17/12/2024
অনেকদিন পর আজ মাছ রান্না করলাম। আসলে সময়ের অভাবে বা অনেকসময় ইচ্ছের অভাবেই রান্নাঘরে একটু অন্যরকম কিছু করা হয়ে ওঠে না। তবে আজকের রান্নাটা একটু অন্যরকম ছিল কারণ মাছ কাটার ঝামেলা আমাকে পোহাতে হয়নি। আমার স্বামী মাছটা কেটে দিয়েছিলেন। এই ছোট্ট সহায়তা আমার রান্নার পুরো কাজটাই সহজ করে দিল।
যেহেতু মাছটা ঠিকঠাক কাটা ছিল, তাই প্রথমেই মাছগুলোতে একটু হলুদ আর লবণ মাখিয়ে হালকা করে ভেজে নিলাম। এরপর রান্নার মূল অংশে মন দিলাম। আজ মাছের সাথে রান্না করলাম কচু চড়া।
**রেসিপি একটু সংক্ষেপে শেয়ার করি:**
প্রথমে কচু চড়া ভালো করে ধুয়ে সামান্য লবণ দিয়ে সেদ্ধ করে নিলাম। অন্যদিকে কড়াইতে সরষের তেল গরম করে পেঁয়াজ কুচি, রসুন বাটা, আর সামান্য আদা দিয়ে সুন্দরভাবে ভেজে নিলাম। এর সাথে দিয়ে দিলাম হলুদ গুঁড়ো, মরিচ গুঁড়ো আর সামান্য ধনে গুঁড়ো। মশলাটা ভালো করে কষানো হলে তার মধ্যে ভেজে রাখা মাছ আর সেদ্ধ করা কচু চড়া দিয়ে দিলাম।
নিমেষেই পুরো রান্নাঘর ভরে উঠল মশলার গন্ধে। সামান্য পানি আর লবণ দিয়ে ঢেকে দিলাম রান্না। কিছুক্ষণের মধ্যেই মাখা মাখা হয়ে এলো মাছ আর কচুর মিশ্রণ। রান্না শেষে ওপর থেকে একটু ঘি ছড়িয়ে দিলাম স্বাদ বাড়ানোর জন্য।
এমন সহজ অথচ সুস্বাদু রান্না করতে পেরে মনটা বেশ ভালো হয়ে গেল। স্বামীর সহযোগিতার কারণে পুরো কাজটাই আজকে আনন্দের সাথে করতে পেরেছি। রান্না শেষে খাওয়ার টেবিলে যখন স্বামী প্রশংসা করলেন, তখন পরিশ্রমের সার্থকতা খুঁজে পেলাম।
আসলে সংসারে এমন ছোট ছোট মুহূর্তগুলোই আমাদের প্রতিদিনের জীবনে সুখ এনে দেয়।
আপনারা চাইলে এই রেসিপিটা চেষ্টা করে দেখতে পারেন। ছোট ছোট সহযোগিতা আর একটু মন দিয়ে রান্না করলেই কিন্তু বাড়ির খাবার সবচেয়ে বড় স্বাদ নিয়ে আসে।