মহান শিক্ষা

মহান শিক্ষা বিভিন্ন মনীষী ও বিপ্লবীদের উদ্ধৃতি স?
(4)

এখন মানুষ আর এইসব কনটেন্ট পছন্দ করে না।এখন খিস্তি মারা, অশ্লিল ভিডিও, নাচানাচি― এইসব সোশ্যাল মিডিয়াতে মানুষ পছন্দ করে।এই...
10/10/2023

এখন মানুষ আর এইসব কনটেন্ট পছন্দ করে না।এখন খিস্তি মারা, অশ্লিল ভিডিও, নাচানাচি― এইসব সোশ্যাল মিডিয়াতে মানুষ পছন্দ করে।এই নিয়ে বহুবার ফেসবুক কর্তৃপক্ষ থেকে মেসেজ এসেছে যে– এই পেজ থেকে ভায়োলেন্স ছড়ানো হচ্ছে এবং বাজে কন্টেন্ট পরিবেশন করা হচ্ছে।এর আগে পেজটি বন্ধ করে দিয়েছিল ফেসবুক থেকে এবং বহুবার পেজের রিচ কমিয়ে দিয়েছিল।সেগুলো আপনাদের সামনে কখনো তুলে ধরিনি।যাইহোক, এই পেজের উদ্দেশ্যে হল, বিভিন্ন মনীষী, বিপ্লবী, সমাজসংস্কারক― যুগে যুগে যাদের আবর্তন ঘটেছে এবং তারা তাদের চিন্তা ও দর্শনকে কাজে লাগিয়ে সমাজের আমূল সংস্কার করেছে বা সমাজ পরিবর্তনের কাজে এগিয়ে এসেছে ― তাদের সেই জীবনদর্শন, জীবনসংগ্রামকে তুমি ধরা।এই পেজের যাত্রা শুরু হয় ২০১৯ সালে এবং ১০০% ফলোয়ার অর্গানিক, কোনো পেইড প্রোমোশনের দ্বারা নয়।ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি―এখানকার বেশিরভাগ ফলোয়ার শুভবুদ্ধিসম্পন্ন,বুদ্ধিজীবী, যুক্তিবাদী, সমাজসচেতন মানুষ।ফেসবুক থেকে এই পেজ ডিসেবেল করে দিতে চায় বা দেবে।এখন আপনাদের সুচিন্তিত মতামত খুবই প্রয়োজন।কমেন্ট করুন সবাই।

মহান মানবতাবাদী বিজ্ঞানী মেঘনাদ সাহার জন্মদিবসে শ্রদ্ধার্ঘ্য💐💐
06/10/2023

মহান মানবতাবাদী বিজ্ঞানী মেঘনাদ সাহার জন্মদিবসে শ্রদ্ধার্ঘ্য💐💐

"They may kill me, but can't kill my ideas"ভারতবর্ষের স্বাধীনতা আন্দোলনের আপোষহীন ধারার শহীদ ভগৎ সিং-এর ১১৭-তম জন্মদিবসে...
28/09/2023

"They may kill me, but can't kill my ideas"
ভারতবর্ষের স্বাধীনতা আন্দোলনের আপোষহীন ধারার শহীদ ভগৎ সিং-এর ১১৭-তম জন্মদিবসে শ্রদ্ধার্ঘ্য💐💐

ছেলেবেলায় ঈশ্বরচন্দ্র কলকাতা থেকে গ্রামে ফিরলেই প্রতিবেশীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে সকলের খোঁজ নিতেন। একবার গ্রামের একটি বাড...
27/09/2023

ছেলেবেলায় ঈশ্বরচন্দ্র কলকাতা থেকে গ্রামে ফিরলেই প্রতিবেশীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে সকলের খোঁজ নিতেন। একবার গ্রামের একটি বাড়িতে গিয়ে দেখলেন একটি ৬-৭ বছরের মেয়ে কান্নাকাটি করছে। বিদ্যাসাগর খোঁজ নিয়ে জানতে পারলেন যে মেয়েটি বাল্যবিধবা। একাদশীর ব্রত চলছে কিন্তু মেয়েটি খিদের জ্বালায় থাকতে না পেরে কান্নাকাটি করছে। সামাজিক বিধানকে অমান্য করার ভয়ে বাড়ির লোকজন তাকে খেতেও দিচ্ছে না। ঘটনা দেখে বিদ্যাসাগরের চোখে জল এলো। এরকম বহু বাল্যবিধবার জীবনের করুণ পরিণতিই বিদ্যাসাগরকে এই নিষ্ঠুর সামাজিক প্রথার বিরুদ্ধে বিদ্রোহী করে তুলেছিল। তিনি হুগলী জেলার ১৩৩ জন ব্রাহ্মণের বিবাহের সংখ্যার একটি তালিকা তৈরী করে দেখান কিভাবে হিন্দুসমাজের কুলীন ব্রাহ্মণরা সমাজের কৌলিন্য প্রথাকে হীনস্বার্থে কাজে লাগিয়েছে। তার কয়েকটি উদাহরণ এখানে দেওয়া হল। ভোলানাথ বন্দোপাধ্যায়, বয়স ৫৫. স্ত্রীর সংখ্যা ৮০; ভগবান চট্টোপাধ্যায়, বয়স ৬৪, স্ত্রীর সংখ্যা ৭২, পূর্ণ মুখোপাধ্যায় বয়স ৫৫, স্ত্রীর সংখ্যা ৬২; মধুসূদন মুখোপাধ্যায়, বয়স ৪০, স্ত্রার সংখ্যা ৫৬। বিধবাদের জীবনের দুঃসহ যন্ত্রণা দেখে তাঁর মনে প্রশ্ন জেগেছিল পুরুষের স্ত্রী মারা গেলে যদি বিবাহ করাটা শাস্ত্রসম্মত হয় তাহলে নারীদের ক্ষেত্রে তা হবে না কেন? পাশাপাশি বিদ্যাসাগর বুঝেছিলেন শুধু যুক্তির নিরিখে, আইন পাশ করালেই বিধবা বিবাহ কার্যকরী হয়ে যাবে না, শাস্ত্রসম্মত ব্যাখ্যাও চাই। তাই রাতের পর রাত জেগে কঠোর অনুশীলনের মাধ্যমে সমস্ত শাস্ত্রে তিনি পড়তে শুরু করলেন। বিদ্যাসাগরের জীবদ্দশায় শিবনাথ শাস্ত্রী লিখেছেন- 'তিনি (বিদ্যাসাগর) রাত্রে ঘুমাইতে পারিতেন না। তিনি দিন দিন এই চিন্তায় এতদূর নিমগ্ন হইলেন যে, আহার নিদ্রা ভুলিয়া গেলেন। সে সময় তাঁহার পরিশ্রম যাহারা দেখিয়াছেন তাঁহাদের মুখে শুনিতে পাই যে, তিনি সংস্কৃত কলেজের পুস্তকালয়েতে বাসা করিয়া ফেলিয়াছিলেন।' অবশেষে শাস্ত্র ঘেঁটে বার করলেন বিধবাদের দ্বিতীয়বার বিয়ের বিধান। প্রবল উৎসাহের সঙ্গে শাস্ত্রীয় বিধানকে হাতিয়ার করে বিধবা বিবাহের পক্ষে প্রচার শুরু করলেন। বিধবা বিবাহ উচিত কিনা এতদ্বিষয়ক প্রস্তাব' নামে বইতে লিখলেন 'দুর্ভাগ্যক্রমে বাল্যকালে যাহারা বিধবা হইয়া থাকে, তাহারা যাবজ্জীবন যে অসহ্য যন্ত্রণা ভোগ করে, তাহা, যাঁহাদের কন্যা, ভগিনী, পুত্রবধূ প্রভৃতি অল্প বয়সে বিধবা হইয়াছেন, তাঁহারা বিলক্ষণ অনুভব করিতেছেন।' বিধবা বিবাহের পক্ষে একটি আইন চালু করার জন্য একটি আবেদনপত্র লিখে বিদ্যাসাগর নিজে বিশিষ্টজনদের কাছে ঘুরে ঘুরে এবং সমর্থকদের দিয়ে তাদেরকে বুঝিয়ে স্বাক্ষর সংগ্রহ শুরু করলেন। এই ভাবে ৯৮৬ জন বিশিষ্ট ব্যক্তির কাছ থেকে তিনি স্বাক্ষর সংগ্রহ করেছিলেন। তাঁর পরিচিতদের অনেকে সমাজপতিদের ভয়ে বিধবা বিবাহ চালুর পক্ষে মত দিলেও স্বাক্ষর করার সাহস পাননি। বিদ্যাসাগর তাদেরও বুঝিয়ে বিধবা বিবাহ চালুর পক্ষে কিভাবে নিয়ে আসা যায় তার যথাসাধ্য চেষ্টা করেছেন। দীর্ঘদিন ধরে গোঁড়ামী, অন্ধতা, কুসংস্কারে পূর্ণ মনকে বুঝিয়ে বিধবা বিবাহের পক্ষে আনাটা অতটা সহজ ছিলনা।

বিদ্যাসাগর শাস্ত্রীয় পণ্ডিতদের সভা ডেকে বিধবা বিবাহের পক্ষে শাস্ত্রীয় প্রমাণ দেখিয়ে বললেন- 'শাস্ত্রীয় প্রমাণ আমি যা জানি দেখাইয়াছি, তা মানা না মানা আপনাদের হচ্ছে। তাছাড়া শাস্ত্রে আছে এই আমার প্রধান যুক্তি নয়। আমার আবেদন আপনাদের হৃদয়ের কাছে, বুদ্ধির কাছে।'

সমাজপতিরা পাল্টা যুক্তি তুলে বললেন- 'আপনার কথা ঠিক, কিন্তু প্রত্যেক লোক যদি হৃদয়ের উচ্ছ্বাস বা বুদ্ধির কৌশল অনুসারে চলে, তাহলে তো সমাজ দুদিনে উচ্ছন্নে যাবে। এই জন্যই শাস্ত্র, যা শাসন করে।'

বিদ্যাসাগর বললেন – 'শাস্ত্রও যুগে যুগে বদলেছে। কারণ শাস্ত্রের চেয়ে মানুষ বড়।' কিন্তু কোনমতেই তারা মানতে রাজী নয়। বিদ্যাসাগর মশাই যাতে কোনভাবেই এই আইন চালু করতে না পারেন তার জন্য বিরুদ্ধবাদীরা অতিসক্রিয় হয়ে উঠলেন। চারিদিকে তাঁর নামে কুৎসা, নিন্দা, ব্যঙ্গ করে ছড়া লেখা এমনকি প্রাণে মেরে ফেলারও চক্রান্ত হল। কিন্তু বিদ্যাসাগর ছিলেন দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।

এই প্রসঙ্গে 'হিতবাদী' পত্রিকায় ডাক্তার অমূল্যচরণ বসু লিখেছিলেন – বিদ্যাসাগর পথে বাহির হইলে চারিদিক হইতে লোকে আসিয়া তাঁহাকে ঘিরিয়া ফেলিত, কেহ পরিহাস করিত, কেহ গালি দিত। কেহ কেহ তাঁহাকে প্রহার করিবার এমনকি মারিয়া ফেলিবারও ভয় দেখাইত। বিদ্যাসাগর এ সকলে ভ্রুক্ষেপও করিতেন না। শেষ পর্যন্ত ১৮৫৬ সালে ২৬শে জুলাই ‘বিধবা বিবাহ আইন' চালু হল। তখন বিদ্যাসাগরের বয়স ৩৬ বছর। রামেন্দ্র সুন্দর ত্রিবেদী এ প্রসঙ্গে বলেছেন – বিদ্যাসাগরের হৃদয় ছিল একদিকে কুসুমের মতো কোমল, অন্যদিকে বজ্রের মতো কঠোর। অসহায় নারীর দুঃখে তাঁর চোখ দিয়ে জল পড়ত, আবার এদের রক্ষার জন্য কুপ্রথা দূর করার আন্দোলনে তিনি ছিলেন অত্যন্ত দৃঢ়চেতা।' আইন চালু হলেও বিধবা বিবাহ কার্যকরী করতে গোঁড়া সমাজপতিরা প্রবল বাধা দিল। অনেক দৃঢ়তার সাথে সামাজিক বাধা উপেক্ষা করে কাউকে বিধবা বিবাহে রাজী করানো হলে তাকে বিভিন্ন ভাবে ভয় দেখানো হত। এমনকি সমাজে একঘরে করে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হত। বিদ্যাসাগর এই সমস্ত বাধার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে পাত্র পাত্রী ঠিক করে, বিয়ের সমস্ত খরচ নিজে বহন করে বিধবা বিবাহ দিতে শুরু করলেন। এমনকি বিয়ের পর অনেকের সংসার চালানোর খরচও তিনি বহন করেছেন। একাজ করতে গিয়ে সর্বস্বান্ত হয়েছেন, দেনায় ডুবে গেছেন, সমাজে একঘরে হয়েছেন কিন্তু প্রতিজ্ঞা থেকে সরে আসেননি। বিধবা বিবাহ প্রবর্তনে অনেকেই বিদ্যাসাগরকে উৎসাহ দিয়েছেন, সাহায্যের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন, বিদ্যাসাগর সকলকে বিশ্বাস করেছেন কিন্তু শেষ পর্যন্ত অধিকাংশই কথা রাখেনি।
#বিদ্যাসাগর #মহান_শিক্ষা

বিদ্যাসাগর ছিলেন একজন নতুন ধারণার পথিকৃৎ।এরকম একজন সমাজ সংস্কারকের জন্য, সমাজের নিচের তলার আধপোড়া মানুষেরা যুগ যুগ ধরে অ...
26/09/2023

বিদ্যাসাগর ছিলেন একজন নতুন ধারণার পথিকৃৎ।এরকম একজন সমাজ সংস্কারকের জন্য, সমাজের নিচের তলার আধপোড়া মানুষেরা যুগ যুগ ধরে অপেক্ষা করে থাকে।
#বিদ্যাসাগর

সমাজে প্রতিটা নারীর অনুপ্রেরণা হয়ে বেঁচে থাকবে অগ্নিযুগের অগ্নি কন্যা বীরাঙ্গনা শহীদ প্রীতিলতা ওয়াদেদ্দার। #বীরাঙ্গনা_শহ...
24/09/2023

সমাজে প্রতিটা নারীর অনুপ্রেরণা হয়ে বেঁচে থাকবে অগ্নিযুগের অগ্নি কন্যা বীরাঙ্গনা শহীদ প্রীতিলতা ওয়াদেদ্দার।
#বীরাঙ্গনা_শহীদ

তাঁর সাহিত্যের মধ্যে দিয়ে সমকালীন জীবন দর্শন এবং সামাজিক আকাঙ্খার সবচেয়ে গভীর ও সূক্ষ দিকগুলো মূর্ত রূপ পেয়েছিল।
18/09/2023

তাঁর সাহিত্যের মধ্যে দিয়ে সমকালীন জীবন দর্শন এবং সামাজিক আকাঙ্খার সবচেয়ে গভীর ও সূক্ষ দিকগুলো মূর্ত রূপ পেয়েছিল।

মহান মানবতাবাদী সাহিত্যিক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের জন্মদিবসে শ্রদ্ধার্ঘ্য💐💐
17/09/2023

মহান মানবতাবাদী সাহিত্যিক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের জন্মদিবসে শ্রদ্ধার্ঘ্য💐💐

"বিশ্বাসের আর এক নাম বরুণ"আদর্শ ও প্রতিবাদী শিক্ষক বরুণ বিশ্বাসের ৫২তম জন্মদিবসে শ্রদ্ধার্ঘ্য🙏💐💐
12/09/2023

"বিশ্বাসের আর এক নাম বরুণ"

আদর্শ ও প্রতিবাদী শিক্ষক বরুণ বিশ্বাসের ৫২তম জন্মদিবসে শ্রদ্ধার্ঘ্য🙏💐💐

আজ শিক্ষক দিবসের দিনে যে শিক্ষককে ভোলা অসম্ভব🙏🙏 #বরুন_বিশ্বাস
05/09/2023

আজ শিক্ষক দিবসের দিনে যে শিক্ষককে ভোলা অসম্ভব🙏🙏
#বরুন_বিশ্বাস

31/08/2023

এক কোটি বছর হয় তোমাকে দেখিনা
একবার তোমাকে দেখতে পাবো―
কবি: মহাদেব সাহা

30/08/2023

আমাকে খোঁজো না তুমি বহুদিন—
কতদিন আমিও তােমাকে
খুঁজি নাকো

অফিসে মিটিংয়ে নাস্তা দিয়েছে। খেতে যেয়ে মনে হলো মেয়ে দুটি এগুলো খুব পছন্দ করে। না খেয়ে প্যাকেট করে বাসায় নিয়ে আসলাম। আমার...
19/08/2023

অফিসে মিটিংয়ে নাস্তা দিয়েছে। খেতে যেয়ে মনে হলো মেয়ে দুটি এগুলো খুব পছন্দ করে। না খেয়ে প্যাকেট করে বাসায় নিয়ে আসলাম।
আমার বাবারে দেখতাম এমন করতো৷
বাবা'রা বোধহয় এমনই ❤

এতো আলো পৃথিবীতে, তবু পৃথিবীর মানুষগুলো এতো অন্ধকারে কেন?
17/08/2023

এতো আলো পৃথিবীতে, তবু পৃথিবীর মানুষগুলো এতো অন্ধকারে কেন?

"ওরা বীর―ওরা আকাশে জাগাতো ঝড়"অগ্নিযুগের আপোষহীন ধারার বীর বিপ্লবী শহীদ ক্ষুদিরাম বসুর শহীদ দিবসে শ্রদ্ধার্ঘ্য👏💐💐💐মহান শি...
11/08/2023

"ওরা বীর―
ওরা আকাশে জাগাতো ঝড়"

অগ্নিযুগের আপোষহীন ধারার বীর বিপ্লবী শহীদ ক্ষুদিরাম বসুর শহীদ দিবসে শ্রদ্ধার্ঘ্য👏💐💐💐
মহান শিক্ষা

প্রয়াণ দিবসে শ্রদ্ধার্ঘ্য💐💐
08/08/2023

প্রয়াণ দিবসে শ্রদ্ধার্ঘ্য💐💐

মহান মানবতাবাদী বিজ্ঞানী আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের জন্মদিবসে শ্রদ্ধার্ঘ্য💐💐
02/08/2023

মহান মানবতাবাদী বিজ্ঞানী আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের জন্মদিবসে শ্রদ্ধার্ঘ্য💐💐

এই ছবিটি খুবই দুর্লভ একটি ছবি।ঈশ্বর চন্দ্র বিদ্যাসাগরের মৃতদেহ শশ্মানে নিয়ে যাওয়ার পর বিদ্যাসাগরের মৃতদেহের যে দুটি ছব...
29/07/2023

এই ছবিটি খুবই দুর্লভ একটি ছবি।ঈশ্বর চন্দ্র বিদ্যাসাগরের মৃতদেহ শশ্মানে নিয়ে যাওয়ার পর বিদ্যাসাগরের মৃতদেহের যে দুটি ছবি তোলা হয়েছিল এ ছবিটি তাদের মধ্যে একটি।

মৃতদেহকে বসিয়ে রাখাতে ছবিটি অস্বাভাবিক এবং দৃষ্টিকটু হয়েছে।বসে আছেন বাঁদিক থেকে ঈশান চন্দ্র,শম্ভু চন্দ্র,সূর্য কুমার অধিকারী ও পঞ্চম ব্যক্তি নারায়ন,চতুর্থ জনের পরিচয় জানা যায়নি।১৮৯১ সালের ২৯ জুলাই বাংলা তথা ভারতবর্ষের নারী জাগরণের অগ্রদূত মারা যান।আজ আমাদের ছেলে মেয়েদের শোবার ঘরে শাহরুখ-সালমানের ছবি পাওয়া যায়।অথচ প্রতিটি ভারতবর্ষের তরুনদের বিশেষ করে মেয়েদের কৃতজ্ঞ থাকা উচিত এই অসামান্য মেধাবী,দানবীর মহৎপ্রান মানুষটির প্রতি।

নবজাগরণের প্রভাতসূর্য ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের প্রয়াণ দিবসে শ্রদ্ধার্ঘ্য💐💐
29/07/2023

নবজাগরণের প্রভাতসূর্য ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের প্রয়াণ দিবসে শ্রদ্ধার্ঘ্য💐💐

28/07/2023

বয়স একটা সংখ্যামাত্র;
সেটা ইনি প্রমাণ করেছেন।

ছটফট করতে করতে ছেলেটি হয়তো খুঁজবে কেন আজ স্বাধীনতার ৭৬ বছর পরেও সমাজের এই হাল😑
20/07/2023

ছটফট করতে করতে ছেলেটি হয়তো খুঁজবে কেন আজ স্বাধীনতার ৭৬ বছর পরেও সমাজের এই হাল😑

ডাব শয্যাদয়াময় ব্যানার্জীলাভ ' শুধু সাম্রাজ্যের হয় অধিপতিডাবে শুয়ে বোঝে না সে অতি অল্প মতি।ডাবের ভিতরে জল করে টলমলপুঁজ...
17/07/2023

ডাব শয্যা
দয়াময় ব্যানার্জী

লাভ ' শুধু সাম্রাজ্যের হয় অধিপতি
ডাবে শুয়ে বোঝে না সে অতি অল্প মতি।
ডাবের ভিতরে জল করে টলমল
পুঁজির বাজারে লক্ষী সদাই চঞ্চল।
আঁখি জল মূল্যহীন মুনাফাই সার
দয়া নাই মায়া নাই কারা অন্ধকার।
শৈশব পীড়িত হোক ব্যথা-বেদনায়
অভুক্ত শিশুরা কত ক্ষুধায় ঘুমায়।
ট্রেনে বাসে ফুটপাতে চলে দরাদরি
জীবন বহিছে ভার দুঃখ পাসরি।
লাগাতার উন্নয়ন চলে অবিরাম
সে কখনো বোঝেনি তো এ শিশুর দাম
ঘাম আর অশ্রু দিয়ে গড়া বুনিয়াদ
অহরহ করে চলে হেন অপরাধ।
খানাপিনা না জুটুক মরুক ক্ষুধায়
অনুভূতিহীন যুগ না লইবে দায়।
সভ্যতা কঙ্কাল সার নির্লজ্জ বেহায়া
নির্মমতা ঢাকে তার চকচকে কায়া।
তুলি দেয় ঠুলি খুলি জীবনে যাপনে
তুলিতে প্রকাশ্য হয় যা থাকে গোপন।
@ #দয়াময়।

"অলৌকিক কোনো শক্তির দ্বারা বা অদৃষ্টের দ্বারা মানুষের ভবিষ্যত নির্ধারিত হয় না। আর্থ-সামাজিক বিপর্যয়ের মধ্যে পড়লেও সংগ...
14/07/2023

"অলৌকিক কোনো শক্তির দ্বারা বা অদৃষ্টের দ্বারা মানুষের ভবিষ্যত নির্ধারিত হয় না। আর্থ-সামাজিক বিপর্যয়ের মধ্যে পড়লেও সংগ্রাম, প্রয়াস ও শিক্ষার মধ্যে দিয়ে মানুষ বড় হতে পারে। বড় চরিত্র কঠোর সংগ্রামের মধ্য দিয়েই গড়ে ওঠে।"

খুনের এক দশক পরেও 'মরণজয়ী বরুণ'অনাথ মৃধাPeople say time is a great healer — খুনের এই একদশক পরও বাঙালির মনে তবু বেঁচে আছ...
05/07/2023

খুনের এক দশক পরেও 'মরণজয়ী বরুণ'

অনাথ মৃধা

People say time is a great healer — খুনের এই একদশক পরও বাঙালির মনে তবু বেঁচে আছেন বরুণ। এ বছরের ৫ই জুলাই বরুণ হত্যার দশবছর পূর্ণ হল। তাঁকে স্মরণ করে আজও সুটিয়া তো বটেই, নির্যাতিত বাংলার মা-বোনেরা চোখের জল ফেলেন। সুটিয়ার এই শিক্ষকের জীবনদর্শন ও আদর্শ আজকের শিক্ষক সমাজের একাংশকে বিবেকের কষাঘাত করে। অন্যদিকে নৈতিকতা ও মানবিকতার সামগ্রিক এই আকালে তাঁকে আমাদের স্মরণ করতেই হয়। প্রতিদিন আমাদের চাওয়া থাকে, অন্ততঃ একটি শুভদিনের — জনমানসে শুভবোধ ছাড়া কখনো এই শুভদিন আসে না। কিছু মানুষের মত বরুণ আমাদের সেই শুভ ও শুদ্ধচেতনা জাগিয়ে দিয়ে গেছেন। তাই, 'বরুণ বিশ্বাস স্মৃতিরক্ষা কমিটি'র সহসভাপতি গায়ক প্রতুল মুখোপাধ্যায় বরুণের মত 'আগুনের পাখি'-র উদ্দেশ্যে বেদনাঘন কণ্ঠে গেয়ে ওঠেন —
'পুরোপুরি হওয়া সম্ভব নয় জানি
খানিকটা যেন বরুণের মত হই'?

আবার কখনও তিনি গেয়ে ওঠেন, 'সব মরণ নয় সমান'। বরুণ হত্যার এই একদশক পরেও বরুণের মত আদর্শের প্রয়োজন। দিকে দিকে নারী-নির্যাতন, ধর্ষণ, খুন দেখেও আমরা পা মেপে চলা কিছু মানুষ প্রতিবাদ করতে ভুলে যাচ্ছি। কিন্তু কী ছিল, এই প্রতিবাদী তরুণ বরুণের চরিত্রে? এমন বহু প্রশ্নের উত্তর তাঁর জীবন-নাটকের মাত্র ৩৮-৩৯টি বছরের মধ্যেই নিহীত আছে। সুটিয়ার বরুণ বিশ্বাস শুধু যে মা গীতাঞ্জলি দেবী ও বাবা জগদীশ বিশ্বাসের ছোটো ছেলে ছিলেন তাও নয়। বরুণ বিশ্বাস, অসিত-অরুণ- প্রমিলা-অনিতার ছোটো ভাই হয়েও ছিলেন সমগ্র সুটিয়ার মানুষের অত্যন্ত কাছের মানুষের দাদা, কাকা, মামা, অথবা প্রিয় সন্তানের মত। বাড়ির গৃহপরিচারিকার ভাষায়, —'বরুণদাকে ভরসা করেই গ্রামের মা বোনেরা ভয়হীনভাবে বাঁচতে শুরু করেছিল। দীর্ঘদিন ধরে চলা ধর্ষণ আর অত্যাচারের বিরুদ্ধে ওনার অসাধারণ যুদ্ধের ফলেই এটা সম্ভব হয়েছে।' আর বরুণের কথায়, — 'সুটিয়ার অসহায় মানুষগুলোকে ছেড়ে আমি থাকতে পারব না'। অত্যাচারিত মহিলাদের কাছে বরুণ ছিলেন আশ্রয় আর মানসিকভাবে বেঁচে থাকবার শক্তি। সুটিয়া বা তার পার্শ্ববর্তী এলাকার প্রায় হাজারখানেক দরিদ্র ও দুঃস্থ ছেলেমেয়ের পড়াশোনার যাবতীয় দায়িত্বও তিনি নিজে বহন করতেন। নতুন শিক্ষাবর্ষে তাদের স্কুল বা কলেজে ভর্তির ব্যবস্থা করতে হোত তাঁকেই। এলাকার মুমুর্ষূ রোগীদের জন্য রক্তদান শিবির, থ্যালাসেমিয়া রোগীদের জন্য রক্তের ব্যবস্থা, দুঃস্থদের জন্য বস্ত্র, উন্মাদ ভবঘুরেকে শীতের রাতে বাড়ি থেকে কম্বল নিয়ে উষ্ণতার পরশ দেওয়া, বৃদ্ধাকে কাঠের খাটিয়া বয়ে দিয়ে আসা, ২০১১-য় গাইঘাটা-স্বরূপনগর-বাদুড়িয়া অঞ্চলের বন্যা দুর্গত মানুষকে সুস্থতা দিতে মেডিকেল ক্যাম্পের ব্যবস্থা করা— এ সবই ছিল সুটিয়ার বরুণের কীর্তি। মানুষের জন্য এমতভাবে অপরিহার্য হয়ে ওঠা সত্বেও তাঁকে সমাজবিরোধীদের কাজের সুবিধার জন্য জীবন থেকে সরানো অপরিহার্য হয়ে ওঠে।
বরুণের মত মানুষের চরিত্রের প্রধান সমস্যা হচ্ছে, এঁরা কখনো অন্যায়ের সঙ্গে আপস করতে জানেন না। নিজের জন্য লাভের অংশ হিসেব করে রেখে অন্যায়কারীদের সঙ্গে রফা করতেও জানেন না। ইছামতী ও যমুনা নদী সংস্কারের জন্য সেচমন্ত্রীকে দিয়ে ৩৫ কোটি টাকার প্রকল্পের অনুমোদন করানোর কৃতিত্বের পিছনে বরুণের ভূমিকা ছিল। নিজের জন্য তবু পকেট ভরাণোর ইচ্ছে ছিল না, বরং মাস-মাহিনার টাকা তুলে ঘরে আনার পথেই বিলিবন্টন হয়ে যেত পুরো বেতনটাই। সহকর্মীরা যখন পাশে বসে রুচিসম্মত টিফিন করতেন, শিক্ষক বরুণ বিশ্বাস তখন পয়সা সাশ্রয় করে শুধু পেট ভরানোর উপায় খুঁজতেন। হিতব্রতী এমন মানুষের বিপরীতে শত্রু শিবিরও তৈরি হয়! ইছামতী-যমুনার মজে যাওয়া নদীর পলিজমা অঞ্চলকে কেন্দ্র করে জবরদখলকারীদের মোটা টাকা কমানোর নানা ফন্দিফিকির তৈরি হয়েছে। দখলদার এইসব ভেড়ি মালিক ও ইটভাঁটা মালিকের দখলদারির বিরুদ্ধেও বরুণের প্রতিবাদ ছিল। কোনো কিছুর বিনিময়ে আপোষ করে বরুণ 'সুখ' 'সমৃদ্ধি' ও পরমায়ু বৃদ্ধি করতে চাননি। বরং, প্রতিদিন প্রতিমূহূর্তে তাঁকে হুমকি ও শ্বাসানির মুখোমুখি হতে হয়েছে। তবুও তিনি সুস্থ নাগরিক পরিবেশের পক্ষে সোচ্চার ছিলেন পরিবেশ বাঁচাতে। বরুণ ভেবেছিলেনও হয়তো, সুটিয়া বা বাগদা অঞ্চলের জলাভূমিতে বিষাক্ত কীটেরা জেগে উঠে শক্তি বাড়িয়ে তাঁকে দংশন করতে পারে।
আদিম জৈবপ্রবৃত্তি, অপরিমেয় আর্থিক লোভ-লালসা, কোনো কোনো মানুষকে কখনো কখনো পশু বানায়। শিক্ষা-সংস্কৃতির অনুশীলনে তৈরি শুভাশুভ বোধ তখন সব ভুলিয়ে দিয়ে, অনুসরণীয় চরিত্রের বন্ধুর ও দুর্গম পথ ছেড়ে সংকীর্ণ মসৃণ পথের সন্ধান করে। মেতে ওঠে ক্ষমতা দখলের নেশা। অন্যদিকে আদর্শ চরিত্ররাই তখন পথের কাঁটা হয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। বনগাঁ-সুটিয়া ও তার আশপাশ জুড়ে অঞ্চলটি একসময় ধীরে ধীরে এভাবে হয়ে ওঠে মানবতাশূন্য, সমাজবিরোধী, নারীনির্যাতনের 'ধর্ষণভূমি'। দেশের সীমান্ত যুদ্ধক্ষেত্র কার্গিলকে স্মরণ করে সমগ্র সুটিয়া এলাকাটি চিহ্নিত হয় 'কার্গিল এলাকা' হিসেবে। সুটিয়ার শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষেরা তখন এলাকায় বিক্ষিপ্তভাবে গড়ে তুলছেন 'প্রতিবাদী মঞ্চ'। অঞ্চলকে অপরাধমুক্ত করতে ও অপরাধীদের জেলে ভরা তখন সবে মাত্র শুরু হয়েছে, তেমন সময় একটি মঞ্চের উপর দাঁড়িয়ে প্রতিবাদী নেতা ননীগোপাল পোদ্দার বক্তৃতা দিচ্ছিলেন। মঞ্চে উঠে তাঁর হাত থেকে মাইক্রোফোন প্রায় কেড়ে নিয়েই বুক চিতিয়ে গর্জে ওঠেন ছিপছিপে চেহারার বরুণ, —"আমরা যদি আমাদের মেয়ে, বৌ, বোনেদের সম্মান রাখতে না পারি, তাহলে সভ্য সমাজে থাকা আমাদের উচিত নয়। ধর্ষণকারীদের মুখোমুখি হওয়ার সাহস যদি না থাকে তাহলে তাদের থেকেও বেশি শাস্তি হওয়া উচিত আমাদের। আসুন আমরা একত্রে মহিলাদের সম্মান রক্ষায় হাত মেলাই।" এমন বজ্রদৃপ্ত কন্ঠে আজ পর্যন্ত কোনো জননেতা নিজেকে আত্মসমালোচনার মঞ্চে দাঁড় করিয়ে অন্যায় অত্যাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ঢাল হাতে পথে নামতে পেরেছেন? দলীয় স্বার্থ মেনে, রাজনীতিকে প্রভাবমুক্ত করতে সুটিয়ার এই বড় প্রতিবাদী মঞ্চ ভেঙে গেল। ছোটো কলেবরে কমসংখ্যক 'প্রকৃত প্রতিবাদী'-দের নিয়ে তাঁদের নেতা নির্বাচিত হলেন বরুণ বিশ্বাস। নেতা বরুণ যথাযথ অর্থে প্রকৃত রাজনীতির মানুষ। নেতা হিসেবে তাঁর উদ্দেশ্য ছিল দল নয় নাগরিক সাচ্ছন্দ্য, নারীর আত্মসম্মান প্রতিষ্ঠা করা। সাধারণ মানুষকে প্রতিশ্রুতি বা প্রতারণা করে প্রসনিক ক্ষমতা দখল নয়। তাঁর অনুগামী ছিলেন একদল প্রতিবাদী যাঁরা মানবতা, মনুষ্যত্বের কথা বলতেন। মানুষের সৃষ্ট রাষ্ট্রের মুখ্য উদ্দেশ্য যদি নাগরিক সুখ, স্বাচ্ছন্দ্য ও শান্তি ফেরানো হয় কিম্বা অন্যায়কারীর বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণা করে অন্যায় আর অপরাধকে নির্মূল করা হয় তবে এই আকালে তাঁর মত মানবতাবাদী রাজনৈতিক নেতার খুব দরকার ছিল। তবে এও ঠিক, তিনি কালের পক্ষে ছিলেন নিতান্ত বেমানান। সুতরাং, এমন বরুণদের সরিয়ে দিতে সমাজবিরোধীরাই এগিয়ে আসে। কিছু মানুষ মুখে মুখে আদর্শের বুলি আওড়ালেও নিজেকে নিরাপদ বিশবাঁও দূরে রেখে নিজের সন্তানকে অন্যায় অত্যাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ থেকে দূরে দূরে রাখতে ভলোবাসেন। বরুণ বিশ্বাস আদর্শকে হৃদয়ে আঁকড়ে ধরে, মানবতার ব্রত নিয়ে শিক্ষক সেদিন লুটিয়ে পড়লেন তাঁরই ছাত্রের বয়সী একজন তরুণের হাতে ধরা পিস্তলের গুলিতে। গোবরডাঙা স্টেশনের প্লাটফর্মের উপর ৫ই জুলাই ২০১২ সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ খুন হলেন সুটিয়া ও আজকের বিবেক বরুণ।
'হিমালয়ের থেকে ভারি' বেদনার এমন হত্যাকাণ্ডে ক্ষতি হল মানুষের। আহত হল মানবতা-মনুষ্যত্ব, লক্ষ্যভ্রষ্ট হল শুভবোধ। এই শিক্ষককে উদ্দেশ্য করে একদিন এক শিক্ষা-কর্মশালায় পা মেপে চলা একদল শিক্ষক-শিক্ষিকার মধ্যেও উপস্থিত ছিলেন বরুণ। চাপা একটি বিদ্রুপের গুঞ্জন উঠেছিল সেদিন —'ওই আমাদের নেতা এসে গেছে'। পাঞ্জাবি পরা, মুখে স্মিত হাসি, অথচ সংকল্পে দৃঢ় তার চোখের চাহনির কথা আজও মনে পড়ে। এমন একজন তরুণকে সেদিন কেউ কেউ বিদ্রুপের ভঙ্গিমা করলেও তাঁর মত আদর্শের সন্ধান করা হয়নি। আজ খুব মনে পড়ে, সেদিনের ওই তরুণ আজকের সমাজের জন্য কতখানি দরকার ছিল।

-----

পুরোটা পড়ুন
04/07/2023

পুরোটা পড়ুন

আমি তোমার হাতে রুটি খেতে চাই।যে মথর ভগৎ সিংয়ের ব্যারাক পরিষ্কার করতেন তার নাম বোঘা।  ভগত সিং তাকে বেবে (মা) বলে ডাকতেন।...
04/07/2023

আমি তোমার হাতে রুটি খেতে চাই।

যে মথর ভগৎ সিংয়ের ব্যারাক পরিষ্কার করতেন তার নাম বোঘা। ভগত সিং তাকে বেবে (মা) বলে ডাকতেন। কেউ যখন ভগৎ সিংকে জিজ্ঞেস করত, এই মেথর বোঘা তোমার মা কী করে হল ? তখন ভগৎ সিং বলতেন, আমার মলমূত্র ও প্রস্রাব হয় আমার মা তুলেছেন, না হয় এই ভালো মানুষ বোঘা। আমি আমার বেবেকে (মা) বোঘার মধ্যে পাই। এ আমার “মা”ই আছে। এই বলে ভগৎ সিং বোঘাকে নিজের দুই বাহুর মধ্যে করে বুকে জড়িয়ে ধরতেন।

ভগৎ সিং প্রায়ই বোঘাকে বলতেন, আমি তোমার হাতে রুটি খেতে চাই।

কিন্তু বোঘা নিজে ছোটজাত মেথর মনে করে ইতস্তত করতেন, বলতেন থাক ভগৎ সিং তুমি উচ্চ জাতের সর্দার
আর আমি ছোট জাত, ভগত তুমি এটা ছেড়ে দাও, জেদ করো না।

সর্দার ভগৎ সিংও তার জেদের উপর অটল ছিলেন, তার ফাঁসি কার্যকরের কয়েকদিন আগে তিনি একগুঁয়ে হয়ে বোঘাকে বলেছিলেন, বেবে এখন আমি কয়েক দিনের অতিথি, এখন অন্তত তোমার ইচ্ছাটা পূরণ করো!

বোঘার চোখে জল গড়িয়ে পড়ল। কাঁদতে কাঁদতে তিনি নিজেই সে বীর শহীদ-ই-আজমের জন্য নিজে রুটি তৈরি করে নিজের হাতে খাওয়ালেন। ভগৎ সিংকে রুটি টুকরো মুখে তুলে দিতেই বোঘা হাউ হাউ করে কান্নায় ভেঙে পড়ে। বলেন হে ভগত , হে আমার সের, ধন্য তোমার মা, যিনি তোমাকে জন্ম দিয়েছেন। ভগৎ সিং বোঘাকে বুকে জড়িয়ে ধরলেন।

এরকম মহান চিন্তার অধিকারী ছিলেন ভগৎ সিং। কিন্তু আজও স্বাধীনতার ৭৫ বছর পরেও সমাজে উচ্চ-নীচের বৈষম্য দূর করা যায়নি যা ৮৮ বছর আগে ভগৎ সিং জি করতে পেরেছিলেন ।
#সংগৃহীত

সূর্যের তাপ অার বাবা'র রাগ দু'টোই সহ্য করতে শিখতে হবে।কারন সূর্য ডুবে গেলে যেমন পৃথিবী অন্ধকার তেমনি বাবা চলে গেলেও জীবন...
01/07/2023

সূর্যের তাপ অার বাবা'র রাগ দু'টোই সহ্য করতে শিখতে হবে।
কারন সূর্য ডুবে গেলে যেমন পৃথিবী অন্ধকার তেমনি বাবা চলে গেলেও জীবন অন্ধকার।

বর্ষার সময় গাড়ি আস্তে চালান। 🙏আপনার দুটি গাড়ি থাকতে পারে,কিন্তু সবার দুটি জামা নেই।
30/06/2023

বর্ষার সময় গাড়ি আস্তে চালান। 🙏
আপনার দুটি গাড়ি থাকতে পারে,কিন্তু সবার দুটি জামা নেই।

কমল হাসান স্যার দারুন ব্যাখ্যা করেছেন।🙏
24/06/2023

কমল হাসান স্যার দারুন ব্যাখ্যা করেছেন।🙏

18/06/2023

বই এ পড়েছিলাম, সেটা বাস্তবে দেখলাম

Address

Kolkata
Mathurapur

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when মহান শিক্ষা posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to মহান শিক্ষা:

Videos

Share