04/09/2023
গতকাল ট্রেনে এদের অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে এই পোষ্ট টি করতে বাধ্য হলাম।প্রচুর শেয়ার করুন যাতে এরা এমন আর কারো সাথে না করতে পারে।
আমার মতে কাওকে কিছু দান করা সম্পূর্ণো নিজের ব্যক্তিগত। কিন্তু গতোকালেরই ঘটনায় অন্য কিছু প্রমান করলো। সকাল ১০.০০ টার গেদে লোকাল ধরে আমি আর আমার হাসব্যান্ড শেয়ালদহের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে ছিলাম একটু। কাজের সূত্রে রবিবার ছাড়া বাকি দিন কোথাও বেরোনোর উপায় থাকে না, তাই গতকালকের দিন টাই আমরা বেছে নিয়েছিলাম। তো যথারীতি খোস মেজাজে দুজন বাড়ি থেকে বেরিয়ে পরি। ট্রেনটা রোজ দিন কার তুলনায় একটু ফাকা থাকলেও বসার সিট ফাকা ছিল না। উঠে কোনো রকম দাড়িয়েও সারতে পারিনি খুব কাছ থেকেই শুনলাম হাতে তালির আওয়াজ। বুঝতেই পারছেন কাদের কথা বলছি,বিহন্বলা / তৃতীয় লিঙ্গর ব্যক্তি । স্বভাবত ও পেশাগতভাবে এরা যে কাজটা ট্রেনে/ বাসের মধ্যে বেছে নিয়েছে তাতে বেশীর ভাগ যাত্রীরাই বিরক্ত । ঘটনা ঘটে যখন ওদের মধ্যে একজন এসে আমার হাজব্যান্ড এর কাছে এসে হাজির হয়। এদের স্বভাব মতো এরা এদের বুলি "এ হিরো কিছু দিয়ে যা " দিয়ে শুরু করলো। সবে উঠে দাড়াতে উব্দী পারিনি তাতে এসে হাজির, তার উপর কোথাও যাওয়ার সময় 2 টাকাও কখনো আসার পথে কম পরে যায়, এমনটা হয়তো আমাদের মতো নিম্ন মধ্যবিত্তদের সাথে হয়নি এমন কম লোকই আছি, আসার পথে ভিক্ষা/দান করা ওতোটা ভাবায় না, যতোটা যাওয়ার পথে ভাবায়। তো যাই হোক আমার হাজব্যান্ড প্রথমে হেসেই মানা করে, মানা করার পর শুরু হয় ওদের মুখের কুরুচিপূর্ণ বুলি। এদিকে আমি ছিলাম অন্য সাইডে ওদের মধ্যে আর একজন তখন আমার কাছে হাজির।রাস্তা ঘাটে বেরোলে যেদিন এদের সাথে দেখা হয় ট্রেনে এমন অনেক কম দিন গেছে যে এদের আমি টাকা দিয়নি। তো আমি আর একজন, যে কিনা আমার হাজব্যান্ড -এর সাথে কথা কাটকাটি করছিল, তাকে ডেকে এটুকু বলি যে - আমি এই মাসীকে দিচ্ছি। তাতে যেন ওই ব্যক্তি রেগে গেল আরও বেশি, বলতে লাগে বাজে ভাবে ও মাসী আমি কি পিসি যে আমাকে দেওয়া যাবে না। আমরা এখনও উব্দী যা দেখেছি তাতে ওরা দুই দিকে ভাগ হয়ে ই কালেকশন করে, কিন্তু কালকে একজন কে দেওয়ার পর আরেক জন চড়াও হয়ে ওঠে আমাদের প্রতি, জোর করেই যেন ছিনিয়ে নেবে। আর সাথে শুরু করল বাজে ভাসায় গালি গালাজ, ওর কথায় স্বাভাবিক ভাবেই যে কোনো কেউ ই রেগে যেত, যথারীতি আমার হাজব্যান্ড ও রেগে গিয়ে যখন ভাষা ঠিক করে কথা বলার জন্য জোরে বলে ওঠে, ওই ব্যক্তি হাতাহাতিতে নেমে যায়, সবাই মিলে ওই ব্যক্তি কে বকে নামিয়ে দিলেও,আমার হাজব্যান্ড এর হাতে চোট লেগে ফুলে যায়, এখনও উব্দী সেই ব্যাথা আর ফোলা কমেনি।। কোথাও যাওয়ার সময় এমন অত্যাচার কার ভালো লাগে আপনারাই বলুন। পুরো যাত্রা টাই অশুভ করে দিল বাজে ভাষায় ।। যাত্রা পথে এমন অমানুষিক ব্যবহার কার ভালো লাগে আপনারাই বলুন। এদের ব্যবহার এমন যেন সারাদিন খাটাখাটনি করে ইনকাম এদের জন্যই করি আমরা,এসে চাওয়া মাত্রই বের করে দিতে হবে,নয়ত রাগ দেখতে হবে। বিশেষ ভাবে ছেলেদের ওপর এদের অত্যাচার টা বেশি। ঘরের বউ এমনটা করার সাহস পায়না যতটা এরা দেখায়। অনেকেই কাল রেল কতৃপক্ষকে এদের ব্যাপারে complain করতে বলেছে, সকলেই এদের অত্যাচার এ অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে।
আমাদের সকলের আস্কারা তেই আজ এদের এত বারবারন্ত, এরাও আমাদের আপনাদের মতোই মানুষ, তাই এদের শুভ বলা ছাড়ূন, এরা এতোই যদি শুভ তবে এদের বৃত্তি কেন ভিক্ষাবৃত্তি? সমাজ এদের মেনে নেয়নি তাই নয়, এরাই সমাজে নিজেদের মানিয়ে নিতে রাজি নয়। তাহলে তো খাটনি করতে হবে এদের ও, আপনার আমার মতো। গায়ে হাওয়া লাগিয়ে সেজে গুজে হাত পাতলেই যখন টাকা ইনকাম করা যায়। তখন কে কাজ করে?
আগে যখন সমাজে এদের তেমন ভাবে কেউ মেনে নিতো না, পেট চালানোর জন্য এদের ভিক্ষাবৃত্তি বেছে নিতে হয়েছিল, কিন্তু এখন তো সেই দিন নেই, তৃতীয় লিঙ্গের বহু ব্যক্তি উচ্চ পদস্থ সরকারি, বেসরকারি বহু ক্ষেত্রে আছেন, কিন্তু কিছু ,কিছু বললে ভুল হবে বহু এমন ঘুরে বেড়াচ্ছে যারা কোনো কাজ না করেই ইনকাম করবে বলে পুরোনো বৃত্তি টাকেই চালিয়ে যাচ্ছে। আমরাই এদের সাহায্য করতে করতে এদের লাখপতি বানিয়ে দিচ্ছি, তাতে এদের দাবি বেরেই চলছে, রাস্তা ঘাট, ট্রেন- বাস সব জায়গায় এদের অত্যাচার, বাড়ির বাচ্চাদের নাচাতে এসে এদের দাবি আকাশ ছোঁয়া না দিতে চাইলে অভিশাপ। এদের অভিশাপের ভয়ে আপনার রক্ত জল করা টাকা এদের দিয়ে দিচ্ছেন, আর এরা ফূর্তি করে বেরাচ্ছে তাতে।
রাস্তা ঘাটে তো সকলেই এদের সম্মুখীন হয়ে হেনস্থার শিকার হচ্ছেন,ট্রেনের মধ্যে গায়ে হাত দিয়ে অশ্লীল কথা বার্তা বলে এরা সবাই কে হেনস্থা করে আসছে। প্রতিবাদ করলে গালমন্দ, এভাবে কতদিন সহ্য করব সবাই।। ট্রেনের মধ্যে আমাদের সাথে যে ঘটনা গতকাল ঘটেছে আপনাদের সাথে না হওয়ার আগে, এদের দেখলেই ট্রেন থেকে নামিয়ে দিন। যাতে আপনার সাথে সাথে বাকি দেরও যাত্রা ভালো হয় কোনো রকম বিরক্ত ছাড়া।
এদের বারবারন্ত কমাতে সকলকে রূখে দাড়াতে হবে।। চলুন না সবাই মিলে এদের বিরুদ্ধে রুখে দাড়াই। যাতে এরা ভিক্ষাবৃত্তি ছেরে কোনো কাজে যুক্ত হয়। খাটনির টাকার মূল্য এরাও বুঝুক।।
লেখাটি যত পারুন শেয়ার করুন, যাতে সকলেই এদের বিরুদ্ধে রুখে দাড়াতে পারে।।
শান্তি পূর্ণ যাত্রাই শুভ যাত্রা।।