11/06/2024
কুয়েতে ঈদুল আযহার সরকারী ছুটি ঘোষণা
১৬ই জুন ২০২৪ রোববার হতে ১৮ই জুন ২০২৪ মঙ্গলবার পর্যন্ত
যথারীতি ১৯শে জুন বুধবার হতে অফিস শুরু
সবাইকে ঈদুল আযহার অগ্রীম শুভেচ্ছা
ঈদ মোবারক
تقبل الله منا ومنكم صالح الأعمال
দাওয়া, শিক্ষা, সংস্কৃতি এসব বিষয়ে অত্র পেইজে নিয়মিত পোস্ট করা হবে। ইনশা আল্লাহ ইসলাম বিষয়ক বিভিন্ন বিষয় জানতে আমাদের এই পেইজে লাইক দিয়ে সঙ্গে থাকুন
কুয়েতে ঈদুল আযহার সরকারী ছুটি ঘোষণা
১৬ই জুন ২০২৪ রোববার হতে ১৮ই জুন ২০২৪ মঙ্গলবার পর্যন্ত
যথারীতি ১৯শে জুন বুধবার হতে অফিস শুরু
সবাইকে ঈদুল আযহার অগ্রীম শুভেচ্ছা
ঈদ মোবারক
تقبل الله منا ومنكم صالح الأعمال
#আরাফা, #যিলহজ্জ, #ঈদুল_আযহা
#কুরবানী, #ঈদুল_আযহা #যিলহজ্জ
মহান আল্লাহ আমাদেরকে হেফাযত করুন। আমীন
আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতু্ল্লাহ
যারা আগ্রহী, তারা আমাদের এই ক্লাসে অংশগ্রহণ করে
ইসলামের মৌলিক বিষয়গুলো জানা ও শিখার সুযোগ গ্রহণ করুন।
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সর্বশেষ জান্নাতে প্রবেশকারীর উপর হাঁসছেন
عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " آخِرُ مَنْ يَدْخُلُ الْجَنَّةَ رَجُلٌ فَهُوَ يَمْشِي مَرَّةً وَيَكْبُو مَرَّةً وَتَسْفَعُهُ النَّارُ مَرَّةً فَإِذَا مَا جَاوَزَهَا الْتَفَتَ إِلَيْهَا فَقَالَ تَبَارَكَ الَّذِي نَجَّانِي مِنْكِ لَقَدْ أَعْطَانِيَ اللَّهُ شَيْئًا مَا أَعْطَاهُ أَحَدًا مِنَ الأَوَّلِينَ وَالآخِرِينَ . فَتُرْفَعُ لَهُ شَجَرَةٌ فَيَقُولُ أَىْ رَبِّ أَدْنِنِي مِنْ هَذِهِ الشَّجَرَةِ فَلأَسْتَظِلَّ بِظِلِّهَا وَأَشْرَبَ مِنْ مَائِهَا . فَيَقُولُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ يَا ابْنَ آدَمَ لَعَلِّي إِنْ أَعْطَيْتُكَهَا سَأَلْتَنِي غَيْرَهَا . فَيَقُولُ لاَ يَا رَبِّ . وَيُعَاهِدُهُ أَنْ لاَ يَسْأَلَهُ غَيْرَهَا وَرَبُّهُ يَعْذِرُهُ لأَنَّهُ يَرَى مَا لاَ صَبْرَ لَهُ عَلَيْهِ فَيُدْنِيهِ مِنْهَا فَيَسْتَظِلُّ بِظِلِّهَا وَيَشْرَبُ مِنْ مَائِهَا ثُمَّ تُرْفَعُ لَهُ شَجَرَةٌ هِيَ أَحْسَنُ مِنَ الأُولَى فَيَقُولُ أَىْ رَبِّ أَدْنِنِي مِنْ هَذِهِ لأَشْرَبَ مِنْ مَائِهَا وَأَسْتَظِلَّ بِظِلِّهَا لاَ أَسْأَلُكَ غَيْرَهَا . فَيَقُولُ يَا ابْنَ آدَمَ أَلَمْ تُعَاهِدْنِي أَنْ لاَ تَسْأَلَنِي غَيْرَهَا فَيَقُولُ لَعَلِّي إِنْ أَدْنَيْتُكَ مِنْهَا تَسْأَلُنِي غَيْرَهَا . فَيُعَاهِدُهُ أَنْ لاَ يَسْأَلَهُ غَيْرَهَا وَرَبُّهُ يَعْذِرُهُ لأَنَّهُ يَرَى مَا لاَ صَبْرَ لَهُ عَلَيْهِ فَيُدْنِيهِ مِنْهَا فَيَسْتَظِلُّ بِظِلِّهَا وَيَشْرَبُ مِنْ مَائِهَا . ثُمَّ تُرْفَعُ لَهُ شَجَرَةٌ عِنْدَ بَابِ الْجَنَّةِ هِيَ أَحْسَنُ مِنَ الأُولَيَيْنِ . فَيَقُولُ أَىْ رَبِّ أَدْنِنِي مِنْ هَذِهِ لأَسْتَظِلَّ بِظِلِّهَا وَأَشْرَبَ مِنْ مَائِهَا لاَ أَسْأَلُكَ غَيْرَهَا . فَيَقُولُ يَا ابْنَ آدَمَ أَلَمْ تُعَاهِدْنِي أَنْ لاَ تَسْأَلَنِي غَيْرَهَا قَالَ بَلَى يَا رَبِّ هَذِهِ لاَ أَسْأَلُكَ غَيْرَهَا . وَرَبُّهُ يَعْذِرُهُ لأَنَّهُ يَرَى مَا لاَ صَبْرَ لَهُ عَلَيْهَا فَيُدْنِيهِ مِنْهَا فَإِذَا أَدْنَاهُ مِنْهَا فَيَسْمَعُ أَصْوَاتَ أَهْلِ الْجَنَّةِ فَيَقُولُ أَىْ رَبِّ أَدْخِلْنِيهَا . فَيَقُولُ يَا ابْنَ آدَمَ مَا يَصْرِينِي مِنْكَ أَيُرْضِيكَ أَنْ أُعْطِيَكَ الدُّنْيَا وَمِثْلَهَا مَعَهَا قَالَ يَا رَبِّ أَتَسْتَهْزِئُ مِنِّي وَأَنْتَ رَبُّ الْعَالَمِينَ " . فَضَحِكَ ابْنُ مَسْعُودٍ فَقَالَ أَلاَ تَسْأَلُونِّي مِمَّ أَضْحَكُ فَقَالُوا مِمَّ تَضْحَكُ قَالَ هَكَذَا ضَحِكَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم . فَقَالُوا مِمَّ تَضْحَكُ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ " مِنْ ضِحْكِ رَبِّ الْعَالَمِينَ حِينَ قَالَ أَتَسْتَهْزِئُ مِنِّي وَأَنْتَ رَبُّ الْعَالَمِينَ فَيَقُولُ إِنِّي لاَ أَسْتَهْزِئُ مِنْكَ وَلَكِنِّي عَلَى مَا أَشَاءُ قَادِرٌ
ইবনু মাসউদ (রাযিঃ) বলেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ সবার শেষে এক ব্যক্তি জান্নাতে প্রবেশ করবে। সে একবার সম্মুখে হাঁটবে আবার একবার উপুড় হয়ে পড়ে যাবে। জাহান্নামের আগুন তাকে ঝাপটা দিবে। অগ্নিসীমা অতিক্রম করার পর সে তার দিকে ফিরে দেখবে এবং বলবে, সে সত্তা কত মহিমাময় যিনি আমাকে তোমা হতে নাজাত দিয়েছেন। তিনি আমাকে এমন জিনিস দান করেছেন যা পূর্বের বা পরের কাউকেও প্রদান করেননি।
এরপর তার সামনে একটি গাছ উদ্ভাসিত হয়ে উঠবে; (যা দেখে) সে বলবে, হে প্রতিপালক! আমাকে এ গাছটির নিকটবর্তী করে দিন, যেন আমি এর ছায়া গ্রহণ করতে পারি এবং এর নীচে প্রবাহিত পানি থেকে পিপাসা নিবারণ করতে পারি। আল্লাহ তা’আলা বলবেনঃ হে আদম সন্তান যদি আমি তোমাকে তা দান করি, তবে হয়ত তুমি আবার অন্য একটির প্রার্থনা করে বসবে। তখন সে বলবে, না, হে প্রভু! এর অতিরিক্ত কিছু চাইব না, বলে সে আল্লাহ তা’আলার নিকট কসম করবে এবং আল্লাহও তার ওযর গ্রহণ করবেন। কারণ সে এমন সব জিনিস প্রত্যক্ষ করেছে যা দেখে সবর করা যায় না। অতএব আল্লাহ তা’আলা তাকে এ গাছটির নিকটবর্তী করে দিবেন। আর সে তার ছায়া গ্রহণ করবে ও পানি পান করবে।
তারপর আবার একটি গাছ উদ্ভাসিত হয়ে উঠবে; যেটি প্রথমটি অপেক্ষা অধিক সুন্দর। তা দেখেই সে প্রার্থনা করবে, হে পরওয়ারদিগার! আমাকে এ গাছের নিকটবর্তী করে দিন, যেন আমি তা থেকে পানি পান করতে পানি এবং এর ছায়া গ্রহণ করতে পারি। এরপর আর কিছুর প্রার্থনা করবো না। আল্লাহ উত্তর দিবেনঃ আদম সন্তান! তুমি না আমার কসম করে বলেছিলে, আর কোনটির প্রার্থনা জানাবে না। তিনি আরো বলবেনঃ যদি আমি তোমাকে তার নিকটবর্তী করে দেই তবে তুমি হয়ত আরো কিছুর জন্য প্রার্থনা করবে। সে আর কিছু চাইবে না বলে কসম করবে। আল্লাহ তা’আলা তার এ ওযর কবুল করবেন। কারণ সে এমন সব জিনিস প্রত্যক্ষ করছে যা দেখে সবর করা যায় না। অতঃপর তিনি তাকে এর নিকটবর্তী করে দিবেন। আর সে এর ছায়া গ্রহণ করবে ও পানি পান করবে।
এরপর আবার জান্নাতের দরজার কাছে আরেকটি গাছ উদ্ভাসিত হয়ে উঠবে, এটি পূর্বের দুটি গাছ অপেক্ষাও সুন্দর। তাই সে বলে উঠবে, হে প্রতিপালক! আমাকে এ গাছের নিকটবর্তী করে দিন, যেন আমি এর ছায়া গ্রহণ করতে পারি ও পানি পান করতে পারি। আমি আর কিছু প্রার্থনা করবো না। আল্লাহ বলবেনঃ হে আদম সন্তান! তুমি আমার নিকট আর কিছু চাইবে না বলে কসম করনি? সে উত্তরে বলবে, অবশ্যই করেছি। হে প্রভু! তবে এটিই। আর কিছু চাইবো না। আল্লাহ তার ওযর গ্রহণ করবেন, কারণ সে এমন সব জিনিস প্রত্যক্ষ করছে যা দেখে সবর করা যায় না। তিনি তাকে এর নিকটবর্তী করে দিবেন। যখন তাকে নিকটবর্তী করে দেয়া হবে। আর জান্নাতীদের কণ্ঠস্বর তার কান ধ্বনিত হবে, তখন সে বলবে, হে প্রতিপালক! আমাকে জান্নাতে প্রবেশ করিয়ে দিন। আল্লাহ বলবেনঃ হে আদম সন্তান! তোমার কামনা কোথায় গিয়ে শেষ হবে? আমি যদি তোমাকে পৃথিবী এবং তার সমপরিমাণ বস্তু দান করি তবে কি তুমি পরিতৃপ্ত হবে? সে বলবে, হে প্রতিপালক আপনি ঠাট্টা বিদ্রƒপ করেছেন! আপনি তো সারা জাহানের প্রতিপালক।
এ কথাটি বর্ণনা করতে গিয়ে বর্ণনাকারী ইবনু মাসউদ (রাযিঃ) হেঁসে ফেললেন। আর বললেন, আমি কেন হাঁসছি তা তোমরা জিজ্ঞেস করবে না? তারা বলল, কেন হাঁসছেন? তখন তিনি বললেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামও অনুরূপ হেঁসেছিলেন। সাহাবাগণ জিজ্ঞেস করেছিলেন, হে আল্লাহর রাসূল! কেন হাঁসছেন? রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ এজন্য যে, ঐ ব্যক্তিটির এ উক্তি "আপনি আমার সাথে ঠাট্টা-বিদ্রƒপ করছেন, আপনিতো সারা জাহানের প্রতিপালক” শুনে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন হেঁসেছেন বলে আমি হাঁসলাম। যা হোক আল্লাহ তাকে বলবেনঃ তোমার সাথে ঠাট্টা করছি না। মনে রেখ, আমি আমার সকল ইচ্ছার উপর ক্ষমতাবান। (মুসলিম: ১৮৭)
শিক্ষণীয় বিষয়সমূহ:
১। এই হাদীসে আল্লাহর মহিমা, করুণার কথা বর্ণনা করা হয়েছে।
২। কারো কাছে সুন্দর জিনিস দেখলে সেটা আল্লাহর কাছে চাওয়া যাবে। এ ক্ষেত্রে হিংসা বর্জণীয়
৩। আপনার সাধ্যের ভিতরে সন্তানরা যদি নতুন কিছু চায়, তাদেরকে তা দেওয়া যাবে।
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অযূ করার সময় হাঁসছেন
عَنْ عثمان بنِ عفانَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ أيضا أَنَّهُ دَعَا بِمَاءٍ فَتَوَضَّأَ ثُمَّ ضَحِكَ، فَقَالَ لِأَصْحَابِهِ: أَلا تَسْأَلُونِي عَمَّا أَضْحَكَنِي؟ فَقَالُوا : مَا أَضْحَكَكَ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ ؟ قَالَ : رَأَيْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ تَوَضَّأَ كَمَا تَوَضَّأْتُ، ثُمَّ ضَحِكَ ، فَقَالَ :"أَلا تَسْأَلُونِي مَا أَضْحَكَنِي؟ " فَقَالُوا: مَا أَضْحَكَكَ يَا رَسُولَ اللهِ؟ فَقَالَ: "إِنَّ الْعَبْدَ إِذَا دَعَا بِوَضُوءٍ فَغَسَلَ وَجْهَهُ ، حَطَّ اللهُ عَنْهُ كُلَّ خَطِيئَةٍ أَصَابَهَا بِوَجْهِهِ، فَإِذَا غَسَلَ ذِرَاعَيْهِ كَانَ كَذَلِكَ ، وَإِنْ مَسَحَ بِرَأْسِهِ كَانَ كَذَلِكَ ، وَإِذَا طَهَّرَ قَدَمَيْهِ كَانَ كَذَلِكَ. رواه أحمد بإسناد جيد وأبو يعلى ورواه البزار
উছমান (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি পানি নিয়ে আসতে বললেন। অতঃপর ওযু করলেন আবার হাঁসলেন। তারপর তার সাথীদেরকে লক্ষ্য করে বললেনঃ তোমরা আমাকে প্রশ্ন করবে না কেন আমি হাঁসলাম? তাঁরা বললেনঃ কোন বিষয় আপনাকে হাসালো হে আমীরুল মুমেনীন? তিনি বললেনঃ
আমি যেভাবে ওযু করলাম সেভাবে ওযু করতে আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)কে দেখেছি। অতঃপর তিনি হেঁসেছেন। বলেছেনঃ তোমরা আমাকে প্রশ্ন করবে না কেন আমি হাঁসলাম। তাঁরা বললেনঃ কোন বিষয় আপনাকে হাঁসালো হে আল্লাহর রাসূল? তিনি বললেনী
’’নিশ্চয় বান্দা যখন ওযুর পানি আনতে বলে, অতঃপর স্বীয় মুখমণ্ডল ধৌত করে, তখন আল্লাহ তা’আলা মুখমণ্ডলের মাধ্যমে কৃত প্রতিটি পাপ মোচন করে দেন। যখন কনুই পর্যন্ত উভয় হাত ধৌত করে, তখন ঐরূপ হয়। যখন তার পদদ্বয় ধৌত করে, তখনও ঐরূপ হয়।’’
(আহমাদ উত্তম সনদে বর্ণনা করেন। আরো বর্ণনা করেন আবু ইয়ালা। সহীহ সনদে বাযযার ৪২০ বর্ণনা করার পর তিনি আরো বেশী উল্লেখ করেনঃ ’’যখন মাথা মাসেহ করে তখন ঐরূপ হয়।’’
অর্থাৎ যখন হযরত উছমান (রা.) খলীফা হোন, তখন একদা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর অযূর অনুকরণ করেন। তাই তিনি বললেন আমার জন্য পানি নিয়ে আসুন। পানি আনার পর যে নিয়মে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অযূ করতেন ঠিক সেভাবেই অযূ করলেন এবং হাঁসলেন। হযরত সাথীদের জিজ্ঞেস করলেন তোমরা কি জিজ্ঞেস করবে না যে আমি কেনো হাঁসলাম?
তখন তারা বললো: হে আমীরুল মু‘মিনীন আপনি কেনো হাঁসলেন?
হযরাত উছমান (রা.) বললেন: অযূর পর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হেঁসেছেন, এবং রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাহাবাদের বলেছিলেন তোমরা কি জানতে চাইবে না আমি কেনো হাঁসলাম?
যখন সাহাবগণ জিজ্ঞেস করলো আপনি কেনো হাঁসলেন?
তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন- নিশ্চয় অযূ মুসলিম বান্দার গুনাহ মাফের কারণ। যখন বান্দা অযূ করার জন্য মুখ ধোয়, তখন তার চেহারা হতে সমস্ত গুনাহ ঝড়ে পরে যা তার চেহারা দিয়ে হয়েছে। চোখের গুনাহ, নাকের গুনাহ, জিহ্বার গুনাহ সবই পানির সাথে পড়ে যায়। তেমনিভাবে যখন কনুই পর্যন্ত উভয় হাত ধৌত করে, তখন হাতের স্পর্শ দ্বারা যেসব গুনাহ সংগঠিত হয়েছিলো সেগুলো পড়ে যায়। মাথা মাসাহ করার সাথে সাথে মস্তিস্কের গুনাহগুলোও পড়ে যায়। তেমনিভাবে পা ধৌত করার পর সে তার সমস্ত সগিরা গুনাহ হতে পবিত্র হয়ে যায়। এ দৃশ্য দেখে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হেঁসেছেন।
শিক্ষণীয় বিষয়সমূহ
১। গুনাহের রূপ আছে, যা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দেখতে পেতেন।
২। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর অনুকরণ মূলক এমন করা বৈধ যেমনটি হযরত উছমান (রা.) করেছেন।
৩। সুন্নাত তরিকায় অযূ করলে অবশ্যই সে সগিরা গুনাহসমূহ হতে পবিত্র হয়ে যায়।
বহুরূপী মানুষ হতে সাবধান!
মিষ্টি কথায় আপনাকে তার ফাঁদে আটকানোর চেষ্টা করবে...
যারা এখনো শাওয়াল মাসের ৬ রোযা রাখেন নি, তাদের জন্য এই সুযোগ।
পোস্টটি প্রিয়জনদের কাছে শেয়ার করে সাওয়াবের ভাগী হোন।
#শাওয়াল মাসে ৬টি #রোযা রাখার ফযীলত
মসজিদে আসার লোকেশন:
https://maps.app.goo.gl/kgqJvb5TMoqdxRRC8
সবাইকে পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা
ঈদুকুম মোবারাক
তাকাব্বালাল্লাহু মিন্না ওয়ামিনকুম সালিহাল আ‘মাল
কুয়েতে পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামায
ভোর ৫টা ৪৩ মিনিটে অনুষ্ঠিত হবে।
সবাইকে ঈদ মোবারক
আগামীকাল ৩০তম রোযা বুধবার পবিত্র ঈদুল ফিতর হবে।
২০২৪ ঈসায়ী মোতাবেক ১৪৪৫ হিজরী
২২শে রমাদান,১৪৪৫ হিজরী
১লা এপ্রিল ২০২৪ ঈসায়ী
সোমবার, বাদ তারাবীহ
মসজিদ আগলা যুফাইরী
সেন্ট্রাল জাহরা, কুয়েত
আলহামদুলিল্লাহ জাহরা সেন্ট্রাল সংলগ্ন মসজিদ আগলা আল যুফাইরীতে আজ সম্পন্ন হলো দাওয়াতি অভিযান। উক্ত অভিযানে ইসলাম প্রেজেন্টেশন কমিটির সম্মানিত দাঈগণ অংশ নেন। বাংলা ভাষার পক্ষে প্রতিনিধিত্ব করেন, মাওলানা মামুনুর রশীদ, হিন্দি, মালায়ালাম, নেপালী ও তেলেগু ভাষায় প্রতিনিধিত্ব করেন, শায়খ সাইয়্যেদ আহমদ, সিঙ্গালাম, তামীল ভাষায় প্রতিনিধিত্ব করেন, শায়খ নাদিম আব্দুল হামীদ, এবং তেগালোগ ভাষায় প্রতিনিধিত্ব করেন, শায়খ ফায়সাল আব্দুল জলীল। কাফেলার নেতৃত্ব দেন মুহতারাম আহমদ বেন্দার হাফি.। তারাবীর নামাযের পর প্রবাসী মুসাল্লিগণ নিজ নিজ ভাষায় বই পুস্তক পেয়ে স্বতঃস্ফূর্তভাবে গ্রহণ করেন। মহান আল্লাহ সকলের এই খেদমত কবূল করুন। আমীন
আলহামদুলিল্লাহ আইপিসির দাঈদের উপস্থিতিতে অদ্য শনিবার (৩০-০৩-২০২৪) ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো হাসাবিয়ায় অবস্থিত ছাপরা মসজিদে। একই দিনে কুয়েত খুবজ ফ্যাক্টরীর শ্রমিকদের নিয়েও ইফতারের আয়োজন করা হয় কুয়েত শাদাদিয়া এলাকাতে। এতে স্থানীয় বাংলাদেশী প্রবাসীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নেন। প্রোগ্রামটি সঞ্চালনায় ছিলেন জনাব জসিম উদ্দিন হানী, রমাদানের শেষ দশকের ফযীলত ও করণীয় বিষয়ে আলোচনা করেন হাফেজ মাওলানা মুহি উদ্দিন, খতীব ওয়াযারাতুল আওকাফ কুয়েত। প্রধান অতিথি হিসেবে আলোচনা করেন, মাওলানা মামুনুর রশীদ, সম্পাদক আলহুদা ও খতীব ওয়াযারাতুল আওকাফ কুয়েত। উপস্থিত ছিলেন, প্রকৌশলী এস এম শিহাব উদ্দিন, ব্যবসায়ী আরিফ হোসেন, প্রকৌশলী নুরুল আমীন প্রমুখ।
আলহামদুলিল্লাহ আইপিসি জাহরা শাখার উদ্যোগে অদ্য জুমাবার (২৯-০৩-২০২৪) ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো। এতে স্থানীয় বাংলাদেশী প্রবাসীরা উপস্থিত হন। দার আননূরী অডিটোরিয়ামে উপস্থিত রোযাদারগণকে বসার জন্য সুযোগ করে দেওয়া হয়। প্রোগ্রামটি সঞ্চালনায় ছিলেন প্রকৌশলী জনাব আবু তাহেত, রমাদানের শেষ দশকের ফযীলত ও করণীয় বিষয়ে আলোচনা করেন মাওলানা মামুনুর রশীদ, সম্পাদক আলহুদা ও খতীব ওয়াযারাতুল আওকাফ কুয়েত। আলোচনার উপর প্রশ্ন করা হয়, সঠিক উত্তর দাতাদেরকে মূল্যবান কিতাব পুরষ্কার হিসেবে দেওয়া হয়।
আইপিসির আপ্যায়নে মেহমানগণ অত্যন্ত খুশী হন এবং আনন্দ প্রকাশ করেন।
জনস্বার্থে পোস্টটি শেয়ার করুন
হে আল্লাহ আমাদের দান সদাকা কবূল করুন। আমীন
আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, দু’জন মহিলা ছিল। তাদের সাথে দু’টি সন্তানও ছিল। হঠাৎ একটি বাঘ এসে তাদের একজনের ছেলে নিয়ে গেল। সঙ্গের একজন মহিলা বললো, ’’তোমার ছেলেটিই বাঘে নিয়ে গেছে।’’ অন্য মহিলাটি বললো, ’’না, বাঘে তোমার ছেলেটি নিয়ে গেছে।’’ অতঃপর উভয় মহিলাই দাঊদ (আঃ)-এর নিকট এ বিরোধ মীমাংসার জন্য বিচারপ্রার্থী হলো। তখন তিনি ছেলেটির বিষয়ে বয়স্কা মহিলাটির পক্ষে রায় দিলেন। অতঃপর তারা উভয়ে বেরিয়ে দাউদ (আঃ)-এর পুত্র সুলায়মান (আঃ)-এর নিকট দিয়ে যেতে লাগল এবং তারা দু’জনে তাঁকে ব্যাপারটি জানালেন। তখন তিনি লোকদেরকে বললেন, তোমরা আমার নিকট একখানা ছোরা নিয়ে আস। আমি ছেলেটিকে দু’ টুকরা করে তাদের দু’জনের মধ্যে ভাগ করে দেই। এ কথা শুনে অল্প বয়স্কা মহিলাটি বলে উঠলো, তা করবেন না, আল্লাহ্ আপনার উপর রহম করুন, ছেলেটি তারই। তখন তিনি ছেলেটি সম্পর্কে অল্প বয়স্কা মহিলাটির অনুকূলে রায় দিলেন। (বুখারী: ৬৭৬৯, মুসলিম: ১৭২০)
কুয়েতে সিটি ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকার জন্য ১৪৪৫ হিজরী (২০২৪ ঈসায়ী) সালের সেহরী ও ইফতারের সময়সূচি।
যাদের প্রিন্ট কপি দরকার তারা আমাদের সিটি ও জাহরা আইপিসি অফিস হতে সংগ্রহ করতে পারবেন। বিশেষ প্রয়োজনে প্রদত্ত মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করবেন।
মহান আল্লাহ সকল মুসলমানদেরকে পবিত্র মাহে রমযানের রোযাগুলো সঠিকভাবে রাখার পাশাপাশি বেশি বেশি আমলে সালেহ করার তাওফীক দান করুন। আমীন
শবে বরাতের সাথে হালুয়া রুটির কী সম্পর্ক? দু দিনে তিনটি বাজারে গেলাম। ক্রেতা বিক্রেতা সকলেই বলছে শবে বরাতের রুটি। আপনারাই বলুন শেবে বরাতের সাথে রুটির কি সম্পর্ক? আর ইসলামের সাথে শবে বরাতের কি সম্পর্ক?
মসজিদে যাওয়ার লোকেশন:
أحمد صالح الناجم (المرور)
معسكرات المباركية
https://maps.google.com/?q=29.31513417701174,47.899842113256454
দ্বীনি মাহফিলে দলেদলে যোগ দিন, সফল করুন। মহান আল্লাহ তায়ালা সবাইকে কবুল করুন। আমীন
নিজের মধ্যে অহংকার আছে কি না যাচাই করুন
১. নিজেকে শ্রেষ্ঠ এবং অন্যকে তুচ্ছ ভাবার বদভ্যাস থাকলে বুঝে নেবেন আপনি নিশ্চিত অহংকারী। ঠিক এই দোষেই অভিশপ্ত হয়েছিল ইবলিস।
২. সত্যকে অস্বীকার করা। নমরুদ, আবু জাহেল, আবু লাহাব, উতবা, শায়বা, আরও অসংখ্য দাম্ভিক সত্য প্রত্যাখ্যান করেছিল।
৩. হাঁটাচলায় বড়ত্ব প্রকাশ করা।
৪. অর্থ-সম্পদ ও সৌন্দর্যের কারণে অন্যের প্রতি অন্তরে তুচ্ছভাব উদ্রেক হওয়া।
৫. দরিদ্র মানুষ ও অধীনস্থদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করা।
৬. ভুল স্বীকার না করা এবং নিজের ভুল অন্যের ওপর চাপিয়ে দেওয়া।
৭. নিজেকে স্বয়ংসম্পূর্ণ ভাবা অহংকারের বড় আলামত।
হে আল্লাহং আমাদেরকে অহংকারমুক্ত জীবন পরিচালনা করার তাওফীক দান করুন। আমীন
হে আল্লাহ! আমাদেরকে কৃত অঙ্গীকার ও প্রতিজ্ঞা পালন করার তাওফীক দান করুন। আমীন
37
South Surra
Be the first to know and let us send you an email when Al-Huda Bangla Media Kuwait posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.
Send a message to Al-Huda Bangla Media Kuwait:
হাফেজ মাওলানা নূরুল আলম সাহেব কেন্দ্রীয় সভাপতি বাংলাদেশ কুরআন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র-কুয়েত
নিজে দেখুন এবং শেয়ার করে অন্যদের দেখার সুযোগ করে দিন
সম্মানিত দ্বীনি ভাই ও বোনেরা, আসসালামু আলাইকুম। বাংলাদেশ কুরআন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র' কুয়েত-এর উদ্যোগে আল হুদা বাংলা মিডিয়ায় বিষয় ভিত্তিক আলোচনার লাইভ অনুষ্ঠান...পর্বঃ ৫৬ ★বিষয়ঃ- ইসরা ও মি'রাজুন্নবী (সাঃ) ★আলোচনা পেশ করবেনঃ ☞প্রধান মেহমানঃ জনাব হাফেজ মাওলানা নুরুল আলম (কেন্দ্রীয় সভাপতি- বাংলাদেশ কুরআন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র' কুয়েত) ☞বিশেষ মেহমানঃ জনাব মাওলানা মুস্তাকুর রহমান (সহ সভাপতি- বাংলাদেশ কুরআন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র' কুয়েত) 🗓-তারিখঃ ২৬/০২/২০২২ ইং শনিবার 🕣-KUW কুয়েত সময় রাত ৮:০০ মিনিট 🕥-BD বাংলাদেশ সময় রাতঃ ১১:০০ মিনিট
মহা বিশ্বের মহা বিস্ময় আল কুরআন গবেষণা করার গুরুত্ব ও ফজিলত
মহাবিশ্বের মহাবিস্ময় আল কুরআন গবেষণা করার গুরুত্ব ও ফযীলত
মুমিনের রাত্রি যাপন- মুমিনের সকাল-সন্ধ্যা আল্লাহর জন্য নিবেদিত হবে। তার প্রতিটি মুহূর্ত অতিবাহিত হবে আল্লাহর স্মরণে এবং তাঁর বিধান পালনের মাধ্যমে। তার সকল কর্ম সম্পাদিত হবে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর অনুসরণ-অনুকরণের মধ্য দিয়ে। যেমনভাবে মুমিনের দিন অতিবাহিত করার আদব শিক্ষা দেওয়া হয়েছে, অনুরূপভাবে রাত্রি অতিবাহিত করার আদব বা শিষ্টাচার ইসলাম বিশেষভাবে শিক্ষা দিয়েছে।
নামায ইসলামের দ্বিতীয় রুকন, যা প্রাপ্ত বয়স্ক সব মুসলমানের আদায় করা ফরজ। আল্লাহ তাআলা পরকালে হাশরের ময়দানে সর্ব প্রথম নামাযের হিসাব নেবেন। যে ব্যক্তির নামাযের হিসাব সহজ হবে তার পরবর্তী সব কাজের হিসাবও সহজ হবে। তাই সঠিকভাবে নামায আদায় করতে হবে। আর নামায সহিহ ও সঠিক হওয়ার জন্য একাগ্রতার প্রয়োজনীয়তা অনেক জরুরি।
আমলে সালেহ্ মানে- যোগ্যতা, কর্মদক্ষতা ও উপযুক্ততা অর্জন করা, যোগ্যতা ও দক্ষতা অর্জনের কাজ করা, নিজেকে যোগ্য, প্রয়োজনীয় ও উপযুক্ত বানানোর কাজ করা। ধারণ ক্ষমতা ও সক্ষমতা অর্জন করা।
আম্বিয়াদের দাওয়াত ও তাবলীগের মূলমর্ম হচ্ছে এই যে, এই পৃথীবীতে যত পয়গাম্বর আগমন করেছেন, তাঁরা নিজেদের দায়িত্বকে এতই আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সাথে পালন করেছেন যে, একটি মূহূর্তের জন্যও তাঁরা এতে শৈথিল্য প্রদর্শন করেননি। কারণ বর্তমান বিশ্বে আল্লাহর মহব্বত, ভ্রাতৃপ্রেম ও ভ্রাতৃস্নেহ, মানবিক সহমর্মিতা, নিঃস্বদের সাহায্য করা, গরিবদের সাহায্য করা এবং অন্যান্য পুণ্য কর্মকাÐের যে বিকাশ দেখতে পাওয়া যায়, সেগুলো প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জ্ঞাতসারে বা অজ্ঞাতসারে নবী ও রাসূলদের দাওয়াত ও তাবলীগ, চেষ্টা ও সাধনার শুভ ফলমাত্র।
গবিত কী? বা গীবত অর্থঃ গীবত আরবী শব্দ। এর আভিধানিক অর্থ পরনিন্দা, দোষারোপ করা, অনুপস্থিত থাকা, পরোক্ষে নিন্দা, পরচর্চা করা, কুৎসা রটনা করা, পিছনে সমালোচনা করা। অন্যের দোষ-ত্রুটি প্রকাশ করা, কুৎসা রটনা করা, পিছে সমালোচনা করা ইত্যাদি।শরীয়তের পরিভাষায় গীবত বলতে বুঝায় কোন ব্যক্তির অনুপস্থিতিতে তার সম্পর্কে এমন কথা বালা যা শুনলে সে তা অপছন্দ করবে।গীবত করার মাধ্যম (চোখের ইশারায়, অঙ্গভঙ্গিতে, শ্রবণে ও লিখনে গীবত):পরনিন্দা কেবল মুখের বাক্যের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, বরং চোখের ইশারায়, অঙ্গভঙ্গিতে, শ্রবণে ও লিখনের দ্বারাও গীবত হয়ে থাকে।