19/08/2023
ষড়যন্ত্রের শিকার সুনামগঞ্জের দুই আলেম
একজনের ফাসির রায় অন্য জনের যাবজ্জীবন
………………শাহ মমশাদ আহমদ
ঘটনাটি শুনে গা শিহরে উঠলো,,
সবাই একটু আওয়াজ তুলুন।
মিথ্যা মামলায় একজন হাফেজ আলেম ফাঁসির মুখে।
আরেকজন মুফতি যাবজ্জীবন কারাদন্ডে দন্ডিত!
আমাদের যা করা জরুরি =
হাফিজ মাওলানা ফয়েজ আহমদ।
সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর থানার গলাখাল গ্রামের বাসিন্দা।
গ্রামের একটি পক্ষের সাথে তার পরিবারের সংঘাত ছিল।এ নিয়ে মামলা চলছে।
গতবছর সুনামগঞ্জের কোর্টে তিনি সহ তার কয়েকজন স্বজন হাজিরা দিতে আসেন। তাঁর ভাতিজা কোর্টের সামনে প্রকাশ্যে প্রতিপক্ষের একজনকে ছুরিকাঘাত করে, পরে লোকটাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর মারা যায়। পরক্ষণেই হত্যাকারী তার ভাতিজা সাহান পালিয়ে যায়।
কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে হাফিজ মাওলানা ফয়েজ জনরোষের শিকার হয়ে পরেন। পুলিশ গ্রেফতার করে নিয়ে যায় এবং এক নাম্বার আসামী বানিয়ে চার্জশিট প্রদান করে।মাওলানা ফয়েজের ভাই মুফতি ইসরাইল আলী মারজান, তাকে গ্রেফতার করা হয়।
ঘটনাস্থলে শতশত মানুষ উপস্থিত ছিল,সকলেই প্রত্যক্ষ করেছে এবং ভিডিও ফুটেজে দেখা যাচ্ছে,
প্রত্যক্ষদর্শীরা ও বলেছে যে চাকু দিয়ে হত্যা করেছে সে পালিয়ে গেছে।
দ্বিতীয়ত:হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরির মধ্যে হাফিজ মাওলানা ফয়েজের কোনো ফিঙ্গার চিহ্ন ও পাওয়া যায়নি।
মাওলানা ফয়েজ আহমদ এ হত্যাকান্ডে জড়িত না থাকার সুস্পষ্ট প্রমাণ সত্বেও তাকে ফাসির রায় দেয়া হয়।তার ভাইকে যাবজ্জীবন কারাদন্ডে দন্ডিত করা হয়।
জানতে পারলাম,হাফিজ মাওলানা ফয়েজ আহমদ, তিনি সিলেটের ফরিদাবাদ মাদরাসা থেকে হিফয শেষ করেছেন, এবং সিলেটের দয়ামির মাদ্রাসা থেকে দাওরা হাদীস শেষ করেছেন। দীর্ঘ পাঁচ বছর যাবত জামেয়া ইসলামিয়া ফরিদাবাদ মাদরাসায় শিক্ষকতা করেছেন।
আমার মনে হয়,মামলা পরিচালনায় যথেষ্ট গাফিলতি রয়েছে।এদেশের আদালতপাড়া দেশের সর্বোচ্চ দুর্নীতি পাড়া।আর্থিক দুর্বল মানুষেরা ধাপে ধাপে জুলুমের শিকার হয়।
দ্বিতীয়ত আদালত প্রাঙ্গণে ঘটনা সংগটিত হওয়ায় আইনজীবীরা ক্ষুব্ধ হয়ে থাকতে পারেন। হয়তো বিজ্ঞ আইনজীবি মাওলানা ফয়েজের পক্ষে দাড়াননি।
এমতাবস্থায় আমাদের উচিত,,কাউকে দোষাদোষি না করে কয়েকটি পদক্ষেপ নেয়া,,,
১- আলেমদের পক্ষ হতে একটি কমিটি গঠন করে মামলার অবস্থা জানা।বিজ্ঞ আইনজীবিদের পরামর্শ নেয়া।
২- উচ্চ আদালতে বিজ্ঞ আইনজীবীর মাধ্যমে আপিল করা।
৩- আর্থিক সহযোগিতায় এগিয়ে আসা।
৪- মাঠ পর্যায়ে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষনের জন্য শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি নেয়া।
এব্যাপারে স্থানীয়ভাবে সুনামগঞ্জের আলেমের এগিয়ে আসা উচিত। ইনশাআল্লাহ,,আমরা ও সহযোগিতা করব।
আল্লাহ আমাদের মজলুমদের পাশে থাকার তাওফিক দিন।