25/11/2023
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম ।
সব সময়ই জিকির করুন ।
জিকির হলো সহজ আমল ।
কিন্ত জিকিরে ছাওয়াব খুব বেশি ।
জিকিরের জন্য অযুর ও দরকার নাই । অযু না থাকলেও জিকির করা যাবে ।
দাঁড়ানো বসা শোয়া সর্বাবস্থায় জিকির করুন, মা বোনেরা অপবিত্র থাকা অবস্থাতে ও জিকির করতে পারবেন যখন নামাজ থাকে না , যখন নামাজ থাকে না তখন বেশি বেশি জিকির করা, কারণ হলো নামাজ এবং রোজা না রাখার কমতি পুষিয়ে নেয়া যায় জিকির দ্বারা ।
কেননা জীবন তো চলে যাচ্ছে বসে থেকে কি লাভ ?
আজকে তো আমলের সুযোগ আছে, কালকে সেই সুযোগ নাও থাকতে পারে, পরবর্তী নিঃশ্বাস নিতে পারবেন কিনা তার কোন নিশ্চয়তা নাই ।
জিকির দ্বারা অন্তরে প্রশান্তি লাভ হয়।
এক লোক নবী সা কে বললো ইসলামের বিধি বিধান আমার জন্য বেশি হয়ে গেছে, আমাকে সটকাট কিছু বাতলে দিন যা আঁকড়ে থাকতে পারি ।
নবী স বললেন তুমি সব সময়ই তোমার যবানকে আল্লাহর জিকির দ্বারা শিক্ত রাখবে ।
ফরজ নামাজ ঠিক রেখে সারাদিন সারাক্ষন জিকির করবেন ।
সুবহানাললাহ, আলহামদুলিল্লাহ, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, আল্লাহু আকবার পড়ুন ।
আসতাগফিরুললাহ ও পড়তে পারেন আবার লা হাওলা ওয়ালা কুউআতা ইল্লাবিললাহ ও পড়তে পারেন ।
আবার দরুদ ও পড়তে পারেন ।
বা সারাক্ষণ সূরা ইখলাস বা কুল হুয়াললাহ ও পড়তে পারেন ।
বসে থেকে কোনও লাভ নাই ।
বাসে কোথাও যাচ্ছেন দুই এক ঘন্টার পথ জিকির করতে থাকুন ।
ধান কাটছেন হাত দিয়ে মুখে এবং অন্তরে জিকির করুন ,
মা ও বোনেরা পাক করার সময় জিকির করুন ,
এক সাথে দুই লাভ একদিকে পাক হচ্ছে, অন্য দিকে আখিরাতের সম্ভুল জোগাড় হচ্ছে । আদম সন্তানের যে মুহূর্ত পার হচ্ছে, তাতে সে সময়ে আল্লাহর জিকির করে না , এর জন্য কিয়ামতের দিন তাকে আফসোস করতে হবে। সে জন্য একমিনিট ও যেনো জিকির হতে খালি না থাকে ।
যারা সব সময়ই জিকির করে তাদের দোআ কবুল করেন মহান আল্লাহ পাক ।
পবিত্র কুরআনে খুব বেশি জিকির করতে মহান আল্লাহ পাক বলেছেন । মহান আল্লাহ পাক সবচেয়ে জ্ঞানী বলেছেন যারা সর্ব অবস্থায় জিকির করে । আপনি বলুন আপনি কি সব সময়ে জিকির করেন ?? যদি না করেন এখন থেকে শুরু করুন । আজকে বসে থাকলে কালকে আফসোস করবেন ,
আমাদের নবী সা সব সময়ই জিকির করতেন।
"যে আমার স্মরণে বিমুখ তার জীবন-যাপন হবে সংকুচিত এবং আমি তাকে রোজ কিয়ামতের দিন উত্থিত করবো অন্ধ অবস্থায়"।
সংকুচিত জীবনের কারণই হলো নামাজ এবং আল্লাহর জিকির হতে গাফিল।
জিকিরের ফজিলত পবিত্র কুরআনে যা উল্লেখ আছে এর মধো 'আমাকে স্মরণ করলে আমি ও তোমাকে স্মরণ করবো, কেমন কথা গায়ের পশম দাঁড়িয়ে যায় তিনি আমাকে স্মরণ করবেন!!!
অথচ তিনিই বাদশাহ দের বাদশাহ ।
তিনিই আমার মালিক, আমি তার গোলাম মাত্র ।
যদি মৃত্যুর পর হতে চিরকালের জন্য হাঁসতে চান তবে বেশি বেশি জিকির করুন ।
জিকির করতে করতে জিকিরে অভ্যস্থ হয়ে যান ।
জিকির না করলে একটা শ'য়'তা'ন আপনাকে লাগিয়ে দেয়া হবে, সে হবে আপনার বন্ধু, অথচ শ'য়'তা'ন আপনার দু'শ'মন, দু'শমন কে দু'শ'মন হিসেবে নিন ।
জীবনে অনেক কল্যাণ লাভ করার জন্য ঈমানের পর নামাজ ঠিক রেখে সারাক্ষণ জিকির করুন ।
এই আমল আপনি কাউকে ও দিবেন না, এবং কেউ সেটা নিতে পারবে না, সেটার এককভাবে আপনি মালিক হবেন , চোখ বন্ধ হওয়ার সাথে সাথে সেটা বুঝবেন, তবে সেই বুঝা কোন কাজে আসবে না । এখন থেকেই সব সময়ই জিকির করুন, জিকিরে অভ্যস্থ হয়ে যান,
মনের অশান্তিতে ভুগছেন জিকির করুন ,
যে কোন সমস্যায় পড়েছেন ,
দুই হাত উঠিয়ে মহান আল্লাহর কাছে সাহায্য চান ,
যদি সম্ভব হয় দুই রাকাত নামাজ পড়ে মহান আল্লাহর নিকট অনুনয় বিনয়ের সাথে দোয়া করুন ,
মহান আল্লাহ পাক আপনাকে সাহায্য করবেন , এমন জায়গা থেকে সাহায্য করবেন আপনি কখনো কল্পনাও করতে পারবেন না , এখান থেকে সাহায্য আসতে পারে । মনে রাখবেন মহান আল্লাহর চেয়ে আপনার বড় কোন অভিভাবক এবং বন্ধু নাই । আপনার সত্যিকার মালিক কে ?? মহান আল্লাহ ।
মহান আল্লাহ পাক আপনাদের জাকেরীন ( জিকির কারী) হিসেবে কবুল করুক ।