05/10/2023
চাচা কি বাড়িতে আছেন ?
কে তুমি, এত সকালে ?
আমি মিলন।একটু বের হয়ে আসেন, মসজিদে ইমাম সাহেবের কাছে যেতে হবে।
এত সকালে হুজুরের কি দরকার ?
হুজুর শুক্রবারে বয়ানে বলেছে যে,, দুনিয়াকে মহব্বত করা যাবে না।
অথচ তিনিই বেশি মহব্বত করে।
আরে বল কি ?
তাহা কিভাবে ?
আচ্ছা, আমরা কি হুজুরের কাঁধে উঠে নামাজ পড়ি? আমরা হুজুরের পিছনে নামাজ না পড়লে কি হুজুর নামাজ পড়বে না? তাহলে কেন বেতন নিবে? তাও আবার প্রতি বছরে বছরে বাড়াতে হয়।
আগে আমি মাসে চল্লিশ টাকা দিতাম, এই মাস থেকে নাকি পঞ্চাশ টাকা দিতে হবে।
গাধা কোথাকার,,, বাড়িতে চলে যা।
তোর বেতন দেওয়া লাগবে না।তোর বেতনের টাকা আমিই দিয়ে দিব। তবুও হুজুরদের সঙ্গে বেয়াদবী করে নিজের অনিষ্ট ডেকে আনিও না
যত হিসাব সব মসজিদের বেতনে।
অন্য যায়গায়তো হিসাব দেখি না।
তুমার বাসায় কি টিভি আছে ?
হ্যাঁ,, আছে।
ডিস লাইন আছে ?
হ্যাঁ, আছে।
ডিসের জন্য মাসে কত দাও ?
তিন শত টাকা।
গুনার কাজে মাসে তিন শত টাকা খরচ করতে কোন সমস্যা নাই আর মসজিদের পঞ্চাশ টাকার জন্য সমস্যা।
হায়রে ইমান !!!
তোমার ছোট বাচ্চারা কি মসজিদের মক্তবে
কোরআন পড়তে যায় ?
হ্যাঁ, যায়।
এদেরকে কি স্কুলের পড়ার জন্য প্রাইভেট পড়াও??
হ্যাঁ, পড়াই।
মাসে কত টাকা দাও ?
তিন বিষয়ে তিনজন শিক্ষককে ছয় হাজার টাকা
দেই।
হায়রে কপাল !!!
যে কোরআন পড়লে প্রতি হরফে দশ
নেকি পাওয়া যায় সেই কোরআনেরর পিছনে মাসে
পঞ্চাশ টাকা খরচ করতে কষ্ট হয়। আর যে বিদ্যা
পাঠ করলে কোন ছওয়াবের উল্লেখ্ নাই শুধু খাওয়া
বাঁচার জন্য ব্যবহার হয় তাহার পিছনে মাসে ছয়
হাজার টাকা খরচ করতেও কোন কষ্ট হয় না। এই কি
তোমার ইমানের পরিচয় ? আবার বল,, হুজুরের কাঁধে
চড়ে কি নামাজ পড়ি ?
কিসের জন্য টাকা ? শুন,,
কোন হুজুরই নামাজের বিনিময়ে টাকা নেয় না।
টাকা নেয় দায়িত্বের জন্য।
তাহাকে সর্বক্ষন
মসজিদের দায়িত্ব পালন করতে হয়।
নইলে টাকা নিত না।
তাহার বাড়ি এখান থেকে ত্রিশ কিলোমিটার দুরে কি এমন ঠেকা পরেছে ?
এত দুরে এসে বিবি
বাচ্চা বাড়িতে রেখে ইমামতি করা??
ইমাম হল সমাজের নেতা।
কাজেই আমাদের উচিৎ ছিল
সমাজের সবচেয়ে যিনি সচ্ছল তার চেয়েও যেন
ইমাম সাহেব সচ্ছল চলতে পারে সেই ব্যবস্থা করা।
তার পুরো পরিবারের ভরন পোষন করা।
তা না করে, দশ টাকাও বেশি দিতে চাওনা।
হায়রে বিবেক?????
আমাদের সমাজে অহরহই এমনটি ঘটছে।
ইমাম সাহেব, ছুটিতে যাইয়া যদি একদিন বেশি ছুটি ক