ল্যাম্প পোস্ট - lamp post

  • Home
  • ল্যাম্প পোস্ট - lamp post

ল্যাম্প পোস্ট - lamp post Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from ল্যাম্প পোস্ট - lamp post, No. 15, Bankim Chatterjee St, College Square, .

এমন ছেলে আমার লাগবেনা, ওকে তুমি আদর করতে করতে আরো বোকা বানাও। যতো বড় হচ্ছে ততো বেকুব হচ্ছে ছেলেটি,  যতো সব ফালতু বুদ্ধি,...
24/10/2024

এমন ছেলে আমার লাগবেনা, ওকে তুমি আদর করতে করতে আরো বোকা বানাও। যতো বড় হচ্ছে ততো বেকুব হচ্ছে ছেলেটি, যতো সব ফালতু বুদ্ধি, সব তোমার ছেলের মাথায়। আমার মেয়ের ২ বছরের বড় হয়েও ওর অর্ধেক বুদ্ধিও নেই ছেলেটার।

দুপুরে বাসায় ফিরে স্ত্রীর মুখে এমন অভিযোগ শুনে কিছুটা অবাক হয়ে গেলাম। ৩বছরের মেয়েটাকে কোলে নিয়ে একটানা আমার ৫ বছরের ছেলেটার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেই যাচ্ছেন আমার স্ত্রী। কি হয়েছে প্রশ্ন করার আগেই মেয়ে বলে উঠলো, তারিফ ভাইয়াকে আম্মুু বকা দিছে।

আমি আর কথা না বাড়িয়ে রুমে গেলাম, দেখি ছেলে রুমে নেই। বুকটা ধুকধুক করে উঠলো, বাতরুমের দরজা খোলা ওখানেও নেই ছেলে। সাথে সাথে সামনের রুমে এসে প্রশ্ন করলাম আমার ছেলে কই? স্ত্রী বল্লো, কোথায় আবার, রুমেই তো আছে। আমি বল্লাম রুমে নেই, বাতরুমে ও নেই, তাহলে ছেলেটা কই?

সাথে সাথে মেয়ে আমার হাত ধরে বারান্দায় নিয়ে এসে দেখালো তারিফ বারান্দায় বসে নিরবে কাঁদছে। আমাকে দেখে তার চোখের পানির গতি বেড়ে গেলো বহুগুণ। আমি ছেলেকে কাছে গিয়ে, কোলে নিতে চাইলাম ও আসলো না।

পা ২টা লম্বা করে ফ্লোরে রেখে বসেই রইলো আমার ছেলেটি, আমি জোর করায়, ছেলে বল্লো তাইফাকে কোলে নাও, ওতো ভালো মেয়ে, আমি পঁচা ছেলে। ওকে নাকি আম্মু সব কিনে দিবে, বাইরে নিয়ে যাবে, আমাকে নাকি নিবে না। আমি আর এ বাসায় থাকবোনা চলে যাবো, আম্মু আমাকে খালি বকা দেয়, তাইফা দোষ করলেও আমাকে বকে।

কথার সাথে কান্নার ফোঁপানো শব্দ, কেনো জানি নিজের ভেতরটাকে দুমড়ে মুচড়ে চুরমার করে দিচ্ছে। সময় তখন দুপরে ২টা। ছেলেকে কানের কাছে গিয়ে বল্লাম, বাবার সাথে বাইরে হাঁটতে যাবে, নৌকায় চড়াবো আজ তোমাকে বাবা। নৌকায় বসে তোমার মাথার উপর ছাতা ধরবো বাবা। অনেক মজা করবো, ডাব খাবো।

ছেলেটা চোখ মুছতে মুছতে বারান্দা থেকে বের হয়ে গেঞ্জি নিয়ে রেডি হচ্ছে। এর মধ্যে আমার স্ত্রীকে বল্লাম তারিফ কি করছে বলতো? ও বল্লো একটু আগে বারান্দায় ফুলের টবে পানি দিতে গিয়ে বারান্দা পুরোটাই ভিজিয়েছে। অথচ আমার মেয়েকে পানি দিতে বলো? দেখবে বাইরে তোমার ছেলের মতো, পানি ফেলবে না অন্তত।

এবার আমি ওকে থামিয়ে দিয়ে বল্লাম। ছোট মানুষ এতো কিছু কি আর বুঝে। আমার স্ত্রী এবার বেশ রেগে গিয়ে বল্লো অন্তত আমার মেয়ের মতো বুদ্ধি ও সাহস থাকলেতো মেনে নিতাম। ওকে নিয়ে আমি কি করবো বলতো? আমি ওকে নিয়ে আর পারছিনা। আমি বল্লাম, তোমার কি মনে হয়? আমার ছেলের চাইতে মেয়ের বুদ্ধি ও সাহস বেশি। ও বল্লো কোন সন্দেহ নেই। আমি বল্লাম তাহলে দুপুরে খেয়ে, চলো ত্রিমোহনী বাজারের পাশে নৌকায় ঘুরে আসি।

সবাই মিলে একসাথে খাওয়া শেষ করে, বাসা থেকে বের হয়ে রিক্সা করে ত্রিমোহনী বাজারে গেলাম। বাজারের পাশে ব্রিজের নিচে ছোট একটা নৌকা করে ৩০টাকা ভাড়া দিয়ে পাশের একটা গ্রামে গেলাম। নৌকা থেকে নেমে ডাব খেলাম আমরা। তারপর আমার স্ত্রীকে বল্লাম মেয়েরতো ছেলের চাইতে বেশি সাহস তাইনা? ও বল্লো হ্যা।

এবার আমি বল্লাম তবে ছেলেকে আমি রাখলাম তুমি মেয়েকে বলতো ওই যে হাসগুলোকে দৌড়াতে? এবার ও তাইফাকে বল্লো, যাও হাসগুলোকে দৌড়াও। তাইফা একটু গিয়ে আর যায়না। ফিরে আসলো মায়ের কাছে। বল্লো আমি যাবো না। এবার আমি আমার স্ত্রীকে বল্লাম তুমি মেয়ের হাতটা শক্ত করে ধরে রেখো। তারপর ছেলেকে বল্লাম বাবা যাওতো হাসগুলোকে দৌড়াতে?

ছেলে এক দৌড় দিয়ে হাসগুলোকে অনেক দুরে তাড়িয়ে নিয়ে গেলো। এবার আমার স্ত্রীকে বল্লাম মেয়ের হাত ছেড়ে দাও। হাত ছাড়া পাওয়ার সাথে সাথে মেয়ে হাসগুলোকে দৌড়াতে চলে গেলো।

এবার সামনে দেখলাম একটা বালুর বেশ বড় মাঠ, কিন্তু মাঠটি রাস্তা থেকে প্রায় ৪ ফিট উচুতে। আবার আমার স্ত্রীকে বল্লাম মেয়েরতো ছেলের চাইতে বেশি বুদ্ধি তাইনা? ও বল্লো হ্যা, সাহস কম হলেও বুদ্ধিযে বেশি, তাতে কোন সন্দেহ নেই।

এবার আমি বল্লাম তবে ছেলেকে আমি রাখলাম, তুমি মেয়েকে বলতো, বালিতে হেটে উপরে মাঠে উঠতে? এবার ও তাইফাকে বল্লো যাও, বালিতে হেটে উপরে মাঠে উঠো। তাইফা হেটে হেটে উপরে যতবার উঠার চেষ্টা করছে পারছেনা, বার বার নিচের দিকে পড়ে যাচ্ছে। আর না পেরে ফিরে আসলো মায়ের কাছে।

এবার আমি আমার স্ত্রীকে বল্লাম, তুমি মেয়ের হাতটা আবার শক্ত করে ধরে রেখো। তার পর ছেলেকে বল্লাম বাবা বালির মাঠে উঠো কানামাছি খেলবো। ও পায়ের জুতো খুলে, ২টা পা ও হাত বালিতে রেখে হামাগুড়ি দিয়ে ঘোড়ার মতো উপরে উঠে গেলো।

এবার আমার স্ত্রীকে বল্লাম মেয়ের হাত ছেড়ে দাও। হাত ছাড়া পাওয়ার সাথে সাথে মেয়েও ভাইয়ের মতো পায়ের জুতো খুলে, ২টা পা ও হাত বালিতে রেখে হামাগুড়ি দিয়ে ঘোড়ার মতো উপরে উঠে গেলো।

এবার আমার স্ত্রীকে বল্লাম, ছেলে হচ্ছে মেয়ের শিক্ষক। ছেলে যা করে, তা দেখে মেয়ে করে, তাই ও ভুল করে খুব কম। আর যে কাজে ছেলেটা ভুল করে, তার জন্য ছেলেকে আমরা যখন বকা দিয়, তখন তোমার মেয়ে আর এ ভুলটা করে না।

আচ্ছা এবার বলতো ছেলের কি এমন কোন শিক্ষক আছে যে ভুল দেখে বা ঠিকটা দেখে শিখবে ?? কিন্তু মেয়েরতো একজন বড় ভাই আছে। প্রতিটা ঘরেই বড় ছেলে-মেয়েরা বোকা হয় কারণ তাদের বড় কাউকে দেখে, শেখার সুযোগ তাদের হাতে নেই।

সুতরাং প্রতিটি বাবা-মায়ের উচিৎ বাসার বড় সন্তানদের অবহেলা না করে, ছোট সন্তানের সাথে বা অন্য কারো সাথে তুলনা না করে, তার ভুলগুলো ঠিক করে দেওয়া ও তার ভালো কাজের প্রশংসা করা। তবেই তো বাসার ছোট সন্তানগুলো সঠিকভাবে সব কিছু শিখবে।

হঠাৎ খেয়াল করলাম আমার স্ত্রীর ২ চোখ বেয়ে পানি গড়িয়ে পড়ছে, আমি জানি এ চোখের পানি কষ্টের নয়, নিজের ভুল বুজতে পারার পানি, এটা ছেলের বুদ্ধি ও সাহসের চাক্ষুস প্রমানের পানি।

এবার ওর হাতটা শক্ত করে জড়িয়ে ধরে বল্লাম, ছেলের সব কিছু কিন্তু মায়ের মতো হয়েছে। কান্না চোখে ও এবার হেসে দিলো। হাসুক মায়েরা, সারাদিন সন্তানের সাথে থাকতে থাকতে তারা মন খুলে হাাসার সময়ও পায়না। অকারণে স্ত্রীকে হাসানোর চেষ্টান করুন, এতে পরিবারের সবাই হাসিখুশি থাকবে।

বি:দ্র: পৃথিবীতে সব চাইতে জঘন্য বিষয় হচ্ছে ছোটদের সামনে বড়দেরকে হেয় প্রতিপন্ন করা। এটা না করে, বড় সন্তানকে সংশোধনমূলক বার্তা দিলেই বেশি ফল পাবেন।

মন্তব্য: বড় সন্তানের ভুলত্রুটি নিয়ে, ছোট সন্তানের সামনে তুলনা করে কিছু বলা উচিৎ নয়। কারণ এতে হিতে বিপরীত হয়, মনের অজান্তেই আমরা অভিভাবকরা ছোট-বড়দের মধ্যে দুরত্ব ও হিংসার বীজ বপন করে দিয় নিজ হাতে।

টিকা: সন্তানকে মানবিক ও ভালো গুন সম্পন্ন করে বড় করতে চাইলে, সন্তানের সাথেও মানবিক ও ভালো আচরণ করুন।

-
আশেক ওসমানী
কারাতে প্রশিক্ষক
ওসমানী কারাতে একাডেমি, বনশ্রী, রামপুরা, ঢাকা।

বি:দ্র: ছবিটি গতকাল তোলা হলেও, পোস্টটি কিন্তু বহুআগে একবার করেছিলাম। ফেইসবুক মনে করিয়ে দিলো, তাই রিপোস্ট করলাম। আপনাদের উৎসাহ পেলে আবার বাচ্চাদের খুটিনাটি বিষয় নিয়ে লিখবো ইনশাআল্লাহ।

এই পোস্ট টা যদি ছেলে বা মেয়েটা দিত এতো বেশি সুন্দর লাগতো না আমার কাছে,পোস্ট করেছে মেয়ের ননাশ,সে খুশি হচ্ছে তার ভাই কে নি...
20/10/2024

এই পোস্ট টা যদি ছেলে বা মেয়েটা দিত এতো বেশি সুন্দর লাগতো না আমার কাছে,
পোস্ট করেছে মেয়ের ননাশ,
সে খুশি হচ্ছে তার ভাই কে নিজের বউ এর সাথে Happy দেখে,
আমি মনে করি ছেলেদের বাসার কাজ শিখার চাইতে বেশি জরুরি ছেলের এর ফ্যামিলিতে যে সকল মেয়ে বা মহিলা থাকে তাদের শিক্ষা নেওয়া এই পোস্ট থেকে,
ছেলে মেয়ে বিয়ে করে খুশি থাকুক এটুটুক মন থেকে যদি চায় আমাদের দেশ এর ননদ,ননাশ,শাশুরিরা বিশ্বাস করেন ডিভোর্স রেইট ৩০% কমে যাবে।
এমনকি অনেক মেয়ের মা রাও একই কাজ করে....
কেন যেন নিজের ছেলে-মেয়ে কে বিয়ের পর খুশি থাকুক এটুকু জিনিস এ মন থেকে চাইতে পারেনা উনারা,
বউকে আদর ভালোবাসা দিলে নিজের ছেলে হাত ছাড়া হয়ে যাবে এই মেন্টালিটি এখনো আমাদের দেশ এর ঘরে ঘরে....
মেয়েরা এখন কাজ করছে ,ইন্ডিপেন্ডেট হচ্ছে,ছেলেরাও বাইরের সাথে ঘরের কাজ করছে যা কিছু এক সময় অসম্ভব ছিল ,
এগুলো নিয়ে কথা উঠেছে এখন হচ্ছে,
এখন সময় গার্ডিয়ান দের মেন্টালিটি চেইঞ্জ নিয়ে কথা তোলার,যতই বয়সে বড় হোক যেটা ভুল, সেটাতো ভুলই...

আপনি ভাত খেতে বসছেন। আপনার মনে একটুও শান্তি নাই, জীবনে ঝড় বয়ে যাচ্ছে। প্লেট থেকে ভাত নিয়ে মুখে দিবেন, সে শক্তি টাও পাচ্ছ...
15/10/2024

আপনি ভাত খেতে বসছেন। আপনার মনে একটুও শান্তি নাই, জীবনে ঝড় বয়ে যাচ্ছে। প্লেট থেকে ভাত নিয়ে মুখে দিবেন, সে শক্তি টাও পাচ্ছেন না! ভাত খেতে গিয়ে টের পেলেন আপনি সব অস্পষ্ট দেখছেন, আপনার চোখে পানি!

চোখে পানি নিয়েই আপনি ভাত খেতে থাকলেন! আপনি জানেন আপনার কিছু করার নাই! কষ্ট টা কমাইতে পারবেন না কোনো ভাবে!

মানুষ এর জীবনে এতো 'খারাপ' সময় না আসুক!🤍

আকাশের ভয় তারা পায়নি, তারা হেঁটেছিল.. প্রচন্ড বৃষ্টিতেও তারা আগুন নিভতে দেয়নি....         @শুভদীপ ©  Sourav Das
28/08/2024

আকাশের ভয় তারা পায়নি, তারা হেঁটেছিল..
প্রচন্ড বৃষ্টিতেও তারা আগুন নিভতে দেয়নি....


@শুভদীপ

© Sourav Das

ওরা আমায়, এভাবে কেনো মা'র'লো  মা??.........মা আমি তো যেমন ডিউটিতে  যাই সেরকমই ডিউটিতে গেছিলাম, কিন্তু আমি তো জানতাম না ...
17/08/2024

ওরা আমায়, এভাবে কেনো মা'র'লো মা??.........

মা আমি তো যেমন ডিউটিতে যাই সেরকমই ডিউটিতে গেছিলাম, কিন্তু আমি তো জানতাম না যে আজই হবে আমার শে'ষ দিন!!
আমি তো আমার জুনিয়র দের সাথে একসাথে কতো গল্প করতে করতে রাতের খাবার খেয়েছিলাম, জানো মা অনলাইন থেকে অর্ডার করে আনিয়েছিলাম আমার প্রিয় খাবারটা,ওটাই আজ খেয়েছিলাম, তখনও যদি একটু বুঝতে পারতাম এটাই শেষ খাওয়া , এটাই শেষ গল্প ..... ডিউটির বাঁধনে আমি যখন ক্লান্ত হয়ে গেলাম মা, আমার চোখ দুটো ঘুমে বন্ধ হয়ে যাচ্ছিল, একটু শরীরের ক্লান্তি মেটাতে গেলাম, তখনও যদি বুঝতাম মা, সারাজীবনের মতো বিশ্রামে চলে যাবো,

তখন ভোররাত আমি ওয়ার্ডে একা তখন, ভোরের শীতল বাতাসে আমার একটু ঠান্ডা লাগতে আমি লাল চাদর টা ঢাকা দিয়ে একটু চোখ বন্ধ করেছিলাম শুধু,,, সেই সময়ের অপেক্ষায় থাকা ওরা আমার সাথে..... ছিঃ!!! মা আমার খুব কষ্ট হচ্ছিল জানো তো অনেক অনেক বার আমি বারণ করেছিলাম, চিৎকার করেছিলাম " বাঁচাও বাঁচাও কে আছো আমাকে বাঁচাও!!" কিন্তু কেউ আমার চিৎকার, আমার আ'র্তনা'দ শুনতে পায়নি জানোতো মা, আর ওরা আরও পশুর থেকেও বিচ্ছিরি ব্যবহার করতে লাগলো..... খেলতে লাগলো আমাকে নিয়ে ওরা!!! আমি ওদের হাতে পায়ে পড়লাম জানো তো, আমি এটাও বললাম যে " আমাকে ছেড়ে দাও,দয়া করে, ছেড়ে দাও, আমি কাউকে কিছু বলব না, আমাকে যেতে দাও..."

কিন্তু ওরা আর আমায় তোমার কাছে একবার যাওয়ার সুযোগটা দিলো না, দিলো না তোমার কোলে শেষ বারের মতো মাথা রাখতে দিতে, দিলো না শেষবার তোমার হাসি ভরা মুখ টা দেখার সুযোগ , দিলো না বাবার স্বপ্নে তার রাজকন্যার বড়ো ডাক্তার হওয়ার কাহানী কে সত্য করতে !!! আমার গ'লা টি'পে ধরে নিজেদের সর্ব শক্তি দিয়ে আমার গলা চে'পে ধরে জানো মা, আমি অনেক চেষ্টা করেছিলাম বাঁচার কিন্তু হয়তো আজ ভগবান ও চায়নি যে আমি হয়তো বেঁচে থাকি। ওই পশুদের শক্তির কাছে আমি হেরে যাই, আমার গ'লার হাড় ভে'ঙে যায়...ওরা আমায় ওভাবেই ওখানে ফেলে রেখে চলে যায় ওই বিব'স্র ভাবে..... সকালে সবাই আসে ,কিন্তু একি!!

আআআ মি কারোর সাথে কথা কেনো বলতে পারছিনা? তোমাকেও দেখতে পাচ্ছি, তোমায় কত করে ডাকছি তুমি শুনতে কেনো পারছোনা মা, আমার ডাক?? ওওও মা, মা গো এইতো দেখো দেখোনা মা, ও মা এইতো আমি, তুমি কাঁদছো কেনো?? কি হয়েছে তোমার?? ও মা!!! দেখি মা সামনে একটা লাশের দিকে তাকিয়ে হাউমাউ করে কাঁ'দছে, লা'শটার মুখ দেখতে পেয়ে আআআমি শিউরে উঠি.... এ কিহ!!! এটা যে আমারই নিথর দেহ!!! আমি কি তবে মা'রা গেছি?? আমিও কাঁদতে শুরু করলাম, সবাই আমার এই মৃ'ত্যু তে শো'কাহত.... সারা দুনিয়া আমার মৃ'ত্যুর ঘটনা আপাতত জেনে গেছে, সবাই বিদ্রোহ করছে!!! কিন্তু আমি আমার নি'থর দে'হের দিকে তাকিয়ে রইলাম!! আমার শেষটা তো আরো ভালো হতে পারত বলো মা?? দেখো না মা ওরা আমার মুখের, দেহের কী বিচ্ছিরি অবস্থা করেছে দেখো মা!! আমার চিৎকার করতে ইচ্ছে করছে!!! কিন্তু আমার আওয়াজ এখনো কেউ শুনতে পারছে না, আমি এতগুলো লোকের সামনে চিৎকার করছি,কিন্তু একটা কেউ আমার এই চিৎকার শুনতে পারছে না!! কেউ না........

অসাধারণ লেখা আমি চাই এগুলো ভাইরাল হোক। সমাজকে জাগ্রত করুন। সমাজ বিকৃত করবেন না 🙏🙏
Collected from :-Puku Puku





😡😡✊✊
We want justice

16/08/2024

আজ পর্যন্ত কোনো একটা মেয়ে বলতে পারবে না যে তার সাথে কখনোই একটা অশ্লীল ঘটনা ঘটেনাই!!
☹️☹️

একটা শরীর। ১৮/২০ জন পুরুষ।১১৩ টা কা ম ড়ের দাগ। ১৫০ গ্রাম বী র্য।জাস্ট ইমাজিন একটি সুস্থ মেয়েকে ঠিক কতক্ষণ গলা চে পে ধরে ...
15/08/2024

একটা শরীর।

১৮/২০ জন পুরুষ।

১১৩ টা কা ম ড়ের দাগ।

১৫০ গ্রাম বী র্য।

জাস্ট ইমাজিন একটি সুস্থ মেয়েকে ঠিক কতক্ষণ গলা চে পে ধরে রাখলে তার চোখের মনি দিয়ে র ক্ত বেরিয়ে আসে?

এই পুরো সময়টা যে দুইজন ব্যক্তি মৌমিতার হাত চেপে ধরে ছিল। তাদের মধ্যে একজন মৌমিতার ফিমেল কলিগ। আই রিপিট, মৌমিতার ফিমেল কলিগ।

চোখ দিয়ে র ক্ত বেরিয়ে আসার আগমুহূর্তে মৌমিতা নিশ্চয়ই এই ফিমেল কলিগের দিকে তাকিয়ে ছিল। চোখের ভাষায় বারবার বোঝানোর চেষ্টা করছিল, ‘আমাকে বাঁচাও, তুমিও তো একটি মেয়ে।’

আহারে আহারে 🙂

15/08/2024

আমি জাস্ট ভাবতে পারতেছিনা মৌমিতার ফিমেইল কলিগ কিভাবে পারলো এইটা করতে? ১৮-২০ জন অমানুষের সামনে কিভাবে তাকে ছেড়ে দিলো? কিভাবে তার হাত ধরে ছিলো? তারা কি নিজের চোখে মৌমিতার আর্তনাদ,কষ্ট দেখে নাই? আমরা বিড়ালদের কষ্ট পেতে দেখলে কষ্ট পাই, আর সে একটা মানুষের কষ্ট দেখলো না?
কিভাবে পারলো এটা? মৌমিতা ও নিশ্চিত বিশ্বাস করতে পারে নাই তার ই কলিগ এইভাবে বিশ্বাসঘাতকতা করবে!
কিভাবে পারলো? কিভাবে? অমানুষ এর কোনো স্তর আছে কিনা জানিনা, থাকলে এরা সবচেয়ে নিম্নস্তরের অমানুষ!!

বিয়ের আসরে ছেলের বাবা হাসিমুখে বললেন,"বেয়াই সাহেব, বিয়েতো হয়ে যাচ্ছে তো আমার ছেলের জন্য বলছিলাম যে পাঁচ লাখ টাকা আর একটা...
05/07/2024

বিয়ের আসরে ছেলের বাবা হাসিমুখে বললেন,
"বেয়াই সাহেব, বিয়েতো হয়ে যাচ্ছে তো আমার ছেলের জন্য বলছিলাম যে পাঁচ লাখ টাকা আর একটা বাইকের ব্যবস্থা করলে সুবিধা হতো।

আসলে চাইতাম না তবুও ওর অফিসে যাতায়াতের জন্য বাইকটা খুবই প্রয়োজন ছিল। আর আমারও কিছু ঋণ-টিন আছে ওগুলাও পরিশোধ করতাম। ছেলে তো আমার একটাই। আমার যা আছে সবই তো ওর আর ওর মানে আমার বউমার।"
মেয়ে পক্ষের সকলে এই কথা শুনে চুপ করে রইলো। কিছুক্ষণ বাদেই কাজি সাহেব আসলেন বিয়ে পড়ানোর খাতা পত্র নিয়ে। যখন কাবিনের কথা উঠলো তখন মেয়ের বাবা কাউকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে কাজি সাহেবকে বললেন,
"আপনি দশ লাখ টাকা কাবিন লিখেন।"
এই কথা শুনে ছেলের বাবা ফুঁসে উঠে বললেন,
"দশ লাখ টাকা কাবিন? মগের মুল্লুক নাকি? আমার ছেলের সামর্থ্যও তো দেখতে হবে নাকি?"
মেয়ের বাবা সামান্য হেসে বলেন,
"মেয়ে তো আপনাদের কাছেই থাকবে তো দশ লাখ কাবিন হোক আর এক কোটি হোক তাতে কি আসে যায়?"
ছেলের বাবা রাগমিশ্রিত কণ্ঠে বলেন,
"যত যাই বলেন আমি এতো টাকা কাবিন দিবো না।"
মেয়ের বাবা ভরা মজলিসে সামান্য অট্টহাসি দিয়ে বলেন,
"দশ লাখ টাকা কাবিন দিতে আপনার ভয় যে ছেলে বউয়ের যদি কোনোভাবে ডিভোর্স হয়ে যায় তাহলে আপনার দশ লাখ টাকা গচ্চা যাবে আর এদিকে আপনি ঠিকই আমার কাছে ছেলের জন্য বাইক আর পাঁচলাখ টাকা নগদ চাচ্ছেন। বিষয়টা কেমন হয়ে গেলো না?"
"কিসের সাথে কি মিলান? জামাইকে শ্বশুর বাড়ি থেকে এসব টুকটাক তো সবাই দেয়। এটাতো সমাজেরই নিয়ম।"
মেয়ের বাবা ঠান্ডা মাথায় বললেন,
"যৌতুক নেওয়া যদি সমাজের নিয়ম হয় তাহলে কাবিনও বেশি দেওয়া সমাজের নিয়ম। একচোখে সবকিছু দেখলে হয় নাকি বেয়াই সাহেব?"
ছেলের বাবা এবার রাগান্বিত স্বরে বলেন,
"আমার ছেলে বড় চাকরি করে। দরকার হলে আপনার এখানে ছেলেকে বিয়ে দিবোনা, মেয়ের অভাব আছে নাকি?"
"আমার মেয়েও কিন্তু উচ্চশিক্ষিত, তাকেও আমি নিজের টাকা পয়সা খরচ করে এতোদূর এনেছি আর আপনিও আপনার ছেলের জন্য কষ্ট করেছেন, তাহলে যৌতুক কেনো মেয়ের বাবাকেই দেওয়া লাগবে? আর এখানে বিয়ের আসর ছেড়ে চলে গেলে ক্ষতি কিন্তু আপনারই। থানায় কল দিয়ে যদি বলি যৌতুকের জন্য বিয়ে ভেঙ্গে দিচ্ছেন তাহলে জেলে যাবেন কিন্তু আপনারাই। তাই ভেবে চিন্তেই সিদ্ধান্ত নিয়েন।"
মেয়ের বাবার কথা শুনে ছেলে পক্ষের সবাই চুপ। নিরবতা ঠেলে মেয়ের বাবা পুনরায় বলে উঠলেন,
"যাইহোক আপনাদের সাথে আমারও আর আত্মীয়তা করার সখ নেই। এখনই এই অবস্থা আর বিয়ের পর আমার মেয়েকে যৌতুকের জন্য অত্যাচার করবেন না তার কি গ্যারান্টি? তার থেকে বরং আমার এই বিয়ের আয়োজনের যেই খরচটা হলো সেটা দিয়ে কেটে পরুন। নাহলে বিষয়টা থানা পর্যন্ত গেলে কত কি হয়ে যাবে ভাবতে পারছেন?"
ছেলের বাবাসহ ছেলে পক্ষের সকলের মাঝে পিনপতন নীরবতা।

মেয়ের বাবা মেয়ের মাথায় হাত বুলিয়ে বললেন,
"যত যাই হোক আমি অন্ততঃ তোকে কোনো ছোটলোকের কাছে বিয়ে দিবো না। আমার রাজকন্যা আমৃত্যু যেনো রাজকন্যার মতোই থাকে সেই ব্যবস্থাই করবো।"
গল্পটি ভালো লাগলে একটু কমেন্টে রেস্পন্স করবেন। আজকাল ফেসবুকের রিচ নেই বললেই চলে।

স্বামী হিসেবে আমার এখন কি করা উচিৎ? -৪ বছরের রিলেশনের পর বিয়ে হয়েছিল আমাদের। দুই বছর যেতে না যেতেই আমাদের ডিভোর্সের ব্যা...
03/07/2024

স্বামী হিসেবে আমার এখন কি করা উচিৎ?
-৪ বছরের রিলেশনের পর বিয়ে হয়েছিল আমাদের। দুই বছর যেতে না যেতেই আমাদের ডিভোর্সের ব্যাপারে কথা চলছে।

ডিভোর্সের কারণ তার ছেলে বেস্ট ফ্রেন্ড। বিয়ের আগে থেকে ওর বেস্ট ফ্রেন্ডকে আমি পজিটিভই নিতাম। বিয়ের পর একবছর পর্যন্তও পজিটিভ ছিল আমার কাছে। সবাই বলেনা যে ছেলে মেয়ে কখনো বেস্ট ফ্রেন্ড হতে পারেনা। যেটা হয় সেটা লুচ্চামি। আমি এটা আগে বিশ্বাস করতামনা। কিন্তু এখন…
ওর আমি অনেক কেয়ার নিতাম, সম্মান করতাম, জীবনের থেকেও ভালোবাসতাম। সেজন্যই সে আমারে বিয়ে করেছে।

আমি চাকুরী করি একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে আর সে চাকুরী করে নার্সিং জবে একটা হাসপাতালে (সিক্রেট রাখলাম নাম)। তার বেস্ট ফ্রেন্ডকে নিয়ে আমি জেলাস হতামই মাঝে মাঝে। যখন দেখতাম ওরে নিয়ে সে পোস্ট দিতো, আমার কাছে প্রসংশা করতো। আমি একদিন সরাসরি বলছিলাম তোমার বেস্টফ্রেন্ড এর সাথে মেলামেশা আমার পছন্দ না। এসব নিয়ে ঝগড়া করে আমার সাথে যোগাযোগ ছিলোনা একমাস প্রায়। সে এমনভাবে তার ফ্রেন্ডকে নিয়ে বলতো যেন সে ফেরেশতা। ঝগড়ার পর অনেক রিকুয়েস্টের পর সব ঠিক হয়। মাঝে মাঝে তার বেস্ট ফ্রেন্ডের সাথে বাইকে ঘুরতে যেত এসব অবশ্য শেয়ারও করতো ডে পোস্টে। আমি ভাবছি যা করুক করুক। বিয়ের পর ঠিক করে নেবো। ওর বেস্ট ফ্রেন্ড আবার ওর কলেজ ফ্রেন্ড ছিলো। এখন জবও করে একসাথে।

বিয়ের আগে একবার সে নার্সিং পরীক্ষার জন্য ঢাকায় গিয়েছিল। আমি বললাম কার সাথে যাচ্ছো। বলছিল তার বান্ধবীদের সাথে। তারপর অনেকদিনপর দেখতে পারি তার ফ্রেন্ডের একটি পিক ওর মেসেঞ্জারে। যেখানে সে ছেলের কাধে মাথা রেখে শুয়ে আছে ট্রেনে, কেবিনে কোলে শুয়ে আছে। এসব দেখে আমার পায়ের নিচে মাটি ছিলোনা বুঝতেছিলাম। তর্ক করছিলো মাথা কাধে রেখে, কোলে রেখে গেছে তো কি হইছে। আমাকে লজিক দেখাইলো ঘুম চলে আসায় এমনটা হতেই পারে পারে ব্লা ব্লা। তো আমি বললমাম তাহলে ঔসময় আমাকে মিথ্যা বলছিলা কেন বান্ধবীর সাথে যাচ্ছো। পরে সে স্বীকার করলো আর মাফ চাইলো আর এমন হবেনা। অনেক ভুল করছে ব্লা ব্লা। তারপর অনেক কিছুর পর বিয়ে হলো আমাদের। এখানে একটা ভালো লাগার ব্যাপার আছে। ওর ইচ্ছে ছিল খুব কম টাকায় কাবিন করে বিয়ে করবে।

আমাদের দুজনের পরিবারই স্বাবলম্বী। কেউ থেকে কেউ কম না। তার কথাতেই এক লাখ টাকার নগদ কাবিনে আমাদের বিয়ে হলো। ওর ভালো দিকগুলোর শেষ নাই। একটাই সমস্যা ওর বেস্ট ফ্রেন্ড নিয়ে। ওর ফ্রেন্ডদের সাথে চলাফেরা আমার পছন্দ হয়না। সেজন্য আমাকে টক্সিক বলে, বলে আমি নাকি আপডেটেড না। 😅
জীবনে আমি ওর কোন কিছুর অভাব রাখিনি। অনেক ভালোবাসতাম। সে আমার খুব সখের, খুব প্রিয় মানুষ। তাই সবকিছু সহ্য করে মেনে নিয়ে চলতাম। ওর সাথে থাকলেই দুনিয়ার সব ভুলে যেতাম। কোনকিছু আর মনেই থাকতোনা। কিন্তু ১৫ দিনের মধ্যে দুটো ঘটনার কারণে আজ আমরা আলাদা হওয়ার পথে। ডিভোর্সের কথাবার্তা চলতেছে। ঘটনা দুটোই ওর বেস্ট ফ্রেন্ড নিয়ে। ওর ফ্রেন্ড ওরে কি গিফ্ট করছে জানেন? একটি ঘরি, ফেমিনিন ওয়াশ, পিংক লেডি সিক্রেট সোপ, ব্রা, প্যা*ডস। মানে ব্যাপারটা কেমন লাগবে একমাত্র আমার মত ছেলেরা বুঝবে। শুধু কল্পনা করুন আপনার বউকে তার ফ্রেন্ড এসব গিফট করেছে আর আপনি কি করতেন তখন। এসব নিয়ে অনেক ঝগড়া হইছে। সে বলে এসব দেওয়ায় কি এমন হইলো। এই কথা বলায় আমি হাত দিয়ে আ*য়না ভে* ঙে ফেলি। তারপর সে ঠান্ডা হলো আর সিদ্ধান্ত নিলো এগুলো ফেরত দিয়ে দিবে। বেশদিন হয়ে গেলো ফেরত দেয়নি। পরে আমি সব ফেলে দিছি। তাকে বুঝিয়ে বলছি ওর ফ্রেন্ডের সাথে যেন কোন যোগাযোগ না রাখে। অনেক বুঝিয়েছি। বলছে আর রাখবেনা। আমি বলছিলাম যদি দেখি তাহলে খবর আছে। সে সাথে সাথে চেইত্যা বলে কি খবর করবা? তালাক দিবা? সে বলে, ১০ লাখ কাবিন ডিজার্ব করি আর মাত্র ১ লাখে বিয়ে বসছি দেইখা তুমি স্বস্তা মনে করো আমাকে। আমি অবাক হয়ে গেলাম। কই থেকে কি বলে। শুধু একটাই বলছি আমাকে হারাবা সারাজীবনের জন্য আমার অবাধ্য হইলে। সে ও চুপ হয়ে যায়। চলতে লাগলো সুন্দরভাবেই। তার কয়েকদিন পর ওর বান্ধবীর বিয়েতে যায় সে। সেখানে আমি যাই বিয়ের দিন । সে একদিন আগে গেছে। ওর বান্ধবীর ভাইয়ের সাথে পরিচয়ে ফেবুতে যুক্ত হওয়া হয় আমার। বিয়েতে ওর ফ্রেন্ডরে দেখছিলাম। আমার বউকে দেখছি তাকে এড়িয়ে চলতে।

বিয়ে থেকে আসার বেশ কয়েকদিন পরে বউয়ের বান্ধবীর ভাইয়ের আইডিতে গায়ে হলুদের একটা ভিডিও পাই। ভিডিওতে দেখতে পাই আমার বউকে পেছন থেকে পেটে টাইট করে জড়িয়ে ধরে শুন্যে রেখে গ*লায় আর মুখে হলুদ লাগাচ্ছে তার বেস্ট ফ্রেন্ড। অনেক ধৈর্য্য ধরে চুপ থেকে বাসায় যেয়ে ওর ফোন নেই জোর করে। বলে কি হইছে। বলছি চুপ করে দেখো। তারপর ওর ফ্রেন্ডরে ওর আইডি থেকে এই ভিডিওর লিং*ক দিয়ে বলি দোস্ত অনেক মজা হইছে ঐদিন তাইনা। সে বলে, দিনটা ভুলার মত না। তোর জামাই তো তোরে ঠিকমত খা**তে পারেনা। সাথে লজ্জার ইমোজি দিছে। ভিডিও কল দিছি আর আমাকে দেখেই কে*টে দিছে।

এরপর থেকে যে ঝামেলা হইছে সেটা আর থামেনাই। ডিভোর্সের কথা বলছি আমি। আমারে ঔ ১ লাখ টাকার কথা শুনায়। রাগে বলছি আরো ৪ লাখ ম্যানেজ করে দিয়ে দিবোনে তোমারে। তাহলে ৫ লাখ কাবিন হবে। সেই থেকে মাফ চেয়েই যাচ্ছে। কিন্তু আমি এখন পাথর হয়ে গেছি এসবের জন্য। আর পারতেছিনা। কি সিদ্ধান্ত নিবো বুঝতেও পারছিনা। এক মাস হলো আলাদা হয়ে গেছি। ডিভোর্স দিবো দুই পরিবারই জানে। তারা আলোচনায় বসতে চাইছে অনেকবার। আমি বসিনাই। আমি এখন সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছি। কি করবো বুঝতে পারছিনা।

- নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক

আমার বিয়ের এক মাসের মাথায় শুনতে পেলাম আমার শ্বাশুড়ি গর্ভবতী। খবরটি আমাকে দিলো আমার স্বামী সাজ্জাদ। কথাটা বলার সময় তার মু...
29/06/2024

আমার বিয়ের এক মাসের মাথায় শুনতে পেলাম আমার শ্বাশুড়ি গর্ভবতী। খবরটি আমাকে দিলো আমার স্বামী সাজ্জাদ। কথাটা বলার সময় তার মুখে আমি একরাশ রাগ আর ঘৃণা দেখতে পেলাম। আমাকে কথাটা বলেই ধপ করে খাটে বসে পড়লো সে। তার ফর্সা মুখ রাগে লাল হয়ে আছে। কিন্তু আমি বুঝতে পারলাম না এই খবরে তো খুশি হওয়ার কথা,এমন রাগ করার কি আছে? কিন্তু তার থমথমে মুখ দেখে কিছু বলার সাহস পেলাম না।চুপচাপ ঠায় দাঁড়িয়ে থাকলাম খাটের পাশে। কিছুক্ষণ পর সেই-ই রাগে গজগজ করতে করতে বললো," ন্যূনতম কোনো লজ্জা আছে?এই বয়সে, ছি ছি ছি। লজ্জায় আমারই মাথা কা*টা যাচ্ছে। আত্মীয়স্বজন,পাড়া-প্রতিবেশি শুনলে কি বলবে? আর আমার বন্ধু আর কলিগদের কথা তো বাদই দিলাম। সমাজে আমাদের একটা মানসম্মান আছে,সব শেষ।" আমি ভেবেই পেলাম না এই খুশির খবরে সমাজে মানসম্মান নষ্ট কেনো হবে? আমার বরের বয়স ছাব্বিশ বছর, তার পরে আমার ননদ আছে একজন,নাম সোহেলী। তার বয়স একুশ। আমার শ্বাশুড়ির অনেক কম বয়সে বিয়ে হয়, তার প্রথম সন্তানই সাজ্জাদ। খুব বেশি বয়স না আম্মার। আর এতো সুন্দর দেখতে, ফর্সা ছোটখাটো একজন মানুষ, দেখতে তো আরো কম বয়সী মনে হয়। আমার বর কি নিয়ে এতো রাগ করছে কিছুই বুঝতে পারছি না আমি। আমার বড্ড ইচ্ছা করছে আমার শ্বাশুড়ির পাশে গিয়ে একটু বসতে। তার কি খেতে ইচ্ছা করছে শুনতে। এই বাড়িতে বিয়ে হয়ে আসার পর থেকে ওই মানুষটা আমাকে নিজের মায়ের মতো ভালোবেসেছেন। আমি কি খেতে পছন্দ করি সব জেনে নিয়ে নিজের সাধ্যমতো আমার সামনে হাজির করেছেন। এই এক মাসে আমার শ্বাশুড়িকে অনেক ভালোবেসে ফেলেছি আমিও। সাজ্জাদের কথাগুলো শুনতে আমার মোটেই ভালো লাগছে না। তাই চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকলাম আমি।
সন্ধ্যার পর আমার শ্বশুর ড্রয়িংরুমে আমাদের সবাইকে ডেকেছেন। আমাদের বলতে, সাজ্জাদ,সোহেলী আর আমাকে। অন্যদিন শ্বশুর ডাকলে সাজ্জাদ তাড়াতাড়ি অফিস থেকে চলে আসে। বাবাকে এ বাড়ির সবাই একটু ভয় পায়, সমীহ করে চলে। বাবা মানুষটা একটু রাশভারি হলেও ভিতরটা অনেক নরম। নিকটস্থ একটা স্কুলের হেডমাস্টার ছিলেন তিনি। ব্যক্তিত্বসম্পন্ন মানুষ একজন। এক মাসে আমার সাথে খুব বেশি কথা হয়নি। তবে সকালের চা, আর বিকালের নাস্তাটা তার আমাকে ছাড়া চলেই না। আমাকে মামণি বলে ডাকেন তিনি।
অন্যদিন সাজ্জাদ তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরলেও আজ সন্ধ্যা গড়িয়ে যাচ্ছে এখনো সে ফেরেনি। আমার নিজের কাছেই কেমন অপরাধবোধ লাগছে, বাবা, আম্মা হয়তো অপেক্ষা করে বসে আছেন কথা বলার জন্য,অথচ তাদের ছেলে বাড়িই ফেরেনি এখনো। রাত সাড়ে আটটার দিকে সাজ্জাদ বাড়ি ফেরে। রুমে ঢুকেই ফ্রেশ হতে ওয়াশরুমে চলে যায়। আমি কিছু বলার সুযোগ পাইনা। অন্যদিনের সন্ধ্যাগুলো কি সুন্দর হয়। আমি,আম্মা আর সোহেলী মিলে বিভিন্ন নাস্তা বানাই। সাজ্জাদ ফিরলে সবাই মিলে আড্ডা দিই ড্রয়িংরুমে বসে। কিন্তু আজ কেমন যেনো সব খাপছাড়া। সোহেলীও সেই দুপুরে খেয়ে গিয়ে ঘরের দরজা বন্ধ করেছে এখনো খোলেনি। কি যে হলো ভাইবোনের ভেবে পাইনা আমি। আধা ঘণ্টা পর ফ্রেশ হয়ে সাজ্জাদ বের হয়ে আসলো। বললো,"কি হলো? কিছু বলবে?এভাবে দাঁড়িয়ে আছো কেনো?" আমি আস্তে আস্তে বললাম,"বাবা ডেকেছিলেন তো আমাদের,তুমি কি ভুলে গেছো?" আমার কথা শুনেই সাজ্জাদের মুখ আবার রাগে লাল হয়ে গেলো। থমথমে গলায় বললো,"আমার কোনো ইচ্ছা নেই উনাদের কোনো কথা শোনার। আর তোমাকেও একটা কথা বলছি,তুমি আমার বউ হয়ে এ বাড়িতে এসেছো, আমি যা বলবো,যেভাবে বলবো সেভাবে চলবে। বেশি বেশি করবে না। মাইন্ড ইট।" আমি অবাক হয়ে দাঁড়িয়ে থাকলাম। সাজ্জাদের বউ হয়ে এসেছি বলে শ্বশুর, শ্বাশুড়ি কারো হয়ে কথা বলা যাবে না?এ কেমন কথা। কিন্তু কিছু বলতে পারিনা। একে তো আমি নতুন বউ,তার উপর আমি সাজ্জাদকে একটু ভয়ই পাই বলতে গেলে।চুপ করে বসে থাকি আমি।
"সাজ্জাদ ফিরেছো?" আমার শ্বশুর আমাদের ঘরের দরজায় এসে দাঁড়ান। সাজ্জাদ উত্তর দেয়না।মোবাইলে ফেসবুকিং এ ব্যস্ত সে। তার ব্যবহার দেখে আমিই তাজ্জব বনে যাই। না পেরে আমি বলি,"জ্বি বাবা ও ফিরেছে, আপনি ভিতরে আসুন না।" সাজ্জাদ কটমট চোখ করে আমার দিকে তাকায়। আমি মাথা নিচু করে ফেলি। বাবা বলেন," না মামণি, এখন আসবো না। তোমরা একটু ড্রয়িংরুমে আসো। আমি আর তোমাদের আম্মা একটু কথা বলতাম তোমাদের সাথে।" আমি সাজ্জাদের দিকে তাকাই। বিরক্ত মুখ নিয়ে উঠে বসে সে। বিড়বিড় করে কি যেনো বলে আমি বুঝতে পারিনা।
বড় সোফাটায় বসে আছেন বাবা,তার পাশে আম্মা। তাদের উল্টোদিকের সোফায় সাজ্জাদ মাথা নিচু করে বসা,আমি তার পাশে দাঁড়ানো। সোহেলীকে অনেকবার ডেকেছি,সে দরজা খোলেনি। শুধু বলেছে,"প্লিজ ডিস্টার্ব করোনা ভাবী। আমাকে একা থাকতে দাও।" আমি ওকে না নিয়েই ফিরে আসি। আম্মার দিকে তাকিয়ে বুকটা ধক করে ওঠে আমার। কি সুন্দর মুখটা একদিনেই কি হয়ে গেছে। চোখের নিচে কালি পড়েছে, ফোলা চোখ দেখে মনে হচ্ছে অনেক কান্নাকাটি করেছেন। আজ সারাদিন তিনি ঘর থেকে বের হননি। আমি অনেকবার তার ঘরের সামনে যেয়ে ফিরে এসেছি সাড়া না পেয়ে। দুপুরে বাবা উনার খাবার ঘরে নিয়ে গিয়েছেন। একদিনেই কি অবস্থা হয়ে গেছে আম্মার। আমার কান্না পেয়ে যায় দেখে। সাজ্জাদ রূঢ় কণ্ঠে বলে,"কি বলতে ডেকেছেন বাবা?তাড়াতাড়ি বলেন।"বাবা অবাক হয়ে ছেলের দিকে তাকান। কোনোদিন তার ছেলে এভাবে তার সাথে কথা বলেনি। তিনি সামলে নিয়ে আস্তে করে বলেন,"তোমার বোন আসলো না যে, সবাইকেই দরকার ছিলো আমার এখন।" সাজ্জাদ বলে,"কেউ না আসতে চাইলে জোর করে ধরে আনবো নাকি আমি?রুমকি গিয়েছিলো তো ডাকতে। আসেনি আমি কি করবো?"আম্মা আহত দৃষ্টিতে তাকান ছেলের দিকে। বাবা কোনো ভণিতা না করেই বলেন,"শুনেছো তো সবকিছু?" সাজ্জাদ রাগে লাল হয়ে বলে,"জ্বি শুনেছি।"
"এখন তোমরা কি কিছু বলতে চাও এ ব্যাপারে?"
"কি আর বলবো আপনাদের বাবা?বলার মতো কিছু রেখেছেন আপনারা? সমাজের সামনে মুখ তুলে তাকাতে পারবো আর আমরা? আমাদের ইমেজটাই নষ্ট করে দিয়েছেন আপনারা।"
আমি বাবা আর আম্মার দিকে তাকাই। তারা যেনো নিজেদের কানকে বিশ্বাস করতে পারছে না। বিস্ফারিত চোখে তাকিয়ে আছে সাজ্জাদের দিকে। বাবা বললেন,"আমাদের জন্য তোমাদের ইমেজ নষ্ট হবে?"
সাজ্জাদ গলা চড়িয়ে বললো," তা নয়তো কি? আমি চাকরি করি, সেখানে আমার কলিগ বন্ধুবান্ধব আছে,সোহেলীর ইউনিভার্সিটির বন্ধুবান্ধবরা আছে। তারা শুনলে কি বলবে, যে তোদের আবার ভাইবোন হবে?ছি ছি,লজ্জায় আমার মাথা কা*টা যাচ্ছে।"
আম্মা আর নিতে পারেন না, ডুকরে কেঁদে ওঠেন। আমি আম্মাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরি। সাজ্জাদ বলেই চলছে..,"আমাদের মানসম্মানের কথা একবারও ভাবলেন না আপনারা। এখন আবার মিটিং করছেন এসব বলে।" বাবা মাথা নিচু করে বসে আছেন। আমার বড্ড কষ্ট হচ্ছে মানুষ দুটোর জন্য। কিন্তু আমি কি করবো তাই বুঝতে পারছি না। বাবা বললেন," এখন আমাদের কি করতে বলছো সাজ্জাদ?"
" কিছুই করতে বলছি না। শুধু এটুকুই বলছি আজ থেকে আপনাদের ভালোমন্দে আমি আর নেই। আপনারা আপনাদের মতো থাকবেন আমি আমার মতো। সোহেলী কি করবে তার ব্যাপার।"
বাবা তার পাঞ্জাবি চেপে ধরেন কষ্টে,তার চোখ ভিজে যাচ্ছে। আম্মার চোখে তো অশ্রুপ্লাবন। বাবা বললেন," তার মানে কি চাচ্ছো এ বাড়িতে হাঁড়ি আলাদা হোক?" বাবার কথা শুনে ভয়ে কেঁপে উঠি আমি। আম্মাও ভয়ে ভয়ে তাঁর দিকে তাকান।
সাজ্জাদ সোফা থেকে উঠে যেতে যেতে বলে, "ওসব মেয়েলী ব্যাপার। ওগুলো নিয়ে আমার কোনো চিন্তা নেই। বাড়িটা যেহেতু আপনার, আপনাদের তো আমি বের করে দিতে পারিনা। তবে আপনাদের সাথে এক ছাদের নিচে বাস করতে আমার ইচ্ছা করছে না আর।" এবার আম্মা শব্দ করে কেঁদে ওঠেন। সেদিকে তাকিয়ে নিজের চোখের পানি মুছে বাবা বলেন,"তুমি হয়তো ভুলে গেছো,গ্রামে আমাদের ছোট্ট একটা বাড়ি আছে। যদিও একটু কষ্ট হবে। তবুও তোমার মা কে নিয়ে সেখানে আমাদের দিব্বি দিন কেটে যাবে।" সাজ্জাদ বলে,"তার কোনো প্রয়োজন নেই। ওখানে গিয়ে আর হাসির পাত্র বানাবেন না আমাদের।" এই বলে হনহন করে ঘরে চলে যায় সাজ্জাদ। আমি কি বলবো ভাষা খুঁজে পাইনা। শুধু মা কে শক্ত করে জড়িয়ে বসে থাকি। কেউ কোনো কথা বলতে পারিনা,শুধু চোখের পানি ফেলি।
এরপর বেশ কিছুদিন চলে যায়। বাড়িটার আর প্রাণ নেই আগের মতো। সাজ্জাদ সোহেলী কেউ কথা বলে না বাবা আম্মার সাথে। তাঁরাও নিজেদের মধ্যে কেমন গুটিয়ে গেছেন। ঘর থেকে খুব বেশি প্রয়োজন ছাড়া বের হন না। মাঝে মাঝে বাবা ডাক্তারের কাছে নিয়ে যান আম্মাকে। সেদিন কোনো কারণে সাজ্জাদ বা সোহেলীর সামনে পড়ে গেলে তার রাগ,ঘৃণা নিয়ে তাকিয়ে তাকে বাবা আম্মার দিকে। কিন্তু আমি সাধ্যমতো চেষ্টা করি আম্মার সেবা করতে। তার পছন্দের খাবার রান্না করে তাকে খাওয়াই,তার চুলে তেল দিয়ে বেণী করে দিই। কিন্তু আম্মার মধ্যে আগের মতো আর প্রাণচঞ্চল ভাবটা আর নেই। কেমন মনমরা হয়ে থাকেন সবসময়। আমি আর বাবা অনেক চেষ্টা করি তাকে হাসিখুশি রাখার। কিন্তু খুব একটা সফল হইনা। সাজ্জাদ তো একদমই পছন্দ করে না আমি আম্মার জন্য এতো কিছু করি। তাই সে বাড়ি আসার পর আমি খুব বেশি যেতে পারিনা আম্মার কাছে। এভাবেই আমাদের দিন কাটতে লাগলো।
সাতমাস পর আম্মার শরীরটা অনেক খারাপ হতে লাগলো। পায়ে পানি এসে পা ফুলে গেছে। কিছুই মুখে তুলতে পারেন না,বমি করে দেন। সবসময় শরীর দূর্বল থাকে।হাঁটাচলা করতে পারেননা বেশি। বাবা অনেক দুশ্চিন্তায় থাকেন মা কে নিয়ে। নিজে বিশ্রাম না নিয়ে আম্মাকে সেবা করতে থাকেন। আম্মার পা টিপে দেন, মুখে তুলে খাইয়ে দেন,বমি করলে সব পরিষ্কার করেন। আমি অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকি সেদিকে। স্ত্রীকে কতোটা ভালোবাসলে এতো কিছু করা যায় তাই ভাবি আমি। কিন্তু এতোকিছুর পরেও সাজ্জাদ বা সোহেলীর কারো মন গলতে দেখা গেলো না। আমি নিজে অপরাধবোধে ভুগি সারাদিন সাজ্জাদের এই ব্যবহারে। এর মধ্যে আমার নিজের মা একদিন ফোন করেন আমাকে। বলেন," তুই কিছুদিন আমাদের বাড়ি থেকে ঘুরে যা।"
আমি বলি,"মা কি বলো তুমি এসব? আম্মার এই অবস্থায় আমি তাকে রেখে কিভাবে ও বাড়ি যাই?"
"তোর মাথা কি খারাপ হয়ে গেছে রুমকি? তোর বু*ড়ি শ্বাশুড়ির বাচ্চা হবে আর তুই তাকে সেবা করবি? এরপর কি শ্বাশুড়ির বাচ্চাটাও তুই মানুষ করে দিবি? তোর নিজের সংসার নেই?"
আমি অবাক হয়ে যাই মায়ের কথা শুনে। আমি বলি," আমার শ্বশুর শ্বাশুড়ি, স্বামী, ননদ সবাইকে নিয়েই আমার সংসার মা। তুমি তো আমাকে কখনো এসব শিক্ষা দাওনি, তবে আজ কেনো এসব বলছো? আর যদি প্রয়োজন পড়ে, আম্মাকে সাহায্য করার জন্য আমি তার সন্তানকে লালনপালন করবো। আশা করি বুঝতে পেরেছো।" মা কে আর কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে ফোন রেখে দিই আমি।
চারদিকে বাবা আম্মাকে নিয়ে অনেক হাসাহাসি, টিটকারি হয়,সব কানে আসে আমার। এইতো সেদিন পাশের বাড়ির রাহেলা খালাম্মা আমাকে ডেকে নিয়ে বলেন,"কি গো বউ, শুনলাম তোমার শ্বাশুড়ি নাকি পোয়াতি।" আমি রাগ চেপে রেখে বলি,"জ্বি,ঠিকই শুনেছেন।"
"তা এই বয়সে বাচ্চাকাচ্চা এ কেমন ধারা কথা?"
আমি তার দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে বলি," আল্লাহ সন্তান দেওয়ার মালিক। আপনি আমি তো কেউ না। তিনি চেয়েছেন, দিয়েছেন।"
উনি মুখ ঝামটা দিয়ে বলেন,"বউকে তো ভালোই ব্রেনওয়াশ করেছে তোমার শ্বাশুড়ি। "
"আমার আম্মার হয়ে দুইটা কথা বলাকে যদি আপনার ব্রেনওয়াশ মনে হয়, তবে তাই ঠিক আছে খালাম্মা। এখন আসি আমি?" এই বলে হনহন করে চলে আসি আমি। পিছনে হাসাহাসির রোল পড়ে যায়। রাহেলা খালাম্মা আরেকজনকে ডেকে বলেন,"এসব দিনও দেখার ছিলো।"উত্তরে আরো কিছু বলে কেউ, আমি শুনতে পারিনা সেসব,আমার কান গরম হয়ে আসে রাগে। এভাবেই চলছিলো আমাদের দিন। হঠাৎ একদিন...

চলবে....

গল্পঃ #শেষ_শ্রাবন_
পর্ব০১
লেখিকা:মিথিলা নীভা

পর্বটা ভালো লাগলে শেয়ার করুন।

লেখাটা পড়লেই বুঝতে পারবেন, সো পড়ার অনুরোধ রইলো! ...-----ছবিটি লিজি ভালসাকেজের। জন্মেছিলেন টেক্সাসের অস্টিনে ১৯৮৯তে।দেখতে...
09/06/2024

লেখাটা পড়লেই বুঝতে পারবেন, সো পড়ার অনুরোধ রইলো! ...-----
ছবিটি লিজি ভালসাকেজের। জন্মেছিলেন টেক্সাসের অস্টিনে ১৯৮৯তে।দেখতে রীতিমত ভয়ংকর,কুৎসিত,একটি চোখ অন্ধ। রঙ্গিন সভ্যতা স্বীকৃতি দিয়েছিল তিনি বিশ্বের সবাচাইতে কুৎসিৎ মেয়ে!

সবাই বলতো- আত্মহত্যা করতে,সবার থেকে লুকিয়ে থাকতে,মুখ ঢেকে রাখতে। কিন্তু সেইসব কিছু কানে না নিয়ে তখনই নিজের জীবনের চারটি লক্ষ্য স্থির করে ফেলেছিলেন লিজি।

প্রথমত-একজন সুবক্তা হওয়া। দ্বিতীয়ত-নিজের লেখা বই প্রকাশ করা। তৃতীয়ত-স্নাতক অর্জন করা। চতুর্থত-নিজের কেরিয়ার ও পরিবার তৈরি করা।

সেই থেকেই গত সাত বছরে ২০০-র বেশি ওয়ার্কশপে বক্তৃতা দিয়েছেন তিনি। কীভাবে অভিনবত্বকে স্বীকৃতি দিতে হয়; বাধা, বিঘ্ন পেরিয়ে কীভাবে জীবনকে গ্রহণ করতে হয়; প্রতিকুল পৃথিবীতে ঘুরে দাঁড়াতে হয়; ভালোবাসতে হয়, এই সাত বছর ধরে সেই বিষয়ের ওপরই বক্তৃতা দিয়ে চলেছেন লিজি।

২০১০এ লিজি লিখে ফেলেন তার আত্মজীবনীমুলক বই '"Lizzie Beautiful'; ২০১২ সালে দ্বিতীয় বই 'Be Beautiful, Be You'-যা ব্যাপক সাড়া পায় বিশ্বে।

বইটির শুরুতে লিজি বলেন- 'এপিয়ারেন্স নয়; মানুষকে মূল্যায়ন করতে হবে অর্জিত গুন দিয়ে'। এই বছরই প্রকাশিত হতে চলেছে তার তৃতীয় বই।

TWITTER এ লিজির এক বন্ধু বলেছে- 'This young woman is a very good example of what it means to be truly beautiful' আরেক বন্ধু বলেছে- 'লিজি কুৎসিত নয়। কুৎসিত হল লিজিকে দেখার আমাদের চোখ'

লিজির মা বলেছেন- "I love Lizzie, I would be proud to be her mom"

অথচ সুস্থ, স্বাভাবিক মানুষ হয়েও আমরা অল্পেতে হতাশ হয়ে পড়ি। নিজের রুপ-চেহারা আমাদের ভোগায়। Fair & lovely, LUX'র বিজ্ঞাপন দেখে হীনমন্যতায় ভুগি! রঙ্গিন কর্পোরেট বিশ্বে নিজকে অসহায় ভাবি। ভাবি-চেহারায় সব!!

ভবিষ্যৎ কখনো রুপ দিয়ে সাজানো যায় না। যার যার কর্মই পারে ভবিষ্যৎ কে সাজাতে।

সামাজিক অবক্ষয় ব্যাপারটা বেশ মজার। ভোগ করতে ভালো লাগে, ভিকটিম হলে ভালো লাগে না। দুপুর ৩টার দিক, একটা রেস্টুরেন্টে এক ভাই...
08/06/2024

সামাজিক অবক্ষয় ব্যাপারটা বেশ মজার। ভোগ করতে ভালো লাগে, ভিকটিম হলে ভালো লাগে না। দুপুর ৩টার দিক, একটা রেস্টুরেন্টে এক ভাই এবং ভাবিকে দেখছিলাম। স্কুল ড্রেস পরে রেস্টুরেন্টে ভাবি এসছেন বলফ্রেন্ড নিয়ে।

বলফ্রেন্ড তার কোমরে, পেটে এবং শরীরের অন্যান্য জায়গায় হাত রেখে মনের ভাব আদান প্রদান করছিলেন। এখন প্রশ্ন হলো, এই মেয়েটা কি আপনার? বা এই মেয়ে কি আপনার বোন বা পরিচিত কেউ?

এই মেয়ে নিশ্চয়ই কোচিং/ক্লাশের করার কথা বলে এখানে এসছে। এখন এই পর্যন্ত ঠিক আছে। দাদাভাই যদি তাকে কোন হোটেলে নিয়ে উঠতেন ঘণ্টা দুইয়ের জন্যে, (সেটাও তো অসম্ভব না), তাহলে কি হতো বুঝতে পারছেন?

কনগ্রাচুলেশন্স, আপনি নানা হতে চলেছেন।
এখন আপনি মেয়ের বিয়ে কবে দিলেন, সেটা খুঁজে পাবেন না।

এজন্যই বলি, স্কুল কলেজে এমনকি ভার্সিটিতে উঠার পরেও বাচ্চা কই যায়, কার সাথে চলে, একটু খেয়াল রাখবেন। সম্পূর্ণ বুঝ না আসা পর্যন্ত যে কোন ভুল করে বসাটাই স্বাভাবিক। এতে সাফারার হবে পুরো পরিবার।

স্বাধীনতা অবশ্যই থাকা দরকার, কিন্তু স্বেচ্ছাচারিতা নয়।
স্বাধীনতা আর স্বেচ্ছাচারিতার মাঝে বিস্তর ফারাক।
- Abu Talha

"একজন স্ত্রীর চাহিদা তখনই বেড়ে যায় যখন স্বামীর সাথে তার দুরত্ব বেড়ে যায়।তখন সে গহনা, শাড়ি, দামী জিনিস এসবের প্রতি ভালোলা...
08/06/2024

"একজন স্ত্রীর চাহিদা তখনই বেড়ে যায় যখন স্বামীর সাথে তার দুরত্ব বেড়ে যায়।
তখন সে গহনা, শাড়ি, দামী জিনিস এসবের প্রতি ভালোলাগা খুঁজে পায়।

-"স্ত্রী হলো মাটির মত আর ভালোবাসা হলো জল,
আপনি দুটোকে একসাথে মিশিয়ে ইচ্ছে মত আকৃতি দিতে পারবেন।

-"আপনার স্ত্রী কখনোই আপনার কাছে লক্ষ্য টাকা দামের জিনিস চাইবেনা, যদি আপনি মাঝে মধ্যে স্ত্রীকে নিয়ে রাস্তার পাশে ৩০ টাকা দামের ফুচকা খান।

-"আপনার স্ত্রী কখনোই আপনাকে বলবেনা, আমাকে দামী গাড়ী কিনে দাও, যদি আপনি মাঝে মধ্যে স্ত্রীকে নিয়ে হুট খোলা রিকশায় এই শহরটা একটু ঘুরে বেড়ান।

-"পুরো সংসারের কাজ করার পরেও আপনার স্ত্রী বলবেনা আমার কষ্ট হচ্ছে,
যদি আপনি আপনার স্ত্রীর কে ভালোবেসে কপালে একটা চুমু খান, তাঁর কাজে একটু হাত বাড়ান এবং বলেন সারাদিন অনেক করেছো।

-"ভালোবাসা তো শুধু দামী জিনিসের মধ্যেই লুকিয়ে থাকেনা,

-"মাঝে মধ্যে ভালবাসা ১৫ টাকা দামের গোলাপ আর রাস্তার পাশে বিক্রি হওয়া ৩০ টাকা দামের কাচের চুড়ির মধ্যেও লুকিয়ে থাকে,

-" কেয়ার থাকলে সংসার যুদ্ধ ক্ষেত্র না হয়ে, হবে স্বর্গ.....

তাই নিজের স্ত্রীকে উত্তম ভালবাসাটা দিন. !🖤

Address

No. 15, Bankim Chatterjee St, College Square
Kolkata
700073

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when ল্যাম্প পোস্ট - lamp post posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Shortcuts

  • Address
  • Alerts
  • Claim ownership or report listing
  • Want your business to be the top-listed Media Company?

Share