17/03/2021
ক্ষেত যখন বড়োলোকের ছেলে ।
পর্ব -1.
(দ্বিতীয় পর্ব খুব তাড়াতাড়ি পোস্ট করা হবে)
😱😱😱👋👋হঠাৎ
দীপিকার – আজকে আমার হাত থেকে তোকে কেউ বাঁচাতে পারবে না. শালা তোর সাহস কি করে হয়, তুই আমার সাথে পাঙ্গা নিচ্ছিস? আজ তোর একদিন কি আমার একদিন.
রাত 3টে বাজে, এই সময় কি এত জোরে জোরে চেঁচাচ্ছে? বিষয় টা দেখতে হচ্ছে? এত রাতে আমাদের পাড়ায় কি ঘটলো?
আমি একটু এগিয়ে গেলাম দেখি- একটা মেয়ে একটা ছেলে সাথে সরি ছেলে বলা ভুল হবে, একটা কাকুর সাথে একটা মেয়ের খুব ঝগড়া হচ্ছে, পাশেই একটা ট্যাক্সকি দাড়করানো, বুঝলাম মেয়েটা প্যাসেঞ্জের ছিল, but বুঝতে হবে মেয়েটার দম আছে, এই ঘুট ঘুট অন্ধকারেও... সাহস আছে..
আমি কাছে গিয়ে বুঝলাম. মেয়েটা এই লোকটার ট্যাক্সসি করে ফিরছিল.
আর লোকটা নাকি হটাৎ গাড়ি দাড়করিয়ে মেয়েটার সাথে বাজে ব্যাবহার করছিলো.. বিষয় টা বুঝে আমারও মাথা গরম হয়ে গেলো লোকটার ওপরে, ঘুট ঘুটে অন্ধকার থাকায় না আমি লোকটার মুখ দেখতে পাচ্ছি, না মেয়ে টার, আর না ওরা আমার মুখ bujte পারছে..
তখন আমি বললাম ম্যাডাম কি হয়েছে?
সাথে সাথে?
দীপিকার –
কে আপনি আপনার ডাকা হয়েছে? আমি লোকটাকে ছাড়বো না আর যদি আপনি এর মধ্যে ঢোকেন তবে আপনাকেও আমি তুলোধোনা করে ছাড়বো. আর এ কে আমি ছাড়বো না.শালা কুত্তার সাহস কি করে হয় আমার সাথে বাজে ব্যবহার করার.
তখন আমায় উদ্ধাস করে মেয়েটা বল্লো
দীপিকা – ওই দাঁড়িয়ে কি দেখছেন পুলিশ ডাকুন,যেন দুই মিনিটের মধ্যে এখানে হাজির হয়.
তখন আমি থানার ফোন করলাম পুলিশ চলে চলে এল তখন পুলিশ লোক টাকে এরেস্ট করলো. তখন মেয়েটা থেকে শুনতে পেলাম যে মেয়েটা বিয়ে বাড়ি থেকে ফিরছিল তারপরেই এই ঘটনা.
কিন্তু আমার দূর্ভাগ্য কারন এমন মেয়ের মুখটাও দেখতে পেলাম না, না সে আমাকে দেখতে পেলো,আজ অন্ধকারটা যে খুব বেশি ছিল হয়তো আজকে আমাবস্যা.
তারপর মেয়েটি অন্য গাড়ি নিয়ে বাড়ি চলে গেল আর আমি ঘরে গিয়ে শুয়ে পরলাম পরের দিন.
সঞ্জয় –
রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়,,,,,,,,,
গেটের ভিতর দিয়ে সবাই নামি দামি পোশাক পরে ঢুকছে শুধু একজন বাদে।
কারণ সে পড়েছে ফুটপাথ থেকে কেনা একটা টি-শার্ট আর একটা প্যান্ট।। মাথায় চিপচিপ করে তেল দেওয়া।।।
আজকে কলেজে তার প্রথম দিন।।
কলেজে ঢুকতেই তাকে সবাই এমনভাবে দেখছে যে মনে হচ্ছে কোনো অন্যগ্রহের প্রানী।।লাগবে নাই বা কেন বলুন।।
সে তো সবার মতো দামী পোশাক পড়ে নি।।
তাকে দেখতে একেবারে ক্ষেত লাগছে।।
সে এদিকে সেদিকে না তাকিয়ে সোজা ক্লাশে চলে গেল।।
তারপর সে সবার পিছনের সিটে গিয়ে বসে পড়ে।।তার কোনো বন্ধুবান্ধব হয় নি ।।
কিভাবে হবে সে তো গরীব।।
কিন্তু সে দেখতে খুবই সুন্দর।।
যে কেউ ক্রাশ খাবে।। তারপর তাদের ক্লাশে স্যার প্রবেশ করেন।।
আপনারা হয়তো ভাবছেন যে এখনো নায়ক-নায়িকার পরিচয় দিচ্ছি না কেন???
পরিচয় জানতে আমাদের সাথে থাকুন ।।
স্যার সবার পরিচয় জানতে শুরু করছেন তখন একটা মেয়ে দরজায় দাঁড়িয়ে বলল-
Dipika -may I come in,, sir……..
স্যার-yes,,come in..why u r late to come class???
Dipika -Sorry,,sir..
স্যার,-ওকে।।ভিতরে এসে গিয়ে নিজের সিট্ এ বস।
তারপর মেয়েটি সামনের বেঞ্চে বসল।।
স্যার আবার পরিচয় পর্ব শুরু করলেন।।একে একে সবার নাম,ঠিকানা জানতে শুরু করলেন।তারপর মেয়েটার কাছে তার পরিচয় জানতে চাইলেন।
তখন মেয়েটা বলল-
Dipika – আমার নাম দীপিকা দাস ।।বাবার নাম রঞ্জিত দাস ,তিনি এই শহরের বিশিষ্ট ব্যবসায়ীদের মধ্যে একজন।।
আর মায়ের নাম- বাসন্তী দাস ,তিনি গৃহিনী।।
Sanjoy – ইনিই হলেন আমদের গল্পের নায়িকা দীপিকা ।😊😊😊
সবার পরিচয় পর্ব শেষে স্যার লাস্ট বেঞ্চে বসা ছেলেটির কাছে চলে যায় তার পরিচয় জানতে।
তারপর সে বলল-আমার নাম সঞ্জয় ( আর এই সঞ্জয় হলাম আমিই আর আমিই হলাম গল্পের নায়ক😁😁😁😁)
(আমার বাবা মা কেউ( নেই )
তখন স্যার বলল-
স্যার-
তাহলে পড়ালেখার খরচ কিভাবে চালবে।
সঞ্জয়-স্যার আমি কাজ করি।।
তাই আমার পড়ালেখার খরচের সমস্যা হবে না।একটু মিথ্যে বলে এড়িয়ে গেলাম. তখন sir বল্লো
স্যার – বা.. খুব ভালো....
আজকে তোমাদের ক্লাস এতটুকুই।।
সঞ্জয়- এই বলে স্যার চলে গেলেন।।
তারপর একটা ছেলে আমার সামনে এসে বলে
সোমদীপ = হ্যালো আমার নাম সোমদীপ, আমরা কি ফ্রেন্ড হতে পারি?
Sanjoy= আমি হলাম সঞ্জয় , এই কলেজে আমি আজ প্রথম,
সোমদীপ= hmm, আজথেকে আমরা ফ্রেন্ড,
Sanjoy(তার পরে হটাৎ সোমদীপ দুটো ছেলেকে ডাকদায়, তারা পাশে আসতেই সোমদীপ বলে )
সোমদীপ= সঞ্জয়, এ হলো বিষ্ণু, আর এ হলো রনি, আমার ছোটবেলার বন্ধু.
তারপর সোমদীপ আমাকে তার আরও দুই বন্ধুর সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়।।তাদের একজনের নাম সুমন,আর একজনের নাম সায়ন ।।
ওরা পাঁচ জনই মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান।।
তারপর ক্লাশ শেষ করে বাসার উদ্দেশ্যে চলে আসি।।
সায়নরাও আমার সাথে আসে আমাকে এগিয়ে দেওয়ার জন্য।।।
আমি আমার বাসার গলি পর্যন্ত তাদের সাথে আসি।।।
তারপর বলি—এখন আমি যেতে পরব সামনে ই আমার বাড়ি।।এখন তোরা তোদের বাড়ি চলে যা।।কালকে আবার দেখা হবে।।(ভাবছেন বন্ধুত্ব হল কিছু ঘন্টা হল আর এখন থেকেই তুই বলি,,আমি বলতে চাইনি সোমদীপ কড়াভাবে বলেছে তাই বলছি
♦♦
তারপর বাড়িতে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে নিলাম।।পরে কিছু খেয়ে নিলাম।।
মা এসে বললো-
মা –
- বাবা তুই এইভাবে কেন চলাফেরা করিস।।তোর কিসের অভাব।।টাকা, গাড়ি, বাড়ি সব তর আছে।। বাবা আমি বলি কি তোর বাবার বয়স হয়েছে এখন তুই লেখাপড়ার পাশাপাশি অফিসও সামলা।।।
সঞ্জয় -
-আমার এভাবেই চলাফেরা করতে ভালা লাগে।।যেদিন সময় হবে সেদিন আমি না হয় তোমাদের ইচ্ছা মত চলব।।তোমরা আমাকে যেভাবে দেখতে চেয়েছ সেভাবেই।।
আর আমি পড়ালেখা শেষ পর অফিস জয়েন করব।।করার আগে আমি বাবাকে অবশ্যই জানাব।।
তারপর চলে গেলাম একটু বিশ্রাম নিতে কিন্তু ঘুম আসছে না।কারণ জানতে হলে ফ্লাশব্যাকে যেতে হবে।।
কালকে ক্লাশে যে মেয়েটি আসেছিল তাকে দেখে আমি ক্রাশ খাই।।বলতে গেলে প্রেমে পড়ে যাই।।তাই সারাক্ষণ তার কথা মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে।। যার ফলে ঘুম আসছে না।।
পরেরদিন সকালে দেখি বাসার সামনে নতুন গাড়ি।। প্রথমে মনে করিছিলাম বাবা নিজের জন্য হয়তো কিনেছে।।তারপর হঠাৎই বাবা এসে বললেন যে গাড়িটা নাকি আমার জন্য কিনেছে।।
আমি বললাম-
বাবা কিছু মনে করো না।।
আমি এখন এই গাড়ি নিতে পারব না।।সময় হলে এই গাড়ি আমি অবশ্যই নেব।।
তাই আমি এখন যেরকম আছি সেরকমই থাকতে চাই।।
বাবাও আর কিছু বললেন না শুধু বললেন-
বাবা-
আচ্ছা তোর যখন মনে চায় তখন নিস।এইসবই তো তোরই।।
সঞ্জয়- তারপর আমি রুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে কলেজের জন্য
রেডি হয়ে নিই।।কিছু হালকা নাস্তা করে বের হয়ে যাই।।রাস্তার মোড়ে গিয়ে দেখি সোমদীপ, সুমন,সায়ন দাঁড়িয়ে আছে।।জানি না কি কারনে রনি আজ এলোনা...
সঞ্জয় -
তারপর তাদের সাথে কথা বলতে বলতে কলেজে চলে আসি।।আসার পথে দেখি একটা মেয়ে একজন রিক্সাচালকের সাথে খারাপ আচরণ করছে।। তারপর আমরা সেখানে গিয়ে জানতে পারি দীপিকা রিক্সাচালকের রিক্সাসহ তার গাড়ি দিয়ে ধাক্কা মারে এবং লোকটার উপর চেঁচামিচি শুরু করে।। আর দীপিকা লোকটাকে তার চিকিৎসার টাকা দেওয়ার বদলে ওনাকে চর মারতে যায়।।
আমার খুব রাগ উঠে যায় তখন আমি দীপিকা কে ঠাস,ঠাস,ঠাস তিনটা চর মারি।।তারপর বলি – নিজে দোষ করে গরিব মানুষের উপর চাপাচ্ছ কেন??
দীপিকা সেখান থেকে রাগে ফুসতে ফুসতে চলে যায়।।আমরাও আমাদের মতো ভার্সিটি চলে যাই।।
গিয়ে দেখি পুলিশ দাঁড়িয়ে আছে।। আমি ঢুকার সাথে সাথেই আমাকে এরেস্ট করে।।
তখন দীপিকা এসে বলে
দীপিকা –
ছোটলোকের বাচ্চা তোর সাহস কি করে হয় আমার গায়ে হাত তোলার।। তুই জানিস আমি কে, তোর মত 10 ছেলেকে আমি পুষতে পারি.
যা এখন জেলের হাওয়া খা।।
আমি কিছু বললাম না শুধু মুচকি হাসি 😊😊😊দিয়ে সেখান থেকে পুলিশের সাথে চলে যাই।।
আর যাওয়ার সময় সোমদীপকে একটা নাম্বার দিলাম আর আমার মোবাইল দিয়ে বললাম কল করে শুধু এতোটুকু বলতে যে আমাকে পুলিশ ধরে নিয়ে গেছে।।এটা বলার সাথে সাথে যেন কল কেটে দেয়।।
তারাও সেইরকমই করল।।থানায় নেওয়ার পর আমাকে লকাবে নিয়ে যাওয়া হল।।।
কিছুক্ষণ পরই কিছু গাড়ির আওয়াজ শুনা গেল।।
তারপর আমাকে লকাব থেকে বের করা হল।।
বের হয়ে দেখি বাবা আর আমার জামাইবাবু দাঁড়িয়ে আছে।।
তখন জামাইবাবু বলল-
জামাইবাবু-
শালাবাবু তুমি ঠিক আছ তো। চিন্তা করো না, বাবা এসেছে যখন, তখন আর কোন চাপ নেই..
সঞ্জয় –
বাবারা যখন এসেছে তখন পুলিশ অফিসার ছিলো না।লাঞ্চ করতে গেছিলো।। তারপর তিনি লাঞ্চ করে এসে দেখে আমি লকাবের বাইরে তখন তিনি হাবিলদারকে বলেন –
পুলিশ অফিসার-
এই ছেলেটা লকাবের বাইরে কেন???
সঞ্জয়-
এ কথা বলার সাথে সাথেই তিনি পাশে তাকিয়ে দেখেন বাবা বসে বসে আছেন।।তিনি বাবাকে দেখে বলেন-
পুলিশ অফিসার-স্যার আপনি এখানে।। আজ আমার থানা ধন্য হল আপনার পায়ের ধুলোয়।।
আপনি কেন আসতে গেলেন আমাকে ডাকতেন আমিই আপনার কাছে চলে যেতাম দেখা করার জন্য।।
তখন বাবা বললেন,,,,,,,,,,,
❤️❤️চলবে.....
গল্পে তে তোমাদের সাড়া পেলে তোমাদের রিপ্লাই পেলেই পরবর্তী গল্প এবং পুরো গল্পটা খুব তাড়াতাড়ি আসবে ।।