25/01/2024
সান্তাহার রেলওয়ে স্টেশন বগুড়া জেলার আদমদীঘি উপজেলায় অবস্থিত একটি জংশন স্টেশন। এটি বাংলাদেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ রেলওয়ে স্টেশন। এ জংশন স্টেশন দিয়ে প্রতিদিন শত শত যাত্রী এবং আন্তঃনগর ট্রেন, মেইল ট্রেন, সাধারণ মেইল, মালামাল গাড়িসহ প্রায় ৪০ টি ট্রেন চলাচল করে। সান্তাহারের রেল ইয়ার্ডটি বাংলাদেশের বৃহতম রেল ইয়ার্ড।
#ইতিহাস_সান্তাহার_জংশন
১৮৭৮ সাল থেকে, কলকাতা থেকে শিলিগুড়িতে রেলপথে যাওয়ার জন্য, দুইধাপে রেলভ্রমণ করতে হত। প্রথম ধাপে, পূর্ববঙ্গ রাজ্য রেলপথ ধরে কলকাতা স্টেশন (পরবর্তীতে শিয়ালদহ নামে নামকরণ করা হয়) থেকে যাত্রা শুরু করে পদ্মা নদীর দক্ষিণ তীরের দামুকদিয়া ঘাট পর্যন্ত ১৮৫ কিলোমিটার রেলভ্রমণ করতে হত; তারপর ফেরিতে করে নদী পার হয়ে ভ্রমণ যাত্রার দ্বিতীয় ধাপ শুরু হত। দ্বিতীয় ধাপে, উত্তরবঙ্গ রেলপথ ধরে পদ্মার উত্তর তীরের সারাঘাট থেকে শিলিগুড়ি পর্যন্ত ৩৩৬ কিলোমিটার রেলভ্রমণ করতে হত।[৩] ১৮৭৮ সালে দর্শনা-পার্বতীপুর ব্রডগেজ রেল চালু হয়। সেই সময়কালে সান্তাহার রেলওয়ে স্টেশন হিসেবে চালু হয়।
১৮৯৯-১৯০০ সালে, ব্রহ্মপুত্র-সুলতানপুর রেলওয়ে কোম্পানী যমুনার পশ্চিম তীরের সান্তাহার থেকে ফুলছড়ি পর্যন্ত একটি মিটারগেজ রেলপথ তৈরি করে।[৪] ১৯০১ সালে বোনারপাড়া-সান্তাহার মিটারগেজ লাইন চালু হলে সান্তাহার জংশনে পরিণত হয়।[২]
কলকাতা-শিলিগুড়ি মূল লাইনটি পর্যায়ক্রমে ব্রডগেজে রূপান্তরিত করা হয়। হার্ডিঞ্জ ব্রিজটি নির্মাণাধীন অবস্থায়, শাকোল-সান্তাহার বিভাগটিকে ১৯১০-১৯১৪ সালের মধ্যে ব্রডগেজে রূপান্তরিত করা হয়। হার্ডিঞ্জ ব্রিজ ১৯১৫ সালে চালু হয় এবং সান্তাহার-পার্বতীপুর বিভাগটিকে ১৯২৪ সালে ব্রডগেজে রূপান্তরিত করা হয়।
শুরুতে এই স্টেশনের নাম ছিল সুলতানপুর। ১৯৪৭ সাল থেকে সুলতানপুর সান্তাহার নামে খ্যাত হয়ে থাকে। সান্তাহার রেলওয়ে জংশন সংলগ্ন সাঁতাহার নামক স্থানের নাম থেকে সান্তাহার নামকরণ হয়।
© from Abdullah Borhan's article..