Shakil Ahmed

Shakil Ahmed videos acchi lage to likes chor k jao�

Permanently closed.
30/12/2022

মধ্যবিত্তের প্রেম। স্বামী স্ত্রীর ভালবাসা part 2

“শেষকথা- অফিসে যদি দেড়ি হয়, আমার পক্ষে প্রতিদিন দেখা করা সম্ভব নাও হতে পাড়ে।“

“আলাদা করে দেখা করার কোনো প্রয়োজন নেই, বাসে আমাদের এখন প্রিতিদিন দেখা হবে, পাশাপাশি বসে গল্প করব,

আকাশ অবাক হয়ে যায়, কিভাবে মেয়েটা তার এত কিছু মানিয়ে নিতে পাড়বে, এ সত্যি ভাবার বিষয়, বর্তমান দিনেও কি এরকম মেয়ে পাওয়া সম্ভব!

এভাবেই দেখতে দেখতে আকাশ আর পারমিতার প্রেম শুরু হয়, কেটে যায় তিনটি বসন্ত। এবার পরস্পরের আরও কাছে আসার পালা। পরিবার থেকে তাদের কোনো বাধারই সম্মুখীন হতে হয়নি, পারমিতার পরিবারের কথায়-“মেয়ে যদি চায় সে আকাশের সাথে ভালো থাকবে, তাহলে আমরাও অবশ্যই চাই আকাশই যেন তার জীবনসঙ্গী হয়, কারণ মেয়ের সুখই তাদের সুখ।“

ভালো একটা দিন দেখে তাদের বিয়ে হয়ে গেল, দেখতে দেখতে তাদের বিয়ের দুই বছর কেটে গেল। এই দুই বছরে তাদের সম্পর্ক আরও অনেক বেশি মজবুত হয়েছে। পরস্পরকে আরও বেশি ভালোভাবে বুঝতে শিখেছে, পারমিতা নিজেকে অনেকটা মানিয়ে নিয়েছে। এদিকে, আকাশের জন্মদিন চলে আসে, আকাশ অফিস থেকে বাড়ি ফিরতেই সবাই “হ্যাপি বার্থডে,” বলে চেঁচিয়ে উঠে।

পারমিতা- “তোমার জন্য একটি বিশেষ উপহার আছে, চোখ বন্ধ করো”

এরপর পারমিতা আকাশকে একটি বাইকের সামনে নিয়ে যায়, আকাশ বাইক দেখে অবাক হয়ে বলে-“এটা কার বাইক”

পারমিতা-“তোমার বাইক”

আকাশ-“আমার! এত টাকা কোথা থেকে আসল?”

পারমিতা-“তুমি আমাকে প্রতিমাসে হাত খরচের জন্য যে টাকাটা দিতে সেটি আমি খরচ করিনি, তা জমিয়ে রেখেছি, আর আমার আগে থেকেই জমানো কিছু টাকা ছিল, বাকি টাকাটা বাবা দিয়েছেন।“

পারমিতার কথা শুনে, আকাশের চোখ দিয়ে জল পড়তে থাকে, সে কোনো দিন আশাও করেনি যে, বাইকে চেপে সে অফিসে যেতে পাড়বে, পারমিতা তার স্বপ্ন পূর্ণ করেছে।

মধ্যবিত্তের ভালোবাসার গল্প স্ত্রীর প্রেম ছবি
সে মনে মনে ভাবতে থাকে, না সব মেয়েরা টাকা খোঁজে না, কিছু কিছু মেয়ে ভালবাসাও খোঁজে, তারা স্বামীর কাছে টাকা নেই, জেনে বিরিয়ানি খাওয়ার কথা ছেড়ে দিয়ে বলে-“আমার ওইসব খেলে এলারজি হয়” পরিবর্তে পাঁচ টাকার ছোলা ভাজা খেতে খেতে স্বামীর হাত ধরে বাড়ি ফেরে। পুজোর সময় স্বামী দামী বেনারসি সাড়িটা কিনে দিতে চাইলে, “আমার ভারী শাড়ি পড়তে ভালো লাগে না”, বলে সাধারণ মানের একটা কাপড় নিয়েই খুশি থাকে। আবার দিনশেষে স্বামীর মুখে সারাদিনে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন ঘটনা কৌতূহল ভঁরে শোনে।

এরকম স্ত্রী যদি প্রতিটা ছেলের কপালে জুটত, না জানি কত শান্তি থাকত পৃথিবীতে। অনেক টাকা দিয়ে কি হবে, যেখানে সুখ নেই, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মিল নেই, কথায় কথায় ঝগড়া হয়, অভিমান হয়। তারচেয়ে বরং আমার এই মধ্যবিত্তের জীবনই অনেক ভালো।

এই সব কথা ভাবতে ভাবতে কতক্ষণ পর্যন্ত যে, আকাশ পারমিতাকে জড়িয়ে ধরে ছিল, তা সে নিজেও জানে না।

আসলে মধ্যবিত্তদের স্বপ্ন পূরণের কাণ্ডারি টাকা না থাকলেও, স্ত্রী এবং স্বামী যদি খাঁটি হয়, তাহলে প্রেমটা বেশ ভালোই জমে।

30/12/2022

মধ্যবিত্তের প্রেম। স্বামী স্ত্রীর ভালবাসা

আকাশ মধ্যবিত্ত পরিবারের এক ছেলে। বাবা এক মুদি দোকানে কাজ করে, কোনো মতে তাদের দিনপাত হয়। নার্সারি থেকে হাই-স্কুল, কলেজ ইত্যাদি পেড়িয়ে বর্তমানে সে একটি বেসরকারি অফিসে কাজ করে, মাস গেলে যা মাইনে পায় তা দিয়ে তাদের চলে যায়। তবে কোনো শক বা ইচ্ছা সে পূর্ণ করতে পাড়ে না, এদিকে বাবারও বয়স বেড়েছে, তাই আর সে বাবাকে কাজে যেতে দেয় না।

রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় তাকে পাশ কাটিয়ে কত দামী দামী বাইক চলে যায়, সে শুধুই তাকিয়ে থাকে, ইসস তারও যদি একটা বাইক থাকত, তাহলে আজ কি, হেঁটে হেঁটে তিন কিলোমিটার পথ গিয়ে বাস ধরতে হত, সোজা সা করে কোম্পানিতে চলে যেত। তবে সেই ভাবনা বাস্তবে দেখে লাভ নেই তার, স্বপ্নকে স্বপ্নের জগতেই মানায়, এই সব সাতপাঁচ ভাবতে ভাবতে একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বাসে উঠে সে তার কাজে চলে যায়। এই ছিল তার নিত্য রুটিন।

মধ্যবিত্তের প্রেম। স্বামী স্ত্রীর ভালবাসার গল্প
এরকমই একদিন সে অফিস থেকে বাসে বাড়ি ফিরছিল, বাসে পরিচয় হয় পারমিতা নামে এক মেয়ের। মেয়েটা দেখতে ভালই, একটু শ্যামলার আভা ঠোঁটের উপর তিল, কোমর পর্যন্ত কালো কুচকুচে চুল, প্রথম দেখাতেই তার ভালো লেগে যায় মেয়েটাকে। কিন্তু এই সব প্রেম-ভালোবাসা মধ্যবিত্তদের জন্য না। প্রেম করতে গেলে টাকা লাগে, এখন যা দিনকাল মেয়েরা মধ্যবিত্ত ছেলেদের পাত্তাই দেয় না, কি জানি এই মধ্যবিত্তরা ভগবানের কাছে কি দোষ করেছে, না পাড়ে তারা নিজের স্বপ্নের একটা বাইক কিনতে, না পাড়ে একটা ভালো মোবাইল কিনতে, আর না পাড়ে নিজের পছন্দের এক মেয়ের সাথে প্রেম করতে।

ভালোলাগার কথা বললেই মেয়েরা, কি কাজ করো, স্যালারি কত আরও নানান কথা জিজ্ঞেস করে বসে। যখন মেয়ে শুনবে আকাশ মাস গেলে মাত্র ১৬০০০ টাকা মাইনে পায়, তখন মেয়েটা নিশ্চয়ই হেঁসে উড়িয়ে দিয়ে বলবে, নিজেরই তো দিন আনতে পান্তা ফোরায়, আবার প্রেম করার শখ আসে কোন উজানের তরিতে?

যাকগে, কি সব ফালতু জিনিস ভাবছে সে, বাস থেকে নামার পালা যে চলে এল।

সেই মেয়েটাকে দেখার পড় প্রায় ১৫ দিন কেটে গেছে, আবার একদিন মেয়েটাকে দেখল আকাশ। হুম এবার মেয়েটা বসেছে তারই পাশের সিটে। মেয়েটা আকাশকে টাইম জিজ্ঞেস করে, কিন্তু আকাশ এতে আতঙ্কিত হয়ে যায়, কারণ তার না আছে হাত ঘড়ি, না আছে ভালো সেল-ফোন। তার কাছে যে কি-প্যাড মোবাইলটা আছে, সেটারও বোতাম গুলির অবস্থা ছন্ন-ছাড়া। পাশে একটা মেয়ে বসে আছে, তার সামনে এই ভাঙ্গাচোরা মোবাইল বেড় করলে অনেকটা সম্মানে লাগে! চুপটি করে লুকিয়ে পকেট থেকে মোবাইল বেড় করে, টাইম দেখে মেয়েটিকে সে জানাল ৬.৪৫।

এবার সেই মেয়েটার প্রতি তার আগ্রহ অনেক বেড়ে যায়, এরপর তিনমাসের মধ্যে মেয়েটার সাথে তার ৮ বার দেখা হয় এরমধ্যে ৩ বার মেয়েটা তার পাশের সিটে বসেছে, সবই হিসেব কষে রেখেছে সে। একদিন অফিস থেকে সবে বেড়িয়েছে আকাশ। সে দেখে সেই বাসের মেয়েটা তার পথ আগলে দাঁড়িয়ে। এই রে, মেয়েটা বুঝি ধরে ফেলেছে যে আকাশ ওকে চুপিচুপি ফলো করে। এবার নিশ্চয়ই মেয়েটা আকাশের বসকে বলবে, তারপর থানা-পুলিশ এরপর চাকরিটাও বুঝি যাবে।

কিন্তু এরপর আকাশের সাথে যা হল আকাশ তা মোটেও ভাবতে পাড়েনি। মেয়েটা এসেই আকাশকে সরাসরি বলল-

“কি ব্যাপার চুপি-চুপি আমাকে দেখ কেন? আমাকে ভালো লাগে?”

“না,মানে সে রকম মানে কিছু না!”

“যদি কাউকে ভালো লেগে থাকে, তাহলে তাকে সরাসরি বলে ফেলা ভালো”

তুমি তো বললে না, তা আজ না হয় উত্তরটা নাই দিলে, কাল রবিবার অফিস বন্ধ, ঠিক চার টায় হাই-স্কুলের পেছেনের পার্কে চলে এস।

পরেরদিন আকাশ সেই পার্কে গিয়ে দেখল, মেয়েটা একটা বেঞ্চে বসে, আছে। আকাশ কাছে যেতেই মেয়েটা বলল-

“দেখ আমি অনেক স্পষ্টবাদী, কিছু লুকোতে পছন্দ করিনা, আমি সরাসরি বলছি, তোমাকে আমার ভালো লেগেছে, তোমার কোনো বলার থাকলে বলতে পারো।“

আকাশ বলতে শুরু করল-

“আমি মধ্যবিত্ত আমার ইনকাম অনেক কম, মাস গেলে যা টাকা পাই তা দিয়ে, আমাদের তিনজনের চলে যায়”

“তিন জন মানে?”

“মা বাবা আর আমি, হ্যাঁ তোমাকেও আমার ভালো লাগে কিন্তু আমার পক্ষে এক মেয়ের পেছনে টাকা খরচ করা সম্ভব নয়”

“খরচ করতে কে বলেছে?”

“আমি কোনো রেস্টুরেন্টে নিয়ে গিয়ে খাবার খাওয়াতে পাড়ব না”

“আমি রাস্তার মোড়ে দাঁড়িয়ে দশ টাকার ফুচকা খেয়েই খুশি থাকতে পছন্দ করি, তাছাড়াও রেস্টুরেন্টের খাবারে আমার এলার্জি হয়।”

“প্রতিদিন নতুন নতুন গিফট দিতে পাড়ব না”

“কে বলেছে গিফট দিতে, আমার সাথে প্রতিদিন দেখা করতে তো পাড়বে?”

“মাস গেলে, আমার শপিং করাতে নিয়ে যাওয়ার সামর্থ্য নেই”

“মাস গেলে কুড়ি টাকা দিয়ে একটা গোলাপ তো কিনে আনতে পাড়বে!”

“আমি মোবাইলে ঘণ্টার পড় ঘণ্টা কথা বলতে পাড়ব না, কারণ মোবাইলে রিচার্জ কম থাকে”

“মোবাইলে ঘণ্টার পড় ঘণ্টা কথা বলা আমি পছন্দ করি না”

30/12/2022

শরীর নাকি প্রেম?

কলেজের গেটের সামনে বসে বাদাম খাচ্ছিল সুলেখা (কল্পিত নাম)। তারই ঠিক বিপরীত পাশে বসে গল্প করছে তার বান্ধবী অপর্ণা আর তার গুণধর বয়ফ্রেন্ড। সুলেখার এইসব জিনিসের প্রতি তেমন মনযোগ নেই, আর সে মনযোগ দিতেও চায়না। সবই তো দুইদিনের মায়াখেলা তারপর ক্ষুধা মিটে গেলেই যে যার রাস্তায় চলে যাবে। সবাই যদি লায়লা-মজনু হতে পাড়ত তাহলে তো কোনো কথাই ছিল না। এই সব কথা ভাবতে ভাবতে সে তার মত বাদাম খাচ্ছিল।

কোথা থেকে এক ছেলে এসে, তাকে সরাসরি বলে ফেলল- “I love you, আমি তোমাকে অনেক দিন থেকে ফলো করছি, কিন্তু কখনো সুযোগ পাইনি বলার, আজ ফাঁকা পেলাম তাই বলে ফেললাম। প্লিজ একসেপ্ট করো।“

“বাঃ সাহস আছে আপনার, মানতে হবে, তা মহাশয়, আজ বিকেলে কলেজ শেষের পড় কলেজ মাঠে আমার জন্য কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে পাড়বেন কি? তবে হ্যাঁ একাই থাকবেন।“

ভীষণ কষ্টের প্রেমের গল্প শারীরিক প্রেমের গল্প
“কলেজ শেষের পড় কেন, তুমি চাইলে আমি তোমার জন্য সারাজীবন অপেক্ষা করতে পাড়ি।“

“আচ্ছা সে না হয় দেখাই যাবে।“

কলেজ শেষের পড়, সুলেখা দেখে যে, ছেলেটি মাঠে তার জন্য অপেক্ষা করছে। এবার সুলেখা শুরু করল তার গোয়েন্দা স্বভাবের প্রশ্ন।

“প্রেম তো করবে, তো তার আগে আমার তোমাকে কিছু জিজ্ঞেস করার আছে, সময় থাকলে বল”

“কি যে বল, সময়! আমি তোমার জন্য, পুরো ২৪ ঘণ্টাই দিয়ে দিতে পাড়ি।“

“থাক ২৪ ঘণ্টা দরকার নেই, আপাতত কয়েক মিনিট হলেই চলবে”

“তোমার কাছে আমার প্রথম প্রশ্ন- কত দিনের জন্য এই প্রেম?”

“সারাজীবনের জন্য”

“আশেপাশের এত মানুষ থাকতে আমাকে পছন্দ হল কেন?”

“কেন জানিনা, কিন্তু তোমাকে প্রথম যেদিন দেখেছি সেদিন থেকেই তোমার প্রতি কেমন যেন আলাদাই ভালো লাগা শুরু হয়ে গেছে।“

“তোমার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কি?”

“সে ব্যাপারে কিছু ভাবিনি।“

“এর আগে কত জনের সাথে ব্রেক-আপ হয়েছে?”

“সত্যি বলতে এটাই আমার প্রথম প্রেম।“

“আমাকে কেন ভালোলাগে?”

“বুঝলাম না ঠিক মত”

“ঠিক আছে, তুমি এখন বাড়ি যেতে পারো। বাই”

এই হল সুলেখা, কোনো ছেলে তার কাছে প্রেমের প্রস্তাব নিয়ে আসলে, সে তাকে এমন জেরা করতে শুরু করে দিবে, যে ছেলেটাই বেমালুম জব্দ হয়ে যাবে। সুলেখার মোট কথা হল, এখন প্রেম তো আর মনের হয়না, প্রেম হয় সুন্দরতার সাথে, প্রেম হয় শরীরের সাথে শরীরের। চাহিদা শেষে যে যার পথে চলো গে, একে অপরকে দোষারোপ, গালাগালি, একে অপরের নামে বাজে কথা ছড়িয়ে বেড়ানো এই তো বর্তমান দিনের প্রেম।

যাক গে সুলেখা সবসময় সব ছেলের বেলায়ই হালকা মাথায় সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছে। তার মতে, প্রেম করা যায়, তবে ছেলে যেন হয় একদম পারফেক্ট। তার অনেক বান্ধবীর জীবনে প্রেমের আনাগোনা দেখতে দেখতে সে অভ্যস্থ হয়ে গেছে।

সেদিন শপিং মলের সিঁড়ি দিয়ে নামতেই, যেন তার মনের মত কোনো ছেলেকে দেখল সে, ছেলেটার কথা বলার ধরণ, ব্যবহার সবকিছুই একদম পারফেক্ট, ঠিক এরকম ছেলেই তার পছন্দের। এবার তার মনে হল সে বুঝি সত্যি প্রেমে পড়ে যাচ্ছে।

এরপরেও ছেলেটাকে বার কয়েক দেখেছে সে, ছেলেটা তাদেরই কলেজের পাশের বাড়িতে ভাঁড়া থাকে। একদিন সে ছেলেটাকে আসতে দেখে যেচে গিয়ে কথা বলল। এরপর ধীরে ধীরে তাদের বন্ধুত্বের সূত্রপাত।

ছেলেটা পড়ে সুলেখারই কলেজে, সুলেখার থেকে এক বছরের সিনিয়র। পড়াশোনা নিয়ে বিভিন্ন সমস্যার সমাধানের পথ ধরেই তাদের বন্ধুত্ব মজবুত হয়। সুলেখা বিশ্বাস করে ফেলে, হাজার হলেও এই ছেলেটি তাকে ছেড়ে যাবার পাত্র নয়। কিছুদিনের মধ্যেই বন্ধুত্বের সম্পর্ক প্রেমের সম্পর্কে পরিণত হয়।

এভাবেই কাটতে থাকে তাদের দিন। ধীরে ধীরে তাদের সম্পর্ক গভীর হয়। অবশেষে একদিন সুলেখার যে ভয়টি ছিল সেটিই হয়ে গেল। প্রেমের সম্পর্ক দৈহিক সম্পর্কে পরিণত হয়ে গেল। একরকম জোর করেই ছেলেটা সুলেখার সম্মান কেড়ে নিয়েছে। এভাবে বেশ কয়েক বার অনিচ্ছা সত্যেও তাকে দৈহিক সম্পর্কে লিপ্ত হতে হয়। নাহলে সবার সামনে তাদের ভিডিও শেয়ার করারও হুমকি দেয় ছেলেটি।

এদিকে কয়েক মাস পর সুলেখা তার শরীরে কিছু অস্বাভাবিক পরিবর্তন লক্ষ্য করে। সে ওষুধের দোকান থেকে pregnancy kit নিয়ে আসে এবং জানতে পাড়ে ফলাফল পজিটিভ। ঠিক এই ভয়টাই পেয়েছিল সে। সে কি করবে কিছুই বুঝতে পাড়ছিল না। অবশেষে সেই ছেলেটির সাথে সে দেখা করে। সেই ছেলেটি তাকে জানায়- “কিছুদিনের মধ্যেই আমি এই রাজ্য ছেড়ে অন্য রাজ্যে চলে যাচ্ছি, এই মুহূর্তে আমি আর কোন ঝামেলায় জড়াতে চাই না, তোমার পক্ষে ভালো হবে তুমি abortion করে ফেল।“

এই বলে ছেলেটি সেখান থেকে চলে যায়। মানুষের খিদা মেটে গেলে, সে আর রাঁধুনির কদর করে না, এটাই বাস্তব। বাড়িতে ফিরে, দরজা বন্ধ করে অঝোরে কাঁদতে থাকে সুলেখা। মায়ের একটি ডাকও সে শোনেনি।

এদিকে রাতের বেলা মা-বাবা ঘুমিয়ে পড়লে সে চুপিচুপি গো-ডাউনে য

30/12/2022

শিক্ষকের সাথে প্রেমের গল্প। এক তরফা প্রেমের গল্পpart 3

কারণ, কাল ১২ টার আগে দোকান খুলবে না। বিকেল বেলা স্মৃতি বাজারে গিয়ে একটি সুন্দর ফুলের বাকেট কিনে পার্কের পাশ দিয়ে হেঁটে হেঁটে বাড়ি ফিরছিল। কি মনে করে সে হাঁতে ফুল নিয়েই পার্কের ভিতরে ঢুকে গেল। একি ইনি তাদের সেই নতুন শিক্ষক না! হুম তিনিই, কিন্তু তার সাথে ওটা কোন মেয়ে। স্মৃতি ভাবল, স্যারের কোনো বন্ধু হবে হয়ত, আরেকটু এগিয়ে যেতেই, স্মৃতির নজরে এল, না না বন্ধু নয়, একান্ত আপন কেউ, কারণ দুইজনে অনেকটা কাছাকাছি, আর হাত ধরে বসে আছেন, আর মেয়েটার মাথা স্যারের কাঁধে, আর মেয়েটা কি যেন বলছে, ঠিক মত বোঝা যাচ্ছে না।

শিক্ষক স্মৃতিকে লক্ষ্য করেননি। কারণ স্মৃতি পিছন দিক দিয়ে ধীরে ধীরে এগিয়ে যাচ্ছিল। এবার স্মৃতি নিশ্চিত হয়ে যায়, যে সেই মেয়েটা স্যারের একদম কাছের কেউ, হতে পাড়ে স্যারের পরিণীতা। কিন্তু সে যে স্যারের প্রেমে পড়ে গেছে, স্যার কি এতদিন কিছুই বোঝেন নি! স্মৃতির পা একটা ভাঙ্গা ডালে পড়তেই শব্দ করে উঠল, স্যার শুনতে পেড়ে পিছনে মাথা ঘুড়িয়ে স্মৃতিকে দেখলেন।

স্মৃতি কি করবে কিছুই বুঝে, উঠতে পাড়ছিল না।

-আরে স্মৃতি তুমি এখানে?

-হ্যাঁ স্যার ভাবলাম একটু এদিকে ঘুরে যাই। কাঁপা গলায় স্মৃতির উত্তর।

-তা হাঁতে এত ফুল কিসের জন্য?

-না, স্যার তেমন কিছু না, এমনিই। আমার ভালো লেগেছে তাই বাজার থেকে কিনে নিয়েছি।

-এদিকে এসো তোমার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিই।

-ধৃতি এ, হল আমার ছাত্রী স্মৃতি, আর স্মৃতি, ইনি হলেন আমার পরিণীতা ধৃতি।

-বাঃ স্যার আপনাদের বেশ মানিয়েছে।

-হাঁ হাঁ হাঁ। তাই বুঝি,

দুঃখের প্রেমের গল্প। এক তরফা প্রেমের গল্প
এরপর স্মৃতি, তাদের সাথে কিছুক্ষণ কাঁটায়, এতক্ষণ সে জোর করে চোখের জল ধরে রেখেছিল। এদিকে সন্ধ্যে ঘনিয়ে আসছে, স্যারের কাছ থেকে বিদেয় নিয়ে সে রাস্তায় নেমে আকাশের দিকে তাকিয়ে অঝোরে কাঁদতে থাকে। শুকতারাটাও যেন, স্মৃতির বেদনার মজা নিচ্ছে, কেমন যেন মিটিমিটি হাসছে, আর বলছে, “প্রেম সোজা নয় রে, মামনি, সোজা নয়”

রাস্তার পাশে একটা ডাস্টবিন দেখে, ফুলের বাকেটটি স্মৃতি সেখানে ফেলে দিয়ে, নিজে নিজেই বলতে থাকে, প্রেম হয়নি তো কি হয়েছে, তার মত মহান মানুষের রক্ত তো আমার শরীরে বইছে, এটাই অনেক। এরপর চাঁদের আলোর, হালকা নিস্তব্ধতায়, ধীরে ধীরে, সেই গ্রামের মেয়ে স্মৃতি নতুন দিগন্তের উদ্দেশ্যে পা বাড়ায়।

30/12/2022

শিক্ষকের সাথে প্রেমের গল্প। এক তরফা প্রেমের গল্প।part 2

কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই স্মৃতি সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে গেল। আবার শুরু হয়ে গেল সেই প্রতিদিনের রুটিন। তবে এবারের রুটিনের নতুন সংযোজন হল, সেই নতুন শিক্ষক প্রতিদিনই কিছু সময় স্মৃতির জন্য ব্যয় করত। তিনি চাইছিলেন, স্মৃতিকে আরেকটু অ্যাডভান্স করতে, আরেকটু পরিবেশের সাথে অভিযোজন ঘটাতে সাহায্য করতে। প্রতিদিন তিনি স্মৃতিকে, কিভাবে সবার সাথে কথা বলতে হয়, কোন পরিবেশে কিভাবে নিজেকে মানিয়ে নিতে হয় ইত্যাদি সব কিছুর প্রশিক্ষণ দিচ্ছিলেন।

ধীরে ধীরে স্মৃতি সেই নতুন শিক্ষকের প্রেমে পড়ে যায়, নিজের অজান্তেই তার ভালোলাগা শুরু হয়ে যায়। তবে সে কখনো বলার সাহস পায়নি, কারণ- হাজার হলেও শিক্ষক বলে কথা। যতই দিন যায়, ততই সেই শিক্ষকের প্রতি ভালোবাসাটাও বেড়ে যায়। কিন্তু সেই ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ সে কিছুতেই করতে পাড়ে না।

এভবেই আবারও কেটে যায় পুরো বছর। স্মৃতি তৃতীয় বর্ষে উত্তীর্ণ হয়। সেই নতুন শিক্ষকের জন্য, এক আমুল পরিবর্তন চলে আসে স্মৃতির মধ্যে। সে শিখে যায়, কিভাবে কোন পরিবেশে কেমন করে মানিয়ে নিতে হয়।

রবিবার ছিল, স্মৃতি ঠিক করে, কাল অর্থাৎ সোমবার কলেজ ছুটির পড়, সে সেই শিক্ষককে তার মনের কথা বলবেই বলবে, কারণ সে আর তার ভালোবাসা চেপে রাখতে পাড়ছে না। হাজার হলেও শিক্ষক এই কথাটা বেশিদূর বাড়াবেন না। স্মৃতি ঠিক করে, সে বাজারে গিয়ে একটি ফুলের বাকেট কিনবে, তারপর একটি চিঠি লিখে, ফুলের মধ্যে সেটি লুকিয়ে রাখবে। শিক্ষককে দিয়েই সে দৌড়ে পালিয়ে যাবে। এই কথা ভেবে স্মৃতি কয়েক বছর থেকে জমানো তার মাটির ভাঁড়ার টা ভেঙ্গে কিছু টাঁকা সেখান থেকে নিয়ে বাজারের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়।

30/12/2022

শিক্ষকের সাথে প্রেমের গল্প। এক তরফা প্রেমের গল্প।

বর্ধমান কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী স্মৃতি। অনেকটা হাবাগোবা সহজ সরল প্রকৃতির। গ্রামের মেয়ে, শহরে পড়াশোনার জন্য থাকে, কিন্তু একটা বছর পেড়িয়ে গেলেও, শহরের পরিবেশের সাথে ঠিক মত মানিয়ে নিতে পাড়েনি সে। এখনও অন্যদের সাথে কথা বলতে বলতে গ্রামের কথার ছাপ চলে আসে। পড়াশোনায় সে মন্দ নয়, তবে শহরের ব্যস্ত জীবনের সাথে সে মানিয়ে নিতে পাড়ছে না। কেউই তার সাথে বন্ধুত্ব করতে চায় না, কারণ একটাই, সে নাকি অনেক গ্রামীণ স্বভাবের। সে নাকি আডভান্স নয়। কিন্তু তাতে স্মৃতির কোনো মাথা ব্যাথা নেই, সে একা থাকতেই বেশি স্বচ্ছন্দ।

দিনটা ছিল সোমবার, কলেজের একজন শিক্ষক আজ অন্যত্র বদলি হয়ে যাচ্ছেন, তার পরিবর্তে নতুন শিক্ষক আসবেন। লম্বা ভাষণের পড় শিক্ষক বিদেয় নিলেন। শিক্ষকের লম্বা ভাষণের সুরে স্মৃতির ঘুম ঘুম ভাব চলে এসেছে। কিন্তু নতুন শিক্ষকের গলার আওয়াজ শুনে তার সেই ভ্রম কেটে গেল। বাঃ অসাধারন গুছিয়ে কথা বলেন তিনি। কথা বলার ভঙ্গিম দেখলে যে কেউ তার কথার প্রেমে পড়তে বাধ্য। দারুন লাগল স্মৃতির। এতদিন তো সে এরকমই একজন শিক্ষকের সন্ধানে ছিল।

দুইমাস বেশ কেটে গেল। স্মৃতির ইতিহাস বিভাগ একটি ট্যুর এর আয়োজন করল, দার্জিলিং-এ। সাতদিনের ট্যুর। সবাই তো সবার মত বন্ধু পেয়ে গেছে, কিন্তু মুশকিলটা হল স্মৃতির। কারণ তার যে কোনো বন্ধু নেই। একা একা সে কিভাবে সেখানে সাতটা দিন কাটাবে? তাই সে ঠিক করে সে ট্যুর-এ যাবে না। সে শিক্ষককে জানাতেই, নতুন শিক্ষক জানায়, বন্ধু নেই তো কি হয়েছে, আমরা তো আছি। কেউ তোমার সাথে না ঘুরলে তুমি আমার সাথেই ঘুরতে পারো।

এক তরফা প্রেমের গল্প। ওয়ান সাইড লাভ।
সেই নতুন শিক্ষকের প্রতি স্মৃতির আগ্রহ আরেক ধাপ এগিয়ে যায়। স্মৃতিদের ইতিহাস বিভাগ এখন দার্জিলিং-এ। সবাই নিজের বন্ধু-বান্ধবদের সাথে ঘুরছে। ফটো ক্লিক করছে, সেলফি নিচ্ছে, কিন্তু স্মৃতি! সে আছে নতুন শিক্ষকের সাথে।

-আচ্ছা স্মৃতি সবাই তো ফটো তুলতে ব্যস্ত, তুমিও যাও তাদের সাথে ফটো তুলো।

-না,স্যার তারা আমার সঙ্গে কথা বলে না।

-কেন? তুমি কি কিছু ভুল কাজ করেছো। লজ্জা করো না, আমাকে এখানে বন্ধুর মতই ভাবতে পারো।

-না, স্যার আমার অপরাধ একটাই, আমি নাকি ঠিক মত কথা বলতে পাড়ি না। আমাকে তারা গেয়ো ভূত বলে ক্ষ্যাপায়।

-তাই নাকি, এসব তো মোটেই ভালো নয়।

-আচ্ছা, যাক গে, তোমার মোবাইলটা দাও আমি ফটো ক্লিক করে দিচ্ছি।

-উঁহু, এরকম ভাবে না, গাছে একটু হেলান দাও,

-হুম পারফেক্ট,

– বাঃ স্যার আপনি তো খুব সুন্দর ফটো ক্লিক করেন।

-এবার চলো ওই ঝরনাটার সামনে দাড়াও। আরেকটু ডান দিকে সরে যাও। হুম একদম পারফেক্ট।

এভাবেই, সেই নতুন শিক্ষকের সাথে আনন্দে কেটে যায়, ট্যুরে আসার চারটা দিন। পঞ্চম দিন, সবাই খাবার টেবিলে বসেছে। কিন্তু স্মৃতি নেই। সব শিক্ষক-শিক্ষিকারা স্মৃতির খোঁজ শুরু করে দিলেন, কিন্তু কেউই স্মৃতির কোনো কিনারা করতে পাড়লেন না। তার সহপাঠীরাও কিছু বলতে পারলো না। ফোন করলেও স্মৃতি ফোন তুলছে না।

পড়ে রইল খাবার টেবিল, পড়ে রইল খাবার। সবাই স্মৃতির খোঁজ করতে হোটেল ছেড়ে বাইরে চলে গেল। কিন্তু এই অচেনা জায়গা, চারিপাশে এত উঁচু উঁচু পাহাড়, আর খাত, এখানে একজন মানুষ কোথায় আছে সেটা বেড় করা খুবই মুশকিল। অবশেষে দার্জিলিং পুলিশের সহায়তায়, স্মৃতির ফোনের লোকেশন ট্র্যাক করে তাকে খুঁজে পাওয়া গেল। স্মৃতি অজ্ঞান হয়ে পড়ে আছে, মাথা দিয়ে বিপুল পরিমাণে রক্তের বন্যা বয়ে গেছে।

দার্জিলিং-এর এত ঠাণ্ডাতেও সব শিক্ষক-শিক্ষিকারা ঘামতে শুরু করে দিয়েছেন। কারণ স্মৃতির কিছু হয়ে গেলে তার পরিবারের কাছে তারা কি জবাব দিবেন? স্মৃতিকে দার্জিলিং জেলা হসপিটালে পাঠানো হল। নতুন শিক্ষকটি, স্মৃতির সব সহপাঠীদের আচ্ছা সে বকা দিতে শুরু করে দিলেন। একজন সহপাঠীকে এভাবে নীচ চোখে দেখা একদম অনুচিত। সে গ্রামের হলে কি হবে, তারও তো মন আছে, তারও তো ইমোশন আছে, সেও তো রক্তে মাংসে গড়া মানুষ। এইসব বলতে বলতেই শিক্ষকের কাছে ফোন আসে, তাড়াতাড়ি B+ রক্ত দরকার, নাহলে স্মৃতির জীবন নিয়ে টানাটানি শুরু হয়ে যাবে।
সব শিক্ষক-শিক্ষিকারা ব্লাড ব্যাঙ্কের সাথে যোগাযোগ করতে ব্যস্ত। এখানে ৪৫ জন ছাত্রছাত্রী এবং শিক্ষক-শিক্ষিকা আছে কারও রক্ত কি B+ নয়। সবাই চিন্তিত। সহপাঠীদের মধ্যে এই গ্রুপের রক্তের থাকলেও তারা কিছু বলছে না। অবশেষে সবার নীরবতা কাটিয়ে সেই নতুন শিক্ষক বলে উঠলেন-

রক্ত পেয়ে গেছি, এত ভাবনা করছি কেন আমরা? তখন থেকে প্রবল চিন্তায় আমার নিজেরই ব্লাড গ্রুপ ভুলে গেছি, আমার তো মনেই নেই যে, আমার নিজেরই ব্লাড গ্রুপ B+. বাকি শিক্ষক-শিক্ষিকারা যেন হাফ ছেড়ে বাঁচলেন। সেই নতুন শিক্ষক দ্রুত চলে গেলেন হসপিটালে। সেখানে দুই ব্যাগ রক্ত দিলেন। ট্যুরের মজাটাই যেন মাটি

30/12/2022

ছেলেটি আজ মেয়েটিকে ফোন করলো part 2

ছেলে: স্যরি বলাটা খুব সহজ তাই না ?
মেয়ে: হুমম
ছেলে: যাই হোক; তুমি চলে যাওয়ার কিছুদিন পরে একটা চাকরি পেয়েছি। শুরুতেই ৩৫ হাজার টাকা বেতন।
মেয়ে: ও ভালো; বেস্ট অফ লাক।
ছেলে: আমার তো বাবা নেই শুধু মা আছেন; এই বেতনটা কি যথেষ্ট ছিলো না?
মেয়ে: ( মেয়েটি নীরব )
ছেলে: জানো ঘরটা যদি টিনেরও হয়; কিন্তু তাতে যদি ভালোবাসা থাকে তাহলে সেটা কোটি টাকার চেয়েও দামি।
মেয়ে: হবে হয়তো !
ছেলে: যার জন্য তুমি আমাকে ছেড়ে চলে গেলে সে হয়তো তোমাকে দামি দামি উপহার দিয়ে সুখী করতে পারবে। কিন্তু মনের যে শান্তি সেটা দিতে পারবে না।
মেয়ে: ( মেয়েটি নীরব ) Heart touching Love Story in Bengali
ছেলে: আচ্ছা ; ভালো করেছো চলে গেছো। তুমি ছেড়ে না গেলে হয়তো বুঝতেই পারতাম না জীবনটা কি?
মেয়ে: শুনি কি বুঝেছো?
ছেলে: বুঝেছি ; এই পৃথিবীতে সত্যিকারের ভালোবাসাগুলো সত্যি মূল্যহীন।
মেয়ে: দেখো; এমনটা নয়।
ছেলে: তুমি তো এমনটাই করেছো। জানো ; আজ আমার কাছে সব আছে শুধু তুমি নেই।
মেয়ে: আমাকে দিয়ে কি করবে শুনি?
ছেলে: জানি না কি করবো ! আসলে টাকা দিয়ে তো জীবন চালাতে পারবো।
কিন্তু জীবনটা গোছাতে ভালোবাসা প্রয়োজন।
আর তোমার কাছে ভালোবাসা ছাড়া আর কিছু চাওয়ার ছিল না।
মেয়ে: দেখো – অন্য্ কাউকে ভালোবাসো।
ছেলে: হ্যাঁ বাসবো। তবে আর রিলেশন নয় ; একবারে বিয়ে।
তবে কি জানো আজ নিজেকে বড়ো অপরাধী মনে হচ্ছে।
মেয়ে: কেনো? Heart touching Love Story in Bengali
ছেলে: যাকে বিয়ে করবো তাকে এই ভালোবাসাটা দিতে পারবো না যে।
কিন্তু সে হয়তো আমাকে নিয়ে অনেক কিছু ভেবে রেখেছে;
মনের মাঝে অনেক স্বপ্নের জাল বুনেছে।
অথচ সে জানতেই পারবে না যে এই মনটা আমি অন্য্ কাউকে দিয়ে রেখেছি।

Bangla Emotional Love Story

মেয়ে: ( মেয়েটি নীরব )
ছেলে: আচ্ছা ; অনেকটা সময় নষ্ট করলাম তোমার।
এখন bye ; জাস্ট তোমাকে miss করছিলাম। তাই ফোন করলাম।
আমার কি ভাগ্য দেখো; তোমাকে Unknown নাম্বার দিয়ে কল করতে হলো ;
তোমার কন্ঠটা শোনার জন্য। ভুল হলে ক্ষমা করে দিও।
মেয়ে: এই শোনো !
ছেলে: হুমম ; বলো।
মেয়ে: সে সুন্দরী মেয়ে পেয়ে আমাকে ছেড়ে চলে গেছে।
ছেলে: কি বলছো তুমি? মোহো কেটে গেলে এমনই হয়।
তবে কি জানো আমার ভালোবাসা মোহ ছিল না।
তাই ভুলিনি তোমাকে; ভুলতে পারিনি। তার ভালোবাসা হয়তো মোহো ছিল;
তাই সে তোমাকে ছেড়ে চলে গেছে।
মেয়ে: দেখো ; তোমাকে বলতে চেয়েছিলাম কথাটা কিন্তু সাহস হয়নি বলার।
মনে হচ্ছিলো আমি আমাকে মানবে না।
ছেলে: না মানার কিছুই নেই। আমি জানতাম এমন কিছু হবে।
এজন্য বার বার বলেছিলাম সময় – অবস্থান – পরিস্থিতি কখনো একরকম থাকে না।
মেয়ে: হুমম [Heart touching Love Story in Bengali]
ছেলে: bye
মেয়ে: শোনো না।
ছেলে: বলো।
মেয়ে: যদি ফিরে আসি আমাকে কি গ্রহণ করবে?
ছেলে: আগে যদি বলতে হয়তো মেনে নিতাম। একটা সুযোগ দিতাম। কিন্তু এখন আর পারবো না।
মেয়ে: কিন্তু কেনো?
ছেলে: সামনে শুক্রবার আমার বিয়ে। মায়ের শরীর ভালো না। তাই মায়ের পছন্দের মেয়েকে বিয়ে করতে রাজি হয়েছি।
মেয়ে: ( মেয়েটি নীরব )
ছেলে: জীবন কতটা অদ্ভুত তাই না ? যখন তোমাকে চেয়েছি তখন তুমি অন্য্ কারো….আজ যখন তুমি আমাকে চাইছো তখন আমি অন্য্ কারো।
মেয়ে: হুমম।
ছেলে: আচ্ছা Bye ; আমার মতো তুমিও না হয় ভালো ছেলে দেখে বিয়ে করে নিও।
আর হ্যাঁ টাকা বা চেহারা দেখে নয়; মন দেখে বিয়ে করো…. তাহলে ভালো থাকতে পারবে….
মেয়ে: ( মেয়েটি নীরব ) Heart touching Love Story in Bengali
ছেলে: Bye ; আর কোনোদিন ফোন করবো না তোমাকে।
কারণ ভালোবাসা এখন থেকে তাকে দেবো যার সাথে বাকিটা জীবন একসাথে কাটাতে হবে।
মেয়ে: তোমরা অনেক ভালো থেকো।
ছেলে: চেষ্টা করবো। তুমিও ভালো থেকো।
মেয়ে: হুমম।

30/12/2022

ছেলেটি আজ মেয়েটিকে ফোন করলো:

মেয়ে: হ্যালো…
ছেলে: ( ছেলেটি নীরব )
মেয়ে: কি হলো; চুপ করে আছেন কেনো?
ছেলে: কেমন আছো?
মেয়ে: কে আপনি?
ছেলে: এতো তাড়াতাড়ি ভুলে গেলে?
মেয়ে: মানে?
ছেলে: চিনতে পারছো না?
মেয়ে: না…. কে আপনি?
ছেলে: থাক; তাহলে পরিচয়টা না দেওয়াই ভালো।
মেয়ে: ( মেয়েটি নীরব ) Heart touching Love Story in Bengali
ছেলে: তবে কি জানো; একটা সময় তুমি আমার নিস্বাসের শব্দ শুনেই আমাকে চিনতে পড়তে।
মেয়ে: ওঃ তুমি
ছেলে: যাক; চিনতে কষ্ট হলেও ঠিক চিনতে পেরেছো !
মেয়ে: বলো; বলো; কেন ফোন করেছো?
ছেলে: “সরি” বলার জন্য।
মেয়ে: সেটা নতুন করে বলার আর কোনো দরকার নেই। আমার যা বলার সেদিনই বলে দিয়েছে।
ছেলে: হ্যা বলেছিলে। কিন্তু আমি যে তোমার কথাগুলো এতো সহজে মেনে নিতে পারছি না।
মেয়ে: দেখো; তাতে আমার কিছু করার নেই।
ছেলে: সত্যি কি কিছু করার নেই? নাকি করতে চাও না?
মেয়ে: আমার কাছে কোন Option নেই।
ছেলে: তুমি কি তার সাথে সুখী?
মেয়ে: হ্যাঃ অনেক সুখী।
ছেলে: আচ্ছা ; আমার অপরাধটা কি ছিল?
মেয়ে: তোমার কোন অপরাধ নেই। আসলে তোমার সঙ্গে আমার ম্যাচিং হয় না।
ছেলে: পৃথিবীতে তো কেউ পারফেক্ট না। ভালোবাসা মানেই তো তাকে ভালোবাসা দিয়ে নিজের মতো গড়ে তোলা।
মেয়ে: হুম ; হবে হয়তো।
ছেলে: আচ্ছা ; আমি কি এতটাই অযোগ্য ছিলাম?
মেয়ে: হ্যা
ছেলে: জানো; আমার উপহারগুলো ছোট হলেও তার মাঝে থাকা ভালোবাসাগুলো অনেক বড়ো ছিলো।
মেয়ে: সেটা তোমার কাছে হতে পারে; আমার কাছে না বুঝলে?
ছেলে: সব জেনেই তো ভালোবেসেলছিল; তাহলে কাঁদালে কেনো আমাকে?

মেয়ে: ( মেয়েটি নীরব)ছেলে: কি হলো উত্তর দাও?
মেয়ে: দেখো আমি তোমার জন্য নই। প্লিজ আমাকে ভুলে যাও।
ছেলে: তাহলে শুরুতে বলে দিতে ! আমি ফিরে যেতাম।
মেয়ে: তখন তো আমি বুঝতে পারিনি।
ছেলে: তোমার এই বুঝতে না পারাটাই যে আজ আমাকে কুড়ে কুড়ে খাচ্ছে।
মেয়ে: স্যরি

30/12/2022

বিষাক্ত স্মৃতিচারণ

কতদিন হলো তোমাকে দেখি না।
ঠিক এমনই একদিন আমার সাজানো
আকাশে কালো মেঘের ছায়া পড়েছিল।
সেই ছায়া আজও কাটেনি। আমি হার
মানতে চাইনি।
চেষ্টা করেছিলাম বহুবার তোমাকে
ফিরিয়ে আনতে।
চেয়েছিলাম আবার হাত ধরে হাঁটবো দুজন
পাশাপাশি!
আমার বুক হাহাকার করেছে তোমার মনের
আঙিনায়।
তবে পারিনি তোমাকে ফিরিয়ে আনতে।
শেষে ক্লান্ত হয়ে ডানা ঝাপ্টাইনি আর
কখনোই।
এখন তুমি অন্যকারো আকাশে বিচরণ করো।
হয়তো আমাকে আর মনে নেই তোমার। না
থাকাটাই স্বাভাবিক!
তবে,যদি পারো আমাকে ক্ষমা করে দিও।
আমি তোমার যোগ্য মানুষটি হতে
পারিনি!
বাইরে খুবই বৃষ্টি হচ্ছে। আমি জানালার
পাশে দাঁড়িয়ে আছি।
মেঘ ছুটছে এদিক-ওদিক,সাথে আমার
মনটাও!
তোমাকে পাওয়ার ইচ্ছে আজ ফুরিয়ে
গেলেও
ভালোবাসার ইচ্ছে আজও ফুরোয়নি।
তবে – ‘আজ কোনো ভালোবাসা নয়! আজ
শুধুই তোমার স্মৃতিচারণ… ………….
আজকের মতো এখানেই সমাপ্তি

30/12/2022

শূন্যতা

হঠাৎ একটা SMS পেয়ে রীতিমত চমকে উঠল সুস্মিত।
নম্বর টা খুব পরিচিত ..
এ নম্বর কোনোদিনও ভুলবার নয়।
কোনোদিনও যে আবার এ নম্বর থেকে SMS আসবে ভাবেনি কোনোদিনও..
“তোর সেই ভ্যালেন্টাইন্স ডে তে দেওয়া gift টা নিয়ে যেতে পারবি ?? আমি মেস ছেড়ে দিচ্ছি , বাড়ি থেকেই যাতায়াত করব ..তো বাড়িতে ম্যানেজ করতে পারবনা

সে বিষ্মিত হয়ে উত্তর দিল , ” হ্যা! ফেরত দিয়ে দিস !
কোথায় দেখা করবি বল” ..
সুস্মিত এর হৃদস্পন্দন টা বেড়ে গেল , কতদিন পর চেনা চেনা লাগছে তার এই শব্দ গুলো , ইনবক্স থেকেও পুরোনো চেনা মেঠো গন্ধ পেল সে , কতদিন সে দেখেনি আহেলি কে..।
এই সেই আহেলি , যার সাথে সারাদিন হন্যে হয়ে হাটত সে , যার সাথে টেক্সট এর চুপচাপ আনাগোনায় কথা হত সারাদিন , যার মিসকল এর আওয়াজে ঘুম ভাঙতো, ঘুমোতে যাওয়াটাও হত ওর “গুড নাইট” নামক ঘুমপাড়ানি শব্দটির মধ্যে দিয়ে, যার সাথে এক ছাতায় উদ্যম বৃষ্টি তে ভিজেছিল, গঙ্গার পাড়ের উত্তাল হওয়ায় ওর উড়ন্ত চুলের গন্ধ নিয়েছিল .. কত কথা , কত ভালোবাসা, কত অভিমান, রাগ .. নাহ!
সব কোথায় হারিয়ে গেল ?
স্মৃতিগুলি মনের চিলেকোঠায় সকালের রোদ্দুরের মতো উকি দিতে শুরু করল ..।
বুকটা বড্ড ভারী হয়ে গেল।

তার ভাবনার রাশিমালায় দাড়ি টানলো ,SMS টুংটাং আওয়াজ , ..
“শোন কাল স্টেশন এ ৩টের সময় দাড়াস !
আমি ট্রেন থেকে নেমেই তোকে দিয়েই চলে যাব.. ওকে? ” ..
সুস্মিত উত্তর করল , ” হম ওকে, একটা প্রশ্ন করব ?” ..
তৎক্ষণাস্ন উত্তর এল , “কর” ।
সুস্মিত কৌতূহলী চোখে TYPE করতে লাগল , ” তুই তো বলেছিলি gift টা ভেঙে ফেলেছিস .. তো? .. ”
জবাব এল , “নাহ! ভাঙ্গিনী রে , বেশ যত্নেই আছে, কিন্তু তোর স্মৃতি আর আগলে রাখতে চাইনা , কাল এসে নিয়ে যাস প্লিজ” ..

সুস্মিতের বুকের ভিতর টা মুচড়ে উঠল , একফোটা চোখের জল গাল বেয়ে স্মার্টফোনটার উপর পড়ল …

সেদিন রাতে কিছুতেই ঘুম আসছেনা সুস্মিত এর .. নানা চিন্তা-ভাবনার-স্মৃতি-উত্তেজনার বড় বড় ঢেউয়ে মনের কিনারা টা অস্থির হয়ে উঠছে বারবার ..।
“ও কি সেই আগের মতোই আছে , না এই দেড় বছরেই পাল্টে গেছে অনেক টা, কতদিন ওর চাঁদের আলো মাখানো সুন্দর মুখটা দেখা হয়না।

কত আদরে-অনুরাগে কানের পাশ থেকে সে চুল সরিয়ে ঠোঁটের চিন্হ একে দিত মসৃন গাল গুলোয় .. আর আজ ? ..
বুকটা হুহু করে উঠল , খুব একা লাগল সুস্মিত এর .. তার ঘরের অন্ধকারগুলো যেন তাকে চেপে ধরল …।
“নাহ! কাল নীল জামাটা পরে যাব , ওর খুব ভালো লাগতো নীল জামাটায়…।
”ও দেখুক সুস্মিত কতটা পাল্টে গেছে, কতটা Develop করেছে নিজেকে”..ওই তো বলতো “তোকে আমার পাশে একদম মানায় না” .. আজ দেখুক সেই বেমানান সুস্মিত কতটা পাল্টে নিয়েছে সময়ের সাথে সাথে .. ।
তার কষ্টগুলো অভিমানে রূপান্তরিত হতে লাগল … ।
অনেক কষ্টে চোখ ঘুম আনার চেষ্টা করল .. কিন্ত ঘুমটা যেন আগের সেই টেক্সট msg এর টুংটাং শব্দ টা কেড়ে নিয়েছে ;
আজ কেন এত মনে পড়ছে আবার ওকে ?
বেশ তো ভুলেই এসেছিল প্রায় ; কেন আবার আজ যে শক্ত স্মৃতির বাঁধ গড়েছিল ধীরে ধীরে , তা এক লহমায় চূর্ণ-বিচূর্ণ করে দিল আহেলি ..।
সুস্মিতের তাদের প্রথম দেখা করার দিনটা খুব মনে পড়ল।
প্রায় ছমাস ফেসবুক এ কথা বলা আর বন্ধুত্বের পর.. যখন ওরা finally decide করেছিল যে “চল! দেখা করা যাক , কাছাকাছিই তো থাকি ” ..।
আহেলির থেকে সুস্মিত এর দূরত্ব একটি স্টেশন মাত্র , আহেলি বলেছিল ,
“শোন! আমি কাল ৮.০৮ এর লেডিস ট্রেন টা ধরব , তুই কি তার আগে আসতে পারবি আমাদের এই স্টেশনটায় ? এত সকালে প্রবলেম হবে না তো ? ” ..
খুশি – উত্তেজনা -আনন্দে ভরপুর সুস্মিত বলেছিল না! না! , আমি পৌঁছে যাব স্টেশন এ , তুই ব্যাস সময় মতো আসিস”..
রীতিমতো আকাশে ভাসছিল সুস্মিত .. সেকি আনন্দ , কত ভবিষ্যৎ এর জীবনের চিন্তা-ভাবনা, কত স্বপ্ন, কত উত্তেজনা ।

সেইরকম উত্তেজনা কেন আবার হচ্ছে ?
নিজেকে আনমনে প্রশ্ন করল সুস্মিত..
ঘরের জমাটি অন্ধকার গুলো থেকে কোনো উত্তর পেলনা সে।
নাহ! সেদিনও রাতেও ঘুম আসেনি তার।
সুন্দর এক নতুন জীবনের স্বপ্ন বুনেছিল সারা রাত..।
আহেলিরও কি একই অবস্থা ছিল ?
পরে আর জিজ্ঞাসা করা হয়ে ওঠেনি …।
সকাল ৫টায় উঠে যখন স্নান করে কেত মেরে রেডি হচ্ছিল ,
মা রীতিমতো অবাক হয়েছিল ,
“কিরে এত সকাল সকাল কোথায় যাচ্ছিস?”
সুস্মিত এক খুশি খুশি সলজ্জ excuse দিয়েছিল,”মা আজ Communication skill এর উপর একটা সেমিনার আছে, তাই তাড়াতাড়ি যেতে হবে ..৭.৩০ টার ট্রেন টা ধরব !”…
আগে আগে ৭.৩০টা তেই আহেলিদের স্টেশন এ পৌঁছে গেছিল সে , খুব excited আজ , সময় যেন কাটছেনা আজ , সে ২ নাম্বার প্লাটফর্মের একটা বেঞ্চে বসে অপেক্ষা করতে

30/12/2022

ভালো থেকো ভালোবাসা part 2

শুভ্র দোলনায় বসে আছে। আর আমি ওর কোলে মাথা রেখে শুয়ে আছি।

এ বিকেল বেলাটা কিরকম যেন বড্ড বেশি শান্ত লাগছে।

নিস্তব্ধতা ভেঙে আমি শুভ্রকে বললাম,

— আচ্ছা, তুমি আমাকে কখনো ভুল বুঝবে না তো?

শুভ্র কিছুক্ষন চুপ করে থেকে বললো,

:–ভুল বুঝার মতো কাজ যদি করো, তাহলে ভুল বুঝতেও পারি।

শুভ্রর এরকম স্পষ্টবাদীতা আমার ভাললাগে না। প্রেয়সীকে খুশি করতে কিছু নির্দোষ মিথ্যা তো বলাই যায়, এতে কি এমন ক্ষতি।

অভিমান হলো খুব। ওকে রাগানোর জন্য দুষ্টামী করে বললাম,

–তোমার থেকে শামীম ভাই খুব ভালো ছিল।

কথাটা বলে নিজেই চমকে উঠলাম।

আমারই এক বান্ধবীর বড় ভাই উনি। কিশোরী বয়সে বেশ কয়েকবারই আমাকে রঙিন খামে মুড়ে চিঠি দিয়েছিল। তখন চিঠির প্রচলন তো উঠেই গিয়েছিল। তবুও যে কেউ চিঠি লিখে এটা আমার ধারনার বাইরে ছিল। সেসব প্রেমময় চিঠির কোনোটারই জবাব দেই নি আমি। শুধু একবার সামনাসামনি উনাকে বলেছিলাম, “শামীম ভাই, আপনি আর এসব চিঠি কখনো দিবেননা”। উনি সত্যিই এরপর আর চিঠি দেন নি। এতদিন পর হঠাৎ উনার নামটাই কেন মুখে আসলো?!

:—এই যে ম্যাম, কোথায় হারালেন? (মুখের সামনে তুড়ি বাজিয়ে বলল শুভ্র)

সম্ভিত ফিরে পেয়ে শুভ্রর দিকে তাকালাম। ওর চোখমুখ দেখে মনে হচ্ছে ও খুব করে চাইছে যে আমি আমার কথাটা ফিরিয়ে নেই।

আমি কিছুটা লজ্জা পেলাম নিজের নির্বুদ্ধিতায়। শুভ্রকে জড়িয়ে ধরে বললাম,

–তুমিই বেস্ট। আমি সরি, তোমাকে রাগানোর জন্যই ওটা বলেছিলাম।

শুভ্র মুচকি হেসে একটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে আমাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরল।

শুভ্র মুচকি হেসে একটাা স্বস্তির
নিঃশ্বাস ফেলে আমাকে শক্ত করে জরিয়ে ধরলো।

অনেকদিন পর ঘুরতে বের হলাম শুভ্রর সাথে।

হঠাৎ করেই ও ছুটি পেয়ে যাওয়ায় সেটাকে কাজে লাগালাম।

আমি শাড়ি পরেছি। অবশ্য নিজে নিজে নয়, মা পরিয়ে দিয়েছে।

ভালো থেকো ভালোবাসা

আজকে দুজন রাস্তায় দাড়িয়ে এক প্লেট ফুচকা ভাগ করে খেয়েছি। খুব ভালো লাগে শুভ্রকে নিয়ে ঘুরতে।

ওর হাতে হাত রেখে হাটার লোভে রিকশা নিতে বারন করেছি।

এখন নিজেকে মনে হচ্ছে সদ্য প্রেমে পরা কোনো লাজুক কিশোরী, যে তার প্রেমিকের হাত ধরে রাজপথে হাটছে কিছুটা ভাললাগার শিহরনে আর কিছুটা ভয়ে।

— এই স্বর্নালী…

ভালো থেকো ভালোবাসা

পিছন থেকে কে যেন ডাক দিলো আমার নাম ধরে। গলাটা কেমন যেন চেনা মনে হচ্ছে। হাটা থামিয়ে পিছনে ফিরে দেখি শামীম ভাই!

আমার সামনে এসে শুভ্রর দিকে বক্রদৃষ্টি হেনে তারপর আবার আমার দিকে তাকিয়ে বলল, “বাহ!! আমাকে ভুলে গিয়ে ভালোই আছো দেখছি। তোমার মতো যদি নিজের অতীতটাকে ভুলতে পারলাম.. ”

ঘটনার আকস্মিকতায় আমি আর শুভ্র দুজনই বাকরুদ্ধ হয়ে গেছি। ঘোর কাটতেই দেখি শামীম ভাই চলে গেছে।

শুভ্র আমার দিকে তাকিয়ে কাঁপা কাঁপা গলায় বলল,

ভালো থেকো ভালোবাসা

–“তুমি তো কখনো বলো নি শামীমের সাথে তোমার সম্পর্ক ছিল..”

আমি অস্থির গলায় বললাম,

ভালো থেকো ভালোবাসা

–“তুমি ভুল বুঝছো। উনার সাথে কোনো সম্পর্ক ছিলো না। উনি কেন মিথ্যা বললেন আমি জানি না।”

শুভ্র অবিশ্বাসী গলায় বলল, “মিথ্যা তো তুমি বলছো। সেদিন তুমি এত ছেলে থাকতে শুধু শামীমের নামটাই কেন মুখে এনেছিলে? আমি ভেবেছিলাম তুমি সত্যিই দুষ্টামী করে বলেছিলে, কিন্তু এখন বুঝলাম আমার ধারনা মিথ্যে। তুমি শুধু মিথ্যে বুলিতে আমায় ভুলাতে।”

আমি উদভ্রান্ত দৃষ্টিতে তাকিয়ে দেখলাম শুভ্র আমাকে রাস্তায় সেখানে রেখেই চলে যাচ্ছে। আমিও ওর পিছু নিলাম। হঠাৎ দেখি বিপরীত দিক থেকে একটা বাস আসছে। কিন্তু ততক্ষনে আমি ভয়ে জমে গেছি। দিশেহারা ভঙ্গিতে একবার শুভ্রর দিকে আর একবার আমার দিকে ধেয়ে আসা বাসটার দিকে তাকালাম।

তারপর একটা চিৎকার দিলাম শুভ্রর নাম ধরে..

[রাস্তায় একটা মেয়ের রক্তাক্ত লাশ পড়ে আছে। পাশেই একটা ছেলে বসে আছে মেয়েটির মাথাটা কোলে নিয়ে। আচ্ছা, ছেলেটি কি মেয়েটিকে বিশ্বাস করেছে? অবশ্য বিশ্বাস না করলেও মেয়েটির কিছু যায় আসে না, সে তো সব কিছুর উর্দ্ধে।

সব দুষ্টামী ভালবাসা বাড়ায় না, কিছু দুষ্টামী সম্পর্ককে তিক্তও করে তোলে।

Address

Kolkata

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Shakil Ahmed posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Videos

Share

Category