19/07/2025
সিলেট, বাংলাদেশ
ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ইং
এটা আমার শেয়ার না করা ভিডিও থেকে কিছু মুহূর্ত। জীবনের সবচেয়ে স্মরণীয় ভ্রমণগুলোর একটি ছিল এটি।
চা ও সৌন্দর্যের শহর সিলেট এমন কিছু অভিজ্ঞতা দিল যা আমি কোনোদিন ভুলতে পারব না।
সবচেয়ে অবাক করেছিল শহরের বাইরের জীবন। এখনও মানুষ কাদামাটি আর বাঁশ দিয়ে বানানো ঘরে থাকে, যেন আধুনিক পৃথিবীর থেকে অনেক দূরে। আমি এক স্থানীয় পরিবারের সাথে সময় কাটাই, যাদের আতিথেয়তা অবিশ্বাস্য ছিল। ওদের সঙ্গে একসাথে খেয়েছি, গল্প করেছি, আর বাচ্চাদের সাথে ফুটবল খেলেছি। তারা জীবনে কখনো ড্রোন দেখেনি, তাই আমাকে ড্রোন উড়াতে দেখে ওদের চোখে যে বিস্ময় ছিল সেটা ছিল এক অনন্য অনুভূতি।
ছবিতে নেই, কিন্তু আমি তাদের জন্য ছোটখাটো উপহারও নিয়েছিলাম। কিন্তু তারচেয়েও বড় উপহার তারা আমাকে দিয়েছে। আত্মিক শান্তি, কৃতজ্ঞতা, আর উপলব্ধি।
বাংলাদেশি হিসেবে এটা ভাবতেই কষ্ট হয় যে আমরা যখন উন্নয়নের গল্প বলি, প্রযুক্তি আর অর্থনীতির প্রসারে কথা বলি, তখনও দেশে এমন মানুষ আছেন যারা একেবারে বঞ্চিত, পিছিয়ে পড়ে আছেন। কোনো কাজের সুযোগ নেই, শিক্ষা নেই, ন্যূনতম সুবিধাও নেই।
এই সফর আমাকে শিখিয়েছে, উন্নয়ন মানে শুধু বিল্ডিং, রাস্তাঘাট আর জিডিপি না। আসল উন্নয়ন তখনই, যখন প্রত্যেকে সুযোগ পাবে, কেউ পেছনে পড়ে থাকবে না।
সরকার, সমাজ, আর আমরা যারা সুযোগ পেয়েছি, আমাদের দায়িত্ব এই গ্রামীণ মানুষগুলোর পাশে দাঁড়ানো। তারা সাহায্য নয়, শুধু একটা সুযোগ চায়! কাজ করার, শেখার, ভালোভাবে বাঁচার।
এই মানুষগুলোকে ভুলে গেলে আমাদের উন্নয়ন কখনই পূর্ণ হবে না।