JR Bhuiyan

JR Bhuiyan I will keep you informed of all the steps taken by the Saudi government for Bangladeshi expatriates.
(1)

31/03/2024

প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রমজানের শেষ দশকে জীবনের সবচেয়ে বেশি ইবাদতে মগ্ন হতেন। ইতিকাফ এই দশকের শ্রেষ্ঠ ইবাদত। দ্বিতীয় হিজরিতে রোজা ফরজ হওয়ার পর থেকে মৃত্যু পর্যন্ত নবীজি (সা.) কখনো ইতিকাফ ত্যাগ করেননি।

তিনি আরও লিখেছেন, ইতিকাফ অনেকটা দাবি আদায়ের জন্য কারও চৌকাঠে বসে যাওয়ার মতো ব্যাপার। দুনিয়ার সব ব্যস্ততাকে ছুটি দিয়ে আল্লাহর ঘরে বসে যাওয়ার নাম ইতিকাফ। ইতিকাফের আবেদন অনেকটা এমন- যেন ক্ষমা না নিয়ে ঘরে ফিরব না। ইতিকাফের মাধ্যমে লাইলাতুল কদরে ইবাদতের পথ সবচেয়ে সহজ হয়। কিন্তু দুঃখজনক বিষয় হলো, যে ইবাদত নবীজি (সা.) জীবনে একবারও বাদ দেননি, সেই ইবাদত আমরা অনেকে জীবনে একবারও করতে পারিনি। অথচ ইতিকাফ এমন একটি ইবাদত যার তৃপ্তি মানুষকে বারবার ইতিকাফ করতে উৎসাহিত করে। যে আল্লাহ বছরে ৩৬৫টি দিন দিলেন, সেই আল্লাহর জন্য আমরা কি ১০টা দিন উৎসর্গ করতে পারি না! আসুন, আমরা ইতিকাফের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করি।’

তিনি লিখেছেন, রমজানের শেষ দশকে প্রিয় নবী (সা.) ৬টি কাজ করতেন।

১. ইতিকাফ।

২. জীবনের অন্য যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি ইবাদত সাধনায় রত থাকা।

৩. রাত্রি জাগরণ।

৪. পরিবারকে ঘুম থেকে ডেকে তোলা।

৫. কোমর বেঁধে ইবাদতে মগ্ন হওয়া।

৬. লাইলাতুল কদর তালাশের আশায় শেষ দশ রাতে (বিশেষত বেজোড় রাতগুলোতে) ইবাদত করা।

23/03/2024

رَبَّنَا اغْفِرْ لِي وَلِوَالِدَيَّ وَلِلْمُؤْمِنِينَ يَوْمَ يَقُومُ الْحِسَابُউচ্চারণ : ‘রব্বানাগ-ফিরলি ওয়ালি ওয়ালিদাইয়্যা ওয়ালিল মুমিনিনা ইয়াওমা ইয়াকুমুল হিসাব।’ অর্থ : ‘হে আমাদের পালনকর্তা! আমাকে, আমার পিতা-মাতাকে এবং সব মুমিনকে আপনি সেইদিন ক্ষমা করে দিবেন; যেইদিন হিসাব কায়েম করা হবে।’ (সুরা ইবরাহিম : আয়াত ৪১)

20/08/2023
27/06/2023

MashAllah

28/02/2023

বিজয়নগরে নতুন ওয়াজ
জুনায়েদ অাল হাবিব
স্থান -ফুলবাড়িয়া কেদ্রায় জামে মসজিদ।

28/02/2023

এতো সুন্দর কাহিনী পড়ে,সেয়ার না করে পারলাম না।পড়েই দেখুন, নিজের অজান্তে চোখ দিয়ে পানি চলে আসবে.....

--বাঝে অশ্লীল গল্প না পড়ে ইসলামিক শিক্ষণীয় সত্য ঘটনা পড়েন,জানেন অন্যকে জানান।
একদিন মদীনার দুই ব্যক্তি একজন যুবককে টেনে-হিঁছড়ে, অর্ধপৃথিবীর শাসক খলীফা হযরত উমর (রা) এর দরবারে হাজির করল। এবং তারা বিচার দাখিল করল যে, "এই যুবক আমাদের পিতাকে হত্যা করেছে। আমরা এর ন্যায় বিচার চাই।"
আমিরুল মু’মিনীন খলীফা হযরত উমর (রা) সেই যুবককে তার বিপক্ষে করা দাবী সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলেন। সেই যুবক বললেন, "তাদের দাবী সম্পুর্ণ সত্য।" এই বলে যুবকটি তাঁর অনাকাঙ্ক্ষিত ঘঠনাটি বর্ণনা করতে লাগলেন।
তিনি বললেন, "আমি ক্লান্ত হয়ে যাবার কারণে বিশ্রামের জন্য এক খেজুর গাছের ছায়ায় বসলাম। ক্লান্ত শরীরে অল্প সময়েই ঘুমিয়ে গিয়েছিলাম। ঘুম থেকে উঠে দেখি আমার একমাত্র পছন্দের বাহন উটটি পাশে নেই। খুঁজতে খুঁজতে কিছু দূর গিয়ে পেলাম, তবে তা ছিল মৃত। পাশেই ছিল ওদের বাবা। যে আমার উটকে তার বাগানে প্রবেশের অপরাধে পাথর মেরে হত্যা করেছে। এই কারণে আমি হঠাৎ করে রাগান্বিত হয়ে পড়ি এবং তাদের বাবার সাথে তর্কাতর্কি করতে করতে এক পর্যায়ে মাথায় পাথর দিয়ে আঘাত করে ফেলি, ফলে সে সেইখানেই মারা যায়। যা একেবারেই অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে ঘটে গেছে। এর জন্য আমি ক্ষমাপ্রার্থী।"
বাদী’রা জানালেন- "আমরা এর মৃত্যুদণ্ড চাই।" হযরত উমর (রা) সব শুনে বললেন, "উট হত্যার বদলে তুমি একটা উট নিলেই হতো, কিন্তু তুমি বৃদ্ধকে হত্যা করেছ। হত্যার বদলে হত্যা। এখন তোমাকে মৃত্যুদন্ড দেয়া হবে। তোমার কোন শেষ ইচ্ছা থাকলে বলতে পারো।" নওজোয়ান বললো, "আমার কাছে কিছু ঋণ ও অন্যের রাখা কিছু আমানত আছে। আমাকে যদি কিছু দিন সময় দিতেন তবে আমি বাড়ি গিয়ে আমানত ও ঋণগুলি পরিশোধ করে আসতাম।"
খলিফা হযরত উমর (রা) বললেন, "তোমাকে এভাবে একা ছেড়ে দিতে পারি না। যদি তোমার পক্ষ থেকে কাউকে জিম্মাদার রেখে যেতে পারো তবে তোমায় সাময়িক সময়ের জন্য মুক্তি দিতে পারি। "নওজোয়ান বললো, "এখানে আমার কেউ নেই। যে আমার জিম্মাদার হবে। এখন আমি কি করি।" যুবকটি তখন নিরুপায় হয়ে দাঁড়িয়ে রইল।
এই সময় হঠাৎ মজলিসে উপস্থিত এক সাহাবী যার নাম হযরত আবু যর গিফারী (রা), দাঁড়িয়ে বললেন, "আমি হবো ঐ ব্যক্তির জামিনদার।" সাহাবী হযরত আবু যর গিফারীর (রা) এই উত্তরে সভায় উপস্থিত সবাই হতবাক। একেতো অপরিচিত ব্যক্তি তার উপর হত্যার দন্ড প্রাপ্ত আসামীর জামিনদার। খলিফা বললেন, "আগামি শুক্রবার জুম্মা পর্যন্ত নওজোয়ানকে মুক্তি দেয়া হলো। জুম্মার আগে নওজোয়ান মদীনায় না আসলে নওজোয়ানের বদলে আবু যরকে মৃত্যুদন্ড দেয়া হবে।" মুক্তি পেয়ে নওজোয়ান ছুটলো মাইলের পর মাইল দূরে তার বাড়ির দিকে। আবু যর গিফারী (রা) চলে গেলেন নিজ বাড়িতে।
দেখতে দেখতে জুম্মাবার এসে গেল। নওজোয়ানের আসার কোনো খবর নেই। হযরত উমর (রা) রাষ্ট্রীয় পত্রবাহক পাঠিয়ে দিলেন আবু যর গিফারির (রা) কাছে। পত্রে লিখা আজ শুক্রবার বাদ জুমা সেই যুবক যদি না আসে আইন মোতাবেক আবু যর গিফারির মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হবে। আবু যর যেন সময় মত জুম্মার প্রস্তুতি নিয়ে মসজিদে নববীতে হাজির হন। খবর শুনে সারা মদীনায় থমথমে অবস্থা। একজন নিষ্পাপ সাহাবী আবু যর গিফারী আজ বিনা দোষে মৃত্যুদন্ডে দন্ডিত হবেন।
জুমার পর মদীনার সবাই মসজিদে নববীর সামনে হাজির। সবার চোখে পানি। কারণ দন্ডপ্রাপ্ত যুবক এখনো ফিরে আসেনি। জল্লাদ প্রস্তুত।
জীবনে কত জনের মৃত্যুদন্ড দিয়েছে তার হিসেব নেই। কিন্তু আজ কিছুতেই চোখের পানি আটকাতে পারছে না জল্লাদ। আবু যরের মত একজন সাহাবী সম্পূর্ণ বিনা দোষে আজ মৃত্যুদন্ডে দন্ডিত হবেন, এটা মদীনার কেউ মেনে নিতে পারছেন না। এমনকি মৃত্যুদন্ডের আদেশ প্রদানকারী খলিফা উমর (রা) নিজেও চিন্তিত হয়ে পড়েছেন। হৃদয় তাঁর ভারাক্রান্ত। তবু আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে। কারো পরিবর্তনের হাত নেই। আবু যর (রা) তখনও নিশ্চিন্ত মনে হাঁসি মুখে দাঁড়িয়ে মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত। জল্লাদ ধীর পায়ে আবু যর (রা) এর দিকে এগুচ্ছেন আর কাঁদছেন। আজ যেন জল্লাদের পা চলে না। পায়ে যেন কেউ পাথর বেঁধে রেখেছে।
এমন সময় এক সাহাবী উচ্চ স্বরে জল্লাদকে বলে উঠলেন, "হে জল্লাদ একটু থামো। মরুভুমির ধুলার ঝড় উঠিয়ে ঐ দেখ কে যেন আসতেছে। হতে পারে ঐটা নওজোয়ানের ঘোড়ার পদধুলি। একটু দেখে নাও, তারপর না হয় আবু যরের মৃত্যুদন্ড কার্যকর করো।" ঘোড়াটি কাছে আসলে দেখা যায় সত্যিই এ সেই নওজোয়ান।
নওজোয়ান দ্রুত খলিফার সামনে এসে বললো, "হুযুর বেয়াদবি মাফ করবেন। রাস্তায় যদি ঘোড়ার পায়ে ব্যথা না পেত,তবে যথা সময়েই আসতে পারতাম। বাড়িতে গিয়ে আমি একটুও দেরি করি নাই। বাড়ি পৌঁছে গচ্ছিত আমানত ও ঋণ পরিশোধ করি। তারপর বাবা, মা এবং নববধুর কাছে সব খুলে বলে চিরবিদায় নিয়ে মৃত্যুর প্রস্তুতি নিয়ে মদীনার উদ্দেশ্যে রওনা দেই। এখন আমার জামিনদার ভাইকে ছেড়ে দিন আর আমাকে মৃত্যুদন্ড দিয়ে পবিত্র করুন। কেননা কেয়ামতের দিন আমি খুনি হিসেবে আল্লাহর সামনে দাঁড়াতে চাই না।"
আশেপাশের সবাই একেবারেই নীরব। চারিদিকে একদম থমথমে অবস্থা। সবাই হতবাক, কি হতে চলেছে। যুবকের পুনরায় ফিরে আসাটা অবাক করে দিলো সবাইকে।
খলিফা হযরত উমর (রা) যুবককে বললেন, "তুমি জানো তোমাকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হবে, তারপরেও কেন ফিরে এলে।" উত্তরে সেই যুবক বলল- "আমি ফিরে এসেছি, কেউ যাতে বলতে না পারে, এক মুসলমানের বিপদে আরেক মুসলামান সাহায্য করতে এগিয়ে এসে নিজেই বিপদে পড়ে গেছিলো।"
এবার হযরত উমর (রা) হযরত আবু যর গিফারী (রা) কে জিজ্ঞেস করলেন, "আপনি কেন না চেনা সত্যেও এমন জামিনদার হলেন।" উত্তরে হযরত আবু যর গিফারী (রা) বললেন, "পরবর্তিতে কেউ যেন বলতে না পারে, এক মুসলমান বিপদে পড়েছিলো, অথচ কেউ তাকে সাহায্য করতে আসেনি।"
এমন কথা শুনে, হঠাৎ বৃদ্ধের দুই সন্তানের মাঝে একজন বলে উঠল, "হে খলীফা আপনি তাকে মুক্ত করে দিন। আমরা তার উপর করা অভিযোগ তুলে নিলাম।"
হযরত উমর (রা) বললেন, কেন? তাদের মাঝে একজন বলে উঠলো, "কেউ যেন বলতে না পারে, এক মুসলমান অনাকাঙ্ক্ষিত ভুল করে নিজেই স্বীকার করে ক্ষমা চাওয়ার পরেও অন্য মুসলমান তাকে ক্ষমা করেনি।"
[হায়াতুস সাহাবা-৮৪৪]

22/02/2023

সিমনা বি-বাড়িয়া সড়কের ফ্রিজের কাজ চলতেছে লইস্কা থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পর্যন্ত,বিজয়নগর বাসীর স্বপ্নের মহাসড়কের যাতায়াত ও যোগাযোগ ব্যবস্থা আরো একধাপে এগিয়ে।

17/01/2023

ব্রাক্ষণবাড়ীয়া বিজয়নগর শ্রীপুরে ইসলামি মহা সম্মেলন ও হালকায়ে জিকির
হুজুর ফয়জুল করীম চরমোনাই

হে আল্লাহ! তুমি আমাকে সকল ঘৃণিত স্বভাব, অবাঞ্ছিত আচরণ, কুপ্রবৃত্তির তাড়না ও রোগ-ব্যাধি হতে দূরে রাখ। (তিরমিযি : ৩৫১৫)
13/01/2023

হে আল্লাহ!
তুমি আমাকে সকল ঘৃণিত স্বভাব, অবাঞ্ছিত আচরণ, কুপ্রবৃত্তির তাড়না ও রোগ-ব্যাধি হতে দূরে রাখ।

(তিরমিযি : ৩৫১৫)

01/01/2023

আমি যতবারই পড়েছি ততবারই অজস্রে কেদেছি

মৃত্যু নিয়ে এতো সুন্দর লেখা আগে পড়িনি
একটু পড়েই দেখুন না। জাযাকাল্লাহ।

পরলোকগত কুয়েতি লেখক আব্দুল্লাহ যারাল্লাহ র মৃত্যুর আগে লিখে যাওয়া কিছু অনুভূতি -

"মৃত্যু নিয়ে আমি কোনো দুশ্চিন্তা করবো না, আমার মৃতদেহের কি হবে সেটা নিয়ে কোন অযথা আগ্রহ দেখাবো না। আমি জানি আমার মুসলিম ভাইয়েরা করণীয় সবকিছুই যথাযথভাবে করবে।"

يُجَرِّدُونَنِي مِنْ مَلَابِسِي

তারা প্রথমে আমার পরনের পোশাক খুলে আমাকে বিবস্ত্র করবে,

يَغْسِلُونَني

আমাকে গোসল করাবে,

يَكْفِنُونَنِي

(তারপর) আমাকে কাফন পড়াবে,

يُخْرِجُونَنِي مِنْ بَيْتِي

আমাকে আমার বাসগৃহ থেকে বের করবে,

يَذهَبُونَ بِي لِمَسَكِنِي الجَدِيدِ (القَبْرُ)

আমাকে নিয়ে তারা আমার নতুন বাসগৃহের (কবর) দিকে রওনা হবে,

وَسَيَأتِي كَثِيرُونَ لِتَشْيِيْعِ الجَنَازَتِي

আমাকে বিদায় জানাতে বহু মানুষের সমাগম হবে,

بَلْ سَيَلْغِي الكَثِيرُ مِنهُم أَعْمَالَهُ وَمَوَاعِيدَهُ لِأَجْلِي دَفْنِي

অনেক মানুষ আমাকে দাফন দেবার জন্য তাদের প্রাত্যহিক কাজকর্ম কিংবা সভার সময়সূচী বাতিল করবে,

وَقَدْ يَكُونُ الكَثِيرُ مِنهُم لَمْ يَفَكِّرْ في نَصِيحَتِي يَوماً مِنْ الأيّامِ

কিন্তু দুঃখজনকভাবে অধিকাংশ মানুষ এর পরের দিনগুলোতে আমার এই উপদেশগুলো নিয়ে গভীর ভাবে চিন্তা করবে না,

أَشْيَائِي سَيَتِمُّ التَّخَلُّصُ مِنهَا

আমার (ব্যক্তিগত) জিনিষের উপর আমি অধিকার হারাবো,

مَفَاتِيحِي

আমার চাবির গোছাগূলো,

كِتَابِي

আমার বইপত্র,

حَقِيبَتِي

আমার ব্যাগ,

أَحْذِيَتِي

আমার ‍জুতোগুলো,

وإنْ كانَ أَهْلِي مُوَفِّقِينَ فَسَوفَ يَتَصَدِّقُونَ بِها لِتَنْفَعَنِي

হয়তো আমার পরিবারের লোকেরা আমাকে উপকৃত করার জন্য আমার ব্যবহারের জিনিসপত্র দান করে দেবার বিষয়ে একমত হবে,

تَأَكِّدُوا بِأَنَّ الدُّنيا لَنْ تَحْزَنْ عَلَيَّ

এ বিষয়ে তোমরা নিশ্চিত থেকো যে, এই দুনিয়া তোমার জন্য দু:খিত হবে না অপেক্ষাও করবে না,

وَلَنْ تَتَوَقَّفْ حَرَكَةُ العَالَمِ

এই দুনিয়ার ছুটে চলা এক মুহূর্তের জন্যও থেমে যাবে না,

وَالاِقْتِصَادُ سَيَسْتَمِرُ

অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড কিংবা ব্যবসাবাণিজ্য সবকিছু চলতে থাকবে,

وَوَظِيْفَتِي سَيَأتِي غَيرِي لِيَقُومَ بَها

আমার দায়িত্ব (কাজ) অন্য কেউ সম্পাদন করা শুরু করবে,

وَأَمْوَالِي سِيَذْهَبُ حَلَالاً لِلوَرَثِةِ

আমার ধনসম্পদ বিধিসম্মত ভাবে আমার ওয়ারিসদের হাতে চলে যাবে,

بَينَمَا أنا سَأُحَاسِبُ عَليها

অথচ এর মাঝে এই সম্পদের জন্য আমার হিসাব-নিকাশ আরম্ভ হয়ে যাবে,

القَلِيلُ والكَثِيرُ.....النَقِيرُ والقَطمِيرُ......

ছোট এবং বড়….অনুপরিমাণ এবং কিয়দংশ পরিমান, (সবকিছুর হিসাব)

وَإن أَوَّلَ ما مَوتِي هو اِسمِي !!!!

আমার মৃত্যুর পর সর্বপ্রথম যা (হারাতে) হবে, তা আমার নাম!!!

لِذَلكَ عِنْذَما يَمُوتُ سَيَقُولُونَ عَنِّي أَينَ "الجُنَّةُت"...؟

কেননা, যখন আমি মৃত্যুবরণ করবো, তারা আমাকে উদ্দেশ্য করে বলবে, কোথায় “লাশ”?

وَلَن يَنَادُونِي بَاِسمِي....

কেউ আমাকে আমার নাম ধরে সম্বোধন করবে না,

وَعِندَما يُرِيدُونَ الصَّلاةَ عَلَيَّ سِيَقُلُونَ اُحْضُرُوا "الجَنَازَةَ" !!!

যখন তারা আমার জন্য (জানাযার) নামাজ আদায় করবে, বলবে, “জানাযাহ” নিয়ে আসো,

وَلَن يُنَادُونِي يِاسْمِي ....!

তারা আমাকে নাম ধরে সম্বোধন করবে না….!

وَعِندَما يَشْرَعُونَ بِدَفنِي سَيَقُولُونَ قَرِّبُوا المَوتَ وَلَنْ يَذكُرُوا اِسمِي ....!

আর, যখন তারা দাফন শুরু করবে বলবে, মৃতদেহকে কাছে আনো, তারা আমার নাম ধরে ডাকবে না…!

لِذَلِكَ لَن يَغُرَّنِي نَسبِي وَلا قَبِيلَتِي وَلَن يَغُرَّنِي مَنْصَبِي وَلا شَهرَتِي ....

এজন্যই দুনিয়ায় আমার বংশপরিচয়, আমার গোত্র পরিচয়, আমার পদমযার্দা, এবং আমার খ্যাতি কোনকিছুই আমাকে যেন ধোঁকায় না ফেলে,

فَمَا أَتْفَهُ هَذِهِ الدُّنْيَا وَمَا أَعْظَمَ مُقَلِّبُونَ عَليهِ .....

এই দুনিয়ার জীবন কতই না তুচ্ছ, আর, যা কিছু সামনে আসছে তা কতই না গুরুতর বিষয়…

فَيا أَيُّهَا الحَيُّ الآنَ ..... اِعْلَمْ أَنَّ الحُزْنَ عَليكَ سَيَكُونُ على ثَلَاثَةٍ أَنْواعٍ:

অতএব, (শোন) তোমরা যারা এখনো জীবিত আছো,….জেনে রাখো, তোমার (মৃত্যুর পর) তোমার জন্য তিনভাবে দু:খ করা হবে,

1ــ النَّاسُ الَّذِينَ يَعْرِفُونَكَ سَطْحَيّاً سَيَقُولُونَ مِسْكِينٌ

১. যারা তোমাকে বাহ্যিক ভাবে চিনতো, তারা তোমাকে বলবে হতভাগা,

2ــ أَصْدِقَاؤُكَ سَيَحْزُنُونَ سَاعَات أَو أَيَّامَاً ثُمَّ يَعُودُونَ إِلَى حَدِيثِهِم بَلْ وَضَحِكَهُم.....

২. তোমার বন্ধুরা বড়জোর তোমার জন্য কয়েক ঘন্টা বা কয়েক দিন দু:খ করবে, তারপর, তারা আবার গল্পগুজব বা হাসিঠাট্টাতে মত্ত হয়ে যাবে,

3ــ الحُزْنُ العَمِيقُ فِي البَيْتِ سَيَحْزُنُ أَهْلِكَ أُسْبُوعاً.... أُيسْبُوعَينِ شَهراً ....شَهرَينِ أَو حَتَّى سَنَةً وَبَعْدَهَا سَيَضْعُونَكَ فِي أَرْشِيفِ الذَّكَرِيّاتِ !!!

৩. যারা খুব গভীর ভাবে দু:খিত হবে, তারা তোমার পরিবারের মানুষ, তারা এক সপ্তাহ, দুই সপ্তাহ, একমাস, দুইমাস কিংবা বড় জোর একবছর দু:খ করবে। এরপর, তারা তোমাকে স্মৃতির মণিকোঠায় যত্ন করে রেখে দেবে!!!

اِنْتَهَتْ قِصَّتُكَ بَينَ النَّاسِ وَبَدَأَتْ قِصَّتُكَ الحَقِيْقِيّةِ وَهِيَ الآخِرةُ ....

মানুষদের মাঝে তোমাকে নিয়ে গল্প শেষ হয়ে যাবে, অত:পর, তোমার জীবনের নতুন গল্প শুরু হবে, আর, তা হবে পরকালের জীবনের বাস্তবতা,

لَقدْ زَالَ عِندَكَ:

তোমার নিকট থেকে নি:শেষ হবে (তোমার):

1ــ الجَمَالُ

১. সৌন্দর্য্য

2ــ والمَالُ

২. ধনসম্পদ

3ــ والصَحَّةُ

৩. সুস্বাস্থ্য

4ــ والوَلَدُ

৪. সন্তান-সন্তদি

5ــ فَارقَت الدَّور

৫. বসতবাড়ি

6ــ القُصُورُ

৬. প্রাসাদসমূহ

7ــ الزَوجُ

৭. জীবনসঙ্গী

وَلَمْ يَبْقِ إِلَّا عَمَلُكَ

তোমার নিকট তোমার ভালো অথবা মন্দ আমল ব্যতীত আর কিছুই অবশিষ্ট থাকবে না,

وَبَدَأَتِ الحَيَاةُ الحَقِيقَيَّةُ

শুরু হবে তোমার নতুন জীবনের বাস্তবতা,

وَالسُّؤَالُ هُنا : ماذا أَعْدَدْتَ لِلقُبَرِكَ وَآخِرَةَكَ مِنَ الآنَ ؟؟؟

আর, সে জীবনের প্রশ্ন হবে: তুমি কবর আর পরকালের জীবনের জন্য এখন কি প্রস্তুত করে এনেছো?

هَذِهِ حَقِيقَةٌ تَحْتَاجُ إلى تَأمَّلٍ

*ব্স্তুত: এই জীবনের বাস্তবতা সম্পর্কে তোমাকে গভীর ভাবে মনোনিবেশ করা প্রয়োজন,*

لِذَلِكَ أحرصُ عَلى :

এজন্য ‍তুমি যত্নবান হও,

1ــ الفَرَائِضِ

১. ফরজ ইবাদতগুলোর প্রতি

2ــ النَّوَافِلِ

২. নফল ইবাদতগুলোর প্রতি

3ــ صَدَقَةُ السِّرِّ

৩. গোপন সাদাকাহ’র প্রতি

4ــ عَمَلُ الصَّلِحِ

৪. ভালো কাজের প্রতি

5ــ صَلاةُ اللَّيلِ

৫. রাতের নামাজের প্রতি

لَعَلَّكَ تَنْجُو....

যেন তুমি নিজেকে রক্ষা করতে পারো….

إِنْ سَاعَدْتَ عَلى تَذْكِيرِ النَّاسِ بِهَذِهِ المُقَالَةِ وَأنتَ حَيُّ الآنَ سَتَجِدُ أَثَرَ تَذكِيرِكَ في مِيزَانِكَ يَومَ القِيامَةِ بِإِذْنِ اللهِ .....

এই লিখাটির মাধ্যমে তুমি মানুষকে উপদেশ দিতে পারো, কারণ তুমি এখনো জীবিত আছো, এর ফলাফল আল্লাহ’র ইচ্ছায় তুমি কিয়ামত দিবসে মিজানের পাল্লায় দেখতে পাবে,

قال الله تَعالى : ((فَذَكِّرْ فَإِنَّ الذِّكْرَ تَنْفَعُ المُؤمِنِينَ))

আল্লাহ বলেন: ((আর স্মরণ করিয়ে দাও, নিশ্চয়ই এই স্মরণ মুমিনদের জন্য উপকারী))

لِمَاذَا يَخْتَارُ المَيِّتِ "الصَّدَقَةَ لو رَجَعَ للدُّنيا....

তুমি কি জানো কেন মৃতব্যক্তিরা সাদাকাহ প্রদানের আকাঙ্খা করবে, যদি আর একবার দুনিয়ার জীবনে ফিরতে পারতো?

كَمَا قَالَ تَعَالى: ((رَبِّ لَو لا أَخَّرْتَنِي إلى أَجَلٍ قَرِيبٍ فَأَصَّدَّقَ....))

আল্লাহ বলেন: ((হে আমার রব! যদি তুমি আমাকে আর একটু সুযোগ দিতে দুনিয়ার জীবনে ফিরে যাবার, তাহলে আমি অবশ্যই সাদাকাহ প্রদান করতাম….))

ولَمْ يَقُلْ :

তারা বলবে না,

لِأعتَمَرَ

উমরাহ পালন করতাম,

أو لِأُصَلَّي

অথবা, সালাত আদায় করতাম,

أو لِأصُومُ

অথবা, রোজা রাখতাম,

قالَ العُلَماءُ : ما ذَكَرَ المَيِّتُ الصَّدَقَةَ إلا لِعَظِيمِ مَا رَأى مِن أَثَرِها بَعدَ مَوتِهِ

আলেমগণ বলেন: মৃতব্যক্তিরা সাদাকাহ’র কথা বলবে, কারণ তারা সাদাকাহ প্রদানের ফলাফল তাদের মৃত্যুর পর দেখতে পাবে,

فَأَكْثِرُوا مِنَ الصَّدَقَةِ وَمِن أَفضَلِ ما تَتَصَدَّقُ بِهِ الآنَ 10 ثَوَان مِنْ وَقْتِكَ لِنشَرِ هذا الكَلامَ بِنِيَّةِ النَّصْحِ فَالكَلمَةُ الطَّيِّبَةُ صَدَقَةٌ.

আর, গুরুত্ববহ এই সাদাকাহ’র কাজটি তুমি এই কথাগুলো ছড়িয়ে দিয়ে মাত্র ১০ সেকেন্ড সময় ব্যয় করে করতে পারো, যদি তোমার উদ্দেশ্য হয় এর মাধ্যমে মানুষকে উপদেশ প্রদান করা। কারণ, উত্তম কথা হল এক ধরণের সাদাকাহ।।।
#সংগৃহীত।

 #মিথ্যার পথে সফল হওয়ার চেয়ে …! #সত্যের পথে ব্যর্থ হওয়াই ভালো …!
28/12/2022

#মিথ্যার পথে সফল হওয়ার চেয়ে …!
#সত্যের পথে ব্যর্থ হওয়াই ভালো …!

29/08/2022

লাইফ নিয়ে দুঃচিন্তা করবেন না কারণ
আমাদের পুরো জীবনটাই আল্লাহর জন্য।
রিযিক নিয়ে পেরেশান হবেন না, রিযিকের বন্টন
আল্লাহর পক্ষ থেকেই নির্ধারিত।
ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন হবেন না,
ভবিষ্যৎ ফায়সালাও আল্লাহর জিম্মায়।

24/08/2022

শুধু টাকা থাকলেই ভালো থাকা যায় না,ভালো থাকতে হলে আল্লাহর রহমতের প্রয়োজন হয়।

20/07/2022

আমাদের আশেপাশে এমন অনেক মানুষ আছেন, যারা বুক ফুলিয়ে বলেন,
"আমি উচিৎ কথা বলতে কাউকে ছাড়ি না!"
"আমি উচিৎ কথা মুখের উপর বলে দেই"
আপনি অনেক স্ট্রেইট ফরোয়ার্ড! যা মনে আসে তাই বলেন! গালাগাল সহ সরাসরি মুখের উপর সব বলে দেন! সব মহলে ঠোটকাটা স্বভাবের হিসেবে আপনি পরিচিত! সবাইকে একদম সামনেই ধুয়ে দেন এবং এটা নিয়ে আপনি বেশ গর্বও করেন!
ইসলাম ধর্মে এটাকেই "লুমাযাহ" বলা হয় । যে ব্যক্তি:
★ সরাসরি কাউকে লাঞ্চিত ও তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করে।
★ কাউকে তাচ্ছিল্য ভরে কোনকিছু নির্দেশ করে (আঙুল,চোখ, মাথা বা ভ্রু দ্বারা)
★ কারও অবস্থান বা পদবি নিয়ে তাকে ব্যাঙ্গ করে।
★ কারো বংশের নিন্দা করে বা বংশ নিয়ে কথা বলে।
★ কাউকে হেয় প্রতিপন্ন করে কথা বলে, অপমান করে।
★ কারও মুখের উপর তার সম্পর্কে বিরুপ মন্তব্য করে।
★ সরাসরি বাজে কথা দিয়ে কাউকে আঘাত করে।
★ কাউকে এমন কোনো কথা বললো যাতে আরেকজন কষ্ট পাবে।
★ অসন্মান করে কথা বললো।
উপরোক্ত ব্যাক্তিরাই মূলতঃ "লুমাযাহ" এর অন্তর্ভুক্ত।
আল্লাহ্‌ তায়ালা এই মানুষদেরকে পরিবর্তন হতে বলেছেন। নয়তো তাদের জন্য অনিবার্য ধ্বংসের সতর্ক বাণী দিয়েছেন। আল্লাহ তাদের প্রতি কঠোর লানত করেছেন।
নবী (সাঃ) বলেছেন, "যার ভিতরে নম্রতা নেই, সে সকল কল্যাণ থেকে বঞ্চিত"।
আসুন, আমরা একটু নরম হই, একটু সহনশীল হই, অন্তরকে পরিশুদ্ধ করি। মনে রাখবেন- আল্লাহ যাকে নম্রতা দিয়েছেন, তিনি দুনিয়ার সেরা নেয়ামত পেয়ে গেছেন। আল্লাহ সবাইকে হেদায়েত দান করুন।
আমীন।
(copy to past)

আল্লাহ হুম্মা আমিন🤲
19/07/2022

আল্লাহ হুম্মা আমিন🤲

19/07/2022

'মোনাজাতে প্রতিটি দোয়ার মধ্যে এই কথাগুলো স্বরণ করা!!

" ইয়া আল্লাহ..."

"তুমি যেভাবে আমাকে দেখতে চাও, সেভাবেই বানিয়ে দাও"

"তুমি আমাকে এতটা দুনিয়া দিও না যা আমাকে তোমার কাছ থেকে দুরে ঠেলে দেয়💔"

"তোমাকে ভালবাসতে শিখিয়ে দাও ইয়া আল্লাহ"

"আমার কোন ভুলের কারণে আমার উপর থেকে তোমার রহমতের ছায়া সরিয়ে দিও না!

"আমার উপর রাজী না হয়ে তুমি আমাকে দুনিয়া থেকে নিও না আল্লাহ! কোন মুখ নিয়ে আমি হাশরের মাঠে তোমার সামনে দাড়াব"

"আমাকে তুমি মুনাফিকের কাতারে শামিল কর না"

"মুমিন না করে আমাকে অন্ধকার কবরে নিও না ইয়া আল্লাহ💔"

" পরিপূর্ণ নেক আমল নিয়ে " কালেমা পড়ে শেষ নিঃশ্বাস করতে পারি' সেই তৌফিক দান কর"ইয়া আল্লাহ"

#আমিন🤲
(Copy to past)

❝একটা সুন্দর মোনাজাত❞ 🤲🌸.ইয়া আল্লাহ!!আমি জানিনা অতীতে কতটা পাপ করেছি, কতো ভুল করেছি জেনে না-জেনে, কত মানুষকে কষ্ট দিয়েছ...
19/07/2022

❝একটা সুন্দর মোনাজাত❞ 🤲

🌸.ইয়া আল্লাহ!!আমি জানিনা অতীতে কতটা পাপ করেছি, কতো ভুল করেছি জেনে না-জেনে, কত মানুষকে কষ্ট দিয়েছি, কত ওয়াক্ত নামাজ কাজা করেছি, কার কার নামে গীবত করেছি, কার কার নামে সমালোচনা করেছি, কত কি দেখে হিংসা করেছি! আসতাগফিরুল্লাহ্।

🌸·ইয়া আল্লাহ!! আপনি এখন আমাকে এমনভাবে তৈরি - করুন যাতে এসব থেকে আস্তে আস্তে মুক্তি পেতে পারি। আমাকে আলোর পথ দেখান, আমার মনে ইসলামের প্রেম বাড়িয়ে দিন। আমার মনে আল্লাহ ও তার রাসুলের প্রতি ভালবাসা এনে দিন। ইসলামকে জানার ইচ্ছা বাড়িয়ে দিন।

🌸ইয়া আল্লাহ!! কোনো বিপদ আসার আগেই আমাকে তা থেকে রক্ষা করুন। আমাকে বদনজর থেকে রক্ষা করুন। আমাকে পাপ থেকে দূরে থাকার তৌফিক দান করুন।

🌸- ইয়া আল্লাহ, আমার ঈমান বৃদ্ধি করে দিন, আমার মনকে নরম বানিয়ে দিন, আমাকে বেশি বেশি তওবা করার তৌফিক দিন। আমাকে হেদায়েত দান করুণ। আমীন 🤲🖤

মন খারাপের দিনগুলোতে নবীদের জীবন থেকে শিক্ষামন খারাপের দিনগুলোতে নবীদের জীবন থেকে শিক্ষাযখন রক্তসম্পর্কীয় কেউ আপনার সঙ্গ...
18/07/2022

মন খারাপের দিনগুলোতে নবীদের জীবন থেকে শিক্ষা

মন খারাপের দিনগুলোতে নবীদের জীবন থেকে শিক্ষা
যখন রক্তসম্পর্কীয় কেউ আপনার সঙ্গে প্রতারণা করে, ভেঙে পড়বেন না। মনে রাখবেন, ইউসুফ (আ.) নিজ ভাইদের দ্বারা প্রতারিত ও গভীর কূপে নিক্ষিপ্ত হয়েও জীবনে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন

জীবন ফুলশয্যাময় নয়। সুন্দর এ পৃথিবীতে কেউ চিরসুখী নয়। কারণ দুনিয়া প্রকৃত সুখ ও ভোগের জায়গা নয়। আল্লাহ বলেন, ‘নিশ্চয়ই আমি মানুষকে কষ্টনির্ভররূপে সৃষ্টি করেছি।

’ (সুরা আল-বালাদ, আয়াত : ৪)

কারো আনন্দ-শোক বা হাসি-কান্না তার আয়ত্তাধীন নয়। এগুলো আল্লাহর পক্ষ থেকে আসে। তিনিই কারণ সৃষ্টি করেন এবং কারণাদিকে ক্রিয়াশক্তি দান করেন। তিনি ইচ্ছা করলে মুহূর্তের মধ্যে ক্রন্দনকারীর মুখে হাসি ফোটাতে পারেন এবং হাস্যরতদের কাঁদিয়ে দিতে পারেন। জীবনের ভাঙা-গড়ার এ দর্শন যে উপলব্ধি করতে পারে, সাময়িক আনন্দকে সে চূড়ান্ত জ্ঞান করে না। সুখ ও ভোগে গা ভাসিয়ে দেয় না। আবার দুঃখের দিনে আশাহত হয় না। আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয় না। আসুন, নবীদের জীবনের সঙ্গে নিজেকে মিলিয়ে নিই।

১. আপনি অবরুদ্ধ, ঘর থেকে বের হতে পারছেন না। মন ভীষণ খারাপ? কত দিন ধরে? তিন মাস? চার মাস? এক বছর? আপনি কি জানেন আমাদের প্রিয় নবী (সা.) তিন বছর পর্যন্ত শুআবে আবু তালেবে কাফিরদের দ্বারা অবরুদ্ধ-বেষ্টিত ছিলেন। একসময় খাদ্যের সংকট দেখা দেয়। এমনও হয়েছে, তিনি ক্ষুধার তাড়নায় গাছের পাতা খেয়েছেন। আপনার দুঃখ-কষ্ট কি এর চেয়েও বেশি?

২. যখন রক্তসম্পর্কীয় কেউ আপনার সঙ্গে প্রতারণা করে, ভেঙে পড়বেন না। মনে রাখবেন, ইউসুফ (আ.) নিজ ভাইদের দ্বারা প্রতারিত ও গভীর কূপে নিক্ষিপ্ত হয়েও জীবনে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন।

৩. মাতা-পিতা থেকে কষ্ট পেলে মন খারাপ করবেন না। ইবরাহিম (আ.) নিজ পিতার দ্বারাই আগুনে নিক্ষিপ্ত হয়েছিলেন।

৪. ঘোর বিপদে চারদিকে অন্ধকার দেখলেও হতাশ হবেন না। ইউনুস (আ.) সাগরে মাছের পেটের অন্ধকার প্রকোষ্ট থেকেও উদ্ধার হয়েছিলেন।

৫. আপনার বিরুদ্ধে অপবাদ ও গুজব রটলে ভেঙে পড়বেন না। আয়েশা (রা.)-এর বিরুদ্ধেও অপবাদ আরোপ করা হয়েছিল। আল্লাহ তাঁকে হেফাজত করেছেন।

৬. তীব্র অসুস্থতায় হতাশ হবেন না। আইয়ুব (আ.) আপনার চেয়ে হাজার গুণ বেশি অসুস্থ ছিলেন। পরে তিনি সুস্থ হয়েছেন।

৭. যখন আপনি নির্জন ও একাকিত্বে ভোগেন, ভেঙে পড়বেন না। আদম (আ.)-কে, প্রথমে একাকী সঙ্গীবিহীন সৃষ্টি করা হয়েছিল। অথচ তিনিই এ পৃথিবীকে আবাদ করেছেন।

৮. পরিবার ও সন্তানকে সৎপথে আনার সব চেষ্টা ব্যর্থ হলেও হতাশ হবেন না। চেষ্টা চালিয়ে যান। নুহ (আ.) সাড়ে নয় শ বছর দাওয়াত দিয়ে মাত্র ৮০ জনকে হেদায়েতের পথে আনতে পেরেছিলেন। কিন্তু তিনি তো আল্লাহর কাছে প্রতিদান পাবেন।

৯. মানুষ আপনাকে নিয়ে বিদ্রুপ করলে ভেঙে পড়বেন না। আমাদের নবীসহ যুগে যুগে সব নবীকে নিয়ে অজ্ঞ ও অবিশ্বাসীরা ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ করেছিল, কিন্তু পরিশেষে নবীরাই সফল হয়েছেন।

১০. একের পর এক বিপদে হতাশ হবেন না। আল্লাহ তাঁর প্রিয় বান্দাদের বেশি বেশি পরীক্ষায় ফেলেন। নবী-রাসুলদের তিনি সর্বাধিক পরীক্ষা করেছেন। পরিশেষে তাঁদের উদ্ধার করেছিলেন।

কাজেই আসুন, আমরা আল্লাহমুখী হই, সব দুঃখ মুছে যাবে, ইনশাআল্লাহ
(copy to Past)

12/07/2022
 #আলহামদুলিল্লাহ The Ministry of হজ্জ ও উমরাহ মন্ত্রণালয় থেকে ঘোষণা করেছিল যে এই বছরের হজ্জ মুসম শেষ হওয়ার পর 19 জুলাই...
12/07/2022

#আলহামদুলিল্লাহ
The Ministry of হজ্জ ও উমরাহ মন্ত্রণালয় থেকে ঘোষণা করেছিল যে এই বছরের হজ্জ মুসম শেষ হওয়ার পর 19 জুলাই থেকে ওমরাহের জন্য বুকিং খুলবে।

মন্ত্রণালয় আরও বলেছে যে যারা ওমরাহ পালন করতে চান তারা আগামী মঙ্গলবার থেকে অ্যাপয়েন্টমেন্ট বুক করতে পারবেন।

12/07/2022

সৌদি আরবে যারা ড্রাইভিং লাইসেন্স বানাতে চান আপনি অবশ্যই প্রথমে মোবাইলে অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে হবে তারপর যে তারিখে ভর্তি সময় দেয় সেই তারিখে ভর্তির জন্য ওই দাল্লা ড্রাইভিং সেন্টারে গিয়ে ভর্তি নিবেন।
পুরো ভিডিওটি দেখলে আপনি নিজে অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে পারবেন।

12/07/2022

⭕ কাউকে গালির বদলে গালি দিও না, লজ্জার বদলে লজ্জা দিও না, কষ্টের বদলে কষ্ট দিও না ......!!

⭕যদি ও তোমার প্রতিশোধ নেওয়ার অধিকার রয়েছে, কিন্তুু এই অধিকার প্রয়োগের চেয়ে মাফ করে দেওয়া উত্তম ... ….!!

⭕তুমি যদি চুপ করে থাকো, কোন উত্তর না দাও এবং এর ফলে তোমার ভিতরে কষ্ট হয়, ক্রোধের সৃষ্টি হয়, আর তা তুমি হজম করো, ধৈর্য্য ধারন করো, তাহলে এ সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা ওয়াদা করেছেন .......!!

" ⭕ ধৈর্য্য ধারনকারীদের আল্লাহ তা'আলা বেহিসাব পুরুষ্কার দিয়ে থাকেন ......!! ""( সূরা আয-যুমারঃ ১০ )
❤️সুবাহানাল্লাহ 🤲

“The Day of Arafah”
08/07/2022

“The Day of Arafah”

30/06/2022

█▒▒▒ ব্রেকিং/Breaking ▒▒▒█
সৌদি গেজেটের প্রতিবেদন
সৌদি আরবে যারা ড্রাইভিং করেন তারা সতর্ক হোন
রিয়াদের পুলিশ সাত পাকিস্তানি নাগরিককে মক্কায় ভ্রমণকারী হজ্বযাত্রীদের জন্য ব্যক্তিগত পরিবহনের প্রচারে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার করেছে।

পুরুষরা ব্যক্তিগত পরিবহনের ব্যবস্থা করেছিল এবং হজ্বযাত্রীদের মক্কায় যাওয়ার জন্য অবৈধ উপায়ে যানবাহন ব্যবহার করার জন্য প্রলুব্ধ করেছিল। তারা হজ্বযাত্রীদের কাছ থেকে অগ্রিম টাকা আদায় করতেও সক্ষম হয়।

রিয়াদ পুলিশ একজন মিশরীয় বাসিন্দাকে গ্রেপ্তার করেছে যে ভুয়া হজ্ব প্রচারের জন্য শহরের একটি পাড়ায় লাইসেন্সবিহীন অফিস পরিচালনা করছিল।

 #আলহামদুলিল্লাহ চাঁদ দেখা গিয়েছে বাংলাদেশে পবিত্র ঈদুল আজহা 10 ই জুলাই অনুষ্ঠিত হবে।
30/06/2022

#আলহামদুলিল্লাহ চাঁদ দেখা গিয়েছে
বাংলাদেশে পবিত্র ঈদুল আজহা 10 ই জুলাই অনুষ্ঠিত হবে।

30/06/2022

সৌদি আরবে Al Bukairiyah যদি পরিচিত কেউ থেকে থাকেন এই পোস্টটি দেখার সাথে সাথে একটি নক দিয়েন।

 #আলহামদুলিল্লাহসৌদি আরবে জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা গিয়েছে, আগামীকাল ৩০ জুন জিলহজের ১ তারিখ এবং  ৮ জুলাই আরাফাত দিবস এবং ৯ জ...
29/06/2022

#আলহামদুলিল্লাহ
সৌদি আরবে জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা গিয়েছে, আগামীকাল ৩০ জুন জিলহজের ১ তারিখ এবং ৮ জুলাই আরাফাত দিবস এবং ৯ জুলাই ঈদুল আজহা অনুষ্ঠিত হবে ।

01/05/2022

আল্লাহু আকবার- আল্লাহু আকবার-আল্লাহু আকবার, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ
আল্লাহু আকবার-আল্লাহু আকবার-ওয়ালিল্লাহিল হামদ্।

Address

Al Midhnab

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when JR Bhuiyan posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Videos

Share