24/10/2025
তাহলে কি কফিল বা স্পনসর থাকবে না?
হ্যাঁ, থাকবে।
তবে আগের মতো একতরফা ক্ষমতা আর কফিলের হাতে নেই।
নতুন নিয়মে প্রবাসীদেরও রয়েছে অনেক স্বাধীনতা ও অধিকার।
সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ও স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে যে, সৌদি আরবে কাফালা (স্পনসরশিপ) প্রথা পুরোপুরি বাতিল করা হয়েছে।
এতে অনেক প্রবাসী ভাইয়েরা বিভ্রান্ত হয়েছেন।
কিন্তু আসলে বিষয়টি একটু ভিন্ন — পুরো প্রথা বাতিল নয়, বরং সৌদি সরকার “Qiwa সিস্টেম” চালুর মাধ্যমে কাফালা পদ্ধতির বড় অংশ সংস্কার করেছে।
আসলে কী পরিবর্তন এসেছে?
সৌদি আরবে অনেক আগে থেকেই ধীরে ধীরে আংশিকভাবে কাফালা সিস্টেম তুলে দেওয়া হয়েছে।
এর পরিবর্তে চালু করা হয়েছে Qiwa (কিওয়া) সিস্টেম, যার মূল লক্ষ্য হলো—
প্রবাসী কর্মীদের অধিকার ও স্বাধীনতা নিশ্চিত করা
সরকার এখন এই সিস্টেমকে আরও উন্নত করতে নতুন কিছু সুযোগ-সুবিধা ও সংস্কার পদক্ষেপ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
এখন আপনি চাইলে—
• চাকরি পরিবর্তন করতে পারবেন,
• দেশে ফেরার অনুমতি নিতে হবে না,
• নিজের অধিকার অনলাইনে দাবি করতে পারবেন।
এই সবকিছুই হচ্ছে নতুন Qiwa সিস্টেমের মাধ্যমে ডিজিটালভাবে নিয়ন্ত্রিত ও সুরক্ষিত।
প্রবাসীদের নতুন অধিকার ও সুবিধাসমূহ
1️⃣ চাকরি পরিবর্তনের স্বাধীনতা
চুক্তির মেয়াদ শেষে নিয়োগকর্তার অনুমতি ছাড়াই আপনি অন্য কোম্পানিতে যোগ দিতে পারবেন।
Qiwa প্ল্যাটফর্মে অনলাইনে ট্রান্সফার আবেদন করলেই যথেষ্ট।
2️⃣ নিশ্চিন্তে দেশে ফেরা
ছুটি বা স্থায়ীভাবে দেশে ফেরার জন্য আর কফিলের অনুমতির দরকার নেই।
আপনি সরাসরি অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।
3️⃣ মজুরি সুরক্ষা ব্যবস্থা (Wage Protection Program)
এই প্রোগ্রামের মাধ্যমে সৌদি সরকার নিশ্চিত করে যে,
আপনার বেতন সময়মতো ও সঠিক পরিমাণে দেওয়া হচ্ছে কি না—
সব কিছুই ডিজিটালভাবে পর্যবেক্ষণ করা হয়।
4️⃣ গৃহকর্মী সুরক্ষা (Musaned Program)
গৃহকর্মীদের জন্য এখন রয়েছে বীমা সুবিধা ও আইনি সুরক্ষা।
চুক্তি অনুযায়ী বেতন, ছুটি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে সরকার।
5️⃣ সুবিধাজনক ছুটি
• বছরে ২১ দিন বেতনসহ ছুটি (৫ বছর পর ৩০ দিন)
• অসুস্থতার জন্য ছুটি
• বিশেষ প্রয়োজনে (বিয়ে, মৃত্যু, সন্তান জন্ম) ছুটি
সবই এখন আইনের আওতায় এবং অনলাইনে ট্র্যাক করা যায়।
⚙️ নতুন ব্যবস্থার মূল লক্ষ্য
🔹 প্রবাসীদের প্রতি ন্যায্য আচরণ নিশ্চিত করা
🔹 মানবাধিকার রক্ষা
🔹 কর্মস্থলে স্বচ্ছতা ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা।