Anubhav Himadri

  • Home
  • Anubhav Himadri

Anubhav Himadri This page is based on the following subjects..

1. People & History of West Bengal
2. Society & Cult

House plan:25'×31'
15/12/2023

House plan:25'×31'

উপরে - সুপারস্টার জিতের ছোটবেলা ।নিচে - বড়বেলা মায়ের সাথে তোলা ছবি।
27/07/2023

উপরে - সুপারস্টার জিতের ছোটবেলা ।
নিচে - বড়বেলা মায়ের সাথে তোলা ছবি।

বিড়া রেলস্টেশন কেন দোগাছিয়া? ১৮৮২ সালে ২ রা এপ্রিল দমদম থেকে দত্তপুকুর পর্যন্ত ট্রেন চালু হল। এর পরের ধাপ বিড়া থেকে গ...
16/06/2023

বিড়া রেলস্টেশন কেন দোগাছিয়া?

১৮৮২ সালে ২ রা এপ্রিল দমদম থেকে দত্তপুকুর পর্যন্ত ট্রেন চালু হল। এর পরের ধাপ বিড়া থেকে গোবরডাঙ্গা। পরের বছর অর্থাৎ ১৮৮৩ সালের ৭ ডিসেম্বর দত্তপুকুর থেকে গোবরডাঙ্গা ট্রেন চালু হয়। [ তথ্যসূত্র: কলকাতা দর্পণ। পৃষ্ঠা ২২৭ ]

দত্তপুকুরের পরেই বিড়া। স্টেশনটা বিড়া মৌজায় হল কিন্তু মজার বিষয় হলো- এই স্টেশনটি নারায়ণপুরে (বিড়ার পরের গ্রাম) হবার কথা ছিল। ইস্টার্ন রেলওয়ে কোম্পানির নির্ধারিত স্থান ছিল এই নারায়নপুর। স্টেশন তৈরি হবার আগে রেলেওয়ে কোম্পানির পক্ষ থেকে 'স্পট এনকোয়ারি'তে এলেন বড় বড় সাহেব ইঞ্জিনিয়ার। খবরটা নারায়ণপুরের বাসিন্দাদের কানে গিয়ে পৌঁছল। গ্রামের মোড়ল-মাতব্বরেরা রে-রে করে তেড়ে এলেন। সাধারণ মানুষও তাতে যোগ দিলো। এদের তেড়ে আসার হেতুটা হল রেলস্টেশন - তারা তাদের নারায়ণপুরে রেলস্টেশন চান না। কোনভাবেই রেলস্টেশন হতে দেবেন না। তাদের বক্তব্য - যদি এই গ্রামে রেলস্টেশন হয় তাহলে আশপাশে অনেক চুরি ডাকাতি বেড়ে যাবে। চোরেরা চুরি করে, ডাকাতেরা ডাকাতি করে ভোরের ট্রেনে (ফার্স্ট ট্রেন) উঠে চম্পট দেবে। তাছাড়া গ্রামে রেলস্টেশন হলে অনাচার সৃষ্টি হবে, 'মেয়ে- মদ্দ' উচ্ছৃঙ্খল হয়ে উঠবে, 'জেনানাদের আব্রু' থাকবে না। তাই কোনো মতেই স্টেশন কাম্য নয়।
প্রচন্ড বিক্ষোভের মুখে পড়ে কোম্পানির প্রতিনিধিরা পিছু হটতে বাধ্য হলেন। অনিচ্ছা সত্ত্বেও বিড়া (বর্তমান স্টেশন চৌহদ্দি) চিহ্নিত হলো।
এখানে কোনরূপ বাধার সৃষ্টি হলো না তবে একটি শর্ত আরোপ করা হলো। শর্তটি হলো এই - বিড়া মৌজায় স্টেশন হলেও স্টেশনের নামকরণ করতে হবে 'দোগাছিয়া'।
সাহেবরা তাতেই রাজি হলেন। হলো স্টেশন। নাম হল 'দোগাছিয়া রেলস্টেশন'। কিন্তু কেন দোগাছিয়া? মৌজা তো বিড়া! এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে বিড়া, দোগাছিয়া, নারায়ণপুর, জয়পুল প্রভৃতি গ্রামের জ্ঞানীগুণী বৃদ্ধদের শরণাপন্ন হলাম। তাঁরা যে ব্যাখ্যা দিলেন তার সারমর্ম হল এই -
সেই সময় দোগাছিয়া গ্রাম ছিল সমৃদ্ধ গ্রাম। গ্রামে ধনী-চাকরিজীবী অনেক মানুষ বাস করতেন। চাকরির সূত্রে তারা কলকাতায় যাতায়াত করেন। ট্রেন চালু হলে তারাই হবেন বিড়া স্টেশনের নিত্যযাত্রী। বিড়ার মানুষ সেই সময় মূলত কৃষিজীবী। ট্রেনের সঙ্গে তাদের কোন সম্পর্কই থাকবে না। তাদের (দোগাছিয়াদের) যুক্তি হলো - দোগাছিয়ার মানুষের সঙ্গে স্টেশন এবং ট্রেনের সম্পর্ক। সুতরাং স্টেশনের নাম হোক দোগাছিয়া।
এইভাবে বিড়ায় স্টেশন অথচ 'দোগাছিয়া রেলস্টেশন' নাম হলো।
বিড়া মৌজায় স্টেশন কিন্তু দোগাছিয়া নাম নিয়ে ৮০ বছর (১৮৮৩-১৯৬৩ খ্রিস্টাব্দ) টিকে রইলো। অবশেষে "গণদরখাস্ত মারফৎ সংঘের (বিড়া পল্লী সংঘ) উদ্যোগেই সরকারের নিকট আবেদন করে গত ০১-০২-১৯৬৩ থেকে স্থানীয় রেলস্টেশনের নাম 'দোগাছিয়া' পরিবর্তন করে 'বিড়া' করা গেছে।" [ বিড়া পল্লী সংঘ সুবর্ণ জয়ন্তী বর্ষ (১৯৫০- ২০০০) স্মারক গ্রন্থ ২০১৮ ]

কলমে - অরুণ কুমার ঘোষ।

04/06/2023

।।আয়ের উৎস সন্ধানে।।

💰একজন সরকারী কর্মচারী কি তার চাকরির বেতন ছাড়া আর অন্য কোনো উপায়ে কি কিছু আয় করতে পারেন?
দেখা যাক, নিয়ম কানুন কি আছে এই ব্যাপারে। সকলেই কমবেশি জানেন যে
🔶West Bengal Services (Duties, Rights and Obligations of the Government Employee) Rules 1980 এর 5(10) এবং 5(11) অনুযায়ী একজন সরকারী কর্মচারী সরকারের আগাম অনুমতি ছাড়া অন্য কোনো চাকরি, প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কোনো ব্যবসা করা অথবা ব্যবসা পরিচালনা করতে পারবেন না।
🔶ওই নিয়মেরই 5(9) ধারা অনুসারে একজন সরকারী কর্মচারী তার নিয়োগকর্তার আগাম অনুমতি ছাড়া নামমাত্র মূল্যের কোনো উপহার ছাড়া অন্য কোনো ধরনের উপহার গ্রহণ করতে পারবেন না। নামমাত্র মূল্য বলতে কত টাকা সেই বিষয়ে কোনো নির্দেশিকা নেই। তবে কোনো ধর্মীয় বা সামাজিক প্রথার মাধ্যমে পাওয়া উপহার এই নিয়মের আওতায় আসবে না।
🔶আবার 5(2) ধারা অনুসারে একজন সরকারী কর্মচারী তার নিয়োগকর্তার আগাম অনুমতি ছাড়া কোনো স্থাবর বা অস্থাবর সম্পত্তি অর্জন করতে পারবেন না ক্রয় বা দানের মাধ্যমে।

এবার অন্যদিকটা দেখা যাক।
♂️West Bengal Services (Duties, Rights and Obligations of the Government Employee) Rules 1980 এর 4(4) এবং 4(5) অনুযায়ী একজন সরকারী কর্মচারী কর্তৃপক্ষকে আগাম জানিয়ে (অনুমতি নয়) রেডিও টেলিভিশনের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে পারেন শর্তসাপেক্ষে। শর্ত হচ্ছে যে সেই সমস্ত অনুষ্ঠান যেন কোনো সাম্প্রদায়িক বা সংকীর্ণ চিন্তাধারাকে প্ররোচিত না করে এবং দেশের একতা ও অখণ্ডতার বিরোধী না হয়।
♂️ওই একই শর্তসাপেক্ষে একজন সরকারী কর্মচারী কোনো সংবাদপত্র অথবা পত্রপত্রিকায় সাহিত্য বা বিজ্ঞান বিষয়ক লেখা অথবা কোনো চিঠিপত্র লিখতে পারেন।
তাহলে দেখা যাচ্ছে যে উপরে উল্লিখিত সুযোগ সুবিধা কাজে লাগিয়ে একজন সরকারী কর্মচারীর সামনে কিছু আয় করার রাস্তা থাকছে।
অর্থাৎ এই সমস্ত কাজের বিনিময়ে তিনি fee বা remuneration নিতে পারেন।

এবার দেখা যাক, fee বা remuneration নেওয়ার ক্ষেত্রে কি কি নিয়ম আছে।
✅একজন সরকারী কর্মচারী উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নিয়ে কোনো ব্যক্তি, সংস্থার হয়ে কোনো পরিষেবা প্রদান করে fee বা remuneration গ্রহন করতে পারেন।
তবে অনুমোদনকারী কর্তৃপক্ষ লিখিত ভাবে নিশ্চিতকরন করবেন যে এর ফলে ওই কর্মচারীর সরকারী কাজের কোনো ক্ষতি হবে না।
✅যদি সরকারী কাজের সময়কে ব্যবহার করে কোনো পরিষেবার মাধ্যমে fee বা remuneration পেয়ে থাকেন তাহলে সেই সম্পূর্ণ অর্থ সরকারের কোষাগারে জমা দিতে হবে যদি না অনুমোদনকারী কর্তৃপক্ষ বিশেষ কারন উল্লেখ করে সেই অর্থের সম্পূর্ণ বা একটা অংশ ওই কর্মচারীকে প্রদান করেন।
✅fee বা remuneration যদি মাসিক ভিত্তিতে recurring হয় তাহলে তার পরিমাণ উক্ত কর্মচারীর মূল বেতনের 20% এর থেকে বেশি হবে না এবং সর্বোচ্চ 6 মাসের জন্য fee বা remuneration গ্রহনের অনুমতি দেওয়া যাবে। এই অর্থ থেকে কোনো অংশ সরকারকে জমা দিতে হবে না।
✅fee বা remuneration যদি এককালীন হয় তাহলে তার পরিমাণ উক্ত কর্মচারীর সেই আর্থিক বছরের মোট মূল বেতনের 20% অপেক্ষা বেশি হবে না এই অর্থ থেকে কোনো অংশ সরকারকে জমা দিতে হবে না।
✅কোনো কাজের মাধ্যমে fee বা remuneration গ্রহনের বিষয় থাকলে অবশ্যই সেই কাজের জন্য উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের আগাম অনুমোদন থাকতে হবে এবং fee বা remuneration গ্রহনের জন্যও আলাদা করে অনুমোদন থাকতে হবে।
✅Fee বা Remuneration এর আর্থিক মূল‌্য কাজের সাপেক্ষে (যে কাজের জন্য fee নিচ্ছেন) যথোপযুক্ত সম্মানজনক হতে হবে।
✅500 টাকা পর্যন্ত Fee বা Remuneration নেওয়ার জন্য অনুমতি দিতে পারেন Head of the Department. তার বেশি পরিমাণ হলে কে অনুমতি দেবেন সেই বিষয়ে কিছু বলা নেই। কাজেই ধরে নেওয়া যেতে পারে যে সেইসব ক্ষেত্রে অনুমতি দেবে অর্থ দপ্তর।
✅এই ধরনের কাজের অনুমতি নেওয়ার সময় কর্তৃপক্ষ লিখিত ভাবে জানাবেন যে WBSR Part-I এর Rule-15 কে গুরুত্ব দেবেন যেখানে বলা হয়েছে একজন সরকারী কর্মচারী যে কাজের জন্য বেতন পেয়ে থাকেন, কেবলমাত্র সেই কাজের জন্যই সর্বদা উপলব্ধ থাকবেন এবং সেই কাজের বিনিময়ে নির্ধারিত বেতন ছাড়া আর কোনো অর্থ নিতে পারবেন না।
❓এখন একটা প্রশ্ন প্রায়ই শোনা যায় যে YouTube এ কোনো video blog (Vlog) করার মাধ্যমে কি কিছু রোজগার করা সম্ভব?
🅰️উত্তর – যখন WBSR এ Fee বা Remuneration সংক্রান্ত নিয়ম প্রকাশিত হয় তখন YouTube channel এর ধারণা ছিল না। পরবর্তী সময়েও কোনো ধরনের সামাজিক মাধ্যম নিয়ে কোনো ধরনের আদেশনামা প্রকাশিত হয়নি।
এমনিতে আমরা অনেকেই বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে কমবেশি সক্রিয়। সরকারী কর্মচারী হিসেবে আপাততঃ এখনও পর্যন্ত এই ব্যাপারে কোনো বিধিনিষেধ নেই।
সুতরাং Fee বা Remuneration সংক্রান্ত নিয়ম মেনে YouTube থেকে অর্থ রোজগারের ক্ষেত্রেও কোনো বাধা থাকা উচিত নয়। তবে অন্যান্য ক্ষেত্রের মতো এক্ষেত্রেও উপযুক্ত ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি প্রয়োজন অবশ্যই।
এছাড়াও সম্প্রচারের বিষয়বস্তু নিয়েও সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে, যেন সেটা প্রচলিত নিয়ম ও আইনের পরিপন্থী না হয়।

তথ্যসূত্র :- 1) Rules 15, 62, 63 and 64 of WBSR Part-I
2) West Bengal Services (Duties, Rights and Obligations of the Government Employee) Rules 1980

সংগৃহীত

13/05/2023

আজকের শ্রীরামপুরকে তো চেনেন অনেকেই। এক সময় ড্যানিসদের উপনিবেশন পরে ইংরেজরা অধিগ্রহণ করে। মাহেশের রথ, এশিয়ার প্র....

Types of designation as per character 😂🤣🤪
15/03/2023

Types of designation
as per character 😂🤣🤪

লবঙ্গ গাছের ফুলের কুঁড়িকে শুকিয়ে লবঙ্গ মসলাটি তৈরি করা হয়। ছবিতে বিস্তারিত..
15/02/2023

লবঙ্গ গাছের ফুলের কুঁড়িকে শুকিয়ে লবঙ্গ মসলাটি তৈরি করা হয়। ছবিতে বিস্তারিত..

23/01/2023

বিষয় - Service Book

WBSR Part-I, Appendix 7 এর Part-IV (37 থেকে 45 নম্বর ধারা) – এতে পশ্চিমবঙ্গ সরকারী কর্মচারীদের Service Book সংক্রান্ত নিয়মাবলীতে উল্লিখিত আছে।

✅Casual worker বাদে সমস্ত ধরনের whole time employee – দের জন্য Auditor General নির্দেশিত proforma অনুযায়ী Service Book রাখা বাধ্যতামূলক।

✅নিয়োগ পাওয়ার পর চাকরির প্রথম দিন থেকেই একজন সরকারী কর্মচারীর দুখানা service book (in duplicate) চালু থাকবে। একটা থাকবে অফিসের হেফাজতে (in the custody of the head of the office) আর একটা থাকবে সংশ্লিষ্ট কর্মচারীর কাছে। বদলি হলে অফিসের হেফাজতে থাকা service book নতুন অফিসের হেফাজতে যাবে। যেহেতু বলা আছে -in duplicate তাই দুটো service book-কেই original হিসেবে ধরা হবে। অর্থাৎ কোনো প্রকার duplicate service book এর অস্তিত্ব এখানে থাকছে না।

✅একজন কর্মচারীর চাকরি জীবনের প্রতিটা ধাপ service book এ উল্লিখিত থাকবে এবং তা head of the office দ্বারা প্রত্যায়িত (attested) করতে হবে। Head of the office এর নিজের service book এর ক্ষেত্রে এই কাজ করবেন তার ঠিক পরবর্তী উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ।

✅Service book এ কোনো প্রকার লেখা মোছা (erase) এবং Overwriting চলবে না।
কোনো তথ্য সংশোধন করতে হলে সাধারণত একটা দাগে কেটে (pen through) অথবা অতিরিক্ত কাগজের টুকরো সেঁটে (এমনভাবে যাতে দুটো তথ্যই পড়া যায়) সঠিক তথ্য দেখাতে হবে। যে কোনো ধরনের সংশোধন head of the office দ্বারা প্রত্যায়িত করা থাকতে হবে।

✅বছরের প্রথমদিকে একটা নির্দিষ্ট সময়ে Head of the office অথবা তাঁর পক্ষ থেকে বিশেষ ভাবে অধিকারপ্রাপ্ত কোনো আধিকারিক অফিসের সমস্ত service book সংগ্রহ করবেন। এরপর সকল তথ্য সঠিক ভাবে লিপিবদ্ধ হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখে “Service verified upto (যত তারিখ পর্যন্ত verify করা হচ্ছে) from (যত তারিখ থেকে verify করা হয়েছে) – এই বয়ানে তা certify করে সই করবেন। এই কাজ service book এর দুটো কপিতেই (অফিসের এবং কর্মচারীর) করতে হবে। এই উদ্দেশ্যে কর্মচারীদের হেফাজতে থাকা service book বছরে অন্তত একবার অফিসে জমা নিতে হবে এবং verify করে সই করে আবার কর্মচারীকে তা ফেরত দিতে হবে।

✅যদি কোনো কর্মচারীর চাকরি জীবনের কোনো সময়কালের লিখিত / প্রামান্য তথ্য না থাকে তাহলে সেটা ওই সময়কাল সহ উল্লেখ করতে হবে এবং এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্মচারীর থেকে লিখিত বিবৃতি নিয়ে সেটাকেই প্রমাণ হিসেবে ধরে নিয়ে service book-এ লিপিবদ্ধ করতে হবে এবং ওই লিখিত বিবৃতির copy রাখতে হবে।

✅Temporary, Provisional, Permanent, Officiating সমস্ত ধরনের কর্মচারীদের তথ্য একই ভাবে verification করতে হবে। pay bill এবং অন্যান্য record থেকে যাবতীয় তথ্য অবিছিন্ন ভাবে লিপিবদ্ধ করতে হবে যাতে করে পরবর্তী সময়ে বোঝা যায় যে চাকরিকাল পেনশন পাওয়ার যোগ্য।

✅কোনো সরকারী কর্মচারীর বদলির ক্ষেত্রে পূর্বের অফিসের head of the office অথবা দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক pay bill, acuitance roll ইত্যাদির ভিত্তিতে ওই অফিসে চাকরিরত অবস্থায় থাকাকালীন শেষ দিন পর্যন্ত service verification করে তা সংশ্লিষ্ট কর্মচারীর নতুন অফিসে পাঠাবেন। কর্মচারীর হেফাজতে থাকা service book-টিকেও একই পদ্ধতিতে verify করে দিতে হবে। Pay bill

✅Service Book ইংরেজি ভাষা ছাড়াও বাংলা এবং নেপালী ভাষায় (নেপালী কর্মচারীদের জন্য) লেখা হবে।
WBSR Part-I, Appendix 7 এর Part-IV এর 39 নম্বর অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে “The service book will be made in Bengali or in Nepali (for the Nepalese speaking Government employees) in addition to English.”

✅Head of the Department এর অনুমতি ছাড়া service book এ কোনো ধরনের personal character certificate লিপিবদ্ধ করা যায় না।
যদি কোনো কর্মচারীকে নিম্নপদে নামাতে হয় তাহলে সেটা service book এ কারন সহ লিপিবদ্ধ করতে হবে।

✅প্রত্যেক Head of the office এর দায়িত্ব হচ্ছে প্রত্যেক বছর তাঁর অধীনস্থ প্রত্যেক সরকারী কর্মচারীর service book সংশ্লিষ্ট কর্মচারীকে দেখানো এবং সেই কর্মচারী service book এর সকল entry খতিয়ে দেখে তাতে সই করবেন। এরপর head of the office তার পরের বছরের 15th March এর মধ্যে তাঁর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে এই মর্মে একটা certificate দেবেন যে বিগত বছরে তাঁর অধীনস্থ সকল কর্মচারীকে তিনি service book দেখিয়েছেন।

✅বর্তমানে ifms portal এ online service book ব্যবস্থা চালু হলেও Office of the Principal Accountant General, West Bengal এখনও পর্যন্ত পেনশন সহ অন্যান্য অবসরকালীন সুযোগ সুবিধা কার্যকরী করার ক্ষেত্রে এই e-service book কে মান্যতা প্রদান না করায় আপাততঃ পুরনো ব্যবস্থাপনায় service book চালু থাকছে। অর্থাৎ হাতে লেখা service book (hard copy)

✅প্রত্যেক কর্মচারীকে কয়েকটা বিষয় অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে।
1) Service Book এ তাঁর বাম হাতের পাঁচ আঙুলের ছাপ নেওয়া হয়েছে কিনা।
2) প্রথম পাতায় নাম, জন্মতারিখ (কথায় ও সংখ্যায়) ঠিকানা, বিভিন্ন nomination সহ অন্যান্য তথ্য সঠিক ভাবে লিপিবদ্ধ হয়েছে কিনা।
3) নিয়োগপত্রের নম্বর সহ নিয়োগের তারিখ সঠিক ভাবে লিপিবদ্ধ হয়েছে কিনা। সাথে police verification এবং medical examination এর সন্তোষজনক report এর কথা উল্লেখ করা থাকলে ভালো হয়।
4) প্রত্যেকটা বার্ষিক increment লিপিবদ্ধ করা আছে কিনা।
5) চাকরির confirmation তারিখ ও আদেশনামার নম্বর সহ উল্লিখিত আছে কিনা।
6) Group insurance cm savings এর টাকা কোনটা কবে থেকে কাটা হচ্ছে তা লেখা হয়েছে কিনা।
7) যে কোনো ধরনের পদোন্নতি (Functional or Non functional) এবং সেই পরিপ্রেক্ষিতে বেতনক্রম নির্ধারণ (pay fixation) আদেশনামার নম্বর সহ লিপিবদ্ধ করা হয়েছে কিনা।
8) অন্যান্য কারনে pay fixation হলে (যেমন - ROPA) তার যথাযথ উল্লেখ আছে কিনা।
9) service verification এর ক্ষেত্রে কোনো চাকরিকাল বাদ পড়ে যাচ্ছে কিনা।
10) Earned Leave এবং Commuted Leave এর হিসেব ঠিক আছে কিনা।
11) কোনো leave without pay অথবা dies-non উল্লেখ করা থাকলে সেই সংক্রান্ত তথ্য সঠিক এবং সম্পূর্ণ আছে কিনা।
12) যে কোনো ধরনের সংশোধন head of the office অথবা authorized officer এর সই আছে কিনা।
13) প্রত্যেকটা তথ্য লিপিবদ্ধ করার পর সেখানে তাঁর নিজের এবং head of the office অথবা authorized officer এর সই আছে কিনা।
14) একমাত্র বার্ষিক increment এবং service verification বাদে police verification, medical examination সহ অন্যান্য সবকিছুর আদেশনামার copy যেন অবশ্যই service book এর সাথে থাকে। এছাড়াও PF, GI & Gratuity ইত্যাদির nomination এর copy থাকাও প্রয়োজন।

জমি সংক্রান্ত কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।
22/01/2023

জমি সংক্রান্ত কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।

সরকারী কর্মচারীর স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি ক্রয় বিক্রয়ের ক্ষেত্রে অনুমোদন সংক্রান্ত নিয়মাবলী :-WBSR এবং বিভিন্ন আদেশনামা...
17/01/2023

সরকারী কর্মচারীর স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি ক্রয় বিক্রয়ের ক্ষেত্রে অনুমোদন সংক্রান্ত নিয়মাবলী :-

WBSR এবং বিভিন্ন আদেশনামার মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে এই আলোচনা। কোনো প্রকার সংযোজন এবং পরিমার্জনের প্রয়োজন থাকলে অনুগ্রহ পূর্বক উল্লেখ করবেন।

A] অর্থ দপ্তরের পক্ষ থেকে প্রকাশিত নিয়মাবলী:-

➡️Rule 5(2) of the West Bengal Services (Duties, Rights and Obligations of the Government employees) Rules 1980- তে বলা হয়েছে যে কোনো সরকারী কর্মচারী তার নিয়োগকর্তার আগাম অনুমতি ছাড়া কোনো স্থাবর সম্পত্তি (immovable property) লীজ, বিক্রি, বন্ধক, দান বা অন্য কোনো উপায়ে তার নিজের নামে অথবা পরিবারের কোনো সদস্যর নামে অর্জন করতে পারবেন না অথবা বিক্রি করতে পারবেন না।
➡️তবে যদি সেই সম্পত্তি কোনো নিয়মিত বা খ্যাতনামা (regular or reputed dealer) ব্যবসায়ীর সাথে লেনদেন করা যায় (ক্রয়, বিক্রয়, লীজ ইত্যাদি)তাহলে সেক্ষেত্রে আগাম অনুমতি প্রয়োজন নেই।
➡️5000 টাকার অধিক মূল্যের অস্থাবর (movable property) সম্পত্তির ক্ষেত্রেও উপরের সব নিয়ম প্রযোজ্য ছিল।
➡️তবে পরিবারের কোনো সদস্যর তার নিজের অর্থে অর্জিত অথবা উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তি উপরোক্ত নিয়মের আওতায় আসবে না।
➡️এক্ষেত্রে পরিবার বলতে বোঝাবে স্ত্রী অথবা স্বামী, নিজের ছেলে, মেয়ে এবং সৎ ছেলে, মেয়ে।
➡️পরবর্তী সময়ে 3571-F dt 30.03.2001 দ্বারা উপরোক্ত নিয়মের আওতায় অস্থাবর সম্পত্তির মূল্যসীমা বাড়িয়ে করা হয় 10,000 টাকা।
➡️তারও পরবর্তীকালে 1853-F(P) dt 02.03.2012 দ্বারা এই অনুমোদনের জন্য অস্থাবর সম্পত্তির মূল্যসীমা বাড়িয়ে করা হয় দু মাসের মূল বেতন। বর্তমানে এই নিয়মই বলবৎ আছে।
➡️অর্থাৎ, সরকারী কর্মচারী তার নিয়োগকর্তার আগাম অনুমতি ছাড়া কোনো স্থাবর সম্পত্তি এবং তার দুই মাসের মূল বেতনের অধিক মূল্যের অস্থাবর সম্পত্তি লীজ, বিক্রি, বন্ধক, দান বা অন্য কোনো উপায়ে তার নিজের নামে অথবা পরিবারের কোনো সদস্যর নামে অর্জন করতে পারবেন না অথবা বিক্রি করতে পারবেন না যদি না সেই সম্পত্তির লেনদেন কোনো নিয়মিত বা খ্যাতনামা (regular or reputed dealer) ব্যবসায়ীর সাথে করা হয়ে থাকে। তবে regular or reputed dealer হওয়ার মাপকাঠি সম্পর্কে কিছু বলে দেওয়া নেই।

⏺ঋণ নেওয়ার নিয়ম ⏺

➡️3368-F dt 26.03.2001 অনুযায়ী টেলিভিশন, ফ্রিজ, গাড়ী ইত্যাদি অস্থাবর সম্পত্তি ক্রয় এবং বাড়ি তৈরি অথবা কেনার জন্য রাষ্ট্রায়ত্ত এবং বেসরকারী ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিতে বাধা নেই। এক্ষেত্রে ঋণের পরিমাণ, ঋণ নেওয়ার উদ্দেশ্য ও মাসিক কিস্তির পরিমাণ নিয়োগকর্তাকে জানাতে হবে। তবে উপরে আলোচিত সম্পত্তি লেনদেন সংক্রান্ত নিয়োগকর্তার অনুমোদন নেওয়ার অন্যান্য শর্ত অপরিবর্তিত থাকবে।
➡️পূর্বে সরকারী কর্মচারীদের সরকারের পক্ষ থেকে যে গৃহ ঋণ দেওয়া হতো সেই সুবিধা তুলে দেওয়া হয় 214-FB dt 28.01.2003- এর মাধ্যমে।
➡️এরপর তিনটে পৃথক আদেশনামা দ্বারা জানানো হয় যে সরকারী কর্মচারীরা তিনটে পৃথক ব্যাঙ্কের সহায়তায় Housing loan scheme এর মাধ্যমে ঋণ নিতে পারেন।
90-FB dt 13.01.2005 for SBI, 1456-FB dt 08.11.2006 for UBI and 1847-FB dt 16.01.2007 for State Cooperative Bank.

সম্পত্তির হিসাব দাখিলের নিয়ম :-

➡️প্রতি বছরের সম্পত্তির হিসাব দাখিলের ক্ষেত্রেও (Declaration of assets as stands on 1st day of the January of each year) দুই মাসের মূল বেতনের থেকে কম মূল্যের অস্থাবর সম্পত্তির হিসাব আলাদা আলাদা ভাবে দেখানোর প্রয়োজন নেই। স্থাবর সম্পত্তির ক্ষেত্রে অবশ্য এরকম কোনো মূল্যসীমা বলা নেই। আর পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের নিজের অর্জিত অর্থ বা উত্তরাধিকারী সূত্রে প্রাপ্ত সম্পত্তিও এর আওতায় পড়বে না।

⏺কর্মীবর্গ ও প্রশাসনিক সংস্কার দপ্তর থেকে প্রকাশিত নিয়মাবলী⏺

➡️সম্পত্তির লেনদেনের জন্য অনুমোদন নেওয়ার বিষয়ে সর্বশেষ আদেশনামা বের হয় কর্মীবর্গ ও প্রশাসনিক সংস্কার দপ্তর থেকে অর্থ দপ্তরের সাথে সামঞ্জস্য রেখে – 173-PAR(CCW)/N-89/16 dt 28.06.2017. এতেও উপরের অর্থ দপ্তরের উল্লিখিত নিয়মটাই বলা হয়েছে। তার সাথে বলা হয়েছে (উপদেশ হিসেবে, নির্দেশ নয়) – যে সমস্ত ক্ষেত্রে অনুমতির প্রয়োজন নেই (transactions through regular or reputed dealer) সেই সব ক্ষেত্রেও সম্পত্তির বিবরণ (স্থাবর ও অস্থাবর উভয়ের ক্ষেত্রেই), মূল্য, লেনদেনের তারিখ, ব্যবসায়ীর নাম ও ঠিকানা, অর্থের উৎস, সর্বশেষ পে স্লিপ সমন্বিত তথ্য জানিয়ে রাখা ভবিষ্যতের জটিলতা এড়াতে।
➡️অস্থাবর এবং স্থাবর সম্পত্তির লেনদেনের জন্য যেসকল ক্ষেত্রে অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন আছে, সেক্ষেত্রে আবেদন করতে হবে (through proper channel) যে সমস্ত তথ্য দিয়ে তার screenshot নিচে দেওয়া থাকলো।
➡️কর্মীবর্গ ও প্রশাসনিক দপ্তরের আদেশনামায় স্থাবর সম্পত্তির ক্ষেত্রে regular or reputed dealer- এর উদাহরণ স্বরূপ দেখানো হয়েছে সরকার / স্বশাসিত সংস্থা / বিভিন্ন উন্নয়ন সংস্থা ইত্যাদিকে। এছাড়া এবিষয়ে আর কিছু বলা নেই।

শক্তিগড়-এর ল্যাংচার দোকানের সামনে  সুচিত্রা সেন ও তাঁর স্বামী দিবানাথ সেন🌹
15/01/2023

শক্তিগড়-এর ল্যাংচার দোকানের সামনে সুচিত্রা সেন ও তাঁর স্বামী দিবানাথ সেন🌹

এখন তো বিস্কুটের নাম মারিয়া থেকে মেরি হয়ে গেছে। 🤔🤫
15/01/2023

এখন তো বিস্কুটের নাম মারিয়া থেকে মেরি হয়ে গেছে। 🤔🤫

এইগুলোর দিকেও একটু নজর দিন যেটা ক্ষণস্থায়ী সেটার দিকে ঝোক না বাড়িয়ে যেটা চিরস্থায়ী সেগুলোকে ঠিক করুন।
06/10/2022

এইগুলোর দিকেও একটু নজর দিন যেটা ক্ষণস্থায়ী সেটার দিকে ঝোক না বাড়িয়ে যেটা চিরস্থায়ী সেগুলোকে ঠিক করুন।

Happy Birthday..GOD 🎊🎁🎂
26/09/2022

Happy Birthday..GOD 🎊🎁🎂

20/09/2022
ডিম আমিষ, নাকি নিরামিষ ?
23/08/2022

ডিম আমিষ, নাকি নিরামিষ ?

ভারতের বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী বনগাঁ রেলস্টেশনে ১৯৪৭ সালে বাংলাদেশ থেকে আগত উদ্বাস্তুদের ভীড় | ফটো ঋণঃ তাপস গাঙ্গুলী
23/08/2022

ভারতের বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী বনগাঁ রেলস্টেশনে ১৯৪৭ সালে বাংলাদেশ থেকে আগত উদ্বাস্তুদের ভীড় |

ফটো ঋণঃ তাপস গাঙ্গুলী

"টিকিট প্লিজ" - বলে টিটি আমার কাছে এসে দাঁড়াতে আমি একটু অবাকই হলাম। বললাম - "এইমাত্র টিকিট দেখালাম যে!" টিটি বলল - "আপনা...
16/08/2022

"টিকিট প্লিজ" - বলে টিটি আমার কাছে এসে দাঁড়াতে আমি একটু অবাকই হলাম। বললাম - "এইমাত্র টিকিট দেখালাম যে!" টিটি বলল - "আপনার নয়, আপনার সিটের নিচে আরেকজনকে দেখতে পাচ্ছি যে।"
"বেরিয়ে এসো" - বলতেই দেখি একটা বছর তেরো-চোদ্দর মেয়ে অস্বাভাবিক কান্নাকাটি করছে। টিকিট তো নেইই। তার উপর শীর্ণ, অভুক্ত, মলিন একটা মুখ। টিটি বলল - "ভাগো ইঁহা সে।"

আমি জিজ্ঞেস করলাম - "কোথায় নামবে তুমি?"
কোন উত্তর নেই, শুধু কান্নাকাটি। বাধ্য হয়ে টিটিকে বললাম - "ওর ভাড়া আমি দিয়ে দিচ্ছি, একদম শেষ স্টেশন ব্যাঙ্গালোর অবধি টিকিট দিন।" টিটি বলল - "কেন ফালতু এতগুলো টাকা নষ্ট করবেন ম্যাডাম?" তবুও কি ভেবে বললাম - "না, আপনি টিকিটই দিয়ে দিন। শুধুই কাঁদছে। শেষ অবধি কাটা থাকুক। মধ্যিখানে কোথাও নেমে যাবে হয়তো।"

আমায় অবাক করে মেয়েটি কোথাওই নামল না। নাম জানলাম চিত্রা। নিজের বাবা মা কেউই নেই দুনিয়ায়। সৎ মা খুব খাটায় এবং মারে। সে তাও সহ্য করে নিয়েছিল, কিন্তু খেতে দিত না যে। খিদের জ্বালায় পালিয়ে এসেছে। শুধু এটুকু ভেবেছে যে, ওই নরকের চেয়ে অন্ততঃ ভালো থাকবে।

ব্যাঙ্গালোরে নামলাম। শুধু একবার পিছন ঘুরেছি, দেখি চিত্রা অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। টিকিট কাটার সময় একবারও ভাবিনি এই মেয়েটার দায়িত্ব নিতে হতে পারে। আমার পক্ষে এ গুরু দায়িত্ব নেওয়া এই মুহূর্তে সম্ভব নয়, আমার ট্যুরে যাওয়া আছে দুদিন বাদেই। তবুও বললাম - "এসো আমার গাড়িতে এসো।" ড্রাইভার অবাক হয়ে বারবার দেখছে।

আমার এক বন্ধু আছে রাম। সে মেয়েদের শেলটার দেয় ও আরো সমাজসেবা মূলক কাজ করে। ওর ওখানে চিত্রাকে দিই। আর বলি, আমাদের ইনফোসিস ফাউন্ডেশন ওর সমস্ত দায়িত্ব নেবে। থাকতে চাইলে থাকবে, নয়তো আবার পালাবে মেয়েটা।

ভুলেই গিয়েছিলাম ওর কথা। হঠাৎ মনে পড়তে দেখতে গেলাম। কি হাসিখুশি হয়েছে এখন চিত্রা আর পড়াশোনায় ভারী আগ্রহ। ও স্কুলে আবার ভর্তি হতে চায়। এভাবে চলতে লাগল।

ওকে একদিন গিয়ে বলেও এলাম, তুমি যতদূর পড়তে চাও পড়তে পারো। আমরা দায়িত্ব নিয়েছি।
আমায় অবাক করে বলল, "না আকা (দিদি), আমি তাড়াতাড়ি একটা চাকরি পেতে চাই। তাই কম্পিউটার সায়েন্স এ ডিপ্লোমা করব।"

তারপর প্রায় ভুলেই গিয়েছিলাম ওর কথা। হঠাৎ একদিন বিদেশ থেকে ইমেল পেলাম চিত্রার। ও বিদেশে চাকরিতে খুব উন্নতি করেছে আর এখন খুব হাসিখুশি সুন্দর জীবন ওর। মেল পড়ে ভগবানকে বললাম, ওর মুখের হাসি যেন এমনিই থাকে।

এবারে সানফ্রান্সিসকোতে একটা লেকচার দিতে গিয়েছি। যখন হোটেল থেকে চেক আউট করব , গিয়ে দেখি রিসেপশনিস্ট বলছে, "ম্যাম, আপনার সমস্ত বিল ফুললি পেড। ওই লেডি নিশ্চয়ই আপনাকে খুব ভালো করে চেনে।"

খুব অবাক হয়ে চারিদিকে দেখলাম, দেখি একজন ভদ্রমহিলা সুন্দর একটা শাড়ি পরা, একটু দূরে দাঁড়িয়ে মুচকি হাসছে। পাশে ফরেনার বর। কি সুন্দর দেখাচ্ছিল ওকে ছোট ছোট চুলে। সেই চিত্রা। এসে আমায় জড়িয়ে ধরল।

"চিত্রা তুমি আমার সমস্ত বিল কেন পে করবে?"
আরো শক্ত করে জড়িয়ে নিয়ে বলল - "কারণ তুমি একদিন আমার সমস্ত বিল পে করেছিলে। আমার সমস্ত জীবনটাই যে ওই পেমেন্টের ওপর দাঁড়িয়ে। সেই বম্বে টু ব্যাঙ্গালোর।"
____________ _______________ ___________

এই ঘটনা ইনফোসিসের কো-ফাউন্ডার সুধা মূর্তি তাঁর ব্লগে লিখেছিলেন। এই ঘটনা থেকেই যেন তাঁকে খানিকটা চেনা যায়। তিনি বিয়ের আগে ছিলেন সুধা কুলকার্নি। সেই সুধা যখন ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে চাইলেন বাড়ির সবাই বলেছিলেন আমাদের কমিউনিটিতে কিন্তু ছেলে পাওয়া যাবে না। তোমার বিয়ে হবে কি করে? প্রসঙ্গত সুধাদেবীর বাবা ডাক্তার ছিলেন। নামী সার্জেন। কিন্তু তবুও তিনি ইঞ্জিনিয়ারিংই বেছে নেন।

ক্লাসে 599 টা ছেলে আর একটিই মেয়ে। সে আমলে মেয়েরা তেমন কেউ ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ত না যে। সুধা জোর করে ভর্তি হয়েছিলেন। কর্ণাটকের হুবলির ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে। তিনি সে শহরের প্রথম ছাত্রী। কলেজের প্রিন্সিপাল সুধাকে ডেকে বলেছিলেন, তিনটি শর্ত মানতে হবে।

১) রোজ শাড়ি পরে আসতে হবে ।
২ ) কলেজ ক্যান্টিনে ছেলেদের ভিড়, ওদিকে যাওয়া চলবে না।
৩ ) কোন ছেলের সঙ্গে ক্লাসে কথা বলা যাবে না।

তিনি অক্ষরে অক্ষরে তিনটিই মেনে চলতেন। কিন্তু কলেজের দ্বিতীয় বর্ষে তিন নম্বর শর্তটি আর মানা সম্ভব হয়নি। কারণ ছেলেরা তাঁর দিকে পূর্ণ দৃষ্টি নিয়ে ফিরল এবং এসে কথা বলল। ওই 600 স্টুডেন্টের মধ্যে ফার্স্ট হয়েছিলেন যে সুধা।

তিনি তারপরে আর কোথাওই দ্বিতীয় হননি। BE তে ফার্স্ট। রেকর্ড নাম্বার। গোল্ড মেডালিস্ট। স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীর হাত থেকে সেই মেডেল নেন। আরো পড়তে ইচ্ছে হল তাঁর। এবারে ME। সেখানেও গোল্ড মেডেল। সেই মেডেল এবারে দিল ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ইঞ্জিনিয়ার্সরা।

কিন্তু পাশ করে বেরোনোর পর অদ্ভুত ব্যাপার। তাঁর জন্য কোথাও কোন চাকরির দরজা খুলল না। সমস্ত কোম্পানিই মেল ডমিনেটিং। মহিলা ইঞ্জিনিয়ারদের জন্য দরজা বন্ধ। কি আশ্চর্য! তাই না? খুব বেশিদিন আগেও না। 1970 - 72 এর ঘটনা ।

এইসময় একটা বিজ্ঞাপন চোখে পড়ে সুধা কুলকার্নির। ইঞ্জিনিয়ার চাই। যোগ্যতা অমুক তমুক। কিন্তু নিচে বড় হরফে লেখা মহিলাদের আবেদন করার প্রয়োজন নেই। টেলকো কোম্পানির বিজ্ঞাপন।

তিনি খুব রেগে টাটা কোম্পানিতে স্বয়ং জে আর ডি টাটাকে একটা চিঠি লিখলেন। এরকম কেন হবে? যোগ্যতাই কি একমাত্র মাপকাঠি হতে পারে না? টাটা কর্তারা নড়েচড়ে বসলেন। ডাক পেলেন স্পেশাল ইন্টারভিউতে। এবং বাকিটা ইতিহাস। তিনিই টাটার টেলকো কোম্পানির প্রথম মহিলা ইঞ্জিনিয়ার। ডেভেলপমেন্ট ইঞ্জিনিয়ার পদে যোগ দিলেন। কাউকে না কাউকে তো অসম লড়াই চালাতে হয়। তার সুফল ভোগ করে পরবর্তী প্রজন্ম।

এরপর ওই টেলকোতেই নারায়ণ মূর্তির সঙ্গে আলাপ। তারপর বিয়ে। সুধা 400 টাকা আর নারায়ণ 400 টাকা দিয়েছিলেন নিজেদের বাড়িতে। সেই টাকাতেই সাদামাটা আড়ম্বরহীন বিবাহ হয়েছিল। তাঁদের এক ছেলে ও এক মেয়ে। দুজনেই এখন প্রতিষ্ঠিত ।

ইনফোসিস খোলার কথা মাথায় আসে নারায়ণের।
নিশ্চিত জীবন ছেড়ে এক অনিশ্চিত সম্ভাবনা। সুধা তখনও চাকরি করতেন এবং নিজের সমস্ত জমা পুঁজি দিয়ে দিয়েছিলেন। তারপরেও খানিক দিন সুধার চাকরির আয়ে চারজনের সংসার চলত। এই হল গোড়ার কথা।

তারপর দেশের নানা প্রান্তে 70000 লাইব্রেরি, 10000 টয়লেট, 2600 গৃহহীনকে গৃহ, দেশের খরা, বন্যা সবেতে নীরবে কাজ করে চলে ইনফোসিস।
তিনি একদিকে শিক্ষিকা, লেখিকা, আবার অত বড় কোম্পানির চেয়ারপার্সন। বহু সম্মান, বহু পুরস্কার পেয়েছেন।

টাটা কোম্পানি ছাড়ার সময়ে JRD TATA তাঁকে অমূল্য উপদেশ দিয়েছিলেন, "সবসময় একটা কথা মনে রাখবে, তোমার সমস্ত টাকা পয়সার তুমি অছিমাত্র (ট্রাস্টি)। টাকার সবসময় হাতবদল হয়। হাতে রেখে লাভ নেই। টাকা বড় ক্ষণস্থায়ী। যদি সাফল্য আসে সমাজকে কিছু ফিরিয়ে দেবে। সেটাই কিন্তু চিরস্থায়ী।

তিনি আজো ভোলেননি। এবং সবাইকে চমকে দিয়ে তিনি বলেন - "বিগত একুশ বছর আমি কোনো শাড়ি কিনিনি। যা পরি সবই পাওয়া, আমি শুধু বই কিনি।"

একবার এমনও হয়েছিল তিনি প্লেনের বিজনেস ক্লাস লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন। এক ভদ্রলোক তাঁর সাজপোশাক দেখে তাঁকে "Cattle Class" বলেছিলেন! তিনি জানতেন না সুধা মূর্তি ভারতের Richest Person দের মধ্যে অন্যতম। পদ্মশ্রী সুধা মূর্তি বলেন - "Simplicity is the best jewellery I wear."

লেখাটি অরিজিৎ ভৌমিকের সৌজন্যে প্রাপ্ত।

মুঘল বাদশাহ জাহাঙ্গীরের স্বর্ণ ও পান্না নির্মিত পানপাত্র। সময়কাল - খ্রিস্টীয় পঞ্চদশ শতাব্দী...
24/07/2022

মুঘল বাদশাহ জাহাঙ্গীরের স্বর্ণ ও পান্না নির্মিত পানপাত্র।

সময়কাল - খ্রিস্টীয় পঞ্চদশ শতাব্দী...

Happy Birthday 2u..♥️♥️
22/07/2022

Happy Birthday 2u..♥️♥️

খ্রিস্টীয় দ্বিতীয় শতাব্দীর তিউনিসিয়ার জাঘৌয়ানে অবস্থিত রোমান কৃত্রিম জলপ্রনালী। এই কৃত্রিম জলপ্রনালী টি ১২২ সালে রোমান...
21/07/2022

খ্রিস্টীয় দ্বিতীয় শতাব্দীর তিউনিসিয়ার জাঘৌয়ানে অবস্থিত রোমান কৃত্রিম জলপ্রনালী। এই কৃত্রিম জলপ্রনালী টি ১২২ সালে রোমান সম্রাট হাদ্রিয়ান জাঘৌয়ান থেকে কার্থেজ পর্যন্ত জল আনার জন্য নির্মাণ করিয়ে ছিলেন।

The Lion Capital of Ashoka during excavation at Sarnath (1904-05)
20/07/2022

The Lion Capital of Ashoka during excavation at Sarnath (1904-05)

তৃতীয় শতাব্দীতে নির্মিত রোমান আমলের ইঁদুর আকৃতির ফ্লাস্ক।
14/07/2022

তৃতীয় শতাব্দীতে নির্মিত রোমান আমলের ইঁদুর আকৃতির ফ্লাস্ক।

08/07/2022



১৯৭৫ সালের জুন মাসের বাজারদর I
07/07/2022

১৯৭৫ সালের জুন মাসের বাজারদর I



একটি দুষ্প্রাপ্য ফটো 🙏
06/07/2022

একটি দুষ্প্রাপ্য ফটো 🙏




ছোটবেলায় কিংবদন্তী অভিনেতা অনুপকুমার ♥️🥰!
05/07/2022

ছোটবেলায় কিংবদন্তী অভিনেতা অনুপকুমার ♥️🥰!

শিশু তরুণ  মজুমদার ।
05/07/2022

শিশু তরুণ মজুমদার ।


গ্রীসের ধ্বংসপ্রাপ্ত নগরী ওরোপোসে নির্মিত প্রায় ২০০০ বছরের পুরনো মার্বেলের সিংহাসন।
04/07/2022

গ্রীসের ধ্বংসপ্রাপ্ত নগরী ওরোপোসে নির্মিত প্রায় ২০০০ বছরের পুরনো মার্বেলের সিংহাসন।

Mahatma Gandhi with Jawaharlal Nehru and Abul Kalam Azad. Wardha, August 1935.
30/06/2022

Mahatma Gandhi with Jawaharlal Nehru and Abul Kalam Azad. Wardha, August 1935.




ব্রহ্মপুত্র নদের ওপর নির্মিত ৯.১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ ভূপেন হাজারিকা সেতু তৈরিতে ভারতের ৬ বছর লেগেছিল। ৬.১৫ কিলোমিটারের দীর্...
29/06/2022

ব্রহ্মপুত্র নদের ওপর নির্মিত ৯.১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ ভূপেন হাজারিকা সেতু তৈরিতে ভারতের ৬ বছর লেগেছিল। ৬.১৫ কিলোমিটারের দীর্ঘ পদ্মা সেতু তৈরিতে চিন এবং কোরিয়ান ইঞ্জিনিয়ারদের লেগেছে প্রায় ৮ বছর।

বাংলাদেশের দীর্ঘতম ব্রিজ - পদ্মা সেতু তৈরিতে বাংলাদেশ সরকারের খরচ হয়েছে প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকা ।

ভারতের দীর্ঘতম ব্রিজ - আসামের গর্ব ভূপেন হাজারিকা সেতু তৈরিতে ভারতের লেগেছে মাত্র ১ হাজার কোটি টাকা। কোন ভিনদেশী শ্রমিকের প্রয়োজন হয় নি।

ভূপেন হাজারিকা সেতুতে কোন টোল/ট্যাক্স দিতে হবে না। আর পদ্মা সেতুতে ট্যাক্স নেওয়া হবে ৬৫ বছর।

গর্ব করুন দেশের জন্য। স্বদেশী নির্মাণের জন্য।

ঋত্বিক ঘটকের যুবক বয়সের ছবি ।
29/06/2022

ঋত্বিক ঘটকের যুবক বয়সের ছবি ।




১৯৩৬ খ্রিস্টাব্দে তোলা এই ছবিতে কিংবদন্তি বাঙালি ব্যক্তিত্বরা। 👇👇👇মাঝে বসে আচার্য জগদীশ চন্দ্র বসু, বাম দিকে বিজ্ঞানী মে...
28/06/2022

১৯৩৬ খ্রিস্টাব্দে তোলা এই ছবিতে কিংবদন্তি বাঙালি ব্যক্তিত্বরা। 👇👇👇
মাঝে বসে আচার্য জগদীশ চন্দ্র বসু,
বাম দিকে বিজ্ঞানী মেঘনাদ সাহা,
ডান দিকে কেমিস্ট জ্ঞান চন্দ্র ঘোষ,
দাঁড়িয়ে বাম দিক থেকে শিক্ষাবিদ স্নেহময় দত্ত,
বিজ্ঞানাচার্য সত্যেন্দ্রনাথ বসু,
বিজ্ঞানী দেবেন্দ্রমোহন বোস,
প্রফেসর নিখিল রঞ্জন সেন,
কেমিস্ট জ্ঞানেন্দ্রনাথ মুখার্জি এবং
গণিতজ্ঞ কেশবচন্দ্র নাগ৷ 😍😍




নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বোসের হাতের লেখাHandwriting of Netaji Subhas Chandra Bose
28/06/2022

নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বোসের হাতের লেখা
Handwriting of Netaji Subhas Chandra Bose



1976 সালে কলকাতা বইমেলার একটি স্টলে সত্যজিৎ রায় ।
26/06/2022

1976 সালে কলকাতা বইমেলার একটি স্টলে
সত্যজিৎ রায় ।



উত্তর প্রদেশের সনৌলি থেকে প্রাপ্ত সংকর ধাতু দ্বারা নির্মিত মহাভারত কালের অস্ত্র।  সময়কাল- খ্রিস্টপূর্ব ২০০০-১৫০০ অব্দ।
26/06/2022

উত্তর প্রদেশের সনৌলি থেকে প্রাপ্ত সংকর ধাতু দ্বারা নির্মিত মহাভারত কালের অস্ত্র।

সময়কাল- খ্রিস্টপূর্ব ২০০০-১৫০০ অব্দ।

Jawaharlal Nehru with Gandhiji in Haridwar On 25 June 1947
25/06/2022

Jawaharlal Nehru with Gandhiji in Haridwar
On 25 June 1947




Address


Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Anubhav Himadri posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Shortcuts

  • Address
  • Alerts
  • Claim ownership or report listing
  • Want your business to be the top-listed Media Company?

Share