17/12/2022
Happy time
�লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রা
Happy time
I've received 200 reactions to my posts in the past 30 days. Thanks for your support. 🙏🤗🎉
আমাদের হোটেলের সকালের নাস্তা।
O SON OF ADAM
হে আদম সন্তান।
সৌদি আরবের ঘুর্ণিঝড়।
সূরমা।
হায়রে প্রবাসী।
সৌদি আরবের বৃষ্টি।
সৌদি আরবের জ্বর তুপান।
বাংলাদেশি পিঠা।
সুরমা।
রমজান উপলক্ষে একটা ভিডিও।
মাশাআল্লাহ।
একবার শুনে দেখুন অসাধারণ কোরআনের শুর।
কোরআনের দলিল।
কে কে আছেন হাত তুলুন যারা কিনা ছোট কালে হারিকেনের আলোতে পড়ালেখা করেছেন।
সূরমা ইটালি।
ইসরাঈল বিরোধী ১হাজার হ্যাসট্যাগ দেখতে চাই।।কেউ মিস করবেন না।। চেষ্টা করুন।।
#বয়কট ইসরাইল।
ফিলিস্তিনেরর পাশে আমরা দাড়াতে প্রস্তুত।
𝗜 𝗮𝗺 𝗳𝗿𝗼𝗺 𝗕𝗮𝗻𝗴𝗹𝗮𝗱𝗲𝘀𝗵 𝗮𝗻𝗱 𝘀𝘂𝗽𝗽𝗼𝗿𝘁 𝗣𝗮𝗹𝗲𝘀𝘁𝗶𝗻𝗲 🇵🇸 🇵🇸 🇵🇸
Keep posting ❤️
পৃথিবী ফেরত চেয়েছেন সৃষ্টিকর্তা !!!
কি হল এত পরমাণু বোমা, হাইড্রোজেন বোমা বানিয়ে? আমেরিকার বি-স্টেলথ বোমারু বিমান নাকি আলপিনের ডগায় বোমা ফেলতে পারে কয়েক কিলোমিটার উঁচু থেকে, রাশিয়ান S400 মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেম, নাকি পৃথিবীকে কয়েক চক্কর কেটে ফেলার ক্ষমতা ধরে, AK107 রাইফেল নাকি আস্ত ট্যাংক উড়িয়ে দেয় এক নিমেষে।
মানুষ মারার কত আয়োজন....
মনে আছে?
সিরিয়ার সেই ৩ বছরের ছেলেটির কথা... বোমায় ক্ষতবিক্ষত শরীর নিয়ে
মরে যাবার আগে যে বলেছিল - _'আমি ঈশ্বরকে সব বলে দেব'_ !
সে হয়তো ঈশ্বরকে সব ব'লে দিয়েছে।
হয়তো বলে দিয়েছে -
আমাদের পৈশাচিকতার কথা, লোভের কথা, অসভ্যতার কথা, নির্যাতনের কথা।
আমরা মানুষ মেরেছি হাজারে হাজার, একে অপরকে ধ্বংস করার জন্য মারণাস্ত্র বানিয়েছি লক্ষ-কোটি !
মানুষে মানুষে বিভেদ বাড়ানোর জন্য তৈরি করেছি নানা গোপন অস্ত্র।
সুইডেনের ইন্টারন্যাশনাল পীস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের গবেষণা বলছে ২০১৮ সালে পৃথিবীতে কেবলমাত্র যুদ্ধের প্রস্তুতির জন্য খরচ হয়েছে ১.৮২২ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার।
সে হয়তো ঈশ্বরকে সব বলে দিয়েছে।
বলেছে সেই পাখিটির কথা, যে আর আকাশে ওড়ে না;
বলেছে সেই আকাশের কথা,
যে একদিন নীল ছিল;
বলেছে সেই বাতাসের কথা,
যে একদিন নির্মল ছিল;
বলেছে সেই পৃথিবীর কথা,
যে একদিন সবার ছিল।
এই সবার পৃথিবীকে আমরা ভাগ করেছি ইচ্ছেমতো।
ধর্মের নামে, দেশের নামে, ভাষার নামে মানুষকে দূরে সরিয়েছি।
চামড়ার রং দিয়ে, গণতন্ত্রের নাম দিয়ে কেটে টুকরো করেছি আমাদের।
সাগরপাড়ে পরে থাকা আ্যালান কুর্দি, কাঁটাতারে ঝুলতে থাকা ফেলানি
হয়তো সব বলে দিয়েছে ঈশ্বরকে।
*ঈশ্বর তার পৃথিবী ফেরত চেয়েছেন এবার।*
তিনি হয়তো শুনেছেন সব অভিযোগ... হয়তো শুনেছেন প্রকৃতির আর্তনাদ -- শুনেছেন সেই পাখিটির কান্না।
এটাই হয়তো ঈশ্বরের মার, কিংবা প্রকৃতির প্রতিশোধ ...বৈভবে মোড়া দুবাই-এর ৮২৮ মিটার উঁচু মিনারের বুর্জ খলিফা নাকি খাঁ খাঁ করছে। সোনা আর পেট্রো ডলারে মুড়ে রাখা অহংকার থরথর করে মৃত্যুভয়ে কাঁপছে।
ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র একটা ভাইরাসের ভয়ে প্রবল পরাক্রমশালীরা অসহায়ের মত ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে আছে কোটের কলার ফাটা বিজ্ঞানীর দিকে অথবা রাতজাগা ক্লান্ত অবসন্ন কিন্তু হার না মানা জেদি ডাক্তার আর নার্সের দিকে!
চরম উন্নাসিকতায় যাদের দিকে কেউ ফিরেও তাকাত না, আজ সেই সাফাইকর্মীদের পুষ্পবৃষ্টি আর শঙ্খধ্বনিতে আবাহন।
তবে এ যুদ্ধ কি কেবল অদৃশ্য ভাইরাসের বিরুদ্ধে? বোধহয় না। লকডাউনে খাবারের অভাবে গঙ্গায় পাঁচ সন্তানকে মায়ের বিসর্জন।
একদিন হয়তো সব ঠিক হবে,
কিন্তু আমরা কি সত্যিই
মানুষ হবো?
এই অন্তহীন প্রশ্ন ভবিষ্যতের জন্য রেখে আজ অন্তত বাঁচার স্বপ্ন দেখি।
ঘরে থাকুন, সুস্থ থাকুন।
[বি. দ্র.: লেখাটি সংগৃহীত]
বাবার সাথে প্রায় ঘন্টাখানেক ধরে ব্যাংকে বসে আছি। বিরক্ত হচ্ছি খুব। যতনা নিজের উপর। তার চেয়ে বেশি বাবার উপর। অনেকটা রাগ করেই বললাম- বাবা- কতবার বলেছি- অনলাইন ব্যাংকিংটা শিখো।
এটা শিখলে কি হবে?
ঘরে বসেই তুমি এই সামান্য কাজটা করতে পারতে। শুধু ব্যাংকিং না। শপিংটাও তুমি অনলাইনে করতে পারো। ঘরে বসে ডেলিভারি পেতে পারো। খুবই সহজ। কিন্তু এই সহজ জিনিসটাই করবেনা।
করলে আমাকে ঘরের বাইরে বের হতে হতোনা- তাই না?
জ্বি বাবা তাই। এখানে এসে ঘন্টা খানেক অনর্থক বসে থাকতে হতোনা।
এরপর বাবা যা বললেন- তাতে আমি নির্বাক হয়ে গেলাম।
বাবা বললেন- এতো সময় বাঁচিয়ে তোমরা কি করো। ফোনেইতো সারাক্ষণ টিপাটিপি করো। কবে শেষদিন তুমি তোমার ফুফুর সাথে কথা বলেছো? দশ হাত দূরে প্রতিবেশী বৃদ্ধ জামিল চাচার খবর নিয়েছো। অথচ, আপন জনের সাথে দেখা করতে দশ মাইল পথ হেঁটেছি। সময় বাঁচানোর চিন্তা করিনি। মানুষ যদি মানুষের পাশেই না যায়- তবে এতো সময় বাঁচিয়ে কি হবে বলো।
বাবার কথা পাশ থেকে মানুষেরা শুনছেন। আমি চুপচাপ বসে আছি।
বাবা বললেন- ব্যাংকে প্রবেশের পর থেকে চারজন বন্ধুর সাথে কোশল বিনিময় করেছি। তুমি জানো -আমি ঘরে একা। তাই ঘর থেকে বের হয়ে আসাটাই আমার আনন্দ। এইসব মানুষের সাহচর্যটাই আমার সঙ্গ। আমারতো এখন সময়ের কমতি নেই। মানুষের সাহচর্যেরই কমতি আছে। ডিভাইস হোম ডেলিভারি এনে দিবে। মানুষের সাহচর্যতো আমাকে এনে দিবেনা।
মনে পড়ে, দু বছর আগে আমি অসুস্থ হয়ে পড়েছিলাম। যে দোকান থেকে আমি দৈনন্দিন কেনাকাটা করি- তিনিই আমাকে দেখতে গিয়েছিলেন। আমার পাশে বসে থেকে মাথায় হাত রেখেছিলেন। চোখ অশ্রুসিক্ত হয়েছিলো। তোমার ডিভাইস বড়জোড় একটা যান্ত্রিক ইমেইল পাঠাবে। কিন্তু আমার পাশে বসে থেকে চোখের অশ্রুতো মুছে দিবেনা। চোখের অশ্রু মুছে দেয়ার মতো কোনো ডিভাইস কি তৈরি হয়েছে।
সকালে হাঁটতে গিয়ে তোমার মা পড়ে গিয়েছিলেন। কে তাকে ঘরে পৌঁছে দিয়েছিলো? অনলাইন মানুষের একাউন্ট চিনে। সেতো মানুষ চিনেনা। মানুষের ঠিকানা চিনে। রাস্তায় পড়ে থাকা মানুষের ঘরতো চিনেনা।
এই যে মানুষ আমার শয্যা পাশে ছিলো- তোমার মাকে ঘরে পৌঁছে দিলো। কারণ- দৈনন্দিন নানা প্রয়োজনে একজন আরেকজনকে চিনেছি।
সবকিছু অনলাইন হয়ে গেলে- মানুষ "হিউম্যান টাচটা" কোথায় পাবে বলো? আর পায়না বলেই- পাশের ঘরে মানুষ মরে গিয়ে লাশ হয়ে থাকে- দূর্গন্ধ না আসা পর্যন্ত কেউ কারো খবরও আর রাখেনা। বড় বড় এ্যাপার্টম্যান্টগুলো আমাদের এ্যাপার্টই করে দিয়েছে। পুরো গ্রামে একটা টেলিভিশনে কোনো অনুষ্ঠান একসাথে দেখে সবার আনন্দ আমরা একসাথে জড়ো করতাম। এখন আমরা রুমে রুমে নানা ডিভাইস জড়ো করেছি। আনন্দ আর জড়ো করতে পারিনা।
এই যে ব্যাংকের ক্যাশিয়ার দেখছো। তুমি উনাকে ক্যাশিয়ার হিসাবেই দেখছো। সেলসম্যানকে সেলসম্যান হিসাবেই দেখছো। কিন্তু আমি সুখ দুঃখের অনুভূতির একজন মানুষকেই দেখছি। তার চোখ দেখছি। মুখের ভাষা দেখছি। হৃদয়ের কান্না দেখছি। ঘরে ফিরার আকুতি দেখছি । এই যে মানুষ মানুষকে দেখা এটা বন্ধন তৈরি করে। অনলাইন শুধু সার্ভিস দিতে পারে। এই বন্ধন দিতে পারেনা। পণ্য দিতে পারে, পূণ্য দিতে পারেনা। এই যে মানুষের সাথে হাসিমুখে কথা বলা- কোশলাদি জিগ্যেস করা। এখানে শুধু পণ্যের সম্পর্ক নাই। পূণ্যের সম্পর্কও আছে বাবা।
বাবা, তাহলে টেকনোলজি কি খারাপ?
টেকনোলজি খারাপ না। অনেক কিছু সহজ করেছে নিঃসন্দেহে সত্য। জুমে লাখে লাখে ছেলেমেয়েরা পড়ছে, শিখছে। এটাতো টেকনোলজিরই উপহার। তবে, টেকনোলজির নেশাটাই খারাপ। স্ক্রিন এ্যাডিকশান ড্রাগ এ্যাডিকশানের চেয়ে কোনো অংশে কমনা। দেখতে হবে- ডিভাইস যেন আমাদের মানবিক সত্তার মৃত্যু না ঘটায়। আমরা যেন টেকনোলজির দাসে পরিণত না হই। মানুষ ডিভাইস ব্যবহার করবে। মানুষের সাথে সম্পর্ক তৈরি করবে। কিন্ত ভয়ঙ্কর সত্য হলো -এখন আমরা মানুষকে ব্যবহার করি আর ডিভাইসের সাথে সম্পর্ক তৈরি করি। মানুষ ঘুম থেকে ওঠে আপন সন্তানের মুখ দেখার আগে স্ক্রিন দেখে- সায়েন্টিফিক রিসার্চ ইন্সটিউট এটাকে ভয়ঙ্কর মানসিক অসুখ বলে ঘোষনা করেছে।
কিছুদিন আগে আশা ভোসলে একটা ছবি পোস্ট করে ক্যাপশান লিখেছেন- আমার চারপাশে মানুষ বসে আছে। কিন্তু কথা বলার মানুষ নেই। কারণ সবার হাতে ডিভাইস।
বাবা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বললেন- জানিনা ভুল বলছি কিনা, তবে আমার মনে হয়- তোমরা পণ্যের লগো যতো চিনো। স্বজনের চেহারা তত চিনোনা। তাই, যত পারো মানুষের সাথে সম্পর্ক তৈরি করো। ডিভাইসের সাথে না। টেকনোলজি জীবন না। স্পেন্ড টাইম উইথ পিপল, নট উইথ ভিডাইস।
বাবাকে চাচা বলে কে একজন ডাক দিলো । বাবা কাউন্টারের দিকে হেঁটে যাচ্ছেন। এই প্রথম আমি বুঝতে পারলাম। বাবা ক্যাশিয়ারের দিকে যাচ্ছেন না। একজন মানুষ মানুষের কাছেই যাচ্ছেন। বাবাকে আমি অনলাইন শিখাতে চেয়েছিলাম। বাবা আমাকে লাইফলাইন শিখিয়ে দিয়ে গেলেন।
Collected
`Ar`ar
Be the first to know and let us send you an email when NM Nur Mohammad posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.