Hemani Kisku

Hemani Kisku ☬ কালির আঁচড় কাটি অব্যক্ত জীবনের শেষ পাতায় ☬

09/03/2025

পথের ধারে বসে থাকা ভিখারিকে এক টাকার কয়েন ছুড়ে দিল শ্রীকান্ত । রাস্তার নেড়ি কুকুর সব , বড়লোক দেখলেই ঘেউ ঘেউ করে মনে মনে শ্বকয়েক গালি দিলো ভিখারিকে । এদের কে পাত্তা ও দেয় না সে , নিহাতেই আজ গার্লফ্রেন্ড সঙ্গে আছে বলে নাহলে এখনি লাথি দিয়ে এই ফুটপাত থেকে ফেলে দিতো। তিতিরের দিকে তাকিয়ে মেকি হেসে বলল ,
- ওহ্ তিতির ,

রাগান্বিত চোখের তিতিরকে দেখে ভড়কে গেল শ্রীকান্ত । ও তো প্রায় ভূলেই বসে ছিল , তার গার্লফ্রেন্ড তো আবার দয়ার দেবী । মাঝে মাঝে তার মনে কি করে এই দেবীর প্রেমে পড়েছিল । কিছু মেশে না ওর সাথে , না স্ট্যাটাস আর না মনমানসিকতা । দুজনে দুই মেরুর বাসিন্দা । তবু শ্রীকান্ত কেমনে খুব সাধারণ সাদামাটা দয়ার দেবীর প্রেমে পড়েছিল তার ও অজানা । আমতা আমতা করে বলল ,
- সরি ,

তুমি তো জানো জান , আমার কাছে কেস থাকে না ।
- থাক , শ্রীকান্ত থামিয়ে তিতির বলল ,
তোমাকে এত উদার হতে হবে না ।
নিজের ছোট হ্যান্ড ব্যাগ থেকে কড়কড়ে একশো টাকার নোট ভিখারি দিয়ে বলল ,
- ক্ষমা করবেন ভাইয়া , ওর ওই রকম ব্যবহারে আমি ক্ষমা চাইছি ।

শ্রীকান্তের দিকে তাকিয়ে বলল , - ও ভিখারি নয় ।
আমার নোট দেওয়ার জন্য এতক্ষন দাঁড়িয়েছিল ।

হাসলেন ভিখারি , ওদের জন্য সহানুভূতি খুব কম মানুষরই হয় , যেখানে এই মেয়েটা একজন ।
পাশের ছেড়া চটের ব্যাগ থেকে একটা নোট বুক বের করে তিতিরের দিকে বাড়িয়ে দিলেন ।
মুচকি হাসলো তিতির ও , হাত বাড়িয়ে খাতাটা নিয়ে সাইড ব্যাগে ভরে রাখলো ।

- রিজু ঘুমিয়ে পড়েছে বোধহয় ?
বলেই , হাত ঘড়ি দেখলো তিতির ।
জীব কাটলো সে , দশটা বেজে পঁয়তাল্লিশ মিনিট।
আজ পাক্কা , বাড়ির মালকিন তাকে বের করে দেবে।
ঠোঁট টেনে হেসে বলল ,
- আজ একটু দেরি হয়ে গেছে , আজ আসছি ভাইয়া ।

ফিরে তাকাতেই দেখতে পেল বড়ো বড়ো চোখে তাকিয়ে থাকা শ্রীকান্তকে ।
- আমাকে এই ভাবে চোখ দিয়ে না গিলে পা চালাও বদলোক ।
এতক্ষণে গেট বন্ধ করে দিয়েছে ওই বজ্জাত মহিলা নিশ্চিত। বিড়বিড়িয়ে ওঠে যথাসম্ভব জোরে পা চালালো তিতির ।
পেছনে ছুটলো শ্রীকান্ত ও ।
মুখে চোখে ঝরে পড়ছে বিরক্তি ।
-তোমাকে কত বার বলেছি আমাকে বদলোক বলবে না । আমার মতো করে এত সুন্দর করে ডাকতে পারো না ,
জান , বেবি , সুইটহার্ট , মাই লাভ ...
- চুপ করো তো তুমি ।

রেস্টুরেন্ট মালিকের ছেলে রেহানের খারাপ নজর খুব পড়েছে , প্রতিদিন এড়িয়ে চললেও আজ সবার সামনে অপদস্থ করলো তাকে । তাতে মেজাজ বিগড়ে আছে তার ,এরপর এতো দেরি বজ্জাত মহিলা আজ নিশ্চিত তাকে মাথায় তুলে নাচাবে । তার উপর এর জ্বালাতন ।
- খুবই বিরক্তিকর তুমি , জানো ।

- না বেইবি , আমি বিরক্তিকর নয় । তুমি বিশ্বাস করবে না কত মেয়ে আমাকে পাওয়ার জন্য সুইসাইড এটেন্ড করে । একটা রাত কাটানোর জন্য হত্বে ...
আচমকা তিতিরকে দাঁড়িয়ে পড়তে দেখে অবাক হয়ে তাকালো। তিতিরের তাকাতেই দেখতে পেল তিতিরের বিনাশিনী রুপ । অগ্নিদগ্ধ চোখ , মুষ্টিবদ্ধ শক্ত হাত দেখে অজান্তেই ঢোক গিললো শ্রীকান্ত ।

- আমি পৌঁছে গেছি , এবার তুমি যাও ।
এখনি ওই দজ্জাল মহিলা শ্রীমতী রিম্পা বাগচী দেখলে , আমাকে মাথায় নিয়ে নাচবে।
নতুন গলির বাসাটা পেয়ে গেলে ওই রিম্পা বাগচীকে ষষ্টাঙ্গে প্রনাম করে বিদেয় হব।
পিছন ফিরল তিতির । শ্রীকান্তকে ভ্রু কুঁচকে তার দিকে তাকিয়ে থাকতে দেখে , হাঁসফাস করে উঠলো সে তাড়া দিয়ে বলল ,
- যাও ।

শ্রীকান্তকে বিদেয় করে নীড়কুঞ্জের গেট খুলে ভেতরে গেল । ওই বকবকম মহিলা এতক্ষন তার এই অপেক্ষায় করছিল বোধহয় । নীচতলার বারান্দা থেকে কেমন বড়ো বড়ো চোখে তাকিয়ে রুমে ঢুকে দড়াম করে দরজা দিয়ে দিলো সে ।
তার প্রতি এই রকম ব্যবহারের কোন কারণ খুঁজে পাই না তিতির ।

রুমের তালা খুলে ভিতরে গিয়ে দরজা দিয়ে তার একছত্র বেডে ব্যাগ ছুড়ে মেরে , রুম সঙ্গে এটাচ্ বাথরুমে ঢুকে পড়ল সে । ঠান্ডা জলে ধুয়ে মুছে বের হলো তিতির । বিছানা ঝেড়ে শরীর এলিয়ে দিলো । পুরো দিনের ক্লান্তি নিমিষেই ভিড় করলো দুই চোখে ।

চলবে....

#মনবাড়িয়েছুঁই

With Nusrat Sultana Sezuti-নুসরাত সুলতানা সেঁজুতি – I'm on a streak! I've been a top fan for 5 months in a row. 🎉
21/02/2025

With Nusrat Sultana Sezuti-নুসরাত সুলতানা সেঁজুতি – I'm on a streak! I've been a top fan for 5 months in a row. 🎉

11/02/2025

এক কাপ কফি হলে ভালো হতো ।

শীতের কুয়াশামাখা স্নিগ্ধ সকালে উলের ডিজাইন তোলা শাল গায়ে জড়িয়ে আছে তুষার ।
ত্রয়ী শান্ত চোখে তাকালো । প্রান প্রিয় পুরুষের মুগ্ধ চোখে তাকিয়ে থাকা , সেই যৌবন কালের মতো শিহরণ বয়ে গেল শরীরে। বার বার হারিয়ে যেতে ইচ্ছে করে অতীতের পাতাতে।

দিনটা সোমবার , কর্মজীবনের ব্যাস্ত দিনের শুরু।
তাড়াতাড়ি দুটি খাবার গালে পুরে , এক ঢোকে গিলে নেওয়ার প্রচেষ্টা চালালো ত্রয়ী। চিবিয়ে খাওয়ার সময় নেই ।
- খাবার খেয়ে নিয়ো ,
ঔষধ খেয়ে ঘুমোবে ।
বেশি চিন্তা করো না ।
কোন প্রয়োজন হলে ফোন করো ।
আমরা চলে আসবো তাড়াতাড়ি।
প্রতিদিনকার কার্য শেষ করে মেয়েকে তাড়া দিলো সে।
- চলো মা , আমরা ইতিমধ্যে দেরি করে ফেলেছি ।

গুটি গুটি পায়ে সাত বছরের মেয়েটার এগিয়ে গিয়ে বাবা নামক মানুষটার কপালে চুমু খেয়ে বলল , - আমি তাড়াতাড়ি এসে যাব ।

স্কুল ড্রেস পরিহিতা মেয়ে অনামিকাকে নিয়ে বেরিয়ে যেতেই এক দীর্ঘঃশ্বাস ফেলল তুষার ।
হুইলচেয়ার বসে থেকে নিজের পা দুটো দেখে নিলো সে তারপর হুইলচেয়ার ঘুরিয়ে নিজের রুমে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দিলো ।

ত্রয়ীর জীবন এখন দুঃস্বপ্নের মতো কাটছে । পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর স্বামী , সন্তান নিয়ে তার ছোট্ট সংসার । সেই সংসারে ও একদিন হঠাৎ করে নেমে এলো কালো আঁধার । একটা রোড এক্সিডেন্টে পর থেকে তুষার আর চলতে পারে না । চিকিৎসকরা জানিয়েছেন ওনার উঠে দাঁড়ানোর আশা ছেড়ে দিতে । কিন্তু ত্রয়ী ছাড়েনি। সব দিক দিয়ে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন ।
প্রাইমারি টিচার থেকে শুরু করে বাচ্চাদের কোচিং এরপর দুটো টিউশন সঙ্গে বাচ্চা আর সংসার সামলাতে হিমশিম খায় ত্রয়ী , একদন্ড যদি বসার অবসর পাই তাহলে উল নিয়ে বসে । টুকিটাকি উলের কাজ শিখেছিল মায়ের কাছে । তবু ঘরের ছোট ছোট কাজ এগিয়ে রাখে তুষার ।

কোন কোন দিন রাতের ঘুম ও কপালে থাকে তার । তখন আর শরীর টানা যায় না । অবসন্ন শরীর নিয়ে কোনদিন লুকিয়ে কেঁদে নেই , তুষার দেখে ফেললে বিপদ । মানুষটা মন থেকে ভেঙ্গে পড়বে যে ।
আজ টিউশন করিয়ে ফিরতে রাত হয়ে গেল ত্রয়ীর । ঘরে প্রবেশ করেই আবিষ্কার করলো কারেন্ট নেই , লোডশিডিং বোধহয় ।

- অনু , বাবাকে বলো ড্রয়ারে মোমবাতি আছে ।
রুগ্ন স্বরে কথাটা বলে ক্লান্ত দেহটাকে টেনে বাথরুমে বন্ধি করলো সে।

ওয়াসরুমের রাখা গাঢ় বেগুনি রঙের শাড়িটা দেখে ক্লান্ত মুখশ্রীতে এক ছটা খুশির আভাশ পাওয়া গেল ।
তুষার এমনি , সব কিছু আগে থেকেই রেখে দেই ।
আজ শাড়ি পড়তে ইচ্ছে করছিলো না । যদি তুষারের মন খারাপ হয় ?
আজ কি বিশেষ দিন ?
মনে করতে পারে না সে। হবে হয়তো , আজ কাল কিছু মনে থাকে না তার ।
শাড়িটা তার বিয়ের আগের । তুষারের কাছ থেকে পাওয়া প্রথম উপহার ছিল । তাই শাড়িটা রেখে দিয়েছিল যন্ত করে ।
লম্বা সাওয়ার নিলো সে । সুন্দর করে শাড়ি পরে বের হলো ত্রয়ী । আয়নায় নিজেকে দেখে অবাক হলো সে , কেমন যেন বয়স্ক লাগছে । ওই সুন্দর চোখ দুটো কোটরে চলে গেছে , চুল পড়ে শেষ । রুগ্ন দেহটাকে দেখলো সে । আগের সেই গোলগাল চেহারা আর নেই । খুব করে চাইতো সেও পাতলা হবে , কিন্তু আজ এই পাতলা ফিনফিনে শরীর কেমন যেন ফ্যাকাশে লাগছে ।

- মা , এসো ।

অনামিকা এসে টেনে নিয়ে গেল ওকে ।
জ্বলতে থাকা মোমবাতির সাজে সেজেছে পুরো বাড়িটা ।‌ থমকে গেছে ত্রয়ী । মেয়ের দিকে তাকিয়ে বলল ,
- আজ কি ?

- সারপ্রাইজ মা , চুপ করে থাকতো ।

গেস্ট রুমে প্রবেশ করলো দুজনে ।
- এত অন্ধকার করে রেখেছিস ।

হঠাৎ বেলুন ফেটে যাওয়ার শব্দে চমকে উঠলো । সঙ্গে সঙ্গে লাইট জ্বালাতে চোখ দুটো ধান্ধিয়ে গেল।

- হ্যাপি বার্থডে মা ।
চট করে চোখ খুলল ত্রয়ী । সামনের টেবিলে তেত্রিশ তম বার্থডে কেক দেখে থমকে গেল সে ।
টেবিলের ওপাশে হাসিমুখে দাঁড়িয়ে থাকা ব্যক্তিদের দেখে চমকে গেল সে । ছল ছল করে উঠলো চোখ দুটো । ছয়টা বছর পর তাদের দেখছে সে ।
বয়ষ্কের ছাপ পড়েছে , মাথার পাকা চুল গুলো জানান দিচ্ছে যেন , কুঁচকে যাওয়া চামড়ার মাঝে চওড়া হাসিটা নজর কেড়েছে খুব ।
ছুটে গিয়ে মাকে জড়িয়ে ধরলো ত্রয়ী , ফুঁপিয়ে উঠলো । বছরের পর বছর জমে থাকা অভিমান ঢেলে দিল মায়ের কোলে।

- কান্নাকাটির পর্ব শেষ হলে আমরা বার্থডে সেলিব্রশন করি ।

চেনা পরিচিত স্বর শুনে ফিরে তাকালো ত্রয়ী ।
চোখ মুছে তাকালো ভালো করে । এতক্ষণ খেয়ালই হয়নি তার । রুম ভর্তি মানুষকে দেখে ভড়কে গেল একটু । বাবা , মা , বোন থেকে শুরু করে শুশুর বাড়ির প্রত্যেক সদস্যকে দেখে প্রতিক্রিয়া দিতে ভুলে গেল যেন ।

01/02/2025

গভীর নিশ্তব্দ অশুভ আঁধারের নিমজ্জিত হয়ে আছে এই ধরণী , কিংবা সে এখন ভিন্ন এক জগতে আটকে গেছে । ইরার কাছে এখন এমনটাই মনে হচ্ছে । জ্ঞান ফেরার পর শরীরে অসহ্য যন্ত্রণার সঙ্গে নিখুঁত অন্ধকারকে অনুভব করেছে ।
সেই নিস্রংস ঘটনার পর কতক্ষন কেটে গেছে জানা নেই তার । হাতড়ে নিজের মোবাইল আর ব্যাগ খোঁজার চেষ্টা করলো , কিছুই না পেয়ে আরো মুষড়ে পড়ল ।
ওই ঘটনার সাক্ষী হিসেবে নিজেকে পাগল পাগল লাগছে তার , আর এই অমানিশায় একাকী সে , ভয়ে আতঙ্কে কেঁপে উঠছে বার , চোখ ফেটে বইছে নোনতা স্ত্রোত , লেফটেন্যান্টের পরিনতি হিসেবে নিজেকে দোষারোপ করছে বারবার । ক্ষিদে তৃষ্ণায় কাতর হয়ে আছে সে । আর কতক্ষন এই ভাবে পড়ে থাকবে সে ? কত ঘন্টা নাকি কতদিন পেরিয়ে গেছে জানা নেই তার । আজ এই মূহুর্তে নিঃসঙ্গতা কুরে কুরে খাচ্ছে তাকে । এক টুকরো আলোর আশায় ছটফটিয়ে উঠছে বার । এক ভয়ানক আতঙ্ক ঘিরে ধরছে ওকে । এই মনে হচ্ছে এখনি চারপাশ থেকে এসে ছিঁড়ে খাবে ওকে , ওই ভয়ানক প্রানী সহ নিবারণকে মনে করতেই শিওরে উঠছে বারবার ।
নিবারণের আর্ত চিৎকার ,
ওই আজব প্রানীর ভয়াবহ রূপ ,
আর ওই ....
আর ওই লোকটার হিমশীতল ভয়ানক স্বর,
ইরাকে ঘিরে ধরেছে , বারংবার প্রতিফলিত হচ্ছে তার মস্তিষ্কে ,
সহ্য করতে না পেরে চিৎকার দিয়ে উঠলো ইরা । চুল খামচে ধরে মাথা দুই হাটুতে গুঁজে চিৎকার করে কেঁদে উঠলো সে । তার চিৎকার বারংবার প্রতিধ্বনি তুলে ফিরে আসছে তার কর্ণগুহরে। পৃথিবী থেকে বিচ্ছিন্ন ভিন্ন এক জগৎ মনে হচ্ছে তার কাছে ।

- সখী ......

রিনরিনে মিষ্টি এক স্বর শুনে চোখ তুলে তাকালো ইরা । কিন্তু অন্ধকার ছাড়া কিছুই নজরে এলো না । উদ্বিগ্ন হয়ে কান পেতে রইল , যদি আরো একবার শুনতে পাই সে আশায় ।
কিন্তু না , শুনতে না পেয়ে শত কষ্টে ও হেসে উঠলো , হয়তো পাগল হয়ে যাচ্ছে নয়তো কানে পচন ধরেছে । নাহলে এখানে কে আসছে , হয়তো কোন পাগল নয়তো পথ হারানো কোন অভাগা পথিক । তার উপর মেয়ের স্বর মনে হলো । এবার একশো ভাগ শিওর এটা তার মনের ভূল ।
যখন সে এত কিছু ভাবনায় মত্ত্ব তখন কাঁধে কারোর স্পর্শ পেতেই চমকে উঠলো । তারপর আর একবার শুনতে পেল সেই সুমধুর কন্ঠস্বর

- সখী ,

চোখ তুলে তাকালো ইরা । দেখতে পেল তার সামনে দন্ডয়মান এক অপরূপা যুবতীকে । তার রূপের ছটায় চারদিকে কেমন যেন আলোকিত হয়ে আছে । পরনে তার .......

..........

ইরার দিকে হাত বাড়িয়ে দিয়ে বলল - ওঠে আয় ।
ইরা ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে ছিল । কি হচ্ছে বোধগম্য হলো না তার ।

- কি হলো ? আয় না ,

- কে তুমি ? ফিসফিসিয়ে বললো ইরা।

এবার খিলখিলিয়ে হেসে উঠলো মেয়েটা ।
- এত তাড়াতাড়ি ভূলে গেছিস?

মাটিতে থাকা লন্ঠন দেখিয়ে দিয়ে বলল,

- এটা ধরে নে, তারপর আমার সঙ্গে আয় ।

তারপর ওর কাছাকাছি এসে কানে ফিসফিসিয়ে বলল - ওই দানব যেকোনো সময় এখানে চলে আসতে পারে ? এখন ওকে বেঁধে দিয়ে এসেছি ।
বেশি সময় বেঁধে রাখতে পারবো না ওর খুব জোর । আয় ওঠ তাড়াতাড়ি ।

ইরা ও ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে মন্ত্রমুগ্ধের ন্যায় উঠে দাঁড়ালো হাতে লন্ঠন নিয়ে । কখন মেয়েটা ওর পাশে লন্ঠন রেখেছিল ওটাও জানে না ইরা ।
মুখ দিয়ে আবার অস্ফুটে বেরিয়ে এল ,

- কে তুমি ?

ইরার কোথায় কোন জবাব না দিয়েই বলল - খুব ব্যাথা করছে ?

সম্বিত ফিরল ইরার , সত্যিই তো এত অসহ্যকর ব্যথা কি করে ভূলে গেলো সে । ব্যাথা নেই যে ,
হাত পা ঝেড়ে দেখলো । না একটুও ব্যাথা নেই। আশ্চর্যের অন্তিমসীমায় পৌঁছে চোখ কপালে তুলে তাকিয়ে রইল সে ।
......

পিঠে তীর বিদ্ধ হয়ে কয়েকজন আদিবাসীর পায়ের কাছে লুটিয়ে পড়ল সায়ন্তন । স্থুল শরীর নিয়ে দৌড়ানো যার পক্ষে একেবারেই অসম্ভব ছিল । সে আজ নিজের প্রান বাঁচানোর তাগিদে কয়েক মাইল দৌড়েছে বন বাদাড় ভেদ করে । দূর থেকে মশাল জাতীয় কিছুতে জ্বলতে থাকা আগুনের শিখা দেখতে পেয়ে , প্রান বাঁচানোর আশায় ছুটে এসেছে সে , অন্ধকারের গাছে গাছে ঠোকর খেয়ে প্রায় আধমরা অবস্থায় লুটিয়ে পড়েছে ।
অক্ষিদ্বয় বন্ধ হয়ে আসছে , জ্ঞান হারাচ্ছে মনে হয় । কর্ণগুহরে আসছে কিছু অজানা ভাষার ভাঙ্গা ভাঙ্গা বাকাংশ্য ।


#যন্ত্রমানব

With Nusrat Sultana Sezuti-নুসরাত সুলতানা সেঁজুতি – I'm on a streak! I've been a top fan for 4 months in a row. 🎉
28/01/2025

With Nusrat Sultana Sezuti-নুসরাত সুলতানা সেঁজুতি – I'm on a streak! I've been a top fan for 4 months in a row. 🎉

With Nusrat Sultana Sezuti-নুসরাত সুলতানা সেঁজুতি – I'm on a streak! I've been a top fan for 3 months in a row. 🎉
15/01/2025

With Nusrat Sultana Sezuti-নুসরাত সুলতানা সেঁজুতি – I'm on a streak! I've been a top fan for 3 months in a row. 🎉

With Sanzida binte sofi-সানজিদা বিনতে সফি – I just got recognised as one of their top fans! 🎉
15/01/2025

With Sanzida binte sofi-সানজিদা বিনতে সফি – I just got recognised as one of their top fans! 🎉

" আমার সঙ্গে এমন অন্যায় করবেন না "  ছেড়া শাড়িতেই নিজের সম্ভ্রম রক্ষার চেষ্টা করল বিধ্বস্থ ইরা , কাজল লেপ্টানো চোখে আক...
07/01/2025

" আমার সঙ্গে এমন অন্যায় করবেন না "

ছেড়া শাড়িতেই নিজের সম্ভ্রম রক্ষার চেষ্টা করল বিধ্বস্থ ইরা , কাজল লেপ্টানো চোখে আকুতি ভরে চাইল পাষাণ মানবের পায়ের তলায় পিষ্ট হতে থাকা ব্লাউজের দিকে ।
ঝাঁকড়া এলোমেলো চুলে , রক্তহীম করা রক্তলাল চোখের চাহনির বলিষ্ঠ মানবকে এখন কোন অমানুষের চেয়ে কম লাগছে না ।
ইরার কাছে পরিচিত মানুষটাকে এখন অপরিচিত লাগছে। এই অমানুষকে চেনে না সে ।
কপোল ভিজে একাকার অশ্রুতে , কাঁপতে কাঁপতে আবিষ্কার করল ঘর্মাক্ত ইরাকে । কাঁপুনির বেড়ে চলার সঙ্গে অসাড় হয়ে আসছে শরীর।

ধড়ফড় করে উঠে বসল ইরা, নিজেকে অচেনা জায়গায় দেখে আরো আতঙ্কিত হয়ে পড়ল। মাথায় যন্ত্রণা হচ্ছে প্রচুর , দুই হাতে চেপে ধরে বিছানা থেকে নেমে দৌড়ে বেরিয়ে গেল রুম থেকে । ড্রয়িংরুমে এসে পা স্থিতিশীল হলো। কিচেন থেকে টুং টাং শব্দ হচ্ছে , টিভির পর্দায় ডোরেমন কার্টুন চলছে ।
ভালো করে তাকিয়ে দেখল ইরা । এটা তো তার পরিচিত , এটাই তো তার আস্তানা ।

#আসছে
* আমার নীলকুরিঞ্জী *

20/03/2024

আমি তোমাতেই আবদ্ধ

নিরিবিলি পরিবেশে জনমানবহীন পথ দিয়ে হাঁটছিল কুহু ।মাঝে দু একটা গাড়ি যাওয়া আসা করছে । কিছুক্ষন আগে তমূল ঝড় বইছে সঙ্গে বৃষ্টি হয়েছে । পথের উপর এদিকে সেদিক গাছের ছোট ছোট মরা ডাল ভেঙে পড়ে আছে । গাছের পাতাগুলো জলের ছোঁয়া পেয়ে সতেজ হয়েছে। গোধূলির লগ্নের সূর্যের লাল আলোয় প্রকৃতির অপূর্ব রূপ ধরা দিয়েছে কুহুর কাছে । একটু আগের অশান্ত প্রকৃতির সঙ্গে এখনের প্রকৃতির একটু ও মিল নেই । মুগ্ধ হয়ে দেখছিল প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্যকে । প্রকৃতিকে অনুভব করতে ব্যাস্ত কুহু , হঠাৎ রিংটোন বেজে উঠায় প্রকৃতির সঙ্গে মেল বন্ধন ছিঁড়ে ফোনের দিকে তাকালো , সঙ্গে সঙ্গে মূখে থাকা এক টুকরো হাসিটা ও চওড়া হলো । চোখের মুগ্ধতা ও আরো বেশি উজ্জ্বল হয়ে চিক চিক করে উঠলো। ফোন টা ধরে কানে নিলো।

ওপাশ থেকে শোনা গেল ধৈর্য্য বাঁধা ভাঙ্গা চাতকের ন্যায় অপেক্ষা কারীর উত্তেজিত মধুর অথচ রাগী অভিমানী কন্ঠস্বর ,

- ফোন রিসিভ করতে এত সময় লাগে ?

মন খুলে হাসলো কুহু । এতক্ষণ এই মানুষটাকেই মিস করছিল । ওর স্বর পেয়েমনটা প্রশান্তিতে ভরে গেল।

- ধরলাম তো ।

-......

- আচ্ছা , Sorry
কি করছো ?

- শুয়ে আছি ।

তুমি ?

এইদিকে হাঁটতে এসেছি ।

কোনদিকে ?

বাগানের ওখানে ।

কে আছে তোমার সঙ্গে ?

কেউ নেই ।

বাড়ি যাও , একা কে যেতে বলেছে তোমাকে ? এখনি বাড়ি যাও বলছি ।

অন্ধকারে ছেয়ে গেল কুহুর মূখ ।

এটা একটু বেশি হয়ে যাচ্ছে না । একটু পরে যাব তো ।

না , এখনি যাও ।

তোমার সঙ্গে আড়ি ।
টুঁট করে ফোন কেটে দিল কুহু । ফোন কেটে ওকে মিছে রাগ দেখিয়ে যেন বিশ্বজয় করে ফেলেছে এমন ভাব নিয়ে বাড়ির দিকে হাঁটা দিল ।
......

কুহুর এমন বাচ্চামো দেখে হেসে ফেললো রুদ্র । মূহুর্তে কিছু মনে হতেই হাসি মিলিয়ে ভয় আর রাগের আভা ফুটে উঠল মূখে।

- বস , আরাজ খুব বাড়াবাড়ি করছে । ওর কি টিকিট কেটে দেব ।

তুষারের দিকে ফিরল রুদ্র । শ্যাম বর্ণ তাগড়া জোয়ান ছেলে তুষার , রুদ্রের সবচেয়ে বিশ্বস্ত । এক কথায় রুদ্রের জন্য জীবন দিতে ও প্রস্তুত ।

- কোথায় আছে ?

- গোডাউনে ।

- একটু পরে আসছি ।

- হুম ।

তুষার বেরিয়ে যেতেই , কলিজার নম্বরে ডায়াল করল । দুই বার রিং হয়ে কেটে গেল ।
এই মেয়েটা বড্ড জ্বালায় । শ কয়েক সরি লিখে এসএমএস দিল আর কয়েকটা লাভ এমোজি সেন্ড করে রেখে রাখলো।
.........

- কার এত সাহস , জানিস না আমি কে ?
সাহস থাকলে খুলে দে ।
খুলে দে বলছি।
কেউ কথা বলছিস না কেন বে*
খুলে দে একবার ।
জানিস আমি কে ?
কোথায় রে সব মা*****দ


- খুব বেশি বকিস , চুপচাপ থাক । বস এলে ওকে বলিস তুই কে ?
কথাটা বলেই অট্টহাসিতে ফেটে পড়ল সবাই ।

হাসতে হাসতে সাবু বলল - ঠিক বলেছো রাজুভাই । এই সা*লা* রে আমরা চিনি না !

রুদ্রের আগমনে সবাই চুপ হয়ে গেল ।

কেন আমায় ভালোবাসলে না ? ........ আমার পুরো হৃদয় জুড়েই তুমি ছিলে ।
14/02/2024

কেন আমায় ভালোবাসলে না ? ........ আমার পুরো হৃদয় জুড়েই তুমি ছিলে ।

..... সুখে থাকুক মানুষটা ....
14/02/2024

..... সুখে থাকুক মানুষটা ....

........ মানুষ খুবই অদ্ভুত । প্রয়োজনে ভালোবাসে , প্রয়োজন শেষে অবহেলা করে ছুড়ে ফেলে দেয় ......
14/02/2024

........ মানুষ খুবই অদ্ভুত । প্রয়োজনে ভালোবাসে , প্রয়োজন শেষে অবহেলা করে ছুড়ে ফেলে দেয় ......

যে মানুষটাকে আমি ভালোবেসেছিলাম, তার আমি ছাড়াও পুরো দুনিয়া ছিল । কিন্তু আমার যে পুরো দুনিয়াই সেই ছিল .........
14/02/2024

যে মানুষটাকে আমি ভালোবেসেছিলাম, তার আমি ছাড়াও পুরো দুনিয়া ছিল । কিন্তু আমার যে পুরো দুনিয়াই সেই ছিল .........

12/02/2024

☆✼★.............................

মানুষ খুবই অদ্ভুত ।

যখন প্রয়োজন হয় তখন জান দিয়ে হলেও চাই তাঁর , সেটা নিজের করেই দম নেই ।
পেয়ে গেলে অবহেলা করে , তখন মনে হয় ওটার থেকে ছাড়া পেলেই বাঁচি । সহ্য হয় না আর।

যখন হারিয়ে যায় ,
তখন ভাগ্যকে দোষারোপ করে বলে " এমনটা আমার সঙ্গে না হলেও পারতো । আমি কি খুব বেশি দোষ করে ফেলেছি ? "

➻ᏦᎧᎩᏋᏝ❥☆࿐꧂

.......................... ☆✼★࿐。☆

Address

Jhilimili

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Hemani Kisku posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Videos

Share