MD Abdul Ali

MD Abdul Ali পবিত্র মাজার দর্শনের জন্য এই পেইজটি,ল? আসসালামু আলাইকুম "পেইজে বন্ধুদের জানাই আমার পক্ষথেকে আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা "সবাই ভালো থাকুন ধন্যবাদ।

08/07/2021
08/07/2021
07/15/2021
07/14/2021
07/14/2021
07/14/2021
আজ ৬ আষাড় বারো আউলিয়ার অন্যতম হযরত শাহ মোহছেন আউলিয়া (রহ.)'র ৭০১তম বার্ষিক ওরশ মোবারক! #কথিত আছে, হযরত মোহছেন আউলিয়া (রহ...
06/20/2021

আজ ৬ আষাড় বারো আউলিয়ার অন্যতম হযরত শাহ মোহছেন আউলিয়া (রহ.)'র ৭০১তম বার্ষিক ওরশ মোবারক!

#কথিত আছে, হযরত মোহছেন আউলিয়া (রহ.) যখন ইন্তেকাল করেন, তাঁকে দক্ষিণ চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার ঝিউরী গ্রামে নিজ হুজুরা শরীফে সমাধিস্থ করা হয়। তাঁর মাজার শরীফ শঙ্খ নদীর তীরে অবস্থিত হওয়ায় কবর শরীফ নদীর ভাঙ্গঁনের কবলে পড়লে হযরত মোহসেন আউলিয়া রহমাতুল্লাহি আলাইহি আনোয়ারার বটতলী ইউনিয়নের একজন বিশিষ্ঠ ব্যক্তিকে স্বপ্ন যোগে জানান যে তাঁর কবর শরীফ বটতলীতে স্থানান্তরিত করা হোক। কিন্তু সেই বিশিষ্ঠ ব্যক্তি স্বপ্নের ব্যাপারটি গুরুত্ব দেয়নি। পরবর্তী পর্যায়ে বটতলীর অপর তিন ব্যক্তিকে তিনি স্বপ্নযোগে একই কথা জানান। ঐ তিন ব্যক্তি স্বপ্নের বিষয়টি বেশ গুরুত্ব দেন এবং স্বপ্নের আদেশ অনুযায়ী তারা এ ব্যাপারে উদ্যোগ গ্রহণ করেন। তারা নদীর তীরে গিয়ে দেখতে পান পাথরের ওপর একটি লাশ ভেসে আছে। তারা ঐ লাশ বটতলীতে এনে যথাযোগ্য মর্যাদার সাথে দাফন করে। যেখানে তাঁর লাশ দাফন করা হয় সেখানে এখন তাঁর পবিত্র মাজার শরীফ গড়ে উঠেছে। তিনি যে পাথর খন্ড করে ভেসে এসেছিলেন তা এখনও পর্যন্ত তাঁর পবিত্র মাজার শরীফে সংরক্ষিত আছে। এই পাথরটিকে অলৌকিক পাথর বলা হয়। এই পাথর থেকে সারা বছর ধরে পানি ঝরে। এই পানি ভক্তরা নিয়ত করে পান করেন রোগ মুক্তির জন্য।
আর একবার তিনি ১৪ রজব, ১৩৮১ হিজরী সনে কবর শরীফ থেকে উঠে মুসল্লীদের সাথে নামাজ আদায় করেন।

#ইমামে আহলে সুন্নাত আল্লামা গাজী আজিজুল হক শেরে বাংলা (রহ.) তাঁর লিখিত দিওয়ানে আজিজে হযরত মোহছেন আউলিয়া (রহ.) সম্পর্কে বলেন,

"হযরত শাহ মোহছেনকে শত সহস্র মুবারকবাদ।
তিনি বার আউলিয়ার অন্যতম বলে জেনে রেখো। এ কথা নির্ভুল।

নিঃসন্দেহে তিনি আপন কবর শরীফ থেকে দু'বার স্থানান্তরিত হয়েছেন।এখান থেকে এরপর আর স্থানান্তরিত হবেন না। এটা পূর্ব-পশ্চিমের মহান রব আল্লাহর হুকুম।

'ওই শরবাতলীর দিকে তিনি নিশ্চয় স্থানান্তরিত হবেন'
যে এ কথা বলে, অবিলম্বে সে অভিশপ্ত ও হতভাগা হবে।

হে যুবক! আমার নিকট তাঁর কিছু কারামত শোনো।
ওই ওলীগণের দলপতি মাযার শরীফ থেকে বেরিয়ে এসেছেন।

তিনি নিঃসন্দেহে মুসল্লীদের সাথে জুমআর নামায আদায় করেছেন,
তারিখ ছিল ১৪ রজব ১৩৮১ হিজরী। জেনে রাখবে এটাও নির্ভুল।

শত সহস্র মানুষ বিভিন্ন রোগ থেকে সন্দেহাতীতভাবে আরোগ্য লাভ করেছেন যখন বটতলীতে তাঁর দরকারে এসে ফরিয়াদ করেছেন।"

#সুবহানআল্লাহ! আল্লাহর ওলীগণ আল্লাহর কুদরতে সব কিছু করতে পারেন, এসব ক্ষমতা আল্লাহ তাআলা তাঁদের দান করে থাকেন।

06/19/2021

হযরত নূহ আলাইহি সালাম এর মাজার মোবারক!

উনি প্রায় ৭২ ফুট লম্বা ছিলেন। ওনার মাজার মোবারক লেবানন এর একটি পাহাড়ের চুড়ায় অবস্থিত।

# সুবহানাল্লাহ্

হযরত বড়পীর সৈয়দ আব্দুল কাদের জিলানী (রাহঃ) এর নাতি হযরত সৈয়দ আব্দুল কুদ্দুছ জালালুদ্দীন ওরফে শাহ মখদুম রুপশ (রাহঃ) এর পা...
06/09/2021

হযরত বড়পীর সৈয়দ আব্দুল কাদের জিলানী (রাহঃ) এর নাতি হযরত সৈয়দ আব্দুল কুদ্দুছ জালালুদ্দীন ওরফে শাহ মখদুম রুপশ (রাহঃ) এর পাক পবিত্র মাজার শরীফ 🇧🇩 অবস্থানঃ রাজশাহী, বাংলাদেশ

বহু পীর সাধকের পুণ্যভূমি রাজশাহী। এক সময় এ জনপদের মানুষ কু-সংস্কার আর অপসংস্কৃতি ও কু-প্রথার নিবিড় অন্ধকারের অতলে নিমজ্জিত ছিল। ওই সময় এই মহানগরে দেব-দেবীর নামে নরবলি দেওয়া হতো। মানুষে-মানুষে ছিল ভেদাভেদ। শাহ মখদুম রূপস (রঃ) চৌদ্দ শতকের একজন মুসলিম দরবেশ, যিনি বরেন্দ্র অঞ্চলে ইসলাম প্রচার করেছিলেন। ‘মখদুম’ অর্থ ধর্মীয় নেতা এবং ‘রূপস’ অর্থ আচ্ছাদিত। শাহ মখদুমের প্রকৃত নাম ছিল সৈয়দ আব্দুল কুদ্দুছ জালালুদ্দীন (রঃ)

তিনি ছিলেন হজরত আব্দুল কাদের জিলানীর (রঃ) পৌত্র সৈয়দ আজলা শাহ (রঃ) এর পুত্র। ৬৮৫ হিজরিতে (১২৮৬ খ্রিস্টাব্দে) তিনি তাঁর বড় ভাই সৈয়দ আহমদ ওরফে মীরন শাহকে নিয়ে বাগদাদ হতে এখানে আসেন।

হযরত শাহ মখদুম (রঃ) এর দরগা রাজশাহী মূল শহরের দরগাহপাড়ায় অবস্থিত। হযরত শাহ মখদুম (রঃ) এর দরগা-কে মাজার অথবা দরগা বলা হয় কেননা এটি হযরত শাহ মখদুম রূপস (রঃ) এর কবরের পাশে অবস্থিত। তিনি রাজশাহী অঞ্চলে ইসলাম প্রচার করেন। বলা হয়ে থাকে যে তিনি রাজশাহীতে এসেছিলেন কুমিরের পিঠের ওপর বসে। শাহ মখদুম (রঃ) এর মাজারের পাশের দীঘিতে অনেক কুমির আছে।

মীরন শাহ লক্ষ্মীপুর জেলার কাঞ্চনপুরে এবং মখদুম শাহ কাঞ্চনপুরের সন্নিকটে শ্যামপুরে স্ব স্ব খানকাহ প্রতিষ্ঠা করেন। পরে তিনি তাঁর সঙ্গী সৈয়দ শাহ আববাস, সৈয়দ দিলাল বোখারী, শাহ সুলতান এবং শাহ করম আলীকে নিয়ে বাঘায় চলে যান (রাজশাহী জেলার চারঘাট থানায়)। প্রচলিত কাহিনী অনুসারে চিশতিয়া তরিকার একটি উপদলের দরবেশদের মতো তিনি তাঁর মুখমন্ডল একটুকরা কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখতেন এবং এজন্য তাঁকে রূপস বলা হতো। শীঘ্রই তাঁর আবাসস্থল বাঘার নামকররণ করা হয় মখদুমনগর।

৬৮৭ হিজরিতে (১২৮৮ খ্রিস্টাব্দে) শাহ মখদুম রূপস বাঘা হতে রামপুর বোয়ালিয়ায় চলে আসেন। এখানে তাঁর আগমনের সাথে অনেক অলীক কাহিনী এবং তাঁর কারামত সম্পর্কে অনেক কিংবদন্তি প্রচলিত আছে। তিনি ওই এলাকার অত্যাচারী তান্ত্রিক রাজাকে পরাজিত ও নিহত করে শাহ তুরকান শহীদ হত্যার প্রতিশোধ গ্রহণ এবং জনগণকে রাজার অত্যাচার হতে রক্ষা করেন।

শাহ মখদুম তাঁর সঙ্গীদেরকে পার্শ্ববর্তী স্থানসমূহে ইসলাম প্রচারের জন্য প্রেরণ করেন। তাঁরা বিভিন্ন স্থানে খানকাহ প্রতিষ্ঠা করেন। রাজশাহীর বিভিন্ন স্থানে তাঁদের মাজার রয়েছে। সৈয়দ শাহ আববাস, সৈয়দ দিলাল বুখারী, শাহ সুলতান এবং শাহ করম আলীর মাজার যথাক্রমে বাঘা, দিলালপুর, সুলতানগঞ্জ ও বিড়ালদহে রয়েছে।

প্রায় সিকি শতাক ধরে শাহ মখদুম বরেন্দ্র অঞ্চলে ইসলাম প্রচার করে ৭১৩ হিজরির (১৩১৩ খ্রিস্টাব্দ) ২৭ রজব ইন্তেকাল করেন। রাজশাহী সরকারি কলেজের কাছে দরগাহ পাড়ায় তাঁর মাজার রয়েছে। জনৈক আলীকুলী বেগ তাঁর কবরের উপর ১০৫৪ হিজরিতে (১৬৪৪ খ্রিস্টাব্দ) একটি ক্ষুদ্র একগম্বুজ বিশিষ্ট বর্গাকার সমাধিসৌধ নির্মাণ করেন। সমাধিসৌধের দরজার উপরে লাগানো শিলালিপিতে দরবেশের নাম সৈয়দ সনদ শাহ দরবেশ বলে লিখিত রয়েছে।

প্রতি বছর ১০ মহররম শাহ মখদুমের দরগায় একটি মেলা অনুষ্ঠিত হয়। ওই দিন তাজিয়া বের করা হয় এবং লাঠি খেলা ও নকল তলোয়ার দিয়ে যুদ্ধের মহড়া অনুষ্ঠিত হয়। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ছাত্রাবাস এ দরবেশের নামে রাখা হয়েছে।

কিভাবে যাবেন

ঢাকা থেকে রাজশাহীর দূরত্ব ২৬১ কিলোমিটার। রাজশাহীতে যোগাযোগ ব্যাবস্থা খুবই উন্নত। এখান থেকে সারা দেশে সড়ক, রেল, নৌ ও আকাশ পথে যাতায়াত করা যায়। রাজশাহী শহরে চলাচলের জন্য আপনি রিকশা ট্যাক্সি ক্যাব, অটো রিকশা, ও ঘোড়ার গাড়ি পাবেন।

রাজশাহীতে দুটি আন্তঃনগর বাস টার্মিনাল আছে যেখান থেকে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশের উদ্দেশে এসি এবং নন এসি বাস চলাচল করে। রাজশাহী থেকে সড়ক পথে ঢাকা পৌছাতে ৫ থেকে ৬ ঘণ্টা সময় লাগবে।
বাংলাদেশ রেলওয়ের পশ্চিম জোনের সদর দফতর এই জেলায় অবস্থিত। ঢাকা থেকে রাজশাহীতে “সিল্ক সিটি এক্সপ্রেস”, “পদ্মা এক্সপ্রেস” ও “ধুমকেতু এক্সপ্রেস” চলাচল করে। এছাড়াও রাজশাহী থেকে খুলনা ও দেশের অন্যান্য প্রান্তে আন্তঃনগর, মেইল ও লোকাল ট্রেন চলাচল করে।

ইসলামী সাধক হযরত শাহ মখদুম (রঃ) এর নামে নামকরন করা বিমানবন্দরটি রাজশাহী শহর থেকে সামান্য দূরে অবস্থিত। এখানে ঢাকা এবং সৈয়দপুর থেকে অভ্যন্তরীণ রুটে বিমান চলাচল করে। সংগৃহীত
সূত্রঃ Google,

প্রিয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম এর নবীপ্রেম।রাসুলে পাক ﷺ'র শানে কালে কালে বিভিন্ন ভাষায় কত কাসিদা, কবিতা, নাত, প্রবন্ধ লিখা হ...
05/25/2021

প্রিয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম এর নবীপ্রেম।

রাসুলে পাক ﷺ'র শানে কালে কালে বিভিন্ন ভাষায় কত কাসিদা, কবিতা, নাত, প্রবন্ধ লিখা হলো— যার কোন হিসেব নেই। বাংলা সাহিত্যে রাসুল ﷺ'র শানে সবচেয়ে বেশি শব্দচয়ন যিনি করেছেন— তিনি হলেন আশেকে রাসুল ﷺ সুফি কবি কাজী নজরুল ইসলাম।

একবার কোন এক প্রসঙ্গে ইব্রাহীম খাঁ এর সাথে আলোচনার সময় কবি বলেছিলেন, " আমার শ্রেষ্ঠতম গুরু সেই হযরত মুহাম্মদ ﷺ'র কথা মনে করুন, তিনি মেরাজে গেলেন, কিন্তু ধরার ধুলিকে ভুললেন না— ফিরে এলেন"।

রসূলে পাক ﷺ'র আগমনে আসমান-জমিন সহ সকল সৃষ্টি আনন্দে আত্নহারা— কবিও আনন্দে লিখলেন, "তোরা দেখে যা আমেনা মায়ের কোলে..."।

সকল মাখলুকাতের আনন্দ প্রকাশে কবি লিখলেন, "কুল মাখলুকে আজি ধ্বনী উঠে, কে এলো ঐ
কালেমা শাহাদাতের বাণী ঠোটে, কে এলো ঐ..."।

আরো লিখলেন, "ত্রিভূবনের প্রিয় মুহাম্মদ এলো রে দুনিয়ায়, আয়রে সাগর আকাশ বাতাস দেখবি যদি আয়..."।

রাসুলে পাক ﷺ'র প্রেমে বিভোর হয়ে কবি লিখলেন,"তৌহিদেরই মুর্শিদ আমার মুহাম্মদের নাম..."।

প্রেমের আক্ষেপ নিয়ে গাইতেন, "মুহাম্মদের নাম জপেছিলি বুলবুলি তুই আগে, তাই কিরে তোর কন্ঠের গান এমন মধুর লাগে..."।

রাসুল ﷺ'র কদম মুবারক বুকে নেওয়ার আকুতি নিয়ে লিখলেন, "আমি যদি আরব হতাম মদিনারই পথ...."।

মদিনায় যাওয়ার আকুতি নিয়ে লিখলেন, "মনে বড় আশা ছিল যাব মদিনায়, আয় মরুপারের হাওয়া,নিয়ে যারে মদিনায়..."।

প্রিয়নবী ﷺ'র প্রশংসায় গাইতেন, " মুহাম্মদ মুস্তফা সাল্লে আলা, তুমি বাদশারই বাদশাহ কামলিওয়ালা..."।

উপরের পংক্তিগুলো দেখেই বুঝা যাচ্ছে তিনি কেমন আশেকে রাসুল ﷺ ছিলেন। এছাড়াও তিনি অগণিত শব্দ চয়ন করেছেন রাসুলে পাক ﷺ'র শানে।

আজ ২৪ মে প্রিয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম ধরার বুকে এসেছিলেন। আল্লাহ পাক প্রিয় কবির মাকাম বুলন্দ করুক এবং আমাদেরকে প্রিয়নবী ﷺ'র আশেক তথা প্রেমিক হিসেবে কবুল করুক। আমিন।

গাজী বুরহান উদ্দীনের মাজার। সিলেট বিভাগের প্রথম মুসলমান বুরহান উদ্দীনের সমাধী। সিলেট শহরের দক্ষিণ পূর্ব সীমান্তে সুরমা ন...
05/17/2021

গাজী বুরহান উদ্দীনের মাজার।

সিলেট বিভাগের প্রথম মুসলমান বুরহান উদ্দীনের সমাধী। সিলেট শহরের দক্ষিণ পূর্ব সীমান্তে সুরমা নদীর তীরে এ মাজার অবস্থিত। সিলেট পৌরসভার আওতাধীন কুশিঘাট এলাকায় গাজী বুরহান উদ্দীনের ঐতিহাসিক বাড়িতেই তার সমাধী বা মাজারের অবস্থান। শ্রীহট্ট (আধুনা সিলেট) অঞ্চলে বসবাসকারী খ্রিস্টিয় দ্বাদশ শতাব্দির প্রথম মুসলমান পরিবারের স্মৃতি বিজড়িত এ স্থানটি সিলেটের অন্যতম পূণ্য তীর্থ হিসেবে পরিচিত।[১][২] প্রাচীন শ্রীহট্টের গৌড় রাজ্যের রাজা গৌড়-গোবিন্দের অত্যাচারে নিহত গাজী বুরহান উদ্দীনের ছোট শিশু গুলজারে আলমের মাজার বা সমাধি সহ এখানে আরো কয়েকটি মাজার পরিলক্ষিত হয়। উক্ত মাজার গুলোকে কেন্দ্র করে এখানে প্রতি দিন শত শত দেশ-বিদেশী দর্শনার্থীর আগমন ঘটে।

গাজী বুরহান উদ্দীনের মাজার

05/11/2021

হযরত মাওলা আলী (আঃ) এর পবিত্র রওজা মোবারক।
#সুবহানাল্লাহ

হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে রাওয়াহা(রঃ)উনার পবিএ মাজার শরীফ।        অবস্থান-আম্মান,জর্ডান
05/10/2021

হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে রাওয়াহা(রঃ)
উনার পবিএ মাজার শরীফ।
অবস্থান-আম্মান,জর্ডান

হযরত শেখ ফকির সাহেব অলিউল্লাহ (রহঃ) মাজার শরীফঅবস্হান-দেহিঅলে শরীফ,, শ্রিলংকা।
05/06/2021

হযরত শেখ ফকির সাহেব অলিউল্লাহ (রহঃ) মাজার শরীফ

অবস্হান-দেহিঅলে শরীফ,, শ্রিলংকা।

নবীজি হযরত মুহাম্মাদ (সঃ) এর দন্ত (দাঁত) মোবারক শহীদ হওয়ার পর নবীজি (সঃ) -কে ভালবেসে নিজের সব দাঁত মোবারক পাথরের আঘাতে শ...
04/28/2021

নবীজি হযরত মুহাম্মাদ (সঃ) এর দন্ত (দাঁত) মোবারক শহীদ হওয়ার পর নবীজি (সঃ) -কে ভালবেসে নিজের সব দাঁত মোবারক পাথরের আঘাতে শহীদ করেছেন হযরত ওয়াইজ উদ্দিন ওয়াইজকুরুনী (রঃ)। ওনার পবিত্র মাজার শরীফ।

হযরত ইমাম শাফি(রহঃ)উনার পবিএ মাজার শরীফ।
04/27/2021

হযরত ইমাম শাফি(রহঃ)
উনার পবিএ মাজার শরীফ।

04/25/2021

" যার তাজা রক্ত মুবারকের ফলে
আমরা আজ সুন্নিয়ত পেয়েছি
তিনিই ইমাম শেরে বাংলা (রহঃ)"
#আজ গাজীয়ে দ্বীনে মিল্লাত, ইমামে আহলে সুন্নাত, আশেকে রাসূল (ﷺ), হযরত আল্লামা গাজী সৈয়্যদ আজিজুল হক (শেরে বাংলা) (রহ:)'র ৫৩তম পবিত্র ওরশ শরীফ।

04/24/2021

❤️❤️❤️মাইজভান্ডার হ্যালো ❤️❤️❤️
🙏❤️🙏বাবা ভান্ডারী দরবার🙏❤️🙏
❤️❤️❤️আল্লাহ পাওয়ার রাস্তা❤️❤️❤️

অলি-আউলিয়ার মাজার জিয়ারত এবং তাদের উছিলা দিয়ে প্রার্থনা করে বিপদ থেকে উদ্ধার____________________দলিল নং-০১ইমাম যাহাবী...
04/24/2021

অলি-আউলিয়ার মাজার জিয়ারত এবং তাদের উছিলা দিয়ে প্রার্থনা করে বিপদ থেকে উদ্ধার
____________________
দলিল নং-০১
ইমাম যাহাবী বর্ণনা করেন:
একবার সমরকন্দ অঞ্চলেখরা দেখা দেয়।

মানুষজন যথাসাধ্য চেষ্টা করেন; কেউ কেউ সালাত আল-এস্তেসক্কা (বৃষ্টির জন্যে নামায-দোয়া) পড়েন, কিন্তু তাও বৃষ্টি নামে নি।এমতাবস্থায় সালেহ নামের এক প্রসিদ্ধ নেককার ব্যক্তি শহরের কাজী (বিচারক)-এর কাছে উপস্থিত হনএবং বলেন,

আমার মতে আপনার এবং মুসলমান সর্বসাধারণের ইমাম বোখারী (رحمة الله)-এর মাযার শরীফ যেয়ারত করা উচিত। তাঁর মাযার শরীফ খারতাংক এলাকায় অবস্থিত।

ওখানে মাযারের কাছে গিয়ে বৃষ্টি চাইলে আল্লাহ হয়তো বৃষ্টি মঞ্জুর করতেও পারেন। অতঃপর বিচারক ওই পুণ্যবান ব্যক্তির পরামর্শে সায় দেন এবং মানুষজনকে সাথে নিয়ে ইমাম সাহেব (رحمة الله)-এর মাযারে যান।

সেখানে (মাযারে) বিচারক সবাইকে সাথে নিয়ে একটিদোয়া পাঠ করেন; এ সময় মানুষেরা কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন এবং ইমাম সাহেব (رحمة الله)-কে দোয়ার মধ্যে অসীলা হিসেবে গ্রহণ করেন। আর অমনি আল্লাহতা’লা মেঘমালা পাঠিয়ে ভারি বর্ষণ অবতীর্ণ করেন।

সবাই খারতাংক এলাকায় ৭ দিন যাবতঅবস্থান করেন এবং তাঁদের কেউই সামারকান্দ ফিরে যেতে চাননি। অথচ এই দুটি স্থানের দূরত্ব মাত্র ৩মাইল।
রেফারেন্সঃ-
[ইমাম যাহাবী কৃত সিয়্যার আল-আ’লম ওয়ান্নুবালাহ, ১২তম খণ্ড, ৪৬৯ পৃষ্ঠা]

________
দলিল নং-০২
ইমাম ইবনুল হাজ্জ্ব (رحمة الله) বলেন:

সালেহীন তথা পুণ্যবানদের মাযার-রওযা হতে বরকত আদায় (আশীর্বাদ লাভ) করার লক্ষ্যে যেয়ারত করতে বলা হয়েছে।

কেননা, বুযূর্গদের হায়াতে জিন্দেগীর সময় যে বরকত আদায় করা যেতো, তা তাঁদের বেসালের পরও লাভ করা যায়।

উলেমাবৃন্দ ও মোহাক্কিক্কীন (খোদার নৈকট্যপ্রাপ্তজন) এই রীতি অনুসরণ করতেন যে তাঁরা আউলিয়াবৃন্দের মাযার-রওযা যেয়ারত করে তাঁদের শাফায়াত (সুপারিশ) কামনা করতেন......কারো কোনো হাজত বা প্রয়োজন থাকলে তার উচিত আউলিয়া কেরামের মাযার-রওযা যেয়ারত করে তাঁদেরকে অসীলা করা।

আর এ কাজে (বাধা দিতে) এই যুক্তি দেখানো উচিত নয় যে মহানবী (ﷺ) তিনটি মসজিদ (মসজিদে হারাম, মসজিদে নববী ও মসজিদে আকসা) ছাড়া অন্য কোথাও সফর করতে নিষেধ করেছিলেন।

মহান ইমাম আবূ হামীদ আল-গাযযালী (رحمة الله) নিজ ‘এহইয়া’ পুস্তকের ’আদাব আস্ সফর’ অধ্যায়ে উল্লেখ করেন যে হজ্জ্ব ও জেহাদের মতো এবাদতগুলোর ক্ষেত্রে সফর করা বাধ্যতামূলক।

অতঃপর তিনি বলেন, ‘এতে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে আম্বিয়া (আ:), সাহাবা-এ-কেরাম (رضي الله عنه), তাবেঈন (رحمة الله) ও সকল আউলিয়া ও হক্কানী উলেমাবৃন্দের মাযার-রওযা যেয়ারতের উদ্দেশ্যে সফর। যাঁর কাছে তাঁর যাহেরী জীবদ্দশায় সাহায্য চাওয়া জায়েয ছিল, তাঁর কাছে তাঁর বেসালের পরও (যেয়ারত করে) সাহায্য চাওয়া জায়েয’।
রেফারেন্সঃ-
[ইমাম ইবনুল হাজ্জ্ব প্রণীত আল-মাদখাল, ১ম খণ্ড, ২১৬ পৃষ্ঠা]

________
দলিল নং-০৩
ইমাম আবূ আবদিল্লাহ ইবনিল হাজ্জ্ব আল-মালেকী (رحمة الله) আউলিয়া ও সালেহীনবৃন্দের মাযার-রওযা যেয়ারত সম্পর্কে একটি সম্পূর্ণ অধ্যায় রচনা করেন।

তাতে তিনি লেখেন: মুতা’লিম (শিক্ষার্থী)-দের উচিত আউলিয়া ও সালেহীনবৃন্দের সান্নিধ্যে যাওয়া;

কেননা তাঁদের দেখা পাওয়াতে অন্তর জীবন লাভ করে, যেমনিভাবে বৃষ্টি দ্বারা মাটি উর্বর হয়। তাঁদের সন্দর্শন দ্বারা পাষাণ হৃদয়ও নরম বা বিগলিত হয়। কারণ তাঁরা আল্লাহ পাকেরই বরগাহে সর্বদা উপস্থিত থাকেন, যে মহাপ্রভু পরম করুণাময়।

তিনি কখনােই তাঁদের এবাদত-বন্দেগী বা নিয়্যতকে প্রত্যাখ্যান করেন না, কিংবা যারা তাঁদের মাহফিলে হাজির হন ও তাঁদেরকে চিনতে পারেন এবং তাঁদেরকে ভালোবোসেন, তাদেরকেও প্রত্যাখ্যান করেন না।

এটি এ কারণে যে তাঁরা হলেন আল্লাহ ও তাঁর রাসূল (ﷺ)-এর পরে রহমতস্বরূপ, যে রহমত আল্লাহ-ওয়ালাদের জন্যে অবারিত।

অতএব, কেউ যদি এই গুণে গুণান্বিত হন, তাহলে সর্বসাধারণের উচিত ত্বরিত তাঁর কাছ থেকে বরকত আদায় করা। কেননা, যারা এই আল্লাহ-ওয়ালাদের দেখা পান, তারা এমন রহমত-বরকত, জ্ঞান-প্রজ্ঞা ও স্মৃতিশক্তি লাভ করেন যা ব্যাখ্যার অতীত।

আপনারা দেখবেন ওই একই মা’আনী দ্বারা যে কেউ অনেক মানুষকে জ্ঞান-প্রজ্ঞা ও জযবা (ঐশী ভাব)-এর ক্ষেত্রে পূর্ণতা লাভ করতে দেখতে পাবেন। যে ব্যক্তি এই রহমত-বরকতকে শ্রদ্ধা বা সম্মান করেন, তিনি কখনোই তা থেকে দূরে থাকেন না (মানে বঞ্চিত হন না)।

তবে শর্ত হলো এই যে, যাঁর সান্নিধ্য তলব করা হবে, তাঁকে অবশ্যই সুন্নাতেরপায়রুবী করতে হবে এবং সুন্নাহ’কে হেফাযত তথা সমুন্নত রাখতে হবে; আর তা নিজের কর্মেও প্রতিফলিত করতে হবে।
রেফারেন্সঃ-
[ইবনুল হাজ্জ্ব রচিত আল-মাদখাল, ২য় খণ্ড, ১৩৯ পৃষ্ঠা]

________
দলিল নং-০৪
[হুজ্জাতুল ইসলাম ইমাম গাযযালী (رحمة الله)-এর ভাষ্য]

ইমাম গাযযালী (رحمة الله) বলেন এবং এটি কোনো হাদীস নয়:

“কারো যখন কোনো অসুবিধা (তথা পেরেশানি) হয়, তখনতার উচিত মাযারস্থ আউলিয়াবৃন্দের কাছে সাহায্য প্রার্থনা করা; এঁরা হলেন সে সকল পুণ্যাত্মা যাঁরা দুনিয়া থেকে বেসাল হয়েছেন।

এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহ-ই নেই, যে ব্যক্তি তাঁদের মাযার যেয়ারত করেন, তিনি তাঁদের কাছ থেকে রূহানী মদদ (আধ্যাত্মিক সাহায্য) লাভ করেন এবং বরকত তথা আশীর্বাদও প্রাপ্ত হন; আর বহুবার আল্লাহর দরবারে তাঁদের অসীলা পেশ হবার দরুন মসিবত বা অসুবিধা দূর হয়েছে।”
রেফারেন্সঃ-
[তাফসীরে রূহুল মা’আনী, ৩০তম খণ্ড, ২৪ পৃষ্ঠা]

জ্ঞাতব্য: ‘এসতেগাসাহ’ তথা আম্বিয়া (আ:) ও আউলিয়া (رحمة الله)-এর কাছে সাহায্য প্রার্থনার বিষয়টি সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে আহলুস্ সুন্নাহ’র ওয়েবসাইটের ‘ফেকাহ’ বিভাগে ‘আম্বিয়া(আ:) ও আউলিয়া (رحمة الله)-এর রূহানী মদদ’ শীর্ষক লেখাটি দেখেন।

________
দলিল নং-০৫
ইমাম আবূ হানিফা (رحمة الله)-এর মাযারে নিজের অভিজ্ঞতা বর্ণনাকালে ইমাম শাফেঈ (رحمة الله) বলেন,

“আমি ইমাম আবু হানিফা (رضي الله عنه) হতে বরকত আদায় করি এবং তাঁর মাযার শরীফ প্রতিদিন যেয়ারত করি।

আমিযখন কোনো সমস্যার মুখোমুখি হই, তখন-ই দুই রাকআত নফল নামায পড়ে তাঁর মাযার শরীফ যেয়ারত করি;
আর (দাঁড়িয়ে) সমাধানের জন্যে আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ করি।
ওই স্থান ত্যাগ করার আগেই আমার সমস্যা সমাধান হয়ে যায়।”

রেফারেন্সঃ-
* খতীব বাগদাদী সহীহ সনদে এই ঘটনা বর্ণনা করেন তাঁর কৃত ‘তারিখে বাগদাদ’ গ্রন্থে (১:১২৩)

________
দলিল নং-০৬
ইবনে কাইয়্যেম ‘সালাফী’দের গুরু। সে তার শিক্ষকইবনে তাইমিয়্যার ধ্যান-ধারণার গোঁড়া সমর্থক,

যার দরুন সে তার ইমামের সেরা শিষ্য হিসেবে পরিচিতি লাভ করে)ইবনে কাইয়্যেম লেখেন:

“প্রথম অধ্যায় - ইন্তেকালপ্রাপ্ত ব্যক্তিগণ তাঁদের কবর যেয়ারতকারীদেরকে চিনতে পারেন কি-নাএবং তাঁদের সালামের উত্তর দিতে পারেন কি-না?

”হযরত ইবনু আবদিল বার (رحمة الله) থেকে বর্ণিত:

নবী করীম (ﷺ) এরশাদ ফরমান, কোনো মুসলমান যখন তাঁর কোনো পূর্ব-পরিচিত ভাইয়ের কবরের পাশে যান এবং তাঁকে সালাম জানান, তখন আল্লাহতা’লা ওই সালামের জবাব দেয়ার জন্যে মরহুমের রূহকে কবরে ফিরিয়ে দেন এবং তিনি সে সালামের জবাব দেন।

এর দ্বারা বোঝা গেল যে ইন্তেকালপ্রাপ্ত ব্যক্তি যেয়ারতকারীকে চিনতে পারেন এবং তাঁর সালামের জবাবও দিয়ে থাকেন।

________
দলিল নং-০৭
হযরত ফযল (رضي الله عنه) ছিলেন হযরত ইবনে উবায়না (رضي الله عنه)-এর মামাতো ভাই।

তিনি বর্ণনা করেন, যখন আমার পিতার ইন্তেকাল হলো, তখন আমি তাঁর সম্পর্কে খুবই ভীত-সন্ত্রস্ত ও চিন্তিত হয়ে পড়লাম।

আমি প্রত্যহ তাঁর কবর যেয়ারত করতাম। ঘটনাক্রমে আমি কিছুদিন তাঁর কবর যেয়ারত করতে যেতে পারিনি।

পরে একদিন আমি তাঁর কবরের কাছে এসে বসলাম এবং ঘুমিয়ে পড়লাম। ঘুমের মধ্যে আমি দেখলাম, আমার পিতার কবরটি যেন হঠাৎ ফেটে গেলো।

তিনি কবরের মধ্যে কাফনে আবৃত অবস্থায় বসে আছেন। তাঁকে দেখতে মৃতদের মতোই মনে হচ্ছিলো। এ দৃশ্য দেখে আমি কাঁদতে লাগলাম।

তিনি আমাকে জিজ্ঞেস করলেন, প্রিয় বৎস, তুমি এতোদিন পরে এলে কেন? আমি বল্লাম, বাবা, আমার আসার খবর কি আপনি জানতে পারেন?

তিনি বল্লেন, তুমি যখন-ই এখানে আসো, তোমার খবর আমি পেয়ে যাই।

তোমার যেয়ারত ও দোয়ার বরকতে আমি শুধু উপকৃত হই না, আমার আশপাশেযাঁরা সমাহিত, তাঁরাও উল্লসিত, আনন্দিত এবং উপকৃত হন।

এ স্বপ্ন দেখার পর আমি সব সময় আমার পিতার কবর যেয়ারত করতে থাকি।”
রেফারেন্সঃ-
[ প্রাগুক্ত, ৯-১০ পৃষ্ঠা]

________
দলিল নং-০৮
ইবনে কাইয়্যেম আল-জাওযিয়্যা নিজ ‘কিতাবুর রূহ’

পুস্তকে ইবনে আবিদ্ দুনইয়া (رحمة الله)-এর সূত্রেসাদাকাহ ইবনে সুলাইমান (رضي الله عنه)-এর কথা উদ্ধৃত করেন,

যিনি বর্ণনা করেন: একবার তিনি (সাদাকাহ) একটি কুৎসিত চারিত্রিক দোষে আক্রান্ত হয়েছিলেন। ইতোমধ্যে তাঁর পিতা ইন্তেকাল করেন।পিতার ইন্তেকালের পরে তিনি তাঁর কৃতকর্মের জন্যে লজ্জিত হন।

অতঃপর তিনি তাঁর পিতাকে স্বপ্নে দেখেন। তাঁর পিতা বলেন, প্রিয় পুত্র, আমি তোমার নেক আমলের কারণে কবরে শান্তিতে ছিলাম। তোমার নেক আমল আমাদেরকে দেখানো হয়।

কিন্তু সম্প্রতি তুমি যা করেছ, তা আমাকে আমার ইন্তেকালপ্রাপ্ত সঙ্গিদের কাছে অত্যন্ত শরমিন্দা (লজ্জিত) করেছে।

আমাকে আর তুমি আমার ইন্তেকালপ্রাপ্ত সঙ্গিদের সামনে লজ্জিত করো না।
রেফারেন্সঃ-
[কিতাবুর রূহ, বাংলা সংস্করণ, ১১ পৃষ্ঠা, ১৯৯৮]

________
দলিল নং-০৯
ইবনে তাইমিয়াকে জিজ্ঞেস করা হয় ইন্তেকালপ্রাপ্ত মুসলমানবৃন্দ তাঁদের যেয়ারতকারীদেরকে চিনতে পারেন কি-না।

সে জবাবে বলে:

“যেয়ারতকারীদেরকে যে ইন্তেকালপ্রাপ্ত মুসলমানবৃন্দ চিনতে পারেন, এ ব্যাপারেকোনো সন্দেহ-ই নেই।”

তার কথার সমর্থনে সে নিম্নের হাদীসটি পেশ করে,

“ইন্তেকালপ্রাপ্তদের সচেতনতার পক্ষে প্রামাণিক দলিল হচ্ছে বোখারী ও মুসলিম শরীফে বর্ণিত একখানা হাদীস, যা’তে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এরশাদ করেন যে কোনো ইন্তেকালপ্রাপ্ত মুসলমানকে দাফনের পরে ঘরে প্রত্যাবর্তনকারী মানুষের পায়ের জুতোর শব্দ ইন্তেকালপ্রাপ্ত ব্যক্তি শুনতে পান।”
রেফারেন্সঃ-
[ইবনে তাইমিয়ার ‘মজমুয়া’ আল-ফাতাওয়া’, ২৪তম খণ্ড, ৩৬২ পৃষ্ঠা]

________
দলিল নং-১০
ইবনুল জাওযী এ বিষয়ে একখানা বই লেখেন, যেখানে তিনি আউলিয়া কেরাম (رحمة الله)-এর জীবনীর বিস্তারিত বিবরণ দেন। তিনি লেখেন:হযরত মা’রূফ কারখী (বেসাল: ২০০ হিজরী):

”তাঁর মাযার শরীফ বাগদাদে অবস্থিত; আর তা থেকে মানুষেরা বরকত আদায় করেন।

ইমাম আহমদ বিন হাম্বল (رحمة الله)-এর সাথী হাফেয ইবরাহীম আল-হারবী (বেসাল: ২৮৫ হিজরী) বলতেন,

হযরত মা’রূফ কারখী (رحمة الله)-এর মাযার শরীফ হচ্ছে পরীক্ষিত আরোগ্যস্থল”(২:২১৪)। ইবনে জাওযী আরও বলেন,

“আমরা নিজেরাই ইবরাহীম আল-হারবী (رحمة الله)-এর মাযার যেয়ারত করে তা থেকে বরকত আদায় করে থাকি।” [২:৪১০]

হাফেয যাহাবীও হযরত ইবরাহীম আল-হারবী (رحمة الله)-এর উপরোক্ত কথা (হযরত মা’রূফ কারখী (رحمة الله)-এর মাযার শরীফ হচ্ছে পরীক্ষিত আরোগ্যস্থল) বর্ণনা করেন।
রেফারেন্সঃ-
[‘সিয়্যার আ’লম আল-নুবালা’, ৯:৩৪৩]

________
দলিল নং-১১
ইবনে আল-জাওযী নিজ ‘মুতির আল-গারাম আস্ সাকিন ইলা আশরাফ আল-আমাকিন’ গ্রন্থে লেখেন:

[হযরত আবূ আউয়ুব আনসারী (رضي الله عنه)-এর মাযার শরীফ]

হযরত আবূ আইয়ুব আনসারী (رحمة الله) মহান সাহাবীদের একজন।

তিনি কনস্টিনটিনোপোল-এর যুদ্ধে অংশ নেন।

শত্রু সীমানায় তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। এই অসুখ বেড়ে গেলে তিনি অসিয়ত (উইল) করেন,

“আমার বেসালের পরে তোমরা আমার মরদেহ সাথে নিয়ে যাবে, আর শত্রুর মোকাবেলা করতে যখন তোমরা সারিবদ্ধ হবে, তখন তোমাদের কদমের কাছে আমাকে দাফন করবে।”
রেফারেন্সঃ-
* ইবনে আব্দিল বারর, ‘আল-এসতেয়াব ফী মা’রিফাত-ইল-আসহাব’ (১:৪০৪-৫)

অতঃপর ইসলামের সৈনিকবৃন্দ তাঁর অসিয়ত অনুসারে তাঁকে দুর্গের দ্বারপ্রান্তে দাফন করেন এবং শত্রুদের সতর্ক করেন যেন তারা তাঁর মাযারের প্রতি অসম্মান না করে; তা করলে ইসলামী রাজ্যের কোথাও তাদের উপাসনালয়গওলো নিরাপদ থাকবে না।

ফলে এমন কি শত্রুরাও তাঁর মাযারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে বাধ্য হয়েছিল। আর মানুষেরাও সত্বর তাঁর মাযার থেকে প্রবাহিত খোদায়ী আশীর্বাদ-ধারা সম্পর্কে জানতে পেরেছিলেন।

তাঁরা মাযারে এসে যা-ই প্রার্থনা করতেন, তা-ই তৎক্ষণাৎ মঞ্জুর হয়ে যেতো।

”আর হযরত আবূ আইয়ুব (رضي الله عنه)-এর মাযার কেল্লার কাছে অবস্থিত এবং তা সবাই জানেন....যখন মানুষেরাবৃষ্টির জন্যে প্রার্থনা জানায়, বৃষ্টিপাত আরম্ভ হয়।”
রেফারেন্সঃ-
* ইবনে আব্দিল বারর, প্রাগুক্ত ‘আল-এস্তেয়াব ফীমা’রিফাত-ইল-আসহাব’ (১:৪০৫)

মুজাহিদ বলেন,
“দুর্ভিক্ষ দেখা দিলে মানুষেরা মাযারের ছাদ খুলে দেন, আর বৃষ্টি নামে।”

________
দলিল নং-১২
[হাফেয ইবনে হিব্বান (رحمة الله)]

ইমাম ইবনে হিব্বান (رحمة الله) নিজের অভিজ্ঞতা বর্ণনাকালে আল-রেযা (رحمة الله)-এর
মাযারে তাঁর তাওয়াসসুলের বিবরণ লিপিবদ্ধ করেন এবং বলেন,

“তুস্ নগরীতে অবস্থান করার সময় যখনই আমি কোনো সমস্যা দ্বারা পেরেশানগ্রস্ত হয়েছি, তৎক্ষণাৎআমি হযরত আলী ইবনে মূসা রেযা (তাঁর নানা তথা হুযূর পাক ও তাঁর প্রতি আল্লাহর রহমত বর্ষিত হোক)-এর মাযার শরীফ যেয়ারত করতাম এবং আল্লাহর কাছে সমাধান চাইতাম।

এতে আমার দোয়া কবুল হতো এবং পেরেশানিও দূর হতো। আমি এটি-ই করতাম এবং বহুবার এর সুফল পেয়েছি।”
রেফারেন্সঃ-
[ইবনে হিব্বান প্রণীত ‘কিতাবুস্ সিকাত’, ৮ম খণ্ড, ৪৫৬-৭ পৃষ্ঠা, # ১৪৪১১]

04/22/2021

জব্বার মঞ্জিল,অষ্টগ্রাম, কিশোরগঞ্জ।

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীমআজ ০৩ রমজান ১৪৪২ হিজরি:নবি নন্দিনী খাতুন-ই জান্নাত মা ফাতিমাতুয্ যাহরা রাদ্বিআল্লাহু তা’আলা আ...
04/22/2021

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম
আজ ০৩ রমজান ১৪৪২ হিজরি:
নবি নন্দিনী খাতুন-ই জান্নাত মা ফাতিমাতুয্ যাহরা রাদ্বিআল্লাহু তা’আলা আনহা’র ওফাত দিবস।

নবি নন্দিনী খাতুনে জান্নাত হযরত ফাতিমা (রা.):

নবি নন্দিনী খাতুনে জান্নাত হযরত মা ফাতিমাতুয্ যাহরা (রা.)- বিশ্বজগতে এক মহা বিস্ময়ের নাম। জগতপ্রভূ মহান রাব্বুল আলামিনের হাবিব হযরত আহমদ মোজতবা মোহাম্মদ মোস্তফা (দ.)’র আদরের; অতি আদরের কন্যা। তাঁর পরিচয় এখানেই শেষ নয়! তিনি ছিলেন হযরত আলী (রা.)’র স্ত্রী এবং নবি নাতি হাসনাইন তথা হযরত ইমাম হাসান ও হযরত ইমাম হোসাইন (রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমা)’র জননী। সারকথায় তিনি এমন এক মহীয়সী নারী, যাঁর সাথে কারও তুলনার চিন্তা করা তো দূর, প্রশংসা করতে করতে ক্লান্তি আসলেও যেন তৃপ্তি আসেনা। এত প্রশংসায়ও যেন নিতান্তই কম! নবিবরের আদরের কন্যা; চোখের জ্যোতি। চাট্টিখানি কথা! একজন নীতিবান নারীর জন্য তিনি সর্বোত্তম আদর্শ। নবিবর তাঁকে তিলে তিলে সঞ্চিত ধনরাশির মতই গড়ে তুলেছেন। তাঁর ইলম (জ্ঞান), আমল (জ্ঞানের অনুশীলন), খোদাভীতি, পবিত্রতা ও ব্যক্তিত্ব গড়ে উঠেছিল দুনিয়ার সর্বশ্রেষ্ঠ মানুষ আল্লাহর হাবিব (দ.) এবং দুনিয়ার অন্যতম শ্রেষ্ঠ নারী মা খাদিজাতুল কোবরা (রা.)’র প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে। তাই তো তিনি শৈশব থেকেই গড়ে উঠেছিলেন খোদার একনিষ্ঠ ভক্ত এবং সমাজের জন্য এক আদর্শ নারী হিসেবে। তিনি তাঁর জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপে মহান আল্লাহ্ রাব্বুল আলামিনের দেওয়া বিধান কুরআন মতে, বাবার দেখানো পথ অনুসারে কাজ করে গিয়েছেন।
তিনি তাঁর গুণাবলির জন্যে নানা উপাধিতে ভূষিত। যেমন- যাহরা (উজ্জ্বল দীপ্তশীলা), আস্ সিদ্দীকা (ন্যায়পরায়ণা), আল্ মোবারকা (মহিমান্বিতা), আত্ তাহেরা (নিষ্পাপ), আজ্ জাকিয়া (সতী), আর্ রাদ্বিয়া (সন্তুষ্ট), আল্ মারদ্বিয়া (আল্লাহকে সন্তুষ্টকারিনী), আল্ বাতুল (সতী ও পবিত্র), আল্ আদরা (চির কুমারী) এবং আল্ মোহাদ্দাতা (যিনি পয়গাম্বর না হয়েও ফেরেশতার সঙ্গে কথা বলতেন)। স্নেহময়ী জননীর মতো আল্লাহর হাবিব (দ.)’র সেবা-যত্ন করা এবং বিপদের সময় তাঁর সহায়তায় এগিয়ে আসার জন্য তাঁর অন্য একটি নাম হল, ‘উম্মে আবিহা বা পিতার জননী’।
মানব ইতিহাসে কিছু সংখ্যক মহীয়সী মহিলাকে দেখা যায়, যাঁরা অসংখ্য পুণ্যবান পুরুষদের চেয়েও উচ্চ মর্যাদাবান। যাঁদের ব্যাপারে স্বয়ং আল্লাহর হাবিব (দ.) সুস্পষ্টভাবে বলেছেন। তাঁরা হলেন, হযরত ফাতিমা (রা.), হযরত খাদিজা (রা.), হযরত মরিয়ম (আ.) ও হযরত আসিয়া (রা.) [তিরমিজি শরিফ]। হযরত মা ফাতিমা (রা.) ইহকাল ও পরকালের নারীকুলের সর্দার এবং নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সকলের মধ্যে তিনিই সর্বাগ্রে জান্নাতে প্রবেশ করবেন বলে হাদিস শরিফে উল্লেখ আছে। আল্লাহর হাবিব (দ.) একবার তাঁকে বলেছিলেন- “হে ফাতিমা, আল্লাহ তোমাকে নির্বাচিত করেছেন, তোমাকে পরিপূর্ণ জ্ঞান ও প্রজ্ঞায় সজ্জিত করেছেন এবং তোমাকে বিশ্বের নারীকুলের উপর শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছেন।”
আল্লাহর হাবিব (দ.) তাঁকে সকল যুগের নারীর মধ্যে শ্রেষ্ঠ বলে উল্লেখ করেছেন এবং আল্লাহর দরবারে তাঁর বিশেষ মর্যাদার কারণে তাঁকে দেখলে দাঁড়িয়ে সম্মান প্রদর্শন করতেন।
তিনি জন্মগ্রহণ করেছিলেন এমন এক যুগে যখন আরবরা নারীকে মনে করতো কেবল ভোগের সামগ্রী। এমনকি জাত্যাভিমানী আরবদের ঘরে কন্যাসন্তান জন্মগ্রহণ করলে তারা সেই সন্তানকে জীবন্ত কবর দিতো। এমন পরিস্থিতিতে মহান আল্লাহ্ সর্বশেষ রাসূল ও সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানবের ঘরে এমন একজন কন্যাসন্তান পাঠিয়ে নারী জাতির জন্য অশেষ সম্মান ও মুক্তির ব্যবস্থা করে দেন। মুফাস্সিরদের অনেকের মতে, পবিত্র কুরআনের ১০৮ নম্বর সূরা- সূরা কাউসারের অন্যতম উদ্দেশ্য হল, ‘হযরত ফাতিমা (রা.)’। কাউসার বলতে একই সঙ্গে হাশরের ময়দানে হাউজে কাউসার ও নবীনন্দিনী হযরত ফাতিমা (রা.)-কে বুঝানো হয়েছে। আল্লাহর হাবিব (দ.)’র কোনো জীবিত পুত্রসন্তান না থাকায় মক্কার কাফের ও মুশরিকরা তাঁকে আবতার বা নির্বংশ বলে উপহাস করতো এবং তাঁর ওফাতের পরই তাঁর ধর্ম শেষ হয়ে যাবে বলে প্রচার করতো। কারণ তৎকালীন আরব ভূমিতে কন্যাসন্তান দিয়েও যে বংশ রক্ষা হতে পারে তেমনটা কেউ ভাবতেই পারতো না। ঠিক এমনই সময় মক্কায় নাজিল হয় সূরা কাউসার। এ সূরায় বলা হয়, ‘আমিই তো আপনাকে কাউসার দান করেছি। সুতরাং আপনি নিজ পালনকর্তার উদ্দেশ্যে নামায পড়ুন এবং কুরবানি দিন। নিশ্চয়ই যারা আপনার দুশমন তারাই তো আঁটকুড়ে।’
অর্থাৎ আল্লাহ সূরাটির মাধ্যমে তাঁর প্রিয় রাসূলকে জানিয়ে দেন, কোনো জীবিত পুত্রসন্তান না থাকলেও আল্লাহ্ রাব্বুল আলামিন তাঁর হাবিব (দ.)-কে এমন এক কন্যাসন্তান দান করেছেন যিনি ‘কাউসার বা আধিক্যের প্রতিমূর্তি’। যাঁর মাধ্যমে সর্বাধিক সংখ্যক উত্তম পুরুষ পৃথিবীতে আসবেন মানবজাতির কল্যান সাধন করতে। এছাড়া আল্লাহ রোজ হাশরের ময়দানেও তাঁর প্রিয় রাসূলকে হাউজে কাউসার দান করবেন, যার রহমতের পানি রাসূল (দ.) নিজ হাত মোবারক দ্বারা তাঁর উম্মতদের পান করাবেন। প্রকৃতপক্ষে আমরা দেখতে পাই, হযরত ফাতিমা (রা.)’র মাধ্যমে রাসূলে পাক (দঃ)’র পবিত্র বংশধারা আজও অব্যাহত রয়েছে এবং কিয়ামত পর্যন্ত থাকবে। অন্যদিকে নির্মূল হয়ে গেছে আবু লাহাব ও আবু জাহেলদের বংশধর।
তাঁর প্রতি তাঁর পিতা আল্লাহর হাবিব (দ.)’র স্নেহ এতো অধিক ছিল যে, তিনি তাঁকে জীবনের অন্যতম বিষয় হিসেবে গণ্য করতেন। আল্লাহর হাবিব (দ.) বলেন, “যে ফাতিমাকে চেনে সে তো চিনেছেই। আর যে তাঁকে চেনে না তার জেনে রাখা উচিত, সে ফাতিমা মোহাম্মদের কন্যা। সে আমার দেহের অংশ, আমার হৃদয়, আমার অন্তরাত্মা। সুতরাং যে তাঁকে সন্তুষ্ট করে সে আমাকে সন্তুষ্ট করে এবং যে আমাকে সন্তুষ্ট করে সে (বস্তুত) আল্লাহকেও সন্তুষ্ট করে। আর যে ফাতিমাকে কষ্ট দিয়েছে সে আমাকেই কষ্ট দিয়েছে। আর যে আমাকে কষ্ট দিয়েছে সে (বস্তুত) আল্লাহকেও কষ্ট দিয়েছে।” [কাশফুল গুম্মাহ্, খ- ২য়, পৃ: ২৪]
হযরত মা ফাতিমা (রা.)-কে পবিত্র এবং স্বর্গীয় ব্যক্তিদের মধ্যে গণ্য করে আল্লাহর হাবিব (দ.) বলেন, “ফাতিমাই সর্বপ্রথম বেহেশতে প্রবেশ করবেন।” তিনি আরও বলেন, “যখন ফাতিমা ইবাদতে দণ্ডায়মান হয় তখন পৃথিবীর বুকে নক্ষত্রসমূহের মতো তাঁর জ্যোতি আসমানের ফেরেশতাদের জন্য প্রজ্বলিত হয়ে উঠে। আর তখন মহান স্রষ্টা তাঁর ফেরেশতাদের বলেন, ‘হে আমার ফেরেশতাকুল, আমার বান্দা ফাতিমা আমার অন্যান্য বান্দাদের নেত্রী। তাঁর প্রতি দৃষ্টি নিক্ষেপ কর, দেখ সে আমার ইবাদতে দণ্ডায়মান এবং আমার ভয়ে তাঁর দেহ কম্পিত। সে মন দিয়ে আমার ইবাদতে মশগুল। তোমরা সাক্ষী থাক, আমি তাঁর অনুসারীদের জাহান্নামের অগ্নি থেকে রক্ষা করব’।”
এভাবে নবি নন্দিনী মা ফাতিমা (রা.)-এর প্রতি নবিবর (দ.) স্বীয় ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছেন এবং সাহাবায়ে কেরাম (রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম)’র সামনে এ বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে উপস্থাপন করেছেন।
আল্লাহর হাবিব (দ.)’র সুন্নত অর্থাৎ তাঁর কথা ও কাজ এমনকি তাঁর নীরবতাও দীন ও শরিয়তের সনদ হিসেবে পরিগণিত। যা আল্লাহর কিতাবের পাশাপাশি কেয়ামত পর্যন্ত উম্মতের প্রতিটি কাজে কর্মে আদর্শ হিসেবে গণ্য হবে। এ দৃষ্টিকোণ থেকে বিশ্লেষণ করলে হযরত মা ফাতিমা (রা.)’র আধ্যাত্মিক মকাম ও সুমহান মর্যাদা এবং তাঁর ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের জীবন ইসলামের চলনরীতির সঙ্গে সংযুক্ত, সেই বিষয়টিও উপলব্ধি করা যায়।
এমতাবস্থায় ধীমান মাত্রই বুঝতে সক্ষম যে, আল্লাহর হাবিব (দ.)’র সঙ্গে হযরত মা ফাতিমা (রা.)’র সম্পর্ক শুধুই পিতা-কন্যার সম্পর্কের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিলনা বরং তা ছিল মুসলিম উম্মাহর ভবিষ্যৎ ইমামত বা নেতৃত্ব প্রদান বিষয়ে আল্লাহর নির্দেশাবলির সঙ্গে সম্পর্কিত।
আখেরি নবী (দ.)’র ওফাতে মুসলিম জাহানে এক অস্থিতিশীল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। সেই সময় ইসলামের প্রকৃত শিক্ষা ও বাণীকে জনগণের কাছে পৌঁছে দেয়ার ক্ষেত্রে অসম-সাহসী ভূমিকা পালন করেছিলেন নবি নন্দিনী। তিনি তাঁর ওফাতের আগ পর্যন্ত আল্লাহর হাবিব (দ.)’র অসিয়ত প্রচার ও কীভাবে মুসলমানরা বিচ্যুতি ও বিভ্রান্তি থেকে রক্ষা পাবে সে বাণী প্রচারে রত ছিলেন। মুসলিম উম্মাহর কল্যাণ ও মুক্তির জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করেছিলেন তিনি।
আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য কাজ করা বা সক্রিয় থাকার মধ্যেই তিনি খুঁজে পেতেন আনন্দ। তিনি তাঁর প্রদত্ত খুতবায় বলেছেন, “আল্লাহর সেবায় মশগুল হয়ে যে সন্তুষ্টি পাই তা আমাকে অন্য সব সন্তুষ্টি বা আনন্দ থেকে বিরত রাখে এবং সবসময় মহান আল্লাহর সুন্দর দৃষ্টি আমার দিকে নিবদ্ধ রাখার প্রার্থনা ছাড়া আমার অন্য কোনো প্রত্যাশা নেই।”
তিনি তাঁর এক খুতবায় মানুষকে কুরআন আঁকড়ে ধরার কথা বলেছেন, “যখন রাতের অন্ধকারের মত তোমাদের দিকে ফিৎনা এগিয়ে আসবে। তখন তোমরা কুরআনকে আঁকড়ে ধরবে। যে ব্যক্তি কুরআনকে আঁকড়ে ধরবে (কুরআনকে অনুসরণ করবে) সে বেহেশতে গমন করবে, আর যে ব্যক্তি কুরআনকে বর্জন করবে, সে জাহান্নামে নিক্ষিপ্ত হবে।”
তিনি মানুষকে কুরআনের বাণী স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, “যদি কেউ পবিত্র ইসলামের বিধান ব্যতিরেকে অন্য কোনো বিধানের অনুসরণ করে, তবে তা কখনো গ্রহণযোগ্য হবে না এবং পরকালে তারা ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হবে।” [সুরা আলে ইমরান: ৮৫]
মসজিদে নববীতে দেওয়া তাঁর ভাষণে তিনি মহান আল্লাহ্ তায়ালার অনন্ত ও অসীম নেয়ামত যা আমাদের সমগ্র অস্তিত্বকে পরিব্যাপ্ত করে রেখেছে তার প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেছেন এভাবে- “মহান আল্লাহর প্রদত্ত অফুরন্ত নেয়ামতের কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। তার প্রদত্ত করুণার শোকর গুজার করছি, যে অপরিসীম করুণা প্রারম্ভে দান করেছেন, আর সে সমস্ত ধারাবাহিক দয়া ও অনুগ্রহ যা সার্বক্ষণিকভাবে আমাদের ওপর বর্ষিত হচ্ছে, সে সমস্ত নেয়ামত যা গণনার ঊর্ধ্বে এবং যে নেয়ামতের ব্যাপকতা ও পরিধি এতোই অধিক যে, তার কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করা মানুষের সাধ্যাতীত।এ সমস্ত নেয়ামতের প্রান্তসীমা অনুধাবন করা মানুষের পক্ষে আদৌ সম্ভবপর নয়।”
তাঁর এই বক্তব্য আমাদের মাঝে আল্লাহর প্রতি শোকর গুজার হতে, আল্লাহর দরবারে ক্ষমা প্রার্থনা করার অনুভূতিকে জাগ্রত করে এবং আল্লাহর পবিত্র সত্তার সামনে মাথা নত হতে শেখায়।
তিনি খুতবায় আরও বলেছিলেন, “আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, একমাত্র আল্লাহ্ ছাড়া আর কোন উপাস্য নেই এবং তাঁর কোন অংশীদার ও সমকক্ষ নেই। এটা এমনই এক সাক্ষ্য, যার অভ্যন্তরকে আল্লাহ্ ইখলাস নির্ধারণ করেছেন। (মুমিনদের) অন্তরসমূহ তাতে সম্পৃক্ত হয়েছে এবং তার প্রভাব চিন্তা ও চেতনায় প্রস্ফুটিত হয়।”
খাতুনে জান্নাত আরও বলেন, “পৃথিবীতে তিনটি জিনিস আমার খুবই প্রিয়। আল্লাহর পথে ব্যয়, রাসূলে খোদা (দ.)-এর চেহারা মোবারকের দিকে তাকানো এবং পবিত্র কুরআন তেলাওয়াত। পবিত্র কুরআনের আয়াত শ্রবণ মুসলমানদের মুক্তির তীরে পৌঁছে দেয়।” তিনি তাঁর খুতবায় আরও বলেন, “রাসুল (দ.) যা কিছু উম্মতের জন্য রেখে গেছেন, তা হচ্ছে কুরআনে নাতিক ও কুরআনে সাদিক এবং সেটার অত্যুজ্জ্বল নূর ও জ্যোতি। এটা এমনই এক গ্রন্থ যেটার দলিলসমূহ হচ্ছে অকাট্য, অভ্যন্তর হচ্ছে সুস্পষ্ট, বহির্ভাগ হচ্ছে আলোকিত এবং সেটার অনুসারীরা হচ্ছে সম্মানিত। এটা এমনই এক মহাগ্রন্থ, যা তার বাহকদের বেহেশতের প্রতি আহ্বান এবং শ্রোতাদের মুক্তির পথে দিক নির্দেশনা প্রদান করে। এটা এমনই এক মহাগ্রন্থ, যা আল্লাহর অকাট্য দলিলাদির বাহক, এ গ্রন্থে আল্লাহর উপদেশাবলী পুনরাবৃত্তি এবং ওয়াজিবসমূহ তাফসিরের সঙ্গে বর্ণিত হয়েছে। হারাম ঘোষণাকৃত বস্তু থেকে বিরত থাকার আদেশ দেয়া হয়েছে। এ পবিত্র গ্রন্থে আল্লাহর বিধান ও আহকাম সুস্পষ্ট ও পূর্ণাঙ্গরূপে বর্ণিত হয়েছে। এতে শিষ্টাচারের বিধান ও আল্লাহতায়ালার পক্ষ থেকে বৈধ ঘোষিত বিষয়াবলী অত্যন্ত সুনিপুণভাবে লিপিবদ্ধ হয়েছে।”
নবি নন্দিনী হযরত ফাতিমাতুয্ যাহরা (রা.) প্রদত্ত খুতবায় প্রকাশ পায় ইসলামি আহকামের অন্তর্নিহিত রহস্য ও দর্শন। বিশেষত সর্বাপেক্ষা জটিল ও সূক্ষ্ম বিষয়সমূহ তথা তাওহিদ (আল্লাহর একত্ববাদ), মাবদা (উৎসমূল) ও মা‘য়াদ (পরকাল) সম্পর্কে তাঁর সুগভীর জ্ঞান ও প্রজ্ঞার পরিচয় বহন করে। যা সত্য পথের অনুসারীদের জন্য মাইলফলক স্বরূপ।
তিনি যেরূপে আল্লাহ্ রাব্বুল আলামিনকে ভালবাসতেন, অনুসরণ করতেন- তিনি চাইতেন আল্লাহর হাবিব (দ.)’র অনুসারীরাও যেন ঠিক একইভাবে অনুসরণ করেন। আল্লাহর হাবিব (দ.)’র ওফাতের পরও আল্লাহর পথ থেকে বিচ্যুত না হন। মানুষের জন্য আল্লাহ্ প্রদত্ত জীবনবিধান সম্পর্কে জানাতে গিয়ে তিনি বলেন, “আল্লাহ্ রাব্বুল আলামিন ইমানকে শিরক থেকে তোমাদের পরিশুদ্ধ থাকার জন্য নির্ধারণ করেছেন। ঔদ্ধত্য ও অহঙ্কার থেকে বিরত থাকার জন্য নামাযকে ওয়াজিব করেছেন। আত্মার পরিশুদ্ধি ও সম্পদের বরকতের জন্য যাকাত নির্ধারণ করেছেন। ইখলাস সুদৃঢ়করণের লক্ষ্যে রোযাকে ওয়াজিব করেছেন। ইসলামি বিধানকে শক্তিশালীকরণের লক্ষ্যে হজকে ওয়াজিব করেছেন। পরস্পরের মাঝে সংহতি বজায় রাখার জন্য ন্যায়পরায়ণতাকে নির্ধারণ করেছেন। মুসলিম উম্মাহর মাঝে সংহতি সৃষ্টির লক্ষ্যে আমাদের [আহলে বাইত (রা.)] অনুসরণকে আবশ্যক করেছেন। ইমামত ও আমাদের নেতৃত্বকে অনৈক্য ও বিচ্ছিন্নতা থেকে মুক্তির লক্ষ্যে নির্ধারণ করেছেন। ধৈর্য ও সংযতকে আল্লাহর পুরস্কারের মাধ্যম হিসেবে নির্ধারণ করেছেন। সাধারণ মানুষের সংশোধনের জন্য সৎ কাজের প্রতি আদেশকে আবশ্যকীয় করেছেন। পিতামাতার প্রতি সদাচরণকে আল্লাহর ক্রোধ থেকে মুক্তির মাধ্যম হিসেবে নির্ধারণ করেছেন। আয়ু ও সামর্থ্য বৃদ্ধির লক্ষ্যে আত্মীয়দের মাঝে সুসম্পর্ক বজায় রাখার বিধানকে আবশ্যক করেছেন। গুনাহ থেকে মুক্তির মাধ্যম হিসেবে মানত বা নজর পালনকে নির্ধারণ করেছেন। বেচাকেনায় ওজনে কম দেয়ার প্রবণতা প্রতিরোধের লক্ষ্যে ওজনে কম দেয়াকে হারাম ঘোষণা করেছেন। আল্লাহ্ শিরককে হারাম ঘোষণা করেছেন, যাতে করে বান্দারা ইখলাসের সঙ্গে তার বন্দেগি করতে পারে। অতএব, তিনি যে সর্বোচ্চ মর্যাদার অধিকারী সে অনুযায়ী তাকওয়া অবলম্বন কর। কখনো তার আদেশের অমান্য করবে না এবং চেষ্টা করবে যাতে মুসলমান অবস্থাতে দুনিয়া থেকে বিদায় নিতে পার। ‘আল্লাহর আদেশ-নিষেধ পূর্ণাঙ্গরূপে মেনে চল এবং জ্ঞান ও প্রজ্ঞার পথ অনুসরণ কর’ [সুরা আলে ইমরান: ১০২]। কেননা আল্লাহ্ রাব্বুল আলামিন বলেছেন, ‘নিশ্চয়ই বান্দাদের মাঝে কেবলমাত্র জ্ঞানীরাই আল্লাহকে ভয় করে’ [সুরা ফাতির: ২৮]।”
আদর্শ সন্তান গঠনে মায়ের ভূমিকায়ও তিনি ছিলেন অনন্য। তিনি নিজ সন্তান, মুসলমানদের সর্দার ও বেহেশতি যুবকদের সর্দার হযরত ইমাম হাসান (রা.) ও হযরত ইমাম হোসাইন (রা.)-কে যথাযোগ্য প্রশিক্ষণ দিয়েছেন। উদাহরণ স্বরূপ একটি ছোট্ট ঘটনার অবতারণা হোক- হযরত ইমাম হাসান (রা.) থেকে বর্ণিত হয়েছে, “একবার শুক্রবার রাতে দেখলাম, আম্মাজান [মা ফাতিমা (রা.)] ইবাদতে মগ্ন। একটানা রুকু ও সেজদায় থাকতে থাকতে ভোরের আলো ফুটে উঠে। আমি শুনতে পেলাম তিনি মুমিন নারী ও পুরুষের জন্য অনেক দোয়া করলেন, কিন্তু নিজের জন্য কোনো দোয়াই করলেন না। আমি প্রশ্ন করলাম- আম্মাজান, আপনি কেন নিজের জন্য দোয়া করলেন না, যেভাবে অন্যরা দোয়া করে? তিনি জবাবে বললেন- ‘হে আমার পুত্র, আগে প্রতিবেশীর কথা ভাবতে হয়, এরপর নিজের ঘরের কথা’।”
নবিবর, রাহমাতুল্লিল আলামিন হযরত আহমদ মোজতবা মোহাম্মদ মোস্তফা (দ.)’র পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী তাঁর ওফাতের ছয় মাসের মধ্যেই ৩রা রমজান (প্রসিদ্ধ মত) তথা আজকের দিনে পবিত্র মক্কা নগরীতে বিশ্বজগতকে অনন্ত মাতমে ভরিয়ে রেখে ইসলামরূপ গগনের নারী রূপী এই অত্যুজ্জ্বল নক্ষত্র, নবি নন্দিনী খাতুনে জান্নাত হযরত মা ফাতিমাতুয্ যাহরা (রা.) ওফাত লাভ করেন। তাঁকে সমাহিত করা হয় পবিত্র জান্নাতুল বাকিতে।
সুপ্রিয় পাঠক, আমরা নিবন্ধের সীমান্তে উপনীত। উপরিউক্ত আলোকপাত যেমন চিরন্তন সত্য তেমনই আরেকটি তিক্ত সত্য-বাস্তবতা হল, মেরুদন্ডহীন বিধ্বস্ত একটা নারী সমাজকে; সমাজকে একটি বাসোপযোগী আদর্শিক সমাজে রূপদান করার মত একটি খোদা প্রদত্ত মডেল-আদর্শ তথা নবি নন্দিনীর সেই আদর্শ আমাদের সমাজে আজ অনুপস্থিত; চরম অবহেলিত! এমনকি নবি নন্দিনীর সেই নাম মোবারকও যেন আমরা আজ ভুলে যেতে বসেছি! তাঁর জীবন-দর্শন নিয়ে আলোচনা, চর্চা আজ হয়না বললেও বোধহয় অত্যুক্তি হবেনা। চলুন আজকের এই মহিমান্বিত দিনে সংকল্প করি, আমরা আমাদের এই ভগ্নপ্রায় সমাজে নবি নন্দিনীর জীবন-দর্শন আবারও জিইয়ে তুলব। নিজেদের মা-বোনদের সেই শিক্ষায় শিক্ষিত করে পুনরায় পরিবার তথা সমাজে সেই সোনালী আভা ফুটিয়ে তোলায় সচেষ্ট হব। মহান রাব্বুল আলামিন আহলে বাইতে রাসূল (দ.) বিশেষত নবি নন্দিনীর উসিলায় আমাদের এই ফরিয়াদ কবুল করুন। আমিন।

Address

713 E Broad Street, Falls Church
East Falls Church, VA
22046

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when MD Abdul Ali posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to MD Abdul Ali:

Videos

Share