22/07/2024
বয়কট অবশ্যই জরুরি। বয়কটের মাধ্যমে তাদের প্রতি আমাদের ঘৃণাকে আমরা জোরালোভাবে জানাতে পারি। আমরা বলে দিতে পারি—তোমাদের ভালো মানুষি, সমাজসেবা আর উদারতার আড়ালে থাকা ভণ্ডামি আর চক্রান্তকে আমরা ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করলাম।
ক্ষণস্থায়ী প্রতিবাদ হিশেবে বয়কট ঠিক আছে, কিন্তু এটা কখনোই দীর্ঘমেয়াদী সমাধান নয়।
তারা তাদের আদর্শ, বিশ্বাস আর মতবাদকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠা করতে না পারলে মিডিয়া হাউজ খুলবে। মিডিয়ায় ব্যর্থ হলে ফ্যাশন হাউজ নিয়ে নামবে। সেখানে অসফল হলে এনজিও খুলবে। সেখানে কাজ না হলে তারা নাটক বানাবে, সিনেমা বানাবে, ব্যাণ্ড দল বানাবে, খেলাধুলোয় স্পন্সর করবে, টীম বানাবে ইত্যাদি। যতো জায়গায় আপনার আনাগোনা থাকবে, সমস্ত জায়গায় তারা নিশ্বাস ফেলবে।
সমাধান তাহলে কীসে?
দীর্ঘস্থায়ী সমাধানটা আসলে আমাদের ঘরে। আমরা যদি আমাদের পরিবারগুলোতে সঠিক বিশ্বাস আর দ্বীনের পরিচর্যা করতে পারি, যদি আমাদের পরের প্রজন্মকে চিনিয়ে যেতে পারি সত্য আর মিথ্যের বিভেদ-রেখা, যদি তাদেরকে আমরা বড় করতে পারি আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলার প্রনীত জীবনবিধানের আলোকে, তাহলে সকল ষড়যন্ত্রকে দুমড়ে মুচড়ে ফেলা খুব করে সম্ভব।
এই দীর্ঘমেয়াদি সমাধানের জন্য সবার আগে বদলাতে হবে আমাদেরকেই। আমাদের জীবনাচারে আনতে হবে ব্যাপক পরিবর্তন।
ভুলের সাগরে হাঁবুডুঁবু খেয়ে আমরা কীভাবে আশা করতে পারি যে—আমাদের সন্তানেরা সমুদ্র পাড়ি দেওয়ার জন্য অতিকায় জাহাজ পেয়ে যাবে?
~সংগৃহীত