06/04/2025
এবার কলম হবে অস্ত্র। ঈশিতা সরেন বনাম ভুয়া ডাক্তার সাম্রাজ্য: এখনই জাগো আদিবাসী সমাজ!
ঈশিতা সরেন—একজন আদিবাসী ছাত্রী, যিনি NEET-এ ভালো র্যাংক করার পরও মেডিকেল কলেজে ভর্তি হতে পারেননি। কারণ? তাঁর আসনটি দখল করে নিয়েছে এমন এক ব্যক্তি, যিনি ভুয়া ST সার্টিফিকেট দেখিয়ে ভর্তি হয়েছেন।
এমন একজন নয়—শত শত, এমনকি হাজার হাজার ভুয়া প্রার্থী পশ্চিমবঙ্গের সরকারি মেডিকেল কলেজগুলোতে ST কোটা দখল করে নিয়েছেন।
প্রথম প্রতিবাদ ও হাইকোর্টে মামলা:
ঈশিতা সরেন এই অবিচারের বিরুদ্ধে একাই দাঁড়ান।
তিনি কলকাতা হাইকোর্টে একটি মামলা দায়ের করেন, যাতে সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (CBI) দিয়ে এই জালিয়াতি তদন্তের দাবি তোলা হয়।
একটি সিঙ্গল বেঞ্চ (বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা) সোজাসুজি বলেন—CBI তদন্ত হোক। কারণ রাজ্য প্রশাসন নিরপেক্ষ তদন্তে ব্যর্থ।
হঠাৎই হস্তক্ষেপ: ডিভিশন বেঞ্চের স্থগিতাদেশ:
কিন্তু এখানে শুরু হয় নাটকীয় মোড়।
কলকাতা হাইকোর্টেরই একটি ডিভিশন বেঞ্চ ওই নির্দেশ স্থগিত করে দেয়—CBI তদন্ত বন্ধ!
এই দুই বেঞ্চের মধ্যে বিরোধ এমন জায়গায় পৌঁছায় যে, সুপ্রিম কোর্টকে বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করতে হয়।
সুপ্রিম কোর্টের নীরবতা কি উদ্দেশ্যমূলক?
সুপ্রিম কোর্ট বিষয়টি শুনানিতে নিলেও, এখনও পর্যন্ত চূড়ান্ত কোনও রায় দেয়নি।
বছরের পর বছর কেটে যাচ্ছে, অথচ হাজার হাজার ভুয়া ডাক্তার, হাসপাতাল-চেম্বার চালাচ্ছে!
আর প্রকৃত আদিবাসী ছাত্রীরা আজো ভেঙে যাচ্ছে—হতাশায়, অবহেলায়, অবিচারে!
এই চক্রান্ত কি শুধু প্রশাসনিক ব্যর্থতা, নাকি পরিকল্পিত দলিত-আদিবাসী বিরোধী ষড়যন্ত্র?
– আদিবাসীদের কোটা দখল করে যারা ডাক্তার হচ্ছে, তারা কারা?
– কারা তাদের এই জালিয়াতি করতে সাহায্য করছে?
– কেন প্রশাসন, হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ বা সুপ্রিম কোর্ট এতটা নীরব?
জনগণের প্রতি আহ্বান:
এই লড়াই শুধু ঈশিতার একার নয়,
এটি গোটা আদিবাসী সমাজের অধিকার রক্ষার যুদ্ধ।
আজ আপনারা মুখ খুলবেন না, কাল আপনার সন্তানের ভবিষ্যৎও বিক্রি হয়ে যাবে।
আজই শেয়ার করুন এই পোস্টটি।
CBI তদন্ত ফের শুরু হোক, সুপ্রিম কোর্ট দ্রুত রায় দিক।
ভুয়া ডাক্তারদের আজই বরখাস্ত করা হোক এবং তাদের কারাবাস নিশ্চিত করা হোক।
আমরা আদিবাসীরা চুপ করে থাকা শিখিনি। আমরা লড়াই করব, কলমে-শব্দে-সড়কে।
✍️কলমে - |