16/08/2024
ওরা আমায় এভাবে কেনো মারল মা??.........
মা আমি তো যেমন ডিউটিতে যাই সেরকমই ডিউটিতে গেছিলাম, কিন্তু আমি তো জানতাম না যে আজই হবে আমার শেষ দিন!! আমি তো আমার জুনিয়র দের সাথে একসাথে কতো গল্প করতে করতে রাতের খাবার খেয়েছিলাম, জানো মা অনলাইন থেকে অর্ডার করে আনিয়েছিলাম আমার প্রিয় খাবারটা,ওটাই আজ খেয়েছিলাম, তখনও যদি একটু বুঝতে পারতাম এটাই শেষ খাওয়া , এটাই শেষ গল্প ..... ডিউটির বাঁধনে আমি যখন ক্লান্ত হয়ে গেলাম মা, আমার চোখ দুটো ঘুমে বন্ধ হয়ে যাচ্ছিল, একটু শরীরের ক্লান্তি মেটাতে গেলাম, তখনও যদি বুঝতাম মা, সারাজীবনের মতো বিশ্রামে চলে যাবো, তখন ভোররাত আমি ওয়ার্ডে একা তখন, ভোরের শীতল বাতাসে আমার একটু ঠান্ডা লাগতে আমি লাল চাদর টা ঢাকা দিয়ে একটু চোখ বন্ধ করেছিলাম শুধু,,, সেই সময়ের অপেক্ষায় থাকা ওরা আমার সাথে..... ছিঃ!!! মা আমার খুব কষ্ট হচ্ছিল জানো তো অনেক অনেক বার আমি বারণ করেছিলাম, চিৎকার করেছিলাম " বাঁচাও বাঁচাও কে আছো আমাকে বাঁচাও!!" কিন্তু কেউ আমার চিৎকার, আমার আর্তনাদ শুনতে পায়নি জানোতো মা, আর ওরা আরও পশুর থেকেও বিচ্ছিরি ব্যবহার করতে লাগলো..... খেলতে লাগলো আমাকে নিয়ে ওরা!!! আমি ওদের হাতে পায়ে পড়লাম জানো তো, আমি এটাও বললাম যে " আমাকে ছেড়ে দাও,দয়া করে, ছেড়ে দাও, আমি কাউকে কিছু বলব না, আমাকে যেতে দাও..." কিন্তু ওরা আর আমায় তোমার কাছে একবার যাওয়ার সুযোগটা দিলো না, দিলো না তোমার কোলে শেষ বারের মতো মাথা রাখতে দিতে, দিলো না শেষবার তোমার হাসি ভরা মুখ টা দেখার সুযোগ , দিলো না বাবার স্বপ্নে তার রাজকন্যার বড়ো ডাক্তার হওয়ার কাহানী কে সত্য করতে !!! আমার গলা টিপে ধরে নিজেদের সর্ব শক্তি দিয়ে আমার গলা চেপে ধরে জানো মা, আমি অনেক চেষ্টা করেছিলাম বাঁচার কিন্তু হয়তো আজ ভগবান ও চায়নি যে আমি হয়তো বেঁচে থাকি। ওই পশুদের শক্তির কাছে আমি হেরে যাই, আমার গলার হাড় ভেঙে যায়...ওরা আমায় ওভাবেই ওখানে ফেলে রেখে চলে যায় ওই বিবস্র ভাবে..... সকালে সবাই আসে ,কিন্তু একি!! আআআ মি কারোর সাথে কথা কেনো বলতে পারছিনা? তোমাকেও দেখতে পাচ্ছি, তোমায় কত করে ডাকছি তুমি শুনতে কেনো পারছোনা মা, আমার ডাক?? ওওও মা, মা গো এইতো দেখো দেখোনা মা, ও মা এইতো আমি, তুমি কাঁদছো কেনো?? কি হয়েছে তোমার?? ও মা!!! দেখি মা সামনে একটা লাশের দিকে তাকিয়ে হাউমাউ করে কাঁদছে, লাশটার মুখ দেখতে পেয়ে আআআমি শিউরে উঠি.... এ কিহ!!! এ
ভারত আজ উত্তাল, কলকাতার আরজিকর মেডিকেল কলেজে এক নারী চিকিৎসককে গনধ র্ষন শেষে হ ত্যা করে ফেলে রেখে গেছে হাসপাতালেই ।
ভারতে গনধ র্ষনের ইতিহাস অনেক পুরোনো তবে আনুষ্ঠানিক ভাবে গণধ র্ষণ শুরু হয় গুজরাট দাঙ্গায় মুসলমান নারীকে দিয়ে । ২০০২ সালে গুজরাটে হিন্দু মুসলমানের দাঙ্গায় শতশত মুসলিম হ ত্যা করা হয়, ধ র্ষণ করা হয় মুসলমান নারীদের সেই ধ র্ষিত নারীদের মধ্যে একজন ছিলো বিলকিস বানু, যিনি তখন গর্ভবতী ছিলেন। গর্ভবতী বিলকিস বানুকে ১১ জন হি ন্দু ধ র্ষণ করে। এই ১১ জন হিন্দু যুবকের বিরুদ্ধে মামলা হয় গ্রেফতারও হয় কিন্তু মোদি সরকার ২০২২ সালে ভারতের স্বাধীনতার ৭৫ বছর উপলক্ষে সেই ১১ জন ধর্ষককে মু ক্তি দিয়ে অফিসিয়াল ভাবে ধ র্ষ ণের স্বাধীনতা দেয় ভারতজুড়ে।
এরপর কাশ্মীরে ৮ বছর বয়সী আসফিয়া বানুকে অপহরণ করে হিন্দু মন্দিরের ভিতর ৮ জন মিলে গ ণধর্ষণ করে, আটজনের মাঝে চারজনই ছিলো পুলিশ।
এইতো কিছুদিন আগে মণিপুরে এক নারীকে ধ র্ষণ শেষে ন গ্ন অবস্থায় রাস্তায় ঘুরায় বিজেপির ছেলেরা।
মোদির এই গ ণধর্ষণের দেওয়া স্বাধীনতা থেকে রক্ষা পায়নি একজন বিদেশি পর্যটক নারীও, মার্চ মাসে ভারতে ঘুরতে আসা স্প্যানিশ এক নারীকে গ ণধর্ষণ করে ঝাড়খণ্ডে।
শুরটা মুসলমান দিয়ে হয়েছে তাই ভারতের বেশিরভাগ সংখ্যাগুরুরা চুপ ছিলো, আজ যখন মোদির সেই গণধ র্ষণের দেওয়া স্বাধীনতা নিজেদের ঘরে চলে আসলো তখন রাত দখল নামে কর্মসূচি দিয়ে আন্দোলন করছে। এই আন্দোলনে তারা শুধু ধর্ষ কের শাস্তি চাইলেও চায়নি
ধর্ষ কের স্বাধীনতা দেওয়া মোদির শাস্তি!