
13/04/2024
আজ শনিবার চৈত্র সংক্রান্তি। ১৪৩০ বঙ্গাব্দের শেষ দিনও। রাত পোহালেই পয়লা বৈশাখ-নতুন বাংলা বর্ষ ১৪৩১। জীর্ণ পুরাতন সবকিছু ভেসে যাক, ‘মুছে যাক গ্লানি’ এভাবে বিদায়ী সূর্যের কাছে কাল এ আহ্বান জানাবে বাঙালি।
আজ বাংলা বছরের শেষ দিন হওয়ায় চৈত্র মাসের এ দিনটিকে বলা হয় চৈত্র সংক্রান্তি। বাংলার বিশেষ লোকজ উৎসব এই চৈত্র সংক্রান্তি। চিরায়ত অসাম্প্রদায়িক বাঙালির কাছে একটা সময় থেকে আজও চৈত্র সংক্রান্তি এক বৃহত্তর লোক উৎসবে পরিণত হয়েছে।
রবিবার সকালে ভোরের প্রথম আলো রাঙিয়ে দেবে নতুন স্বপ্ন, প্রত্যাশা আর সম্ভাবনাকে। তেমনি পুরনো বছরকে বিদায় আর নতুনকে বরণ করে নিতে বরাক উপত্যকা সহ পশ্চিমবঙ্গেও আজ পালিত হবে চৈত্র সংক্রান্তির নানা আয়োজন। শেষ হবে যা বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে।
বাংলা উইকিপিডিয়া সূত্রমতে, চৈত্র থেকে বর্ষার প্রারম্ভ পর্যন্ত সূর্যের যখন প্রচণ্ড উত্তাপ থাকে তখন সূর্যের তেজ প্রশমন ও বৃষ্টি লাভের আশায় কৃষিজীবী সমাজ বহু অতীতে চৈত্র সংক্রান্তির উদ্ভাবন করেছিল।
চৈত্র সংক্রান্তি এক সময় গ্রামীণ জনপদের প্রধান উৎসব হলেও কালের প্রবাহে একসময় নাগরিক জীবনেও স্থান করে নেয়। এ উপলক্ষে দেশজুড়ে এখনও চলে নানা ধরনের মেলা, উৎসব। হালখাতার জন্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সাজানো, লাঠিখেলা, গান, আবৃত্তি, সঙযাত্রা, রায়বেশে নৃত্য, শোভাযাত্রাসহ নানা অনুষ্ঠান। তবে বিশুদ্ধ পঞ্জিকা অনুসারীরা চৈত্র সংক্রান্তি পালন করবেন রবিবার। এদিন বরাকের শহর শিলচর ও হাইলাকান্দি, করিমগঞ্জের ও বিভিন্ন জায়গায় আয়োজন করা হয় ‘চৈত্র সংক্রান্তি’র শোভাযাত্রা। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আয়োজন করা হয় শুভ হালখাতার । সবমিলিয়ে জমজমাট এই আজকের আসর ।