সনাতন বৈদিক ধর্ম - 𝐇𝐢𝐧𝐝𝐮𝐢𝐬𝐦

  • Home
  • India
  • Silguri
  • সনাতন বৈদিক ধর্ম - 𝐇𝐢𝐧𝐝𝐮𝐢𝐬𝐦

সনাতন বৈদিক ধর্ম - 𝐇𝐢𝐧𝐝𝐮𝐢𝐬𝐦 সত্য সনাতন বৈদিক ধর্ম প্রচার🙏

গুরুকুল শিক্ষা প্রাচীন ভারতীয় শিক্ষা_
22/06/2024

গুরুকুল শিক্ষা প্রাচীন ভারতীয় শিক্ষা_

 #প্রায় হাজারও বছর ধরে চলছে আমাদের আর্যাবর্ত দেশে ধর্ম নিয়ে ব্যবসা। এই কথা সকলের জেনে রাখা উচিত যে এই আর্যাবর্ত দেশ থেকে...
01/08/2022

#প্রায় হাজারও বছর ধরে চলছে আমাদের আর্যাবর্ত দেশে ধর্ম নিয়ে ব্যবসা। এই কথা সকলের জেনে রাখা উচিত যে এই আর্যাবর্ত দেশ থেকেই ধর্মের প্রচার শুরু হয়েছিল আবার এই আর্যাবর্ত দেশ থেকেই সর্বপ্রথম অধর্মেরও প্রচার শুরু হয়েছিল। ঋষি কপিল সাংখ্য দর্শনে লিখেছেন- যখন সমাজে উত্তম-উত্তম উপদেশকারী থাকেনা তখন অন্ধ পরম্পরা চলতে থাকে [সাংখ্যসূত্র ৩/৭৯,৮২]। অর্থাৎ বলা যায় যখন বেদজ্ঞ ব্রাহ্মণদের সংখ্যা কমতে শুরু করে সেই সময় অল্প শিক্ষিত ভণ্ড ব্যক্তিরা ধর্মের নামে ব্যবসা শুরু করে। আর এই সমস্ত ধর্ম ব্যবসায়ীদের বর্তমান সময়ে ব্রাহ্মণ বলা হয়, যদিও ব্রাহ্মণ তাকেই বলে যিনি বেদজ্ঞ, যিনি বেদানুকূল জীবন ধারণ করেন। কিন্তু বর্তমান সময়ে নিজেদের জন্মগত ব্রাহ্মণ বলে চেল্লানো কথিত ব্রাহ্মণরা বেদ পড়া তো দূরের কথা বেদ পড়ার ২% যোগ্যতাও তাদের নাই, এরা কোনো ভাবেই প্রকৃত ব্রাহ্মণ নয়।

এই সমস্ত ধর্ম ব্যবসায়ী কথিত ব্রাহ্মণদের ডজন ডজন ব্যবসার মধ্যে একটি ব্যবসা হলো মৃত ব্যক্তির শ্রাদ্ধ করা। কোনো ব্যক্তি যতই পাপ করুক না কেন চিন্তার কোনো কারণ নেই, মৃত্যুর পর যদি সেই ব্যক্তির নামে শুধু মাত্র শ্রাদ্ধ করা হয় তাহলে সেই ব্যক্তি স্বর্গ লাভ করবে। আমাদের বৈদিক শাস্ত্রে মনুষ্যের ১৬ টি সংস্কারের কথা রয়েছে, কিন্তু এর মধ্যে কোথাও শ্রাদ্ধ নামক সংস্কার নাই। কেননা এটা পুরোই কুসংস্কার মাত্র।

#১৬ সংস্কার

১।গর্ভাধান
২।পুংসবন
৩।সীমান্তোয়ন
৪।জাতকর্ম
৫।নামকরণ
৬।নিষ্ক্রমণ
৭।অন্নপ্রাশন
৮।চূড়াকর্ম
৯।কর্ণবেধ
১০।উপনয়ন
১১।বেদারম্ভ
১২।সমাবর্তন
১৩।বিবাহ
১৪।বানপ্রস্থ
১৫।সন্ন্যাস
১৬।অন্ত্যেষ্টি

এই হলো আমাদের ১৬ সংস্কার, গর্ভাধান থেকে শুরু করে অন্তেষ্টি ক্রিয়া পর্যন্ত। শ্মশানে মৃতদেহ আগুনে দাহ করার ক্রিয়াকে "অন্ত্যেষ্টি ক্রিয়া" বলা হয়। অন্ত‍্যা অর্থাৎ অন্তিম এবং ইষ্টি অর্থাৎ যজ্ঞ বা শুভ কর্ম বা সংস্কার বোঝায়। এই অন্তিম সংস্কারকে নরমেধ, পুরুষমেধ, পুরুষযাগও বলা হয়। মৃতদেহ আগুনে দাহ করাই হল শেষ সংস্কার, এরপর শ্রাদ্ধ বা পিণ্ড দান আদি কোনো নিয়ম শাস্ত্র সম্মত নয়।

যজুর্বেদ ৪০/১৫ মন্ত্র

বায়ুরনিলমমৃতমথেদং ভস্মান্তং শরীরম্।ওম্ ক্রতো স্মর ক্লিবে স্মর কৃতং স্বর।।

এই মন্ত্র অনুযায়ী শরীর ভস্ম করা অর্থাৎ অন্ত্যেষ্টি সংস্কারই শেষ সংস্কার। এরপর শরীরের জন্য অন্য কোন সংস্কারই অবশিষ্ট থাকে না। শ্মশান ভূমিতে জ্বলন্ত চিতায় সমিধা, সুগন্ধি, রোগনাশক ও বুদ্ধিবদ্ধক ঔষধ এবং ঘৃত আহুতি দ্বারা মৃত শরীরকে ভস্মীভূত করাই অন্ত্যেষ্টি সংস্কার। জীব তার কৃত কর্মে ফল নিজেই ভোগ করে। বংশধরদের কোন কার্যই তাকে সাহায্য করতে পারে না।

বর্তমান সময়ে কোনো সনাতনী বন্ধুকে যদি জিজ্ঞাসা করা হয় মৃত ব্যক্তির শ্রাদ্ধ করলে কি হয় ? তিনি উত্তরে বলবেন, যে মৃত ব্যক্তির শ্রাদ্ধ হবে সে স্বর্গ লাভ করবে। ঋষি বাল্মীকি লিখেছেন-

য়দাচরতি কল্যাণি শুভম্ বা য়দি বাঽশুভম্
তদেব লভতে ভদ্রে কর্তা কর্মজমাত্মনঃ।।

মনুষ্য যেমন ভালো অথবা খারাপ কর্ম করে ঠিক তেমনই ফল ভোগ করে। কর্তা কে নিজের কৃতকর্মের ফল অবশ্যই ভোগ করতে হয়।

[বাল্মীকি রামায়ণ, অরণ্যকাণ্ড/ ৬৩/৬]

অতএব আপনি যে কর্ম করবেন [খারাপ বা ভালো] তার ফল আপনাকে ভোগ করতেই হবে। কিন্তু এই কথিত শ্রাদ্ধ অনুযায়ী যে যতই পাপী হোক না কেন তার মৃত্যুর পর যদি সন্তানেরা শ্রাদ্ধ করে তাহলেই তার স্বর্গ লাভ। বাহ কি দারুণ! এদের মতে স্বর্গ করা লাভ এতটাই সহজ! একজন চোর, ধর্ষক, খুনি, জঙ্গি, ব্যভিচারী ব্যক্তির মৃত্যুর পর যদি তার শ্রাদ্ধ করা হয় তাহলেই সেই ব্যক্তি মুক্তি লাভ করবে। ঈশ্বর হচ্ছেন ন্যায়কারী তিনি সকলকে কর্ম অনুযায়ী ফল প্রদান করেন। সনাতনী বন্ধুদের কাছে আমার জিজ্ঞাসা এই যে মনুষ্য কর্ম অনুযায়ী ফল প্রাপ্ত হয় নাকি শ্রাদ্ধ অনুযায়ী ? যদি কেউ বলেন মনুষ্যের কৃত কর্ম অনুযায়ী ফল প্রাপ্ত হয়। তাহলে মনুষ্যের কৃত কর্ম অনুযায়ী যখন ফল লাভ হয় তাহলে শ্রাদ্ধ কেন করা হয় ? যে ব্যক্তি স্বর্গ লাভের যোগ্য সে ব্যক্তি অবশ্যই স্বর্গ লাভ করবে, তাই না ? আবার কেউ যদি বলেন মৃত্যুর পর শ্রাদ্ধ করলেই মুক্তি বা স্বর্গ লাভ হয় কৃতকর্ম অনুযায়ী নয়। তাহলে এটাই বলা যায় যে আপনার মান্য ঈশ্বর নিশ্চিতরূপে ঘুষখোর! কেননা আপনার মান্য ঈশ্বর বিচার করছেন না যে অমুক ব্যক্তি কিরূপ কর্ম করেছেন জীবিত অবস্থায়, সে কি আদৌ মোক্ষ লাভের যোগ্য ? ঈশ্বর এমনটা বিচার না করে তিনি শ্রাদ্ধ নামক ঘুষ নিয়ে যেকোনো ব্যক্তিকে মোক্ষ বা স্বর্গ লাভ করিয়ে দিচ্ছেন। অতএব যারা বিশ্বাস করেন মৃত ব্যক্তির শ্রাদ্ধ করলেই সেই ব্যক্তি আত্মা স্বর্গ লাভ করে, তাদের মান্য ঈশ্বর ১০০% ঘুষখোর।

যারা মনে করেন শ্রাদ্ধ অনুযায়ীই মুক্তি লাভ হয় তাদের মতানুসারে ঈশ্বর অবশ্যই বোকা, কেননা সে ফালতু ফালতু বেদের মধ্যে ২০ হাজারের বেশি মন্ত্র দিয়েছেন, তিনি যদি বোকা না হতেন তাহলে বেদের মধ্যে এতগুলো মন্ত্র না দিয়ে শুধুমাত্র মৃত ব্যক্তির শ্রাদ্ধ বিষয়ক কিছু মন্ত্র দিতে পারতেন, কেননা জীবের মূল উদ্দেশ্য হলো মোক্ষ লাভ। এদিকে যারা শ্রীকৃষ্ণকে ঈশ্বর মানেন এবং মৃত ব্যক্তির শ্রাদ্ধে বিশ্বাসী তাদের মতেও শ্রীকৃষ্ণ বোকা হওয়া উচিত, কেননা শ্রীকৃষ্ণ যদি বোকা না হতেন তাহলে তিনি গীতায় অর্জুন কে ফালতু ফালতু এত জ্ঞান দিতেন না। শুধুমাত্র মৃত ব্যক্তির শ্রাদ্ধ বিষয়ক কয়েকটা শ্লোক বলতেন তাহলেই তো হয়ে যেত। কেননা জীবের পরম লক্ষ মোক্ষ লাভ করা আর শ্রাদ্ধ করলেই তো স্বর্গ বা মোক্ষ লাভ তাই না ?

মৃত ব্যক্তির শ্রাদ্ধ করলেই মুক্তি, এই সকল উদ্ভট কথাবার্তায় কোনো যুক্তি নেই আর নেই কোনো বেদানুকূল শাস্ত্রীয় প্রমাণ। এই শ্রাদ্ধ হলো কথিত ব্রাহ্মণদের একটা ব্যবসা মাত্র, এর মধ্যে কোনো সত্যতা নেই। এরা নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য গড়ুর পুরাণ আদি নানান কথিত পুরাণ লিখেছেন যার মধ্যে এই শ্রাদ্ধের বিধি বিদ্যমান। শ্রাদ্ধ শব্দটি শ্রদ্ধা থেকে এসেছে, জীবিত পিতা মাতার সেবা যত্ন করাই প্রকৃত শ্রাদ্ধ। আপনার পিতা মাতা যদি জীবিত থাকে তাহলেই আপনি তাদের সম্মান বা অসম্মান করতে সামর্থ্য হবেন এবং তারা সেটাকে অনুভব করতে পারবেন। আপনি যদি তাদের প্রতি যথাযথ শ্রদ্ধা রাখেন তাহলে অবশ্যই আপনার পূণ্য হবে এবং আপনি যদি তাদের অসম্মান করেন, দুঃখ দেন তাহলে আপনার পাপ হবে। কিন্তু আপনি আপনার পিতা বা মাতাকে যতই শ্রদ্ধা করুন না কেন তার জন্য আপনার পিতা মাতার কৃত কর্মের ফল বদলে যাবে না। যে ব্যক্তি যেমন কর্ম করবে সেই অনুযায়ী পরমাত্মা তাকে পুনর্জন্ম দেবে অথবা স্বর্গ(মুক্তি) লাভ করাবে। কিন্তু যে সকল কথিত ব্রাহ্মণরা এই শ্রাদ্ধ প্রথা চালু করেছে, তাদের মতে আপনার পিতা মাতার স্বর্গ লাভ হবে তখন যখন আপনি আপনার পিতা মাতার শ্রাদ্ধ করবেন। ভেবে দেখুন এই কথিত ব্রাহ্মণরা নিজেদের নোংরা স্বার্থসিদ্ধির জন্য কিরূপ হাস্যকর, ভিত্তিহীন বিধান তৈরি করেছে।

এইবার বেদাদি শাস্ত্র থেকে দেখি মোক্ষ লাভ কখন সম্ভব-

#য়জুর্বেদ ৪০/১১

সম্ভূতিং চ বিনাশং চ যস্তদ্বেদোভয়ং সহ ।
বিনাশেন মৃত্যুং তীৰ্ত্বাঽসম্ভূত্যাঽমৃতমশ্নুতে।।১১।

পদার্থ : হে মনুষ্য! (য়ঃ) যে বিদ্বান (সম্ভূতিম্) যারমধ্যে পদার্থ উৎপন্ন হয় সেই কার্যরূপ সৃষ্টিকে (চ) এবং সৃষ্টির গুন, কর্ম, স্বভাবকে এবং (বিনাশম্) যার মধ্যে পদার্থ বিনষ্ট = অদৃশ্য হয়ে যায় ওই কারণরূপ প্রকৃতিকে তথা (চ) তার গুন, কর্ম, স্বভাবের (সহ) একত্রে (উভয়ম্ তত্) সেই কার্যকারণ রূপ জগতকে (বেদ) জানেন; তিঁনি ( বিনাশেন) নিত্য স্বরূপকে উপলব্ধি করার কারন (মৃত্যুম্) শরীর এবং আত্মার বিয়োগে উৎপন্ন দুঃখকেও (তীৰ্ত্বা) অতিক্রম করে (সম্ভূত্যা) শরীর ইন্দ্রিয় অন্তকরণ রূপ উৎপন্ন হওয়ায় কার্যরূপ, ধর্মকার্যে প্রবৃত্ত কারী সৃষ্টির সহযোগে (অমৃতম্) মোক্ষ সুখকে প্রাপ্ত হয় ।

#গীতা ১৩/২৪

য়ঃ এবম্ বেত্তি পুরুষম্ প্রকৃতিম্‌ চ গুণৈঃ সহ ।
সর্বথা বর্তমানঃ অপি ন সঃ ভুয়ঃ অভিজায়তে ।২৪।

অর্থঃ- যে ব্যক্তি এই প্রকারে পরমপুরুষ কে আর গুণের সাথে প্রকৃতি কে জানেন ,সে সর্বথা সংসারে বর্তনাম থেকেও কর্ম ফল ভোগের জন্য জন্ম ধারণ করেনা ।

বেদ ও গীতার উক্ত কথন অনুযায়ী এটাই বলা যায় যে মোক্ষ লাভ করতে গেলে জড় প্রকৃতির বিদ্যা কে জানা আবশ্যিক। যখন জীব জড় প্রকৃতির বিদ্যাকে জানেন বা ঈশ্বরের সৃষ্টি প্রতিটি পদার্থের বিদ্যা সম্পর্কে এবং আধ্যাত্মিক বিদ্যা সম্পর্কে অবগত হন তখন জীব মোক্ষ লাভ করেন। স্রষ্টার সৃষ্টিকে না জেনে স্রষ্টাকে জানা সম্ভব নয়। যেমন- স্রষ্টা কে ? একজন সাধারণ মুসলিম, খ্রিষ্টান বা সনাতনী এই প্রশ্নের সাধারণ উত্তর হিসেবে বলবেন যে যিনি আপনাকে- আমাকে, সূর্য, চন্দ্র, পৃথিবী আদি পদার্থ সৃষ্টি করেছেন বা যিনি জগৎ নির্মাণ করেছেন তিনি স্রষ্টা বা ঈশ্বর। যদি বলা হয় সূর্য আদি কোনো পদার্থের বিষয়ে কথন না করে উত্তর দিন যে স্রষ্টা বা ঈশ্বর কে ? তাহলে উত্তর দেওয়া সম্ভব নয়, কেননা স্রষ্টার বিষয়ে আলোচনা করতে গেলে পদার্থের সৃষ্টি বিষয়ে আলোচনা ছাড়া স্রষ্টার মাহাত্ম্য বিষয়ে জানা এবং অন্যকে জানানো সম্ভব নয়। অর্থাৎ মোক্ষ লাভ করতে গেলে স্রষ্টার সৃষ্টি পদার্থ সমূহের বিদ্যা ও আধ্যাত্মিক বিদ্যা লাভ করতে হবে। যারা মনে করেন হরেকৃষ্ণ জপ, শ্রাদ্ধ, গঙ্গাতে স্নান, গীতা পাঠ করলে, ভাগবত পুরাণ পাঠ করলে, কাশী বৃন্দাবন আদি কথিত তীর্থ ভ্রমণ করলেই মোক্ষ লাভ হয়, তারা সকলেই ভ্রম জালে বসবাস করছেন। আমরা সনাতনীরা বিচারবুদ্ধি ত্যাগ করেছি, আমরা শুধুমাত্র অন্যের কথাকে অন্ধের মত মেনে চলি কিন্তু বিচার করিনা। ঋষি য়াস্ক লিখেছেন- মনুষ‍্যঃ কস্মাত্ মত্বা কর্মাণি সীব‍্যতি অর্থাৎ যিনি বিচার পূর্বক কর্ম করে তিনি মনুষ্য [নিরুক্ত ৩/৭]। ভেবে দেখুন তো আমরা কি সত্যিই মানুষ হতে পেরেছি ? ৪ এর সাথে ৪ যোগ করলে ৮ হয়, এইটা জানার জন্য মহান শাস্ত্রজ্ঞ পণ্ডিত হতে হয়না, সাধারণই জ্ঞানই যথেষ্ট। ঠিক এমনই আমাদের সমাজে যে সকল কুসংস্কার রয়েছে, সেগুলোকে ধ্বংস করার জন্য সাধারণ জ্ঞানই যথেষ্ট।

সকল সনাতনী বন্ধুদের উচিত সত্যকে জানার চেষ্টা করা, যেকোনো সংস্কৃত বইকে ধর্মগ্রন্থ ভাবা বন্ধ করা উচিত, নিজেকে সাধু বলে পরিচয় দেওয়া কোন ব্যক্তি কি বললো সেটা ধর্মের অংশ মনে করার আগে সেই বিষয়ে বিচার করা। সনাতন ধর্মের প্রতিটি মান্যতা সত্য এবং তার মধ্যে যৌক্তিকতা অবশ্যই বিদ্যমান। মিথ্যা, যুক্তিহীন কোনো মান্যতা কখনোই সনাতন ধর্মের অংশ হতেই পারে না, এটা আমাদের মাথায় রাখা উচিত। আমরা যদি সকলে উদ্যোগ নেই যে কথিত ব্রাহ্মণদের তৈরি মৃত ব্যক্তির শ্রাদ্ধ করার ব্যবসাকে বন্ধ করবো, তাহলে খুবই তাড়াতাড়ি এই ব্যবসা বন্ধ করা সম্ভব কিন্তু আমরা যদি মূর্খের মতন কথিত ব্রাহ্মণদের এই ব্যবসা চালিয়ে যেতে সাহায্য করি, তাহলে এই ব্যবসাকে বন্ধ করার ক্ষমতা কারোর নেই। আচাৰ্য় চাণক্য লিখেছেন-


য়স‍্য নাস্তি স্বয়ম্ প্রজ্ঞম্ শাস্ত্রম্ তস‍্য করোতি কিম্।
লোচনাভ‍্যাম্ বিহীনস‍্য দর্পণঃ কিম্ করিষ‍্যতি।।

যে ব্যক্তির বুদ্ধি নাই সেই ব্যক্তিকে শাস্ত্র কিছুই করতে পারবে না। যেমন চক্ষু বিহীন ব্যক্তিকে আয়না কিছুই দর্শন করাতে পারে না।
[চাণক্য নীতি ১০/৯]

নমস্তে
সত্যমেব জয়তে
কৃণ্বন্তো বিশ্বমার্য়ম্
সনাতন ধর্মের জয় হোক
জয় আর্য়াবর্ত🚩🚩

শ্রী কৃষ্ণের প্রতি ঋষি দয়ানন্দ জির শ্রদ্ধা ও শ্রীকৃষ্ণকে কলুষিত করা ভাগবত রচয়িতার বিরুদ্ধে কথন :
17/07/2022

শ্রী কৃষ্ণের প্রতি ঋষি দয়ানন্দ জির শ্রদ্ধা ও শ্রীকৃষ্ণকে কলুষিত করা ভাগবত রচয়িতার বিরুদ্ধে কথন :

তৃণ, কাষ্ঠ এবং পাথরের দ্বারা মাংস তৈরি হয়না,জীব হত্যার পরই মাংস প্রাপ্ত হয়,অত তা ভক্ষণ করলে মহান দোষ হয় :
17/07/2022

তৃণ, কাষ্ঠ এবং পাথরের দ্বারা মাংস তৈরি হয়না,জীব হত্যার পরই মাংস প্রাপ্ত হয়,অত তা ভক্ষণ করলে মহান দোষ হয় :

______________"হিন্দু শব্দের উৎপত্তি"______________    "হিন্দু" শব্দ নিয়ে আজকের এই লেখা সকল সনাতন ধর্মাবলম্বী ভাই বোনদের...
15/07/2022

______________"হিন্দু শব্দের উৎপত্তি"______________


"হিন্দু" শব্দ নিয়ে আজকের এই লেখা সকল সনাতন ধর্মাবলম্বী ভাই বোনদের জন্য। প্রাচীনকাল হতে আমাদের পরিচয়ে যে "আর্য" শব্দের প্রচলন ছিল, কিন্তু হটাৎ কবে থেকে তা "হিন্দু" হয়ে গেলো বা কোথা থেকে এই "হিন্দু" কথাটির উৎপত্তি হলো? আজ সে বিষয় নিয়েই আলোচনা করবো শাস্ত্র প্রমানসহ।

সবার প্রথমে "আর্য" কথাটি পরিষ্কার করে নেওয়া যাক। "আর্য" শব্দটি কোনো জাতিগত নাম নয়। "আর্য" হলো মানবের গুণগত অর্থাৎ গৌনিক নাম। আমাদের জাতি হলো একটাই তা "মনুষ্য" জাতি। "আর্য" শব্দের অর্থ হলো শ্রেষ্ঠ/জ্ঞানী ব্যক্তি, এর একটা সাধারণ প্রমাণ দিচ্ছি গীতা থেকে,

⭕️ দেখুন শ্রীকৃষ্ণ অর্জুনকে কি বলছেন -

"কুতস্ত্বা কশ্মলমিদম্‌ বিষমে সমুপস্থিতম্‌
অনার্যজুষ্টমস্বর্গ্যমকীর্তিকরমর্জুনঃ"
গীতা - ২ অঃ / শ্লোক ২

ভাবার্থ : হে অর্জুন! এই অসময়ে তোমার মধ্যে এরুপ মোহ কোথা হইতে এলো? শ্রেষ্ঠ ব্যক্তিরা এমন আচরণ করে না এবং এই মোহ স্বর্গ বা কীর্তি কোনোটিই প্রদান করে না।

[গীতা প্রেস ভাষ্য]

এখানে শ্রীকৃষ্ণ অর্জুনকে অনার্য বলেছে। যেহেতু অর্জুন কোনোভাবেই তার বিপক্ষ দলের সাথে যুদ্ধ করতে চাইছে না, তাই শ্রীকৃষ্ণ অর্জুনকে অনার্য অর্থাৎ অজ্ঞানী, আনাড়ি, মূর্খ বলছেন। অর্থাৎ "আর্য" আর "অনার্য" এই দুই হলো মানবের গুণগত নাম।

⭕️ এখন ''পবিত্র বেদ'' এ পরমাত্মা আর্য সম্পর্কে কি বলেছে আসুন জেনে নিই সে বিষয়ে -

🔘 "কৃণ্বন্তো বিশ্বমার্যম্" - [ঋগ্বেদ ৯/৬৩/৫ মন্ত্র]

অর্থাৎ সমগ্র বিশ্বকে শ্রেষ্ঠ বা মহৎ করে তোলো।

🔘 "আর্যা ব্রতা বিসৃজন্তো অধি ক্ষমি" - [ঋগ্বেদ ১০/৬৫/১১]

🔘 “বি জানীহ্যার্যান্যে চ দস্যবো বর্হিষ্মতে রন্ধয়া শাসদব্রতান্”
- [ঋগ্বেদ - ১/৫১/৮]

⭕️ রামায়ণে দেখুন -

🔘 “সর্বদাভিগতঃ সদ্ভিঃ সমুদ্র ইব সিন্ধুভিঃ।
আর্যসর্বসমশ্চৈব সদৈব প্রিয়দর্শন।।”

বাল্মীকি রামায়ণ - ১/১/১৬ শ্লোক

অর্থাৎ শ্রীরামচন্দ্র সদা-সর্বদা সৎপুরুষদের সাহচর্যে থাকতেন যেরূপ সমুদ্র সদা নদীসমূহের সাথে মিলে থাকে তথা তিনি আর্য, সমদর্শী ও সকলের প্রিয় ছিলেন।

"আর্য" শব্দটি বেদাদী শাস্ত্রে অসংখ্য জায়গায় পাবেন। কিন্তু কেউ কি আমায় "হিন্দু" শব্দটি একবার কোনো বেদ, উপনিষদ, বেদান্ত, দর্শন, মনুস্মৃতি, ব্রাহ্মণ শাস্ত্র থেকে দেখাতে পারবেন?
– পারবেন না।

এই ভারতে পূর্ব থেকেই বিদ্বান ঋষি মহর্ষিরা জন্ম নিয়েছে এবং তারা এখানে বসবাস করত বলে এই জায়গায় নাম ছিল "আর্যাবর্ত" অর্থাৎ 'আর্যদের নিবাস'।

আসুন এইবার আলোচনা করি "আর্যাবর্ত" থেকে
"ভারত", "হিন্দুস্তান" বা "ইন্ডিয়া" হলো কিভাবে !

রাজা "ভরত" এর নাম অনুসারে এই জায়গার নাম হয় "ভারতবর্ষ"। যখন মুঘলরা এলো তখন এই জায়গার নাম হলো "হিন্দুস্তান" এবং ইংরেজরা আসার পরে নাম দিলো "ইন্ডিয়া"। যখন মুঘলরা এই দেশে রাজত্ব করা শুরু করে তখন তারা আমাদের উপর "জিজিয়া কর" আরোপ শুরু করে । "জিজিয়া কর" সম্পর্কে অনেকেই ইতিহাসে পড়েছেন। অমুসলিমদেরকে যদি মুসলিম শাসন করে তাহলে সেই অমুসলিমকে "জিজিয়া কর" দিতে হবে এইটা কুরআনের বাণী (সূরা ৯ আত তাওবাহ্.. আয়াত ২৯) তাই আমাদেরকে চিহ্নিত করার জন্য আমাদের নাম দেওয়া হয় "হিন্দু", অর্থাৎ আমাদেরকে তখন "হিন্দু" বলে ডাকতো। অবশ্য এর আগে থেকেই তাদের ধর্মগ্রন্থে হিন্দু, হিন্দুস্তান এই শব্দগুলোর উল্লেখ আছে। যেহেতু মুসলিমদের দেওয়া নাম এই "হিন্দু" সেহেতু তাদের হিসেব মতোই এই নামের অর্থ তারাই দিয়েছে।

আপনারা যদি "হিন্দু"-র অর্থ উর্দু , ফারসি , আরবি ভাষার মধ্যে খুঁজতে যান তাহলে এর অর্থ মিলবে - 'চোর' , 'লুচ্চা' , 'ডাকাত' , 'মাতাল' , 'দাঙ্গাবাজ' , 'কালো' , 'শয়তান' , 'কাফের'। আপতত এর থেকে আর খারাপ কিছু অর্থ নেই। ডিকশনারীর নাম বলে দিচ্ছি- "Gayas-ul-Lughat" ফারসী ডিক্শনারী , "Kareem-ul-Lughat" আরবি ডিকশনারি , "Feroz-ul-Lughat" ঊর্দু ডিকশনারি, এগুলোতে পেয়ে যাবেন "হিন্দু" শব্দের অর্থ কি। যতটা খারাপ বলা যায় 'ঘৃণাবাচক' শব্দ; এর একটা এই "হিন্দু"। মোঘলরা আমাদের নাম "হিন্দু" দিয়েছে আর আমরা সেটা গ্রহন করেছি। কেউ আমাদের বা আমাদের পূর্বপুরুষদেরকে চোর, ডাকাত, মাতাল, দাঙ্গাবাজ প্রভৃতি বলছে আর এটা শুনে কি আমাদের গর্ব হবে নাকি অসম্মান হবে একটু ভেবে দেখবেন। এরপরও বলবেন আমি হিন্দু, আমি গর্বিত!!

আমাদেরকে ওরা হিন্দু বললো কিন্তু আমরা কখনোও ভেবে দেখিনি আসলে সেটা কি। আমরা গলার মালা করে নিয়েছি। এবার দেখা যাক কিছু বিদেশি ভন্ড ঐতিহাসিক এবং এদেশীয় মূর্খ হিন্দুরা কিভাবে একটা মিথ্যা ঘটনা তৈরি করেছে এই "হিন্দু" নামের অর্থ নিয়ে, যা আরো মূর্খতাপূর্ণ।

আমিও একসময় নিজের অজান্তে এটা ভাবতাম ..
"হিন্দু" নাকি তাদের বলা হয় যারা সিন্ধু নদীর তীরে বসবাস করতো। ফার্সি / মুসলিমরা নাকি সিন্ধু বলতে পারতো না তাই "হিন্দু" বলতো আর আমাদের মূর্খ পূর্ব-পুরুষরা ভাবতো ওদের "স" উচ্চারণ হয় না। "স" উচ্চারণ করতে গেলেই বোধ হয় ওদের "হ" উচ্চারণ হয়ে যায়। যদি তাই মেনে নিই তবে একটা প্রশ্ন থেকেই যায় - "সিন্ধু" থেকে যদি "হিন্দু" হয় তাহলে আজ পর্যন্ত "সিন্ধু" নদীর নাম কি "হিন্দু" নদী হয়েছে? কেন হয়নি?

আচ্ছা আবারও মেনে নিলাম ওদের ভাষাতে 'স' নেই তাহলে "ফারসি" শব্দ কিভাবে হবে? "ফারহী" হবে তো তাই না? "মুসলমান" থেকে "মুহলমান" তো ? "ইসলাম" থেকে "ইহলাম" ? কিন্তু আজ পর্যন্ত কি তাই হয়েছে ?

এই হলো আমাদের সমস্যা 😃 আমরা সত্যকে কেউ মানতেই চাইনা, যুক্তি দিয়ে কেউ বুঝতেই চাই না কোনো বিষয় 😃 অন্ধের মতো শুধু ভুলগুলোকে আঁকড়ে ধরে বেঁচে আছি 😃

উপরিউক্ত এই তথ্য বা কথাগুলো একটাও আমার বলা নয়, এই কথাগুলো যিনি বলেছেন তার নাম হলো "পন্ডিত মহেন্দ্র পাল আর্য"। সনাতন ধর্ম সম্পর্কে যারা মোটামুটি চর্চা করেন তারা নিশ্চয়ই "মহেন্দ্র পাল" কে চেনেন। যে "মহেন্দ্র পাল" জী আগে মুসলিম ছিলেন, তার পূর্ব নাম ছিল "মেহবুব আলি"। তিনি উত্তর প্রদেশের এক মসজিদের ইমাম ছিলেন তারপর তিনি মহর্ষি দয়ানন্দ জীর "সত্যার্থ প্রকাশ" গ্রন্থটি পড়ে সে ইসলামের সমস্ত ভুল ভ্রান্তিগুলোকে জানতে পারেন তারপর তিনি সনাতন বৈদিক ধর্মকে গ্রহণ করেন।

এই সমস্ত তথ্য জানার পরও অনেক সনাতনী ভাই জোর গলায় বলে যে আমরা হিন্দু ! আমি সেই সমস্ত ভাইদের প্রশ্ন করতে চাই যে - আপনারা কেন হিন্দু ? সেই ভাই উত্তরে অবশ্যই বলবেন যে - "হিন্দু" বলে আমাদের ডাকা হতো তাই আমরা "হিন্দু"। আপনাদের "হিন্দু" বলে কারা ডাকতো ? নিশ্চয় আমরা নিজেই নিজেকে হিন্দু বলতাম না ? অবশ্যই অন্য কোনো দেশের ব্যক্তিগণ আমাদের "হিন্দু" বলতো ? তাহলে আপনারা এইটাই প্রমাণ করছেন যে আপনারা লোকের দেওয়া নামকেই বেশি গুরুত্ব দেন। আমি এইটাই ভাবছি যে আজ যদি ভিন্ন দেশের ব্যক্তিরা আমাদের পাগল , অজ্ঞানী , অসভ্য বলে ডাকতো তাহলে ঠিক "হিন্দু" শব্দের মতোই এই শব্দগুলোকেও গুরুত্ব দিতেন তাই না ? বিষয়টি ভেবে দেখবেন। আমাদের সমস্ত শাস্ত্র বলছে আমাদের গুনগত নাম "আর্য"; বারবার বলা হয়েছে। কিন্তু আমরা আজ নিজেকে "হিন্দু" বলতেই ব্যস্ত। "হিন্দু" নাম হওয়ার পর থেকে আমরা বেদাদী শাস্ত্রচর্চাকেও বাদ দিয়ে দিয়েছি, আজ হিন্দু সমাজ সনাতন বৈদিক ধর্মের শাস্ত্র থেকে অনেকটা দূরে আজ আমরা শাস্ত্রকে ভুলে কুসংস্কার আর অন্ধবিশ্বাসকে এখনও আমাদের ধর্মে স্থান দিয়ে রেখেছি।।

[একটি ধর্মীয় ওয়েবসাইট থেকে উপরের লেখাটা নেওয়া]

"সবশেষ আপনাদের মূল্যবান সময় নষ্ট করে আমার লেখাটা এত ধর্য্যের সঙ্গে পড়েছেন, তার জন্য আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি, কেননা এই ধরনের লেখা ধর্য্য সহকারে পড়া অত্যন্ত কঠিন হয়ে পরে। এবং শেষে সকলের অন্তঃস্থ আত্মাকে ভক্তি ও শ্রদ্ধা করছি, আমার ভক্তি ও শ্রদ্ধা গ্রহণ করুন- 🙏🏻

গুরু শ্রেষ্ঠ পথ প্রদর্শক :🙏🏻
15/07/2022

গুরু শ্রেষ্ঠ পথ প্রদর্শক :🙏🏻

12/07/2022

হিন্দু ও মুসলিম দুই বন্ধুর খাওয়া নিয়ে সংলাপ :

ভীষ্ম উবাচ,প্রাণা যথাত্মনোহভীষ্টা ভূতানামপি বৈ তথা।। =[ মহাভারত, অনুশাসন পর্ব: ১০০/৫০ ]=সরলার্থ: - পিতামহ ভীষ্ম বললেন, আ...
10/07/2022

ভীষ্ম উবাচ,
প্রাণা যথাত্মনোহভীষ্টা ভূতানামপি বৈ তথা।।
=[ মহাভারত, অনুশাসন পর্ব: ১০০/৫০ ]=
সরলার্থ:
- পিতামহ ভীষ্ম বললেন, আমার নিজের প্রাণ যেমন নিজের অভীষ্ট, তেমনি অন্য প্রাণীর প্রাণও তাহার অভীষ্ট।।

 #কখনো_ভেবে_দেখেছেন?আপনার মাকে কেউ হত্যা করে উদযাপন করলে আপনি কি তাকে শুভেচ্ছা প্রদান করতেন? যেকোনো মানুষই এক বাক্যে দ্ব...
10/07/2022

#কখনো_ভেবে_দেখেছেন?

আপনার মাকে কেউ হত্যা করে উদযাপন করলে আপনি কি তাকে শুভেচ্ছা প্রদান করতেন?
যেকোনো মানুষই এক বাক্যে দ্বিমত পোষণ করবে, মায়ের হত্যাকারীকে শুভেচ্ছা প্রদান কদাপি নয়।

তাহলে গোরু যাকে শাস্ত্রে মাতার স্থান দেওয়া হয়েছে, যাকে বহুকাল ধরে প্রত্যেক সনাতনী গোমাতা বলে সম্বোধন, সেবা ও শ্রদ্ধা করছে সেই মাতাকে হত্যা করে যারা খুশিতে দিন অতিবাহিত করে তাদেরকে শুভেচ্ছা দিতে আপনার হৃদয় একটুও কেঁপে উঠলো না?

একজন বিবেকবান মানুষ হিসেবেও তো পশুহত্যার বিরোধিতা আপনার সর্বতোভাবে করা উচিত ও এই দিনে একে অপরকে শুভেচ্ছা প্রদানে বিরত থাকা উচিত।

স্বয়ং বিচার করুন 🙏

দ্বিপদী মনুষ্য,পক্ষী আদি ও চতুষ্পদী অশ্ব,গো,মহিষ আদি উভয়ের রক্ষা করো :
10/07/2022

দ্বিপদী মনুষ্য,পক্ষী আদি ও চতুষ্পদী অশ্ব,গো,মহিষ আদি উভয়ের রক্ষা করো :

আর্য সমাজের এক মহান সৈনিক পণ্ডিত গুরুদত্ত বিদ্যার্থী :
07/07/2022

আর্য সমাজের এক মহান সৈনিক পণ্ডিত গুরুদত্ত বিদ্যার্থী :

তুই শুদ্র তুই ছোটো জাত।পবিত্র বেদ,গীতা কি বলছে চতুরবর্ণ সম্পর্কে :
07/07/2022

তুই শুদ্র তুই ছোটো জাত।পবিত্র বেদ,গীতা কি বলছে চতুরবর্ণ সম্পর্কে :

 #পৌরাণিক ভাইরা মহর্ষি দয়ানন্দ এবং আর্য়সমাজ কে কেন গালি দেয় ? ✍️যখন আমরা(আর্যসমাজিরা) ভণ্ড,ধুর্তদের বিরুদ্ধে লিখি তখন পৌ...
05/07/2022

#পৌরাণিক ভাইরা মহর্ষি দয়ানন্দ এবং আর্য়সমাজ কে কেন গালি দেয় ?

✍️যখন আমরা(আর্যসমাজিরা) ভণ্ড,ধুর্তদের বিরুদ্ধে লিখি তখন পৌরানিকরা মহর্ষি দয়ানন্দকে গালি দেয়।

✍️যখন আমরা ভাগবত আদি পুরাণের অশ্লীলতার বিরুদ্ধে বলি তখনও পৌরানিকরা মহর্ষি দয়ানন্দ কে গালি দেয়।

✍️ শ্রীরাম, শ্রীকৃষ্ণ মাংসাহারী ছিলোনা যখন আমরা এমন সিদ্ধ করি তখনও পৌরানিকরা মহর্ষি দয়ানন্দ কে গালি দেয়।

✍️যখন আমরা সিদ্ধ করি যে যোগীরাজ কৃষ্ণের প্রায় ১৬১০৮ স্ত্রী ছিলনা (তার শুধু একটি স্ত্রী ছিল যার নাম রুক্মিণী), তখনও পৌরাণিকরা মহর্ষি দয়ানন্দ কে গালি দেয়।

✍️যখন আমরা বেদের বিজ্ঞানকে তুলে ধরি তখনও পৌরানিকরা মহর্ষি দয়ানন্দ কে গালি দেয়।

✍️যখন আমরা সায়ণ, ম্যাক্সমুলার, রমেশচন্দ্র আদির বেদ ভাষ্যে থাকা গরু, ঘোড়া, মহিষের মাংস খাওয়া এবং নানান অশ্লীলতা যুক্ত বিকৃত বেদ ভাষ্য কে মিথ্যা বলে আর্যসমাজের সঠিক বেদ ভাষ্য কে তুলে ধরি তখনও পৌরানিকরা মহর্ষি দয়ানন্দ কে গালি দেয়।

✍️মহর্ষি দয়ানন্দ বলেছেন যে তিনি ঋষি ব্রহ্মা থেকে ঋষি জৈমিনি পর্যন্ত সব্বাই কে সম্মান করে এবং তাদের আদেশ মেনে চলে তবুও এই পৌরানিকরা মহর্ষি দয়ানন্দ কে গালি দেয়।

✍️যখন আমরা বৈদিক শাস্ত্র এবং যুক্তি তর্ক দ্বারা মূর্তি পূজা কে খণ্ডন করি তখনও পৌরানিকরা মহর্ষি দয়ানন্দ কে গালি দেয়।

✍️ভাগবত পুরাণ, বিষ্ণু পুরাণ, ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণ আদি পুরাণে কৃষ্ণ কে লুচ্চা বানানোর হয়েছে তবুও এই সমস্ত পুরাণকে ইহারা মেনে চলে। কিন্তু মহর্ষি দয়ানন্দ বলেছিলেন যে কৃষ্ণ একজন আপ্ত পুরুষ ছিল অর্থাৎ কৃষ্ণ একজন এমন পুরুষ ছিলেন যিনি কখনোই কোনো ভুল কর্ম করেনি। তবুও পৌরাণিকরা মহর্ষি দয়ানন্দ কে গালি দেয়।।

✍️শুদ্ধি আন্দোলন শুরু করেছিল মহর্ষি দয়ানন্দ সেই আন্দোলন কে সারা ভারত ছড়িয়ে দিয়েছিল আর্যবীর স্বামী শ্রদ্ধানন্দ সরস্বতী,যে শুদ্ধির মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ মুসলিম খ্রিস্টান কে বৈদিক ধর্মে আনা হয়েছিল, আজও এই কাজ আর্যসমাজ করেই চলেছে দেশ বিদেশের বিভিন্ন স্থানে , তবুও পৌরাণিকরা মহর্ষি দয়ানন্দ কে গালি দেয়।

✍️মহর্ষি দয়ানন্দ সর্বপ্রথম বলেন যে মনুস্মৃতি কে বিকৃত করা হয়েছে, কারণ মনুস্মৃতির মধ্যে স্ববিরোধী শ্লোক পাওয়া যায়, প্রকরণ বিরুদ্ধে শ্লোক পাওয়া যায় আর এই সমস্ত শ্লোক গুলোতে শুদ্রদের,নারীদের ঘৃণা করা হয়েছে। তাই আর্যসমাজিরা মনুস্মৃতির প্রক্ষিপ্ত মিথ্যা শ্লোক কে মানেনা কাজেই আর্যসমাজের মনুস্মৃতি ভাষ্যতে কোনো প্রক্ষিপ্ত শ্লোক নেই, এবং মনুস্মৃতির কোন শ্লোক কেন প্রক্ষিপ্ত সেই বিষয় গুলোও তুলে ধরা হয়েছে বৈদিক শাস্ত্র দ্বারা, তবুও পৌরানিকরা মহর্ষি দয়ানন্দ কে গালি দেয়।

✍️যখন আমরা ভাগবত পুরাণে উল্লেখিত পিতা ব্রহ্মা এবং মেয়ে সরস্বতীর অশ্লীল যৌন লীলার বিরুদ্ধে কথা বলি তখনও পৌরানিকরা মহর্ষি দয়ানন্দ কে গালি দেয়।

✍️যখন আমরা শিব পুরাণে উল্লেখিত দারুবনে ঋষিদের অভিশাপে শিবের লিঙ্গ কেটে পড়ার কাহিনী কে মিথ্যা বলি এবং খণ্ডন করি তখনও ইহারা মহর্ষি দয়ানন্দ কে গালি দেয়।

✍️যখন আমরা কামাখ্যা যোনি পূজা করাকে অশ্লীলতা বলি তখনও পৌরানিকরা মহর্ষি দয়ানন্দ কে গালি দেয়।

✍️যখন আমরা পুরাণের অবৈজ্ঞানিক কাহিনী কে খণ্ডন করি জ্ঞান এবং যুক্তি দ্বারা তখনও পৌরানিকরা মহর্ষি দয়ানন্দ কে গালি দেয়।

✍️যখন আমরা বৈদিক শাস্ত্রের প্রমাণ দিয়ে তুলে ধরি যে আমাদের চার বর্ণ হলো গুণ এবং কর্ম অনুসারে কিন্তু জন্ম অনুসারে নয়। তখনও পৌরাণিক মহর্ষি দয়ানন্দ কে গালি দেয়।

✍️যখন আমরা উলঙ্গ কালী পূজার অশ্লীলতার বিরুদ্ধে কথা বলি তখনও ইহারা মহর্ষি দয়ানন্দ কে গালি দেয়।

✍️ আমরা মাংস খেকো বিবেকানন্দ কে সন্ন্যাসী মানিনা কিন্তু বিবেকানন্দ কে এক ভণ্ড পশু হিসেবে মান্য করি কারণ শ্রেষ্ঠ আচার্য্য চাণক্য বলেছেন যে মাংস ভক্ষণকারীরা হলো মনুষ্য আকারের পশু। চাণক্যনীতি ৮/২২। তবুও পৌরানিকরা মহর্ষি দয়ানন্দ কে গালি দেয়।

✍️আমরা বলি যে বেদ হলো সমস্ত জ্ঞানের মূল এবং সংষ্কৃত হলো সমস্ত ভাষার মূল তবুও পৌরাণিক মহর্ষি দয়ানন্দ কে গালি দেয়।

✍️যখন আমরা ভাগবত পুরাণে উল্লিখিত ভগবান শঙ্কর দ্বারা ভগবান বিষ্ণুর ধর্ষণ এর অশ্লীল কাহিনীর বিরুদ্ধে কথা বলি তখনও পৌরানিকরা মহর্ষি দয়ানন্দ কে গালি দেয়।

#বলছি এই পৌরানিকদের কাজই কি মহর্ষি দয়ানন্দ কে গালি দেওয়া আর অপমানিত করা ? নাকি এই পৌরাণিক চায় যে তারা পুরাণ কাহিনীর মূর্খতা, অশ্লীলতার মধ্যে আরোই গভীর ভাবে প্রবেশ করবে ?

#নাকি এই পৌরানিকরা প্রতিজ্ঞা করেছে যে তারা পুরাণের অশ্লীলতা, ভণ্ডামি এবং মিথ্যা কে সর্বদা সম্মান করবে ?

#এই পৌরানিকরা কেন চায়না যে বেদের আলো পুরো বিশ্ব ছড়িয়ে পড়ুক ? আমার মনে হয় এই পৌরাণিক হিন্দুরা চায়না যে তারা পূর্বের নাম 'আর্য়' কে ধারণ করুক!

#যদি এই পৌরানিকরা চাইতো যে পরমাত্মার 'বেদ' সমস্ত জায়গায় ছড়িয়ে পড়ুক তাহলে তারা সমস্ত অশ্লীলতা, অন্ধবিশ্বাসকে ত্যাগ করে এই ভারতকে পুনরায় বিশ্বগুরু বানানোর চেষ্ঠা করতো। আর বেদে দেওয়া পরমাত্মার এই জ্ঞান কে শরণ করে চলতো যে- 'कृण्वन्तो विश्वमार्यम्' ऋग्वेद ९/६३/५ অর্থাৎ এই বিশ্বকে আর্য বানাও........

"ও৩ম্ খং ব্রহ্ম" (যজুর্বেদ ৪০/১৭ মন্ত্র)ওঁ আদি নাম সার্থক । যেমন – ও৩ম্ খম "অবতীত্যোম", আকাশমিব ব্যাপকত্বাৎ খম , সর্ব্বে...
05/07/2022

"ও৩ম্ খং ব্রহ্ম" (যজুর্বেদ ৪০/১৭ মন্ত্র)
ওঁ আদি নাম সার্থক । যেমন – ও৩ম্ খম "অবতীত্যোম", আকাশমিব ব্যাপকত্বাৎ খম , সর্ব্বেভ্যঃ বৃহত্বাদ ব্রহ্ম।" রক্ষা করেন বলে 'ও৩ম্' , আকাশের ন্যায় ব্যাপক বলে 'খম' এবং সর্বাপেক্ষা বৃহৎ বলে ব্রহ্ম ঈশ্বরের নাম । বেদাদি শাস্ত্র সমূহে "ও৩ম্" কে পরমেশ্বরের প্রধান এবং নিজ নাম বলা হয়েছে , অন্য সমস্ত নাম গৌনিক ।

ঋগ্বেদে ১/১৬৪/৪৬ মন্ত্রে বলা হয়েছে –

ইন্দ্রং মিত্রং বরুণ মগ্নি মাহু, রথো দিব্যঃ স সুপর্ণো গরুত্মান।
একং সদ্বিপ্রা বহুধা বদন্ত্যগ্নিং যমং মাতরিশ্বানমাহুঃ।।

ভাবার্থঃ এক সত্তা পরব্রহ্মকে জ্ঞানীরা ইন্দ্র, মিত্র, বরুণ, অগ্নি, দিব্য, সুপর্ণ, গরুৎমান, যম, মাতরিশ্বা আদি বহু নামে অভিহিত করেন।

অর্থাৎ পরমেশ্বরের প্রধান নাম "ওঁ" ছাড়াও আরো বহু নাম আছে যা জ্ঞানীরা অভিহিত করেছেন রুদ্র-শিব-বিষ্ণু-গণপতি এবং সূর্য্যাদি পরমেশ্বরের নাম এবং 'ভগবতী' সত্যভাষণযুক্ত বাণীর নাম। এই সমস্ত না বুঝেই লোকে ঝগড়া বাঁধাচ্ছে একে অপরের সাথে। যেমন একটা গল্প বলি –

কোনো বৈরাগীর দুই চেলা ছিল। তারা প্রতিদিন গুরুর পা টিপে দিত। তারা ভাগ করে একজন ডান পা এবং অন্য জন বাম পায়ের সেবার ভার নিয়েছিল। একদিন তাদের মধ্যে একজন বাজার করার জন্য চলে গেলো। অপর জন নিজ পদের সেবা করতে থাকে। এমত সময় গুরুদেব পার্শ্ব-পরিবর্তন করাতে উক্ত শিষ্যের সেবা পদের উপর তার গুরু-ভ্রাতার সেবা পদ পড়লো। তা দেখে সে রাগান্বিত হয়ে লাঠি দিয়ে গুরুর সেই পদের উপর আঘাত করতে লাগল।

গুরু বলিলেন –“ওরে দুষ্টু ! তুই একি করিলি ?”

চেলা বলিল –“আমার সেব্যপদের উপর এই পা এসে পড়ল কেন ?”

এমন সময় যে চেলা বাজারে গেছিল, সে ফিরে আসল। এবং সেও সেব্য পদের সেবা করতে আরম্ভ করল। সেবা করতে গিয়ে দেখল তার সেব্য পদখানি ফুলে গেছে।

তখন সে বলল – “গুরুদেব ! আমার এই সেব্য পায়ের কী হয়েছে ?”

গুরু সমস্ত বৃত্তান্ত তাকে খুলে বললেন। তখন সেই মূর্খও নিঃশব্দে লাঠি নিয়ে সজোরে গুরুর অন্য পায়ের উপর প্রহার করতে লাগল। এবং গুরু উচ্চৈঃস্বরে চীৎকার করে উঠলে দুই চেলা লাঠি নিয়ে তাঁহার দুই পায়ের উপরে প্রহার করতে লাগলো। এবং তাতে মহা কোলাহল উপস্থিত হল। কোলাহল শুনে লোকেরা এসে বলল – "সাধু আপনার কী হয়েছে ?” তাদের মধ্যে একজন বুদ্ধিমান ব্যক্তি সাধুকে শিষ্যদের হাত হতে ছাড়িয়ে সেই মূর্খ চেলাদের এই বলে উপদেশ দিলেন – “দেখ এই পা দুখানি তোমাদের গুরু দেবেরই । এই পদযুগলের সেবা করলে তাঁর সুখ হয়, আর ব্যথা দিলে তাঁরই কষ্ট হয়।”

একই গুরুর সেবায় শিষ্যেরা যেমন লীলা খেলা করল, সেরূপ এক অখণ্ড সচ্চিদানন্দ অনন্ত স্বরূপ পরমাত্মার বিষ্ণু, রুদ্র প্রভৃতি যে অনেক নাম আছে সেই সত্যার্থ না জেনে শৈব, শাক্ত এবং বৈষ্ণবাদি সম্প্রদায় পরস্পরের নিন্দা করে থাকে। যারা অল্পবুদ্ধি মানুষ তারা নিজেদের বুদ্ধি খাটিয়ে চিন্তা করে না যে, বিষ্ণু, রুদ্র এবং শিবাদি নাম এক অদ্বিতীয়, সর্বনিয়ন্তা ও সর্বান্তর্যামী জগদীশ্বরের অনেক গুণ-কর্ম-স্বভাব সূচক বলে তাঁরই বাচক। বলুন তো এমন মূর্খদের উপর কি ঈশ্বরের কোপ না হয়ে থাকতে পারে ?

গীতা অনুযায়ী যারা শ্রীকৃষ্ণের পূজা করে তারা তামসিক ব্যক্তি ।কৃষ্ণ একজন মনুষ্য ছিল, গীতা অনুযায়ী প্রমাণও হয় যে কৃষ্ণের জন...
03/07/2022

গীতা অনুযায়ী যারা শ্রীকৃষ্ণের পূজা করে তারা তামসিক ব্যক্তি ।

কৃষ্ণ একজন মনুষ্য ছিল, গীতা অনুযায়ী প্রমাণও হয় যে কৃষ্ণের জন্ম হয়েছিল এবং মৃত্যুও হয়েছিল, দেখুন বিষয়টি____

গীতার ৪/৫ শ্লোকে কৃষ্ণজী বলেছে যে তার বহু জন্ম অতীত হয়েছে । অর্থাৎ এই শ্লোক অনুযায়ী প্রমাণ হয় যে কৃষ্ণজীর জন্ম হয়েছিল ।

গীতা ২/২৭ শ্লোকে কৃষ্ণজী বলেছে যে যার জন্ম হয় তার মৃত্যু নিশ্চিত এবং যার মৃত্যু হয় তার জন্ম নিশ্চিত । এই শ্লোক স্পষ্ট করে দেয় যে কৃষ্ণজীর জন্ম হয়েছিল এবং মৃত্যুও অবশ্যই হয়েছিল ।

গীতা ১৭/৪ শ্লোকে কৃষ্ণজী স্পষ্ট ভাবে বলেছে যে ভূত- প্রেতের পূজা করে তামসিক ব্যক্তিগণ ।
প্রেত অর্থাৎ মৃত্যু হওয়া ব্যক্তির পূজা যারা করে তারা তামসিক, কৃষ্ণজীর মৃত্যু হয়েছিল কাজেই কৃষ্ণের পূজা করা ব্যক্তি সবাই তামসিক পূজারী।

যাঁরা গীতাকে সকল শাস্ত্রের সার বলে থাকেন, তাঁরা নিশ্চই সমস্ত শাস্ত্র পড়ে তবেই গীতা পড়েছেন এবং গীতা পড়ার শেষে এই সিদ্ধান্...
02/07/2022

যাঁরা গীতাকে সকল শাস্ত্রের সার বলে থাকেন, তাঁরা নিশ্চই সমস্ত শাস্ত্র পড়ে তবেই গীতা পড়েছেন এবং গীতা পড়ার শেষে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন যে - গীতা সকল শাস্ত্রের সার। তো আমার তাঁদের কাছে কয়েকটা প্রশ্ন রইলো, তার মধ্যে একটি বিশেষ প্রশ্ন হল -

★ "রাম" এবং "কৃষ্ণ" যখন জন্মগ্রহণ করেনি তাঁর আগে মানুষ মোক্ষ প্রাপ্তির জন্য কোন নাম বা মন্ত্র জপ করতো, আর কোন শাস্ত্র পাঠ করে মোক্ষ লাভের জ্ঞান হতো ?

◾️ কোন অধ্যায়ের কোন শ্লোকে মানব জীবনের ষোড়শ সংস্কারের কথা বলা আছে ?

◾️গীতার কতো অধ্যায়ের কতো শ্লোক পড়লে আমরা মানব জীবনের ৪টি আশ্রম সম্পর্কে জানতে পারবো ?

◾️সৃষ্টিবিদ্যা বিষয়ে কোন অধ্যায়ের কতো শ্লোক পড়লে জানতে পারবো যে সৃষ্টির প্রাথমিক অবস্থা কেমন ছিল ?

◾️কোন অধ্যায়ের কোন শ্লোক পড়লে পৃথিবীতে মনুষ্য সৃষ্টি কিভাবে হয়েছিল এবং কতো জন হয়েছিল সেটা জানা যাবে ?

◾️ গীতার কোন অধ্যায়ের কতো শ্লোক পড়লে আমরা ১০টি দিকের কথা জানতে পারবো ?

◾️ গীতার কোন অধ্যায়ের কতো শ্লোক পড়লে আমরা মানব জীবনে প্রতিদিন পঞ্চ মহাযজ্ঞ করতে হয় তা জানতে পারবো ?

◾️ গীতার কোন অধ্যায়ের কতো শ্লোক পড়লে আমরা বিজ্ঞান বিষয় জ্ঞান লাভ করবো ?

◾️ যুদ্ধ বিষয়ে জানতে হলে গীতার কোন অধ্যায়ের কতো শ্লোক পড়তে হবে ?

◾️ গীতার কোন অধ্যায়ের কতো শ্লোক পড়লে জীবের মৃত্যুর পর জীবাত্মার পুনঃ জন্ম কতো দিনে হয় তা আমরা জানতে পারবো ?

◾️ গীতার কোন অধ্যায়ের কতো শ্লোক পড়লে গতিশীল সৃষ্টির বিষয় ও কারণ জানতে পারবো, চন্দ্র-সূর্যের সৃষ্টি কিভাবে হল জানতে পারবো, গাছের প্রাণ আছে তা জানতে পারবো, গ্রহ নক্ষত্রের অবস্থান জানতে পারবো, দ্বাদশ মাস, বর্ষচক্র, ৬ ঋতু সম্পর্কে জানতে পারবো ?

এই ১১টি প্রশ্ন গীতাপ্রেমী ও কৃষ্ণভক্তদের নিকট অর্থাৎ যাঁরা সকল শাস্ত্রের সার গীতাকে মনে করেন। তাঁরা দয়া করে অবশ্যই জানাবেন গীতার অধ্যায় ও শ্লোক নাম্বার দিয়ে প্রশ্নের উত্তরগুলি ।

---বেদ মাহাত্ম্য একসময় সারা বিশ্ব সনাতনের ছায়া তলে ছিল এবং সবাই জন্মগত সনাতনীয় আছে বেদই বিশ্বের সকলজ্ঞানের উৎস যা কোন মা...
02/07/2022

---বেদ মাহাত্ম্য
একসময় সারা বিশ্ব সনাতনের ছায়া তলে ছিল এবং সবাই জন্মগত সনাতনীয় আছে
বেদই বিশ্বের সকলজ্ঞানের উৎস যা কোন মানুষের রচিত কোন গ্রন্থ না।
এই বেদ সর্ব যুগে সর্বকালে মানব জাতীর জন‍্য প্রযোজ‍্য চন্দ্র,সূর্য,গ্রহ, উপগ্রহের মত।

ঋষি যাজ্ঞবল্ক‍্য স্ত্রী মৈত্রয়ীকে বলছেন-
হে মৈত্রয়ী!
সৃষ্টিকালে বেদ সমুহ ঈশ্বরের নিঃশ্বাস হতে উদ্ভুত হয়েছে এবং প্রলয়কালে বেদ সমুহ সেই ঈশ্বরের নিঃশ্বাসেই লীন হবে।

বেদ পুর্ব থেকেই চারটি ছিল

সেই পরম হতেই ঋগ্বেদ,যজুর্বেদ,সামবেদ উৎপন্ন হয়েছে।।
মুন্ডকপনিষদ-২|১|৭
--------------------------------------------------
পিতৃদেব মনুষ‍্যানাং বেদশ্চক্ষু সনাতনম্।
অনুবাদ =পিতা,মাতা,ঋষি গুনীজন সকলের জন‍্য বেদই সনাতনের মার্গদর্শনের চক্ষুস্বরুপ।
মনু সংহিতা
___________________________________
পরমাত্মা (সৃষ্টির আদিতে)সমস্ত কিছুর জ্ঞান বেদের মাধ‍্যমে দান করেছেন তাই তিনি পূর্ব ঋষিদের গুরু।
( যোগসুত্র=১|২৬)
___________________________________
সন্তানের জন‍্য মায়ের চেয়ে বড় যেমন কোন শিক্ষক নেই তেমনি কোন ব‍্যক্তির জন‍্য বেদের চেয়ে শ্রেষ্ঠ আর কোন গ্রন্থ।।
অত্রি সংহিতা
____________________________________
যা বেদ বিহিত তাই ধর্ম আর বেদ বিরুদ্ধ তা অধর্ম।।
মীমাংসা =১|১|২
________________________________
বেদ পরমেশ্বরের বাণী তাই তা প্রমান‍্য।
[ বৈশেষিক দর্শন=১০|১৩]
___________________________________
শ্রুতি বিরোধাত্র কুতর্কাপসদস‍্যাত্মলভ।
শ্রুতি(বেদ)বিরুদ্ধ কুতর্ককারীর কখনোই আত্মজ্ঞান প্রাপ্ত হন না।
(সাংখ‍্য দর্শন=৬|৩৪)
__________________________________
ধর্মের জিজ্ঞাসায় বেদই সর্ব্বোচ্চ প্রমান সকল শাস্ত্রের ঊর্ধ্বে।।
মনুসংহিতা

বেদ ভিন্ন বাকী যত শাস্ত্র আছে তা সকলেই কালের আবর্তনে বিকৃত প্রক্ষিপ্ত হয়ে যায় কিন্তু বেদ প্রচিন কাল থেকে অসামান্য গাণিতিক, একে রাখা হয়েছে সম্পুর্ন শুব্ধ অপরিবর্তিত।।
মনুসংহিতা
___________________________________
বেদে যা কিছু নির্ধারিত হয়েছে তাই ধর্ম আর বেদের বিপরীত হচ্ছে অধর্ম বেদ সমুহ সাক্ষাৎ ব্রহ্মস্বরুপ নারায়ন আর স্বয়ম্ভু অর্থাৎ ঈশ্বর হতে আপনা আপনি উদ্ভুত।।
ভাগবত পুরান=৬|১|৪০
_____________________________________
কোনটি প্রধান‍ বা কোনটি অপ্রধান নয়। বেদে প্রমান‍্য দুটিই সমান বেদের প্রমানের উপর বিশ্বাস না রাখলে গুরুহত‍্যার সমান পাপী সে।
(ব্রহ্মবৈবর্ত্ত পুরান)
___________________________________
বেদ সমুহ স্বয়ং ঈশ্বর হতে উদ্ভুত হয়েছে।
গীতা=৩|

 #সনাতন ধর্মে  #নারী মানেই  #দেবী। এখানে নারী-পুরুষ কোনো ভেদাভেদ নাই, কেউ বড় বা ছোট না, সবাই সমান। এখানে নারীকে শস্যক্ষে...
01/07/2022

#সনাতন ধর্মে #নারী মানেই #দেবী। এখানে নারী-পুরুষ কোনো ভেদাভেদ নাই, কেউ বড় বা ছোট না, সবাই সমান। এখানে নারীকে শস্যক্ষেত বলা হয় না, নারীকে সারাদিন দস্তানা পরে চলাফেরা করতে বলা হয় না। নারীকে শুধু ঘরের কাজ করতে বলা হয় না। নারীকে পৌরহিত্যের অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয় না। এখানে নারীকে তিন তিনটা সতীন নিয়ে বাস করতে হয় না। সনাতন ধর্ম নারীকে দিয়েছে যোগ্য সম্মান এবং যোগ্য অধিকার। ❤️

• আসুন দেখে নি আমাদের #শাস্ত্র কি বলে:

“যে সমাজে নারীদের যথাযথ শ্রদ্ধা ও সম্মান প্রদর্শন করা হয় সেই সমাজ উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি লাভ করে। আর যারা নারীদের যোগ্য সম্মান করে না, তারা যতই মহৎ কর্ম করুক না কেন, তার সবই নিষ্ফল হয়ে যায়।।”
[ মনুসংহিতা - ৩/৫৬ ]

''নারীর যেনো কোনো দুঃখ কষ্ট না হয়''।।
[ অথর্ববেদ - ১২/২/৩১ ]

''একজন নারীর কখনো যেনো সতীন না থাকে''।।
[ অথর্ববেদ - ৩/১৮/২ ]

''নারীকে উপহার হিসেবে জ্ঞান দাও''।।
[ অথর্ববেদ - ১৪/১/৬ ]

''নারী হলো জ্ঞানের ধারক''।।
[ অথর্ববেদ - ৭/৪৭/১ ]

''নারী হলেন জ্ঞানবতী, নারী হলেন ধৈর্য শালিনী, নারী হলেন শত্রু নাশিনী''।।
[ ঋগ্বেদ - ১০/৫৯/২ ]

''স্বামী যেমন জ্ঞানী,স্ত্রীও তেমন জ্ঞানী।স্বামী ঋগ্বেদ মন্ত্র তো স্ত্রী সাম বেদ মন্ত্র''।।
[ অথর্ববেদ - ১৪/২/৭১ ]

''নারী হলো কল্যান কারিণী,গৃহের শোভাবর্ধনকারীণী''।।
[ অথর্ববেদ - ১৪/২/২৬ ]

''নারী সর্বদা পবিত্র থাকে''।।
[ যাজ্ঞবল্ক্য স্মৃতি - ১/৭১ ]

''নারীদের এক অন্যরকম পবিত্রতা আছে,তারা কখনোই পুরোপুরি অপবিত্র হন না''।।
[ বশিষ্ঠ ধর্মসূত্র - ২৮/৪ ]

''নারীরা সবসময় কলুষতা থেকে মুক্ত''।।
[ বশিষ্ঠ ধর্মসূত্র - ২৮/৬ ]

''নারীর মধ্য আমি (পরমাত্মা) কীর্তি, শ্রী, বাক্, স্মৃতি, মেধা, ধৃতি এবং ক্ষমা''
[ গীতা - ১৪/৩৪ ]

এরকম ভুরিভুরি মন্ত্র/শ্লোক আছে, অনেক উদাহরণ আছে যা নারী - পুরুষের সমতা, নারীর অধিকার, নারীর প্রাধান্যকে প্রমান করে, নারীর সম্মানকে প্রাধান্য দেয়। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো তারপরও কিছু মেয়ে তাদের নিজের ধর্মকে না জেনে, নিজের শাস্ত্র না পড়ে লাভ জিহাদ নামক এক রোগে আক্রান্ত হয়ে যায়। সেই দিদিদের উদ্দেশ্যে বলছি আগে জানুন নিজের ধর্মকে, আমার ধর্মে আপনি দেবী, কিন্তু অন্য ধর্মে শস্যক্ষেত। তারপরও কি আপনাদের সামান্য মিথ্যা ভালোবাসার জন্য এই সুন্দর ধর্মটাকে ত্যাগ করার ইচ্ছা। প্লিজ আগে নিজের ধর্মকে জানুন তারপর বিচার-বিবেচনা করে দেখবেন কোনটা ঠিক আর কোনটা ভুল ❓❓

Address

Silguri

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when সনাতন বৈদিক ধর্ম - 𝐇𝐢𝐧𝐝𝐮𝐢𝐬𝐦 posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Videos

Share

Category