরু করেছে।
মাম পানি ১২৫ মিলির বোতল বের করেছে। ফাস্ট ফুডের দাম বাড়েনি, সাইজ কমিয়ে দিয়েছে। ফুটপাথের আলুর চপ বেগুনির সাইজ অর্ধেক হয়েছে। ১০ টাকার সিঙাড়ার সাইজ ৩০ থেকে নেমে ২৪ ছুয়েছে।
এত কিছু হয়ে যাচ্ছে আর গাছেরাও বসে থাকবে কেন? যুগের সাথে তাল মিলিয়ে তারাও ফলের সাইজ ছোট করা শুরু করেছে। আমার প্রিয় একটা ফল কৎবেল যেটা দেখলে আমার এক্সদের কথা বেশ মনে পড়ে। এর কারণ খাওয়ার সিস্টেম না, এক্সের প্রিয় আইটেম ছিল কৎবেল। ফলের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে এই কৎবেলের দাম। আগে যে কৎবেল ২/৩ টাকায় খেতাম সেগুলোর দাম এখন ৬০/৭০ টাকা করে। এত দাম দিয়ে কি কৎবেল খাওয়া যায়? আমাদের মত ফকিন্নিদের কৎবেল কেনার বাজেট সর্বোচ্চ ২০ টাকা। ১০ টাকা হলে বেশি ভালো হয়। মহানুভব গাছ আমাদের কথা ভেবে এখন পিচ্চি পিচ্চি কৎবেল উৎপাদন করা শুরু করেছে। আজ পল্টনে গেছিলাম। সেখানে দেখলাম পিচ্চি পিচ্চি কৎবেল বিক্রি হচ্ছে ১০ টাকায় ও ২০ টাকায়। আমার হাতে যে কৎবেল এর ছবি দেখছেন এটার দাম ১০ টাকা মাত্র। এটার সাইজ বিচির চেয়ে সামান্য বড়।
আমি আগে মেয়েদের দেখলেই লজ্জা পেতাম। চোখের দিকে তাকিয়ে কথাই বলতে পারতাম না। তারপর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে দেখি আমার ব্যাচে শিক্ষার্থীর সংখ্যা সর্বমোট ১২৭ জন। যার মধ্যে আমরা ছয়টি মাত্র ছেলে। এবং আরও ভয়ংকর বিষয় হচ্ছে, এক মাস পরই আরও দু'টি ছেলে ডিপার্টমেন্ট পাল্টে ফেলে। বাকি থাকি আমরা মাত্র চারজন।
আমি জীবনে এমন অসংখ্য কোর্স করেছি, যেখানে ৩৬ জন ছাত্রীর মাঝে আমি ছিলাম একমাত্র ছাত্র।
তারপর ধীরে ধীরে আমার নারী বিষয়ক জড়তা কেটে যায়। এর মাঝে ফাইনাল ইয়ারে এসে বাইক এক্সিডেন্ট করে আবার মাথায় আঘাত পাই। এরপর থেকে আমি লুইচ্চা হয়ে গেসি।
আমি আসলে ছেলে ভালো। কিন্তু পরিস্থিতির শিকার।
- মাকস
মা ছাড়া কেউ কোনও দিন কয়নাই - কী খাবি? কী রানবো?
মায়েরা যে কয় - আমি মইরা গ্যালে কেউ চাইর আনার দামও দেবেনা,
এইটা মনে হয় সত্যিই কয়। ভাইবা দেখলাম সারা দুনিয়ায় রাগ দেখানোর জায়গাও ওই একটাই। মা।
টাকা লাগবে? মা রে ফোন। জুতা ছিঁড়ে গেছে? মা রে ফোন। মন খারাপ? মা রে ফোন। মেজাজ খারাপ? মা রে ফোন। চশমা হারায় গেছে? মা রে ফোন। আমার মাঝে মাঝে মনে হয় আল্লা তো স্বরূপে দুনিয়ায় বিরাজ করেনা, তাই আমার জগতে তার হয়ে আমার মা রে পাঠাইছে।
Los Angels
California City, CA
Be the first to know and let us send you an email when Savage WORLD posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.