মিসিসিপির মেঘ -পাবলিকেশন. MississippirMegh

  • Home
  • মিসিসিপির মেঘ -পাবলিকেশন. MississippirMegh

মিসিসিপির মেঘ -পাবলিকেশন. MississippirMegh A trustworthy Publication House of all kind of books with satisfying standard paper and printing quality with proper ISBN

08/02/2024
22/05/2022
29/04/2022
05/02/2022

Check DEBIPOKHHO from mississippirmegh here. Like DEBIPOKHHO? Just add DEBIPOKHHO of mississippirmegh to My Favorites. Embed DEBIPOKHHO to websites for free. Check all flipbooks from mississippirmegh. Upload PDF to create a flipbook like DEBIPOKHHO now.

কবিতা স্বপ্নে আসে। কবিতার নাম ধাম আবাস অবধি পাওয়া যায়।  এমনকি scientist ও খুঁজে পান আলোর ঠিকানা,স্বপ্নেই।লেখাটি পড়ুন ...
20/12/2021

কবিতা স্বপ্নে আসে। কবিতার নাম ধাম আবাস অবধি পাওয়া যায়। এমনকি scientist ও খুঁজে পান আলোর ঠিকানা,স্বপ্নেই।

লেখাটি পড়ুন যাদের এ বিষয়ে সন্দেহ আছে।

"মনোভূমি
Arpita Acharya

রত্নদীপা দে ঘোষ একজন অনুভূতিশীল কবি । তিনি আমার ফেসবুক বন্ধু । তার কবিতার ব্যাপ্তি ও গভীরতা বিস্মিত করে বারবার। তার সাম্প্রতিক শেয়ার করা একটি কবিতায় তিনি বলেছেন, কবিতাটি তার 'স্বপ্নে পাওয়া'।

‎কীভাবে একজন কবি স্বপ্নে কবিতা পেতে পারেন? খুব সরল ভাবে বললে কবিতা তো স্বপ্নপূরণ । বাস্তবে যা পাওয়া যায় না, যা বলা সম্ভব নয়, যা এমনকি কখনো কখনো কল্পনাও করা সম্ভব নয় তা স্বপ্নে আসে । আবার কবিতাতেও আসে । কিন্তু শুধুমাত্র এটুকুই পুরোটা নয় । এর পেছনে রয়েছে আরও কিছু জটিল মনোপ্রক্রিয়া ।

‎জার্মান নোবেল লরিয়েট Otto Loewi সম্পর্কে প্রচলিত কথা এই যে, তিনি নাকি তার এই সম্পূর্ণ আবিষ্কারের আইডিয়াটি স্বপ্নে পেয়েছিলেন । এক রাত্রে হঠাত্‍ করেই তার ঘুম ভেঙে যায়, আর মাথার মধ্যে জ্বলে ওঠে ফ্ল্যাশ বাল্ব । একটা কাগজ কলম নিয়ে তাড়াতাড়ি তিনি সেটা টুকে রাখেন । তারপর ঘুমিয়ে পড়েন । পরের রাতে আবার একই ঘটনা ঘটে। এভাবে বেশ কয়েকদিন ধরে অর্ধ ঘুমে অর্ধ জাগরণে তিনি আয়ত্ত করেন এক বিশেষ প্রজ্ঞা, যা তাকে চিকিৎসা বিদ্যায় নোবেল এনে দেয় ।

‎Rapid Eye Movement (REM) ঘুম বা 'চোখ নড়া ঘুম' হচ্ছে আমাদের ঘুমের একটা বিশেষ স্টেজ । সাধারণত ঘুমানোর ঘন্টা দেড়েক পরে আমরা সেই স্তরে যাই । এসময় মস্তিষ্ক থাকে এক্টিভ, যেন জাগ্রত অবস্থার মতোই । প্রশ্বাস থাকে দ্রুত ও অনিয়মিত । স্মৃতির কনসোলিডেশান এসময়ই ঘটে । আর আমাদের স্বপ্নও আসে এসময়ই । আশ্চর্য ভাবে দেখা গেছে বহু সৃষ্টিশীল চিন্তার উন্মেষ এসময়টাতেই আমাদের মাথায় আসে।

‎সারাদিন যা যা ঘটেছে (সাম্প্রতিক অতীতেও) সব কিছুর সমন্বয় হয় এই সময়, অতীতের ধারণাসমূহের সঙ্গে তুলনা করা, সাদৃশ্য বৈসাদৃশ্য বার করা ও নতুন স্মৃতি-নিউরন সংযোগে তাকে সংরক্ষণ করা এই সময়তেই ঘটে থাকে । এসিটাইকোলাইন নামে নিউরোট্রান্সমিটারেরর সিক্রেশনে যে পরিবর্তন সূচিত হয়, এর ফলে হিপ্পোক্যাম্পাস ও নিউরোকর্টেক্স এর মধ্যে সংযোগে কিছুটা বিচ্ছিন্নতা আসে, ফলে চিন্তা হয়ে ওঠে অনেকটাই সংযোগহীন, অর্গলমুক্ত, ফ্লেক্সিবল । এর ফলে, আপাতভাবে সংযোগহীন বিচ্ছিন্ন উদ্দীপকগুলির মধ্যে সাদৃশ্য বার করে তাদের নতুন ভাবে প্রসেসিং করার কাজটা সোজা হয়ে যায় । আর চেতনা তখন অচেতন ভাবে তাইই করতে থাকে । বিভিন্ন উদ্দীপকের মধ্যে সংযোগের যে জায়গাগুলো জাগ্রত অবস্থায় চিহ্নিত করা প্রায় সম্ভবই ছিলো না সেই সব অমূর্ত সংযোগও তখন সম্পন্ন হয়ে যেতে পারে এক লহমায় । অঘোর ঘুমের মধ্যে এই কারণেই ক্রিয়েটিভ আইডিয়া স্বপ্নের মতো আসে । ঘুমের সাইকেলে 'চোখ নড়া' আর 'চোখ না নড়া ঘুম' মোটামুটি নব্বই মিনিটের ব্যবধানে যাওয়া আসা করে । চোখ না নড়া ঘুমের সময় ধারণার ক্ষুদ্র অংশগুলি extract হয়, আর চোখ নড়া ঘুমের সময় সেগুলির সংযোগ সাধিত হয় । সেই সংযোগ কিছুটা হলেও বাস্তবের শৃঙ্খলতাহীন, আর সেই কারণেই নতুন সৃজনের ইঙ্গিতবাহী ।

‎Remote Association Test নামে একটি টেস্টের মাধ্যমে মনোবৈজ্ঞানিক পরীক্ষা করে দেখা গেছে অন্য যে কোন অবস্থার তুলনায় (জাগ্রত, বা nonREM ঘুম ) REM ঘুম ভাঙার পরপরই মানুষ সবচেয়ে বেশি সৃজন করতে সমর্থ হয় ।
‎ ‎REM ঘুম চলাকালীনই কিন্তু আমরা স্বপ্ন দেখে থাকি । মেকানিজম প্রায় সদৃশ, আর স্বপ্ন ও ক্রিয়েটিভিটির মধ্যে সম্পর্কের কথা তো আমরা মনোসমীক্ষায়ও বারবার শুনেছি । স্যামুয়েল টেইলর কোলরিজ 'কুবলা খান' লিখেছেন আফিম আচ্ছন্ন স্বপ্ন থেকে অর্ধজাগ্রত অবস্থায় । দালি তার সুররিয়্যাল ছবির আইডিয়া পেয়েছেন স্বপ্নে, মেরি শেলি বলেছেন স্বপ্নই তার ফ্র্যাঙ্কেনষ্টাইন লেখার অনুপ্রেরণা । পল ম্যাককার্টনি বলেন, তার 'ইয়েস্টার্ডে' গান এর প্রাপ্তি নাকি স্বপ্নেই।
‎ঘুম ভেঙে ঠিক জেগে ওঠার মুহূর্তে হতে পারে হিপনোগগিক হ্যালুসিনেশন , যে সময় কোনো অলীক প্রত্যক্ষণ সম্ভব । এই অলীক প্রত্যক্ষণ থেকেও সৃষ্টি হতে পারে সৃজনাত্মক কাজের বীজ ।

‎আমরা যখন ঘুমাই তখন আসলে আমাদের মস্তিষ্ক পুরোপুরি ঘুমন্ত হয় না, তার বেশ কিছু কাজ জারি থাকে । এসময়ই নতুন স্মৃতিগুলি সংরক্ষিত হয় , অপ্রয়োজনীয় স্মৃতিরা মুছে যায়, যেন মস্তিষ্কের রান্নাঘরের ধোয়া মোছা , পরিচ্ছন্নতার প্রতিদিনের কাজটুকু চলতে শুরু করে । REM ঘুমের সময় মস্তিষ্ক তার জীবনের বিভিন্ন অভিজ্ঞতাগুলি, যেগুলোর মধ্যে আপাতভাবে কোনো সংযোগ থাকতে পারে বলে চেতন প্রক্রিয়ায় আমরা কখনো ভাবিনি , সে সবের মধ্যে যোগাযোগ তৈরি করে । হঠাত্‍ করে যদি ঘুম ভেঙে যায়, খানিকটা সময়ের জন্য তা আমাদের মনে পড়তে পারে । মানসিক বিবর্তনের এক জটিল প্রক্রিয়ায়াও কিন্তু এসময়ই চলে । অভিজ্ঞতার মধ্যে যে সংযোগ সম্পূর্ণ জাগ্রত অবস্থায় কিছুতেই সম্ভব ছিলো না , সেই ডেলিকেট সংযোগ স্থাপন ঘটে এসময় । কগনিটিভ অবস্থান তার পূর্বতন স্থান পরিবর্তণ করে উন্নততর অবস্থানে যায় । সমস্যার জটিল সূত্রগুলির মধ্যে সংযোগ স্থাপন করে নিয়ে এর সমাধান করার প্রক্রিয়াও তাই গভীর ঘুমের এই পর্যায়টিতেই ঘটে থাকে । যেহেতু ঘুমের প্রায় দেড় ঘন্টা পর এই REM স্তরের একটি ফেজ পূর্ণতা প্রাপ্ত হয় , তাই পর্যাপ্ত ঘুম সৃজনশীলতার জন্য অবশ্যই প্রয়োজনীয় । ওই নির্দিষ্ট সময়টুকু না পেরোলে, মস্তিষ্ক তার প্রয়োজনীয় এসিমিলশানের কাজটুকু করতে পারবে না, ফলে সমস্যার নতুনতর সমাধানও সম্ভব হবে না ।

প্রচলিত সামাজিক ও সংস্কৃতিগত নিয়ম অনুসরণ করে আমরা সারাদিন কাজ করি, নিয়ম মেনেই রাতে নির্দিষ্ট সময় শুয়ে পড়ি । ঘুমের জন্য নিজেকে তখন প্রস্তুত করি । মস্তিষ্ক যেন সিগন্যাল পায়, 'অনেক তো পরিশ্রম করেছো, এবার ঘুমিয়ে পড়ো' । আর ঠিক এই সময়ই আমাদের ওয়ার্কিং মেমরি একটু অন্যরকম ভাবে কাজ করা শুরু করে দেয় ।"

আর কবি রত্নদীপা দে ঘোষের লেখা এই স্বপ্নে পাওয়া কবিতাদেরকে মলাট বন্দি করে পাঠকের দরবারে নিয়ে আসছি আমরা "মিসিসিপির মেঘ" পাবলিকেশন্স। পাওয়া যাবে আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা, ২০২২ সালে। অত্যন্ত মেধাবাহী কবিতাগুলি আশাকরি পাঠকপ্রিয়ও হবে।

প্রকাশক : মিসিসিপির মেঘ,
কলকাতা - ৭০০০৭৮,
যোগাযোগ : 6291575408/
9874984169

15/11/2021
09/11/2021

Debipokhho represented by Mississippir Megh, a wonderful platform, where a bunch of shining stars sharing their innovative inventions to make this Diwali much more memorable.

প্রকাশিত হল ডঃ প্রদীপ সরকারের লেখা কাব্যগ্রন্থ "লোনা সাগরের চিরকুট " মিসিসিপির মেঘ " থেকে। জীবনের অনিবার্য ক্ষয় ,ভালবাসা...
30/04/2021

প্রকাশিত হল ডঃ প্রদীপ সরকারের লেখা কাব্যগ্রন্থ "লোনা সাগরের চিরকুট " মিসিসিপির মেঘ " থেকে।
জীবনের অনিবার্য ক্ষয় ,ভালবাসা ও অপার বিস্ময়ে জমা হওয়া স্মৃতিকথাকে কবিতার শব্দবন্ধে বেঁধেছেন ডালাসের প্লেনো শহরের বাসিন্দা কবি প্রদীপ সরকার। তিনি নিজের কর্মজগতে বিজ্ঞানের সঙ্গেই সম্পূর্ণভাবে যুক্ত সেটি বড়ো কথা নয়, বড়ো কথা হলো তাঁর নিজস্ব জগতে কবিতা সংসার করে পরিপাটি করে। তাই যখন তিনি লেখেন, “হৃদয় ছোঁবোনা তোমার ইচ্ছে না হ’লে”
“বসন্ত পোড়ে মহুয়ায় ... তুমি কথা দাও। “
কিংবা যখন লিখছেন...
“দাঁড়িয়ে আছি চন্দ্রালোকে, চাঁদ তো কিছু বলছে না। “
“একটু যদি আগুন পেতাম নাব্য নদীর ধারে”।

আহা! কী অবিনশ্বর সংলাপ যেন উড়িয়ে দিচ্ছেন লেক থেকে ভেসে আসা বায়বীয় তরঙ্গে...
কখনওবা একা একা ল্যাপটপে টাইপ করছেন সঘন এক একলা রাতে...
“নি:ঝুম রাত, একটি দুটি তারা,
এমন রাতে বাইরে কেন তুমি? “

“দেখেছিলেম গোখরো সাপের ফণা
উজ্জ্বল চোখ – বিনয়মুদ্রা ভরা।“

“তোমার আঁধারে রৌদ্র বাঁধবে ঘর,”

“এখন তুমি মগ্ন আছো অন্য প্রেমের সুখে,
তাই বিরহী মনে আমার দাবানলের আগুন
সেঁকা চলছে। “

আমি এই শব্দবন্ধগুলোর সামনে নত হয়ে বসি। কবির আরও কিছু আন্তরিক ভাষ্য তুলে নিয়ে আসি বইয়ের অন্দরে...

“আমার হয়ে রোজ বিকেলে আসিস।
তুমি বলে ডাকবো ভাবছি আজ।"

“চাঁদ নেই তাই আজ নির্জনতা রেখে, তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরে আসি।“

“তোমাকে একটা সকাল পাঠাবো
কাল’কে ...
নদীর জলেতে ভেজানো থাকবে
রৌদ্র। “

“ঘোড়াকে ছোটাও, মন দিগন্তে ভাসো,
নিরাপদ জেনো এ সাঁতার সীমানাহীন।“

“ছেঁড়া মেঘ সরিয়ে রেখে আশ্বিনের রোদে
আজ বিকেল থেকে নদীর কূলে বসে অস্ত গোধূলি দেখবো দু’জনে। “

“রাগে জ্বলে ওঠে শুকনো দাহ্য তূষ।“

“তখন আলো পিছলে আস্তে করে সরে যাচ্ছিল চাঁদ -
আর মেঘ পিছলে অভিমান। “

এমনি সব শব্দতরঙ্গে ভেসে যায় কবিতার অবয়ব, ট্রিনিটি নদীর জলে ভাসে যার ছায়া...

“চকিতে নিখোঁজ হৃদয়ে বাঁধব ইচ্ছা –
রোদ ফিকে হ’লে ঢালবো আগুনে উল্কা। “

“বসন্ত হারালেও গর্তের জলে কেঁপে উঠছে চাঁদ,
মধুচন্দ্রিমা থাক ... তোমার কথাটা বলো ...
পাখিরা বাউল হতে পারে, তুমি পারোনাকো?”

“আমার বুকের মধ্যে আছে কিছু দুষ্প্রাপ্য ভুল..." অথবা

“দুর্জয় ও যুদ্ধপীড়িত
পাখির ডানার মতো ডানা উঁচিয়ে চলো ... “

কবি প্রদীপ সরকারের চূড়ান্ত কিছু বাছাই করা পংক্তি তুলে ধরলাম আপনাদের কাছে। তাঁর মধ্যে আছে এক অসীম কবিত্ব, যা অনবরত লিখিয়ে যায় তাঁকে।
কবি ড: প্রদীপ সরকার বিদেশে নিজেকে স্থায়ী বাসিন্দা করলেও বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতিকে এখনও লালন করেন হৃদয়ের মণিকোঠায়। বায়ো কেমিস্ট্রি নিয়ে পোস্ট ডক্টরেট করার পরে যোগ দেন আমেরিকার ডালাসের পার্কার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর হিসেবে। তাঁর একমাত্র ছেলে নিজের কর্মজীবন ও শিক্ষার কারণে টেক্সাসে থাকে। তাই এই একার জীবনে তিনি কবিতায় মগ্ন হয়েছেন আরও গভীরভাবে। লিখেছেন অজস্র কবিতা। মাঝেমধ্যে কলকাতার বিভিন্ন পত্রিকায় কবিতা প্রকাশ করলেও, কবিতার বই হিসেবে এটিই তাঁর প্রথম গ্রন্থ।
"মিসিসিপির মেঘ "থেকে আসন্ন কবিতার বই "লোনা সাগরের চিরকুট " এ কবি প্রদীপ সরকার অত্যন্ত আধুনিক বাংলা শব্দের প্রয়োগ করেছেন। এই বইয়ের প্রতিটি কবিতাই মনোগ্রাহী ও বাঙ্ময়।

কবি উদাস দৃষ্টিতে দেখে যান ম্যাপেল বনের ফাঁকে ফাঁকে একলা বয়ে যাওয়া ট্রিনিটি নদীর নীল ঢেউয়ের ওঠা নামা। ব্লু জে, রেড কার্ডিনাল পাখিরা ঠোঁটে করে নিয়ে আসে অম্লান শব্দবন্ধের খড়কুটো। কবি মাটিতে কবিতার বাসা বানান... আর জীবনের এইসব মুহূর্তরা যখন ক্রমশ আরও সামনে আসতে থাকে কবি লেখায় এঁকে ফেলেন মেঠো চাঁদ, নদীর অববাহিকা, মোহনা থেকে আশ্চর্য সমাপতন সমুদ্রের মতো জীবনের আন্তঃসম্পর্কগুলোকে।
কবি প্রদীপ সরকার একা একাই গড়ে তুলেছেন কবিত্বের বিশাল সাম্রাজ্য। আমাদের "মিসিসিপির মেঘ " থেকে তাঁর কবিতার বইটি প্রকাশ করার সুযোগ পেয়ে আমরা আনন্দিত।
আমাদের পরিবারের এই হাসিখুশি সদস্যকে আমরা উষ্ণ অভিনন্দন জানাই...

যাঁরা এই বইটির কিনতে চান তাঁরা যোগাযোগ করতে পারেন 6291575408. এ আমার সঙ্গে।

আফ্রিকা  কান্ডের পরে বেণী আর তথাগতের নেক্সট ডেস্টিনেশন পৃথিবীর ক্ষুদ্রতম দেশ নউরু। প্যাসিফিক মহাসাগরের বুকে ছোট্ট সুন্দর...
30/04/2021

আফ্রিকা কান্ডের পরে বেণী আর তথাগতের নেক্সট ডেস্টিনেশন পৃথিবীর ক্ষুদ্রতম দেশ নউরু। প্যাসিফিক মহাসাগরের বুকে ছোট্ট সুন্দর একটি আইল্যান্ড নউরুতে তারা কেন ছুটে গেলো! কীসের খোঁজে! নউরুতে কি কাণ্ড হল। আর সেখান থেকে নেপালের লুম্বিনীর বুদ্ধ মনস্টারেই বা আবার বিপরীতমুখী জার্নি কেন করলো? সেই রহস্যময় জাপান দেশের মানুষটি কি করেছিল? আর এতসব কিছুর সঙ্গে লিউসিপাসের অ্যাটমিক থিওরির কি সম্পর্ক?
এত্তসব জটিল প্রশ্নের উত্তর এবং বেণী, তথাগতের গোয়েন্দাগিরির চমকপ্রদ গল্পটি জানতে, পড়ে নিতে হবে "মিসিসিপির মেঘ " পাবলিকেশনের পরবর্তী নিবেদন "নউরু থেকে নেপাল " রহস্য উপন্যাসটি। বই বাজারে খুব তাড়াতাড়িই আসতে চলেছে সুবীর রায়ের লেখা রহস্য উপন্যাস "নউরু থেকে নেপাল "...

প্রিবুকিং চলছে।
কন্টাক্ট করুন 6291575408 নম্বরে।

প্রচ্ছদ শিল্পী : সিদ্ধার্থ চট্টোপাধ্যায়

 #গ্রন্থালোচনা  #কাব্যগ্রন্থ_মেঘের_মলাট #কবি_শমিতা_রায়_চক্রবর্তীহাতে পেয়ে গিয়েছি বেশ কিছুদিন আগেই । পৃথিবীর ভীষন অসুখ...
30/04/2021

#গ্রন্থালোচনা
#কাব্যগ্রন্থ_মেঘের_মলাট
#কবি_শমিতা_রায়_চক্রবর্তী

হাতে পেয়ে গিয়েছি বেশ কিছুদিন আগেই । পৃথিবীর ভীষন অসুখের মনখারাপ করা দুপুর গুলোতে সবকাজ সারা হলে বুকের ওপর কবিতার বই খানা রেখে শুয়েও থাকছি দিন কয়েক ধরেই । কিন্তু পড়ে উঠতে পারি নি একটা লাইন ও । সংবাদ পত্র , সোস্যাল মিডিয়ায় শুধু চারিদিকে মৃত্যু মিছিল , সংক্রমণের ভয় , অসুস্থ মানুষের পরিজনের অসহায়ত্বের বাস্তব খবরের নীচে চাপা পড়ে থেকেছে আমার অসহায় মনটা । কিছুতেই সেই নেগেটিভিটিকে অতিক্রম করে পড়ে উঠতে পারি নি একটি বর্ণ ও । কিন্তু সেদিন হঠাৎ জোর করেই পড়ে ফেললাম মেঘের মলাটের বেশকিছু কবিতা ।মুহূর্তে আমার অশান্ত , ক্লান্ত, ভীত , সংশয় পূর্ণ মনটাতে শুশ্রূষার প্রলেপ লাগলো ।

কবিতা শিল্পের সুক্ষ্মতম এক অধ্যায় । কবি সৈয়দ শামসুল হকের মতে কবিতা হচ্ছে " সর্বোত্তম ভাবের সর্বোত্তম শব্দের সর্বোত্তম প্রকাশ ।সর্বোত্তম ভাবের সাথে সর্বোত্তম শব্দের ব্যবহারই পারে সর্বোত্তম কবিতা সৃষ্টি করতে । "

আমি জানি না আদৌ কোন কবিতার বই য়ের সমালোচনা করার যোগ্যতা আমার আছে কি না তবু মেঘের মলাটের কবিতা গুলো পড়তে পড়তে আমার অনুভূতি টুকু প্রকাশ করার স্বাধীনতা আছে ধরে নিয়েই এটুকু লিখতে পারি, কবি শমিতা রায় চক্রবর্তীর ব্যবহৃত শব্দ বন্ধের যথোপযুক্ত ব্যবহারে প্রতিটি কবিতাই ভীষন ভাবে স্পর্শ করে যায় হৃদয়ের বিভিন্ন অনুভূতিকে । কখনো উদাস হয়ে যায় মন , কখনো যেনো নীরবে শুশ্রূষা করে চলে ক্লান্ত পরিশ্রান্ত মনের , কখনো স্বপ্ন দেখায় , কখনো অতীত ছুঁয়ে জাগায় অদ্ভুত নস্টালজিয়া , কখনো ব্যর্থ প্রেমের একটুকরো মন খারাপ সঙ্গী হয় অজান্তেই । কখনো গতানুগতিক দাম্পত্যের মধ্যে আলগা হয়ে যাওয়া গিঁটের নীবর দূরত্ব প্রকট হয়ে পড়ে । কি অবলীলায় কবি যখন লেখেন " যে গিঁটগুলো আলগা হয়ে গেছে , ইদানিং সেগুলো কে আর জোর করে আঁটার চেষ্টা করি না " (কবিতা _ বন্ধনহীন )। আবার অনাহূতের মেঘকাব্যে নামক কবিতায় লিখেছেন " বিসর্জনের ভারী বাতাসে ঢেকে গেছে বোধনের মন্ত্র " এমন পরিনত শব্দ গুচ্ছের সমাহারে যে সর্বোত্তম ভাব সৃষ্টি করেছে তার তুলনা আর কিই বা হতে পারে ?
অথবা নেহাতই " ছুটির পরে ছুটি আসে
দিন চলে যায় ,মাস চলে যায়
বছর ঘোরে ক্যালেন্ডারের পাতায় পাতায়......
ঝাঁকড়া চুলের গভীর চোখের কেউ আসেনা
পাশের বাড়ি "
এমন অনায়াস শব্দগুচ্ছে কি অবলীলায় ব্যর্থ প্রেমের হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়া কটি লাইন । অথবা " এ কোন জাদু " কবিতার " সন্ধ্যে ফিরে গেছে বহুদিন ডেকে ডেকে
এখানে এখন অনন্ত বিকেল "
মাত্র কয়েকটি শব্দের অভিঘাতে যে অনুরণন জাগায় হৃদয়ে তার তুলনা কোথায় ?

বইটির বিশেষত্ব হলো প্রতিটি কবিতাই সুনির্বাচিত , সুললিত এবং নানা ভাব সমন্বিত । একই ধরনের অনুভুতিকে প্রাধান্য না দেবার জন্য একঘেয়েমি কোথাও ছুঁতে পারেনি মেঘের মলাট কাব্য গ্রন্থ টিকে । কোন কবিতায় বিষন্ন হয়ে যাওয়া পাঠক মন পরের কবিতায়ই উজ্জীবিত হয়ে ওঠে । কবির নিজস্ব কিছু অদ্ভুত সুরেলা শব্দ গুচ্ছ রিনরিন করে বাজে বুকের ভেতর বেশ কিছুক্ষণ । সুন্দর প্রচ্ছদ , যথার্থ নামকরণ এবং উৎকৃষ্ট কাগজে প্রিন্ট হবার জন্য বইটি সুখপাঠ্যের সাথে নয়নাভিরাম ও বটে । সেজন্য মিসিসিপির মেঘ কে ধন্যবাদ জানাতেই হয় ।

ধরার এই দুঃসময়ে প্রতিটি মানুষই যখন শারিরীক বা মানসিক ভাবে অসুস্থ, বিপর্যস্ত তখন নিশ্চয়ই করে পড়ে দেখতে পারেন এই কাব্যগ্রন্থটি । মনের শুশ্রূষা হবেই হবে ।না না এ রোম পোড়ার সময় নিরোর বেহালা বাজানোর বিলাসিতা নয় । এ যে আবশ্যিক , এ যে শাশ্বত । ধ্বংসের ,জরার পরই তো সঞ্চার হয় আবার নতুন প্রানের , নতুন আশার । অপেক্ষা শুধু একটা নতুন ভোরের । এই কঠিন সময় টুকু আসুন সবাই ভালো থাকি । সাবধানে থাকি। নেহাত প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে না যাই । আর সোস্যাল মিডিয়া , সংবাদপত্র, দূরদর্শনের পাশাপাশি বইকেও জায়গা করে দিই আমাদের প্রাত্যহিক জীবনের আবশ্যিক অনুসঙ্গ হিসেবে । এমন বন্ধু আর কে আছে !

বইটি পাওয়া যাচ্ছে "লালমাটি প্রকাশনে। ৩ শ্যামাচরণ দে স্ট্রীট । কলেজ স্ট্রিট ০৩৩২২৫৭৩৩০০। এছাড়াও পাবেন বইঘর অনলাইনে এবং বইক্যাফেতে ।

আলোচনা করলেন বর্ণালী মিত্র

**********************************************

"মশলারাজ্য " কাজী জহিরুল ইসলামের ২৬ তম কবিতার বই। কবি যখন লেখেন,  "এই শহরে আমি তো এক/ কাচের ঘরে সাজিয়ে রাখা বিনিদ্র বনস...
30/04/2021

"মশলারাজ্য " কাজী জহিরুল ইসলামের ২৬ তম কবিতার বই। কবি যখন লেখেন, "এই শহরে আমি তো এক/ কাচের ঘরে সাজিয়ে রাখা বিনিদ্র বনসাই" তখন পাঠকের চোখে ধরা দেয় আটপৌরে শহুরে জীবন। এখানে স্বপ্নের চেয়ে বিস্তৃত হতাশা। 'মশলারাজ্য' কবিতায় কবি লিখেছেন, "কাঁচা-হলুদমারি গ্রামের পাশে যে বিনম্র তুলসী নদীর বুক,/ ওখানে ভেজাবো আমাদের দূরগামী পা, সন্ধ্যায়।/ আমরা দুজন পরস্পরের শীতের কাঁথা হয়ে/ শুয়ে পড়বো নিস্তব্ধ লবঙ্গগন্ধায়"। এই উচ্চারণের মধ্যে গ্রাম বাংলা উঠে এসেছে নতুন এক দ্যোতনা নিয়ে, ভিন্ন নান্দনিকতা নিয়ে। "জল কাদা ভেঙে যে উঁচুতে এসে দাঁড়ালাম সেখানে তিনটি রাস্তা,/ সাপুড়ের ঝাঁপি থেকে নেমে গেছে তিন দিকে।" সাপের কথা না উচ্চারণ করেও তিনি আমাদের বলে দেন রাস্তা তিনটি সাপের মতো এঁকেবেঁকে ছুটে গেছে। শুধু কি এঁকেবেঁকে? পথে পথে ছড়ানো থাকে বিপদ... ওঁৎ পেতে থাকে সাপ, কিন্তু যখন রাস্তাটাই সাপ হয়ে যায়, তখন? অল্প কিছু শব্দ, কী যেন শুনিয়ে গেল খুব গোপনে... কোথায় যেন নিয়ে গেল!

এই গ্রন্থে আছে পরিণত চিন্তার স্ফুরণ। একদিন গভীর রাতে একটি লাল অ্যাম্বুলেন্স এসে তার স্ত্রীকে নিয়ে যায়। পুজো বা প্রার্থনা নয়, তিনি বসে পড়েন কাগজ কলম নিয়ে। লিখতে থাকেন অসাধারণ সব প্রেমের পঙক্তিমালা। ঠিক ওই মুহূর্তে অসুস্থ স্ত্রীকে নিয়ে রচিত দশটি কবিতা সন্নিবেশিত হয়েছে এই গ্রন্থে যা কবির প্রেম ও মানবিক বোধের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। নানান স্বাদের অর্ধশত কবিতার এক অনবদ্য গ্রন্থ "মশলা রাজ্য"। এই মুহূর্তে বাংলা ভাষার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কবি কাজী জহিরুল ইসলাম, ক্রিয়াপদহীন কবিতার জনক হিসেবে যিনি ব্যাপকভাবে সমাদৃত। তার ‘মশলারাজ্য’ প্রকাশ করতে পেরে "মিসিসিপির মেঘ" এর আড়ালে চলে যাওয়া নক্ষত্রলোক আলোকিত হলো। যিনি নিউইয়র্কে থেকেও তাঁর কবিত্বের প্রভা ছড়িয়ে যাচ্ছেন বিগত তিনটি দশক ধরে। আমরা আনন্দিত, উচ্ছ্বসিত জহিরুলদার "মশলারাজ্য" কাব্যগ্রন্থটি "মিসিসিপির মেঘ" থেকে প্রকাশ করতে পেরে।

সমৃদ্ধ হলাম প্রিয় কবির প্রাঞ্জল লেখায়... আরেক কালজয়ী কবির ভাষায় বলি,"যতদূর বাংলা ভাষা, ততদূর বাংলাদেশ।" ভাষার কোনও দেশ নেই, পক্ষিরালয়ের মতোই। যেখানে সে ভাষা বলতে শুরু করা হয়, সেখানেই ভাষা তার শব্দবন্ধে
জয় করে নেয় যত সাম্প্রদায়িকতাকে। কাঁটাতারের এত ক্ষমতা কোথায় বাংলাকে আলাদা করবে! তাই আমরা আজও একই বৃত্তে একই সঙ্গে উচ্চারণ করি রাম ও রহিমকে। কোনও আগ্রাসনই যথেষ্ট নয় বাংলা সাহিত্য জগতকে দখল করার জন্যে। প্রতিটি ভাষার অক্ষর শ্রমিকদেরকে আমাদের আভূমি প্রণাম।

যাঁরা কবির বইটি কিনতে চান, তাঁরা 9874984169/6291575408 নম্বরে জানাতে পারেন
বুকিংয়ের জন্যে।
শুভেচ্ছা জহিরুলদা।

নতুন বছরে "মিসিসিপির মেঘ" থেকে প্রকাশিত হল "পরমা " উপন্যাসটি। ঔপন্যাসিক Nilmani Dey পূর্ববাংলা থেকে ভিটেমাটি ছেড়ে স্বাধ...
30/04/2021

নতুন বছরে "মিসিসিপির মেঘ" থেকে প্রকাশিত হল "পরমা " উপন্যাসটি। ঔপন্যাসিক Nilmani Dey পূর্ববাংলা থেকে ভিটেমাটি ছেড়ে স্বাধীন ভারতে আগত ছিন্নমূল বাঙালি মানুষদের জীবনের উত্থান পতন, প্রেম বিরহ ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট নিয়ে লিখেছেন উপন্যাস "পরমা"। লেখক নীলমণি দে'র কথায় উপন্যাসটি লিখতে গিয়ে লেখকের ব্যক্তিগত জীবনের ছায়াপাতও হয়েছে। কারণ তিনি নিজেও সেইসময়ের একজন জীবন্ত সাক্ষী।
নীলমণি দে 'র এই উপন্যাসটি একটি বিশেষ সময়ের দলিল। আমাদের পূর্ব নারী ও পুরুষেরা কতটা অমানবিক অসহায় পরিস্থিতির শিকার হয়েছিলেন তাঁর বিশদ করুণ বর্ণনা এই বইয়ে নীলমণি দে তুলে ধরতে আপ্রাণ চেষ্টা করেছেন এবং সফলও হয়েছেন একটি ইতিহাসকে উপন্যাসের আঙ্গিকে প্রকাশ করতে।

আমরা ধন্য এমন একটি উপন্যাস প্রকাশ করার সুযোগ "মিসিসিপির মেঘ " পেলো বলে।
ত্রিপুরার সম্মানিত লেখক নীলমণি দে কে আমাদের আন্তরিক অভিনন্দন ও শ্রদ্ধা জানাই। দেশভাগ ও সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার বিরুদ্ধে লেখকের মতো সকলেরই সোচ্চার হওয়া দরকার। লেখককে "মিসিসিপির মেঘ "এর পক্ষ থেকে এমন একটি উপন্যাস লেখার জন্যে সাধুবাদ দিই।
আমরা সবাই যুদ্ধবিরোধী একটি শ্লোগান একবার উচ্চারণ করতেই পারি। পারি না কী আমরা!
"আর যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই।"

বইটি পেতে হলে যোগাযোগ করতে পারেন বুকমার্কারসে। নম্বর 6291575408

এই অসামান্য প্রচ্ছদটি এঁকেছেন শিল্পী Rajdeep Puri। তাঁকে আমরা শুভেচ্ছা জানাই।

দেখতে দেখতে ৩৪ বছর পার হয়ে গেল কবি কাহ্ন জাতিস্মরের প্রবাসে অবস্থান।  প্রবাস জীবনে সবচেয়ে দীর্ঘ তিনি রয়েছেন জার্মানিতে। ...
30/04/2021

দেখতে দেখতে ৩৪ বছর পার হয়ে গেল কবি কাহ্ন জাতিস্মরের প্রবাসে অবস্থান। প্রবাস জীবনে সবচেয়ে দীর্ঘ তিনি রয়েছেন জার্মানিতে। কবি একলা ঘরে, রাস্তায় ভেবে যান, "জার্মানি কী দিল আমাকে আর কীইবা নিল আমার কাছ থেকে? নিউটনের তৃতীয় সূত্র অনুযায়ী কেউ শুধু দিয়ে যাবে তাতো নয়। যে দেবে সে সমান মাপ বা ওজনের কিছু নিয়েও নেবে। এক্ষেত্রে দেনা পাওনাটা সমান হবার কথা। যা হোক ! সব ক্ষেত্রে বিজ্ঞান হয়তোবা নাচার।
তিনি মুক্তকণ্ঠে বলে যান,"আমার বয়স ছাড়া জার্মানি আমার কাছ থেকে আর তেমন কিছু কাড়তে পারে নি। না , ভুল আমি। আরো কিছু কেড়েছে অথবা হয়তো আমি নিজেই দেনা পুষিয়ে ছেড়ে এসেছি--সেই বিষয়টা থাকুক। বরং মেলানো যাক কি কি দিল জার্মানি।
বলে রাখি—এখানে আমার স্বেচ্ছা দন্ডকারণ্য হয়েছিল বছর পাঁচেকের। আগে ইয়োরোপে বেড়াতে এলে বিশেষ করে সুইজারল্যান্ড অথবা জার্মানিতে এলেই প্রকৃতির অফুরন্ত সবুজ আমাকে টেনে ধরে রাখতে চাইতো। এক সময় ভেবেও রাখলাম, বুড়ো হলে এদিকটায় এসে এক নাগারে দীর্ঘ সময় কাটিয়ে যাব এই মন কেমন করা প্রকৃতির মাঝে। অবশ্য অতো বুড়ো হতে হয়নি আমাকে। প্রকৃতি একদিন সুযোগ মতো আমাকে এখানে নিয়ে এল নিজেই। "
বুঁদ হয়ে রইলেন পাঁচটি বছর এক স্বর্গের ভিতর একদম একাকী। বনের ভিতর হরিণ খেলে বেড়ায় যেমন, তারা তাঁর উঠোনেও চলে এসে বন্ধুত্বের আগ্রহ দেখায়। পাখিরা দল বেঁধে গানে গানে ঘুম পাড়িয়ে যেমন দেয় তেমনি গানে গানে জাগিয়েও দেয়। সেই বনের ভিতরে অবয়বহীন কাল্পনিক প্রেমিকার সিঁথির মতো সরু নদীটি বয়ে গেছে নেচে নেচে। তার নাচের মূদ্রায় মুগ্ধতা রেখে অপার্থিব এক জীবনের দর্শন পেলেন যেন কবি !

বনের পাখিদের সঙ্গে মিতালি হল, ঘাসফুলদের সঙ্গে প্রেম হল। তিনি মজে রইলেন প্রজাপতিদের ভিড়ে। এই বন তাঁর ভিতরে আবার কবিতা এনে দিল। কবিতার চাষ করে দিল বুকের পতিত জমিনে। দীর্ঘ দুই যুগ পর তিনি আবার কবিতা লিখতে শুরু করলেন। জীবনের সকল কিছু ভুলে তিনি যেন এবার নিজেকে নিজের মতো করে ফিরে পেতে শুরু করলেন।
কবি বলছেন ...
"অনেক কথা, অনেক অনেক কথা। এতো সব কথা বলে শেষ করা কঠিন।
আজ বছরের শেষ দিকে এসে সেই বনে ফেরার ব্যাকুলতা অনুভব করছি। স্মৃতিকাতর হয়ে পড়ছি খুব। সময় পেলে একবার যাব সেই সবুজে ঘেরা স্বর্গটি দেখতে।
চৌত্রিশ বছরের প্রবাসে জার্মানি বাদ দিলে কোথাও দুই, কোথাও চার কোথাও বা পাঁচ বছরের বেশি এভাবে থাকা হয়নি। এক চূড়ান্ত বোহেমিয়ান মানুষ আমি। কোথাও পা এভাবে আটকে যায়নি কোন শিরিষ তলায়। অবশ্য দন্ডকারণ্য বা বনবাস বোধ হয় এরকমই ছিল আগের দিনেও। দীর্ঘ দিন অতিবাহিত হলে তবে দণ্ড যাপন শেষ হতো।"
সমস্ত কবিতার পরখ যদি সেই মায়া সভ্যতার ম্যাজিক স্টিক করে, তবে হলফ করে বলতে পারি কাহ্ন জাতিস্মর এই পরীক্ষায় পাশ করে গেছেন অনায়াসেই। পাঠকের দরবারে আমরা "মিসিসিপির মেঘ" পাবলিকেশন নিয়ে এলাম তাঁর লেখা অসামান্য কবিতার বই "কোথাও কোন আকাশ নেই "।আপনারা পড়ুন। জানি পড়লে নিরাশ হবেন না। তাঁর লেখা পড়েই চিনে নেয়া যায় মানুষটির আত্মদর্শন। সারস্বত মাটির পরশে শাখা প্রশাখা মেলেছে অজস্র নামের কাব্যবৃক্ষ।

শেষ পাতে একটুখানি মধুর ডেজার্টের মতো কবির একটি কবিতা রাখলাম ...

"যেদিকে আলো বেশি সেদিকেই ঝুঁকেছে ডালপালা
এ এক দূর্বিনীত সংশ্লেষের তাড়া, বাঁকল শুদ্ধু বাঁক
সোজা কোন বৃক্ষ তুমিই কি দেখেছো ?
সোজা কোন পথ?
সোজা কোন নদী কখনোই কি ছিল পৃথিবীর সমতট দেহে...

এই যে এতো আলো আলো করো
জলের শরীরে এলে সেও তো স্বভাবে থাকে না।

সোজা কোন বৃক্ষ নেই
সোজা কোন নদী নেই
সোজা কোন পথ নেই

খোদার কসম করে বলি !
পৃথিবীতে আজো কোন সিরাতুল মুস্তাকিম দেখি নি আমি।

নদীও নারীর মতো
নারীও গন্তব্যের মতো
আঙ্গিনার বৃক্ষটিও তাই...
দশদিক মেলে ধরা আহ্লাদের শাখা
পথকেও এদিক সেদিক নিতে হয় বাঁক...

নদীরও অভিন্ন স্বভাব।
ভিজিয়ে আসতে হয়
দিকে দিকে ডাঙ্গার ফাটল,পিপাসা ও মাটির বোতল..."

এই অসামান্য প্রচ্ছদটি এঁকেছেন শিল্পী Rajdeep Puri ...

আপাতত বইটির প্রিবুকিং করতে পারবেন "Bookmarke'rs" থেকে। নিজের নাম, ঠিকানা সহ যোগাযোগ করবেন what's app নম্বর 9874984169
6291575408

Address


Alerts

Be the first to know and let us send you an email when মিসিসিপির মেঘ -পাবলিকেশন. MississippirMegh posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to মিসিসিপির মেঘ -পাবলিকেশন. MississippirMegh:

Videos

Shortcuts

  • Address
  • Telephone
  • Alerts
  • Contact The Business
  • Videos
  • Claim ownership or report listing
  • Want your business to be the top-listed Media Company?

Share