M tv লাইক,কমেন্ট,ও সেয়ার করে
সবাই পাশে থাকবেন।
(2)

তুমি বলেছিলে রাতে তোমার ঘুম হয় না,আমি বুঝেছিলাম সময় চাইছো; তুমি বলেছিলে "আকাশে কী মেঘ করেছে দেখো?",আমি বুঝেছিলাম তোমার ম...
13/07/2024

তুমি বলেছিলে রাতে তোমার ঘুম হয় না,
আমি বুঝেছিলাম সময় চাইছো;

তুমি বলেছিলে "আকাশে কী মেঘ করেছে দেখো?",
আমি বুঝেছিলাম তোমার মন খারাপ।

তুমি বলেছিলে "চুলে জট বেধেছে";
আমি বুঝেছিলাম তুমি স্পর্শ চাইছো।

তুমি বলেছিলে আজ বিকেলে তুমি বারান্দায় থাকবে;
আমি বুঝেছিলাম সাক্ষাত চাও।

তুমি বলেছিলে,অন্ধকারে আমার বড্ড ভয়;
আমি বুঝেছিলাম তোমার আমাকে জড়িয়ে ধরতে ইচ্ছে করছে;

তুমি বলেছিলে সমুদ্রে যাবে;
আমি বুঝেছিলাম পাশাপাশি হাত ধরে হাঁটতে চাইছো।

তুমি বলেছিলে নীল প্রিয় রঙ,
আমি বুঝেছিলাম তোমার কষ্ট হচ্ছে;

তুমি বলেছিলে ঠোঁট ফেটেছে,
আমি বুঝেছিলাম চুমু খেতে চাইছো;

তুমি বলেছিলে অংক ভালো লাগেনা,
আমি বুঝেছিলাম তুমি কবিতা ভালোবাসো;

তুমি বলেছিলে " আজ তাড়াতাড়ি ঘরে ফিরতে হবে",
তুমি বলেছিলে,এই হুটহাট দেখা করা,অসময়ে ফোন করা আর তোমার ভালোলাগছেনা;
আমি বুঝে গিয়েছিলাম,বিচ্ছেদ চাইছো।

তারপর অলিখিত সাক্ষরে তুমি যখন ইনভিজিবল কোর্টে আমার বিরুদ্ধে বিচ্ছেদের মামলা ঠুকে দিলে;
আমি বুঝেছিলাম তুমি মুক্তি চাও।

এরপর সব বুঝে যখন আমি দার্শনিক,
সব মিটিয়ে তুমি যখন অন্য ঘরের শো-পিস,
একদিন আমাদের দেখা হলো তখন;

তুমি জিজ্ঞেস করেছিলে,"কেমন আছো?"
আমি বুঝে গিয়েছিলাম তুমি ভালো নেই।

লেখক- হুমায়ূন ফরিদ স্যার ...🌼
©️

ট্রেনের খালি কামরায় সুন্দরী তরুণীআর একজন ব্যাংকার থাকলে যা হয়?এক তরুণ ব্যাংকার ট্রেনের এসিকামরায় ভ্রমণ করছিলেন ৷ ভদ্রলোক...
23/06/2024

ট্রেনের খালি কামরায় সুন্দরী তরুণী
আর একজন ব্যাংকার থাকলে যা হয়?
এক তরুণ ব্যাংকার ট্রেনের এসি
কামরায় ভ্রমণ করছিলেন ৷ ভদ্রলোকের
পাশের সিট খালি। আশে পাশেও কেউ
নেই। ট্রেন মোটামুটি খালিই বলা
চলে।
একটু পরে, একজন সুন্দরী মেয়ে উঠে
ভদ্রলোকের পাশের সিটটাতে বসলেন ৷
ব্যাংকার বেশ খুশি হলেন এই ভেবে যে,
যাক জার্নিটা বোধহয় বোরিং হবে না!
ভদ্রমহিলা ব্যাংকারের দিকে তাকিয়ে
মুচকি মুচকি হাসছিলেন । এতে
ব্যাংকার ভদ্রলোকের মনের ভেতর
খুশির জোয়ার বইতে শুরু করলো। মেয়েটি
ব্যাংকার তরুণের আরও ঘনিষ্ট হয়ে
বসলেন। তরুণ আনন্দে আত্মহারা হয়ে কি
করবেন আর কি না করবেন বুঝে ওঠার
আগেই মেয়েটি ওই তরুণের কানের কাছে
গিয়ে ফিসফিস করে বললেন ‌'সঙ্গে যা
আছে ঘড়ি, টাকা, পার্স সব বের করুন,
নয়তো চিৎকার করে পুলিশ ডেকে বলব
যে, আমাকে একলা পেয়ে আপনি আমার
সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করার চেষ্টা
করছিলেন।'
ব্যাংকার তরুণটি যেন কিছুই হয়নি
এইরকমভাবে তাকালেন মেয়েটির
দিকে। তারপর পকেট থেকে একটা কাগজ
আর কলম বের করে ওটাতে লিখলেন,
'আমি বোবা এবং কালা। তাই যা বলার
দয়া করে এই কাগজে লিখে দিন।
মেয়েটি যা যা বলেছিলেন সেগুলো
কাগজে লিখে ভদ্রলোকের হাতে দিলেন

তরুণ কাগজটা নিয়ে বেশ যত্ন সহকারে
পকেটে রাখলেন। তারপর ইস্পাত কঠিন
গলায় বললেন, 'নিন এইবার চিৎকার
করে যত ইচ্ছা পুলিশ ডাকুন।'
গল্পের শিক্ষা: ব্যাংকাররা সবসময়
ডকুমেন্টসহ যে কোন জিনিস ডিল করে,,,

আপনাদের কমেন্ট দেখলে
আমার পরের পোষ্ট দিতে
ভালো লাগে ।........... ধন্যবাদ ........

অনুগল্প ম্যাডাম,শরম লাগে একটা কতা কইতে।কেনো আকলিমা? কি হয়েছে বলো?মামা তো লেহাপড়া করতে বিদেশ চইলা যাইতাছে। আপনেগো মাইনষে ...
23/06/2024

অনুগল্প

ম্যাডাম,শরম লাগে একটা কতা কইতে।
কেনো আকলিমা? কি হয়েছে বলো?

মামা তো লেহাপড়া করতে বিদেশ চইলা যাইতাছে। আপনেগো মাইনষে কতকিছু দিতাছে মামারে। কেউ ট্যাকা,কেউ গেরাম থেইকা পিডা,নাইলের চিড়া,নাড়ু,সন্দেশ আরও কি কি জানি পাঠাইছে।

হ্যাঁ। তো কি হয়েছে?

আকলিমা তার ডানহাতের মুঠি আমার সামনে মেলে ধরলো। পুরোনো একটি একশো টাকার নোট।

জিজ্ঞেস করলাম এত আমতা আমতা করছো কেনো?

আইজ চাইরদিন ধইরা এই একশো টেকা নিয়া আসি আবার চইলা যাই। এদিকে মামার পেলাইট পরশু। আপনারা এত ধনী,ক্যামনে মামার হাতে কিছু খাওনের লাইগা এই একশো
ট্যাকা দিই। তাই শরমে মইরা যাইতাছি ম্যাডাম। আমি পেরাই একশো ট্যাকা চাইলে মামা আমারে এমনেই দিয়া দেয়। বেতন থেইকা পরে কাইটাও নেননা। এহন এই একশো টেকা ক্যামনে দিই মামারে। এর বেশি যোগারও করতে পারিনাই।

আমি নিরব হয়ে গেলাম আকলিমার কথা শুনে। তার সারামুখে নমনীয়তা আর সংকোচবোধের তীব্র প্রলেপ। কেনো এতটা গরীব এই ভেবে, আফসোসের চর জেগে উঠার জোরালো আভাস লক্ষ্য করা যাচ্ছে তার মনে।

আমি তাকে সহজ করে বললাম,

আরেহ! সামান্য এটার জন্য এত কাচুঁমাচু করার কি আছে? এই একশো টাকার তুমি কিছু খেয়ে নিও। দিতে হবে না। মনে করো পেয়ে গেছে আমার ছেলে।

আমার কথা শুনে আকলিমার সারামুখে অমাবস্যা নেমে এলো। তার চোখদুটো টলমল করছে কচুপাতার উপরে জমে থাকা একফোঁটা জলকণার মতো। মনে হচ্ছে এখুনি ঘন বরষা নামবে ওই অসহায় দুটি চোখের পাতা থেকে।

ভেজা নরম গলায় বললো,

আমি জানতাম ম্যাডাম। এই ট্যাকা দিতে পারুম না মামারে। ঠিক এই ডরটাই ডরাইতাছিলাম। আমরাতো কাছের কেউ দূরে কোথাও চইলা যাইতে হাতে ট্যাকা দিই মায়া কইরা। খোদায় মন দিছে ধন দেয়নাই। কি করুম। তকদির আমগো। মামারে দিতে ক্যামন জানি লাগতাছে। তাই সাহস কইরা আফনেরে কইলাম। কে বাঁচে কে মরে ঠিক নাই। মামা আবার দ্যাশে আসনের কাল পইরযন্ত কি আপনেগো বাসায় কাম করন আমার কপালে জুটবো? বলে আকলিমা আফসোসের সঙ্গে দীর্ঘশ্বাস ছাড়লো।

আচ্ছা মন খারাপ করো না তুমি। আমি তোমাকে ৫০০ দিচ্ছি। তুমি দিয়ে দাও আমার ছেলেকে।

ওমা এইডা কি কন!
অভিমানের ঝাঁঝে বললো সে।
তাইলে কি আমার মন শান্তি পাইবো? আপনেগো ট্যাকাই আপনেগোরে দিলাম। আমার ট্যাকা ত অইলো না ম্যাডাম। মালিক যে ক্যান গরিবরে আসমানের লাহান মন দ্যায়?

আমার অনুধাবন করতে বাকি রইলোনা, এই একশো টাকা দিতে পারলে আকলিমা মনে যতটা আনন্দিত হবে। তাকে সেই নিষ্পাপ আনন্দ বা সুখ থেকে বঞ্চিত করা অমানবিক হয়ে যায়।

বললাম আসো আমার সাথে,তোমার হাতেই দাও।
তার চোখের কোণে খুশির ফল্গুধারা বইতে লাগলো। অতঃপর আকলিমা নিদিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে আমার ছেলের হাতে সেই একশো টাকার নোটটি দিলো। আমি আগেই ছেলেকে ইশারায় বলে দিলাম নেওয়ার জন্য। নয়তো ছেলে হয়তো নিত না আকলিমার কথা ভেবে।

আকলিমা আপ্লুত হয়ে গেলো মুহুর্তেই। এক বুক আনন্দ নিয়ে বাসা থেকে বের হয়ে গেলো। আমরা বাসার সবাই জড়ো হয়ে তার সম্পর্কে বলাবলি করছি।

আমার ছেলে বললো,
আমি অনেস্টলি একটা কথা বলি আম্মু, আমি বাইরে যাওয়াকে কেন্দ্র করে যার থেকে যা পেলাম। এরমধ্যে খালার এই একশো টাকার গুরুত্ব ও মূল্য আমার কাছে সবচেয়ে বেশি। ওনার মনের সৌন্দর্যে,আনুগত্যে,উদারতায়,বিবেকবোধে আমি সত্যিই মুগ্ধ। আকলিমারাই খাঁটি মানুষ। সোনার মানুষ।

ছেলের কথা শুনে, মা হিসেবে গর্বে প্রাণটা শীতল হয়ে গেলো। পরিবার থেকে উপযুক্ত শিক্ষা ও মানবিক দীক্ষার বীজ তার মনে বুনে দিতে পারলাম বলে। এই বীজের ফসলের খুসবু ছড়িয়ে পড়ুক জন থেকে জনে, প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে।

ছোটগল্প মন

রেহানা পুতুল

সমাপ্তি

ভালো লাগলে ফলো করতে ভুলবেন না কিন্তু ধন্যবাদ আপনাকে 🙂

মেয়েরা একবার হলেও পড়বে, লিখতে চাইনিশুধু কোন না কোন বোনের উপকারে আসবেতাই লিখলাম।আর যদি একজন বোনের ওউপকারে আসে তাহলে আমার ...
08/06/2024

মেয়েরা একবার হলেও পড়বে, লিখতে চাইনি
শুধু কোন না কোন বোনের উপকারে আসবে
তাই লিখলাম।আর যদি একজন বোনের ও
উপকারে আসে তাহলে আমার লিখাটা স্বার্থক
হবে।

গরীব ঘরের একটি সহজ সরল মেয়ে নাম
তার বৃস্টি। বাবা মায়ের এক মাত্র সন্তান বৃস্টি।
অনেক কষ্ট করে খেয়ে না খেয়ে মেয়েটিকে
তারা পড়া শোনা করাচ্ছেন।মেয়েটা লেখাপড়ায় ও ফাস্ট, অনেক মেধাবী একটি
ছাত্রী। জি পি এ ফাইভ নিয়ে ঢাকায় একটি
ভাল কলেজে ভর্তি হয়েছে।এখানে হোস্টেলে থেকে পড়াশোনা করছে।
মেয়েটি অনেক স্বপ্ন দেখতো অনেক
লেখা পড়া করে ভাল একটা জব করবে।
বাবা মা কে নিয়ে একটু ভাল ভাবে বাঁচবে।
অনেক মন দিয়ে পড়াশোনা করে যাচ্ছে
মেয়েটা।

কয়েক মাস পর কলেজের একটা ছেলে
বৃস্টি কে প্রপোজ করলো ছেলেটার নাম
ছিল বাবর। ভিষন ভাল ছেলে তার পরও
বৃস্টি প্রপোজ টা গ্রহন করেনি, সে বাবরকে
বলল তোমাকে ফিরিয়ে দিচ্ছি না যদি অপেক্ষা
করতে পারো তাহলে অকে।বাবর বলল আমি
তোমার জন্য সারা জীবন অপেক্ষা করবো।

এই ভাবে দিন গেল মাস গিয়ে বছর গেল
এখন বৃস্টি ফাইনাল ইয়ার এ দুই মাস
পর তার ফাইনাল পরিক্ষা। বৃস্টির এক
বান্ধবীর বিয়ে, বৃস্টি কে অনেক
মিনতি করে যাওয়ার জন্য রাজি করেছে।

এখন বৃস্টি ভাবছে বড় লোক বান্ধবীর
বিয়ে একটু ভাল করে পার্লারে সাজ গুজ করে
যেতে হবে। কিন্তু টাকা পাবে কই সে বাবর
কে গিয়ে বললো আমাকে ১ হাজার টাকা
ধার দিতে পারবে মাস শেষে দিয়ে দেব।
বাবর বলল আচ্ছা দিব, পরের দিন বৃস্টি
চলে গেল একটি পার্লারে তার আরেকটা
বান্ধবী কে নিয়ে। জীবনের প্রথম গেছে
সে পার্লারে সাজতে।আর সেই পার্লারের
মেয়েটা ছিল একটা খারাপ মেয়ে, টাকা
ওয়ালার ছেলেদের সাথে মেয়েটির হাত
ছিল, সে সুন্দর সুন্দর মেয়েদের কে ফাদে
ফেলে ঐ পয়সা ওলাদের কাছে পাটিয়ে
দিত।

বৃস্টি তার ফাদে পড়ে গেল, বৃস্টি কে বলল
আপু আপনি উপরের রুমে চলে যান ওখানে
স্পেশাল সাজ দেওয়া হয় আর এখানে
সিট ও খালি নেই সে চলে গেল উপরের
রুমে। আর যেতেই রুমের ভিতর তিনটা
ছেলে ছিল দুজনে বৃস্টির মুখে কাপর দিয়ে
বেধে নিল একজনে দরজা লাগিয়ে দিল
পরে মেয়েটি কে দুজন ধরে রাখলো এক জন
ধর্ষণ করল।ছিঃ এরা আবার নিজেকে পুরুষ
বলে, তিন জন মিলে বন্ধ রুমে একটি অসহায়
মেয়েকে রেপ করে এদের কে হিজড়া বললে
হিজড়া দের ও অপমান করা হবে।ওরা তো
পশুর চেয়েও জঘন্য। ভাবতে অবাক লাগে
ওরা ও কোন মায়ের গর্ভে জন্ম নিছে।
ধিক্কার জানাই এই রকম পুরুষ দের।

বৃস্টির বান্ধবী পার্লারের মেয়েটা কে বলল
আমার বান্ধবী কই সে বলল তোমার
বান্ধবী তো অনকে আগেই চলে গেছে তার
পর সেও চলে গেল। ওরা বৃস্টি কে দুইদিন
রেপ করে ছাড়ল। মেয়েটি তখন আদ মরা
কি করবে গিয়ে বান্ধবী কে সব বলল,
বান্ধবী বৃস্টি কে নিয়ে থানায় মামলা
করলো। বৃস্টি কে হাসপাতালে নেওয়া হল
সত্যি তাকে রেপ করা হয়েছে কি না তা
পরিক্ষা করার জন্য কিন্তু ডাক্তার টাকা
খেয়ে ভুল রিপোর্ট দিল আর পুলিশ ঘুষ
খেয়ে কোর্ট এ মিথ্যে সাক্ষী দিল ভাল
মেয়ে টা কে চরিত্রহীনা বানিয়ে দিল।
এই হল আমাদের দেশের আইন ব্যবস্থা।
যেখানেই শুধু বড় লোক রাই বিচার পায়
আর গরিবের কোন বিচারই নেই।
ভাবতে অবাক লাগে এই দেশে যাওয়ার জন্য
আমি প্রবাস থেকে চটফট করি।ভাবছি
আর জীবনে দেশেই যাবো না।

এখন এই অসহায় মেয়েটি সমাজে কি
ভাবে মুখ দেখাবে।পরের দিন ই মেয়েটির
ভিডিও টি ইন্টার নেটে ছেড়ে দিল।
গ্রামের মানুষরা দেখে মেয়েটির বাবা মাকে
অনেক অপমান করছে আর বলছে তোমরা
শহরে পড়ার নাম করে মেয়েটি কে দিয়ে
খারাপ কাজ করাচ্ছো ছিঃ ছিঃ । গ্রামের লোকের
অপমান সহ্য না করতে পেরে বৃস্টির বাবা
মা দুজনেই বিষ খেয়ে সুইসাইড করলেন।

বৃস্টি সেই কথা শুনে সেও গলায় দড়ি দিয়ে
সুইসাইড করল,আর বৃস্টি মারা যাওয়ার
পর বাবর টা ও পাগল হয়ে গেল।চারটা প্রান
আর একটা ভালবাসার ঘর অকালে ঝরে গেল..............

শেষকথাঃসব বোন দের অনুরোধ করে বলছি যে তোমরা অপরিচিত কোন পার্লারে একা কখনো যাবেনা।আর গেলে নিজের ভাই অথবা
বোন কে নিয়ে যাবে। কারন আপন তো
আপনই।কে জানে এই রকম ঘটনা কার জীবনে ঘটে যায়।আর আমার এই পোস্ট টা
লাইক না দিয়ে একটা সেয়ার দাও যাতে
সারা দেশের বোনেরা পড়তে পারে আর একটু
সচেতন হতে পারে।

✍️ ✍️✍️✍️ 💖💖💖💖💖💖💖

মায়ের পছন্দে বিয়ে করেছিলাম। আব্বা মারা যাওয়ার তিন মাসের মাথায় মায়ের পছন্দ করা মেয়েকে ঘরে তুলে এনেছিলাম। বিয়ের দিন রাতে ত...
08/06/2024

মায়ের পছন্দে বিয়ে করেছিলাম। আব্বা মারা যাওয়ার তিন মাসের মাথায় মায়ের পছন্দ করা মেয়েকে ঘরে তুলে এনেছিলাম। বিয়ের দিন রাতে তার মুখের একটি কথা পুরো স্তব্ধ করে দিয়েছিলো আমাকে। কথাটি ছিল কোন পর্যন্ত পড়েছেন?
আমি মাথা নিচু করে রেখেছিলাম। সে পুনরায় প্রশ্নটি করায় আমি আমতা আমতা করে উত্তর দিয়েছিলাম.. কোনো রকম মেট্রিক পাস করে আব্বার দোকান দেখাশোনা করছি। পরমুহুর্তে সে আবার বললো-

জানেন আমি কোন পর্যন্ত পড়েছি ? এবারো বরাবরের মতোন মাথা নিচু করেই বললাম, জি জানি, ডিগ্রি পাস করেছেন।
আমার মাথা নিচু করা দেখে সে ও বোধহয় কিছুটা চিন্তিত হয়ে পড়েছিলো তাইতো হুট করেই বললো যান ফ্রেশ হয়ে আসুন। আমার বড্ড ক্লান্ত লাগছে আমি ঘুমাবো। আপনিও ফ্রেশ হয়ে ঘুমিয়ে পড়ুন। কিছুটা মনমরা হয়ে সেদিন ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। কিন্তু সকালে ঘুম থেকে উঠে যখন ঘর থেকে বের হয়ে উঠোনে গেলাম তাকে দেখে মনে হলো এ আমি অন্যকোনো নারীকে দেখছি। একদম আলাদা, চঞ্চলা, ঘন কালো কেশের অধিকারী একজন মানবী।

হেসে হেসে মা এবং চাচীদের সাথে কথা বলছিলো। আমাকে দেখে সকলে খানিকটা চুপ হয়ে গিয়েছিলো। আমিও কিছুটা লজ্জায় অন্যদিকে তাকিয়ে হাঁটতে হাঁটতে পুকুর পাড়ে চলে যাই। পুকুর পাড়ে গিয়ে নানাজনের কানাঘুষা শুনে কিছুটা বিব্রতবোধ করেছিলাম। হাসিঠাট্টা সমেত দূরসম্পর্কের চাচাত ভাই রমিছ বলছিলো "মা মরা মেয়ে বিয়ে করছিস তোর কপালে জামাই আদর নাই"। তার কথায় তাল দিয়ে অন্যরাও হু হু করে হেসে উঠেছিলো। আমি দ্রুতলয়ে মুখ ধুয়ে ঘরে এসে পড়েছিলাম।

রুমে এসে দেখি নিপু পরিপাটি হয়ে খাটে বসে পা দুলাচ্ছিলো। আমাকে দেখে কিছুটা হকচকিত হয়ে বসলো। আমি গামছা হাতে নিয়ে মুখ মুছতে মুছতে তার সামনে গিয়ে দাঁড়ালাম। জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে তাকানোর সাথে সাথেই সে প্রশ্ন করে বসলো কিছু লাগবে কী না। আমি কেবল বললাম আচ্ছা আপনি ডিগ্রি পাস করেও আমার মতো মেট্রিক পাস একটা ছেলেকে কেন বিয়ে করেছেন?

সে কিছুটা নত স্বরে বললো, মা মারা যাওয়ার পর বাবা'ই আমাকে মানুষ করেছে। দিনমজুর বাবার ঘরে এত বড় ধামড়া মেয়ে যে ডিগ্রি পাস করতে পেরেছি সেটাই কম কীসে!
মেট্রিক পাসের পর থেকে পাড়ার বাচ্চাদের পড়িয়ে যা টাকা পেতাম তা দিয়েই কোনোরকম পড়ার খরচ জুগিয়েছি। আমার জেদের কাছে বাবাও কিছু বলেন নি।
মাসকয়েক আগে আমাদের পাশের বাড়ির মকবুল কাকার বাড়িতে আপনার মা আমাকে দেখে এবং পছন্দ করে। পরে বাবাকে বলায় বাবার মুখে একঝলক হাসি দেখেছিলাম। মা মরার পর বাবার মুখে সহসা হাসি দেখি নি। সেইদিনই সিদ্ধান্ত নিয়েছি বাবার মুখে আর মলিনতা আসতে দিবো না। তবে এটাও সত্যি যে, আপনার সম্পর্কেও জানার চেষ্টা করেছি, জেনেছি ও।

এবার আমি কিছুটা হকচকিত হয়ে প্রশ্ন করলাম, তো কী জানতে পারলেন আমার সম্পর্কে ?
সে সরলমনে উত্তর দিয়েছিলো "আপনি একজন ভালো মানুষ"।
সেই একটি কথায় পুরোদিন অনেকটা আনন্দে কেটেছিলো। এভাবে মাসখানেক সময় কেটে গিয়েছিলো। আমাদের সম্পর্কের মাঝে ধীরেধীরে বোঝাপড়া ব্যাপারটা আরো সুন্দর হচ্ছিলো। একদিন গঞ্জে যাবার উদ্দেশ্যে বের হচ্ছিলাম হুট করে সে আবদার করে বসলো তাকে এক জায়গায় নিয়ে যেতে হবে।
আমি কেবল জিজ্ঞেস করেছিলাম 'কোথায়'?

তারপর সে এসে আমার মোটরসাইকেলের পেছনে বসল। আমার মনে হচ্ছিলো পৃথিবীর সমস্ত খুশি আমার মধ্যে এসে ভর করেছিলো। মা এসে বললো সাবধানে যেন গাড়ি চালাই। "ফি আমানিল্লাহ" বলে বের হয়ে গিয়েছিলাম।

প্রথমে তার কলেজ এবং তারপর পুরো থানা এরিয়া ঘুরেছিলাম। রাস্তার খানাখন্দে একটু ঝাঁকুনি লাগলেই সে পরম নির্ভরতায় আমার কাঁধ চেপে ধরছিলো। সেদিন তার ভরসার হাত হতে পেরে নিজেকে একজন সাহসী মানুষ মনে হয়েছিলো।

মায়ের সঙ্গে তার ভীষণ ভাব হয়ে গিয়েছিল। দুপুরে খাবার খেতে এসে দেখতাম কখনো মা নিপুর মাথা আঁচড়ে দিচ্ছে তো কখনো নিপু আর মা কোনো একটা ব্যাপার নিয়ে হেসে কুটিকুটি হচ্ছে। এ নিয়ে পাড়ার চাচীরাও হিংসেতে জ্বলে যেত।
মাঝেসাঁঝে রমিছের মা এসে বউ শাশুড়ির মাঝে দ্বন্ধ লাগানোর চেষ্টা করতো। কিন্তু বউ শাশুড়ি মিলে কিভাবে রমিছের মাকে জব্দ করেছে সেই গল্প শুনতাম খেতে বসে কখনো মায়ের মুখে তো কখনো নিপুর মুখে।

এভাবেই কেটে যাচ্ছিলো সুখের দিনগুলো। কিন্তু কথায় আছে সুখ বেশিদিন কপালে সয় না। আমাদের কপালেও সয়নি সুখ। একদিন ভোরবেলা গঞ্জ থেকে খবর আসে আমাদের দু'টো দোকান সহ প্রায় ২২টি দোকান পুড়ে গেছে আগুনে। কোনো রকম দৌড়ে গঞ্জে গিয়ে দেখি সব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। একদম পথে বসে গিয়েছিলাম। মা হার্ট এ্যাটাক করেছিলো। মাকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করালাম। দোকানের পোড়া সকল জিনিষ পরিষ্কার করা, আবার মায়ের জন্য দৌড়াদৌড়ি করা সব একসাথে করতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছিলাম। তখন পরম মমতায় দুটো হাত আমাকে শক্তি দিয়েছিলো।

নিপু দিনরাত এক করে মায়ের সেবা করেছিলো। মা সুস্থ্য হয়ে গেলে বাড়ি নিয়ে আসি। জমানো স্বল্প কিছু টাকায় নতুন করে দোকান দেয়া সম্ভব ছিলো না। তবুও লোনের চেষ্টা করে যাচ্ছিলাম। হঠাৎ একদিন রাতে মা আর নিপু এসে আমার পাশে বসলো। খানিকটা অনুনয়ের সুরে নিপু বললো...
দেখেন আমি তো পড়াশোনা করেছি। এতো পড়াশোনা করে যদি সংসারে এই অভাবের সময় কোনো কাজেই না লাগি তাহলে কী লাভ বলুন।
আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি চাকরি করবো। দু'টো এনজিও আর একটি ব্যাংকে এপ্লাই করেছি। মা'ও রাজি আছেন। আপনার সম্মতি চাচ্ছি। আমি কেবল মাথা নিচু করে হ্যাঁ সূচক সম্মতি জানিয়েছিলাম। বুঝে গিয়েছিলাম অভাবের তাড়না।

কয়েকদিন পর ব্যাংকের চাকরির পরিক্ষা হয়। ভাগ্যক্রমে নিপু টিকে যায়। প্রতিদিন আমি ওকে মোটর সাইকেল করে দিয়ে আসতাম আর নিয়ে আসতাম। এভাবেই দিন যেতে লাগলো।
মায়ের অসুধের খরচ, সংসারের খরচ পুরোটাই নিপুর বেতনের টাকা দিয়ে চলতো। একজন নারী যে সংসারের জন্য ঠিক কতোটা ত্যাগ স্বীকার করতে পারে আমি সেদিন বুঝেছিলাম। ভোরে উঠে নামাজ পড়েই রান্নাঘরে ছুটতো। সবার জন্য রান্না করে মাকে ঘুম থেকে উঠিয়ে খাওয়াতো, নিজে খেতো তারপর গোসল সেরে সোজা অফিসে চলে যেতো।

অফিস থেকে ফিরেই মায়ের ঘরে গিয়ে আগে মায়ের খোঁজ নেয়া, খেয়েছে কি না দেখা, ঠিকমতো অষুধ খেয়েছে কি না চেক করা সব নিজহাতে করতো।
মাসকয়েক পরে ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে আমিও আবার নতুন করে দোকান দাঁড় করাই। রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় মাঝেমধ্যেই লোকমুখের কানুঘুষা শুনতাম বউয়ের টাকায় খাই, বউয়ের টাকায় দোকান দিয়েছি, লজ্জা শরম নাই ইত্যাদি। কিন্তু এসব কথাতে আমার এতটুকুও কিচ্ছু যায় আসতো না। কারণ আমার অভাবের সময় কোনো পাড়া প্রতিবেশি আমার পাশে দাঁড়ায়নি। বরং দাঁড়িয়েছে আমার স্ত্রী, আমার সহধর্মিণী।

ধীরে ধীরে ব্যাংক লোন শোধ হলো, ব্যবসাও চাঙ্গা হতে লাগলো। মা ও বারবার করে বলতো তাঁর একজন নাতি/নাতনী চাই। একা একা থাকতে আর ভালো লাগে না পুরো বাড়িতে। যখনই বাচ্চার কথা উঠতো নিপুকে দেখতাম লজ্জায় লাল হয়ে যেত।
বিয়ের বছর চারেক বাদে খোদা মুখ তুলে তাকিয়েছিলো। একদিন ভোরে নিপুর বমি করা দেখে মা নিপুকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যায়। দুপুরে গঞ্জ থেকে ফিরে যখন মহাখুশির খবর টি পাই আত্মহারা হয়ে মা এবং নিপুকে জড়িয়ে ধরে কেঁদে দিয়েছিলাম। আমার চোখে পানি দেখে তাদের চোখের কোণেও পানি এসে গিয়েছিলো। মহল্লার সবাইকে মিষ্টি খাইয়েছিলাম।

নিপুকে সময়মতো মা'ই ডাক্তারের কাছে নিয়ে যেতো। গাছের ডাব, পাকা পেয়ারা কিংবা ডালিম এটাসেটা ফল নিত্যদিন খাওয়াতো। মাঝেমধ্যে পাড়ার চাচীরা বলতো বাহ্ রে কায়েসের মায়ের শখ দেখলে বাঁচি না। আমরা বোধহয় মা হইনাই, আমরা বোধহয় সন্তান জন্ম দিই নাই। এত আহ্লাদ তো করি নাই।
মা আর নিপুকে দেখতাম সবার কথা হেসে উড়িয়ে দিতো। চাচীরাও পাত্তা না পেয়ে নাক ঝামটি মেরে চলে যেতো। দিন যেতে লাগলো আর পরম মুহুর্ত ঘনিয়ে আসতে লাগলো।
তখনকার দিনে এখনকার মতোন সিজার বা এতো আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থা ছিলো না। তারপরও সদরের মোটামুটি ভালো হাসপাতালেই ডেলিভারি করানোর ব্যাবস্থা করিয়েছিলাম।

নিপুকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়া হলো।
অপারেশন থিয়েটারের বাইরে আমি আর মা দাঁড়িয়ে কেবল আল্লাহকে ডেকে যাচ্ছিলাম।
ঘণ্টাখানিকের মাথায় ডাক্তারআপা একটি ফুটফুটে চাঁদকে আমার হাতে দিয়েছিলো।
সেই ফুটফুটে মায়াভরা মুখটির দিকে তাকিয়ে অস্ফুটেই বলেছিলাম ডাক্তার আপা আমার নিপু কেমন আছে ?

ডাক্তার আপা চেহারা টা মলিন করে বলেছিলো তার অবস্থা আশংঙ্কাজনক। অনেক রক্তক্ষরণ হয়েছে। তারা চেষ্টা করছে যেন কোন সমস্যা না হয়।
না সেদিন তারা সমস্যা সমাধানে এতটুকুও ত্রুটি রাখে নি। সকলে মিলে চেষ্টা করেছিলো। কিন্তু আমার সেই পরম ভরসার হাতদুটো সেদিন আর আমার কাঁধে শক্ত করে ধরার জন্য পাই নি। উজ্জ্বল আরোর সদা হাস্যোজ্জ্বল সূর্যটা সেদিন আর আলো ছড়ায় নি।

যখন ডাক্তার আপা এসে বললো তাদের পক্ষে সম্ভব নাহ তখন হাউমাউ করে নিপুর কাছে ছুটে গিয়েছিলাম। সে কেবল দু'হাত এগিয়ে নিজের মেয়েকে কোলে নিতে চেয়েছিলো কিন্তু নিতে পারে নি। এতটুকুন শক্তিও অবশিষ্ট ছিলো না আমার সেই ভরসার শেষ আবাসস্থলের কাছে।
মা বারবার অজ্ঞান হয়ে যাচ্ছিলো। ছোট্ট শিশুর কান্না আর মায়ের আহাজারি চিৎকারে বনের ঘুঘুরাও সেদিন কেঁদেছিলো। কাঁদতে পারি নি কেবল আমি। চিৎকার করে বলতে পারি নি নিপু আমি কাকে ভরসা করে বাঁচবো! বিপদে কে আমাকে সান্ত্বনা দিবে?

অন্তঃস্বত্বা থাকাকালীন নিপু প্রায়'ই বলতো আচ্ছা আমি মারা গেলে কি আপনি আবার বিয়ে করবেন ?
আমি ভেবাচেকার মত চেয়ে থাকতাম। পরক্ষণেই নিপু বলতো দেখেন আমাদের ছেলে বা মেয়ে যে-ই হোক না কেন আমি মরে গেলে তাকে মানুষের মত মানুষ করবেন কথা দেন।
পরম নির্ভরতার হাত দু'টো ধরে আমি কথা দিয়েছিলাম। তাইতো এই আটান্ন বছরের জীবনে আর কাউকে জীবনসঙ্গী করি নি। আমি আর মা মিলে বহু কষ্টে তোকে মানুষ করেছি মা।

জীবনে এতটুকু অভাব বুঝতে দেই নি। যখন যা চেয়েছিস তা দিয়েছি।
এ পর্যন্ত বলেই কায়েস সাহেব তাঁর একমাত্র মেয়ে নিরুপমার দিকে তাকালেন। নিরুপমার দু'চোখ বেয়ে অঝর ধারায় পানি ঝরছে।
কায়েস সাহেব আবারো বলতে লাগলেন...

শোন মা সংসারে ঝামেলা হবে এটাই স্বাভাবিক। আমাদের পুরো জগতে বহু রকমের মানুষ থাকে। সেই মানুষের মনও বহুরকম। তোর শাশুড়ি তোকে সামান্য একটু আধটু কিছু বলেছে বলেই তুই সংসার ছেড়ে আলাদা হয়ে যাবি এটা কিন্তু অন্যায়। নিলয় তোর স্বামী হওয়ার আগে তোর শাশুড়ির সন্তান। আর সন্তানের উপর মায়ের অধিকার বেশি থাকবে এটাই স্বাভাবিক। তুই তোর শাশুড়ির সাথে বন্ধুর মতো মিশে যা। তাকে বুঝার চেষ্টা কর। তার মন কী বলে শোন।
দেখবি সব ঠিক হয়ে যাবে। তোর মা আর দাদীর দোয়া সর্বদা তোর সাথে আছে।
বছর কয়েক পর...

নিরুপমা নিজের ভুল বুঝতে পেরেছে। আজ নিরুপমার ছেলে প্রথম স্কুলে যাবে। এ নিয়ে নিরুপমার শাশুড়ির খুশির অন্ত নেই। যাকে পাচ্ছে তাকেই বলছে আমার নাতি স্কুলে যাবে। জজ ব্যারিষ্টার হবে। আর শাশুড়ির এমন আচরণ দেখে ঠোঁটের কোণে হাসি ফুটে উঠেছে নিরুপমার। আর মনে পড়ে বাবার বলা সেই কথাটি "সংসার সুখের হয় রমণীর গুণে"। দরকার কেবল একটু সঠিক সময় আর ধৈর্য্যের।

গল্প :- "সংসার সুখের হয় রমণীর গুণে
গুণবান পতি যদি থাকে তার সনে"🥀🌿

ঘটক বলেছিল আমার বোনকে দেখতে ছেলে আর ছেলের বাবা মা আসবে। আমরা সেই হিসাবেই আয়োজন করেছিলাম। পরে দেখি ছেলের সাথে আরও  অনেকে ...
08/06/2024

ঘটক বলেছিল আমার বোনকে দেখতে ছেলে আর ছেলের বাবা মা আসবে। আমরা সেই হিসাবেই আয়োজন করেছিলাম। পরে দেখি ছেলের সাথে আরও অনেকে এসেছে। সাথে কিছু বাচ্চাও আছে। বাবা আমায় আড়ালে ডেকে নিয়ে ১২ হাজার টাকা হাতে দিয়ে বলল,
- “আবির, তাড়াতাড়ি বাজারে যা। খাসি মাংস, মুরগীর মাংস, যা যা লাগে সব কিনে নিয়ে আয়।

আমি আমার এক বন্ধুকে সাথে নিয়ে তাড়াতাড়ি বাজারে গেলাম। সবকিছু কিনলাম শুধু খাসির মাংসটা কেনা হলো না। একে তো বৃষ্টি তার উপর গ্রামের ছোট একটা বাজার। তাই ওখানে খাসির মাংস সব সময় পাওয়া যায় না। বাবাকে যখন ফোনে বললাম, বাজারে কোথাও খাসির মাংস পেলাম না তখন বাবা বললো, “যেভাবে পারিস খাসির মাংসের ব্যবস্থা কর। তা নাহলে আমার সম্মান থাকবে না”
বাইকে করে বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে গেলাম থানার কাছে বড় বাজারে। মাংস কিনে বাড়ি পৌছাতে একটু দেরি হয়ে গেল। বাবা আমার দিকে অসহায় দৃষ্টিতে তাকিয়ে বললো, দেরি করলি কেন?
এতো অল্প সময়ে এগুলো রান্না করবে কিভাবে?”
এই বৃষ্টির দিনেও বাবা ঘামছেন। চোখে মুখে বাবার ভয়ের ছাপ স্পট বুঝা যাচ্ছে। আমার শিক্ষক বাবাকে এতোটা আসহায় আগে দেখি নি।
আমি বললাম,-আপনি চিন্তা করবেন না। সব ব্যবস্থা হয়ে যাবে। আপনি উনাদের সাথে বসে বসুন।

মাকে রান্নার কাজে সাহায্য করার জন্য আমার বোন রান্নাঘরে ঢুকতেই মা বাধা দিয়ে বললো,
- “তুই কেন রান্নাঘরে এলি? ষ রুমে যা। গিয়ে তৈরি হয়ে নে।
বোন বললো, “মা তুমি পারবে না একা হাতে এতোকিছু সামাল দিতে। আমি একটু সাহায্য করি?”
মা বললো, “আমি পারবো একা সামাল দিতে। তুই তৈরি হয়ে থাক। ওরা কখন না কখন মেয়ে দেখতে চাইবে”

আমি ছেলে মানুষ রান্নার এতো কিছু বুঝি না। তবে এটা ওটা কেটে দিয়ে মাকে যতটুকু পারি সাহায্য করার চেষ্টা করছিলাম। কেউ চায়ে চিনি খায় না, কারো বা চায়ে চিনি কম হয়ে গেছে। কেউ সিগারেট খাবে তাকে সাথে নিয়ে সেইভ জায়গায় যাওয়া। সাথে আসা বাচ্চাদের দেখাশোনা করা এইসব করতে গিয়ে আমার ছোট ভাইটাও দেখি ক্লান্ত হয়ে গেছে।

৫ মিনিট পর পর বাবা রান্না ঘরে এসে মাকে বলে, “কি গো রান্না কত দূর হলো?”
কপালে জমে থাকা ঘামটা মা আঁচল দিয়ে মুছতে মুছতে বলে, “এইতো হয়ে গেছে আরেকটু”

রান্না হয়ে গেলে খাওয়ার পর্ব শুধু। আমি আর বাবা নিজ হাতে সবাইকে পরিবেশন করছিলাম। বাবা বারবার বিনয়ের সহিত বলছিলো, “ জানি না রান্না কেমন হয়েছে। কোন ভুল ক্রটি হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন?”

উনাদের খাবার খাওয়ার স্টাইল দেখে মনে হচ্ছিলো উনারা তিন বেলায় ফাইভ স্টার হোটেলে কাঁটা চামচ দিয়ে খাবার খান। এখানে হাত দিয়ে খাবার খেতে হচ্ছে বলে উনারা কিছুটা বিরক্ত। উনারা যত খাবার খেয়েছে তার চেয়ে বেশি নষ্ট করেছেন।
বাচ্চা খাচ্ছে না বলে বাচ্চার মা ধমক দিয়ে বলে, “ এই তুমি খাচ্ছো না কেন? এই নাও মাংস”
বাচ্চা বলে, “আমি খাবো না”
বাচ্চার মা বলে, “ তোমাকে খেতেই হবে এই নাও মাংস” এইবলে বাচ্চার প্লেটে পুরো বাটিই ঢেলে দেয়।

খাওয়ার পর্ব শেষে মেয়ে দেখানোর পর্ব শুধু। আমার অনার্স পাস করা বোনকে দেখাশুনা করে হাতের লেখা নিয়ে, শেষে পাত্রের মা আমার বাবাকে বললো,
“আসলে মেয়ে আমাদের পছন্দ হয় নি। আমরা আমাদের ছেলের জন্য একটা সুন্দরী মেয়ে খুঁজছিলাম।”
পাত্রের বড় বোন বললো, “ মেয়ে দেখছি কিছুটা খাটো তাছাড়া মেয়ের বয়সটাও একটু বেশি”

কথাগুলো শুনে আমার বড়বোন মাথা নিচু করে নিরবে চোখের জল ফেলছিলো। কেন জানি আমার আর সহ্য হচ্ছিলো না। আমি তাদের বললাম,
-কেন, আপনারা কি জনতেন না আমার বোন শ্যামলা। আমি তো ঘটককে আমার বোনের এডিট ছাড়া ছবি দিয়েছিলাম। তাছাড়া আপনারা কি জানতেন না আমার বোনের উচ্চতা ৫ফুট ২ ইঞ্চি আর আমার বোন অনার্স পাশ করেছে? আমি তো সবই ঘটককে বলেছি আগে থেকেই

পাত্রের জামাইবাবু আমতা আমতা করে বললো,
- “হ্যাঁ সবই জানতাম। তারপরেও এসেছিলাম সামনাসামনি একবার মেয়েকে দেখতে”

দাঁতের সাথে দাঁত চেপে রেখে নিজের রাগটা কন্ট্রোল করে বললাম,-সামনা-সামনি দেখলে কি হতো? আমার বোন তো আর শ্যামলা থেকে ফর্সা হয়ে যেতো না। তার উচ্চতাও বেড়ে যেতো না কিংবা তার বয়সও কমে যেতো না। তাহলে শুধু শুধু আপনারা এতো কষ্ট করে আসতে গেলেন কেন?

পাত্রের বড় বোন কিছুটা রেগে বললো,
“ আমরা মেয়ে দেখতে এসেছি বলে দোষ করে ফেলেছি নাকি?”
আমি বললাম, না আপনারা কোন দোষ করেন নি। ৩ জনের জায়গায় ১৫ জন এসেছেন এতে আপনাদের দোষ হয় নি, খাবার খাওয়ার চেয়ে নষ্ট করেছেন বেশি এতেও আপনাদের দোষ হয় নি। আপনারা ছেলের জন্য ফর্সা, লম্বা, কম বয়সী মেয়ে খুঁজছেন। যার কোনটাই আমার বোনের মধ্যে নেই। সেটা জানার পরেও আপনারা এখানে এসেছেন এতে আপনাদের দোষ হয় নি। দোষ তো করেছে আমার বাপ মা। উনারা কেন শ্যামলা মেয়ে জন্ম দিলো। দোষ করেছে আমার বোন। কেন সে আপনাদের অপমান নিরবে সহ্য করলো। দোষ তো করেছি আমি। কেন এখনো পায়ের জুতা গুলো হাতে তুলে নিই নি…

আমার কথা শুনে বাবা আমার গালে থাপ্পড় মেরে আমাকে থামিয়ে দিয়ে উনাদের কাছে মাফ চাইলো। সবাই চলে গেলে বাবা আমার কাছে এসে আমার মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে বললো, “ যেদিন নিজে মেয়ের বাবা হবি সেদিন বুঝবি মেয়ের বাবাদের কত কি সহ্য করে নিরব থাকতে হয়”

রাতে বোনের রুমে গিয়ে দেখি সে এখনো কান্না করছে। ১৫ জন মানুষের সামনে যখন একজন মেয়েকে রিজেক্ট শব্দটা শুনতে হয় তখন অপমানে চোখে জল আসবেই। ছোট ভাইটা ক্লান্ত শরীর নিয়ে শুধু ডাল মেখে ভাত খাচ্ছে অথচ কিছুক্ষণ আগেও রোস্ট, খাসির মাংস, মাছ ভাজা সব রান্না হয়েছে। নিজের দিকে তাকিয়ে দেখি বৃষ্টিতে ভেজা টিশার্টটা শরীরেই শুকিয়ে গেছে।

আমাদের সমাজে কিছু কিছু মানুষ এখনো দলবল নিয়ে মেয়ে দেখতে যায়। তারপর কব্জি ডুবিয়ে খেয়ে, মেয়ে পছন্দ হয় নি বলে, বুক ফুলিয়ে চলে আসে। অথচ একটি বার‌ও ভেবে দেখে না ১০জনের সামনে যে মেয়েটাকে রিজেক্ট করা হলো সেই মেয়েটা কতটা কষ্ট পেতে পারে। ২জনের কথা বলে ১০জন গিয়ে যখন হাজির হয় তখন মেয়ের পরিবারের মানুষজন কতটা বিব্রতকর পরিস্থিতে পড়তে পারে।

বিয়ের কথাবার্তা চলাকালীন মেয়েকে আলাদা ভাবে আপনি নিজে একবার দেখুন। যদি মেয়েকে দেখে আপনার পছন্দ হয় তাহলে বাবা-মা আর সাথে দুএকজন মুরব্বি নিয়ে মেয়ের বাড়িতে যান।

(ছবিটি প্রতিকী)

06/06/2024

বিডিওটি ভালো লাগলে সেয়ার করে দিবেন।

আমি কখনো আমার বাবা ভাই কে ছেঁড়া লুঙ্গি পড়তে দেখিনি।কিন্তু আমার স্বামীকে দেখেছি ছেঁড়া লুঙ্গি কিভাবে পেঁচিয়ে আড়াল করে পড়তে...
06/06/2024

আমি কখনো আমার বাবা ভাই কে ছেঁড়া লুঙ্গি পড়তে দেখিনি।
কিন্তু আমার স্বামীকে দেখেছি ছেঁড়া লুঙ্গি কিভাবে পেঁচিয়ে আড়াল করে পড়তে হয়।

সেইদিন গুলোতে আত্মীয়রা সবাই হারিয়ে গিয়েছিলো। চিরচেনা মুখগুলো ঝাপসা হয়েছিলো।

যেদিন ঘরে রান্না করার মতো কিছু থাকতো না, সেদিন কাঁচা মরিচ আর পেয়াজ ভেজে ভর্তা করে গরম ভাত মাখিয়ে খেতাম।

আমার ভাইয়েরা তখন খোঁজ নিতে ভয় পেতো।

মাস্টার্স শেষ করা ছেলেটা যখন চাকরি না পেয়ে গার্মেন্টসে অল্প বেতনের চাকরিতে ঝুঁকেছিলো, আমার বাবার বাড়ির আত্মীয়রা তার জন্য লজ্জায় কুঁকড়ে যেতো।

সেবার ঈদের পরদিন বাবার বাড়ি বেড়াতে গিয়েছিলাম। আমার স্বামীর অবহেলা পরিমাণে এতটায় বেশি ছিলো যে সে বাড়িতে এক বছরের মতো আর পা রাখিনি।

আমার তিন বছরের ছেলেটা ভাসুরের ছেলের সাথে খেলতে গিয়ে ধা ক্কা খেয়ে বাম পায়ে প্রচন্ড আঘাত পেয়েছিলো। আমাদের নুন আনতে পান্তা ফুরোয় অবস্থা। ডাক্তার, ঔষুধ ভালো চিকিৎসা করার মতো সামর্থ্য ছিলো না। বাধ্য হয়ে আমার স্বামী ভাসুরের কাছে হাত পেতেছিলো। কিন্তু কিঞ্চিৎ সাহায্যও কেউ করেনি। নিরুপায় হয়ে অবশিষ্ট কানের দুল জোড়া বিক্রি করেছিলাম।


আলহামদুলিল্লাহ আজ আমাদের সব আছে। দূর্দিন কাটিয়ে উঠেছি। প্রিয় থেকে প্রিয় মানুষগুলোর মুখ চিনে রেখেছি।
গত সপ্তাহে আমার ভাই এক জোড়া ইলিশ মাছ নিয়ে বাসায় এসেছিলো। ভাইয়ের বউ প্রায়শই কল দিয়ে বলে কবে যাবো বেড়াতে।

ভাসুরের শরীরে নানা ধরনের রোগের উৎপাত। চিকিৎসার জন্য গত মাসেও টাকা পাঠানো হয়েছে।

সৃষ্টিকর্তার রহমতে আমার স্বামীর ব্যবসাটাও বেশ বড়-সড় হয়েছে। সাথে মান-মর্যাদা, প্রতিপত্তির বুঝি কমতি নেই। আত্মীয়রা আমাদের নিয়ে এখনও কানাঘুঁষা করে তবে হয়ত ইতিবাচক কিছু।

আমার স্বামীর সেই ছেঁড়া লুঙ্গিটা আজও আমি আলমারিতে অনেক যত্নে তুলে রেখেছি৷ সেদিনও লুঙ্গিটা দেখলে যতটা কষ্ট হতো আজও ঠিক ততোটাই কষ্ট হয়।
ব্যবধানটা শুধু দুর্দিন আর সুদিনের।

এইটা হাজারো জীবনের গল্প..??????¿

05/06/2024

~তিন বাচ্চার মা..!😒

-আইডির নাম দিছে পিচ্চি মেয়ে..!😒

-যৌবনে ঠাডা পড়বো চাচি..😐😁🤧😂

বাসর ঘরে ঢুকে রবিউল খাটে নতুন বউয়ের পাশে বসতেই তার পেট মোচড় দিয়ে উঠলে বউকে বললো, আমি একটু আসতেছি!সে বাথরুম থেকে ফ্রেশ হয়...
29/05/2024

বাসর ঘরে ঢুকে রবিউল খাটে নতুন বউয়ের পাশে বসতেই তার পেট মোচড় দিয়ে উঠলে বউকে বললো, আমি একটু আসতেছি!

সে বাথরুম থেকে ফ্রেশ হয়ে এসে আবার খাটে বসে নতুন বউয়ের ঘোমটা তুলতে গিয়ে বললো, আমি একটু আসতেছি!

সে একটু পর পর আসি আসি করলে নতুন বউ জিজ্ঞেস করলো, কী হয়েছে তোমার?

রবিউল বললো, ইয়ে মানে বুঝতেছি না। পেট খারাপ হয়েছে মনেহয়। একটু পরপর পেট মোচড় দিয়ে উঠছে!

সে ওষুধ খেলেও কিছুক্ষণ পরপর তার পেট ব্যথা যাচ্ছে না। খালি বাথরুম পাচ্ছে। তার বাসর গেলো বাথরুমে যেতে যেতে। তার বাসায় সবাই বলাবলি করলো বিয়ের খাবারে কোনো ঝামেলা ছিলো! মেয়ে বাড়ির খাবারে দোষ!

কিন্তু নানা ওষুধ খেয়েও রবিউলের পেট খারাপ ভালো না হলে ডাক্তার দেখালো সে! এন্টিবায়োটিক খেয়েও কাজ হচ্ছে না তার! আধা ঘন্টা পরপর বাথরুমে যাচ্ছে সে!

নতুন বিয়ে করা বউ পড়লো লজ্জায়! আদর সোহাগ হানিমুনের সময় স্বামী পড়ে থাকে বাথরুমে! তাও পেট খারাপের মতন গরিব রোগে!

আত্মীয় স্বজন বন্ধু বান্ধব সবার কানে গেলো রবিউলের অসুখের কথা! মাসখানেক হলেও তার অবস্থার কোনো পরিবর্তন হলো না! বড়ো বড়ো ডাক্তার দেখানো শেষ। কেউ তার কোনো অসুখ পেলো না! সবাই আশ্চর্য হয়ে যাচ্ছে একটা মানুষের একটু পরপর বাথরুম কেন পাবে?

রবিউলের পেট খারাপের কথা শুনে রবিউলের এক দূরসম্পর্কের দাদি বললেন, ডাক্তার কবিরাজ দিয়া কাম হবে না। ওরে কেউ তাবিজ করছে! নাইলে একটা মানুষ এতো হাগবো কেন? এত হাগার কী আছে? ওরে হাগার জ্বীনে ধরছে! ওরে ওঝা দেখা!

রবিউলের মাও ভাবলেন কথা সত্য! এক ওঝা সত্যি সত্যি এনেছেন তিনি। ওঝা রবিউলকে তার সামনে বসিয়ে প্রথমে নাকে মরিচ পোড়া ধরে কিছুক্ষণ ঝাড়ু দিয়ে পেটালেন। ঝাড়ুর বাড়ি খেয়েও রবিউল বললো, আমি বাথরুমে যাবো!

ওঝা তখন মন্ত্র পড়া শুরু করলেন! মন্ত্র পড়া শেষে বললেন, এতো ইচ্ছা ঠাকুরের অভিশাপ! সর্বনাশ!

রবিউলের মা, বাবা, বউ, আত্মীয় স্বজন বললেন, ইচ্ছা ঠাকুর? এটা আবার কী?

ওঝা বললেন, ইচ্ছা ঠাকুর হচ্ছেন যিনি দুঃখি মানুষের ইচ্ছা পূরণ করেন! এই ছেলে কাউকে কষ্ট দিয়েছে। তার অভিশাপেই এমন হচ্ছে! ছেলে আসছে বাথরুম থেকে?

রবিউল ক্লান্ত দেহে ভেজা লুঙি পরে ওঝার সামনে বসলে, ওঝা বললেন, তুমি কাউকে কোনো কষ্ট দিয়েছো? কারো মনে আঘাত?

তখন সে পেট ধরে বললো, আমার জানামতে দেই নাই! আমার কোনো শত্রু নাই তো!

ওঝা বললেন, অসম্ভব! এটা অভিশাপের ফল! আবার মনেকরো কাউকে আঘাত করেছো? কথা দিয়ে কথা রাখো নাই এমন হয়েছে?

তখন রবিউল মিটিমিটি চোখে সবার দিকে তাকিয়ে ওঝাকে ফিসফিস করে বললো, আমার বিয়ের আগে একটা প্রেম ছিলো। সেই মেয়েকে বলেছি আমার পরিবার তোমাকে মানবে না। মিথ্যা বলে ফেসবুকে পরিচিত এই মেয়েকে বিয়ে করেছি। কষ্ট দিলে আমার প্রেমিকাকেই দিয়েছি! আমাকে বাঁচান বাবা! দুইমাস হয় বাসর করতে পারি নাই! খালি হাগি আর হাগি আমি!

ওঝা বললেন, ওই মেয়ের কোনো ছবি আছে? তাহলে আমি মন্ত্র পড়ে সব দেখতে পাবো ঘটনা কী ঘটেছে!

রবিউল মোবাইল থেকে তার এক্সের ছবি বের করে দেখালে ওঝা মন্ত্র পড়া শুরু করলেন!

মন্ত্র পড়ে তিনি দেখলেন, রবিউলের এক্স রবিউলের বিয়ের দিন বারান্দায় বসে চিৎকার করে কাঁদতেছিলো। তখন তার বাড়ির সামনে দিয়ে ইচ্ছা ঠাকুর উড়ে যাচ্ছিলেন! মেয়ের কান্না দেখে তিনি থেমে বললেন, কে গো মা তুমি? কাঁদছো কেনো? কী এমন কষ্ট তোমার মনে?

রবিউলের এক্স প্রথমে ভয় পেলে ইচ্ছা ঠাকুর নিজের পরিচয় দিলে সে বললো, ঠাকুর, আমার একটা ভালোবাসা ছিলো! দীর্ঘদিন প্রেম করে সে একদিন আমাকে বললো তার পরিবার নাকি আমাকে মানবে না! সে আমাকে বিয়ে করতে পারবে না! আপনি বলেন ও কী প্রেম করার সময় এতিম ছিলো? ওরে রাস্তায় টোকায়া পাইছিলাম আমি? পরিবার না মানলে তুই প্রেম করছোস কেন? পরে দেখি বাসা না, তার সাথে ফেসবুকে আরেক মেয়ের রং ঢং ছিলো। তাকে বিয়ে করতেই আমার কাছে মিথ্যা নাটক সাজিয়েছে সে!

ইচ্ছা ঠাকুর মেয়েটার কথা শুনে চোখ বন্ধ করে কিছুক্ষণ চুপ করে থেকে বলেন, হ্যাঁ মা। তুমি যা বলেছো তা সত্য বলেছো। সে তোমাকে ঠকিয়েছে! তুমি ভালোবাসায় সৎ ছিলে। এখন বলো আমি তোমার একটা ইচ্ছা পূরণ করে দিবো। কী চাও আমার কাছে?

হিরা মুক্তা? তুমি কি সিনেমার নায়িকা হতে চাও?

ধুর! ঠাকুর! সত্য আমি যা চাইবো দিবেন?

হ্যাঁ মা দিবো! তুমি পবিত্র! আমি তোমার কথা রাখবো! বলো মা কী চাও?

মেয়েটা বললো, তাহলে আমি যতবার আমার এক্সের নাম নিবো ততবার যেন হারামজাদার হাগু পায়! কিন্তু তাতে যেন সে অসুস্থ না হয়! খালি ওর নাম নিলেই যেন ওর হাগু ধরে! ওর বাসর আমি করাচ্ছি!

ইচ্ছা ঠাকুর মেয়েটার কথা শুনে কিছুক্ষণ হাসতে হাসতে আকাশে গড়াগড়ি খেলেন! তারপর বললেন, তোমার ইচ্ছা পূরণ হোক মা! এখন থেকে তুমি তার নাম নিলেই সে বাথরুমে দৌড়াবে! এই অভিশাপ কেবল তুমিই ফেরত নিতে পারবে অন্যকোন ইচ্ছায়। তবে কেবল একবারই! এরপর আর চেঞ্জ হবে না।

ওঝা সমস্ত ঘটনা চোখ বন্ধ করে দেখে রবিউলের বাসায় সবার কাছে ঘটনা খুলে বললেন। ওঝার কথা শুনে রবিউলের নতুন বউও কিছুক্ষণ ওঝার ঝাড়ু দিয়ে রবিউলকে পেটালো! রবিউল ঝাড়ুর বাড়ি খেতে খেতেই মেঝে ভাসিয়ে দিলো হাগু করে!

ওঝা বললেন, ওই মেয়ের পা ধরে ক্ষমা চাইলে যদি ওই মেয়ে ক্ষমা করে তবেই তোমার এই হাগু অভিশাপ বন্ধ হবে।

রবিউল তার এক্সের বাসায় গিয়ে কাঁদতে কাঁদতে তার পা ধরে ক্ষমা চাইলো। মাটিতে গড়াগড়ি খেলো। তখন তার এক্স বললো, ঠিক আছে বাসায় যাও। আমি তোমাকে ক্ষমা করবো। এখন সামনের থেকে দূর হও!

রবিউল বাসায় এসে দেখলো অনেকক্ষণ তার বাথরুম পাচ্ছে না! সে মহাআনন্দে খুশিতে লাফালাফি করতে লাগলো! নতুন বউয়ের কাছেও ক্ষমা চাইলো! বউ ক্ষমাও করে দিলো তাকে! রবিউল আদর করে বউকে জড়িয়ে ধরতে গেলে তার বউ বললো, দাঁড়াও আমি একটু বাথরুম থেকে আসতেছি!

এরপর রবিউল কাঁদতে কাঁদতে আবার তার এক্সকে কল দিয়ে বললো, তুমি কী করছো আবার? আমার বউকে আমি আদর সোহাগ করতে গেলেই বেচারির বাথরুম পায়!

সমাপ্ত।

গোসলখানায় মিতু গোসল করা অবস্থায় দরজা ঠেলে আয়ান ঢুকে পড়তেই হতবাক হয়ে কাপড় টেনে শ*রীরে জড়ি*য়ে নিয়ে মিতু বললো– এ কেমন অসভ্য...
25/05/2024

গোসলখানায় মিতু গোসল করা অবস্থায় দরজা ঠেলে আয়ান ঢুকে পড়তেই হতবাক হয়ে কাপড় টেনে শ*রীরে জড়ি*য়ে নিয়ে মিতু বললো– এ কেমন অসভ্যতা আয়ান, একটা মেয়ে গোসল করছে আর তুমি ফট করে সেখানে ঢুকে পড়বে!

আয়ান পকেট থেকে একটা প্যাকেট বের করে মিতুর হাতে দিয়ে বললো,– এতে জ*ন্মবিরতিকরণ পদ্ধতি আছে, কি করবো মন যে আর মানে না, তোকে কাছে পেতে হবে এবং আজ রাতেই।

মিতু অবাক হয়ে বিস্ফা*রিত চোখে আয়ানের দিকে তাকিয়ে আছে।

আয়ান হেসে ফেলে বললো– কিরে ভয় পেয়ে গেলি তো, হাহাহা, ভয় নেই, প্যাকেটে আন্টির জন্য কিসের যেন ওষুধ দিয়ে পাঠিয়েছে আঙ্কেল।

মিতু বললো,– তাই বলে এভাবে গোসলখানায় ঢুকে দিতে হবে! অপেক্ষা করলে কি হতো?

: মিতু আমিও আমার অষুধ দেখে নিলাম।

: গোসলখানার দরজার লকটা ন*ষ্ট হয়ে গেছে তাই সুযোগটা পেলে আয়ান।

: সুযোগ আমি তৈরি করে নিয়েছি মিতু, লকটা আমিই ন*ষ্ট করে রেখেছি হা হা হা।

: অসভ্য একটা।

: অসভ্য নয় মিতু, প্রেমিক।

: হুম সাইকো প্রেমিক।

দুপুর গড়িয়ে বিকেল, বাসায় মিতু এবং আয়ান ছাড়া কেউ নেই।

বিকেলে সুযোগ বুঝে মিতুকে ঝাপটে ধরে পরপর কয়েকবার ইচ্ছে করে মিতুর ঠোঁটে চু*মু খেল আয়ান, মিতুর শরীর কাঁপ*ছে আর বিস্ফা*রিত চোখে আয়ানের দিকে তাকিয়ে হয়তো এক অন্য আয়ানকে দেখে অবাক হচ্ছে ভীষণ!

আবারও মিতুর ঠোঁটে চু*মু খেয়ে আয়ান বলল,– কিছু স্মৃতি কখনও ভোলা যায়না মিতু, আমি তেমন কিছু স্মৃতি আজ তোমায় দিলাম, চাইলেই ভুলতে পারবে না।

মিতু কম্পিত কণ্ঠে বললো,– আমি ভাইয়াকে সবকিছু বলে দেবো।

মিতুর কথা শুনে আয়ান হেসে ফেলে বলল,– এটা করতে তুমিই আমায় বাধ্য করেছো মিতু, ভালোবাসা জিনিসটা নিয়ে খেলতে নেই, যতটা পোড়াবে, ততটাই পুড়বে, অন্তত আমার বিষয়ে আমি বলতে পারি, ভালো যখন বেসেই ফেলেছি, যে কোনো কিছুর বিনিময়ে তোমাকে আমি আমার করেই ছাড়বো, এই যে অসংখ্য বার তোমার ঠোঁ*টে আমার ঠোঁ*ট স্পর্শ করালাম, কারণ কি জানো, অন্য কাউকে নিয়ে ওমন কিছু ভাবতে গেলেও যেন এই স্প*র্শ আমার কথা তোমায় মনে করিয়ে দেয়।

মিতুর চোখ মুখ রাগে ভয়ে লাল হয়ে আছে, মনে হচ্ছে এক্ষুনি আয়ানকে গিলে খাবে। নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করে মিতু বললো,– জোর করে চু*মু খেয়ে নিজেকে বাহাদুর প্রমাণ করলেন?! এভাবে কারো মন পাওয়া যায়না।

আয়ান মিতুর চোখে চোখ রেখে বলল,– মিতু, যখন একটা মানুষ কারো প্রেমে পড়ে, তখন প্রেমকে ঘিরে অনেকগুলো স্বপ্ন মিলে একটা প্রেমের পৃথিবী তৈরি হয়। সেই স্বপ্ন গুলোর কিছু থাকে স্পর্শের, কিছু মেলামেশার, কিন্তু একথা কেউ প্রকাশ করেনা, ল*জ্জায় হয়তো। কিন্তু প্রত্যেকেই রোজ তার প্রেমিক অথবা প্রেমিকার ঠোঁ*টে হাজারটা চু*মু খায় মনে মনে। আদরে আদরে মাতিয়ে তোলে কল্পনায়। শুধুমাত্র মোবাইল যদি নিজে সাক্ষী দিতে পারতো, তবে লক্ষ কোটি চু*মুর কথা প্রকাশিত হতো সেই কবেই, ফোনে ফোনে হয়ে যাওয়া কত বাসর ঘরের গল্প পত্রিকায় প্রকাশিত হতো! ভাগ্য ভালো যে মোবাইল আমাদের কথোপকথন আদান প্রদান করতে পারলেও নিজে কিছু বলতে পারেনা। আমার কথা শুনতে খারাপ লাগলেও এটাই সত্য।

মিতু চুপচাপ আয়ানের কথা শুনছে নীরবে, আর ফর্সা গালে রাগ জমে লাল হয়ে আছে তার।

এক টানে মিতুকে বুকে এনে শক্ত করে চেপে ধরে বলল,– এই যে যৌ*বন, এই যে তোমার সমুন্নত বক্ষ যুগল স্প*র্শ করেছে আমার বু*ক, আমি এসব নিয়ে ভাবছি না, ভাবছি আমার ভালোবাসার মানুষটা আমার বু*কেই আছে, এটাই প্রকৃত সুখ।

আয়ানের বু*কে মিতুর বু*ক লেগে আছে, মিতুর হৃৎস্প*ন্দন আয়ান স্পষ্ট অনুভব করছে, মিতুর হৃৎস্পন্দনের হার স্বাভাবিক এর চেয়ে অনেক বেশি বেড়ে গিয়েছে। আয়ান মিতুর পিঠে হাত বুলিয়ে বলল,– এই যে নবযৌ*বনা শরী*রটা তোমার, এই মূহুর্তে আমি যদি চাই, তোমার মন না করলেও তোমার শ*রীর ফেরাতে পারবে না জানো! কিন্তু শরী*রের প্রতি এই টান হয় কিছু সময়ের মাত্র, উত্তেজনা শেষে এটাও শেষ। কিন্তু মনের ভালোবাসা আজীবন একই রকম থাকে, কমেনা বরং বাড়ে দিনে দিনে। সুঠাম সুন্দর দেহের অহংকারে সত্যিকারের ভালোবাসা দূরে ঠেলে দিয়ো না কখনও, পরে পস্তাবে। যে তোমার শরী*রের লোভে পড়ে ভালোবাসার মুখোশের আড়ালে শ*রীরের প্রতি লোভ নিয়ে তোমার জীবনে প্রবেশ করবে, সে তোমাকে ঐ নির্দিষ্ট কয়েক মিনিটের জন্যই ভালো বাসবে, তারপর তার কাছে তুমি মূল্যহীন। তার তুমি আজীবন ঐ কয়েক মিনিটের জন্যই আক*র্ষণীয় হয়ে উঠবে, আবার শারী*রিক চাহিদা মিটে গেলেই মূল্যহীন। এবার তুমি ভেবে বলো, যে তোমাকেই ভালোবাসে তার জীবন সঙ্গী হওয়া ভালো? নাকি শুধু মাত্র তোমার শরী*রের লোভির শয্যা*সঙ্গী?

মিতু আমতা আমতা করে বললো,– এসব বলতে আপনার একটুও ল*জ্জা হয়না?

আয়ান বলল,– মিতু, তুমি আমি দুজনেই প্রাপ্ত বয়স্ক, এটা আমিও যেমন বুঝি, তোমারও বুঝবার কথা। যেজন তোমায় ভালোবাসে তুমি তার হও, ফুল প্যাকেজ পাবে, ভালোবাসা, আদর সোহাগ, সারাজীবনের ভরসা। আর যেজন তোমার চেয়ে তোমার শরীরের প্রতি বেশি আক*র্ষণ বোধ করে, তার কাছে তুমি দামী কেবল মাত্র বিছানায়, কথাগুলো শুনতে খারাপ লাগলেও এটাই চরম সত্যি। হঠাৎ করেই তুমি আমাকে অবহেলা করতে শুরু করলে, দূর্বল হচ্ছো তার প্রতি যে কিনা ইতিপূর্বে কয়েকটা মেয়ের জীবন ন*ষ্ট করেছে। তোমার শরী*রের উষ্ণতা শু*ষে নিয়ে তোমাকে যে সে ছু*ড়ে ফেলবেনা তার গ্যারান্টি কি বলো?

মিতু কিছু বলবে এমন সময় নিচে দরজা খোলার শব্দ...

চলবে...

গল্পঃ সাইকো প্রেমিক। ( প্রথম পর্ব )

হৃদয় চৌধুরী।

Address

Dammam
32431

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when M tv posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to M tv:

Videos

Share

Nearby media companies