
22/06/2024
বাইকের সার্ভিসিং একটি স্ক্যাম
_____________________________
বাইকের সার্ভিসিং একটি ধোকাবাজির নাম। এটি শোরুম এর একটি ধান্দাবাজি। আমাদের ব্রেইন ওয়াশ করে দিয়েছে।
বাইক ছাড়া দুনিয়াতে এমন কোনো বাহন দেখাতে পারবেন যে, কেনার পর সার্ভিসিং এর নামে শুধু শুধু কোনো সমস্যা ছাড়াই পার্ট পার্ট খুলে আবার ফিটিং করতে? আমি অন্তত দেখিনি এমন।
বাইক টি কোম্পানি থেকে দক্ষ কারিগর দিয়ে এবং উন্নতমানের মেশিন দিয়ে আসেম্বল করে দেয় আমাদের হাতে। আর আমরা এটা কিনে শোরুম এর অদক্ষ পিচ্ছি ছেলেদের দিয়ে পার্ট পার্ট খুলে আবার ফিটিং করি।
বাইকে সমস্যা হলেই শুধু কাজ করানো উচিত। নির্দিষ্ট সমস্যার জন্যে নির্দিষ্ট কাজ।
আমি আমার ৯বছর এর বাইকিং অভিজ্ঞতায়, প্রত্যেক ১/২হাজার কিমি পর পর সার্ভিসিং করিয়ে দেখেছি আবার ২বছর কোনো ভাঁওতাবাজি মার্কা মাস্টার সার্ভিস অথবা ফুল সার্ভিস অর্থাৎ খুলে আবার লাগানো সার্ভিস না করিয়ে দেখেছি। ফলাফল হলো খুলে লাগানো তে আমার লস বেশি হয়েছে। ভালো বাইক সার্ভিসিং করে দেখি নতুন সমস্যার আগমন।
হ্যাঁ, সার্ভিসিং করলে বাইকের ইন্টার্নাল পার্টস সম্পর্কে জানা যায়। যেমন, ব্রেক পেড এর অবস্থা, স্পার্ক প্ল্যাগ ও এয়ার ফিল্টার সম্পর্কে।
সেটা সার্ভিসিং ছাড়াই জানা যায়।
এইসব টাকা নষ্ট মার্কা সার্ভিসিং না করিয়ে রেগুলার মেইনটেনেন্স করুন যেমন প্রত্যেক ৪/৫হাজার কিমি পর পর এয়ার ফিল্টার ও প্লাগ পরিবর্তন। প্রতি দুইটি অথবা তিনটি ইঞ্জিন ওয়েল ড্রেইনের সাথে সাথে ওয়েল ফিল্টার পাল্টান।
বাইকের কোনো অংশের নাট বা জয়েন্ট লুজ হয়ে শব্দ করলে শুধু সেটাই পরিবর্তন বা ঠিক করুন।
এবং শান্ত ভাবে রাইড করুন দেখবেন বাইকে অযথা টাকা খরচ করা লাগছেনা।
এত কষ্ট করে লিখাটি লিখার একটাই উদ্দেশ্য, অযথা নিজের পয়সা অপচয় না করে সেটা অন্য ভালো কাজে লাগান। গরীব দুঃখীদের সহায়তা করুন, যথাসম্ভব।
ইঞ্জিন ওয়েল এর স্ক্যামের ব্যাপারেও আমার আক্ষেপ আছে তবে অনেকেই ইঞ্জিন এর সেফটির জন্য জলদি ড্রেইন দিয়ে দেয় সেটা তার নিজস্ব ব্যাপার তবে ইঞ্জিন ওয়েল এবং সার্ভিসিং নিয়ে আমাদের মগজ খুব ভালোভাবেই ওয়াশ করেছে তারা।