Explore with Watlyf

Explore with Watlyf At 60, if you feel unfulfilled, you are missing out. Discover joy through Travel, Food, and Experiences. WatLyf ♥️

Follow my channel for inspiring stories that make life beautiful and let you smile from ear to ear 💖 That is when you say What a Life!

 #জঙ্গলাকীর্ণ_কালিকাপুর_রাজবাড়ীশত শত সিনেমার শুটিং স্পট বোধহয় এই রাজবাড়ী... 🎥🎞🎬কে না আসেননি এখানে? অমিতাভ বচ্চন, নাসিরুদ...
22/01/2025

#জঙ্গলাকীর্ণ_কালিকাপুর_রাজবাড়ী

শত শত সিনেমার শুটিং স্পট বোধহয় এই রাজবাড়ী... 🎥🎞🎬

কে না আসেননি এখানে?
অমিতাভ বচ্চন, নাসিরুদ্দিন শাহ থেকে বাংলার তাবড়-তাবড় অভিনেতা অভিনেত্রীদের সিনেমার দৃশ্যে দেখা গেছে এই রাজবাড়ীতে। বহু গণ্যমান্য চিত্রপরিচালকের প্রথম পছন্দ এই রাজবাড়ী। শুটিং হওয়া সিনেমার নামের তালিকা শুরু করলে আর শেষ হবে না।

আমাদের পূর্ব বর্ধমান জেলার গৌরব কালিকাপুর রাজবাড়ী। যারা ছবি তোলার ব্যাপারে আগ্রহী বা ছবি তুলতে ভালোবাসেন, তাদের কাছে এক উল্লেখযোগ্য গন্তব্য এই রাজবাড়ী। হয়তো কখনো এখানে এসে জানতে পারলেন আজই শুটিং চলছে...
বেশ একটা আভিজাত্য, প্রাচীনত্ব আছে এই রাজবাড়ীতে। যদিও একে রাজবাড়ী বলা ভুল আসলে এটি একটি জমিদার বাড়ি। বর্ধমান রাজার দেওয়ান ছিলেন পরমানন্দ রায়। তিনি ৪০০ বছর আগে দেওয়ান ছিলেন রাজবাড়ির। রাজার সুনজরে পড়ায় তিনি কাঁকসার এক বড় অঞ্চলের জমিদারিত্ব পান। তখন তিনি সেখানে সমস্ত জঙ্গল, ইত্যাদি কেটে বাড়ি বানিয়ে সেখানে থাকতে শুরু করেন। তিনিই সেখানে তৈরি করেন দুর্গামন্দির থেকে পুকুর, বাগান, সমস্ত কিছুই। পরবর্তীকালে এই বাড়ি কালিকাপুর রাজবাড়ি নামে খ্যাতি অর্জন করে।
কিভাবে আসবেন বলি....
হাওড়া থেকে ট্রেনে আসুন পানাগড়। পানাগড় বাসস্ট্যান্ডে এসে বাস ধরুন ১১ মাইল যাবার। ১১ মাইল বাসস্ট্যান্ডে নেমে টোটো রিসার্স করে কালিকাপুর রাজবাড়ী। সবচেয়ে ভালো হয় বোলপুরে ভ্রমণে এলে সেখান থেকে একটা গাড়ি ভাড়া করে এখানে আসা। সেক্ষেত্রে যারা দূর থেকে আসবেন তাদের সুবিধা হবে। বোলপুর থেকেও আপনি ১১ মাইল যাবার বাস পেয়ে যাবেন। আর থাকার ব্যবস্থা তো বোলপুরে প্রচুর আছে। কালিকাপুর রাজবাড়ী একটা বেলা দিলেই যথেষ্ট। এখানে এসে ১০ টাকা মাথা পিছু টিকিট কেটে প্রবেশ। জমিদার বাড়ি দেখে একটু আশপাশে গ্রামটাও দেখে নিন, বেশ লাগবে।
আচ্ছা এবার ছবিতে পরিচিতি করাই... 😊😊

Written by: Rudra Narayan
সংগৃহীত।

 #গঙ্গাসাগর_টুর_প্ল্যানগঙ্গাসাগর নতুন সাজে সেজে উঠেছে 🌊সব তীর্থ বারবার গঙ্গাসাগর একবার ✅❎কথাটা প্রচলিত থাকলেও বর্তমানে এ...
21/01/2025

#গঙ্গাসাগর_টুর_প্ল্যান

গঙ্গাসাগর নতুন সাজে সেজে উঠেছে 🌊
সব তীর্থ বারবার গঙ্গাসাগর একবার ✅❎কথাটা প্রচলিত থাকলেও বর্তমানে এই গঙ্গাসাগর সারা বছরের পর্যটন কেন্দ্র ||

1. #কিভাবে_আসবেন ❓
🚆 ট্রেনে করে আসলে শিয়ালদহ (সাউথ সেকশন)থেকে নামখানা লোকাল করে চলে আসুন কাকদ্বীপ স্টেশন ||
সেখান থেকে অটো / টোটো করে চলে আসুন লট নম্বর ৮ ফেরিঘাট এরপর লঞ্চে করে আসুন কচুবেরিয়া ফেরিঘাট || এখান থেকে বাস / ম্যাজিক গাড়ি / অটো ইত্যাদি পেয়ে যাবেন গঙ্গাসাগর আসার জন্য ||

🚌 এছাড়া বাসে করে ধর্মতলা থেকে ডাইরেক্ট চলে আসুন কাকদ্বীপ ,, সেখান থেকে একইভাবে গঙ্গাসাগর ||

2. #মন্দিরের_সময়সূচী ❗
সকাল 5.40 থেকে সন্ধ্যা 7:00 পর্যন্ত খোলা থাকে || তবে
সকাল 10:00 থেকে 10:30 বন্ধ হয়
বিকেলে 3:00 থেকে 4:00 টে বন্ধ হয় ||
🔴 সকাল 5:40 হয় ভোর আরতি
সন্ধ্যা - 7.00 সন্ধ্যা আরতি হয় ||

🌺 পুজোর ডালা কেনার জন্য এখানে বিভিন্ন কাউন্টার রয়েছে ওখান থেকে পুজোর ডালা কিনে আপনারা নিজে মন্দিরের সামনে গিয়ে পুজো দিতে পারবেন ||

🔴 এখানে কোন কাছাকাছি কোনো ATM নেই তাই টাকা নিয়ে যাবেন 🔴

প্রতিবছর মকর সংক্রান্তির দিন কয়েক লক্ষ যাত্রী এই গঙ্গা ও বঙ্গোপসাগরের সঙ্গমে পবিত্র ডুব দেন আর তখনই হয় বিশ্ব বিখ্যাত গঙ্গাসাগর মেলা ||
🔱🙏🏻😊
কলমে -wander destination

#গঙ্গা

 #টাকি_ট্যুর_প্ল্যান /   কলকাতা থেকে কাছে পিঠে এক বা দুদিনের ঘোরার জন্য টাকি কিন্তু বর্তমানে সবচেয়ে আদর্শ। বাংলাদেশ বর্ড...
19/01/2025

#টাকি_ট্যুর_প্ল্যান /

কলকাতা থেকে কাছে পিঠে এক বা দুদিনের ঘোরার জন্য টাকি কিন্তু বর্তমানে সবচেয়ে আদর্শ। বাংলাদেশ বর্ডারের একদম কাছে ইছামতী নদীর তীরে অবস্থিত টাকি কিন্তু এখন কলকাতা থেকে ট্যুরের আসার জন্য একটি বেস্ট উইকেন্ড ডেস্টিনেশনে পরিণত হয়েছে। শুধু কলকাতা কেনো বলবো আপনি রাজ্যের যেকোনো প্রান্ত থেকে এখানে এসে দুদিন অনায়াসে এখানে থেকে অনাবিল আনন্দ উপভোগ করে যেতে পারেন, আর উপরি পাওনা এই ইছামতী নদীর অপরূপ সৌন্দর্য এবং নৌকা ভ্রমন। বর্তমানে কিন্তু টাকিতে বেশ কয়েকটি নতুন নতুন ট্যুরিস্ট স্পট ওপেন হয়েছে, বেশ কিছু সিনেমারও শুটিং হয়েছে, তাই এখানে ট্যুরিস্ট স্পটগুলো বিভিন্নতায় ভরা, আর এখানে আসলে আপনাদের থাকার একদমই অভাব হবেনা, প্রচুর মাঝারি ও ভালো মাপের হোটেল এবং কিছু সরকারি গেস্ট হাউস ও এখানে খুলেছে। তাই বেশ কিছু বছর ধরে খুবই জনপ্রিয় হয়েছে এই টাকি।
©️ ভ্রমন পিপাসু

উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বসিরহাট মহকুমার হাসনাবাদ থানার অন্তর্গত টাকি একটি খুবই সাজানো গোছানো, ছোট্টো একটি শহর, যে শহরের গা ঘেঁষে প্রভাবিত হয়েছে ইছামতী নদী, এই ইছামতী নদীর ওপারেই আছে বাংলাদেশ। তাই এই ইছামতী নদীতে নৌকা ভ্রমণ এবং তার সাথে দুর্গাপূজার দশমীতে ভারত বাংলাদেশ দুই দেশের প্রতিমা বিসর্জন খুবই জনপ্রিয় রাজ্য জুড়ে, এর সাথে সাথে যুক্ত হয়েছে কিছু নতুন ট্যুরিস্ট স্পট, যার জন্য টাকি পৌরসভার অবদান অসাধারণ। এ ছাড়াও টাকির নিজস্ব কিছু প্রাকৃতিক সৌন্দর্য তো আছেই, এই ব্লগে আপনি টাকি ভ্রমণের প্রায় ১৫ টি স্থান আপনাদের সামনে তুলে ধরবো, তার সাথে সাথে টাকি কেমন করে আসবেন, কোথায় থাকবেন, কেমন করে ঘুরবেন, সমস্ত কিছুই তুলে ধরবো.....

#টাকি_কেমন_করে_পৌঁছোবেন :- টাকি পৌঁছানো খুবই সহজ। আপনারা যদি কলকাতা থেকে আসতে চান তাহলে ট্রেন বা সড়কপথে খুবই সহজে এখানে চলে আসতে পারেন। আর যারা কলকাতার বাইরে থেকে আসবেন তাদের কলকাতা বা বারাসতে সর্ব প্রথম পৌঁছতে হবে। আপনারা যদি বাইরোড বাসে টাকি আসতে চান তাহলে কলকাতা বা বারাসত থেকে হাসনাবাদের বাস পেয়ে যাবেন, হাসনাবাদের প্রায় ৫ কি.মি আগেই এই টাকি। হাসনাবাদের বাস না পেলে বসিরহাট নেমে, বসিরহাট থেকে গাড়ি পেয়ে যাবেন টাকি আসার জন্য। আর নিজস্ব গাড়ি নিয়ে গেলে টাকি আসার জন্য দু তিনটি রাস্তা আছে, এক বারাসাত বেড়াঁচাপা হয়ে টাকি রোড ধরে, দুই রাজারহাট মেন রোড ধরে হাড়োয়া হয়ে। তিন মালঞ্চা রোড ধরে ভাঙ্গর, মালঞ্চা হয়েও এই টাকি পৌঁছানো যায়।

সবচেয়ে কম সময়ে এখানে আসার সহজ উপায় হলো ট্রেন। লোকাল ট্রেন করে শিয়ালদহ বা বারাসত থেকে হাসনাবাদ লোকাল করে ২.১৫ ঘন্টাতেই পৌঁছে যেতে পারবেন ভাড়া মাত্র ২০ টাকা।

#টাকি_কেমন_করে_ঘুরবেন_কত_দিন_সময়_লাগবে_টাকি_ঘুরতে : - আপনারা টাকি দু ভাবেই ঘুরতে পারেন, এক একদিনেই সারাদিন ঘুরে আবার বিকেলের ট্রেনে ফিরে যেতে পারেন, এটাও ও কিন্তু খুবই জনপ্রিয় আর আপনি টাকিতে এক বা দু দিন থেকে পুরো টাকিটা এক্সপ্লোর করতে পারেন, ধরে নিলাম আপনারা ট্রেনেই পৌঁছোবেন টাকিতে। আপনারা একদিনের জন্য ডে ট্যুর করতে চান তাহলে টাকি রোড স্টেশনে নেমেই স্টেশনের সামনেই প্রচুর টোটো পেয়ে যাবেন। টাকিতে ঘোরার জন্য বেস্ট অপশন এই টোটো তাছাড়াও কিছু কিছু জায়গায় ভ্যান রিক্সাও চলাচল করে। যেকোনো টোটোওয়ালার সাথে দরদাম করে একটি টোটো রিজার্ভ করে নেন সারাদিনের জন্য। ভাড়া নিতে পারে ৫০০-৭০০ টাকার মধ্যে। এই টোটোওয়ালাই আপনাকে সারাদিন টাকির সমস্ত স্পটগুলি ঘুরিয়ে দেবে যদি ও স্পট গুলোর নাম আমি আপনাদের সুবিধার্থে দিয়ে দেবো। তাছাড়াও আপনারা স্টেশন থেকে টাকি রাজবাড়ি ঘাট গিয়ে ওখান থেকেও বিভিন্ন দিকে যাওয়ার টোটো প্রচুর পেয়ে যাবেন ।আর আপনাদের যদি থাকার প্ল্যান থাকে তাহলে রাজবাড়ি ঘাটে নেমে হোটেলে ঢুকে ফ্রেশ হয়ে তারপর বেড়াতে পারেন। রাজবাড়ি ঘাট হল মেন জায়গা টাকি শহরের।

#টাকি_ভ্রমণের_উপযুক্ত_সময় :- টাকি আপনি সারাবছর আসলেও এই গরমের টাইম টা Avoid করেই আসাই ভালো। টাকি ভ্রমনের উপযুক্ত সময় হচ্ছে অক্টোবর থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত। শীতকাল ট্যুরিস্টদের পক্ষে আদর্শ হলেও সবচেয়ে বেস্ট টাইম দুর্গাপূজার দশমির দিন। এই টাকিতে দুই বাংলার দুর্গা প্রতিমা ইছামতি নদীতে নৌকা করে নিয়ে বিসর্জন দেখতে সত্যি আলাদাই লাগে। যা দেখতে দূর দুরান্ত থেকে মানুষ এখানে ছুটে আসে। দুই দেশের ঠাকুর এক জায়গায় বিসর্জন এটা দেশে আর কোথাও পাবেন না। তাই এই সময়ে আসলে আপনাদের টাকি ভ্রমণ পুরোপুরি সফল বলা যেতে পারে।

#টাকি_ভ্রমণের_কিছু_দর্শনীয়_স্থান :- এমনিতেই টাকি শহরে প্রচুর জায়গায় টাকি ভ্রমণের দর্শনীয় স্থানগুলি নিয়ে বোর্ড দেওয়া থাকবে, তাছাড়া ও আপনাদের টোটোওয়ালাই আপনাদের সমস্ত জায়গা গুলো খুব সুন্দরভাবে ঘুরিয়ে দেবে এবং গাইড করে দেবে, তবুও আপনাদের সুবিধার্থে আমি আপনাদের টাকির প্রায় ১৪ টি মত জায়গার নাম এবং কেমন করে ঘুরবেন সেটা তুলে ধরবো। কোনো জায়গায় যাওয়ার আগে সেই জায়গা সম্পর্কে সঠিক ভাবে জানা থাকলে খুবই সুবিধা হয় প্ল্যান করতে এবং তাতে কোনো জায়গাই ছাড়া পড়ে যায়না,

১. টাকি রাজবাড়ি ঘাট।
২. ইছামতী নদীতে নৌকা বিহার।
৩. টাকি রাজবাড়ি ( পূবের বাড়ি)
৪. টাকি তিন নদীর মোহনা।
৫. রাজবাড়ি দুর্গাদালান ।
৬. টাকি পিকনিক স্পট।
৭. মিনি সুন্দরবন ( গোলপাতার ফরেস্ট)
৮. রায়চৌধুরী জমিদার বাড়ি।
৯. গয়নার বাক্স সিনেমার শুটিং স্পট।
১০. বিসর্জন সিনেমার শুটিং স্পট।
১১. জোড়া শিব মন্দির।
১২. প্রাচীন ব্রিটিশ আমলের জলের ট্যাঙ্ক।
১৩. কুলেশ্বরী কালিবাড়ি।
১৪. ইছামতি রিভারসাইড।
১৫. ইকোপার্ক।

১. #টাকি_রাজবাড়ি_ঘাট :- টাকি ভ্রমনের সেন্টার প্লেস বলতে পারেন এই টাকি রাজবাড়ি ঘাটকে। কারণ এই রাজবাড়ি ঘাটেই আপনি থাকার মতো ছোটো বড় অনেক হোটেল পেয়ে যাবেন, আবার এখান থেকেই টাকির যেকোনো দিকেই সাইটসিং যাওয়ার জন্য টোটো পেয়ে যাবেন। এই ঘাটে বসেই দু দেশের মাঝে অবস্থিত ইছামতি নদী মনোরম দৃশ্য এবং সূর্যোদয় সূর্যাস্ত উপভোগ করতে পারবেন। তাছাড়া টাকি ভ্রমনের সবচেয়ে আকর্ষনীয় বিষয় যেটি, ইছামতি নদীতে নৌকা ভ্রমন সেটাও এই রাজবাড়ি ঘাট থেকেই আপনাকে শুরু করতে হবে। তাই যাই হোক আপনাকে এই ঘাটে আসতেই হবে, বর্তমানে পুরসভা থেকে এই ঘাটের সৌন্দর্যায়ন করা ছাড়াও পর্যটকদের বসার জায়গা থেকে শুরু করে গাড়ি পার্কিং এর সমস্ত ব্যবস্থা করা হয়েছে।

২. #ইছামতি_নদীতে_বোটিং :- আমি আগের পয়েন্টেই বলেছি যে টাকি ভ্রমণের সবচেয়ে আকর্ষণীয় বিষয় যেটা, যার টানে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পর্যটকেরা এখানে ছুটে আসে সেটা হলো এই ইছামতি নদীতে বোটিং। ইছামতি নদী এমন একটি দারুণ পজিশনে আছে যে, যার এক প্রান্তে বাংলাদেশ এবং এক প্রান্তে ভারত। বোট বা নৌকা গুলোতে ও দেখতে পাবেন ওই দেশের পতাকা লাগানো, তাই এই বোটিং করার সময়ে দারুণ একটা ফিলিং আসবে।

তবে দুর্গাপূজার সময়ে অর্থাৎ দশমীর দিন এই মজা আরো দ্বিগুণ হয়ে ওঠে, দুদেশের প্রতিমা নৌকা করে মাঝ নদীতে নিয়ে গিয়ে বিসর্জন দেওয়া হয়। তবে এই সময়ে কিন্তু সবকিছুর রেটই একটু বেড়ে যায়। আপনি যদি এক বা দুজনে এখানে আসেন তাহলে কিন্তু বোটিং এর খরচা একটু বেশি ই পরে যাবে। ৩ থেকে ৪ জন বা তার বেশি হলে তো আরোই ভালো, সিঙ্গেল বা দুজন থাকলে আপনাকে অন্য কোনো ট্যুরিস্ট খুঁজতে হবে নয়তো বেশি টাকায় বোট ভাড়া করতে হবে। বিভিন্ন রকম বোট আছে ছোটো বোট ৬০০ - ৮০০ টাকা এবং এর চেয়ে আরো বেশি ভাড়া যুক্ত বোটও এখানে পেয়ে যাবেন।

৩. #টাকি_রাজবাড়ি :- টাকি রাজবাড়ি টাকির জনপ্রিয় পর্যটনস্থল গুলো মধ্যে একটি। আপনি যদি প্যাকেজ বুকিং না করে থাকেন তাহলে টাকি রোড স্টেশন থেকে রাজবাড়ি ঘাট যাওয়ার পথেই এই রাজবাড়ি পড়বে, আপনি যাওয়ার পথেই দেখে নিতে পারেন অথবা রাজবাড়ি ঘাট থেকে হেঁটে ও এখানে চলে আসতে পারেন মাত্র 900 মিটার। টাকি রাজবাড়ি ঘাট থেকে তিন দিকে আপনি টোটো করে সাইটসিং করতে পারবেন, যেদিকেই যান টোটো রিজার্ভ ভাড়া ৩০০ টাকা।

টাকি রাজবাড়ির একটি নাম পূবের বাড়ি। উত্তর, দক্ষিন, পূর্ব এবং পশ্চিম এই চারটি বাড়ির মধ্যে এখন কেবল মাত্র এই পূবের বাড়িটিই টিকে আছে। এখানে ১০ টাকা প্রবেশ মুল্য দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করতে পারবেন। বাড়ি টি খুব বড় নয়, বেশিক্ষণ সময় আপনাদের লাগবে না, পেছনে একটি দুর্গা দালান আছ, যেখানে এখনো পুজোর সময়ে দুর্গাপূজা হয়ে থাকে ।

৪. #মিনি_সুন্দরবন :- আমি বলবো টাকি তে যদি কোনো একটা জায়গা আপনাদের সবচেয়ে বেশি ভালো লাগবে সেটা হলো এই মিনি সুন্দরবন যার প্রকৃত নাম গোলপাতার ফরেস্ট। নারকেল গাছের মত আকারে অনেকটা ছোট এই ম্যানগ্রোভ গাছের পাতা গুলো কিন্তু গোল নয়, এই গাছের ফলটি গোলাকৃতির হয় বলে এই নাম। এই জায়গাটিতে প্রচুর পরিমাণে এই গোলপাতার গাছ একসাথে দেখতে পাবেন একদমই ইছামতি নদীর ধারে এবং বাংলাদেশ বর্ডারের খুবই কাছে। বর্তমানে জায়গাটিকে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছে।

আপনি টাকি রাজবাড়ি ঘাট থেকেই এই গোলপাতার জঙ্গলে আসার জন্য টোটো পেয়ে যাবেন ভাড়া ৩০০ টাকা, রাস্তায় আরো কিছু স্পট আপনারা দেখে নিতে পারবেন। এই জায়গার আসার অনেক নিয়ম আছে এবং নির্দিষ্ট টাইম আছে, যেহেতু এটি একটি বর্ডার এলাকা। বিএসএফ চেক পোস্টে আধার কার্ড জমা রেখেই তবেই আপনি ভেতরে প্রবেশ করতে পারবেন। রাজবাড়ি ঘাট থেকে নন্দদুলাল মন্দির পর্যন্ত আপনাদের টোটো যাবে তারপর বাকি পথ আপনাকে ভ্যানে বা হেঁটে যেতে হবে। ভেতরে প্রবেশ মুল্য ১০ টাকা, কিছু watch টাওয়ার আছে, বাংলাদেশ ভিউ পয়েন্ট আছে, এছাড়াও গোলপাতা ছাড়াও আরো কিছু ম্যানগ্রোভ গাছ এখানে দেখতে পাবেন।

৫. #টাকি_তিন_নদীর_মোহনা :- টাকি শহরের খুব কাছেই আছে এই মোহনা পয়েন্ট। টাকি শহর থেকে মাত্র দু কি.মি দূরে এই জায়গা। এখানে আসার জন্য আপনাকে টোটোওয়ালার সাথে আলাদা ভাবে কথা বলতে হবে।

তিনটি নদী ইছামতি, বিদ্যাধরী এবং কালিন্দী নদীর মিলনস্থল। এখান থেকে বাংলাদেশ বর্ডার খুব কাছ থেকে দেখা যায়। বিদ্যাধরী নদীর ওপাশেই আছে হাসনাবাদ। খুবই অপূর্ব, শান্ত একটি জায়গা আপনাদের বেশ ভালোই লাগবে।

৬. #টাকি_রাজবাড়ি_দুর্গাদালান :- টাকি রাজবাড়ি ঘাটের একদমই কাছে এই টাকি রাজবাড়ির দুর্গাদালান। এই দুর্গামন্ডপের অল্প কিছুই এখন অবশিষ্ট আছে। আপনি রাজবাড়ি ঘাটে নেমেই পায়ে হেঁটেই এই জায়গাটি দেখে নিতে পারবেন।

৭. #রায়চৌধুরী_বাড়ি :- গোলপাতার ফরেস্ট যাওয়ার পথেই আপনি পেয়ে যাবেন রায়চৌধুরী পরিবারের জমিদারবাড়ি। এটি প্রাক্তন সেনাকর্তা জেনারেল শঙ্কর রায়চৌধুরীর পৌত্রিক বাড়ি। উনার নাম হয়তো সকলেই শুনেছেন। উনি এমনিতে কলকাতায় থাকেন কিন্তু পূজার সময়ে এবং বছরের কয়েকবার তিনি এই বাড়িতে এসে থাকেন। এখানে একটি দুর্গা মন্দিরও আছে যেখানে প্রতিবছর পুজো হয়। এই জায়গাটিকে বর্তমানে একটি ট্যুরিস্ট স্পট হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছে।

#গয়নার_বাক্স_সিনেমার_শুটিং_স্পট :- জেনারেল শঙ্কর রায় চৌধুরীর বাড়ির ঠিক পাশেই অবস্থিত একটি পুরোনো বাড়ি, বাড়িটির কাদের বা এর ইতিহাস নিয়ে আমার বিশেষ কিছু জানা নেই, কিন্তু এই বাড়িতেই গয়নার বাক্স সিনেমা শুটিং হয়েছিলো। যদিও বাড়িটির প্রধানগেট প্রায় বন্ধই থাকে এখন আপনাকে বাইরে থেকে বাড়িটিকে দেখতে হবে।

#বিসর্জন_সিনেমার_শুটিং_স্পট :- এই গয়নার বাক্স সিনেমার শুটিং স্পটটি দেখে ইছামতী নদী বরাবর আরো একটু এগলেই আরো একটি স্পট পাবেন যেখানে বিখ্যাত ডিরেক্টর কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় তার সিনেমা বিসর্জনের শুটিং করেছিলেন। ২০১৭ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত এই সিনেমার মূল বিষয় ছিলো ইছামতী নদী।

এখানে পুরো সিনেমা নয় কিছু দৃশ্যেরই শুটিং হয়েছিলো। ছোট্ট একটি টালিরঘর এখনো যদিও ঘুর্নি ঝড়ের কারণে ভেঙে যাওয়ার নতুন ভাবে নির্মিত হয়েছে তাই সিনেমার সেই ঘরটির সাথে একদমই মিল পাবেন না এখন।

#জোড়া_শিব_মন্দির :- প্রাচীন এই শহর টাকি যার কোনায় কোনায় ছড়িয়ে আছে বহু পুরনো ইতিহাস। সেরকমই একটি পুরনো ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে টাকির জোড়া শিবমন্দির। প্রায় ৩০০ বছরের পুরনো এই শিব মন্দির দুটোর হয়তো যোগ আছে টাকি রাজবাড়ির। পৃথ্বীরাজ নামক এক শাসক এই মন্দির দুটি নির্মাণ করেন। মন্দিরদুটির সামনে আছে একটি বিরাট পুস্করিনী, যার ঘাট ও সেই আমলে নির্মাণ করা হয়েছিল। দূর থেকে এই মন্দির দুটি দেখতে কিন্তু বেশ ভালোই লাগে।

আমি আগেই বলেছিলাম আপনি টাকি রাজবাড়ি ঘাট থেকে তিন দিকে সাইটসিং যেতে পারের এই জোড়া শিব মন্দিরটি কিন্তু একটি ভিন্ন দিকে। এই রুটে আরো ২, ৩ টি স্পট আছে।

#কুলেশ্বরী_কালী_মন্দির :- জোড়া শিব মন্দিরের রুটেই আরো একটু এগলেই এই কুলেশ্বরী কালী মন্দির টি অবস্থিত। প্রায় ৪৫০ বছরের পুরনো এই কালি মন্দিরের নির্মাণ করেন তৎকালীন টাকির জমিদাররা। এক সময় মাছ ধরার জেলেদের জালে ইছামতী নদীতে ধরা পড়ে একটা ঘট, এরপর তৎকালীন জমিদার দেবীর স্বপ্নাদেশ পেয়ে এই ঘট দিয়ে এই মন্দিরের প্রতিষ্ঠা করেন তারপর থেকে চলেই আসছে এখনো এই পূজা। মন্দিরের পূজার দিন এখনো পাঁঠাবলি দেওয়া হয়।

#প্রাচীন_জলের_ট্যাঙ্ক :- প্রায় ১০০ বছরের পুরনো ব্রিটিশ আমলে তৈরি একটি জলের ট্যাঙ্ক এখনো টাকিতে আসলে দেখতে পাবেন। মিনি সুন্দরবনের রুটেই এই ট্যাঙ্কটি অবস্থিত। ব্রিটিশরা সেই সময়ে নিজেদের সুবিধার জন্য এই জলের ট্যাঙ্কটি নির্মাণ করেছিলেন। যদিও এটি এখন আর চালু অবস্থায় নেই, কিন্তু বর্তমানে এই জায়গাটিকে একটি ট্যুরিস্ট স্পট হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছে।

এই জায়গা গুলো ছাড়াও আরো কিছু স্পট আপনারা টাকি আসে পাশে প্রচুর পেয়ে যাবেন, যার মধ্যে একটি হল ইছামতী নদীর ধারেই ইকোপার্ক, ইছামতি ভিউ পয়েন্ট প্রভৃতি । টাকি বর্তমানে ট্যুরিস্ট স্পট হিসেবে খুবই জনপ্রিয়তা লাভ করেছে এবং তার সাথে সাথেই এখানে নতুন নতুন স্পট হোটেল গড়ে উঠছে তাই আমাদের একবার অবশ্যই টাকি ঘুরে যাওয়া উচিত আমার এই ব্লগটা ফলো করলে আপনারা আপনাদের অনেক প্রশ্নেরই উত্তর পেয়ে যাবেন আশা করি আপনাদের কাজে লাগবে।

#টাকি_ভ্রমনের_খরচা :- টাকি ভ্রমনের জন্য আপনাদের খুব কম টাকাই খরচ হবে। আর আপনি যদি একদিনের জন্য ডে ট্যুর করতে চান তাহলে তো খরচা একদমই কমে যাবে। আমি একটা আপনাদের সুবিধার্থে রাফ হিসেব দিচ্ছি। আপনারা যদি ট্রেনে টাকি আসেন তাহলে ট্রেন ভাড়া বাবদ ২০ টাকা। টোটো রিজার্ভ করে পুরো টাকি ঘোরার জন্য ৫০০ - ৮০০ টাকা। আর খাওয়ার জন্য সকালের ব্রেকফাস্ট ও লাঞ্চ বাবদ ২০০ টাকা কম বেশি হতে পারে। আর আপনাদের যদি একদিন থাকার পরিকল্পনা থাকে তাহলে রাজবাড়ি ঘাটের কাছে প্রচুর ভালো মাঝারি মাপের হোটেল পেয়ে যাবেন। ভাড়া ৮০০ থেকে ১৫০০ টাকা। সরকারি গেস্ট হাউস নিতে চাইলে ইছামতীর তীরে হোটেল সোনার বাংলা অথবা একটু কম দামের মধ্যে নিতে চাইলে পৌরসভার গেস্ট হাউস আছে।

ধন্যবাদ তাহলে সবাইকে আজকের পোস্টটি এখানেই শেষ করছি।
ভ্রমন পিপাসু 🙏 🙏








 #তুমিও_হেঁটে_দেখো_কলকাতা  #তিলোত্তমা_কলকাতা  #কলকাতা_ভ্রমন চল কলকাতা ঘুরে আসি। দূর!কলকাতা কি দেখবো!তার থেকে চল দার্জিলি...
18/01/2025

#তুমিও_হেঁটে_দেখো_কলকাতা

#তিলোত্তমা_কলকাতা
#কলকাতা_ভ্রমন

চল কলকাতা ঘুরে আসি। দূর!কলকাতা কি দেখবো!তার থেকে চল দার্জিলিং, কিংবা সিকিম, পুরি, গোয়া ঘুরে আসি।
কলকাতা কোনোদিন প্রচারে নেই, এখানে প্রচার পায় কেবল পার্টি পলিটিক্স। কিন্তু কলকাতার বুকে কত যে মনি মানিক্য লুকানো আছে তার খোঁজ অনেকেই জানে না, আমিও না। পকেটে পয়সা খুবই কম, রাজুদার পকেট পরোটার ৩০ টাকা বাদে আর অল্প কিছু পড়ে আছে, চলুন ঘুরে আসি একেবারে বিনামূল্যে কলকাতা।
❤️❤️প্রথমেই ভিক্টরিয়া মেমোরিয়াল:ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল হল একটি বৃহৎ শ্বেতমর্মর স্থাপত্য, যা কলকাতায় দেখার অন্যতম সেরা একটি রোমান্টিক জায়গা। ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল ১৯০৬ থেকে ১৯২১ সালের মধ্যে নির্মিত হয়েছিল, রাণী ভিক্টোরিয়ার স্মৃতিতে এই সাদা মার্বেলর স্থাপত্য দেখতে সৌন্দর্য বার্ষিক 20 লক্ষ দর্শনার্থীর সমাগম ঘটে। এটি রাণী ভিক্টোরিয়ার স্মৃতির উদ্দেশ্যে নিবেদিত।
❤️❤️দ্বিতীয় দক্ষিনেশ্বর কালী মন্দির :কলকাতার উত্তর প্রান্তে দক্ষিণেশ্বর শহরে অবস্থিত, দক্ষিণেশ্বর কালী মন্দির হল দেবী কালীকে উৎসর্গ করা একটি জনপ্রিয় তীর্থস্থান। 1855 সালে রানী রাশমনি দ্বারা নির্মিত যিনি দেবী কালীর ভক্ত ছিলেন, ভবতারিণী রূপের অর্থ ‘তিনি, যিনি তার ভক্তদের অস্তিত্বের সাগর থেকে মুক্ত করেন’। এটি কলকাতায় একদিনে পরিদর্শন করা আবশ্যকীয় স্থানগুলির মধ্যে একটি।
❤️তৃতীয় হাওড়া ব্রিজ :হাওড়া ব্রিজ বা রবীন্দ্র সেতু পরিদর্শন ছাড়া কলকাতার দর্শনীয় স্থান ভ্রমণ সত্যিই অসম্পূর্ণ। এটি একটি ক্যান্টিলিভার ব্রিজ এবং হাওড়া ব্রিজ তাদের মধ্যে অন্যতম ব্যস্ততম হিসাবে বিবেচিত হয়। কলকাতার ‘প্রাচীনতম কিন্তু ব্যস্ততম’ স্থান হিসাবে শিরোনাম, কলকাতা এবং হাওড়ার দুটি প্রধান শহরের মধ্যে সংযোগ নিশ্চিত করার জন্য হুগলি নদীর উপর হাওড়া সেতু তৈরি করা হয়েছিল।
🌸🌸চতুর্থ ভারতীয় জাদুঘর :শহরের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত, পার্ক স্ট্রিটের কাছে, ভারতীয় জাদুঘর। গৌরবময় দেশ ভারতের প্রাচীনতম, এবং ভারতের বৃহত্তম যাদুঘর, অলঙ্কার, জীবাশ্ম, কঙ্কাল, প্রাচীন জিনিসপত্র, বর্ম, মমি এবং অত্যাশ্চর্য মুঘল পেইন্টিংগুলির সবচেয়ে সূক্ষ্ম সংগ্রহের সঙ্গে পরিচিত হন।
🌲🌲পঞ্চম সায়েন্স সিটি :সায়েন্স সিটি, কলকাতার বাসিন্দাদের পাশাপাশি কলকাতায় আসা লোকেদের জন্য একটি প্রধান আকর্ষণ। ভারতে এই ধরনের একমাত্র জায়গা। সায়েন্স সিটির স্থাপত্য বিস্ময় দেখার জন্য কিছু সময় নিন, যা সারা ভারতে বৃহত্তম বিজ্ঞান কেন্দ্র।
🏵️🏵️ষষ্ঠ কালীঘাট মন্দির :আপনি যদি মা কালীর মন্দিরে যান তবে কলকাতায় আপনার ভ্রমণকালে কালিঘাটে দেবী কালীর কাছ থেকে আশীর্বাদ নিতে ভুল করবেন না। কালীঘাট মন্দির, ভারতের ৫১টি শক্তি স্থলের মধ্যে একটি, ভারতের সবচেয়ে দর্শনীয় কালী মন্দিরগুলির মধ্যে একটি। সেই স্থান যেখানে শিবের রুদ্র তান্ডব নাচের সময় সতীর ডান পায়ের আঙুল পড়েছিল
🌻🌻সপ্তম বোটানিক্যাল গার্ডেন :গঙ্গার পশ্চিম তীরে অবস্থিত, কলকাতার বোটানিক্যাল গার্ডেন হল একটি ১১০ হেক্টর বাগান যা ১৭৮৭ সালে রবার্ট কিড দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল৷ কলকাতার বোটানিক গার্ডেন পরে আচার্য জগদীশ চন্দ্র ভারতীয় বোটানিক গার্ডেন নামকরণ করা হয়৷ বোটানিক গার্ডেন তার ব্যাপক ফুলের বৈচিত্র্যের জন্য পরিচিত। ১২,০০০ টিরও বেশি বিভিন্ন প্রজাতির গাছপালা আবাসস্থল। বাগানের একটি বটগাছ, ৩৩০ মিটারেরও বেশি পরিধির, যা দ্য গ্রেট বেনিয়ান নামে পরিচিত, এটি বিশ্বের বৃহত্তম গাছ।
🌼🌼অষ্টম মার্বেল প্যালস :Neoclassical স্থাপত্যরীতিতে গড়ে তোলা এই তিনতলা ভবনটির সামনে রয়েছে কোরিন্থিয়ান রীতিতে তৈরি স্তম্ভ এবং কারুকার্য করা বড় বারান্দা। চিনা প্যাভিলিয়নের ধরনে নির্মিত হয়েছে ঢালু ছাদ। নীলমণি মল্লিক উত্তর কলকাতার মুক্তারামবাবু স্ট্রিটে তাঁর বসতবাড়িতে জগন্নাথদেবের মন্দির নির্মাণ করেন। মার্বেল প্যালেসের অন্দর মহলের প্রাঙ্গণে মন্দিরটি এখনো রয়েছে।
কলকাতা ভ্রমন আজ শেষ। কিন্তু সমাপ্ত নয় চলবে এই ভ্রমন। আপনাদের সহযোগিতা পেলে।
এটি একটি সংগৃহীত পোস্ট

জয় মা কালী ♥️🙏🏽
18/01/2025

জয় মা কালী ♥️🙏🏽

 িনের_সম্বলপুর_ট্যুর_প্ল্যান_হিরাকুঁদ_ও_ডেবরিগড়_স্যাঞ্চুয়ারী... ওড়িশা মানেই বাঙালির প্রিয় পুরী। সমুদ্রের পাড়ে বসে থাক...
17/01/2025

িনের_সম্বলপুর_ট্যুর_প্ল্যান_হিরাকুঁদ_ও_ডেবরিগড়_স্যাঞ্চুয়ারী...


ওড়িশা মানেই বাঙালির প্রিয় পুরী। সমুদ্রের পাড়ে বসে থাকা আর জগন্নাথ দেবের দর্শন করা। কিছু হলেই এক ছুটে পুরী চলে যান সকলে। কিন্তু কেউ কি জানেন পুরী ছাড়াও ওড়িশায় রয়েছে অসংখ্য পর্যটন কেন্দ্র। বিশেষ করে বর্ষার সময় সেগুলি আরো মনোরম হয়ে ওঠে। এরকমই একটা জায়গা হল #সম্বলপুর । নাম হয়তো অনেকেই জানেন কিন্তু কখনো বেড়ানোর কথা ভাবেননি বা ভাবলেও কোনো কারণে আসা হয়নি। সম্বলপুরে রয়েছে পাহাড়, জঙ্গল, নদী ও ঝর্নার সহাবস্থান। তাও মাত্র দুদিনে, অর্থাৎ এক রাত দুদিনে। এত কম সময়ের মধ্যে যদি এত কিছু দেখে ফেলতে পারেন তাহলে কেনো আসবেন না, যাদের হাতে ছুটির সংখ্যা খুবই কম, এবং যারা উইক এন্ড ছাড়া খুব একটা ছুটি পান না , তাদের জন্য প্রকৃতির মাঝে দুদিন কাটিয়ে নিজেদের রিফ্রেস করার সেরা ঠিকানা কিন্তু এই সম্বলপুর।
©️ ভ্রমন পিপাসু

সম্বলপুর উড়িষ্যার ৩০টি জেলার মধ্যে অন্যতম একটি জেলা, যার সদর শহর সম্বলপুর, একাধারে উড়িষ্যার চতুর্থ বৃহত্তম শহর( ভুবনেশ্বর. কটক, রৌরকেলার পরেই) সম্বলপুর নামটি এসেছে এই এলাকার কুলদেবী মা সমলেশ্বরীর নামে, যা এই অঞ্চলের প্রধান মন্দির, এছাড়াও সম্বলপুরের আশেপাশে আরো অনেক পুরনো মন্দির আছে যেগুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা পরের পয়েন্ট গুলোতে করবো। যাইহোক মা সমলেশ্বরীর নামে কিন্তু একটি ট্রেনও আছে আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন, যেটি হাওড়া থেকে ছত্রিশগড়ের জগদলপুরের মধ্যে চলাচল করে। এই ট্রেনেই কিন্তু আপনাদের সম্বলপুর যেতে ও ফিরতে হবে। মানে টাইমিং হিসেবে এই ট্যুরের জন্য একদম আদর্শ।

এই সম্বলপুর কিন্তু তিনটে কারণে গোটা ভারতে বিখ্যাত,
এক সকলের পরিচিত, ছোটোবেলায় ভূগোল বইতে পড়া হিরাকুঁদ বাঁধ,মহানদী নদীর ওপর তৈরি এই বাঁধ মাটির তৈরি পৃথিবীর দীর্ঘতম মাটির বাঁধ, দৈর্ঘ্যে প্রায় ১০ কি.মি। মহানদীর বন্যার হাত থেকে উড়িষ্যাকে বাঁচাতে স্বাধীনতার আগেই বহুমুখী নদী পরিকল্পনার আন্ডারে এই বাঁধ নির্মানের পরিকল্পনা নেওয়া হয়। স্বাধীন ভারতের এটিই প্রথম বহুমুখী নদী পরিকল্পনা।

আরো যে দুটো কারণে এই সম্বলপুর বিখ্যাত সেটা হল - সম্বলপুরী গান ও সম্বলপুরী শাড়ি, সম্বলপুরী ভাষায় তৈরি সম্বলপুরী গান সম্প্রতি খুবই ভাইরাল হয়েছে। আর সম্বলপুরে আসলে এখানকার সম্বলপুরী শাড়ি নিয়ে যেতে ভুলবেন না যা GI ট্যাগ ও পেয়েছে। চলুন এবার পয়েন্টের আকারে এক রাত দু দিনের সম্বলপুর ট্যুর নিয়ে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করা যাক..

#সম্বলপুরে_আসার_প্ল্যান_কোন_সময়ে_করবেন :- গরমের সময়টা বাদ দিয়ে আপনি সারাবছরই এই সম্বলপুরে আসতে পারবেন। তবে এখানে আসার সেরা সময় বর্ষাকাল অর্থাৎ - আগস্ট থেকে শুরু করে অক্টোবর। এই অঞ্চলে গরম প্রচন্ড থাকার জন্য অনেকে শীতকালকে বেছে নেয়। নভেম্বর থেকে মার্চ এই সময়ে এখানে মনোরম পরিবেশ বিরাজ করে তাই অনেক শান্তিতে ঘোরা যায়, কিন্তু বর্ষাতে এই অঞ্চল তার প্রাণ যৌবন ফিরে পায়, তাই গরমকে একটু সহ্য করতে পারলে আমি বলবো বর্ষাতেই আসুন।

#সম্বলপুরের_দর্শনীয়_স্থান :- আপনারা এক রাত দুদিনের ট্যুরে এসে সম্বলপুরে কোন কোন জায়গা গুলো ঘুরে দেখবেন সেগুলো সম্পর্কে যদি ধারনা থাকে তাহলে প্ল্যান মাফিক দর্শনীয় স্থান গুলো ঘুরে আসতে আপনাদের বিশেষ কোনো অসুবিধে হবে না, এটাও মাথায় রাখতে হবে, হাতে মাত্র দুদিন - তাই একটু গন্ডগোল হলেই আপনাদের সময়, পয়সা সবকিছুই নষ্ট, তাই আসুন দেখেনি এই দুদিনে কোন কোন স্পট গুলো দেখে নেবেন....
১. হিরাকুঁদ বাঁধ।
২. গান্ধী মিনার ( হিরাকুঁদ)
৩. জহর মিনার (হিরাকুঁদ)
৪. জিরো পয়েন্ট মেরিন ড্রাইভ ( হিরাকুঁদ)
৫. বুরলা ওয়াটার স্পোর্টস পয়েন্ট (হিরাকুঁদ)
৬. ডেবরিগড় স্যাঞ্চুয়ারী ।
৭. ডেবরিগড় বোটিং পয়েন্ট ।
৮. জঙ্গল সাফারি, ডেবরিগড়।
৯. সম্বলপুরী শাড়ি হাব, বড়গড়।
১০. মা ঘন্টেশ্বরী মন্দির ।
১১. হুমা লিনিং/হেলানো মন্দির।
১২. সমলেশ্বরী মন্দির ( লাইট & সাউন্ড শো যদি সময় পান)
১৩. মহানদী ভিউ পয়েন্ট।

#আসবেন_কি_ভাবে :- এই সম্বলপুরে আসার সরাসরি সবচেয়ে সহজ উপায় হলো ট্রেন, হাওড়া থেকে সম্বলপুরের সরাসরি ৩ টের মত ট্রেন আছে, কিন্তু সবচেয়ে ভালো টাইমিং যদি বলেন সেটা হল সমলেশ্বরী এক্সপ্রেসের যেটা প্রতিদিন হাওড়া থেকে রাত ১০.২০ তে ছেড়ে সকাল ৮.৩০ এ আপনাকে সম্বলপুরে পৌঁছে দেবে। একইরকম ভাবে সম্বলপুর থেকে সন্ধ্যা ৬.২০ তে ছেড়ে পরের দিন ভোর ৫.৩০ এ আপনাকে হাওড়া পৌঁছে দেবে।

এছাড়াও শালিমার স্টেশন থেকেও আপনারা সম্বলপুর আসার জন্য ট্রেন পেয়ে যাবেন - মহিমা-গোসাই এক্সপ্রেস, শালিমার-সম্বলপুর সুপারফাস্ট....

এর পাশাপাশি আপনি যদি টিকিট না পান তাহলে ঝারসুগরা জং নেমেও এই সম্বলপুরে চলে আসতে পারেন। অনেক বেশি ট্রেনের অপশন পাবেন আর সম্বলপুর থেকে ঝারসুগরার দূরত্ব ৫০ কি.মি আগে। ঝারসুগরা থেকে ট্রেন,গাড়ি বাস পেয়ে যাবেন সম্বলপুরে আসার জন্য।

#ট্যুর_প্ল্যান :- হাওড়া থেকে সকালে আসার যে দুটো ট্রেন আছে, ট্রেন গুলো মোটামোটি আপনাকে খুব একটা সকালে না, ৮.৩০ - ৯ টার মধ্যে আপনাকে সম্বলপুরে পৌঁছে দেবে তাই এই পুরো দিনটা আপনাদের ঘুরতে বিশেষ কোনো অসুবিধে হবে না। গাড়ি দুদিনের জন্য আগে থেকে অবশ্যই বলে রাখবেন যে গাড়ি আপনাদের প্রথম দিন স্টেশন থেকে পিকআপ করে দুদিন ঘুরিয়ে আবার আপনাদের নেক্সট দিন বিকেলে সম্বলপুর স্টেশনে ড্রপ করে দেবে, যদি অন্য কোনো প্ল্যান না থাকে, এই সম্বলপুর থেকে আপনি চাইলে আরো একটা দারুন জায়গায়, এক দুদিনের জন্য যেতে পারেন অবশ্যই সেটা বর্ষাতে, সেটা নিয়ে নেক্সট পোস্টে আলোচনা করবো, এখন সম্বলপুরে ফিরে আসি..

#প্রথম_দিন :- প্রথম দিনের প্ল্যানটা দুরকম হতে পারে আপনাদের, স্টে এর ওপরে যেটা নির্ভর করবে। দুটো প্ল্যানই আমি এই পয়েন্টে আলোচনা করবো। আপনারা দুটো জায়গায় থাকতে পারেন এক, একটু অন্য ভাবে প্রকৃতির মাঝে থাকতে চাইলে আমি অবশ্যই বলবো - ডেবরিগড় স্যাঞ্চুয়ারির ভেতরে নেচারপার্কে থাকুন, এখানে দু ধরনের থাকার অপশন আছে, সবচেয়ে ভালো বাইসন ব্লকে থাকুন, এখানে মোটামোটি ৮ টি থাকার রুম পেয়ে যাবেন। ভাড়া মোটামোটি ৬৩০০ টাকার মতো, এর মধ্যে ইনক্লুড থাকছে দুজনের এন্ট্রি টিকিট, থাকা, ৩ বেলা খাওয়া এবং টিফিন, সাথে ড্রাইভারের থাকা ও খাওয়া, হিরাকুঁদ ড্যামের জলে বোটিং এর সুবিধা সাথে ট্যাক্স। এর ওপরে উপরি পাওনা রুমের ব্যালকনি বসে লেকের সৌন্দর্য উপভোগ করার পাশাপাশি হরিন এবং বাইসনের লড়াই দেখারও সৌভাগ্য হতে পারে। এত কিছু পাচ্ছেন তাহলে কেনো থাকবেন না, একদিনের তো ব্যাপার। দ্বিতীয় যেটা করতে পারেন সম্বলপুর শহরের যেকোনো হোটেলে থাকতে পারেন, খরচা অনেকটা কমে যাবে, ১২০০ থেকে ২০০০ টাকার মধ্যে ভালো হোটেল পেয়ে যাবেন।

আপনারা ডেবরিগড় নেচার ক্যাম্পে থাকছেন এটা ধরে নিয়েই প্ল্যান টা বলছি, স্টেশন থেকে ফ্রেশ হয়ে, ব্রেকফাস্ট করে গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে পড়ুন, প্রথমেই চলে আসুন হিরাকুঁদ ড্যামে, হিরাকুঁদে কিন্তু দেখার মত অনেকগুলো জায়গা আছে সেটা আমি আগেই উল্লেখ করেছি। সম্বলপুর থেকে হিরাকুঁদের দূরত্ব প্রায় ১৮ কি.মি, আপনাকে প্রথমে যেতে হবে গান্ধী মিনারে, হিরাকুঁদ ড্যামের দুদিকে দুটো মিনার আছে একটি গান্ধী মিনার এবং একটি জহর মিনার। দুটো মিনারের মধ্যে দূরত্ব ২৫ কি.মি। এই দুটো মিনার থেকেই হিরাকুঁদ ড্যামের এক অসাধারণ ভিউ উপভোগ করতে পারবেন। গান্ধী মিনারের আসার জন্য আপনাদের প্রথমে ১০ টাকার টিকিট কেটে জওহর পার্কের ভেতরে প্রবেশ করতে হবে, এখান থেকেই আপনারা গান্ধী মিনারের ওপরে ওঠার জন্য রোপওয়ের টিকিট পাবেন। টিকিট - ৮৪ টাকা। রোপওয়ে থেকে নেমে কিছুটা পথ সিঁড়ি দিয়ে একবারে গান্ধী মিনারের টপে পৌঁছে যাবেন, এখান থেকে হিরাকুঁদ ড্যামের ৩৬০ ডিগ্রি ভিউ উপভোগ করে চলে আসুন নিচে।

এবার এখান থেকে সোজা চলে আসুন ড্যামের অপর সাইডে অর্থাৎ জহর মিনারে, এই মিনার থেকেও গান্ধী মিনারের মত সেম ভিউ পাবেন, তবে এই মিনারে ওঠার কোনো টিকিট নেই, আপনি গাড়ি নিয়ে সরাসরি চলে আসতে পারবেন এখানে, কেবলমাত্র গাড়ি পার্কিং ফি বাবদ লাগবে ৪০ টাকা। এবার এখান থেকে চলে আসুন কিছু দূরেই বুরলার ওয়াটার স্পোর্টস এরিয়াতে, আপনারা যদি ওয়াটার স্পোর্টস করতে চান তাহলে এখানে আসবেন। এখানে বিভিন্ন ধরনের ওয়াটার স্পোর্টস চাইলে করতে পারেন যেমন - Jetski, Parasailing, Kayaking, Speed Boat, Paddle Boat Cruise Boat প্রভৃতি। বুরলা থেকে এবার মেরিন ড্রাইভ ধরে চলে আসুন জিরো পয়েন্টে, এই রোড জার্নিটা কিন্তু খুবই উপভোগ্য, জিরো পয়েন্ট থেকে পুরো ড্যামের এক সুন্দর ভিউ এনজয় করতে পারবেন।

এবার সময় নষ্ট না করে সোজা চলে আসুন একবারে ডেবরিগড়ে। হিরাকুঁদের ডেবরিগড় ওয়াইল্ড লাইফ স্যাঞ্চুয়ারি, আমাদের দেশের হাতে গোনা এমন কয়েকটি জঙ্গলে মধ্যে পড়ে, যা কিন্তু সারাবছরই খোলা থাকে। তাই আপনি এখানে সারাবছরই আসতে পারবেন, বর্ষাতে আসলে ভালো ভিউ পাবেন কিন্তু শীতে আসলে বনের জন্তুদের দেখার সম্ভাবনা বেশি থাকে। ডেবরিগড় জঙ্গলের প্রধান আকর্ষন ভারতীয় গৌড় বা বাইসন, সাম্বার ডিয়ার, এবং ময়ুর। এগুলো দেখার জন্য আপনাকে জঙ্গল সাফারি অবশ্যই করতে হবে।

যাইহোক ভেতরে ঢুকে রুম বুকিং কপি এবং সাফারি বুকিং দেখিয়ে এন্ট্রি করতে হবে। আপনাদের বুক করা বাইসন কটেজ গুলো এন্ট্রি গেট থেকে প্রায় ৩ কি.মি দূরে। তাই গাড়ি করেই আপনাদের যেতে হবে, কটেজের ভেতরে গাড়ি পার্কিং এর সমস্ত ব্যবস্থা আছে। রুমে ঢুকে স্নান, লাঞ্চ করে কিছুটা সময় রেস্ট নিয়ে বিকেলে দিকে চলে আসুন বোটিং করতে। হিরাকুঁদ ড্যামের লেকটি একদমই নেচার ক্যাম্পের লাগোয়া, এই নেচার ক্যাম্প বুক করলে বোটিং এর জন্য এক্সট্রা কোনো চার্জ দিতে হবে না। এই লেকটা যেহেতু আকারে বৃহৎ তাই এই লেকের মাঝে বেশ কিছু ছোটো ছোটো দ্বীপ জেগে উঠেছে। তাই বোটিং করতে করতে প্রথমেই আপনাদের নিয়ে যাওয়া হবে ব্যাট আইল্যান্ডে এই দ্বীপে প্রচুর বাদুর থাকার জন্য এরকম নামকরন করা হয়েছে। কিছু মৎসজীবিও বসবাস করে এই দ্বীপে। এরকমই কিছু দ্বীপ আছে যেমন - সানসেট আইল্যান্ড, বোট আইল্যান্ড, ডগ আইল্যান্ড, এগুলো দেখে আবার ফিরে চলে আসুন ক্যাম্পে। ক্যাম্পে ফিরে এসে সন্ধ্যার টিফিন ও রাতের ডিনার করে খুবই তাড়াতাড়ি শুয়ে পড়ুন কারন নেক্সট দিন আপনাদের খুবই সকাল সকাল উঠতে হবে সাফারির জন্য।

এবার আপনারা যদি নেচার ক্যাম্পে না থেকে হোটেলে থাকেন তাহলে আপনাদের প্ল্যানে সামান্য চেঞ্জ করতে হবে আর সেটা ডেবরিগড়ে। ডেবরিগড়ে এন্ট্রি টিকিট কেটে ভেতরে ঢোকার পর বিকেলের সাফারিটা করে নিতে হবে। কারন সকাল ও বিকেল সাফারির জন্য উত্তম সময়। সাফারি এবং বোটিং করে নিয়ে ফিরে আসুন সম্বলপুরের হোটেল, এভাবেই আপনাদের প্রথম দিনের ইতি ঘটবে।

#দ্বিতীয়_দিন :- দ্বিতীয় দিনটা আপনাদের খুবই সকাল সকাল শুরু করতে হবে, কারণ হল জঙ্গল সাফারি। সকালের জঙ্গল সাফারিতে অনেক লাভ আছে। দিনে ৪টি করে সাফারি হয়। অনলাইনে বুক করার সময়ে সব দেখিয়ে দেবে। সাফারির গাড়ি ৩ ধরনের আছে....

৪ সীটার গাড়ি নিলে ২১০০ টাকা
৮ সীটার গাড়ি নিলে ৩১০০ টাকা
১২ সীটার গাড়ি নিলে ৪২০০ টাকা

পুরো ২ ঘন্টা ৩০ মিনিটের সাফারি হয়, যাতে আপনি বাইসন, লুপ্তপ্রায় হরিন, ময়ুর, বন্য শুয়োর প্রভৃতি দেখতে পাবেন। সাফারি এসে রুমে ফিরে এসে ব্রেকফাস্ট করে নিন তারপর ব্যাগপত্র গাড়িতে তুলে বেরিয়ে পড়ুন সম্বলপুরের উদ্দেশ্যে। দ্বিতীয় দিন আপনারা সম্বলপুর শহর ও আশেপাশের বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান গুলো দেখে নিবেন সম্বলপুরে যাওয়ার আগে চলে আসুন বড়গড়ে, এই বড়গড়ে আসবেন কেনো তার কারণ হল GI ট্যাগ পাওয়া সম্বলপুরী শাড়ির জন্য। এই সম্বলপুরী শাড়ি কিন্তু এই বড়গড়ের বাড়ি বাড়িতে হাতে তৈরি হয় তারপর চলে যায় সম্বলপুরে। এখানে আসলে নিজের চোখে শাড়ি বানানো দেখা ছাড়াও হাব থেকে শাড়ি কিনতেও পারেন। যদি ইন্টারেস্ট না থাকে তাহলে এটা বাদ ও দিতে পারেন।

বড়গড় থেকে সম্বলপুরে যাওয়ার পথে পেয়ে যাবেন দুটো মন্দির একটি চিপলিমার মা ঘন্টেশ্বরী মন্দির এবং একটি হুমার লিনিং মন্দির।

বড়গড় থেকে প্রথমে চলে আসুন চিপলিমার মা ঘন্টেশ্বরী মন্দিরে। মহানদীর তীরে অবস্থিত এই ঘন্টেশ্বরী মন্দির। মন্দিরে আসলেই প্রচুর ঘন্টা বাঁধা দেখতে পাবেন, ভক্তরা তাদের মনস্কামনা পুরনের জন্য এই ঘন্টা গুলো বেঁধে যান। মন্দিরের পাশেই একটি জলবিদ্যুৎ প্রকল্প ও আছে, সময় পেলে এখানেও যেতে পারেন। এবার এখান থেকে চলে আসুন হুমার লিনিং বা হেলানো মন্দিরে এরকম হেলানো মন্দির বারানসীতে আছে আমরা সকলেই জানি কিন্তু সম্বলপুরের কাছে হুমাতেও এরকম একটা যে মন্দির আছে সেটা অনেকেই প্রায় জানে না। ঘন্টেশ্বরী মন্দির থেকে নদীর ঠিক উল্টো দিকেই এই মন্দিরটি, কিন্তু মাঝে কোনো নদী ব্রীজ না থাকার জন্য আপনাদের অনেকটা পথ ঘুরে এখানে যেতে হবে। এটি মূলত একটি শিব মন্দির। এই মন্দিরের আসেপাশে আরো কিছু মন্দির আছে । এই মন্দিরের কিন্তু পুরনো এক ইতিহাস আছে।

এবার হুমা থেকে আবার ফিরে যেতে হবে সম্বলপুরের দিকে দ্বিতীয় দিনের শেষ স্পট মা সমলেশ্বরী মন্দিরে। হুমা থেকে সমলেশ্বরী মন্দিরের দূরত্ব প্রায় ৩০ কি.মি। এই মন্দির ও কিন্তু বাকি মন্দির গুলোর মত মহানদীর তীরে অবস্থিত। উড়িষ্যা ও ছত্তিশগড়ের মানুষের মধ্যে এটি খুবই পরিচিত মা সমলেশ্বরী পীঠ। সমলেশ্বরীকে দেবী দুর্গার রূপে পূজা করা হয়। দেবী 'শ্রী শ্রী সমলাই দেবী' বা 'মা সামালাই' নামে পরিচিত। মা সামলাইয়ের মূর্তিটি গ্রানাইট শিলা দিয়ে তৈরি। মন্দির থেকে মা সামলাইয়ের দর্শন করে চলে আসুন পার্শ্ববর্তী মহানদী ভিউ পয়েন্টে বিকেলটা এখানে কাটিয়ে তারপর ফিরে আসুন সম্বলপুর স্টেশনে। একটা কথা বলে রাখা ভাল আপনারা যদি রাতটা সম্বলপুরে থেকে পরেরদিন সকালের কোনো ট্রেনে ফিরেন তাহলে সমলেশ্বরী মন্দিরের লাইট & সাউন্ড শো টা কিন্তু অবশ্যই দেখে নিতে পারেন, প্রায় ৪০ মিনিটের এই লাইট & সাউন্ড শো আপনাদের বেশ ভালোই লাগবে। যদি সন্ধ্যা ৬.২০ এর সমলেশ্বরী এক্সপ্রেস ধরে ফিরতে চান তাহলে এটা সম্ভব না কারন বিকেল ৫.৩০ এর মধ্যে আপনাকে স্টেশনে চলে আসতে হবে। যাইহোক দুদিনের সম্বলপুর ভ্রমনের সুখকর স্মৃতিকে মনে মধ্যে নিয়ে নিজ নিজ বাড়ির উদ্দেশে রওনা দিয়ে পরের দিনই চলে আসুন হাওড়া।

#সম্বলপুরের_হোটেল :- আমি যে প্ল্যান টা দিয়েছি সেটা এক রাত দু দিনের, অর্থাৎ আপনাকে একটা রাত থাকতে হচ্ছে সম্বলপুরে, বাকি দুরাত ট্রেনে। এই এক রাত থাকার জন্য আমি সাজেস্ট করবো ডেবরিগড় স্যাঞ্চুয়ারির ভেতরে অবস্থিত..

১. ডেবরিগড় নেচার ক্যাম্পের বাইসন ব্লক - অনলাইন বুকিং
যোগাযোগ, শ্রীকান্ত - 9337523983

কম খরচে থাকতে চাইলে সম্বলপুরে অনেক হোটেল আছে..
২. হোটেল চন্দ্রমনি - 9437642165/9238817083
৩. হোটেল নর্মদা রেসিডেন্সি - 7855842405
৪. হোটেল অপ্সরা - 9178961555
৫. OTDC - পান্থনিবাস

#গাড়ি_বুকিং :- দুদিন ঘোরার জন্য আপনাদের তো একটি গাড়ির প্রয়োজন অবশ্যই হবে। আপনি সম্বলপুরে নেমেও স্টেশনের সামনে থেকে গাড়ি বুক করে নিতে পারেন, কিন্তু ট্রেন যেহেতু অনেকটা দেরিতে ঢুকছে তাই আমার মতে গাড়ি আগে থেকেই বুক করে আসা ভালো। এখানকার গাড়ি বুক করার সিস্টেম হল - বড় গাড়ি ( বোলেরো, ইনোভা) হলে ১২০০-১৩০০ টাকা দিন প্রতি, তার সাথে সাথে ১২ টাকা প্রতি কি.মি তে। একইরকম ভাবে ছোটো গাড়িতে ১০০০ টাকা, এবং কি.মি তে ১০ - ১২ টাকা।

গাড়ি আগে থেকে বুকিং করে আসার জন্য আমি কিছু গাড়ির ড্রাইভারের ও এজেন্সির নাম্বার আপনাদের সুবিধার্থে দিয়ে দিচ্ছি...

১. Biswanath Pradhan - 9937495045
২. DK Tour and Travels - 8455032829
৩. A-ONE TRAVEL - 7008821092

#খরচা :- এবার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট, সেরা হল খরচের ব্যাপারে। যদিও খরচের ব্যাপারটি ওই ভাবে বলা যায়না, তাও আপনাদের সুবিধার্থে আমি একটা আইডিয়া দিতে পারি। যদিও এই ট্যুরটা মাত্র দুদিনের তাই খুব একটা বেশি খরচ আপনাদের হবে না। খরচ একমাত্র বাড়বে অথবা কমবে, যখন আপনারা হোটেলে থাকবেন না ডেবরিগড় নেচার ক্যাম্পে থাকবেন তার ওপরে নির্ভর করবে, যদি সম্বলপুরের হোটেলে থাকেন তাহলে খরচা আরো কমে যাবে।

হোটেল খরচ - ডেবরিগড় নেচার পার্কে - 6300 টাকা
হোটেল - 1200 - 2000 মধ্যে।

গাড়ি ভাড়া - ছোটো গাড়ি - 1000-1100 টাকা প্রতি দিন এবং কি.মি প্রতি 10 টাকা।

বড় গাড়ি - 1200-1300 টাকা প্রতিদিন , আর কি.মি প্রতি 12 টাকা।

খাওয়ার খরচ - 700 - 800 টাকা।

এর বাইরেও কিছু এক্সট্রা খরচ আছে যেমন - ট্রেন ভাড়া, বিভিন্ন অ্যাক্টিভিটি করা, পার্কিং ফি, এন্ট্রি ফি এবং কেনাকাটা।

সব কিছু ধরে যদি 4 জনের গ্রুপে আসেন তাহলে আপনাদের জন প্রতি 6 - 7 হাজার টাকার মতো খরচা হবে।

আশাকরি এক রাত দুদিনের সম্বলপুর ট্যুর নিয়ে করা এই পোস্টটি আপনাদের বেশ ভালোই লেগেছে এবং আপনাদের যথেষ্ট কাজে লাগবে। ধন্যবাদ সকলে ভালো থাকবেন...

©️ভ্রমন_পিপাসু
Source: Santanu Adak










Address

Kolkata

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Explore with Watlyf posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Explore with Watlyf:

Videos

Share

Category