28/02/2024
মানুষের জীবনে পূর্ণতা তো তখনই আসে, যখন তার মৌলিক সব চাহিদা পূরণ হয়। জীবনে আনন্দ-বিনোদন, মানুষের ভালোবাসা, বিশ্বাস, সম্মান ও মর্যাদাপ্রাপ্তির ভেতর দিয়ে যখন তিনি একজন পূর্ণ ব্যক্তি হয়ে ওঠেন, তখনই বলা যায় এ জীবন পূর্ণ।
মাতৃত্ব খুব সহজ কোনো বিষয় না। একজন নারী স্বেচ্ছায় তার পেটের কয়েকটি স্তর অবলীলায় কাটতে রাজি হয়ে যায় একটা বাচ্চার জন্ম দেওয়ার জন্য। নারীর কাছে মাতৃত্ব যেমন এক অন্যরকম অনুভূতি, ঠিক সেরকমই মাতৃত্ব শুধুমাত্র শুখানুভূতি নিয়ে আসে না, বরং এটা একজন নারীর এক বছরের জন্য পুরো জীবনযাত্রাটা বদলে দেয়।
মাতৃত্বেই যদি নারীর পূর্ণতা হয় তাহলে পিতৃত্বেও পুরুষের পূর্ণতা কেন নয়? মাতৃত্বের জন্য কোনো নারীর হাহাকার থাকতেই পারে, কিন্তু সেটা না পেলে তাঁর জীবন অপূর্ণ, এমন প্রবাদ তো রটিয়েছে আসলে পিতৃতন্ত্র।পিতৃত্বের আকাঙ্ক্ষা পুরুষের মনেও থাকে। কিন্তু পিতৃত্বেই পুরুষের পূর্ণতা—এ রকম কোনো প্রবাদ সমাজে নেই।
মাতৃত্বের যে সফর একজন মায়ের শুরু হয় তা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সন্তানের ভালো থাকাকে ঘিরে আবর্তিত হতে হতে সন্তানকেন্দ্রিক হয়ে পড়ে। একজন মায়ের নিজের জীবনের উপর যত ঝড়ঝাপটাই যাক না কেনো, মা তার আঁচ সন্তানের উপর পড়তে দিতে চান না। সব মা’ই তার সন্তানকে দুধে-ভাতে দেখতে চান।
একজন একা মায়ের সন্তানকে বড় করার লড়াই খুব কঠিন। আমাদের সমাজে সিঙ্গেল মাদার বিষয়টিতে এখনও ট্যাবু রয়ে গেছে। স্বামীর সংসার করতে পারলো না মানে এটি তার ব্যর্থতা। এমন ধারণা থাকে অনেকের। কিন্তু বাস্তবে পর্দার পেছনের গল্প হয়তো অন্যরকম হয়ে থাকে।
স্বামী থেকে প্রতারিত হয়েও একজন নারী যখন সন্তানকে বুকে আগলে নিজের মতো বাঁচতে চান তখন তাকে সমর্থন করা উচিত সবার।