25/01/2023
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২০-২১ সেশনের দুই ছাত্রকে গেস্টরুমে ডেকে নিয়ে কয়েক ঘন্টা নির্যাতন করা হয়েছে। ঘটনাটা গতরাতের। কিন্তু কেউ এটা নিয়ে মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছেনা। আগে বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো অন্যায় হলে এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার সুযোগ ছিলো। এখন বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো কিছু নিয়ে প্রতিবাদ করতে গেলেই নির্যাতনের শিকার হতে হয় নতুবা জেলে যেতে হয়।
শহীদ আবরারকে যখন মারা হয় তখন ছাত্রলীগ ও হলের সিনিয়ররা তাকে ট্যাগ দিয়েছিলো। কিন্তু তাতে কাজ হয়নি৷ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন ট্যাগ দিয়ে কাজ হয়। ট্যাগ দিয়ে সব অন্যায়কে বৈধতা দেয়া হয়।আর প্রশাসন বরাবরের মত নির্যাতকদের পক্ষ নিয়ে নিরব ভূমিকা পালন করে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় Ranking-এ পিছিয়ে যাওয়া বা শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট হওয়ার পিছনে মূল কারণ এই গেস্টরুম নির্যাতন। প্রতিটা ব্যাচের জুনিয়ররা ঘুমের মধ্যেও সিনিয়রদের ভয় পায়। কেউ স্বাধীন চিন্তা করতে পারেনা। ঠিকমত ক্লাস-পরীক্ষায় মনোযোগ দিতে পারেনা এই নির্যাতনের কারণে। ডাকসু নির্বাচনের পর এই নির্যাতন কমে আসলেও এখন আবার বেড়েই চলছে। সামনে আরও বাড়বে। নির্বাচনের সময় ছাত্রলীগের কর্মী-সংকট হলে নির্যাতন করে, জোর করে মিছিল মিটিং এ নিয়ে যাবে। পড়াশোনা তখন লাডে উঠবে।
যাকে তাকে ধরে মোবাইল চেক করার অধিকার ছাত্রলীগকে কে দিয়েছে? ছাত্রলীগ কি কোনো প্রশাসন? ব্যক্তিগত মুঠোফোন অনুমতি ব্যতীত চেক করার অধিকার কারো নেই। এটা আইনের পরিপন্থী।
ক্যাম্পাসে নির্যাতন বন্ধ হোক। ট্যাগ দিয়ে অধিকারহীন করা বন্ধ হোক।