Mohammad Younus

Mohammad Younus কোরআন ও সহীহ হাদিসের বানী প্রচার প্রসারের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য?

30/01/2022

Dr. Abubakar Muhammad Zakaria┇এ সম্পর্কে বিস্তারিত┇30/01/2022

27/01/2022
27/01/2022

▌জেনারেল শিক্ষিতরা কি ভাবে আলিম হবে ?

🎙️শাইখ মতিউর রহমান মাদানী (হাফিয্বাহুল্লাহ)

27/01/2022

▌ফেতনাবাজ ইমরান নাজার থেকে যেই ইল্মি অর্জন করে সেই ইল্মের ধারক-বাহক হচ্ছেন ফেতনাবাজ আবু ত্বয়া
মোহাম্মদ আদনান গবেষক!

কেন ইমরান নাজার থেকে আলোচনা শুনতে ভার্ন করেছে শাইখ !!

🎙️Shaikh Abdul Malik Ahmad Madani Hafiza:

⛔️ইমরান নাযার একজন হাদিস অস্বীকারকারী⛔️

▋ ইমরান নাযার হোসাইনের বিভ্রান্তি। (পর্ব- ১)
♻ বুখারীর হাদিস অস্বীকার-

ইমরান সাহেব সহিহ বুখারীর একটি হাদিসকে জাল বলে আখ্যায়িত করেন। হাদীস টি হলো--

‘আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
“নবী (ﷺ) যখন তাঁকে বিয়ে করেন তখন তার বয়স ছিল ৬ বছর এবং নয় বছর বয়সে রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর সঙ্গে বাসর ঘর করেন এবং তিনি তাঁর সান্নিধ্যে নয় বছরকাল ছিলেন।” ---[সহিহ বুখারী-৫১৩৩]

উনার বক্তব্যে উনি “বুখারী” হাদিসগ্রন্থের নাম নিয়ে হাদিসটিকে জাল বলে আখ্যায়িত করেন।

►সোর্সঃ https://www.youtube.com/watch?v=hrRID3Caf5A (১ ঘন্টা ২০ সেকেন্ড থেকে শুনুন)

♻ কাফির খোমেনিকে ইমাম বলে আখ্যায়িত করা-

খোমেনির মতো একজন দাজ্জালের প্রশংসা কোন সঠিক আক্বীদার আলেমের মুখ থেকে আসতে পারেনা আর এখানে ইমরান সাহেব তার জন্য রহমতের দোয়া করছেন ও ইরানি শিয়া বিপ্লবের সফলতার কথা উল্লেখ করছেন। কোন সাহাবী প্রেমী জবান থেকে এমন কথা বের হতে পারেনা।

►সোর্সঃ https://www.youtube.com/watch?v=tYMuIzZmA4k

খোমেনির কুফরির ও সাহাবি বিদ্বেষের একটি স্বরূপ হলো--
খোমেনি তার কিতাবে লিখেছে,

“আয়শা, জুবায়ের, তালহা, মুয়াবিয়া এবং তাদের অনুরূপরা কুকুর এবং শুকর থেকেও নোংরা।” (নাউজুবিল্লাহ) --[তাহারাত; ৩য় খন্ড; পৃষ্ঠা ৪৫৭]

শাইখ মুকবিল বিন হাদী আল-ওয়াদী রাহিমাহুল্লাহ খোমেনির ব্যাপারে বলেন,

“নাআম, আল খোমেনি। সে হলে গুমরাহির ইমাম এবং একজন কাফির। এটাই খোমেনি। ইখওয়ানুল মুসলিমিনরা মিম্বার ঝাঁকিয়ে (যার) প্রশংসা করে (বলে) ইমাম খোমেনি।
https://youtu.be/_uMAxt1tjMQ (৫ মিনিট; ১৮ সেকেন্ড থেকে শুনুন)
▋ ইমরান নাযার হোসাইনের বিভ্রান্তি। (পর্ব-২)

♻ হাদিসের বিধান অস্বীকার-

ইমরান নাযার সাহেব বলেন,

“যিনার শাস্তি হলো বেত্রাঘাত। পূর্বের বিধান হিসেবে তাওরাতে ছিল রজম (পাথর নিক্ষেপ করে হত্যা) যা বর্তমানে মানসুখ, বাতিল, রহিত এবং কুরআনের নতুন শরীয়ত কর্তৃক প্রতিস্থাপিত।”

►সোর্স: https://youtu.be/RsrSQeoJdso (৬ মিনিট ৫৫ সেকেন্ড থেকে শুনুন)

রজম তথা বিবাহিতদের মধ্যে সংঘটিত যিনার শাস্তি স্বরুপ পাথর নিক্ষেপ করে হত্যা করার বিধান সহিহ হাদিস দ্বারা সাবস্ত। সহিহ মুসলিমের একটি হাদিস হলো- উবাদাহ্‌ ইবনু সামিত (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, “তোমরা আমার কাছ থেকে শিক্ষা গ্রহণ কর, তোমরা আমার কাছ থেকে শিক্ষা গ্রহণ কর যে, নিশ্চয়ই আল্লাহ তা’আলা মহিলাদের জন্য একটি পন্থা বের করেছেন। যদি কোন অবিবাহিত পুরুষ কোন কুমারী মেয়ের সাথে ব্যভিচার করে তবে একশ’ বেত্রাঘাত কর এবং এক বছরের জন্য নির্বাসন দাও। আর যদি বিবাহিত ব্যক্তি কোন বিবাহিতা মহিলার সঙ্গে ব্যভিচার করে, তবে তাদেরকে প্রথমত একশ’ বেত্রাঘাত করবে, এরপর পাথর নিক্ষেপ করে হত্যা করবে। --[সহিহ মুসলিম-৪৩০৬]

এই বিধানকে মানসুখ তথা রহিত বলা চরম ভাবে আপত্তিকর কারণ এতে একদিকে যেমন সহিহ হাদিসের অস্বীকার করা হয় তেমনি অপরদিকে রাসূল (ﷺ) এর প্রতি অপবাদ দেওয়া হয় কারণ তিনি (ﷺ) নিজে রজম বাস্তবায়ন করেছেন।

রসূলুল্লাহ (ﷺ) এর কাছে যিনা হতে পবিত্র হতে চাওয়া ব্যক্তিকে তিনি জিজ্ঞেস করেছিলেন, তুমি কি যিনা করেছ? প্রতি উত্তরে সে বলল, জী-হ্যাঁ। অতএব রসূলুল্লাহ (ﷺ) তার প্রতি (ব্যভিচারের শাস্তি প্রদানের) নির্দেশ দিলেন। এরপর তাকে পাথর নিক্ষেপ করা হলো। --[সহিহ মুসলিম-৪৩২৩]

রজম করাকে মানসুখ বলা মানে পরোক্ষভাবে এটা বোঝায় যে নবী (ﷺ) রহিত বিধান দ্বারা ফায়সালা করেছেন। (নাউজুবিল্লাহ)

♻ ইয়াজুজ-মাজুজ সম্পর্কে ভ্রান্ত ধারণা-

ড. ফারুকী নমক এক লেখকের হাওয়ালা দিয়ে তিনি তার কিতাব “কোরআনে জেরুজালেম” -এর ১৪ পৃষ্ঠায় উল্লেখ করেন,

“এই লেখকের মতামত হলো, এবং আল্লাহ ভাল জানেন, আসল ইয়াজুজ-মাজুজ অবশ্যই এই জাতীয় ইউরোপীয় ইহুদীদের মধ্যে কোথাও অবস্থিত। ইয়াজুজ-মাজুজ খ্রিস্টীয় ইউরোপীয় সভ্যতাকে উৎসাহিত করে এবং এটিকে বর্তমান বিধর্মী করে তুলেছে। ইয়াজুজ-মাজুজ জায়োনবাদী আন্দোলন এবং ইস্রায়েল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেছিলো।”

►সোর্স: https://drive.google.com/file/d/1FkDpJMFUXejExr5W8F6z9Hf8PBXWSSK9/view?usp=drivesdk (মূল কিতাবের স্ক্রিনশট)

কোরআন এবং সুন্নাহতে ইয়াজুজ-মাজুজ সম্পর্কিত তথ্য একেবারে দিবালোকের ন্যায় স্পষ্ট। এই স্পষ্ট বিষয়কে ঘোলা করা গোমরাহি ব্যাতিত আর কিছু নয়। ইউরোপীয় ইহুদিদের মধ্যে ইয়াজুজ-মাজুজ থাকা একটি হাস্যকর ও হাদীস বিরোধী বক্তব্য।

রাসূল (ﷺ) এর জীবদ্দশায় ইয়াজুজ-মাজুজের অস্তিত্ব বর্তমান ছিলো যা হাদিস দ্বারা সাবস্ত, অপরদিকে তখন ইউরোপীয় ইহুদিদের কোন অস্তিত্ব তখন ছিলো না।

যায়নাব বিনতে জাহাশ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
একবার নবী‎ (ﷺ) ভীত সন্ত্রস্ত অবস্থায় তাঁর নিকট আসলেন এবং বলতে লাগলেন, লা- ইলাহা ইল্লাল্লাহ। আরবের লোকেদের জন্য সেই অনিষ্টের কারণে ধ্বংস অনিবার্য যা নিকটবর্তী হয়েছে। আজ ইয়াজুজ ও মাজুজের প্রাচীর এ পরিমাণ খুলে গেছে। এ কথা বলার সময় তিনি তাঁর বৃদ্ধাঙ্গুলির আগ্রভাগকে তার সঙ্গের শাহাদাত আঙ্গুলির অগ্রভাগের সঙ্গে মিলিয়ে গোলাকার করে ছিদ্রের পরিমাণ দেখান। ---[সহিহ বুখারী-৩৩৪৬]

ইয়াজুজ-মাজুজ এমন এক সম্প্রদায় হবে যাদের সাথে স্বয়ং আল্লাহর নবী ঈসা আলাইহিসসালামও যুদ্ধ করতে স্বক্ষম হবেন না, যেখানে ইউরোপীয় ইহুদিদের গনহারে হত্যা করে হিটলার।
যদিও তার এই মূর্খতা পূর্ণ বক্তব্য খন্ডনের প্রায়োজন নেই তাও তার বক্তব্য যে সহিহ হাদিস বিরোধী তা প্রমাণ করাই উদ্দেশ্য।
▋ ইমরান নাযার হোসাইনের বিভ্রান্তি। (পর্ব-৩)

♻ সাহাবীর অবমাননা-

নাযার সাহেব তার এক বক্তব্যে বলেন,

“যখন আমীর মুয়াবিয়া রাদিআল্লাহু তা’আলা আনহু এমনকিছু বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করেছিলেন যা সত্য ধর্মের কাছে একটি দূর্নীতি হতে পারে, তার পুত্র ইয়াজিদের স্বপক্ষে জোরপূর্বক বায়াত প্রদানে।”

►সোর্স: https://youtu.be/_uMAxt1tjMQ (৪ মিনিট ৪৪ সেকেন্ড থেকে শুনুন)

একজন প্রখ্যাত সাহাবীর ব্যাপারে এমন মন্তব্য কখনে শোভনীয় নয়। সাহাবির সমালোচনা কখনো আহলুস সুন্নাহর নীতি নয় বরং ইহা খবিছ রাফেজি শিয়াদের নীতি। আল্লাহ তাআ'লা আমাদের জবানকে হেফাজত করার তৌফিক দান করুন। এ ব্যাপারে ইমাম ইবনু তাইমিয়্যাহ (রাহিমাহুল্লাহ ) বলেন, “আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা‘আতের মূলনীতি হ’ল, তারা ছাহাবায়ে কেরামের ব্যাপারে তাদের হৃদয় ও জিহবাকে সংযত রাখেন, তাদের ব্যাপারে বিদ্বেষ পোষণকারী ও গালিদানকারী রাফেযীদের পথ থেকে দূরে থাকেন এবং তাদের মাঝে মতভেদগত বিষয়ে চুপ থাকেন।”
--- [মাজমূ‘ ঊ ফাতাওয়া : ৩/১৫৪-৫৫ ]।

♻ সব শিয়ারা মুসলিম?! -

নাযার সাহেব বলেন,

“এই উম্মাহর ইজমা হলো শিয়ারা মুসলিম। এবং আমার মনে হয় এটা একটু দেরিই হয়ে গেছে এই ফাৎওয়া নিয়ে আগমন করা যে শিয়ারা কাফের।”

►সোর্সঃ https://youtu.be/32gPOA44wCQ (৫৬ সেকেন্ড থেকে)

আমভাবে সকল শিয়াদের কাফের বলা যেমন বারাবাড়ি ঠিক তেমনই সকল শিয়াদের মুসলিম সাবস্ত করাও হকের বিপরীত। আর ইজমার দাবীতো নিতান্তই হাস্যকর।
শিয়াদের ব্যাপারে কিছু সালাফদের উক্তি পেশ করা হলো--

প্রখ্যাত তাবি‘ঈ শাইখুল ইসলাম ইমাম ত্বালহাহ বিন মুসাররিফ (রাহিমাহুল্লাহ) [মৃত: ১১২ হি.] বলেছেন, الرافضة لا تنكح نساؤهم، ولا تؤكل ذبائحهم، لأنهم أهل ردة “রাফিদ্বী সম্প্রদায়ের মহিলাদেরকে বিয়ে করা যাবে না এবং তাদের জবেহকৃত প্রাণী খাওয়া যাবে না। কেননা তারা হলো মুরতাদ সম্প্রদায়।” [আল-ইবানাতুস সুগরা, পৃষ্ঠা: ১৬১]

ইমাম আবূ হানীফাহ (রাহিমাহুল্লাহ)’র শ্রেষ্ঠ ছাত্র ইমাম আবূ ইউসুফ (রাহিমাহুল্লাহ) [মৃত: ১৮২ হি.] বলেছেন, لا أصلي خلف جهمي، ولا رافضي، ولا قدري “আমি কোনো জাহমী, রাফিদ্বী শিয়া এবং তাক্বদীর অস্বীকারকারী ক্বাদারীর পেছনে নামাজ পড়ি না।” [শারহু উসূলি ই‘তিক্বাদি আহলিস সুন্নাতি ওয়াল জামা‘আহ, খণ্ড: ৪; পৃষ্ঠা: ৭৩৩]

ইসমা‘ঈল বিন ইসহাক্ব থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, أن أبا عبد الله سُئل: عن رجل له جار رافضي يسلم عليه؟ قال: لا، وإذا سلم عليه لا يرد عليه “একদা আবূ ‘আব্দুল্লাহকে (ইমাম আহমাদ বিন হাম্বাল, মৃত. ২৪১ হি.) জনৈক ব্যক্তি সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলো, যার প্রতিবেশি একজন রাফিদ্বী শিয়া, আর এই রাফিদ্বী ওই ব্যক্তিকে সালাম দেয়। তিনি উত্তরে বললেন, ‘না, যদি সে তাকে সালাম দেয়, তাহলে সে তার সালামের জবাব দিবে না’।” [ইমাম খাল্লালের ‘আস-সুন্নাহ’, খণ্ড: ১; পৃষ্ঠা: ৪৯৪]

শিয়াদের বিভিন্ন দল উপদল সম্পর্কে শাইখ বিন বায রাহিমাহুল্লাহ বলেন,

শিয়া সম্প্রদায়ের বেশ কয়েকটি শ্রেণি বা উপদল রয়েছে। শাহরাস্তানী উল্লেখ করেছেন যে, তাদের ২২টি উপদল রয়েছে। তাদের মধ্যে বিভিন্নতা রয়েছে। তাদের কারও বিদ‘আত তাকে কাফির করে দেয়, আবার কারও বিদ‘আত তাকে কাফির করে না। এতৎসত্ত্বেও তারা সবাই বিদ‘আতী। শিয়ারা সবাই বিদ‘আতী। তাদের মধ্যে সবচেয়ে ছোটো বিদ‘আতী সে, যে আস-সিদ্দীক্ব এবং ‘উমারের ওপর ‘আলীকে প্রাধান্য দিয়েছে। বস্তুত সে ভুল করেছে এবং সাহাবীদের বিরোধিতা করেছে।

►সোর্সঃ https://tinyurl.com/yxom3snd
(ফৎওয়া ও আছার সূমহ আব্দুল্লাহ মৃর্ধা ভাইয়ের লেখা হতে কপি করা)
▋ ইমরান নাযার হোসাইনের বিভ্রান্তি। (শেষ-পর্ব)

♻ দাজ্জাল নিয়ে ভ্রান্ত ধারণা--

🎙️বক্তব্য-১

নাযর সাহেব তার কিতাবে দাজ্জাল সম্পর্কে উল্লেখ করেন,

“এই (দাজ্জালের) বিষয়টির জটিলতা প্রকাশিত হয় যখন আমরা বর্তমানে যুক্তি প্রকাশ করি যে নবী দ্বারা প্রদত্ত এন্টি ক্রাইস্ট বা দাজ্জালের বর্ণনাকে প্রকাশ্যে অর্থে বোঝা যায় না, বরং বোঝার জন্য অবশ্যই ব্যাখ্যা করা উচিত।”
---[পৃষ্ঠা-৩৪]

https://drive.google.com/file/d/1HDG4ucxQvlyKn8kIm9Iy2AzXvxH87wT5/view?usp=drivesdk (মূল কিতাবের স্ক্রিনশট)

দাজ্জালের বর্ণনাগুলোকে তার প্রকাশ্যে অর্থে নেওয়া যাবেনা বরং ব্যাখ্যা করতে হবে; এটি তার মনগড়া কথা। দাজ্জাল সহ সকল কিয়ামতের আলামত সূমহ অদৃশ্যের জ্ঞানের অন্তর্ভুক্ত, এসকল বিষয়ের ক্ষেত্রে আমরা ওহীর মুখাপেক্ষী। যেখানে নিজের মনগড়া ব্যাখ্যা দাড় করানোর কোন সুযোগ নেই। আল্লাহ তাআ'লা আমাদের এ সকল ফিতনাবাজদের থেকে হেফাজত করুন।

🎙️বক্তব্য-২

নাযার সাহেব লিখেছেন,

“আমরা এখন এই উপসংহারে পৌঁছাতে পারি যে দাজ্জালের তার বাম চোখ দিয়ে দেখার ক্ষমতা রয়েছে এবং ডান চোখে তার অন্ধত্বকে বুদ্ধি হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়া উচিত যা মুতাশবিহা, অর্থাৎ রূপক, এবং তাই এটি তা‘উইল বা ব্যাখ্যার বিষয়। হযরত মুহাম্মদ সাল্লাম (ﷺ) দ্বারা বর্ণিত বর্ণনাটির ব্যাখ্যা আমাদের কাছে হলো- “দাজ্জালের বাহ্যিক দৃষ্টি রয়েছে তবে সে অভ্যন্তরীণভাবে অন্ধ!”
--[পৃষ্ঠা -৪২]

https://drive.google.com/file/d/1HDuuFFxVE5UWq4vzj9Uh_OzI0VO0c3yM/view?usp=drivesdk (মূল কিতাবের স্ক্রিনশট)

সহিহ হাদিসে রাসূল (ﷺ) আমাদের সংবাদ দিয়েছেন যে, দাজ্জালের একটি চোখ কানা হবে। যে হাদিস সূমহ বুখারী মুসলিমে বর্ণিত হয়েছে।
রাসূল (ﷺ) বলেছেন,
“তোমাদের রব কানা নন। আর দাজ্জালের ডান চোখ কানা হবে।” --[সহিহ বুখারী/৪৪০২]

নবী (ﷺ) তাঁর হাত দিয়ে স্বীয় চোখের দিকে ইশারা করলেন। মাসীহ্ দাজ্জালের ডান চোখ কানা। তার চোখটি যেন আংগুরের মত ভাসমান। --[বুখারী/৭৪০৭]

আর নাযার সাহেব বলছেন কানা মানে কানা না বরং বাহ্যিকভাবে তার দৃষ্টি রয়েছে তবে সে অভ্যন্তরীণভাবে অন্ধ। ওয়াল্লাহি এটি হাদিসের বিকৃতি ব্যাতিত অন্য কিছু নয়। হাদিসকে তার প্রকৃত অর্থ থেকে সরিয়ে মনমতো ব্যাখ্যা করা মূর্খতা ও গোমরাহি ব্যাতিত আর কি হতে পারে?!

কার্টেসিঃ আশরাফুল নিশাদ

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহু
24/01/2022

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহু

11/01/2022

▌মহাবিশ্বের রহমতস্বরূপ মহাগ্রন্থ আল-কুরআন যাতে রয়েছে সঠিক পথ প্রদর্শন এবং হেদায়েত......

সূরা: আল-বাকারা-২┇বাংলা অনুবাদ শুনলে একটু না একটু উপকার হবেই হবে......

যারা মনোযোগ সহকারে কথা শোনে, অতঃপর তার মধ্য থেকে যা উত্তম তার অনুসরণ করে তাদেরকেই আল্লাহ সৎ পথ প্রদর্শন করেন এবং তারাই বুদ্ধিমান।’’›(৩৯ : ১৮)...

04/01/2022
31/10/2021

জাহিল মাজার এবং করব পূজারী ভন্ড পীর এনায়েতুল্লাহ আব্বাসীর জবাব!!

28/10/2021
27/10/2021
15/10/2021

▌❝লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ❞ এর আসল মর্ম কথা এবং যেভাবে স্বীকৃতি দিতে হবে?
🎙️শাইখ আব্দুর রব আফ্ফান মাদানী (হাফিয্বাহুল্লাহ)

13/10/2021

▌এই ভিডিও ক্লিপ দেখে খুবই মর্মাহত কুমিল্লায় হিন্দুদের পূজা মন্ডপে কুরআনুল কারীম কে অবমাননা মূর্তির নিচে কুরআন মাজিদ ওসি সাহেব নিজে গিয়ে উদ্ধার করেছেন।

সত্য না মিথ্যা (আল্লাহু আলাম) ভিডিও চেক 👇

13/10/2021

▌মুনাফিকের লক্ষণ শুধু মাত্র চারটি নয়! আরো অনেক বেশি আছে যা আমাদের সবার জানা নেই!

🎙️শাইখ মতিউর রহমান মাদানী (হাফিয্বাহুল্লাহ)

28/09/2021

▌যত বড় হুজুর তত বড় মিথ্যা!!! মিথ্যুক হাদিস গোপন কারী জাহিল বলে আহলে হাদীসদের পিছনে সলাত পড়া যাবে না!!

🎙️শাইখ মাহবুবুর রহমান (হাফিয্বাহুল্লাহ)

28/09/2021

#ইবলিশের_ঈমান_কি_শতভাগ_সঠিক_ছিল িশের ঈমান কি শতভাগ সঠিক ছিল?🎙শাইখ ড. আবুবকর মুহাম্মাদ জাকারিয়া মাদানী [হা.....

▌ইসলামী আকীদা শিখি (৩)•⚠️ [শির্ক চেনার] "চারটি নীতি" ⚠️🔴 আরশে আযীমের রব মহান আল্লাহর নিকট দো‘আ করি, তিনি যেন আপনাকে দুনি...
26/09/2021

▌ইসলামী আকীদা শিখি (৩)



⚠️ [শির্ক চেনার] "চারটি নীতি" ⚠️

🔴 আরশে আযীমের রব মহান আল্লাহর নিকট দো‘আ করি, তিনি যেন আপনাকে দুনিয়া ও আখেরাতে বন্ধুরূপে গ্রহণ করেন, আপনাকে বরকতময় করেন আপনি যেখানেই অবস্থান করুন না কেন, আপনাকে তাদের অন্তর্ভুক্ত করেন, যাকে—

🔹️কিছু প্রদান করা হলে সে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে,
🔹️পরীক্ষায় পড়লে ধৈর্য ধারণ করে এবং
🔹️গুনাহ করলে ক্ষমা প্রার্থনা করে।
কারণ এ তিনটি বিষয় হচ্ছে সৌভাগ্যের প্রতীক।

🔴 জেনে নিন!—আল্লাহ আপনাকে তাঁর আনুগত্যের পথ দেখাক— নিষ্ঠার উপর প্রতিষ্ঠিত দীন তথা মিল্লাতে ইব্রাহীম হচ্ছে, আপনি কেবলমাত্র এক আল্লাহর ইবাদত করবেন তার জন্য আনুগত্যকে নির্ভেজাল করে। আর আল্লাহ তা‘আলা সকল মানুষকে এরই আদেশ করেছেন এবং এর কারণে তাদের সৃষ্টি করেছেন। যেমন মহান আল্লাহ বলেন :
﴿ وَمَا خَلَقۡتُ ٱلۡجِنَّ وَٱلۡإِنسَ إِلَّا لِيَعۡبُدُونِ ٥٦ ﴾ [الذاريات: ٥٦]
“আমি তো জিন ও মানুষকে কেবল আমার ইবাদতের জন্যই সৃষ্টি করেছি” [সূরা আয-যারিয়াত/৫৬]

🔺️ যখন জানতে পারছেন যে, আল্লাহ তা‘আলা আপনাকে কেবল তাঁর ইবাদতের জন্য সৃষ্টি করেছেন, তখন এটাও জেনে নিন যে, তাওহীদ ব্যতীত কোনো ইবাদতই ইবাদত হিসেবে গণ্য হয় না, যেমন পবিত্রতা ব্যতীত কোনো সালাতই সালাত হিসেবে গণ্য হয় না। সুতরাং ইবাদতে শির্ক প্রবেশ করলে তা তেমনি নষ্ট হয়ে যায় যেমনিভাবে পবিত্রতা অর্জনের পর বায়ু নির্গত হলে তা বিনষ্ট হয়।

🔺 ️অতঃপর যখন জানলেন যে, যখন ইবাদতে শির্কের সংমিশ্রণ হয় তখন শির্ক সে ইবাদতকে নষ্ট করে দেয় এবং যাবতীয় আমল ধ্বংস করে ফেলে এবং সে ব্যক্তি চিরস্থায়ী জাহান্নামীদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যায়, তখন আপনি বুঝতে পারলেন যে, এ বিষয়টির জানাই হচ্ছে আপনার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ। যাতে করে আল্লাহ আপনাকে এ বেড়াজাল থেকে মুক্তি দেন—আর তা হচ্ছে আল্লাহর সাথে অংশীস্থাপন করা তথা শির্কের বেড়াজাল। যার সম্পর্কে আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন:
﴿ إِنَّ ٱللَّهَ لَا يَغۡفِرُ أَن يُشۡرَكَ بِهِۦ وَيَغۡفِرُ مَا دُونَ ذَٰلِكَ لِمَن يَشَآءُۚ ﴾ [النساء: ٤٨]
“নিশ্চয়ই আল্লাহ তাঁর সাথে শরীক স্থাপন করাকে ক্ষমা করবেন না, আর এর চেয়ে ছোট যা আছে তা তিনি যার জন্য ইচ্ছা ক্ষমা করবেন।” [সূরা আন-নিসা/৪৮]

🔺️ আর এটা (অর্থাৎ শির্কের বেড়াজাল থেকে মুক্তি) কেবল চারটি নীতি জানার মাধ্যমে সম্ভব হবে, যা আল্লাহ তা‘আলা তাঁর কিতাবে বর্ণনা করেছেন।

🔴 প্রথম নীতি: 🔴
জানা প্রয়োজন যে, ঐ সমস্ত কাফের যাদের সাথে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যুদ্ধ করেছিলেন, তারা স্বীকার করত যে আল্লাহ তা‘আলাই সৃষ্টিকর্তা এবং সবকিছুর পরিচালক। তবুও এ স্বীকারোক্তি তাদেরকে ইসলামের গণ্ডিতে প্রবেশ করায় নি।
🔸️এর প্রমাণ আল্লাহর বাণী:
﴿ قُلۡ مَن يَرۡزُقُكُم مِّنَ ٱلسَّمَآءِ وَٱلۡأَرۡضِ أَمَّن يَمۡلِكُ ٱلسَّمۡعَ وَٱلۡأَبۡصَٰرَ وَمَن يُخۡرِجُ ٱلۡحَيَّ مِنَ ٱلۡمَيِّتِ وَيُخۡرِجُ ٱلۡمَيِّتَ مِنَ ٱلۡحَيِّ وَمَن يُدَبِّرُ ٱلۡأَمۡرَۚ فَسَيَقُولُونَ ٱللَّهُۚ فَقُلۡ أَفَلَا تَتَّقُونَ ٣١ ﴾ [يونس: ٣١]
“তুমি বল : তিনি কে, যিনি তোমাদেরকে আসমান ও জমিন হতে রিজিক দিয়ে থাকেন? অথবা কে তিনি, যিনি কর্ণ ও চক্ষুসমূহের উপর পূর্ণ অধিকার রাখেন? আর তিনি কে, যিনি জীবন্তকে প্রাণহীন হতে বের করেন, আর প্রাণহীনকে জীবন্ত হতে বের করেন? আর তিনি কে যিনি সমস্ত কাজ পরিচালনা করেন? তখন অবশ্যই তারা বলবে যে, আল্লাহ। অতএব, তুমি বল: তবে কি তোমরা তাকওয়া অবলম্বন করবে না?” (সূরা ইউনুস: ৩১)

🔴 দ্বিতীয় নীতি 🔴
আরবের মুশরিকরা বলত: আমরা তো তাদেরকে কেবল নৈকট্য এবং সুপারিশ পাওয়ার আশায় আহ্বান জানাই এবং তাদের স্মরণাপন্ন হই।
তারা যে (আল্লাহর) নৈকট্য লাভের প্রত্যাশা করে তাদের (মা‘বুদদের) আহ্বান করত তার প্রমাণ, আল্লাহর বাণী,
﴿وَٱلَّذِينَ ٱتَّخَذُواْ مِن دُونِهِۦٓ أَوۡلِيَآءَ مَا نَعۡبُدُهُمۡ إِلَّا لِيُقَرِّبُونَآ إِلَى ٱللَّهِ زُلۡفَىٰٓ إِنَّ ٱللَّهَ يَحۡكُمُ بَيۡنَهُمۡ فِي مَا هُمۡ فِيهِ يَخۡتَلِفُونَۗ إِنَّ ٱللَّهَ لَا يَهۡدِي مَنۡ هُوَ كَٰذِبٞ كَفَّارٞ ٣ ﴾ [الزمر: ٣]
“আর যারা আল্লাহর পরিবর্তে অন্যকে অভিভাবকরূপে গ্রহণ করে, (তারা বলে) আমরা তো এদের ইবাদত এজন্যেই করি যে, এরা আমাদেরকে আল্লাহর সান্নিধ্য এনে দিবে। তারা যে বিষয়ে নিজেদের মধ্যে মতভেদ করছে আল্লাহ তার ফায়সালা করে দিবেন। যে মিথ্যাবাদী ও কাফির, আল্লাহ তাকে সৎ পথে পরিচালিত করেন না।” [সূরা আয-যুমার/৩]

🔹️আর তারা যে (আল্লাহর কাছে এসব মা‘বুদ কর্তৃক) শাফা‘আত বা সুপারিশ প্রত্যাশা করে তাদের (মা‘বুদদের) আহ্বান করত তার প্রমাণ, আল্লাহর বাণী,
﴿وَيَعۡبُدُونَ مِن دُونِ ٱللَّهِ مَا لَا يَضُرُّهُمۡ وَلَا يَنفَعُهُمۡ وَيَقُولُونَ هَٰٓؤُلَآءِ شُفَعَٰٓؤُنَا عِندَ ٱللَّهِۚ﴾ [يونس: ١٨]
“আর তারা আল্লাহ ছাড়া এমন বস্তুসমূহেরও ইবাদত করে যারা তাদের কোনো অপকারও করতে পারে না এবং তাদের কোনো উপকারও করতে পারে না, আর তারা বলে: এরা হচ্ছে আল্লাহর নিকট আমাদের সুপারিশকারী।” [সূরা ইউনুস/১৮]

🔵 বস্তুত সুপারিশ বা শাফা‘আত দু’ প্রকার। ক) অস্বীকৃত খ) স্বীকৃত।

🔹️ক) অস্বীকৃত শাফা‘আত বা সুপারিশ হচ্ছে, যা আল্লাহ ব্যতীত অন্যের নিকট চাওয়া হয়, যা করার ক্ষমতা আল্লাহ ছাড়া অন্যের নেই। যেমন আল্লাহ বলেন :
﴿ يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُوٓاْ أَنفِقُواْ مِمَّا رَزَقۡنَٰكُم مِّن قَبۡلِ أَن يَأۡتِيَ يَوۡمٞ لَّا بَيۡعٞ فِيهِ وَلَا خُلَّةٞ وَلَا شَفَٰعَةٞۗ وَٱلۡكَٰفِرُونَ هُمُ ٱلظَّٰلِمُونَ ٢٥٤ ﴾ [البقرة: ٢٥٤]
“হে যারা ঈমান এনেছ! আমরা তোমাদেরকে যে জীবিকা দান করেছি, তা হতে সে দিন আসার পূর্বেই ব্যয় কর; যাতে থাকবে না কোনো ক্রয়-বিক্রয়, কিংবা বন্ধুত্ব অথবা সুপারিশ, আর কাফেররাই তো অত্যাচারী।” [সূরা আল-বাক্বারাহ: ২৫৪]

🔹️খ) স্বীকৃত সুপারিশ হচ্ছে, যা কেবল আল্লাহর কাছে চাওয়া হয় । বস্তুত সুপারিশকারীকে সুপারিশ করতে দেওয়ার মাধ্যমে তাকে সম্মানিত করা হয়। আর যার জন্য সুপারিশ করা হবে সে তো হতে হবে এমন ব্যক্তি যার কথা ও কাজে আল্লাহ সন্তুষ্ট। আর তাও সংঘটিত হবে অনুমতির পরে। যেমন আল্লাহ তাআ’লা বলেন:
﴿مَن ذَا ٱلَّذِي يَشۡفَعُ عِندَهُۥٓ إِلَّا بِإِذۡنِهِۦۚ﴾ [البقرة: ٢٥٥]
“এমন কে আছে যে অনুমতি ব্যতীত তাঁর নিকট সুপারিশ করতে পারে?” [সূরা আল-বাক্বারাহ/২৫৫]

🔴 তৃতীয় নীতি 🔴
নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর আগমন ঘটে এমন লোকদের মাঝে যারা তাদের ইবাদতে শতধা বিভক্ত ছিল; তাদের মধ্যে কেউ ফেরেশতার ইবাদত করতো, কেউ নবী ও সৎ লোকদের ইবাদত করতো, কেউ গাছ-পালা ও পাথরের পূজা করতো এবং কেউ সূর্য ও চন্দ্রের ইবাদত করতো। আর নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাদের মধ্যে কোনো প্রকার তারতম্য বা পার্থক্য করা ছাড়াই এদের সবার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেন।

🔸️এর প্রমাণে আল্লাহর বাণী:
﴿ وَقَٰتِلُوهُمۡ حَتَّىٰ لَا تَكُونَ فِتۡنَةٞ وَيَكُونَ ٱلدِّينُ كُلُّهُۥ لِلَّهِۚ﴾ [الانفال: ٣٩]
“আর তোমরা তাদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে থাক যতক্ষণ না ফিতনার অবসান হয় এবং দীন সম্পূর্ণরূপে আল্লাহর জন্যেই হয়ে যায়।” [সূরা আল-আনফাল/৩৯]

🔹️তারা যে সূর্য ও চন্দ্রের ইবাদত করত, তার প্রমাণ আল্লাহর বাণী,
﴿ وَمِنۡ ءَايَٰتِهِ ٱلَّيۡلُ وَٱلنَّهَارُ وَٱلشَّمۡسُ وَٱلۡقَمَرُۚ لَا تَسۡجُدُواْ لِلشَّمۡسِ وَلَا لِلۡقَمَرِ وَٱسۡجُدُواْۤ لِلَّهِۤ ٱلَّذِي خَلَقَهُنَّ إِن كُنتُمۡ إِيَّاهُ تَعۡبُدُونَ ٣٧ ﴾ [فصلت: ٣٧]
“তাঁর নিদর্শনাবলীর মধ্যে রয়েছে রাত ও দিন, সূর্য ও চন্দ্র। তোমরা সূর্যকে সিজদা করো না, চন্দ্রকেও না; সিজদা কর আল্লাহকে, যিনি এগুলো সৃষ্টি করেছেন, যদি তোমরা কেবল তাঁরই ইবাদত কর।” [সূরা ফুসসিলাত/৩৭]

🔹️তারা যে ফেরেশতার ইবাদত করত তার প্রমাণ আল্লাহর বাণী,
﴿ وَلَا يَأۡمُرَكُمۡ أَن تَتَّخِذُواْ ٱلۡمَلَٰٓئِكَةَ وَٱلنَّبِيِّ‍ۧنَ أَرۡبَابًاۗ ﴾ [ال عمران: ٨٠]
“আর তিনি আদেশ করেন না যে, তোমরা ফেরেশতাগণ ও নবীগণকে প্রতিপালকরূপে গ্রহণ কর।” [সূরা আলে ইমরান/৮০]

🔹️ মক্কার কাফেররা যে নবীগণের ইবাদতও করত তার দলীল হচ্ছে আল্লাহর বাণী,
﴿ وَإِذۡ قَالَ ٱللَّهُ يَٰعِيسَى ٱبۡنَ مَرۡيَمَ ءَأَنتَ قُلۡتَ لِلنَّاسِ ٱتَّخِذُونِي وَأُمِّيَ إِلَٰهَيۡنِ مِن دُونِ ٱللَّهِۖ قَالَ سُبۡحَٰنَكَ مَا يَكُونُ لِيٓ أَنۡ أَقُولَ مَا لَيۡسَ لِي بِحَقٍّۚ إِن كُنتُ قُلۡتُهُۥ فَقَدۡ عَلِمۡتَهُۥۚ تَعۡلَمُ مَا فِي نَفۡسِي وَلَآ أَعۡلَمُ مَا فِي نَفۡسِكَۚ إِنَّكَ أَنتَ عَلَّٰمُ ٱلۡغُيُوبِ ١١٦ ﴾ [المائ‍دة: ١١٦]
“আর যখন আল্লাহ বলবেন, হে মারইয়ামের পুত্র ঈসা! তুমি কি লোকদেরকে বলেছিলে তোমরা আল্লাহ ছাড়া আমাকে ও আমার মাতাকে মা’বূদ বানিয়ে নাও? ঈসা নিবেদন করবেন আমি তো আপনাকে পবিত্র মনে করি; আমার পক্ষে কোনক্রমেই শোভনীয় ছিল না যে, আমি এমন কথা বলি যা বলবার আমার কোনই অধিকার নেই; যদি আমি বলে থাকি, তবে অবশ্যই আপনার জানা থাকবে; আপনি তো আমার অন্তরের কথাও জানেন, পক্ষান্তরে আপনার অন্তরে যা রয়েছে আমি তা জানি না; সমস্ত গায়েবের বিষয় আপনিই জ্ঞাত।” [সূরা আল-মায়েদা/১১৬]

🔹️মক্কার লোকরা যে নেককার লোকদের ইবাদতও করত তার প্রমাণ হচ্ছে আল্লাহর বাণী :
﴿ أُوْلَٰٓئِكَ ٱلَّذِينَ يَدۡعُونَ يَبۡتَغُونَ إِلَىٰ رَبِّهِمُ ٱلۡوَسِيلَةَ أَيُّهُمۡ أَقۡرَبُ وَيَرۡجُونَ رَحۡمَتَهُۥ وَيَخَافُونَ عَذَابَهُۥٓۚ﴾ [الاسراء: ٥٧]
“তারা যাদের আহ্বান করে তারাই তো তাদের প্রতিপালকের নৈকট্য লাভের উপায় সন্ধান করে বেড়ায় যে তাদের মধ্যে কে কত নিকট হতে পারে, তাঁর দয়া প্রত্যাশা করে ও তাঁর শাস্তিকে ভয় করে।” [সূলা আল-ইসরা/৫৭]

🔹️তৎকালীন মক্কার লোকেরা যে গাছ-পালা ও পাথরের ইবাদতও করত তার প্রমাণ আল্লাহর বাণী,
﴿ أَفَرَءَيۡتُمُ ٱللَّٰتَ وَٱلۡعُزَّىٰ ١٩ وَمَنَوٰةَ ٱلثَّالِثَةَ ٱلۡأُخۡرَىٰٓ ٢٠ ﴾ [النجم: ١٩، ٢٠]
“তোমরা আমাকে জানাও লাত’ ও ‘উযযা’ সম্বন্ধে এবং তৃতীয় আরেকটি ‘মানাত’ সম্বন্ধে?” [সূরা আন-নাজম/১৯-২০]
অনুরূপভাবে আবু ওয়াকিদ আল-লায়সী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুর হাদীসও এর প্রমাণ, তিনি বলেন:
«خرجنا مع النبي صلى الله عليه وسلم إلى حنين ونحن حدثاء عهد بكفر، وللمشركين سدرة يعكفون عندها وينوطون بها أسلحتهم يقال لها ذات أنواط. فمررنا بسدرة فقلنا: يا رسول الله اجعل لنا ذات أنواط، كما لهم ذات أنواط». الحديث.
আমরা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর সঙ্গে হুনাইনের যুদ্ধে বের হলাম, আমরা তখন নূতন মুসলিম ছিলাম। সেকালে মুশরিকদের একটি কুল-বৃক্ষ ছিল, যার পার্শ্বে তারা অবস্থান করতো এবং তাতে তাদের অস্ত্র ঝুলিয়ে রাখতো। ওটাকে বলা হত ‘যাতু আন্ওয়াত্’ (বরকতের গাছ)। আমরা এই ধরনের এক কুল-গাছের নিকট দিয়ে অতিক্রম করলাম। আমরা আল্লাহর রাসূলকে বললাম: হে আল্লাহর রাসূল ! আমাদের জন্যও একটি ঝুলিয়ে রাখার বৃক্ষ নির্ধারণ করে দিন যেমন তাদের রয়েছে .. । হাদীসের শেষ পর্যন্ত।

🔴 চতুর্থ নীতি 🔴
আমাদের যুগের শির্ককারীদের শির্ক পূর্বের যুগের শির্ককারীদের থেকে অধিক কঠোর। কারণ পূর্বের লোকেরা সুখ-সচ্ছলতার সময় শির্ক করতো আর দুঃখের সময় একান্তভাবে আল্লাহকেই ডাকতো। কিন্তু আমাদের যুগের শির্ককারীরা সুখ-দুঃখ সর্বাবস্থায় আল্লাহর সাথে শির্ক করে।

🔸️এর দলীল, আল্লাহর বাণী,
﴿ فَإِذَا رَكِبُواْ فِي ٱلۡفُلۡكِ دَعَوُاْ ٱللَّهَ مُخۡلِصِينَ لَهُ ٱلدِّينَ فَلَمَّا نَجَّىٰهُمۡ إِلَى ٱلۡبَرِّ إِذَا هُمۡ يُشۡرِكُونَ ٦٥ ﴾ [العنكبوت: ٦٥]
“অতঃপর তারা যখন নৌকায় আরোহণ করে তখন তারা বিশুদ্ধ চিত্তে খাঁটিভাবে আল্লাহকে ডাকে; অতঃপর তিনি যখন স্থলে এনে তাদের উদ্ধার করেন, তখনই তারা শরীক করতে থাকে।” [সূরা আল-আনকাবূত/৬৫]

(সমাপ্ত)

আল্লাহ তা‘আলা সালাত ও সালাম পেশ করুন মুহাম্মাদ, তাঁর পরিবার-পরিজন ও সকল সাথীদের প্রতি।

-
মূল: শাইখ মুহাম্মাদ ইবন আবদুল ওয়াহহাব ইবন সুলাইমান আত-তামীমী
অনুবাদ: আব্দুর রাকীব মাদানী, আব্দুল্লাহিল হাদী
সম্পাদনা: শাইখ প্রফেসর ড. আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া

19/09/2021
18/09/2021
যৌতুকের টাকা খাওয়ার চেয়ে শুয়োর জবাই করে শুয়োরের গোস্তা খাওয়া অনেক ভালো!শাইখ ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর রাহিমা...
17/09/2021

যৌতুকের টাকা খাওয়ার চেয়ে শুয়োর জবাই করে শুয়োরের গোস্তা খাওয়া অনেক ভালো!
শাইখ ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর রাহিমাহুল্লাহ
▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬

যৌতুকের টাকা খাওয়ার চেয়ে শুয়োর জবাই করে শুয়োরের গোস্তা খাওয়া অনেক ভালো!শাইখ ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর রাহিমা...
17/09/2021

যৌতুকের টাকা খাওয়ার চেয়ে শুয়োর জবাই করে শুয়োরের গোস্তা খাওয়া অনেক ভালো!
শাইখ ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর রাহিমাহুল্লাহ

17/09/2021

▌ইখওয়ানীদের চাল বুড়ো চাঁচায় না বুঝতে পারলে কি হবে তার ছেলে মোহাম্মদ বিন সালামন ঠিকই বুঝতে পারছে!

🎙️শাইখ আমানুল্লাহ বিন ইসমাইল মাদানী (হাফিয্বাহুল্লাহ)

17/09/2021

হুজুর যে ধর্মের পাঁচ পয়সার দাম দেয় না জাজ্বল্য প্রমাণ। শাইখ আব্দুর রাজ্জাক বিন ইউসুফ

https://youtu.be/NJrHiaCj0B4

16/09/2021

▌পাত্র-পাত্রী নির্বাচন ও দেন মোহর এবং যৌতুক বিষয়ে কঠিন গরম খুৎবাহ…

🎙️শাইখ আখতারুল আমান মাদানী (হাফিয্বাহুল্লাহ)

16/09/2021

▌মানহাজ কি ? ইসলামে মানহাযের গুরুত্ব কতটুকু ?
শাইখ ড. মোহাম্মদ মানজুরে ই-ইলাহী (হাফিয্বাহুল্লাহ)

16/09/2021

▌জহিলরা মেরে পেলেছে শাইখ আবু ওবায়দুল্লাহ (রাহি:) কে?

🎙️শাইখ আমানুল্লাহ বিন ইসমাইল মাদানী (হাফিয্বাহুল্লাহ)

16/09/2021

▌তুর্কি ভিত্তিক তথাকথিত খেলাফত অটোমান সাম্রাজ্য কি তাওহীদের পক্ষে না বিপক্ষে ছিল? ও এরদোগান সম্পর্কে!
🎙️শাইখ প্রফেসর ড.
আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া (হাফিয্বাহুল্লাহ)

16/09/2021

▌সালাফীদের বিলুপ্তি করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে?
নিজেদের-ই মুখে চুনকালি জাহিল!! আল্লাহ তাআলা
মুনাফিকদের দুনিয়াতেই ধ্বংস ও লাঞ্ছিত করেন!

16/09/2021

▌হার মুসলমান আহলে হাদিস হ্যা! আহলে হাদীসের পরিচয়?

🎙️শাইখ তৌসিফুর রহমান (হাফিয্বাহুল্লাহ)



আহলে হাদীছের পরিচয়?
‏( ﺗَﻌَﺎﺭُﻑُ ﺃَﻫْﻞِ ﺍﻟْﺤَﺪِﻳْﺚِ ‏)
ফারসী সম্বন্ধ পদে ‘আহলেহাদীছ’ এবং আরবী সম্বন্ধ পদে ‘আহলুল হাদীছ’-এর আভিধানিক অর্থ : হাদীছের অনুসারী। পারিভাষিক অর্থ : পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছের নিরপেক্ষ অনুসারী। যিনি জীবনের সর্বক্ষেত্রে পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছের সিদ্ধান্তকে নিঃশর্তভাবে মেনে নিবেন এবং রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লা-হু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ও ছাহাবায়ে কেরামের তরীক্বা অনুযায়ী নিজের সার্বিক জীবন গড়ে তুলতে সচেষ্ট হবেন, কেবলমাত্র তিনিই এ নামে অভিহিত হবেন।

ছাহাবায়ে কেরাম হ’লেন জামা‘আতে আহলেহাদীছের প্রথম সারির সম্মানিত দল, যাঁরা এ নামে অভিহিত হ’তেন। যেমন- (১) প্রখ্যাত ছাহাবী আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) (মৃঃ ৭৪হিঃ) কোন মুসলিম যুবককে দেখলে খুশী হয়ে বলতেন,
ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﺳَﻌِﻴﺪٍ ﺍﻟْﺨُﺪْﺭِﻱِّ ﺃَﻧَّﻪُ ﻛَﺎﻥَ ﺇِﺫَﺍ ﺭَﺃَﻯ ﺍﻟﺸَّﺒَﺎﺏَ ﻗَﺎﻝَ : ﻣَﺮْﺣَﺒًﺎ ﺑِﻮَﺻِﻴَّﺔِ ﺭَﺳُﻮْﻝِ ﺍﻟﻠﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﺃَﻣَﺮَﻧَﺎ ﺭَﺳُﻮْﻝُ ﺍﻟﻠﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﺃَﻥْ ﻧُﻮَﺳِّﻊَ ﻟَﻜُﻢْ ﻓِﻲ ﺍﻟْﻤَﺠْﻠِﺲِ ﻭَﺃَﻥْ ﻧُﻔَﻬِّﻤَﻜُﻢُ ﺍﻟْﺤَﺪِﻳﺚَ ﻓَﺈِﻧَّﻜُﻢْ ﺧُﻠُﻮْﻓُﻨَﺎ ﻭَﺃَﻫْﻞُ ﺍﻟْﺤَﺪِﻳْﺚِ ﺑَﻌْﺪَﻧَﺎ -
‘রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লা-হু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর অছিয়ত অনুযায়ী আমি তোমাকে ‘মারহাবা’ জানাচ্ছি। রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লা-হু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদেরকে তোমাদের জন্য মজলিস প্রশস্ত করার ও তোমাদেরকে হাদীছ বুঝাবার নির্দেশ দিয়ে গেছেন। কেননা তোমরাই আমাদের পরবর্তী বংশধর ও পরবর্তী ‘আহলেহাদীছ’।[1]
(১) খ্যাতনামা তাবেঈ ইমাম শা‘বী (২২-১০৪হিঃ) ছাহাবায়ে কেরামের জামা‘আতকে ‘আহলুল হাদীছ’ বলতেন। যেমন একদা তিনি বলেন,
ﻟَﻮِ ﺍﺳْﺘَﻘْﺒَﻠْﺖُ ﻣِﻦْ ﺃَﻣْﺮِﻱْ ﻣَﺎ ﺍﺳْﺘَﺪْﺑَﺮْﺕُ ﻣَﺎ ﺣَﺪَّﺛْﺖُ ﺇِﻻَّ ﻣَﺎ ﺃَﺟْﻤَﻊَ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﺃَﻫْﻞُ ﺍﻟْﺤَﺪِﻳْﺚِ -
‘এখন যেসব ঘটছে, তা আগে জানলে আমি কোন হাদীছ বর্ণনা করতাম না, কেবল ঐ হাদীছ ব্যতীত, যার উপরে ‘আহলুল হাদীছ’ অর্থাৎ ছাহাবায়ে কেরাম একমত হয়েছেন’।
[2]

(৩) ছাহাবায়ে কেরামের শিষ্যমন্ডলী তাবেঈন ও তাবে-তাবেঈন সকলে ‘আহলেহাদীছ’ ছিলেন। ইবনু নাদীম (মৃঃ ৩৭০ হিঃ) তাঁর ‘কিতাবুল ফিহরিস্ত’ গ্রন্থে, ইমাম খত্বীব বাগদাদী (৩৯২-৪৬৩ হিঃ) স্বীয় ‘তারীখু বাগদাদ’ দ্বাদশ ও চতুর্দশ খন্ডে এবং ইমাম হেবাতুল্লাহ লালকাঈ (মৃঃ ৪১৮ হিঃ) স্বীয় ‘শারহু উছূলি ই‘তিক্বাদ ...’ গ্রন্থে ছাহাবায়ে কেরাম হ’তে শুরু করে তাঁর যুগ পর্যন্ত তৎকালীন মুসলিম বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের আহলেহাদীছ ওলামায়ে কেরাম ও নেতৃবৃন্দের নামের বিরাট তালিকা দিয়েছেন। এতদ্ব্যতীত ‘আহলেহাদীছ-এর মর্যাদা’ শীর্ষক ‘শারফু আছহাবিল হাদীছ’ নামে ইমাম খত্বীব বাগদাদীর একটি পৃথক বইও রয়েছে।

(৪) ইমাম আবু হানীফা (৮০-১৫০ হিঃ), ইমাম মালেক (৯৩-১৭৯ হিঃ), ইমাম শাফেঈ (১৫০-২০৪ হিঃ), ইমাম আহমাদ বিন হাম্বল (১৬৪-২৪১ হিঃ) সকলেই ‘আহলেহাদীছ’ ছিলেন। স্বীয় যুগে হাদীছ তেমন সংগৃহীত না হওয়ার ফলে ইমাম আবু হানীফা (রহঃ) অধিকহারে রায় ও ক্বিয়াসের আশ্রয় নিয়েছিলেন বলে তাঁকে ﺇِﻣَﺎﻡُ ﺃَﻫْﻞِ ﺍﻟﺮَّﺃْﻯِ বা ‘আহলুর রায়দের ইমাম’ বলা হয়ে থাকে। তিনি নিজে কোন কেতাব লিখে যাননি। বরং শিষ্যদের অছিয়ত করে গিয়েছেন এই বলে যে, ﺇِﺫَﺍ ﺻَﺢَّ ﺍﻟْﺤَﺪِﻳْﺚُ ﻓَﻬُﻮَ ﻣَﺬْﻫَﺒِﻲْ ‘ইযা ছাহ্হাল হাদীছু ফাহুয়া মাযহাবী’ অর্থাৎ ‘যখন ছহীহ হাদীছ পাবে, জেনো সেটাই আমার মাযহাব’।[3]

(৫) একবার তিনি তাঁর প্রধান শিষ্য আবু ইউসুফ (১১৩-১৮২ হিঃ)-কে বলেন,
ﻻَ ﺗَﺮْﻭِ ﻋَﻨِّﻲ ﺷَﻴْﺌًﺎ ﻓَﺈِﻧِّﻰْ ﻭَﺍﻟﻠﻪِ ﻣَﺎ ﺃَﺩْﺭِﻯْ ﻣُﺨْﻄِﺊٌ ﺃَﻧَﺎ ﺃَﻡْ ﻣُﺼِﻴْﺐٌ؟
‘তুমি আমার পক্ষ হ’তে কোন মাসআলা বর্ণনা কর না। আল্লাহর ক্বসম! আমি জানি না নিজ সিদ্ধান্তে আমি বেঠিক না সঠিক’।
[4]

(৬) আরেকবার তিনি তাকে তাঁর বক্তব্য লিখতে দেখে ধমক দিয়ে বলেন,
ﻭَﻳْﻚَ ﻳَﺎ ﻳَﻌْﻘُﻮْﺏُ ! ﻻَ ﺗَﻜْﺘُﺐْ ﻛُﻞَّ ﻣَﺎ ﺗَﺴْﻤَﻌُﻪُ ﻣِﻨِّﻰ ﻓَﺈِﻧِّﻲ ﻗَﺪْ ﺃَﺭَﻯ
ﺍﻟﺮَّﺃْﻱَ ﺍﻟْﻴَﻮْﻣَﻔَﺄَﺗْﺮُﻛُﻪُ ﻏَﺪًﺍ، ﻭَ ﺃَﺭَﻯ ﺍﻟﺮَّﺃْﻯَ ﻏَﺪًﺍ ﻭَ ﺃَﺗْﺮُﻛُﻪُ ﺑَﻌْﺪَ ﻏَﺪٍ -
‘সাবধান হে ইয়াকূব (আবু ইউসুফ)! আমার নিকট থেকে যা-ই শোন, তাই-ই লিখে নিয়ো না। কেননা আমি আজকে যে রায় দেই, কালকে তা পরিত্যাগ করি; কাল যে রায় দেই, পরদিন তা প্রত্যাহার করি’।[5]

চার ইমামের সকলেই তাঁদের তাক্বলীদ তথা দ্বীনী বিষয়ে অন্ধ অনুসরণ বর্জন করে ছহীহ হাদীছ অনুযায়ী আমল করার জন্য সকলকে নির্দেশ দিয়ে গেছেন।[6] এ জন্য তাঁরা সবাই নিঃসন্দেহে ‘আহলেহাদীছ’ ছিলেন। কিন্তু তাঁদের অনুসারী মুক্বাল্লিদগণ ইমামদের নির্দেশ উপেক্ষা করে পরবর্তীতে ছহীহ হাদীছ পাওয়া সত্ত্বেও বিভিন্ন অজুহাতে তা এড়িয়ে গিয়ে স্ব স্ব মাযহাবী বিদ্বানদের রায় ও তাঁদের রচিত ফিক্বহ ও ফৎওয়াসমূহের অন্ধ অনুসারী হয়ে প্রকৃত প্রস্তাবে এক ইমামের নামে অসংখ্য আলেমের রায়পন্থী ‘আহলুর রায়’ বনে গেছেন। এ জন্য অনুসারীগণ দায়ী হ’লেও ইমামগণ দায়ী নন। সেকারণ খ্যাতনামা হানাফী বিদ্বান আবদুল ওয়াহ্হাব শা‘রানী (৮৯৮-৯৭৩ হিঃ) বলেন, ﻓَﺎﻟْﺈِﻣَﺎﻡُ ﻣَﻌْﺬُﻭْﺭٌ ﻭَ ﺃَﺗْﺒَﺎﻋُﻪُ ﻏَﻴْﺮُ ﻣَﻌْﺬُﻭﺭِﻳْﻦَ
‘ইমামের ওযর আছে, কিন্তু অনুসারীদের জন্য কোন ওযর নেই’।[7]
ইমামদের ওযর আছে এজন্য যে, তাঁরা যে অনেক হাদীছ জানতেন না, সেকথা খোলাখুলিভাবে স্বীকার করে গেছেন ও পরবর্তীতে ছহীহ হাদীছ পেলে তা অনুসরণের জন্য সবাইকে তাকীদ দিয়ে বলে গিয়েছেন। কিন্তু অনুসারীদের কোন ওযর নেই এ কারণে যে, তারা ছহীহ হাদীছ পাওয়া সত্ত্বেও তা গ্রহণ করেনি ও তার উপরে আমল করেনি। বরং তাদের মধ্যে এই অন্ধ বিশ্বাস দানা বেঁধে আছে যে, তাদের অনুসরণীয় ইমাম বা পীর সবকিছু জানেন। তাঁর ভুল হবার সম্ভাবনা নেই। এমনকি তাঁর ভুল হ’তে পারে, এমনটি চিন্তা করাও বে-আদবী। সেকারণ তাঁরা যেকোনভাবেই হৌক, ইমামের রায় বা মাযহাবী ফৎওয়াকে টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করেন। এমনকি এজন্য ছহীহ হাদীছকে বাদ দিতে হ’লেও কুছ পরওয়া নেই।

অথচ ইমাম গাযালী (৪৫০-৫০৫ হিঃ) স্বীয় ‘কিতাবুল মানখূলে’ বলেন যে,
ﺃَﻧَّﻬُﻤَﺎ ﺧَﺎﻟَﻔَﺎ ﺃَﺑَﺎ ﺣَﻨِﻴْﻔَﺔَ ﻓِﻰْ ﺛُﻠُﺜَﻰْ ﻣَﺬْﻫَﺒِﻪِ ‘ইমাম আবু ইউসুফ ও ইমাম মুহাম্মাদ (রহঃ) তাঁদের উস্তাদ ইমাম আবু হানীফা (রহঃ)-এর মাযহাবের দুই-তৃতীয়াংশের বিরোধিতা করেছেন’।[8] এতদ্ব্যতীত চার ইমামের নামে প্রচলিত ফৎওয়াসমূহ ও বিশেষ করে হানাফী ফিক্বহে বর্ণিত ক্বিয়াসী ফৎওয়াসমূহের সবটুকু অথবা অধিকাংশ ফৎওয়াই ইমাম আবু হানীফা (রহঃ)-এর নয় বলে শাহ অলিউল্লাহ দেহলভী সহ বহু বিদ্বান মন্তব্য করেছেন।[9] শুধু ফিক্বহী বা ব্যবহারিক বিষয়েই নয় বরং উছূলে ফিক্বহ বা ব্যবহারিক আইন সূত্রসমূহেও উক্ত শিষ্যদ্বয় ইমাম আবু হানীফা (রহঃ)-এর বিরোধিতা করেছেন।[10] অতএব ইমাম আবু হানীফা (রহঃ) এবং অন্যান্য ইমামদের যেসব মাযহাব বর্তমানে চালু আছে, তার অধিকাংশ পরবর্তী যুগে দলীয় আলেমদের সৃষ্টি।
নিরপেক্ষভাবে হাদীছ অনুসরণের কারণে ইমাম বুখারী (১৯৪-২৫৬ হিঃ), ইমাম মুসলিম (২০৪-২৬১ হিঃ), ইমাম নাসাঈ (২১৫-৩০৩ হিঃ), ইমাম আবু দাঊদ (২০২-২৭৫ হিঃ), ইমাম তিরমিযী (২০৯-২৭৯ হিঃ), ইমাম ইবনু মাজাহ (২০৯-২৭৩ হিঃ), ইমাম আলী ইবনুল মাদীনী (১৬১-২৩৪ হিঃ), ইমাম ইসহাক্ব ইবনে রাহ্ওয়াইহ (১৬৬-২৩৮ হিঃ), ইমাম আবুবকর ইবনু আবী শায়বা (মৃঃ ২৩৫ হিঃ), ইমাম দারেমী (১৮১-২৫৫ হিঃ), ইমাম আবু যুর‘আ রাযী (মৃঃ ২৬৪ হিঃ), ইমাম ইবনু খুযায়মা (২২৩-৩১১ হিঃ), ইমাম দারাকুতনী (৩০৫-৩৮৫ হিঃ), ইমাম হাকেম (৩২১-৪০৫ হিঃ), ইমাম বায়হাক্বী (৩৮৪-৪৫৮ হিঃ), ইমাম মুহিউস সুন্নাহ বাগাভী (৪৩৬-৫১৬ হিঃ) প্রমুখ হাদীছ শাস্ত্রের জগদ্বিখ্যাত ইমাম ও মুহাদ্দেছীনে কেরাম এবং তাঁদের শিষ্যবর্গ ও অনুসারীবৃন্দ সকলেই ‘আহলুল হাদীছ’ ছিলেন।
[1]. আবুবকর আল-খত্বীব বাগদাদী, শারফু আছহাবিল হাদীছ (লাহোর : রিপন প্রেস, তারিখ বিহীন), পৃঃ ১২; হাকেম একে ছহীহ বলেছেন এবং যাহাবী তাকে সমর্থন করেছেন। -আল-মুস্তাদরাক ১/৮৮ পৃঃ; আলবানী, সিলসিলা ছহীহা হা/২৮০।
[2]. শামসুদ্দীন যাহাবী, তাযকেরাতুল হুফফায (বৈরুত : দারুল কুতুবিল ইলমিয়াহ, তাবি) ১/৮৩ পৃঃ।
[3]. ইবনু আবেদীন, শামী হাশিয়া রাদ্দুল মুহতার (বৈরুত : দারুল ফিক্র ১৩৯৯/১৯৭৯) ১/৬৭ পৃঃ; আব্দুল ওয়াহহাব শা‘রানী, মীযানুল কুবরা (দিল্লী : ১২৮৬ হিঃ) ১/৩০ পৃঃ।
[4]. আবুবকর আল-খত্বীব বাগদাদী, তারীখু বাগদাদ ১৩/৪০২ পৃঃ।
[5]. প্রাগুক্ত; থিসিস পৃঃ ১৭৯, টীকা ৪৮।
[6]. আব্দুল ওয়াহহাব শা‘রানী, মীযানুল কুবরা (দিল্লী: ১২৮৬ হিঃ) ১/৬০।
[7]. প্রাগুক্ত ১/৭৩ পৃঃ।
[8]. শারহু বেকায়াহ-এর মুক্বাদ্দামাহ (দিল্লী ছাপা ১৩২৭) পৃঃ ২৮, শেষ লাইন; ঐ, দেউবন্দ ছাপা, তাবি, পৃঃ ৮।
[9]. শাহ অলিউল্লাহ, ‘হুজ্জাতুল্লাহিল বালিগাহ’ (কায়রো: ১৩৫৫ হিঃ) ১/১৬০; ছালেহ ফুল্লানী, ঈক্বাযু হিমাম পৃঃ ৯৯; ‘তালবীহ’-এর বরাতে মোল্লা মুঈন সিন্ধী, দিরাসাতুল লাবীব (লাহোর: ১২৮৪ হিঃ) পৃঃ ১৮৩, ২৯০, ২৯১; আব্দুল হাই লাক্ষ্মৌবী, নাফে’ কাবীর পৃঃ ১৩ প্রভৃতি; দ্রঃ থিসিস পৃঃ ১৮০, টীকা ৫৯, ৬০।
[10]. ( ﻓَﺈِﻧَّﻬُﻤَﺎ ﻳُﺨَﺎﻟِﻔَﺎﻥِ ﺃُﺻُﻮْﻝَ ﺻَﺎﺣِﺒِﻬِﻤَﺎ ) সুবকী, ‘ত্বাবাক্বাতুশ শাফেঈয়াহ কুবরা’ (বৈরুত: দারুল মা‘রিফাহ, তাবি) ১/২৪৩ পৃঃ।

Address

Al Farwaniyah

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Mohammad Younus posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Videos

Share


Other Gaming Video Creators in Al Farwaniyah

Show All