Mahua Roychoudhury

22/12/2023

21/12/2023

💥পাঠকদের অভূতপূর্ব সাড়া পাওয়ায় বইটির প্রিবুকিং ডিসকাউন্ট অফার আরও কয়েদিন বাড়িয়ে দেওয়া হল!দামটা একই থাকছে এখন।যারা বইটি বুকিং করেননি করে ফেলতে পারেন।

Kolkata_Bookfair_2024
#বইমেলার_নতুন_বই

#রুপোলি_পর্দার_অন্তরালে
✍🏻 #কলমে_মৌমিতা_রায়_চৌধুরী

আমরা যারা সিনেমাপ্রেমী তাদের কাছে স্বর্ণযুগের সিনেমা ও সেই সময়ের কলা-কুশলীদের উপস্থিতি চির উজ্জ্বল।
এরকমই স্বর্ণ যুগের চলচ্চিত্রের ৫০জন চির বরণীয় কুশীলবদের কিছু মজার ঘটনা ও কাহিনি নিয়ে সাজানো এই বই। বইয়ের পাতায় রয়েছে মহানায়ক উত্তমকুমার,সুচিত্রা সেন থেকে শুরু করে কিশোরকুমার, মহম্মদ রফি, জহর রায়, গীতা দত্ত,গুরু দত্ত, রাহুল দেব বর্মণ,নৃপতি চট্টোপাধ্যায়,তুলসী চক্রবর্তী, অজয় কর,অরবিন্দ মুখোপাধ্যায়, উৎপলা-সতীনাথ, মান্না দে এবং আরো অনেকের মজাদার সব গল্প গাঁথা।

'রুপোলি পর্দার অন্তরালে' বইটি প্রিবুকিং করুন গুগল পে করে বা ফোন পে করে। #গুগল_পে_নং এবং #ফোনপে নং- 9903308811
দাম-১৯০ টাকা।জিপে করে স্ক্রিন শটস এবং আপনার নাম, ঠিকানা ,বইটির নাম,লেখকের নাম সহ এই নং এই হোয়াটস‍্যাপ করে দিতে হবে।

20/12/2023

Diparun er AnuGalpa ও Deep Prakashan .
#নিঃসঙ্গ_মহুয়া
#পাঠ_প্রতিক্রিয়া

Abhijit Datta লিখেছেন - পড়লাম।

প্রথমত সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ হলো পরিষ্কার ও সোজাসাপ্টা ভাবে মৃত্যু রহস্য উন্মোচন করা। এতদিন ধরে জমানো মৃত্যু নিয়ে নানা অপ্রাসঙ্গিক কল্পনার নিরসন।

দ্বিতীয়ত, মৃত্যু নিয়ে এতদিন পর্যন্ত নিরাপরাধ একটি লোককে (তিলক বাবু) বার বার ভিলেন বানানো থেকে মুক্তি। শুনেছি তিলক বাবু আর নেই। বেচারা বেঁচে থাকলে আপনার লেখা পড়ে শান্তি পেতেন।

তৃতীয়ত প্রিয় অভিনেত্রীর মানুষ হিসাবে ভালো ও খারাপ দুটো দিকই পাঠকের সামনে তুলে ধরেছেন কিন্তু নিজে কোনো মতামত দেন নি। সম্পূর্ণ পাঠকের উপর ছেড়ে দিয়েছেন।

চতুর্থত খুবই প্রাঞ্জল লেখনী। ঘটনাকে গল্পের আকারে তুলে ধরে সুখপাঠ্য করেছেন বইটি।

যেটা পছন্দ হয় নি -

পৃষ্ঠাগুলোতে পুরানো খবরের কাগজের যে অংশগুলো দেওয়া হয়েছে সেগুলি পড়ার উপযুক্ত নয়। ওগুলো এক একটি পৃষ্ঠাতে দিলে অন্তত পড়া যেত। তাতে যদি বইটির দাম একটু বেশি হতো কোনো অসুবিধে ছিল না। কারণ এই বইটির ক্রেতারা যত দামিই হোক না কেন বইটি কিনবেনই।

সবশেষে আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার প্রচুর গবেষণা ও পরিশ্রমের ফসল এই বইটি আমাদের উপহার দেওয়ার জন্য।

ভালো থাকবেন
--
লেখকের কথা: নিঃসঙ্গ মহুয়া, মহুয়া রায়চৌধুরীর জীবন নির্ভর একটি উপন্যাস। বায়োপিক বলা যেতে পারে। এটি কোনো গবেষণা মূলক, বিশ্লেষণ ধর্মী কিংবা তদন্ত গ্রন্থ নয়। যারা মহুয়াকে কিংবা সাহিত্য পড়তে ভালবাসেন, বইটি তাদের জন্যে। এই কারণেই পুরোনো পত্রিকার পাতা গুলো রেফারেন্স ছবি হিসাবেই ছাপা হয়েছে। যাতে পাঠক অন্তত বুঝতে পারেন আগে তাঁকে নিয়ে কোথায় কি লেখা হয়েছে। আগ্রহী পাঠকরা নিশ্চয়ই পুরোনো পত্রিকা গুলো পড়বেন, ভাববেন এবং তাদের মতামত তৈরি করবেন। নিঃসঙ্গ মহুয়া তাদের একটি সুত্র ধরিয়ে দিতে চেয়েছে। সব তৃষ্ণা একটি মাত্র বইটিতে মিটিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেনি। আগামী দিনে মহুয়াকে নিয়ে আরও অনেকে কলম ধরবেন। নিঃসঙ্গ মহুয়া একটি সূচনা মাত্র।

মতামত দেওয়ার জন্য অভিজিৎ দত্তকে অনেক ধন্যবাদ জানাই। আর যারা বইটি পড়েছেন তারাও এমন ভাবে মতামত দিলে বইটি আরও প্রচার পাবে।

নমস্কার।

(ছবি: নিঃসঙ্গ মহুয়া উদ্বোধনের মুহূর্ত, ২রা ডিসেম্বর দীপ প্রকাশন, কলেজ স্ট্রিট)

20/12/2023

20/12/2023

#সুপ্রভাত।
মহুয়া রায়চৌধুরীর মা ও ওনার জন্মপরিচয় নিয়ে অনেককে এই পেজেও ইউটিউব প্রভাবিত খেউর করতে দেখেছি। এর আগেও অনেকের কথা দিয়েছি যারা বা যাদের নিকটজন ওনার মা-র অস্তিত্ব সম্পর্কে সম্পূর্ণ ওয়াকিবহাল।
আজ আর একজনের কথা :

19/12/2023

🎉 াত্র_একদিন ❤️📔
সোনালী যুগের সিনেপ্রেমীদের জন্য .......

মৌমিতা রায় চৌধুরী। ✍🏻 'রুপোলি পর্দার অন্তরালে' 📖 বইটির প্রিবুকিং চলছে।প্রিবুকিং এর লাস্ট ডেট - ২০ ডিসেম্বর।এটি বিভা পাবলিকেশনের বই।
এখন বুকিং করলে ২২ শতাংশ ছাড়ে মাত্র ১৯০ টাকাতেই বাড়িতে বসে পাওয়া যাবে বইটি.....
💥বইটিতে থাকছে আমাদের প্রিয় মহানায়ক,মহানায়িকার অজানা গল্প।এছাড়াও স্বর্ণযুগের মোট পঞ্চাশ জন শিল্পীদের নিয়েও লেখা চমকপ্রদ, অজানা গল্প।শুধু বাংলা ছবি নয় হিন্দি ছবির বেশকিছু অসাধারণ শিল্পীরাও থাকছেন বইতে মৌমিতা রায় চৌধুরীর কলমে।বুকিং করে ফেলুন সবাই...😊

'রুপোলি পর্দার অন্তরালে' বইটি প্রিবুকিং করুন 💥গুগল পে করে বা ফোন পে করে। #গুগল_পে_নং এবং #ফোনপে নং- 9903308811
দাম-১৯০ টাকা।জি পে করে স্ক্রিন শটস এবংআপনার নাম, ঠিকানা ,বইটির নাম,লেখকের নাম সহ এই নম্বরেই হোয়াটস‍্যাপ করে দিতে হবে।

🌟অথবা, বইটি বুকিং করতে পারেন নীচের লিঙ্কে গিয়ে সরাসরি বিভা পাবলিকেশনের নিজস্ব ওয়েবসাইট থেকে।👇🏻

Online Pre-booking order link:https://openinapp.link/gicib

19/12/2023

মৌমিতা রায় চৌধুরী।
প্রিবুকিং চলছে বেশ জোর কদমেই...আর মাত্র দুদিন বাকী ,তারপর একটু বাড়বে দামটা মানে এতখানি ডিসকাউন্ট থাকবে না স্বাভাবিকভাবেই।তাই যারা করেননি চটপট করেই ফেলুন।আর অবশ্যই বইটি পড়ে সব্বাই আমাকে পাঠ প্রতিক্রিয়া জানাবেন।এটাই আসল আবদার/অনুরোধ আমার।সকলের শুভকামনা প্রার্থনীয়।🙏🏻🤗

19/12/2023

Thanks for being a top engager and making it onto my weekly engagement list! 🎉 Kalpana Dutta, Susobhan Sengupta, Tanusree Dasgupta, Ramen Dutta, Saroj Munshi, Narayan Chandradas, Nupur Mukherjee Ganguly, Bidyendu Ghosh, Dipak Chakraborty, Mriganka Laha, Sayan Banerjee, Halder Halder, Barnali Banerjee, Bula Talukdar, Debraj Ray, Jagannath Datta, Sagarneel Roy, Somnath Saha, Tarun Ghosh, Sonali Munai Banerjee, Totan Kumar Mahato, বিশ্বস্রবা সিকদার, Indrani Mukherjee, জ্যোতিরিন্দ্র চক্রবর্তী, Debasish Ghosh, Soma Chatterjee, Babun Mukherjee, Shreya Kabiraj, Debasis Datta, Arpita Basu, Devi Roy, Soma Guha, Somenath Ghoshal, Tapasi Dey Bose, Rina Dey, Jayanta Dey, Santanu Majumder, Hemanta Bhar, Purnima Chatterjee, Sulata Mukherjee, Sutripta Manna, Madhuchhanda Roychowdhury, Mahua Banerjee Bhattacharya, Manju Das, Dipanwita Sinha, Dipankar Chaudhuri, Swarup Ghosh, MD Golam Haider, Md Mustak, Manabika Chakraborty

18/12/2023

মৌমিতা রায় চৌধুরী।

#বইমেলার_নতুন_বই



* * * * * * * * * * * * * * * * * * * *
【রুপোলি পর্দার অন্তরালে】
গুটি গুটি পায়ে ভারতীয় সিনেমা সঙ্গে বাংলা সিনেমা পেরিয়ে এসেছে অনেকটা পথ। কিন্তু আমরা যারা সিনেমাপ্রেমী তাদের স্মৃতিতে স্বর্ণযুগের সিনেমা ও সেই সময়ের কলা-কুশলীদের উপস্থিতি চির উজ্জ্বল।
এরকমই স্বর্ণ যুগের চলচ্চিত্রের ৫০জন চির বরণীয় কুশীলবদের কিছু মজার ঘটনা ও কাহিনি নিয়ে সাজানো এই বই। বইয়ের পাতায় রয়েছে মহানায়ক উত্তমকুমার থেকে শুরু করে কিশোরকুমার, মহম্মদ রফি, জহর রায়, গুরু দত্ত, নৃপতি চট্টোপাধ্যায় আরো অনেকের মজাদার সব গল্প গাঁথা।
* * * * * * * * * * * *
অর্ডার করুন ---
📖 বিভা নন-ফিকশন
🖊️ রুপোলি পর্দার অন্তরালে (মৌমিতা রায় চৌধুরী)
মূল্যঃ R̵s̵ ̵2̵4̵4̵ Rs 190
* * * * * * * * * * * * * * * * * * * *
আর হ্যাঁ এবছর আবার ফিরে আসতে চলেছে বিভার "বই পড়লে বই ফ্রি" প্রোগ্রাম। গত বছর বইমেলার আগে আমরা প্রায় ৪০০+ কপি বিভিন্ন বই পাঠকদের ফ্রি-তে ডিস্ট্রিবিউট করেছিলাম, পাঠকদের বই পড়া ও বই নিয়ে আলোচনা করার যে মহৎ কাজ তাকে সম্মান জানানোর জন্য। বাংলা সাহিত্যের প্রচার ও প্রসারে বই পড়া আর প্রতিনিয়ত বই নিয়ে আলোচনার বিকল্প কিছু নেই। পাঠকদের জানিয়ে রাখি বিভার নভেম্বর-২০২৩ এ প্রকাশিত বইয়ের বিভিউ বা পাঠ-প্রতিক্রিয়ার বিচারে আমরা সিলেক্টেড কিছু পাঠকদের আমাদের ডিসেম্বর-জানুয়ারি তে প্রকাশিত বইগুলো থেকে তাদের পছন্দের বই give-away হিসেবে ফ্রি-তে ডিস্ট্রিবিউট করব। আর এই কিছু সিলেক্টেড পাঠকের সংখ্যা এবছর ৬০০+ করার ইচ্ছে রয়েছে। তাই প্রিয় পাঠকবন্ধুরা দেরি না করে তাড়াতাড়ি সংগ্রহ করুন বিভার বই আর জানিয়ে ফেলুন আপনার পাঠ-প্রতিক্রিয়া।

Online Pre-booking order link:https://openinapp.link/gicib

17/12/2023

#অনিমেষ দাশগুপ্ত লিখেছেন: - ১৯৮০/৮১তে আসানসোল কল্যানেশ্বরী মন্দির প্রাঙ্গণে একটি ছবির শ্যুটিং করতে এসেছিলেন মহুয়া রায়চৌধুরী, চিত্র সাংবাদিকতায় আমার হাতেখড়ি সেই বাংলা ছবির (ছবির নাম মনে নেই) শ্যুটিংয়ের কিছু মুহূর্ত, সেদিন আমার ক্যামেরায় বন্দি মহুয়া রায়চৌধুরী :

17/12/2023

Kamal Banerjee আজীবন দমদমের বাসিন্দা। মহুয়া রায়চৌধুরীর দাদা পিনাকী রায়চৌধুরী ওনার বন্ধু ছিলেন , এবং সেই সূত্রে মহুয়া রায়চৌধুরীর সাথে আলাপ ও হৃদ্যতা। অতীতেও মহুয়া রায়চৌধুরীর স্মৃতিচারণ করেছেন এই পেজে।
জীবনের উপান্তে এসে আত্মজীবনী লিখছেন ফেসবুকে। সেখান থেকে মহুয়া রায়চৌধুরীর স্মৃতিকথায় ভর্তি আরো একটা পর্ব দিলাম আপনাদের জন্য .....

▪▪▪▪▪▪▪▪
দেখতে দেখতে রজত জয়ন্তী পর্ব্ব পার করে ফেললাম এই স্মৃতিগাথায় । সেই 11 নভেম্বর শুরু করেছিলাম , আর আজ 16 ডিসেম্বর । এখনও আমি কিন্তু সেই সত্তর দশকের মাঝামাঝি সময়েই আটকে আছি । এত ঘটনাবহুল দশক পরপর এসেছে যে বলতে গেলে প্রচুর সময়ের দরকার । বকবক না করে ঘটনাগুলোতে ঢুকে পড়ি , কী বলেন ?
☆☆ পুরো সত্তর ও আশির দশক ছিল জমজমাট । একদিকে পুরোদমে সঙ্গীত জগতে জড়িয়ে যাওয়া , অন্যদিকে চাকরি পাওয়া ও করা , তার আগে স্কুল -কলেজ জীবন শেষ করা -সব যেন একের পর এক চিত্রনাট্য অনুযায়ী চলেছিল।
☆☆ অনেক আগেই কোনও এক পর্ব্বে উল্লেখ করেছিলাম অকালপ্রয়াতা অভিনেত্রী মহুয়া রায়চৌধুরীর কথা । হ্যাঁ , মোটামুটি 1971-72 সাল থেকেই ওঁর সঙ্গে পরিচিতির গন্ডিটা একেবারে খুব কাছের মানুষের মতোই গড়ে ওঠে । সত্তরের শুরু থেকে আমরা পিনাকীর চার-পাঁচ বন্ধুরা ছোট বোনের মতোই দেখেছি , ঠাট্টা-ইয়ার্কি , এমনকী ফুটবল , ব্যাডমিন্টন খেলেছি বহুদিন । প্রসঙ্গত একটা তথ্য জানিয়ে রাখি , " সাহেব " ছবিটা অনেকেই দেখেছেন আপনারা যে ছবিতে সাহেব মানে তাপস পাল গোলরক্ষকের ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন। নায়িকাবর্জিত ঐ ছবিতে মহুয়াকে কাস্ট করা হয়েছিল তাপসের বোনের চরিত্রে । কেন ? ততদিনে "পারাবত প্রিয়া " ও " দাদার কীর্তি" হয়ে গেছে যে ছবিগুলোতে তাপসের বিপরীতে মহুয়া রায়চৌধুরী তখন " সুপারহিট "। সেই নায়িকার চরিত্র ছেড়ে বোনের রোলে এসেছিল মহুয়া । কেন ? একটাই কারণে । শুনলে অবাক হয়ে যাবেন , তাপসের গোলরক্ষকের ভূমিকায় অভিনয় করার নেপথ্যে ছিল মহুয়া । মহুয়াই বেশিরভাগ অংশটাতে তাপসের " কোচ " হিসেবে দেখেছি । ও-ই তাপসকে ট্রেনিং দিয়েছিল বেশ কয়েকটা শটে ।
এছাড়াও, ক্যারম খেলাটাও বেশ ভাল খেলতে পারতো । কিন্তু , ক্যারম বা তাস খেলাটা দু চোখে দেখতে পারতো না ।
☆☆ একটা দারুণ মজার বিষয় ছিল লক্ষ্য করার । ও দাদার বন্ধুদের নামের সঙ্গে "দা " শব্দটা জুড়ে নিয়ে সম্বোধন করতো । যেমন , বাবুদা, তপুদা , কালোদা -জাতীয় । কিন্তু আমাকে কেন জানিনা শুধুই "দাদা" বলেই সম্বোধন করতো । একদিন , সেটা বোধহয় ঐ 1976-77 সালেরই কোনও একদিন, আমি ব্যাপারটা খেয়াল করলাম । ওর মা টেলিফোন ভবনে চাকরি করতেন এবং বেশ উঁচু পোস্টেই। দমদম ক্লাইভ হাউসের সামনে যশোর রোডের ওপর টেলিফোন কোয়ার্টার আছে , সেখানে ঢুকেই বাঁহাতের যে কোয়ার্টারটা আছে তার দোতলায় ওরা থাকতো । তিনটে ঘর ছিল । একটাতে ওর বাবা-মা , একটাতে ও আর একটা একটু ছোট ঘর ছিল যেটাতে পিনাকী থাকতো । আমাদের আড্ডাস্থলই ছিল পিনাকীর ঐ খুপরি ঘরটা।
☆☆"শ্রীমান পৃথ্বীরাজ " হিট হলো । ব্যাস , সাধারণ একটা পুঁচকে মেয়ে হয়ে উঠলো নায়িকা । যে মেয়েটা 1972-এর আগে সাধারণের মতো হেঁটেচলে বেড়াতো , নায়িকা হয়ে যাওয়াতে " সেলিব্রিটি" হয়ে গেল। কোয়ার্টারের ঠিক উল্টোদিকেই মেয়েদের কলেজ " সরোজিনী নাইডু কলেজ ফর উইমেন্স"। অনেকদিন বিকেলে দেখেছি কলেজের অনেক ছাত্রী জমায়েত হতো একসঙ্গে একটিবার হিরোইন মহুয়া রায়চৌধুরীকে চোখের দেখা দেখবে বলে । কোয়ার্টারের মেন গেটটা দিয়ে ঢুকেই এই দৃশ্য অগুন্তিবার দেখেছি । আর আমি ঐ মেয়েগুলোর মাঝখান দিয়ে ঢুকে সোজা দোতলায়। আমার সত্যিই বলছি খুব হাসি পেতো সেসব দিনগুলোতে। আর মাথায় বদবুদ্ধিও কম খেলতো না তখন। পিনাকীর ঘরটা ছোট হলে কি হবে , ঘরের সামনে উত্তরমুখী বারান্দাটা ছিল। আমরা বন্ধুরা সবসময় ঐ বারান্দায় দাঁড়িয়েই সিগারেট খেতাম।
☆☆ এরকমই দিনগুলোতে যেদিন নীচে কলেজের মেয়েগুলো অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করতো যদি একবার ঐ বারান্দায় গিয়ে তাদের নায়িকা একবার দেখা দেয় এই আশায়। এটা বেড়ে গেল "পারাবত প্রিয়া " বা "দাদার কীর্তি"র শুটিংয়ের আগে থেকেই। ঐ সময়ে ও তিলককে বিয়েও করে নিয়েছে , "গোলা " হবো-হবো করছে বোধহয়। একদিন আমি ডাবলুকে বলেই ফেললাম " যা না বারান্দায় দাঁড়িয়ে মেয়েগুলোর দিকে একবার হাসিমুখে হাত নাড়িয়ে আয় না । মেয়েগুলো আনন্দ পাবে । "ও সেদিন আমার কথা রেখেছিল । আমি লাইন থেকে একটু সরে এসেছি ইতিমধ্যেই। যেটা বলছিলাম, সেটা সেরে নি । দাদার বন্ধুদের নামের সঙ্গে " দা" সম্বোধন আর আমি কেন শুধুই "দাদা "? হয়েছিল কি , যতদিন ও নায়িকা হয়নি ততদিন ও সবার বোন হয়েই ছিল। কিন্তু, যেই নায়িকা হয়ে উঠলো , সত্যিই বলছি আমাদের বন্ধুদের মধ্যে বেশ পরিবর্তন এসে গেল । সবাই ওকে ঐ নায়িকা নায়িকা ভাবেই দেখতে শুরু করলো । আমি চিরকালই খুব সিধাসাধা ছিলাম , জীবনের শেষদিন পর্যন্তও তাই থেকে যাবো । আমি খেয়াল করিনি " ডাবলু " কিন্তু বুঝেছিল । তাই আমি যেদিন ওকে জিজ্ঞাসাটা করেছিলাম যে আর সবাইকে নামের সঙ্গে দা জুড়ে কথা বললেও আমি কেন শুধুই দাদা ? উত্তরটা সপাটে দিয়েছিল ," কেন ? কারণ তুই আমাকে এক সেকেন্ডের জন্যও হিরোইন ভাবিস না , বোন ভাবিস , তাই তুই শুধুই দাদা "। হ্যা , এটা চরম বাস্তব যে ওকে আমি নায়িকা হিসেবে ভাবিইনি এক মূহূর্তের জন্যও। তাই , ও যেদিন "দাদার কীর্তি"র সাফল্যে উৎফুল্ল তখন বলেছিল "কি রে দাদা , এবার তো মানবি নাকি যে আমি একটু হলেও অভিনয়টা পারি "? আমি সেদিনও বলেছিলাম "তুই যেদিন বিদেশ থেকে স্বীকৃতি আদায় করে আনতে পারবি সেদিন বলবো তুই অভিনেত্রী "। বিশ্বাস করুন , আমার "ডাবলু " , আপনাদের মহুয়া রায়চৌধুরী সেই চ্যালেঞ্জটা নিয়েছিল বেশ রাগতভাবেই । বলেছিল " তুই কিন্তু আমাকে চিনিসনি এখনও । আমি তোর চ্যালেঞ্জ অ্যাকসেপ্ট করলাম । তোকে দিয়ে বলিয়েই ছাড়বো যে মহুয়া রায়চৌধুরী একজন অভিনেত্রী ।" কি পোড়া কপাল আমার , আমি জীবনে সেই সুযোগটা আর পেলামই না । যেদিন " আদমি আউর অওরত "-এর জন্য পুরস্কারটা পেলো , তার অনেক আগেই ও আমাদের সবাইকে ফাঁকি দিয়ে চিরকালের মতো মহাপ্রস্থানের পথে রওনা দিয়েছে । সামনাসামনি স্বীকার করার সুযোগটুকুও দিলি না ডাবলু । খুব খারাপ করলি কিন্তু । জানিস ডাবলু রাগে , দুঃখে , কষ্টে , যন্ত্রণায় তোর সঙ্গে তোলা চল্লিশ-বিয়াল্লিশটা ছবিও তোর মতোই জ্বালিয়ে পুড়িয়ে শেষ করে দিয়েছি রে । রাগ করিস না । ঠোঁট ফোলাবি না কিন্তু । তুই তার বদলে কটা কিল মেরে যা , আমি সেই আগের মতোই হেসেই যাবো । তারপরই তুই ঝরঝর করে কেঁদে ফেলবি । আমি পকেট থেকে চকোলেট বের করে তোর হাতে ধরিয়ে দেবো। এক মিনিটের মধ্যে কান্না উধাও হয়ে প্রভাতী সূর্যের মতো খিলখিল করে হাসবি আর মাথা দোলাবি । তোর খোলা চুলের ঝাপটা এসে পড়বে তোর দাদার মুখচোখে।
আজ এই পর্যন্তই থাক । খুব কষ্ট হচ্ছে আমার। চোখ জলে ভিজে যাচ্ছে লিখতে পারছি না।
☆☆ গতকাল ঠিক যেখানে শেষ করেছিলাম , ঠিক সেখান থেকেই শুরু করি । যে সময়ের কথা বলছি অর্থাৎ সত্তর দশক , তখন মোবাইল ফোন কি বস্তু কেউ জানতো না। ল্যান্ডলাইন ফোন তখন যাঁর বাড়িতে থাকতো , তিনি তখন অভিজাত বলেই গণ্য হতেন । হ্যা, মহুয়ার কোয়ার্টারেও অবশ্যই ঐ ল্যান্ডলাইন ফোন ছিল যেহেতু ওর মা নিজে টেলিফোন দপ্তরের কর্মী ছিলেন । ডিপার্টমেন্ট থেকেই ফোনটা বরাদ্দ করা ছিল। তখন ছয় সংখ্যার নম্বর ছিল। নম্বরটাও আমার মনে আছে এখনও। সেটা আর উল্লেখ করছি না কারণ তার প্রাসঙ্গিকতাই আর নেই এখন। মহুয়া সবসময় ডায়েরি মেইনটেইন করতো আমি জানি। কোন তারিখে কোথায় , কখন " কাজ " করতে হবে সেটা লিখে রাখতো । এবং বছর শুরুর আগে আমার দায়িত্ব ছিল ডায়েরির প্রথম পাতায় সুন্দর করে ওর নামটা লিখে দেওয়া। তিন-চার রকমের কালি দিয়ে লিখে দিতে হবে। এই কাজটা আমি অন্তত চার-পাঁচ বছর করেছি মনে আছে। আমার হাতের লেখা নাকি খুব সুন্দর ছিল বলেই এই আবদার । শুটিংকে ও সিরিয়াসলিই নিতো বরাবর । যে কারণেই চট করে সুখ্যাতি অর্জন করতে পেরেছিল । ভেবে দেখুন , মোটামুটি 1972 থেকে 1985-র জীবনের শেষদিন পর্যন্ত মোটামুটি 13-14 বছরে ডাবলু বেশি নয়, মাত্র 94-টা ছবি পুরোটাই , 3-টে ছবি অর্দ্ধসমাপ্ত করে যেতে পেরেছিল। যখন চলে যায় তখন তিনটে ছবির কাজ চলছে , সাতটা ছবি লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে শুটিং শুরু হবে বলে। কোন্ উচ্চতায় তুলে নিয়ে যেতে পারলে এটা করা সম্ভব ? তাও আবার টালিগঞ্জে, বাংলা ছবির জগতে । বলিউড নয় কিন্তু । অনেকেই জানেন না , উত্তমকুমারের পর ওই ছিল প্রথম " একলাখি " অভিনেতা। উত্তমকুমার নিতেন এক লাখ পঁচিশ -ত্রিশ হাজার টাকা আর 1982-তে মহুয়া নিতো পাক্কা এক লাখ টাকা প্রতি ছবিতে।
☆☆ ব্যক্তিগত সম্পর্কের কথা বলি। ডাবলু বারেবারেই বলতো " দাদা তুই তো আর ভালবাসা-টাসা করলি না । তুই তো সম্বন্ধ করেই বিয়ে করবি । ঠিক আছে , অসুবিধা নেই। তবে আমি কিন্তু বলে দিচ্ছি , তোর জন্য পাত্রী পছন্দ করার আগে আমি নিজে যাবো , দেখবো কে আমার বৌদি হবে । আমার পছন্দ হলে তবেই তুই বিয়ের পিঁড়িতে বসতে পারবি ।" তিলক আর পিনাকীও ওর পোঁ ধরেছিল। আমি বলেছিলাম " মাথা খারাপ নাকি রে তোর ? তুই এখন নামিদামী নায়িকা তোকে নিয়ে পাত্রী দেখতে গেলে হুজ্জুতি পড়ে যাবে রে। মেয়ের বাড়ির লোকজন, পাড়াপড়শিরা তো ছেঁকে ধরবে আমাদের । উরে ব্বাস, পাত্রী দেখতে মহুয়া রায়চৌধুরী এসেছেন ? পাত্রের তো বিশাল ফিল্ড । নায়িকাকে নিয়ে এসেছে মেয়ে দেখতে ? " বাস্তবে কিন্তু সেরকম কিছু হয়নি।
☆☆ আর একটা ঘটনার কথা মনে পড়ে গেল । আমি তখন চাকরি করছি , নাইট সেটে ডিউটি । অফিসের ফোন নং ওকে দেওয়া ছিল। তখন লাউঞ্জ বিল্ডিং-এই চাকরি করি । আমাদের অফিসে স্টাফ ক্যান্টিন আছে । সেটা তখন ছিল উল্টোদিকের হলুদ রঙের D.O. HRO. SRO বিল্ডিংয়ের মধ্যেই। সইসাবুদ করে ক্যান্টিনে গেছি চা খেতে । এরকম সময়ে ডাবলু অফিসে ফোন করেছে। ধরেছিলেন সেকশনের বড়বাবু । তাঁকে শুধু ও বলেছিল " কমল ব্যানার্জিকে বলবেন দমদম টেলিফোন কোয়ার্টার থেকে একজন ফোন করেছিল ।" ভাল কথা , চা খেয়েটেয়ে এসে তো আমরা যে যার কাজে লেগে পড়েছি । ঐ বড়বাবু ব্যাটা আমাকে বলতেই ভুলে গেছে। তখন প্রায় রাত এগারোটা হবে । তখন বড়বাবু আমাকে বলছেন " কমল সন্ধ্যাবেলায় দমদম টেলিফোন কোয়ার্টার থেকে একজন মহিলা তোমাকে ফোন করে খুঁজছিলেন । তোমাকে বলতেই ভুলে গেছি ।" আমি তো বুঝলাম কে করেছে । এবার আমার পেছনে সবাই লাগা শুরু করলো । কি ব্যাপার? রাতের বেলায় মহিলা ফোন করছেন , তাও বাড়ির কেউ না । নিশ্চয়ই কিছু ব্যাপার আছে । বাধ্য হয়েই আমি বলেই দিলাম " আপনি এত রাতে আমাকে জানাচ্ছেন? ছিঃ। ছিঃ। কোনও জরুরি দরকার ও তো থাকতে পারে নাকি ? কে ফোন করেছিল জানেন ? আপনাদের বাংলা ছবির নায়িকা মহুয়া রায়চৌধুরী , আর কেউ নয় । ও কে হয় জানেন ? আমার বন্ধুর বোন ।" আসলে ডাবলু একটু ভুল করেছিল । সেটা হোল ও যদি নিজের নামটা বলতো যে মহুয়া রায়চৌধুরী বলছি । কমল ব্যানার্জিকে চাই। তাহলে সুড়সুড় করে বড়বাবুর মনে পড়ে যেতো । অত রাত হতোনা।
এখন রাখছি । পরে কথা হবে।

17/12/2023

সুপ্রভাত।
মহুয়া রায়চৌধুরীর ওপর প্রথম পূর্ণাঙ্গ গ্রন্থএর লেখক Diparun Bhattacharyya ভাগ করেছেন নিজের অনুভুতি :

নিঃসঙ্গ_মহুয়া

প্রকাশকের থেকে জানা গেল নিঃসঙ্গ মহুয়া বইটির দ্বিতীয় মুদ্রণ বাজারে এসেছে। বইটি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশিত হয়েছিল ২রা ডিসেম্বর। অর্থাৎ দুই সপ্তাহের মধ্যেই প্রথম মুদ্রণের সবকটি বই প্রকাশকের ঘর থেকে পাঠকদের ঘরে চলে গিয়েছে। বাংলা বই বিষয়ে যারা খোঁজ খবর রাখেন তাদের মতে এটা খুবই ভালো। যদিও বিষয়টা নিয়ে আমি আরও একটু গভীরে চিন্তা করতে আগ্রহী।

প্রকাশক কেবলমাত্র বিক্রির কথা বলতে পারেন। বিক্রি হয়ে যাওয়ার পর সেই বই ক্রেতার আলমারিতে সুরক্ষিত থাকবে না কি ঢুকে পড়বে পাঠকের মনের ভিতরে, সেটা বলে দেওয়া কঠিন। বইয়ের মধ্যে আলো খুঁজে পেলে পাঠক অন্য পাঠকদের কাছে সেই আলোর সন্ধান দেন। এভাবেই লেখকের যাত্রাপথ সুগম কিংবা দুর্গম হয়ে ওঠে। লেখক হিসাবে আমি চিরকাল সেই আলোর সন্ধান করে যাবো যা আমাকে আরও পড়তে, আরও ভাবতে এবং আরও লিখতে উদ্বুদ্ধ করবে।

সকলকে অশেষ ধন্যবাদ জানাই।
--
দীপারুণ ভট্টাচার্য

16/12/2023

Deep Prakashan ও Diparun er AnuGalpa .
দীপারুণ ভট্টাচার্যের কলমে বাংলায় প্রথম চিত্রনায়িকা মহুয়া রায় চৌধুরীকে নিয়ে লেখা বই "নিঃসঙ্গ মহুয়া"। প্রকাশিত হওয়ার খুব অল্প দিনের মধ্যেই নিঃশেষ হয়েছে প্রথম মুদ্রণের সব বই! লেখককে আন্তরিক অভিনন্দন এবং পাঠক পাঠিকাদের কৃতজ্ঞতা জানাই 📷

16/12/2023

Kamal Banerjee আজীবন দমদমের বাসিন্দা। মহুয়া রায়চৌধুরীর দাদা পিনাকী রায়চৌধুরী ওনার বন্ধু ছিলেন , এবং সেই সূত্রে মহুয়া রায়চৌধুরীর সাথে আলাপ ও হৃদ্যতা। অতীতেও মহুয়া রায়চৌধুরীর স্মৃতিচারণ করেছেন এই পেজে।
জীবনের উপান্তে এসে আত্মজীবনী লিখছেন ফেসবুকে। সেখান থেকে মহুয়া রায়চৌধুরীর স্মৃতিকথায় ভর্তি একটা পর্ব দিলাম আপনাদের জন্য .....

■■স্মৃতি■■
পর্ব্ব -26
▪▪▪▪▪▪▪▪
দেখতে দেখতে রজত জয়ন্তী পর্ব্ব পার করে ফেললাম এই স্মৃতিগাথায় । সেই 11 নভেম্বর শুরু করেছিলাম , আর আজ 16 ডিসেম্বর । এখনও আমি কিন্তু সেই সত্তর দশকের মাঝামাঝি সময়েই আটকে আছি । এত ঘটনাবহুল দশক পরপর এসেছে যে বলতে গেলে প্রচুর সময়ের দরকার । বকবক না করে ঘটনাগুলোতে ঢুকে পড়ি , কী বলেন ?
☆☆ পুরো সত্তর ও আশির দশক ছিল জমজমাট । একদিকে পুরোদমে সঙ্গীত জগতে জড়িয়ে যাওয়া , অন্যদিকে চাকরি পাওয়া ও করা , তার আগে স্কুল -কলেজ জীবন শেষ করা -সব যেন একের পর এক চিত্রনাট্য অনুযায়ী চলেছিল।
☆☆ অনেক আগেই কোনও এক পর্ব্বে উল্লেখ করেছিলাম অকালপ্রয়াতা অভিনেত্রী মহুয়া রায়চৌধুরীর কথা । হ্যাঁ , মোটামুটি 1971-72 সাল থেকেই ওঁর সঙ্গে পরিচিতির গন্ডিটা একেবারে খুব কাছের মানুষের মতোই গড়ে ওঠে । সত্তরের শুরু থেকে আমরা পিনাকীর চার-পাঁচ বন্ধুরা ছোট বোনের মতোই দেখেছি , ঠাট্টা-ইয়ার্কি , এমনকী ফুটবল , ব্যাডমিন্টন খেলেছি বহুদিন । প্রসঙ্গত একটা তথ্য জানিয়ে রাখি , " সাহেব " ছবিটা অনেকেই দেখেছেন আপনারা যে ছবিতে সাহেব মানে তাপস পাল গোলরক্ষকের ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন। নায়িকাবর্জিত ঐ ছবিতে মহুয়াকে কাস্ট করা হয়েছিল তাপসের বোনের চরিত্রে । কেন ? ততদিনে "পারাবত প্রিয়া " ও " দাদার কীর্তি" হয়ে গেছে যে ছবিগুলোতে তাপসের বিপরীতে মহুয়া রায়চৌধুরী তখন " সুপারহিট "। সেই নায়িকার চরিত্র ছেড়ে বোনের রোলে এসেছিল মহুয়া । কেন ? একটাই কারণে । শুনলে অবাক হয়ে যাবেন , তাপসের গোলরক্ষকের ভূমিকায় অভিনয় করার নেপথ্যে ছিল মহুয়া । মহুয়াই বেশিরভাগ অংশটাতে তাপসের " কোচ " হিসেবে দেখেছি । ও-ই তাপসকে ট্রেনিং দিয়েছিল বেশ কয়েকটা শটে ।
এছাড়াও, ক্যারম খেলাটাও বেশ ভাল খেলতে পারতো । কিন্তু , ক্যারম বা তাস খেলাটা দু চোখে দেখতে পারতো না ।
☆☆ একটা দারুণ মজার বিষয় ছিল লক্ষ্য করার । ও দাদার বন্ধুদের নামের সঙ্গে "দা " শব্দটা জুড়ে নিয়ে সম্বোধন করতো । যেমন , বাবুদা, তপুদা , কালোদা -জাতীয় । কিন্তু আমাকে কেন জানিনা শুধুই "দাদা" বলেই সম্বোধন করতো । একদিন , সেটা বোধহয় ঐ 1976-77 সালেরই কোনও একদিন, আমি ব্যাপারটা খেয়াল করলাম । ওর মা টেলিফোন ভবনে চাকরি করতেন এবং বেশ উঁচু পোস্টেই। দমদম ক্লাইভ হাউসের সামনে যশোর রোডের ওপর টেলিফোন কোয়ার্টার আছে , সেখানে ঢুকেই বাঁহাতের যে কোয়ার্টারটা আছে তার দোতলায় ওরা থাকতো । তিনটে ঘর ছিল । একটাতে ওর বাবা-মা , একটাতে ও আর একটা একটু ছোট ঘর ছিল যেটাতে পিনাকী থাকতো । আমাদের আড্ডাস্থলই ছিল পিনাকীর ঐ খুপরি ঘরটা।
☆☆"শ্রীমান পৃথ্বীরাজ " হিট হলো । ব্যাস , সাধারণ একটা পুঁচকে মেয়ে হয়ে উঠলো নায়িকা । যে মেয়েটা 1972-এর আগে সাধারণের মতো হেঁটেচলে বেড়াতো , নায়িকা হয়ে যাওয়াতে " সেলিব্রিটি" হয়ে গেল। কোয়ার্টারের ঠিক উল্টোদিকেই মেয়েদের কলেজ " সরোজিনী নাইডু কলেজ ফর উইমেন্স"। অনেকদিন বিকেলে দেখেছি কলেজের অনেক ছাত্রী জমায়েত হতো একসঙ্গে একটিবার হিরোইন মহুয়া রায়চৌধুরীকে চোখের দেখা দেখবে বলে । কোয়ার্টারের মেন গেটটা দিয়ে ঢুকেই এই দৃশ্য অগুন্তিবার দেখেছি । আর আমি ঐ মেয়েগুলোর মাঝখান দিয়ে ঢুকে সোজা দোতলায়। আমার সত্যিই বলছি খুব হাসি পেতো সেসব দিনগুলোতে। আর মাথায় বদবুদ্ধিও কম খেলতো না তখন। পিনাকীর ঘরটা ছোট হলে কি হবে , ঘরের সামনে উত্তরমুখী বারান্দাটা ছিল। আমরা বন্ধুরা সবসময় ঐ বারান্দায় দাঁড়িয়েই সিগারেট খেতাম।
☆☆ এরকমই দিনগুলোতে যেদিন নীচে কলেজের মেয়েগুলো অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করতো যদি একবার ঐ বারান্দায় গিয়ে তাদের নায়িকা একবার দেখা দেয় এই আশায়। এটা বেড়ে গেল "পারাবত প্রিয়া " বা "দাদার কীর্তি"র শুটিংয়ের আগে থেকেই। ঐ সময়ে ও তিলককে বিয়েও করে নিয়েছে , "গোলা " হবো-হবো করছে বোধহয়। একদিন আমি ডাবলুকে বলেই ফেললাম " যা না বারান্দায় দাঁড়িয়ে মেয়েগুলোর দিকে একবার হাসিমুখে হাত নাড়িয়ে আয় না । মেয়েগুলো আনন্দ পাবে । "ও সেদিন আমার কথা রেখেছিল । আমি লাইন থেকে একটু সরে এসেছি ইতিমধ্যেই। যেটা বলছিলাম, সেটা সেরে নি । দাদার বন্ধুদের নামের সঙ্গে " দা" সম্বোধন আর আমি কেন শুধুই "দাদা "? হয়েছিল কি , যতদিন ও নায়িকা হয়নি ততদিন ও সবার বোন হয়েই ছিল। কিন্তু, যেই নায়িকা হয়ে উঠলো , সত্যিই বলছি আমাদের বন্ধুদের মধ্যে বেশ পরিবর্তন এসে গেল । সবাই ওকে ঐ নায়িকা নায়িকা ভাবেই দেখতে শুরু করলো । আমি চিরকালই খুব সিধাসাধা ছিলাম , জীবনের শেষদিন পর্যন্তও তাই থেকে যাবো । আমি খেয়াল করিনি " ডাবলু " কিন্তু বুঝেছিল । তাই আমি যেদিন ওকে জিজ্ঞাসাটা করেছিলাম যে আর সবাইকে নামের সঙ্গে দা জুড়ে কথা বললেও আমি কেন শুধুই দাদা ? উত্তরটা সপাটে দিয়েছিল ," কেন ? কারণ তুই আমাকে এক সেকেন্ডের জন্যও হিরোইন ভাবিস না , বোন ভাবিস , তাই তুই শুধুই দাদা "। হ্যা , এটা চরম বাস্তব যে ওকে আমি নায়িকা হিসেবে ভাবিইনি এক মূহূর্তের জন্যও। তাই , ও যেদিন "দাদার কীর্তি"র সাফল্যে উৎফুল্ল তখন বলেছিল "কি রে দাদা , এবার তো মানবি নাকি যে আমি একটু হলেও অভিনয়টা পারি "? আমি সেদিনও বলেছিলাম "তুই যেদিন বিদেশ থেকে স্বীকৃতি আদায় করে আনতে পারবি সেদিন বলবো তুই অভিনেত্রী "। বিশ্বাস করুন , আমার "ডাবলু " , আপনাদের মহুয়া রায়চৌধুরী সেই চ্যালেঞ্জটা নিয়েছিল বেশ রাগতভাবেই । বলেছিল " তুই কিন্তু আমাকে চিনিসনি এখনও । আমি তোর চ্যালেঞ্জ অ্যাকসেপ্ট করলাম । তোকে দিয়ে বলিয়েই ছাড়বো যে মহুয়া রায়চৌধুরী একজন অভিনেত্রী ।" কি পোড়া কপাল আমার , আমি জীবনে সেই সুযোগটা আর পেলামই না । যেদিন " আদমি আউর অওরত "-এর জন্য পুরস্কারটা পেলো , তার অনেক আগেই ও আমাদের সবাইকে ফাঁকি দিয়ে চিরকালের মতো মহাপ্রস্থানের পথে রওনা দিয়েছে । সামনাসামনি স্বীকার করার সুযোগটুকুও দিলি না ডাবলু । খুব খারাপ করলি কিন্তু । জানিস ডাবলু রাগে , দুঃখে , কষ্টে , যন্ত্রণায় তোর সঙ্গে তোলা চল্লিশ-বিয়াল্লিশটা ছবিও তোর মতোই জ্বালিয়ে পুড়িয়ে শেষ করে দিয়েছি রে । রাগ করিস না । ঠোঁট ফোলাবি না কিন্তু । তুই তার বদলে কটা কিল মেরে যা , আমি সেই আগের মতোই হেসেই যাবো । তারপরই তুই ঝরঝর করে কেঁদে ফেলবি । আমি পকেট থেকে চকোলেট বের করে তোর হাতে ধরিয়ে দেবো। এক মিনিটের মধ্যে কান্না উধাও হয়ে প্রভাতী সূর্যের মতো খিলখিল করে হাসবি আর মাথা দোলাবি । তোর খোলা চুলের ঝাপটা এসে পড়বে তোর দাদার মুখচোখে।
আজ এই পর্যন্তই থাক । খুব কষ্ট হচ্ছে আমার। চোখ জলে ভিজে যাচ্ছে লিখতে পারছি না।

16/12/2023

মৌমিতা রায় চৌধুরী।
সুপ্রভাত ।
স্বর্ণালী যুগের বাংলা সিনে প্রেমীদের জন্য .......

15/12/2023

Deep Prakashan ও Diparun er AnuGalpa .

মহুয়া রায়চৌধুরী। অকালমৃত্যুর এতগুলো বছর পেরিয়ে এই নেটদুনিয়াতেও সমান প্রাসঙ্গিক তিনি। সেই সময়ের দর্শকেরা যেমন ভোলেননি তাঁকে, ঠিক তেমনি মাঝামাঝি সময়ের দর্শকেরা যাদের একটা অংশ নেটিজেনের অবিচ্ছেদ্য অংশ, তাঁদের আগ্রহেই ক্রমশ নব্য প্রজন্মও উৎসাহিত হচ্ছে সুন্দরী ও প্রতিভাময়ী এই নায়িকার প্রতি। এটা একটা ভাল দিক। মহুয়াকে নিয়ে দীপ প্রকাশন থেকে দীপারুন ভট্টাচার্যের লেখা নি:সঙ্গ মহুয়া বলে একটি বইও বেরিয়েছে। বঙ্গ চলচ্চিত্র, যা নিয়ে সাহিত্যজগতে একটা সময় কাজ শুধুমাত্র চলচ্চিত্র পত্রিকাতেই সীমিত থেকেছে, ইদানিং যে সেখান থেকে বেরিয়ে মূলস্রোতে এ নিয়ে রিসার্চারেরা কলম ধরছেন, এটা আমাদের মতো চলচ্চিত্র প্রেমিকদের কাছে অতীব গৌরবের। যাহোক, মহুয়াকে নিয়ে কাজটা বা কাজগুলো সাফল্য পাবে আশা রাখি।

Asthir Kabi [ UttamKumar & GoldenEra ]

14/12/2023

Deep Prakashan ও Diparun er AnuGalpa .
#নিঃসঙ্গ মহুয়া
#পাঠ প্রতিক্রিয়া
#তরুণ কুমার দাস।
বইটা পড়া শেষ করলাম। অনেক সমৃদ্ধ হলাম। অনেক নতুন তথ্য উন্মোচিত হল। দীপারুনবাবু ব্যাক্তি মহুয়ার মননকে তুলে ধরতে চেয়েছেন। সেইসাথে রত্না দেবী ও তিলকবাবুর অসহায়ত্ব প্রকাশ করেছেন। তবে মহুয়া জীবনীর অন্ধকারতম জায়গাটা হল ওনার মায়ের সম্পর্কে বিস্তারিত কিছুই জানা যায় না। মা কি মেয়ের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক রাখতেন না? মেয়ের ভালোমন্দের ব্যাপারে ওনার কি কিছুই বলার ছিল না? দীপারুনবাবু কে ধন্যবাদ। উনি আরো লিখুন।

14/12/2023

মহুয়া রায়চৌধুরী অভিনীত ' অজস্র ধন্যবাদ ' , ' দম্পতি ' ও ' কবিতা ' ছবির বিজ্ঞাপন খবরের কাগজের পাতা থেকে জ্যোতিরিন্দ্র চক্রবর্তী -র সৌজন্যে।

13/12/2023

মৌমিতা রায় চৌধুরী।
স্বর্ণালী যুগের বাংলা সিনে প্রেমীদের জন্য .......

13/12/2023

Deep Prakashan .
জেলায় জেলায় পাঠকের হাতে পৌঁছে যাচ্ছে বাংলা প্রকাশনায় সর্বপ্রথম মহুয়া রায় চৌধুরীকে নিয়ে লেখা বই "নিঃসঙ্গ মহুয়া" 🏟️🎪

আমরা কৃতজ্ঞ আমরা আপ্লুত 🎡

13/12/2023

সুপ্রভাত।
মহুয়া রায়চৌধুরী অভিনীত ছবির বিজ্ঞাপন সেই সময়ের পত্রিকার পাতা থেকে। হ্যাঁ , অতীত কথা কইছে জ্যোতিরিন্দ্র চক্রবর্তী -র অবিশ্বাস্য ব্যক্তিগত সংগ্রহের দৌলতে।

12/12/2023

Thanks for being a top engager and making it onto my weekly engagement list! 🎉 Susobhan Sengupta, Sayan Banerjee, Das Trina, Narayan Chandradas, Saroj Munshi, Dipak Chakraborty, Tanusree Dasgupta, Nupur Mukherjee Ganguly, Partha Chowdhury, Priyanka Karmakar Manna, Jagannath Datta, Santanu Maji, Kalpana Dutta, Barnali Banerjee, Aditi Adhikari, Somnath Saha, Arpita Mahalanobis, Debraj Ray, Sulata Mukherjee, Devi Roy, Tarun Ghosh, Soma Guha, বিশ্বস্রবা সিকদার, Shreya Kabiraj, Anish Mukherjee, Swapna Swapna, Somenath Ghoshal, Sujay Baral, Bidyendu Ghosh, Ramen Dutta, Soumitra Das Gupta, Manju Das, Bula Talukdar, Goutam Mondal, Chandicharan Ghosh, Arpita Basu, Samrat Das Mona, অশোক কুমার মন্ডল, Ramen Pramanik, Mahua Banerjee Bhattacharya, Indrani Chatterjee, Soma Chatterjee, Shampa Mukherjee, Keshab Nath Das, Rina Dey, Sutripta Manna, Rupa Chakraborty, Jaya Ghosh, Kumer Barun, Shibendu Mukherjee

11/12/2023

দীপ প্রকাশন থেকে সদ্য প্রকাশিত ' নিঃসঙ্গ মহুয়া ' গ্রন্থের লেখক শ্রী দীপারুণ ভট্টাচার্য গত মে-জুন মাসে পাঁচটি সংখ্যা জুড়ে একই নামে শিল্পীকে নিয়ে কুড়ি পাতার একটি উপন্যাস ধর্মী লেখা লিখেছেন সাপ্তাহিক বর্তমান পত্রিকায় যা পাঠকমহলে দুর্দান্তভাবে আলোড়ন সৃষ্টি করে। আপনাদের অনেকেই লেখাটা পড়েছেন। যাঁরা মিস করে গেছেন , তাঁদের জন্য এই পেজে ওই লেখার একটি করে পাতা প্রকাশিত হচ্ছে। বইটা পড়ার আগে লেখাটা পড়ে নিলে ধারাবাহিকতার আস্বাদ পাবেন।
আজ শেষ পাতা।
লেখাটা আজ শেষ হলো। দীর্ঘ কুড়ি দিন ধরে অনেকেই লেখাটা পড়েছেন। কেমন লাগলো জানাবেন।
আগের পাতার লিঙ্ক: https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=854222860046478&id=100063763148258&mibextid=Nif5oz

10/12/2023

দীপ প্রকাশন থেকে সদ্য প্রকাশিত ' নিঃসঙ্গ মহুয়া ' গ্রন্থের লেখক শ্রী দীপারুণ ভট্টাচার্য গত মে-জুন মাসে পাঁচটি সংখ্যা জুড়ে একই নামে শিল্পীকে নিয়ে কুড়ি পাতার একটি উপন্যাস ধর্মী লেখা লিখেছেন সাপ্তাহিক বর্তমান পত্রিকায় যা পাঠকমহলে দুর্দান্তভাবে আলোড়ন সৃষ্টি করে। আপনাদের অনেকেই লেখাটা পড়েছেন। যাঁরা মিস করে গেছেন , তাঁদের জন্য এই পেজে ওই লেখার একটি করে পাতা প্রকাশিত হচ্ছে। বইটা পড়ার আগে লেখাটা পড়ে নিলে ধারাবাহিকতার আস্বাদ পাবেন।
আজ ঊনবিংশ (১৯)পাতা।
আগের পাতার লিঙ্ক:https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=853631663438931&id=100063763148258&mibextid=Nif5oz

09/12/2023

' অনুরাগের ছোঁয়া ' ছবির গান। #নুপুর মুখার্জী গাঙ্গুলির কন্ঠে।
অসম্ভব গুণী পরিবারের গুণী মানুষ উনি। উনি হলেন বঙ্গীয় সঙ্গীত পরিষদের সেক্রেটারি।ওঁর শ্বশুরমশাই ছিলেন এর প্রতিষ্ঠাতা।

09/12/2023

দীপ প্রকাশন থেকে সদ্য প্রকাশিত ' নিঃসঙ্গ মহুয়া ' গ্রন্থের লেখক শ্রী দীপারুণ ভট্টাচার্য গত মে-জুন মাসে পাঁচটি সংখ্যা জুড়ে একই নামে শিল্পীকে নিয়ে কুড়ি পাতার একটি উপন্যাস ধর্মী লেখা লিখেছেন সাপ্তাহিক বর্তমান পত্রিকায় যা পাঠকমহলে দুর্দান্তভাবে আলোড়ন সৃষ্টি করে। আপনাদের অনেকেই লেখাটা পড়েছেন। যাঁরা মিস করে গেছেন , তাঁদের জন্য এই পেজে ওই লেখার একটি করে পাতা প্রকাশিত হচ্ছে। বইটা পড়ার আগে লেখাটা পড়ে নিলে ধারাবাহিকতার আস্বাদ পাবেন।
আজ অষ্টাদশ (১৮)পাতা।
আগের পাতার লিঙ্ক: https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=852963753505722&id=100063763148258&mibextid=Nif5oz

08/12/2023

Deep Prakashan .
খবরটা পত্রিকার অফিসে এসেছিল গভীর রাতে। ডায়মন্ডহারবার রোডের ক্যালকাটা রিসার্চ সেন্টার থেকে কে যেন ফোন করে বললেন :" একটু আগে ৭২২ নম্বর কেবিনে মহুয়া রায়চৌধুরী আগুনে পুড়ে ভর্তি হয়েছেন। তাড়াতাড়ি চলে আসুন "।

যদিও তখন তারিখের কাঁটা ১১ জুলাই পেরিয়ে ১২ জুলাই হয়েছে তারিখ। সমস্ত পাড়া ঘুমোচ্ছে তখন বেজে উঠল রত্না ঘোষালের বাড়ির টেলিফোন। তিনি ঘড়ি দেখলেন, তিনটে বাজে। এত রাতে ফোন এলে ভয় হয়। ঘুমজড়ানো গলায় "হ্যালো" বলতেই উল্টোদিকে শোনা গেল তিলকের গলা।

সেই গলায় ভয়, আতঙ্ক আর ভরসা হারানোর হাহাকার। প্রায় হাঁপাতে হাঁপাতে বললেন, "মাটু, তাড়াতাড়ি চলে আয়। মৌ আগুনে পুড়ে গেছে"।

মহুয়া রায়চৌধুরীকে নিয়ে বাংলায় প্রথম বই "নিঃসঙ্গ মহুয়া" পড়েছেন কি? প্রথম ১৯২ পাতার পূর্ণাঙ্গ বই সঙ্গে দুষ্প্রাপ্য ছবি ♥️

ঘরে বসে ছাড় সহ বইটি পেতে ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

https://boichitro.in/product/nissanga-mahua-tarar-annishesh-alo-diparun-bhattacharya/

হোয়াটস আপ করেও ছাড় সহ সারাদেশে বই ডেলিভারি পেতে হলে যোগাযোগ করুন 9674480588 নম্বরে।

এছাড়াও সব জেলা মেলায়, অনলাইনে ফ্লিপকার্ট, আমাজন, উড়ান প্রিন্ট মিডিয়া সহ কলেজ স্ট্রিটে দীপ প্রকাশন সহ বই পাড়ায় সর্বত্র বইটি পাবেন।

বাংলাদেশ থেকে অসংখ্য পাঠক ইনবক্স করেছেন বইটি পাওয়ার বিষয়ে তাদের জানাই বাতিঘর, তক্ষ শিলা, বুকস অফ বেঙ্গল, ইন্দো বাংলা বুকস, রকমারিতে অর্ডার দিলেই বইটি পাবেন।

মুদ্রিত মূল্য : ২৭৫ টাকা।

08/12/2023

' নিঃসঙ্গ মহুয়া ' বইটি পাবেন কলেজ স্ট্রীটে দীপ প্রকাশন ছাড়াও বই পাড়ার সর্বত্র। এছাড়া উড়ান প্রিন্ট মিডিয়া, boichitro.in , ফ্লিপকার্ট আমাজন সহ অন্যান্য অনলাইনে। বাংলাদেশ : বাতিঘর, রকমারি, বুকস অফ বেঙ্গল, তক্ষ শিলা, ইন্দো বাংলা বুকস।
Amazon - এর লিঙ্ক প্রথম কমেন্টে।

08/12/2023

দীপ প্রকাশন থেকে সদ্য প্রকাশিত ' নিঃসঙ্গ মহুয়া ' গ্রন্থের লেখক শ্রী দীপারুণ ভট্টাচার্য গত মে-জুন মাসে পাঁচটি সংখ্যা জুড়ে একই নামে শিল্পীকে নিয়ে কুড়ি পাতার একটি উপন্যাস ধর্মী লেখা লিখেছেন সাপ্তাহিক বর্তমান পত্রিকায় যা পাঠকমহলে দুর্দান্তভাবে আলোড়ন সৃষ্টি করে। আপনাদের অনেকেই লেখাটা পড়েছেন। যাঁরা মিস করে গেছেন , তাঁদের জন্য এই পেজে ওই লেখার একটি করে পাতা প্রকাশিত হচ্ছে। বইটা পড়ার আগে লেখাটা পড়ে নিলে ধারাবাহিকতার আস্বাদ পাবেন।
আজ সপ্তদশ (১৭)পাতা।
আগের পাতার লিঙ্ক: https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=852248143577283&id=100063763148258&mibextid=Nif5oz

07/12/2023

Deep Prakashan .
সকালটা দেখে যেমন আন্দাজ করা যায় গোটা দিনটা কেমন যাবে তেমনই সপ্তাহের শুরু থেকে বিক্রির নিরিখে আমরা ঘোষণা করব প্রতি সপ্তাহের বেস্টসেলার বইগুলি ♥️

জেলা মেলা, কলেজ স্ট্রীট, অনলাইন সেলিং মিলিয়েই আমাদের বেস্টসেলার বইগুলি প্রতি সপ্তাহে জানাব আপনাদের। এভাবেই আমাদের পাশে থাকবেন 🎊🎉🎀🎁