Soham S Baanerjee

Soham S Baanerjee Nationalist || Sanatani || Devotee of Mahadev
अंतः अस्ति प्रारंभः।

25/01/2025

বেনারসে আমি। একটা প্রতিস্রুতি যেটা নিজেকেই দিয়েছিলাম। সেটা পূরণ করার পথে।

25/01/2025

Varanshi

Get ready to witness. And follow for the journey.
24/01/2025

Get ready to witness. And follow for the journey.

বিবাহ...                     লেখনী সোহম ব্যানার্জী সম্প্রতি আমার এক কাছের বন্ধুর বিবাহ হয়ে গেলো। কলেজের অন্যান্ন বন্ধুদে...
08/01/2025

বিবাহ... লেখনী সোহম ব্যানার্জী

সম্প্রতি আমার এক কাছের বন্ধুর বিবাহ হয়ে গেলো। কলেজের অন্যান্ন বন্ধুদের সাথে আবার দেখা হলো সেদিন, বেশ ভালো লেগেছিল। প্রচুর আয়োজন, অসাধারন পরিবেশ, মার্জিত, রুচিশীল আমন্ত্রিত ব্যক্তিত্ব। এসবই একটা আলাদা অনুভূতি এনে দিয়েছিলো, যেমন বেশির ভাগ বিয়ে বাড়ির অনুষ্ঠানেই হয়ে থাকে। কিন্তু এটা তো একধরনের বিবাহের প্রকার। মনুস্মৃতি তে আট রকমের বিবাহের বর্ণনা আছে। আসুন সবাই একটু মিলিয়ে দেখি, এমন ধরনের বিবাহ, আমাদের এই প্রগতিশীল সমাজে, এখনো হয় কি?

১) ব্রহ্ম বিবাহঃ এই বিবাহ কে সর্বোতকৃষ্ট বলা হয়েছে মনুস্মৃতি তে। এই ধরনের বিবাহে, সম বর্ণের দুটি পরিবারের মধ্যে বিবাহ হয়। প্রধানতঃ ব্রাহ্মণ বর্ণের পুরুষ, ব্রহ্মচর্য্য শেষ করে, গার্হস্থ্য জীবনে প্রবেশ করার প্রথম পদক্ষেপ হিসাবে এই বিবাহ কে ধরা হয়। এই বিবাহে, কন্যা, স্বামী গৃহে শুধুমাত্র দুটি পোশাক ও পরিধেয় কিছু গয়না নিয়ে প্রবেশ করবে। কোন ধন সম্পদের আদান প্রদান হবে না। কোন দেনা পাওনা নেই। এই ধরনের বিবাহে পাত্রের পরিবার, কন্যার পরিবারের কাছে বিবাহের প্রস্তাব নিয়ে যায়, এবং কন্যার পিতা, “কন্যাদান” করে থাকেন।

২) প্রজাপত্য বিবাহঃ এই ধরনের বিবাহ অনেকটাই ব্রহ্ম বিবাহের মতোই, কিন্তু কিছু পার্থক্য আছে। এক্ষত্রে, কন্যার পিতা প্রধানত, পুত্রের পিতার কাছে বিবাহের প্রস্তাব নিয়ে জান, এবং পুত্রের পিতা সেই আবেদন গ্রহণ করেন, এবং কন্যার সুরক্ষা হেতু, কন্যাকে পাত্রের সাথে বিবাহ দেওয়া হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে, “কন্যাদান” হয় না। এক্ষেত্রে হয়ে থাকে “পাণিগ্রহণ“। সবার আগে পাণিগ্রহণ অনুষ্ঠান হয়ে থাকে তারপর বিবাহ শুরু হয়।

৩) স্বয়ম্বর বিবাহঃ আমার মতে এই ধরনের বিবাহ, সব থেকে ভালো, যেখানে কন্যার পিতা, যোগ্যতা সম্পন্য পাত্রের খোঁজে, অনেক কে নিমন্ত্রণ করেন, এবং যে পাত্র যোগ্যতা প্রমাণ করতে পারেন, সেই পাত্রকেই কন্যা বিবাহ করেন। এক্ষেত্রে পাত্র, কন্যার পিতার থেকে নানান উপঢৌকন পেয়ে থাকেন।

৪) গান্ধর্ব বিবাহঃ আজকাল এই ধরনের বিবাহই বেশি দেখা যায়, যেখানে, পাত্র ও পাত্রী নিজেরা নিজেদের জন্য উপযুক্ত সঙ্গী বেছে নেন। এবং প্রধানত এই ক্ষেত্রে, দুই পরিবারের কারোর ই অনুমতি নেওয়া হয় না। বা বলা যেতে পারে, দুই পরিবার ই এই বিবাহের প্রতি অনিচ্ছুক থাকেন।

প্রথম চার ধরনের বিবাহের ক্ষেত্রে, নারীর সম্মান সে নিজে, বা পরিবার ও সমাজ ব্যবস্থার মাধ্যমে যথাযথ ভাবে পেয়ে থাকেন। কিন্তু এর পরের চারটি একদমই অন্য রকম।

৫) দৈব বিবাহঃ এক্ষেত্রে, পাত্রীর পিতা কোন নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে, যদি উপযুক্ত পাত্রের খোঁজ না পান তখন তিনি কন্যার হিতের উদ্দেশে যজ্ঞ করেন। এবং যজ্ঞের পুরোহিত এর সাথে নিজের কন্যার বিবাহ দেন। এমন ধরনের বিবাহ যজ্ঞের যখন চল ছিলো, তখন হতো।

৬) অসুর বিবাহঃ এই ধরনের বিবাহ কে আরও একটি নামে জানা যায়, আর্ষ বিবাহ, যেখানে, পাত্রীর পিতা কে নিম্ন বর্ণের কোন অনুপযুক্ত পাত্র নানান ধরনের উপঢৌকন দেয়, যাতে পাত্রীর পিতা বিবাহে রাজি হয়, এবং অনেক সময়, পাত্রীর পিতা এই উপঢৌকন গ্রহণ করে, নিজের সমৃদ্ধির জন্য এবং পাত্রীকে ঠেলে দেন অন্ধকারের অদৃষ্টে।

৭) রাক্ষস বিবাহ ঃ এই ধরনের বিবাহের ক্ষেত্রে, পাত্র, পাত্রীর পরিবারের ওপর চড়াও হয়, এবং জোড় করে পাত্রীকে অপহরণ করে নিয়ে যায়, এবং তাকে বিবাহের জন্য রাজী করায়।

কাঝাকিস্তান, উজবেকিস্তানে এই ধরনের অনুষ্ঠান আবার পালন করাও হয়।

৮) পৈশাচিক বিবাহঃ এই ধরনের বিবাহকে বিবাহ বলাই উচিত না। এটি সব থেকে নিকৃষ্ট তম বিবাহ। এক্ষত্রে, পাত্রীকে অচৈতন্য অবস্থায়, তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে, তাকে শারীরিক নির্যাতন করে, ধর্ষণ করে, বিবাহের জন্য রাজী করানো হয়, এবং জোর করে সহবাস করা হয়।

মনুস্মৃতি, প্রায় ২০০০ – ১৮০০ বছর আগে লেখা, যার বিষয়, আজকের দিনেও সমান প্রাসঙ্গিক।

08/01/2025

সনাতন সংস্কৃতি তে উপাসনা একটা অন্য মাত্রায় রয়েছে। খ্রীষ্টান, ইসলাম ধর্মের ক্ষেত্রে, গির্জা বা মসজিদ হলো উপাসনার স্থল। কিন্তু সনাতন সংস্কৃতি তে, মন্দির ঈশ্বরের নিজস্ব গৃহ। সেখানে ঈশ্বর নিজে বাস করেন। তার নিয়মিত স্নান, বস্ত্র, খাদ্যগ্রহন, এবং শয়ন সবই সাধারন একজন মানুষের মতোই হয়ে থাকে। কিন্তু এই রূপ আমরা পুরাণের সময় থেকে পেয়ে থাকি। বৈদিক মত অনুযায়ী, ঈশ্বর এর ব্যপ্তি সর্বব্যাপী। ব্রহ্মান্ডের প্রতিটি অংশে শক্তি (Energy) এবং প্রতিটি শক্তিই ঈশ্বরের স্বরূপ। প্রকৃতির প্রধান যে পাঁচটি শক্তি, অগ্নি, বায়ু, জল, আকাশ, পৃথ্বী এনারাই আরাধ্য। বৈদিক যুগের আগে থেকেই এই সুবিশাল প্রাকৃতিক শক্তিকে যজ্ঞের মাধ্যমে নৈবিদ্য নিবেদন করা হতো। রাজা, তার নিজের ইচ্ছা, আকাঙ্খ্যা, দেবতার কাছে, দুধ, ঘি, নৈবিদ্য সহযোগে নিবেদন করতেন। আহুতির মাধ্যমে সেই নিবেদন "অগ্নি"দেবের মাধ্যমে শুদ্ধ হয়ে ঈশ্বরের কাছে পৌছাতো। এবং পরিবর্তে, রাজা নিজের অভিষ্ট লাভের জন্য দেবতার কাছ থেকে বর দান পেতেন। "তথাস্তু" - অর্থাৎ তথা অস্তু, সেটাই ঘটবে, এমন বরদান ই ছিলো মূল লক্ষ্য। যজ্ঞের স্থান হতো, জনবসতির থেকে একটু দূরে। রাজা বা যজমান এর এক এক রকম আকাঙ্খ্যার জন্য যজ্ঞের নিয়ম আলাদা থাকতো। আমাদের সকল শক্তির উৎস সূর্য্য। এটা আমরা সবাই জানি। তাই বৈদিক যুগে আদিত্য বা সূর্য্যের গুরুত্ব অনেক ছিলো। প্রাকৃতিক শক্তির অসীম ক্ষমতা কে তুষ্ট করার জন্য, নিবেদনার্থে যজ্ঞের ব্যবস্থা করা হতো। যজ্ঞের পর যেখানে যজ্ঞ হয়েছে, সেই জায়গা তে আর যাতে যজ্ঞ না করা যেতে পারে তেমন ব্যবস্থা করা হতো। আর এই সব কিছুই সিন্ধু সভ্যতার সময়ে বা তার আগে।

পরবর্তী সময়ে, এই নিবেদন ধর্মী যজ্ঞ পরিবর্তন হয়েছে, আবাহন ধর্মী পুজোতে। সেখানে এসেছে, দেবতাকে অতিথি করে, আবাহন করে ঘরে নিয়ে এসে, তার সেবা করার রীতি। ততদিনে, জন সংখ্যা বেড়েছে। সিন্ধু সভ্যতার পর প্রকৃতির রুদ্র রূপ মানুষ দেখেছে। সেখানে খাদ্যের অপ্রতুলতাও সমস্যা তৈরি করেছে। এবং সেই জন্যই অগ্নির পরিবর্তে আবাহনের মূল আধার হয়েছে, বরুন, বা জল। জলের মাধ্যমেই শস্য শ্যামলা ধরিত্রীর রূপ আসে। খাদ্যের অপ্রতুলতা কমে। এবং আবাহনের মাধ্যম হয়েছে, ঘট। আমাদের সকল পুজোর আসল অংশ হলো ঘট। তার মধ্যে জল থাকে। থাকে শ্রীফল। পঞ্চশস্য। এবং এখানে প্রকৃতির শস্য শ্যামলা রূপকেই কল্পনা করা হয়। এবং এই পরিপূর্ণ রূপ যেন চিরকালীন ভাবে থাকে তারই আবাহন করা হয়। দেবতাকে ঘরে সিঙ্ঘাসনে স্থাপন করা হয়। প্রদিপ জ্বালিয়ে, সুগন্ধী ধূপ দিয়ে, আসন পেতে তাকে স্থাপন করা হয়। মন্ত্রে উচ্চারণ করা হয়। "ইহ তিষ্ট, ইহ তিষ্ট, ইহ স্থিত, ইহ স্থিত"। তার নানা কীর্তি কে মনে করানো হয়, তার 'ভজন' করা হয়, ক্ষেত্র বিশেষে, তার পাঁচালি পড়া হয়। আর ঈশ্বরের মুর্তি, নিস্পলক দৃষ্টি তে তার ভক্তের দিকে তাকিয়ে থাকেন। যেখানে ঈশ্বরের সাথে, ভক্তের "দর্শন" হয়। এবং ঈশ্বর ভক্তের অন্তরাত্মার সকল ব্যাথা, সকল যন্ত্রণা, সকল কামনা, সকল ইচ্ছার সাথে পরিচিত হন এবং তার নিবারনে সচেষ্ট হন। সেখানে দেবতা তুষ্ট হয়ে, প্রসাদ দেন। যাতে সকল মনকামনা পূর্ণ হয়। ঈশ্বর কে ঘরে স্থাপন করা যেতে পারে, অথবা মন্দিরে। সব ক্ষেত্রেই, দেবতা, তার অসামান্য ক্ষমতা সহ অধিষ্ঠান করেন। তার অধিষ্ঠানের সকল রকম ব্যবস্থা করা হয়। এখানে দেবতা আমাদের পরিবারের সদস্য। গোপাল, যিনি বিষ্ণূর অবতার, তার অধিষ্ঠান, ঘরে একজন পরিবারের সদস্যের মতো করা হয়। লক্ষ্মী প্রতিমা, ঘরে অধিষ্ঠান করা হলে, তাকে পরিবারের সদস্যের মতো, নিত্য পুজো, সন্ধাহ্নিক, সহ সকল আচার মেনে করা হয়। হিন্দু সংস্কৃতিতে ঈশ্বর আলাদা কোথাও থেকে আমাদের দোষ গুন বিচার করেন না। ঈশ্বর আমাদের মধ্যে থেকে আমাদের জীবন কে সহজ করে তোলার পথ দেখান। আমাদের দৈনন্দিন জীবনের সাথে, প্রতিদিনের আচার আচরণের সাথে, একাত্ম হয়ে জান, এবং জীবাত্মার সাথে পরমাত্মার মিলনের এক অভিনব বিষয় তৈরি হয়।

এর পরে আরো অনেক কিছু নিয়ে লেখার ইচ্ছা আছে। আপনাদের যদি আমার লেখা ভালো লাগে তাহলে শেয়ার করতে পারেন। আর কমেন্টে আপনাদের অভিমত জানাতে পারেন।

27/12/2024

হাজারদুয়ারী, মূর্শিদাবাদের ইতিহাস, কিছু মূহুর্ত।

06/12/2024

Antara Mitra Live on Kalyani Boi Utsav

https://youtu.be/wjkohdJb5vg Part 1 is released.
03/12/2024

https://youtu.be/wjkohdJb5vg
Part 1 is released.

Kedarnath Tour Videos and Experiences shared here. কেদারনাথ যাত্রার ভিডিও, আমরা গিত বছর ১৭ ই অক্টোবর এ গেছিলাম। কেমন ছিলো সেই অভিজ্ঞতা সেটাই সবার ...

সত্যিই এমন অবস্থার দিকে আমরা এগোচ্ছি??
02/12/2024

সত্যিই এমন অবস্থার দিকে আমরা এগোচ্ছি??

01/12/2024

নাহঃ আর চুপ করে থাকা যাবে না।

26/11/2024

Facebook আর YouTube এ যত Video, Reels, Shorts রোজ Upload হয়, তার বেশিরভাগই অর্থহীন, ভুলে ভরা তথ্য, আর সেটাই মানুষ অদ্ভূত ভাবে ক্রমাগত Scroll করে চলেছে।

শীত পরে যাচ্ছে আসতে আসতে। হাল্কা শীতের কাপড় পরা শুরু করলাম। রাতে ফেরার সময়ে ঠান্ডা লাগছে।
11/11/2024

শীত পরে যাচ্ছে আসতে আসতে। হাল্কা শীতের কাপড় পরা শুরু করলাম। রাতে ফেরার সময়ে ঠান্ডা লাগছে।

সকল সনাতনী বন্ধুরা, ভারতীয় জনতা পার্টির সদস্যপদ নিতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।যাদের সদস্যপদ নেওয়া হয়ে গেছে, কিন্তু কোন কারনে...
10/11/2024

সকল সনাতনী বন্ধুরা, ভারতীয় জনতা পার্টির সদস্যপদ নিতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।যাদের সদস্যপদ নেওয়া হয়ে গেছে, কিন্তু কোন কারনে Update করতে পারেন নি, তারাও এই লিঙ্কে ক্লিক করে নতুন নম্বর Update করে নিতে পারেন।
জনস্বার্থে প্রচারিত।

Join BJP Today! Become a part of the world's largest political party by giving a missed call on 8800002024.

স্বাধীনতা সংগ্রামী লাল-বাল-পাল খ্যাত বিপিন চন্দ্র পালের প্রয়াণ দিবসে শ্রদ্ধাঞ্জলি
07/11/2024

স্বাধীনতা সংগ্রামী লাল-বাল-পাল খ্যাত বিপিন চন্দ্র পালের প্রয়াণ দিবসে শ্রদ্ধাঞ্জলি

31/10/2024
30/10/2024

পঞ্চাগ্নি, পঞ্চ ভূ এর আকাশ বা নভঃ তত্ত্বের আশির্বাদ প্রাপ্তির জন্য আপনার বাড়িতেও করতে পারেন।

Address

Kalyani

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Soham S Baanerjee posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Soham S Baanerjee:

Videos

Share