05/12/2023
যে নিজের পায়ের নিচের মাটি নিজে সরিয়ে ফেলে তাকে গর্তে পড়া থেকে কেউ রক্ষা করতে পারেনা...
মেঘেদের কাছে কোন গল্প জমা নেই, গল্পরা পানি শূণ্যতায় ভুগছে, মানুষ ভুগছে মানুষের অভাবে।
যে নিজের পায়ের নিচের মাটি নিজে সরিয়ে ফেলে তাকে গর্তে পড়া থেকে কেউ রক্ষা করতে পারেনা...
রেগে গিয়ে চিৎকার করা, ক্লিয়ারকার্ট কথা বলা ব্যক্তি আপনার জন্য ক্ষতিকারক নয়, ভবিষ্যতেও হবেনা,
না রেগে হাসিমুখে,মিউ মিউ কথা বলে, আপনার সাথে সম্পর্ক ম্যান্টেন করা মানুষগুলাই আপনাকে সময় সুযোগ মতো ব্যাকগিয়ারে খেলে দেবে , এমন ভাবেই খেলবে - সেখান থেকে পরিত্রাণ পেতে আপনার প্রচুর সময়, অর্থ এবং শক্তি ব্যয় করতে হবে।
//
খোদা বাঁচায়ে রাখলে একটা মানুষ সাধারণত যত বছর বেঁচে থাকে তার আধেক সময়'ই পার হয়ে গেছে। আর অল্প কিছু সময়, ব্যস! তারপর একদিন ঠুপ করে.....
আমাকে যে যেভাবে চেয়েছে সে সে'ভাবেই পেয়েছে, আমাকে আমি যেভাবে চেয়েছি শুধু আমি'ই আমাকে সেভাবে পাইনি!
এ নিয়ে এতোটাও হাতাশ নই
নিজেকে সবসময় আকাশ ভেবে গিয়েছি কেননা আকাশ কখনো কাউকে তার নিচে আশ্রয় দিতে কার্পণ্য করেনি।
প্রতিটা মানুষ মানুষ হয়ে জন্ম নিলেও প্রতিটা মানুষ কিন্তু মানুষ হয়ে বেঁচে থাকার জন্য যে ক্যাপাবিলিটির প্রয়োজন তা সবাই রপ্ত করতে পারেনা....
জীবন নিয়ে সূক্ষ্ম ভাবে চিন্তা করার শক্তির অভাবে মানুষ হাটতে হাটতে অমানুষ হয়ে যায় আর এই অমানুবিকতা নিয়েই মানুষ একদিন পৃথিবীর পথ হতে মুছে যায়.....
জীবনের সার্থকতাটা কিন্তু এখানেই নিহিত না।
সুস্থ মানসিকতা নিয়ে চারপাশে তাকালে'
এমন অহরহ কর্মকান্ড আমাদের দৃষ্টিগোচর হয় যা মানুষ হয়ে আমাদের করা মোটেও উচিত নয় তবু নিজেকে প্রশ্ন না করেই মানুষ বারবার অন্যায়ের ভেতর
ঢুকে যায়....তার ভেতর আরাম আয়েশ করে'
তবে আমরা 'আশরাফুল মাখলুকাত' হলাম কেন?
নিজেকে কখনো প্রশ্ন করেছেন?
পরিবার/সমাজের কিছু কিছু জিনিস আমাকে বারবার প্রশ্নবিদ্ধ করে' আঘাত করে ' প্রকৃত মানুষ কখনো এমন হয়? হতে পারে?
যৌতুক না দেয়ার অপরাধে
কিংবা কোরবানির ঈদে গরু/
রমজানের ঈদে কাপড়চোপড় দিতে না পারার অপারগতা স্বীকার করলে নিজের স্ত্রীকে মারধর,
সকলের সামনে তাকে ছোট করে কথা বলা,
এসব কোন পর্যায়ের মানসিকতা তা আমার জানা আছে আবার নেইও....
আমরা কখনো চিন্তা করি?
আমার নিজের বোন'টাকে তার শ্বশুর বাড়িতে আমরা যেভাবে দেখতে চাই সেভাবে সেই দৃষ্টিতে আমাদের ঘরে থাকা অন্যের বোনটাকে আমরা সেভাবে দেখি?!
দেখলেও সমান ভাবে দেখার সাহসটা আমরা কতোটুক রাখি?
এই হীনমন্যতার দায় কার?
একজন ছেলে এবং একজন মেয়ের বিয়ের কথা যখন আসে - ছেলের গার্ডিয়ান ধরে রাখে যৌতুকের রশি'
মেয়ের গার্ডিয়ান ধরে রাখে দেনমোহরের রশি।
কজন ছেলে মেয়ে গার্ডিয়ানের বিরুদ্ধে গিয়ে বলে উঠে
আমরা কোন পণ্য নয়' দরদামের জমজমাট বাজারে আমরা বিক্রি হবো না। সামর্থ্য অনুযায়ী যার যা আছে তা দিয়েই সম্পর্কের শুরু হোক!
মানুষ কেন ভাবতে পারেনা-
টাকা পয়সা কাপড় চোপড় বিলাসীতার অভাবে কখনো কোন মানুষ মরে না'
মানুষ মরে যায় একজন প্রকৃত সৎ মানুষের অভাবে!
মানুষ মরে যায় প্রেম ভালোবাসা মায়া মমতার অভাবে!
চারপাশের আজ এই বিভৎসতার জন্য দায়ী কে?
কাদের হাত ধরে এই নিঃসংশয়তা বিস্তার লাভ করছে?
নিজেকে প্রশ্ন করেছেন কখনো?
আপনাদের এসব বিকৃত চিন্তা চেতনা দেখে আমার মনে হয় পরবর্তী প্রজন্মের মনুষ্যত্ব আগাম বিকিয়ে দিয়ে আপনারা ধরে রেখেছেন আপনাদের অবৈধ সংবিধানের খুটি.....
যার বিনিময়ে আপনার বা আপনাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম আপনাদের ঠিক সে অবৈধ খুটিতে আবার আটকে রাখবে - তবে প্রশ্ন আমার জন্মের স্বার্থকতাটা কোথায়?
পৃথিবীর পথ ঘুরে ঘুরে একথায় মেনে নিতে হয় বারবার'
এই পৃথিবীতে মানুষের কোন অভাব নেই'
তবে মাথা তুলে সত্য কথা বলার মতো মানুষের অভাব'
অন্যায়ের প্রতিবাদ করার মতো মানুষের অভাব এই পৃথিবীতে আজো রয়ে গেছে - এবং রয়ে যাবে।
এখনো সময় আছে'
আঁধার হতে বেরিয়ে আসুন....আলোর পথে হাটুন!
নয়তো জীবন আপনাকে যেটা দিবে সেটা নেয়ার জন্য আপনার প্রস্তুতি মোটেও কাফি নয়।
উঠতি বয়সের কথা মতো এতো ঝরঝরে নয় জীবন।
সকল ভাষার ওপাড়ে পৌঁছে গিয়েছে জীবন মন ধ্যান সমস্ত কিছুই।
কেউ কথা না বল্লেই আগের মতো এতো দুঃখ এখন আর স্পর্শ করেনা, আগে একটু দুরত্বেই গলে যেতাম মোমের গায়ে আগুনের স্পর্শ লাগার মতোই।
এমন সব ছেলে খেলার মাঠ পেরিয়ে আমি পৌঁছে গেছি এমন নিস্তব্দ ময়দানে যেখানের সময় আমায় অব্যাহতি দেয়না কারো সাথে কথা বলার, মিশে যাওয়ার।
সবার সাথে সব কথা বলা আমার শেষ,
আমি চোখ দেখেই বুঝে নিতে পারি কোন ঠোঁটে আমার জন্য কেমন আশীর্বাদ নিয়ে মানুষ দাড়িয়ে আছে।
শৈশবের মতই কোলাহল থেকে দূরে থাকার রোগ
আমাকে তাড়া করে, একা অন্ধকারে থাকার ইন্দন যোগায়। এমনও অভিযোগ উঠেছিল এক'কালে কুনো
ব্যঙ যেমন চরিত্র দোষে ফিরেনা আলোয়।...
কথা না বলা এ আমার জন্মরোগ। কথা না বলে থাকতে পারা আমার জন্মগত অভ্যাস। কথা বলতে না চাওয়া এটা সময়ের চাহিদা। এমন অনেক মানুষ জীবনে জড়িয়ে আছে যাদের সাথে সম্পর্ক খারাপ তাই কথা হয়না, আবার যাদের সাথে সম্পর্ক ভালো তাদের সাথেও।
মৌনতা সম্মতি অসম্মতি দুটোরই ঈঙ্গিত দেয়,
আর আমি তো মৌনতার আরক মেখেই বেড়ে উঠেছি তাই সকল কিছুতে প্রকাশ করিনা প্রকাশযোগ্য বার্তা।
যোগাযোগ যাদের সাথে নেই তাদের সাথে দূরত্ব আরো বাড়বেই, যাদের সাথে আছে তাদের সাথেও সময়ের পর নেই হয়ে যেতে পারে। ভুলের কিছু নেই। পৃথিবীর সব ভাষার গভীরতা আমি জানি, নতুন কোন মিথ্যে ভাষায় আর জড়ানোর স্বাদ নেই বলেই স্বেচ্ছায় বোবা হওয়ার পেস্টুন হাতে তুলে দাড়িয়েছি মহাকালের মঞ্চে।
প্রতিটা মানুষের ই একটা আলাদা জগৎ থাকে ভিন্ন রঙ্গের ভিন্ন ধর্মের...
সে জগৎ এ সে যতটা নিষ্পাপ ততটাই পাপী।
ভুলে যেও সে নাম,
যে নাম
তোমাকে ভালবেসে দিয়েছলাম।
তুমি নেই অথচ` আমার কপালে রাখা তোমার হাতটি এখনো কপালেই লেগে আছে।...
আচ্ছা মনে আছে সেই দিনটা
যে দিন তুই বাড়ি আসবি বলেছিলি?
আহ্! সেই কি ব্যস্ততা আমার।
সারাটা দিন রাস্তায় অস্তির ভাবে ঘুরোঘুরি
তুই আসবি বলেই।
ভাইয়ের সাথে তোকে রিকশায় দেখে কলিজাটা আনন্দে ভরে উঠেছিল...
"সাত দিন" বাসাই থাকবি সবাই মিলে অনেক হইচৈয় করে এই কটা দিন কাটাবো সেই নিয়ে কতো প্লেন!
সারা দিনের ব্যস্ততা শেষে সবাই যখন খাবার টেবিল ছেড়ে উঠে যেত তখন ও তোর হাতটা জলে ভিঁজতো না,নানান ধরনের অভিনয় করে আমার আসা অব্দি সে কি অপেক্ষা তোর।
ঘরের সবার চোখ ফাঁকি দিয়ে ড়ান পাশের চেয়ার টা বরাবরের মতোই খালি রেখে দিতি। 🙂
খাবারের প্লেট ও সামনে আছে তবুও সে খাবার তোর মুখে উঠে না
উঠবে কি করে
আগে যে সেগুলো আমার মুখে উঠা চায়।
অকারনে বাসায় রাগারাগি করলে
পাশে এসে ভীত ভীত স্বরে বলতা হয়েছে কি?
তোর দিকে থাকালে ভুলেই যেতাম আসলে মিনিট কয়েক আগে কিছু একটা হয়েছিল!
বাসাই রাগারাগি করলে চলে যাবি
সে ভয়ে রাগটাও কন্ট্রলে
আসলে আমি তোরে একটু বেশী'ই ভয় পেতাম!
যখন তোর চলে যাওয়ার সময় হচ্ছিল
ভীতস্বরে আমি বলে উঠলাম আর দুটো দিন থেকে গেলে কি হতো না?
যখন বলেছিলি আচ্ছা ঠিক আছে - কনফিডেন্ট'টা বেড়ে যাচ্ছিল,তুই আমার কথা না রাখার মতো মানুষ ই না...
তবে তুই অতিথি হয়ে আসছিলি,যেতে তো হবেই তাই নির্দিষ্ট সময় শেষে ইচ্ছা থাকা সত্বেও আর বলা হয়ে উঠেনি আরো কয়েকটা দিন পরে গেলেই কি নয়?
শেষ রাতটা নির্ঘুম ভাবেই কেটে যাচ্ছিল,
সকাল হলেই তো চলে যাবি দৃষ্টি সীমার ওপাড়ে।
পাশে হাটার ভাগ্যটা না হলেও
পিছে হেঁটে গিয়েছি যে অব্দি যাবার অধীকার ছিলো!
রুমটা আর দিন গুলো সেই আগের মতোই ফেকাশে হয়ে গিয়েছিলো..তবে কিছু স্মৃতি,কিছু মায়া আর কিছু ভালবাসা ঠিকই রয়ে গেলো।
"কিছু ভুবনে আর কিছু জীবনে"
আমার নিঃশ্বাস আর অন্ধকার রুমের দেয়াল জুড়ে রইয়ে গেল সব না বলা কথা!
বছর পেরিয়ে বছর এলেও
ফিরে ফিরে ফের বলি শুধু তা'ই
আয় আর-একটিবার আয় রে সখা,প্রাণের মাঝে আয়
মোরা সুখের দুখের কথা কবো প্রাণ জুড়াবে তায়...
চির রঙ্গিন সাতটা দিন 🖤
মানুষের জীবন হতে যত দূরে থাকি ততই মানুষের মঙ্গল।...
গিফ্ট অফ গড
*
এভাবে কখনো ভেবে দেখিনি
যতবার এঁকেছি একাগ্রতায় সুখের আদল ততবারই আদ্য আরশিতে উঠে এসেছে একটা নাম।
আমি ফিরে ফিরে যাই
চোখে কান্নার জল এঁকে দর্পণে তাকাই।
ধেঁয়ে আসছে বিষ্ময়কর নূর
একি মানুষ না প্রেম?
যদি মানুষ হয় তবে আলোর প্রতিভিম্ব কেন!
যদি প্রেম হয় তবে নিশ্চুপ কেন!
একি অন্ধের চোখে আলোর নিশানা
না দৈনতার আলয়ে কাঙ্খিত সেই কামিনী।
অবিভুত হৃদয় হতাশার চাদর ছাড়ে
বদ্ধ দুয়ার আজ তবে কথাদের ভীড়ে
দর্পনে আর ধুলো নেই,
ধরে আছে যেন অদৃশ্য এক প্রবীন
ভেতর হতে শব্দ আসে আমি গিফ্ট অফ গড - তানজিন।
কর্তব্যনিষ্ঠ মানুষ খুঁজে বের করা কতোটা কষ্ট সাধ্য সেটা জানার আগ্রহ প্রকাশ না করাটাই বুদ্ধিমানের কাজ।
আর খোঁজা'টা তো মনে করুন,
"রকেট ছাড়া চাঁদের দেশে পৌছানোর মতো"
বোকা টাইপ'স মানুষ গুলো এই একটা ভুল বারবার ই করে,
সবসময় হা করে বসে থাকে কবে একজন কর্তব্যনিষ্ঠ মানুষ আসবে আর এসে বলবে ধুর চিন্তা ভাবনা বাদ দেন,
আসার হলে ঠুপ করে এসে বলবে এসে গিয়েছি।
দায়িত্ব,
বিশ্বাস,
ওয়াদা,
ভরসা,
ভালবাসা
এসব নিয়ে ভুলেও ভুল মানুষের সাথে আবদ্ধ হতে নেই।
পস্তাতে হবে,খুউব বেশী পস্তাতে হবে,
অবশ্য বিশ্বাস না করে উপায় ও থাকেনা;কেননা মানুষ ভাল মানুষের মুখোশ পড়ে থাকে কেউ ভাল মানুষ না।
যেমন ধরেন কিছু কিছু মানুষ ভাল নেই কিংবা একাকীত্ব ফিল করছে ভীষণ,
সে তার ভাল না থাকার অজুহাতে কয়েক মিনিটের জন্যে হলেও আপনাকে ব্যবহার করে নিবে,
মানে ব্যবহারটা করবেই এবং তারা জেনে বুঝেই এইটা করে।
একটা জিনিস লক্ষ্য করলে দেখবেন,
যারা লইয়াল টাইপ'স তারা যত কঠিন মানুষ ই হোক না কেন,
তারা অল্প কিছুতে ভেঙ্গে যায়,
যেমন বিশ্বাস,ভরসা,ওয়াদা এই ধরনের কিছুতে আঘাত আসলে সাময়িকেরর জন্য মেন্টাল টাইপ'স হয়ে যায়।
যে যে তালের সে সে তালের মানুষের সাথেই বেশী সময় কাটাতে চায়,আর সে তালটা যখন বেতাল হয়ে যায় তখন মনটা কার ভালো থাকে বলুন!
ব্যক্তগত ভাবে একটা জিনিস খুউব করে ফিল করি,
যখন বেশী খুঁশিতে থাকবেন তখন কারো সাথে কিছুর প্রতিজ্ঞা
করবেন না,কারন সে সময়ে আপনার ধ্যানটা ওয়াদা করা
মানুষটার প্রতি থাকেনা।
যখন ডিপ্রেশনের ভেতর থাকবেন তখন ও কাউকে এমন কিছু বলবেন না,যেটা ডিপ্রেশন চলে গেলে মাইন্ড থেকে মুছে যায় এবং যাকে বলেছেন সেও যাতে আপনার বিহেবিয়ারে কষ্ট না পায়।
রাগের কারনে হুটহাট কোন কাজ,সিদ্ধান্ত কিংবা কথার উত্তর দিয়্যেন্না, হিতে বিপরীত হয়ে যাবে।
এটলিষ্ট এইটা অন্তত মনে রাখবেন,
আপনি মাথাল হতে পারেন কিন্তু বিপরীত পাশের মানুষটা মাতাল না,
আপনি অসুস্থ মস্তিষ্কে তাকে ব্যবহার করতে পারেন,
সে কিন্তু বিশ্বাসের সাথে আপনার সুস্থতা কামনা করেছে।
অন্তত কারো মনের আনন্দ বাড়াতে না পারেন কারো মন খারাপ করে দেয়ার কোন অধিকার'ই আপনার নেই
ভাল আছি বলতে বলতে সবার এমন অভ্যাস গড়ে তুলেছি আজকাল ভাল নেই বললে কেউ আর বিশ্বাস করেনা।
প্রিয় নন্দিতা
চলে গেছো সে কবে!
সে কবে ঘুটঘুটে এক অমাবশ্যার রাতে হৃদয়ে ক্ষত জাগিয়ে।অনেক গুলো বসন্ত পেরিয়ে এসেও কেন বুকে এক আকাশ বিষাদ জাগিয়ে ঘুরে বেড়াও এপাড় হতে ওপাড়। কেন বেদনায় বাড়াও হৃদয়ের হাহাকার।...
ঝিনুক নিরবে সহো, ঝিনুক নিরবে সহো
ঝিনুক নিরবে সহে যাও।
ভেতরে বিষের বালি, মুখ বুজে মুক্তা ফলাও।
— আবুল হাসান
আমার এই অপেক্ষা জিকিরের মত,
করতেই থাকি, শেষ হয়না।
হবে হয়তো মরন কালে। ...
ঘৃণায় নয় বেঁচে থাক প্রেমে মমতায়।
ধীরে—
পৃথিবীর পথ হতে সকল কোলাহল মুছে যায়।
চলে যায় প্রত্যেক আপন
যার যার নীড়ে।
নিজেকে গুটিয়ে ঢুকে যায় নিজের উদরে।
সময়ের শেষে সব কথার ঝড়ও নিভে যায়,
থাকেনা শেষ আলো টুকুও।
নির্জনতায় ডুবে যায় মানুষ'জন্ম।
এমন এক বিস্ময়কর জন্মের ভেতর ডুবে মানুষ পড়ে যায় তার ভেতর মরে থাকা মলিন আয়াত,
মৃত্যু ব্যতিত যার দ্বিতীয় কোন অর্থ নেই। ...
এই জীবন আমি আর বয়ে নিতে পারছি না বেলা,
জীবনকে জীবনের রুপ দিতে গিয়ে ভীষণ অন্ধত্ব নিয়ে জরায়ুর মুখ ছুঁয়ে ধীরে ধীরে বেড়ে হয়ে উঠেছি পৃথিবীর কৃতদাস।
আমাকে পৃথিবী দুহাত বাড়িয়ে টেনে নিয়েছিল ঠিক,
তবে জীবনকে দেয়নি জীবনের রুপ।
জীবনের গ্লানি অবজ্ঞার বোঝা বয়তে বয়তে মাঝ পথে দৈবাৎ প্রছন্ড ঝড়'বাতাসে ঘরের দুর্বল টিনের মতো উড়ে চলে গিয়েছে আমি!
বাতাসে ভেসে বেড়ানো খড়খুটার মতো
কখনো এখানে কখনো ওখানে।
হাঁসিমাখা মানুষের কোলাহল কখনো স্পর্শ করেনি আমার কলংকিত জীবন!
সংকিত মনে পৃথিবীকে দুহাত ভরে ঘেটে জেনেছি
ভ্রমরের চরিত্রে আমি নেই।
ফুল হয়ে জন্মে প্রয়োজনে হয়ে উঠেছি বিসর্জনের মতো,প্রয়োজন শেষে আবর্জনার সাথে করেছি সঙ্গম' তবুও কভু মিলেনি মানুষের সঙ্গ।
আধেক জীবন ফেলে এসে দেখি-
কিলবিল করা বিষধর সাপেরা মুক্তার মালা হয়ে ঝুলে আছে গলায়;
অথচ`
হারিয়ে ফেলার ভয়ে;হাতের আঙ্গুলে যত্নে রাখা স্বর্ণের আংটির মতো আমাকে আগলে রাখেনি কেউ।
অপারগতায় আক্ষেপে
হাতে জিহ্বা টেনে দেখিয়েছি অপ্রকাশিত কথারা লকলক করছে বেরিয়ে আসার আর্তনাদে!
বলতে চেয়েছি
বদ্ধ জমিনে বাঁধা পড়া আমি সেই বাঁধ ভাঙ্গা অতৃপ্ত জল যা সমুদ্রের সাথে মিলনের তীব্র আকাঙ্খায় ছুটে এসেছি।
সময়ের বিচ্ছেদে জেনেছি
আমি কসাইয়ের দা'য়ের নিছে থাকা সেই মাংসের স্তুপ,সময়ের বিরতিতে যার অস্থিত্ব নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়।
আনন্দ উল্লাসে কাঙ্খিত উপহার হাতে তুলে চকচকে প্রলেপের মতো আমাকে টেনে ছিঁড়ে ফেলে দেয়া হয়।
আমি অনাথ,
প্রতিবন্ধী
পঙ্গু
আশ্রমের অভাব বোধ করে ঠাই নিয়েছি রাতের কোলে!
রাত আমাকে বমি করে ফেলে দিয়েছে ক্ষুধার্ত বাঘের সামনে;ব্যবহৃত জীবন বাঘ নাকে ঘ্রাণ শুকে চলে গিয়েছে।জীবনকে বলতে না পারা কথা গুলো বহুবার রুটির মাঝখানে রেখে খেয়ে ফেলছি নিজে।
জন্মের তিক্ততায় মৃত্যুর দায় মাথায় তুলে
পৃথিবীর কাছে জন্মের পরিচয় চাইতে গিয়ে জেনেছি আমি পৃথিবীর পালিত সন্তান যাকে ছুঁবেনা কোন বসন্তের ব্যাকুল করা মুখ,প্রেমিকার কোমল হাত,
যার কপাল চুমু হতে বঞ্চিত অনাগত শিশুর মতো।
আমরা পরস্পর পরস্পরকে ভালোবাসি এই কথা বলিনি কেউ কাউকে...
আমরা কখনো কেউ কারো হবোনা এই কথা জেনেও পরস্পরর পরস্পরকে ভালোবেসে যাচ্ছি প্রতি মুহূর্তে'
আমাদের
কথায়
আবদারে
আকাঙ্খা
প্রতিক্ষায় প্রস্ফুটিত হয় বিমুগ্ধ ভালোবাসা।
একমাত্র ভালোবাসার ঘ্রাণে ব্যাকুল হয়ে উঠে দুটি কোমল হৃদয়,
হৃদয়ের সমুদ্রে জলোচ্ছাস - বাগানে ফুলের সাথে ফুলের যুদ্ধ - মন'ঘরে প্রণয়ের তীব্র সুর তবুও কথার বিরতিতে কেউ কাউকে বলিনা আমরা পরস্পর পরস্পরকে ভালোবাসি বহুকাল যাবৎ।
হৃদয়ের উদ্যানে দাড়িয়ে হৃদয় পরিধান করে আছে হতাশার পোশাক...
আর আমাদের চোখে ফুঁটে আছে বাসরের ফুল,
হাতের রেখায় রেখায় বয়ছে বীজ গনিতের সূত্র,
শরীরে'র নিয়ম না মেনে আসে যায় আকাঙ্খার জোয়ার,
স্বপ্নের দুয়ারে কারফিউ
মনের ভেতরে তুমুল বিশ্বযুদ্ধের আভাস উপেক্ষা করে
তবুও আমরা দৃঢ় করি আমাদের কথোপকথন।
আমি জানি সংশয়ের বেরিগেড ভেঙ্গে তোমাকে বলা হবে না - আমি বিনে পৃথিবীর কোন পুরুষের কাছে তুমি নিরাপদ নও - কোন প্রেমিকের পাশে তুমি নও সুদর্শিনী।
আর তুমি বিনে আমি এক শূণ্য ধনুক,
যার ফাঁকা উদর তুমিহীনা গেয়ে যায় শূন্যতার গীত।
সময়ের শিরোনামে দাড়িয়ে আমরা পরস্পর পড়ে যায় পরস্পরের মনঘর...
ইতিমধ্যে জেনেছি পরস্পরকে ভালোবেসে আমরা শূণ্য হয়ে গেছি
হয়ে গেছি অভিভূত কবুতরের পাজরের মতো সংকীর্ণ।
চোখে চোখে তুলে দূরুত্বের প্রাচীর আমরা সরে যায় দূরে আরো দূরে যেন কাঁটাতার পেরিয়ে এক হলেই আমাদের মৃত্যু অবধারিত অথচ` সেদিন
আমার কাছে একটি সমুদ্রের আবদারে—
আমি তোমার হাতে তুলে দিয়েছিলাম জল ভর্তি আমার দুটো চোখ।তুমি শ্বাশত বিশ্বাস হয়ে মাথা তুলে দাড়ালে সবুজ পাহাড়ের মতো তবুও দ্বিধার পাঁচিল পেরিয়ে আমরা পরস্পর পরস্পরকে বলিনি ভালোবাসার ইতিকথা।
যদি একদিন ঠিকানা বদলাও,
যদি তোমার নরম হাতের স্পর্শ দিয়ে সাদা মেঘের মতো উড়ে যাও এক আকাশ হতে অন্য আকশে তবে পথের বিরতিতে লিখে দিও আকাশের গায়ে -
আমরা কখনো কেউ কারো হবোনা এই কথা জেনেও পরস্পরর পরস্পরকে ভালোবেসে ছিলাম বহুকাল যাবৎ।
এই জীবন যেন এক অনাদায়ী পাওনা
মানুষ প্রয়োজনে নিয়ে যায়
আর ফিরে পাওয়া যায়না।
স্মৃতির ভরে স্মৃতি কাঁদে
মনের বাড়ে ওজন,
আপন মানুষ ছেড়ে গেলে ধরতে পারে কজন?
তোমাকে ভালোবাসার পর আমার জীবনে তুমি ছাড়া তেমন কিছু ছিলনা,
তুমি একজন অনাথের পৃৃথিবী হয়ে উঠেছিলে,
হয়ে উঠেছিলে সমগ্র প্রার্থনালয়,
পাঠাগার
পাঠশালা
সকাল
বিকাল
সন্ধ্যা হতে রাত আর জীবনের মান নির্ণয়ের ধারা।
আমি তোমার হতে হতে রাতের পর রাত জেগে আঁধারের সমুদ্রে ডুবে আবিষ্কার করেছি পর'নারীহীন একটি পৃথিবী - বিশ্বাসের পরিধি মেপে অন্ধ প্রেমিকের মতো তোমাকে তাওয়াফ করে করে ঢুকে গেছি তোমার চোখ সমুদ্রে।
তোমাকে ভালোবাসার পর পৃথিবীর অন্য কোন সুদর্শন নারীর শরীরের ঘ্রাণ আমাকে বিচলিত করতে পারেনি!
তোমার শীতল গ্রীবার ঘ্রান নিয়ে আমি অস্বীকার করে গেছি কস্তুরী,
ক্লেমেটিস
তায়েফি রোজের বিমুগ্ধকর ঘ্রাণ সমুহ।
আদলে তোমার স্পর্শ নিয়ে এড়িয়ে গেছি নারীদের কোলাহল,ব্রোথেলের বারো মিনিটের সুখ।
তোমাকে ভালোবাসার পর রাত্রির শেষ ভাগে পৌঁছে কামনার রঙ্গে আঁকিনি কোন রোহিণীর শরীর,
মৈথুনে অহেতুক তুলিনি সাইক্লোন'
শুধু নির্বিঘ্নে মনে কাতুরতা চেপে আকাঙ্খার করিডোরে দাড়িয়ে শুভ্র পেমিকের মতো সময়হীন তোমাকে করেছি লালন।
তোমাকে ভালোবাসার পর আমার জীবনে তুমি ছাড়া তেমন কিছু ছিলনা...
আজ তুমি চলে যাওয়ার পরেও তোমার দেয়া স্মৃতি,
ব্যাথাদের আর্তনাদ,
অগাধ দুঃখ ছাড়াও পুষে রাখার মতো আমার কাছে চতুর্থ কোন দুঃখ নেই - মানুষ নেই - মনে জমা কোন প্রেম নেই।
তোমাকে ভালোবেসে আমি ক্লান্ত হয়ে গেছি,
হয়ে গেছি অবসাদগ্রস্ত কুকুরের সে মর্মাহত বিকেল।
একমাত্র ভালোবাসার দৈন্যতা আমাকে ডুবিয়েছে ডোবা নর্দমায়,অভিভূত পাখির মতো খুন করে ফেলে রেখেছে খাঁচার ভেতর যে খাঁচা পেরোনোর মন্ত্র আমি শিখতে পারিনি
তোমাকে ভালোবাসার পূর্বে।
তোমাকে ভালোবাসার পর আমি হয়ে গেছি আগাগোড়ায় নির্বোধ।
আমাকে আজকাল বিজয়ের গান শুনিয়ে লাভ হয়না,
শুনিয়ে লাভ হয়না কামনার ইতিকথা!
পিংক ফ্লোয়েডে ডুবতে ডুবতে ভাবি,
তোমার কবলে চলে গেছে জীবনের কল।
আমাকে ঘুরালে শুধু তুমি'ই ঝড়ে পড়ো বিরামহীন,
অথচ `
আকাঙ্খার করিডোরে দাড়িয়ে তোমাকে আমি কামনায় রেখেছি বহুরাত তবুও তোমার স্পর্শ পাইনি কভু।
মনিকা চোখে এতো মায়া রেখে এমন করে কেঁদো না,
তোমার চোখের অশ্রুরা আমার শরীরের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ঢুকে আমাকে আহত করে...
আমি ঘুমোতে পারিনা,
আমার বুকে ব্যাথা হয়।
তুমি পাখি হয়ে জন্মেছো বৃষ্টির সাথে তোমার সম্পর্ক বেমানান।
এই বিচ্ছেদের জ্বালা তুমি ঢুকিয়ে দিতে পারো আমার চোখে।
আমি এক চোখে গোপন সমুদ্র পুষি অন্য চোখে তোমাকে আর বুুকের ভেতর পুষে রাখি বারুদ।
বাতাসের দাঙ্গায় তো ঠিকে থাকে কতো'শত
পাখিদের নড়বড় নীড়,
মনের মরে যাওয়া নিয়েও বেঁচে থাকে কতো অক্ষত শরীর!বিচ্ছেদের এমন নিরব তান্ডব সয়ে যাবো পুরোনো দেয়ালে লেগে থাকা অভিশাপের মতো।
মনিকা তোমার হয়েছে প্রত্যাশিত একটি বাগান।
ফুঁটে আছে গুটি কয়েক ফুল!
বেদনার কোরাস ফুলের কানে শৌভনীয় নয়,
ফুলেরা আমার মনের মতো আঘাতে অভ্যস্ত নয়।
আঙ্গুলে আঙ্গুলে গেয়ে যাওয়া গান,
শরীর কাপানো চুম্বন,
ঠোঁটে ঠোঁটে রাখা প্রতিজ্ঞার কাঁচ ভেঙ্গে ফেলো!
আঁধারের বুকে দাড়িয়ে আশীর্বাদের নামে কয়েকটি আত্মহত্যাকে দাফন করে দাও বুকের বিজন পথে, যেখানে ক্রমাগত বেড়ে উঠছে আমাদের প্রেমের স্তুতি।
তুমি সমুদ্রের মতো চঞ্চল হয়ে উঠো'
হৃদয়ের প্রাঙ্গণে ফুঁসলে উঠা দহন ভাসিয়ে নাও বিস্তৃত স্রোতের গহনে।ভুলে যাও সে'সব রাতের আকাশে জমা রাখা জীবনের গল্প!ভুলে যাও সে'সব কান্না!
ভুলে যাও সে'সব অপেক্ষার পথ!সংসার গড়ার লাল নীল স্বপ্ন।বেদনার পাহাড় আমার কাছে রেখে তুমি পালিয়ে যাও মায়ার ইন্দ্রজাল ছিঁড়ে।
তুমি চাইলেই অদৃশ্য ধর্মের মতো আমাকে আকঁড়ে ধরে রাখতে পারো মনের বিষন্নতায়,অথবা আমাকে রোপন করতে পা'রো তোমার মনের বিষন্ন জমিনে -
তবু ফিরতে চেওনা যেন ...
কফির টেবিলে ফেলে রেখে সাথে থাকার অমিমাংসিত সংলাপ আমরা বরং একলা বাঁচি;বেঁচে থাকার প্রয়োজনে আমাদের সমীর দা যেমন বেঁচে আছে সুবর্ণার শরীর ছাড়া।
মনিকা এমন করে কেঁদো না!
তোমার চোখের অশ্রুরা আমার শরীরের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ঢুকে আমাকে আহত করে...
আমি ঘুমোতে পারিনা,
আমার বুকে ব্যাথা হয়।
মনিকা মনের সরণিতে লিখে ফেলো'
একটা মানুষ চলে গেলে ভিন্ন পথে
মানুষ নিজেকে দেখে ভাঙ্গা কাঁচে-
মানুষ যদি মরেও যায়
শোক ভুলে সবাই আবার নতুন করে বাঁচে ...
বেঁচে থাকো মনিকা।
পৃথিবীর সব কোলাহল নিস্তব্ধ হয়ে গেলে এই মন তোমার সাথে কথা বলে অন্য মন হয়ে।...
আযান
→
সেবার বর্ষাকাল,
ঘরের চালে ফুঁটে উঠে হলুদ ফুলের গাছ।
আকাশে কালো মেঘ...মেঘের গর্জনে সন্ধ্যার ঘুম ভেঙ্গে গেল।মাটির কান বেয়ে টুপটুপ কয়েক ফোঁটা জল আমার কপাল ছুঁলো।
অজুহাত ঝেড়ে,
কতো কতো মুয়াজ্জিন অজু সেরে
নম্র স্বরে টান দিয়ে বলে—
আশহাদু আল লা-ইলা-হা ইল্লাল্লা-হ ...
সুরে সুরে পাপড়ি মেলে কয়েক'শত আযান'ফুল!
ইবাদতে যেন পড়ে তারা—
আমার নবী এক মুহাম্মাদুর রাসূল (সাঃ)
আমি গুনাগার - কবরে আজ পুরোনো লাশ,
গোনাহের খাতা খুলে মাগফিরাতের দিন গুনি।
বিচারের ফাঁক'ফুঁকোরে — তুলে রাখি কান,
বাতাসের কাঁধে ভর করে যদি আসে কানে'
যদি আর একবার শুনি
মুয়াজ্জিনের দরদ মাখা সেই পরিচিত আযানের ধ্বনি।
প্রতিদিন ঘুম থেকে যখন উঠি তখন
আমাকে যে মহান আল্লাহ্ তা'আলা
আরেকটি সুন্দর দিন উপহার দিয়েছেন তার জন্য আলহামদুলিল্লাহ্ বলে শুকরিয়া আদায় করি।...
আমি যে বেঁচে আছি এটাই তো আমার কাছে ঈদের মত লাগে। দিলে আনন্দ মেহসুস হয়। আর সেখানে
দু'জাহানের বাদশার আগমনে আমি খুশি উৎযাপন করে জুলুস করবো নাহ্ এটা কিভাবে সম্ভব।
আলহামদুলিল্লাহ্ ইয়া রাব্বুল আল'আমিন!
ইয়া রাসূলাল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। 💝
মুখের
মনের
চোখের
মতো অশ্রু জলের ও ভাষা আছে।
এ দামি জল বোঝে কার জন্য তার বেরিয়ে আসা প্রয়োজন কখন বের হয়ে আসা প্রয়োজন।
যার মনে শুধু একবার তার রব আর আক্বার প্রতি প্রেম জেগে গেছে তারপর থেকে তার অশ্রুর ভাগ আর কেউ নিতে পারেনা।
এই চোখ আর
এই অশ্রুজল জানে
এই মনও নিয়েছে মেনে
সমস্ত ক্রন্দন এখন আমার রব আর আক্বার কদমে।...
এই সমস্ত পাপ
একদিন নিথর দেহের পাশে হয়ে যাবে সাপ।
বেঁচে থাকবো না মরে যাবো এমন দ্বিধার প্রশ্ন নিয়ে
মাছের বাজার ঘুরে দেখি—
মৃত্যুর পরেও মরা মাছের দাম মানুষের তুলনায় বেশী।
সকল বিবাদের পরেও—
পাখিরা জন্মায়, মানুষেরা জন্মায়, জন্মায় ভালোবাসা, জন্মায় অজস্র কথা।...
আমার আপনার কবরটা কেমন হবে?
সংকীর্ণ না প্রসস্ত?
আরামদায়ক না কষ্টদায়ক?
জাহান্নামের তাপ সম্পূর্ণ না জান্নাতের মতো শুভ্র শীতল
সেটা সম্পূর্ণ নির্ভর করে আমার বা আপনার উপর'ই।
আমাদের নিজেদের কাজকর্ম দিয়েই আমাদের কবরটাকে আমরা তৈরী করছি প্রতিনিয়ত।
স্টেপ বাই স্টেপ সাজাচ্ছি,
কখনো কবরের জন্য আরাম দায়ক বস্তু জোগাড় করছি কখনো বা কবরটাকে জাহান্নামের জ্বালা যন্ত্রণা
দিয়ে পূর্ণ করছি।
আপনার প্রতিটা কথা
আপনার প্রতিটা কর্ম
আপনার নিয়ত
আপনার প্রতিটা আদেশ - উপদেশ, চিন্তা ভাবনার মতই সুন্দর আর কুৎচ্ছিত হবে আমার আপনার কবরটা।
এখনো সময় ফুরিয়ে যায়নি!
ডিসাইড করুন আপনি পরকালে কেমন থাকতে চান।
আর সেই মোতাবেক প্রতিটা পা সামনের দিকে ফেলুন।
দেখবেন অগ্রহণযোগ্য অন্যায় কাজ আপনাকে দিয়ে আর হচ্ছেনা।
তুমি যা দিয়েছিলে তার কাছেই বন্ধি হয়ে আছি, তারও অধিক কিছু দিয়েছিলো যারা তারা আজো ব্যর্থতায় ঝুকিয়ে রেখেছে কাঁধ। আমি তাদের কাছে যাইনি।...
আমি পাপি
আমি বধির
আমি অন্ধ
আমি পাপের ভরে পরিশ্রান্ত
তবুও তো বলি বারবার—
আমি একজন নবী ক্বারীম (সাঃ) এর প্রেমিক'
সামান্য গোলাম তার
ইসলাম যাকে দিয়েছেন সম্মান এবং সমস্ত অধিকার।
পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ট মাধুর্যতা,
যার চরণে নত—
নত সকল সৌন্দর্য এবং নিষ্পাপ্য ফুল!
তিনি আর কেউ নন!
আমার প্রিয় মুহাম্মাদুর রাসূল (সাঃ)
বিশ্ববিখ্যাত ফুটবলার ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো কে তো চিনেন সে একটা ঘড়ি ইউজ করে। যেটার মূল্য প্রায় ৪ কোটি টাকা। ঘড়িটা শ্বেত স্বর্ণ এবং ত্রিশ ক্যারেট ডায়মন্ড দিয়ে বানিয়েছে রোলেক্স কোম্পানি! রোলেক্সের লিমিটেড ক্রিয়েশন ঘড়িটা।
একবার একটা টক-শোতে উপস্থাপক রোনালদোকে উদ্দেশ্য করে বলে, "ঘড়ির দাম একশ টাকা হোক কিংবা একশ কোটি হোক, ঘড়ি তো সেই একই সময় দেখাবে তাইনা!"
তখন ক্রিস্টিয়ান রোনালদো হেসে উত্তর দেয় "একশ টাকার ঘড়ি শুধু আপনাকে সময় দেখাবে, আর একশ কোটির ঘড়ি সময়ের পাশাপাশি ঐ লোকটার সময় কেমন যাচ্ছে সেটাও দেখাবে।
Kuwait City
Be the first to know and let us send you an email when Fahad Ahmed posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.
ঘুমাওনি— জানি বৃষ্টি দেখছো। বৃষ্টির জলে আঁকছো নির্ঘুম রাত। এই ভেবে দুঃখ পাচ্ছো— খুঁজে পাচ্ছোনা কোন বাটিতে রেখেছো সেই প্রথম উৎস্বর্গকৃত অশ্রুজল।... আজ সব'ই মনে পড়ছে, বৃষ্টি মানুষকে মনে করিয়ে দিতেই আসে, ফেরার সময় ফের সব মনে করা নিয়ে যায়। দুঃখ পেওনা—তোমার চোখের পাড়ায় সে মেঘেরা নেই, আমার চোখের পাড়ায় যারা বসতি গড়েছে। যার চোখের নিছে স্থায়ী মেঘ নেই,বর্ষা নেই তার কোন স্থায়ী দুঃখ নেই, প্রেম নেই, জীবনের পুনরাবৃত্তি নেই।...
পুকুর চুরি π আমাদের নিজস্ব কোন পুকুর ছিলোনা তাই অন্যের পুকুরে মাছ হয়ে সাঁতরেছি সারা বেলা। বেলা শেষে যেটুক পানি শরীরে করে নিয়ে আসি তার বেশীর ভাগই ঘর অব্দি আসেনা। ভাগ্যের মতো শুকনো খড়খড়ে হয়ে থাকা এক রুমের গুদমে আমাদের কোন মাটির কলস নেই। মাঝে মাঝে দেয়ালে আঁকা কলসিতে জল হয়ে বসে থাকি,যদি কিছু জল আমাদেরও হয়। বিগত বছরে যেটুক জল জমিয়ে রেখেছিলাম— তা মায়ের কপালে শুয়ে থাকা জলপট্টি খেয়ে ফেলেছে। মা সেদিন ঈশারায় মাছ এঁকেছিল, আমি এঁকে ছিলাম ব্যর্থতা। তাপর মা ক্ষুদার তর্জমা করতে করতে খোদা এঁকে দিলেন তার জন্য আরো একটি শুষ্ক ঘর, যে ঘরে মাছেরা গড়ে তুলে না তাদের সংসার। একটি মাছের সমান ক্ষুধা নিয়ে মা অন্ধকার মেখে আমার দিকে তাকালে, বাগান থেকে পুকুর চুরি করে আমি বসে থাকি মায়ের কবরের পাশে। অন্ধের শহর by Fahad Ahmed