Tas's clipboard

20/11/2024

17/11/2024

So yum..yum😋😋

17/11/2024

゚viralfbreelsfypシ゚viral

17/11/2024

Aya irene or hagia irini
゚viralfbreelsfypシ゚viral

28/09/2024

28/09/2024

Celebrating my 5th year on Facebook. Thank you for your continuing support. I could never have made it without you. 🙏🤗🎉

13/06/2024

সম্প্রতি হজ্জ সংক্রান্ত দু'টো সেমিনারে অংশগ্রহণ করে একটা ব্যাপার বুঝতে পারলাম। আর সেটা হচ্ছে বোনদের অনেকেই আরাফাত দিবসের শ্রেষ্ঠ দুয়া এবং এর অর্থ কী, তা জানেন না। আরাফাতের দিন আসতে আর খুব বেশি বাকী নেই। যারা এবার হজ্জে যাবেন এবং যাবেন না, তাদের সবার জন্যই দুয়াটা অর্থসহ জানাটা জরুরি বলে আমি মনে করি। আজকের লেখাটা সে জন্যই।

রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আ'লাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “শ্রেষ্ঠ দুয়া হচ্ছে আরাফাত দিবসের দুয়া। আর আমি এবং আমার পূর্ববর্তী নবীগণ যে (দুয়া) বলেছি তার মধ্যে শ্রেষ্ঠ হচ্ছে,

لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّه, وَحْدَهُ, لاَ شَرِيكَ لَهُ، لَهُ الْمُلْكُ, وَلَهُ الْحَمْدُ, وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ

অর্থঃ একমাত্র আল্লাহ ছাড়া কোনো সত্য ইলাহ নেই। তিনি এক। তাঁর কোনো শরীক নেই। রাজত্ব তাঁরই। এবং সমস্ত প্রশংসাও তাঁরই। আর তিনি সকল কিছুর উপর ক্ষমতাবান।

উচ্চারণঃ লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু, ওয়াহ'দাহু, লা শারীকা লাহু, লাহুল মূলকু, ওয়া লাহুল হা'মদু, ওয়া হুয়া ‘আলা কুল্লি শাই’ইং ক্বদীর।

উৎসঃ তিরমিযীঃ ৩৫৮৫; হাদীসটি হাসান, সিলসিলা সহীহাঃ ৪/৬।

দুয়াটার পার্ট বাই পার্ট অনুবাদঃ

*লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ- আল্লাহ ছাড়া কোন প্রকৃত ইলাহ নাই,
*ওয়াহদাহু- তিনি এক,
*লা শারীকা লাহু- তাঁর কোন শরীক নাই,
*লাহুল মুলকু- রাজত্ব তাঁরই,
*ওয়া লাহুল হামদু- এবং যাবতীয় প্রশংসা তাঁরই,
*ওয়া হুয়া আলা কুললি শাইয়্যিন ক্বদীর- এবং তিনি সব কিছুর উপর ক্ষমতাবান।

আরাফাতের দিনের শেষ্ঠ দুয়া সম্পর্কিত এই হাদিসটা যেদিন প্রথম শুনেছিলাম সেদিন মনের মধ্যে অনেকগুলো প্রশ্নের উদয় হয়েছিল-
এটা দুয়া!
এটা কেমন করে দুয়া হয়?
এখানে তো আল্লাহর কাছে কিছুই চাচ্ছি না!
শুধুই আল্লাহর প্রশংসা করছি!
তাহলে এটা কেমন করে দুয়া হয়?
তাও আবার শ্রেষ্ঠ দুয়া!

প্রশ্নগুলোর উত্তর পেয়েছিলাম অনেক বছর পরে, একটা লেকচারে। ব্যাপারটা এ রকম যে, বান্দাহ যখন ক্রমাগতভাবে আল্লাহর একত্ববাদের সাক্ষ্য দিতে থাকে, তাঁর মহিমা বর্ণনা করতে থাকে, তাঁর বড়ত্ব ও কর্তৃত্বের স্বীকৃতি দিতে থাকে, তখন আল্লাহ তায়ালা সেই বান্দার চাওয়াগুলো পূরণ করেন। বান্দার তখন আর মুখ ফুটে বলার কোন দরকার হয় না। তার কী প্রয়োজন, কিসে তার কল্যাণ, কী তার আকাঙ্খা তা বান্দার চাইতে আল্লাহ তায়ালাই তো অনেক বেশি ভালো করে জানেন! সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহ।

আরাফাত দিবসে উপরের বিশেষ দুয়াটা আমরা বেশি বেশি করে পড়বো। ইনশাআল্লাহ। সাথে অন্যান্য দুয়া তো থাকবেই। আর থাকবে ইস্তেগফার (ক্ষমাপ্রার্থণা)। ইনশাআল্লাহ। কারণ, "মহামহিমান্বিত আল্লাহ আরাফাতের দিন জাহান্নাম থেকে যতো অধিক সংখ্যক বান্দাকে মুক্তি দেন, অন্য কোন দিন এতো অধিক বান্দাকে নাজাত দেন না।" (মুসলিম, নাসায়ী)

যে কোন দুয়াই ওযু অবস্থায় করা উত্তম। তবে ওযু ছাড়াও দাঁড়িয়ে, শুয়ে বা বসে যে কোনোভাবেই দুয়া করা যায়।

এ দুয়াটা সংক্রান্ত আরেকটি হাদীস উল্লেখ করাটা জরুরি মনে করছি।

রসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, "যে ব্যক্তি প্রতিদিন ১০০ বার ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু, ওয়াহদাহু, লা শারিকা লাহু, লাহুল মুলকু, ওয়ালাহুল হামদু, ওয়া হুয়া আ'লা কুল্লি শাইয়িন ক্বদীর’ বলবে সে দশটি গোলাম আযাদ করার সমান সওয়াব লাভ করবে, তার নামে ১০০টি সওয়াব লেখা হবে ও তার আমলনামা হতে ১০০ গুনাহ মুছে ফেলা হবে। আর সে সেদিন সন্ধ্যা পর্যন্ত শয়তানের ধোঁকা থেকে মুক্ত থাকবে। কেয়ামতের দিন কেউ তার থেকে ভালো আমল আনতে পারবে না, একমাত্র সেই ব্যক্তি ব্যতীত যে তার থেকে বেশি নেক আমল করেছে। (বুখারী, হাদিস নং ৬০৪০)

প্রতিদিন দুয়াটা ১০০ বার অর্থবুঝে পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারলে বিশাল পরিমাণ নেকি হাসিল করা সম্ভব। ইনশাআল্লাহ। এবং এই দুয়া এক নাগাড়ে ১০০ বার পড়তে হবে, তাও না। সারা দিনে সব মিলিয়ে ১০০ বার পড়লেই হল। সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহ। আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে তাওফিক দেন। আরো তাওফিক দেন আরাফাত দিবসের সর্বোচ্চ সদ্ব্যবহার করার। আমীন। ওয়া মা তাওফিকী ইল্লা বিল্লাহ।

#আরাফাত_দিবসের_দুয়া