Rajjak Hossain. History.

Rajjak Hossain. History. "Teaching is a very nobel profession that shapes the character, caliber, and future of an individual falakata city Alipurduar
(1)

APD DOOARS KANYA
04/05/2023

APD DOOARS KANYA

Emni....
14/04/2023

Emni....

রক্তদান জীবন দান। 💙✌️❤️
01/04/2023

রক্তদান জীবন দান। 💙✌️❤️

৬:-ভারতের আলীগড় আন্দোলন নিয়ে আলোচনা? উঃ ভূমিকাঃ- ভারতে মুসলমান সমাজে নবজাগরনের উন্মেষে সৈয়দ আহম্মদ খান প্রধানভূমিকা গ্রহ...
18/01/2023

৬:-ভারতের আলীগড় আন্দোলন নিয়ে আলোচনা?

উঃ ভূমিকাঃ- ভারতে মুসলমান সমাজে নবজাগরনের উন্মেষে সৈয়দ আহম্মদ খান প্রধানভূমিকা গ্রহণ করেছিলেন।উনবিংশ শতাব্দীর প্রথমার্ধে রাজা রামমোহন রায় যেমন পাশ্চাত্য শিক্ষা প্রসারের মাধ্যমেহিন্দু সমাজে নবজাগরন ঘটিয়েছিলেন, সেই রকম স্যার সৈয়দ আহম্মদপাশ্চাত্য শিক্ষা প্রসারের মাধ্যমে মূসলমান সমাজের অনগ্রসরতা দূর করতে সচেষ্ট হন।

আলিগড় আন্দোলনের উৎস- ভারতে ইংরেজ শাসন প্রতিষ্ঠিত হলে হিন্দুরা ইংরেজদের সহযোগিতা করেছেএবং পাশ্চাত্য শিক্ষা গ্রহণ করে সরকারি উচ্চপদে নিযুক্ত হয়েছে।অন্যদিকে মুসলমানরা পাশ্চাত্য শিক্ষা থেকে দূরে থেকেছে ফলে সরকারি চাকরী, প্রভাব প্রতিপত্তি সব হারিয়েছে।মুসলমান সমাজের এই হতাশার যুগে আবির্ভূত হন স্যার সৈয়দ আহম্মদ খান,যিনি মুসলমানদের কাছে পৌছে দেন জাগরনের বানী।

সৈয়দ আহম্মদের লক্ষ্য – দিল্লীর এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে ১৮১৭ খ্রীঃ সৈয়দ আহম্মদ জন্ম গ্রহণ করেন।তিনি উপলব্ধি করেছিলেন মুসলমান সমাজের উন্নতির জন্য মুসলমানদের ব্রিটিশের প্রতি অনুগত থাকা প্রয়োজন।

পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রসার – ভারতীয় মুসলমান সমাজের অজ্ঞতা ও কুসংস্কার দূর করার জন্যসৈয়দ আহম্মদ পাশ্চাত্য শিক্ষা প্রসারে আত্মনিয়োগ করেন।১৮৬৪ খ্রীঃ উত্তর প্রদেশের গাজীপুরে তিনি মুসলমান বালকদের জন্য একটি ইংরেজী স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন।১৮৭৫ খ্রীঃ তিনি আলিগড় অ্যাংলোওরিয়েন্টাল কলেজ স্থাপন করেন।পরবর্তীতে সেটি আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরিত হয়।এইভাবে মুসলমান সমাজের মধ্যে ইংরেজী শিক্ষার প্রবর্তন করেস্যার সৈয়দ আহম্মদ আলিগড় আন্দোলনের সূচনা করেন।

সামাজিক সংস্কার – সৈয়দ আহম্মদ মুসলমান সম্প্রদায়কেমধ্যযুগীয় আচার ব্যাবহার ও চিন্তা ভাবনা পরিত্যাগ করতে আহ্বান জানান।মুসলমান সমাজে নারীর স্থান উচ্চে আনবার জন্য তিনি পর্দাপ্রথার হিত করবার নির্দেশ দেন এবং বহুবিবাহ প্রথার নিন্দা করেন।অন্য দিকে মুসলমান নারীদের মধ্যে শিক্ষা বিস্তারের উপর গুরুত্ব দেন।

চারটি মৌলিক নীতি- যে চারটি নীতির উপর ভিত্তি করে আলিগড় আন্দোলন গড়ে ওঠে সেগুলি হল---

১) ভারতে হিন্দু-মুসলমানের স্বার্থ পরস্পর বিরোধী।

২) প্রতিযোগিতা মূলক পরীক্ষার মাধ্যমে উচ্চ সরকারী পদে নিয়োগ মুসলিম স্বার্থ বিরোধী।

৩)ব্রিটিশ সরকারের হাতে মুসলিমদের স্বার্থ সুরক্ষিত

তাই ব্রিটিশ বিরোধী যে কোনো আন্দোলন থেকে তারা দূরে থাকবে।

৪) মুসলমানরা সেইটুকু রাজনীতি করবে যেটুকু হিন্দুদের রাজনৈতিক আন্দোলনের বিরোধিতার জন্য প্রয়োজন।

আলিগড় আন্দোলনের লক্ষ্য –

প্রথম জীবনে স্যার সৈয়দ আহম্মদ উদার দৃষ্টিভঙ্গি পোষন করতেন।তিনি বলতেন হিন্দু মুসলমান একই জননীর দুই সন্তান, ভারত মাতার দুই চক্ষু।কিন্তু পরবর্তীতে থিওডর বেকের প্রভাবে তিনি ক্রশই সাম্প্রদায়িকতায় বিশ্বাসী হয়ে ওঠেন।তিনি মনে করতেন ভারতে ব্রিটিশ বিরোধী কোনো রকম রাজনৈতিক আন্দোলনের সঙ্গে মুসলমানদের যুক্ত না থাকায় উচিত।তিনি মুসলমান সম্প্রদায়কে কংগ্রেসী আন্দোলন থেকে দূরে থাকতে পরামর্শদেন।তিনি কংগ্রেস প্রচলিত আন্দোলনকে “অস্ত্রহীন গৃহযুদ্ধ” বলে চিহ্নিত করেন।সৈয়দ আহম্মদ মুসলমান সমাজের রাজনৈতিক স্বার্থরক্ষার জন্য ১৮৮৮ খ্রীঃজাতীয় কংগ্রেসের বিকল্প সংস্থা রুপে ‘United Patroitic Assocation’ স্থাপন করেন।

মূল্যায়ণ- দ্বি-জাতি তত্ত্ব ও সাম্প্রদায়িক মতাদর্শ প্রচারের জন্যআলিগড় আন্দোলন ও তার প্রবর্তক উভয়েই ঐতিহাসিকদের দ্বারা নিন্দিত হয়েছেন।বলা হয়ে থাকে যে, সাম্প্রদায়িকতার বিকাশ এবং পাকিস্তান সৃষ্টির জন্যও এই আন্দোলন দায়ী ছিল|এসব সত্ত্বেও স্বীকার করতে হবে যে হতাশার অন্ধকারে নিমজ্জিত মুসলিম সমাজের উন্নতির জন্য আলিগড় আন্দোলনের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্ব পূর্ণ।

17/01/2023
৫:-ভারতের সংবিধানের প্রধান বৈশিষ্ট্য গুলি আলোচনা করো?উত্তর -১৯৫০ খ্রিস্টাব্দের ২৬শে জানুয়ারি ভারতের সংবিধান বলবৎ হওয়ার দ...
16/01/2023

৫:-ভারতের সংবিধানের প্রধান বৈশিষ্ট্য গুলি আলোচনা করো?

উত্তর -১৯৫০ খ্রিস্টাব্দের ২৬শে জানুয়ারি ভারতের সংবিধান বলবৎ হওয়ার দিন থেকে এই সংবিধান অনুযায়ী ভারত রাষ্ট্রের শাসনকার্য পরিচালিত হয়ে আসছে । পৃথিবীর অগ্রণী দেশসমূহের সংবিধানের ভালো দিকগুলি নিতে গিয়ে ভারতের সংবিধান নানা বৈশিষ্ট্যে মন্ডিত হয়েছে ।

১.ভারতীয় সংবিধানের মূল বৈশিষ্ট্যগুলি হল
বিশ্বের দীর্ঘতম ও জটিলতম সংবিধান [Largest and Rigid Constitution]
ভারতের সংবিধান হল পৃথিবীর দীর্ঘতম, লিখিত ও জটিল সংবিধান । ১৯৫০ খ্রিস্টাব্দের ২৬শে জানুয়ারি ভারতের সংবিধান কার্যকর হওয়ার সময় এই সংবিধানে মোট ৩৯৫ টি ধারা এবং ধারাগুলি ২২টি পার্টে ও ৮ টি তপশীল –এ বিভক্ত ছিল । বর্তমানে এই সংবিধানে মোট ৪৪৮ টি ধারা আছে এবং ধারাগুলি ২২টি পার্টে ও ১২ টি তপশীল -এ বিভক্ত । বিশ্বের কোনো দেশের সংবিধানে এতগুলি ধারা এবং উপধারা নেই । ভারতীয় সংবিধানে ইংল্যান্ড, আমেরিকা, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, আয়ারল্যান্ড প্রভৃতি দেশের সংবিধানের বৈশিষ্ট্য প্রতিফলিত হয়ছে ।

২.সুপরিবর্তনীয় ও দুষ্পরিবর্তনীয় [Flexible]
ভারতীয় সংবিধানের কতকগুলি ধারা আছে অনড় আবার সেই সঙ্গে কতকগুলি ধারা আছে পরিবর্তনীয় । প্রয়োজনে মাঝে মাঝেই সরকারকে সংবিধান সংশোধন করতে হয় । সংবিধানে প্রদত্ত নির্দেশ অনুযায়ীই এই সংবিধান সংশোধন করতে হয় । সংবিধানের কোনো ধারা পরিবর্তন করতে হলে আইনসভার উচ্চ কক্ষ ও নিম্নকক্ষের ২/৩ অংশ সদস্যের সম্মতিতে সংশোধনী প্রস্তাব উত্থাপন এবং ৩/৪ অংশ সদস্যের দ্বারা তা গৃহীত না হলে সংবিধানের কোনো ধারার পরিবর্তন আনা যাবে না । সংবিধানের ৪২ তম সংশোধনে উল্লেখ করা হয়েছে যে সংবিধানের যে-কোনো অংশের পরিবর্তন, পরিবর্ধন ও পরিবর্জনের নিরঙ্কুশ ক্ষমতা পার্লামেন্টের হাতে থাকবে ।
৩.যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো [Federal]
সংবিধানে ভারতবর্ষকে কোথাও যুক্তরাষ্ট্র বলে উল্লেখ করা হয় নি । ভারতবর্ষকে বলা হয়েছে রাজ্য সমূহের সমষ্টি বা রাজ্যসংঘ (Union of States) । যুক্তরাষ্ট্রীয় শাসন কাঠামো অনুসারে কেন্দ্রে কেন্দ্রীয় সরকার ও রাজ্যে রাজ্য সরকার গঠিত হয়েছে । ভারতীয় রাষ্ট্র ব্যবস্থার শীর্ষে রয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার । অঙ্গ রাজ্যগুলির শাসনভার সেখানকার নির্বাচিত সরকারের ওপর ন্যস্ত । ক্ষমতা বিভাজনের ক্ষেত্রে সংবিধানে তিনটি তালিকা আছে— (i) কেন্দ্রীয় তালিকা, (ii) রাজ্য তালিকা ও (iii) যুগ্ম তালিকা ।

৪.নাগরিকের মৌলিক অধিকারের স্বীকৃতি [Fundamental right]
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের অনুকরণে ভারতের নাগরিকগণ যাতে গণতান্ত্রিক অধিকার যথাযত রূপে ভোগ করতে পারেন সেজন্য ভারতীয় সংবিধানে নাগরিকদের কতকগুলি মৌলিক অধিকার দান করা হয়েছে । সংবিধানের ১৪ নং থেকে ৩৫ নং ধারাতে নাগরিকদের উদ্দেশ্যে উল্লিখিত সাতটি মৌলিক অধিকারগুলি হল— (i) সাম্যের অধিকার, (ii) স্বাধীনতার অধিকার, (iii) শোষণের বিরুদ্ধে অধিকার, (iv) ধর্মীয় স্বাধীনতার অধিকার, (v) শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ে অধিকার, (vi) সম্পত্তির অধিকার (vii) সাংবিধানিক প্রতিকারের অধিকার ।

৫.নির্দেশমূলক নীতির সংযোজন [Directive Principle]
ভারতীয় সংবিধানে কতকগুলি নির্দেশমূলক নীতির সংযোজন করা হয়েছে । আয়ারল্যান্ডের সংবিধানের অনুকরণে গৃহীত রাষ্ট্র পরিচালনার নির্দেশমূলক নীতিগুলি সংবিধানের অন্যতম বৈশিষ্ট্য । ভারতের সংবিধানে ৩৬ নং থেকে ৫১ নং ধারাগুলিতে এই নির্দেশমূলক নীতি গৃহীত হয়েছে । জনগণের সর্বাঙ্গীন কল্যাণ সাধন করে ভারতবর্ষকে একটি কল্যাণমূলক রাষ্ট্রে পরিণত করাই হল নির্দেশমূলক নীতির উদ্দেশ্য ।
6.সংসদীয় শাসনব্যবস্থা [Parliamentary System]
যুক্তরাষ্ট্রীয় সংবিধান হলেও ভারতীয় সংবিধানে সংসদীয় শাসনব্যবস্থা নির্দিষ্ট আছে । ভারতের মন্ত্রিসভা পার্লামেন্টের সংখ্যাগরিষ্ঠ দল থেকে নিযুক্ত হয় । লোকসভার সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতা প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে গঠিত মন্ত্রীসভাই প্রকৃত ক্ষমতার অধিকারী । রাষ্ট্রপতি হলেন নিয়মতান্ত্রিক প্রধান । রাজ্যাগুলিতেও এই প্রথা চালু আছে ।

৭.মৌলিক কর্তব্য [Fundamental Duties]
ভারতীয় সংবিধানে নাগরিকদের ১০টি মৌলিক কর্তব্যের [Fundamental duties] উল্লেখ আছে । প্রতিটি নাগরিক এই কর্তব্যগুলি মেনে চলতে বাধ্য । এগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল জাতীয় পতাকার প্রতি সম্মান প্রদর্শন, সংবিধানের আদর্শ মান্য করা, দেশের সার্বভৌমত্ব, অখন্ডতা, সংহতি, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ইত্যাদির প্রতি মর্যাদা প্রদান ।

৮.ধর্ম নিরপেক্ষতা
সংবিধানে ভারতকে ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র (Secular State) হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে । কোনো বিশেষ ধর্মকে ভারতের রাষ্ট্রীয়ধর্ম (State Religion) হিসেবে স্বীকার করা হয়নি । ভারতীয় সংবিধান অনুযায়ী জাতি, ধর্ম ও ভাষার পার্থক্যের জন্য রাষ্ট্র কোনো বৈষম্যমূলক আচরণ করবে না । প্রত্যেক নাগরিকই স্বাধীনভাবে নিজ নিজ ধর্ম আচরণ করতে পারবে ।

৯.সার্বজনীন ভোটাধিকার
ভারতীয় সংবিধানে প্রথমে ২১ বত্সর বয়স্ক প্রত্যেক নাগরিককে ভোটাধিকার দেওয়া হয়েছিল । ১৯৮৮ খ্রিস্টাব্দে ৬২তম সংবিধান সংশোধনের দ্বারা ভোটদানের বয়সসীমা ২১ থেকে কমিয়ে ১৮ বত্সর করা হয়েছে । এক্ষেত্রে জাতি, ধর্ম, বর্ণ বা ধনী দরিদ্রের মধ্যে কোনো পার্থক্য করা হয় না ।

১০.বিচার বিভাগের স্বাধীনতা
ভারতের সংবিধানে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা রক্ষায় বিশেষ ব্যবস্থা অবলম্বন করা হয়েছে । সুপ্রিমকোর্ট এবং রাজ্য হাইকোর্টগুলির বিচারকদের চাকরির নিরাপত্তা রক্ষিত হয়েছে । কোনো বিচারক একবার বিচারক পদে নিয়োজিত হলে শাসন বিভাগ কর্তৃক তাঁর বেতন ও ভাতা কমানো যায় না । বিচারকের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ পার্লামেন্টের দুই তৃতীয়াংশের ভোটে গৃহীত হওয়া ছাড়া শাসনবিভাগ কোন মতেই তাঁকে পদচ্যুত করতে পারবে না । এর দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, ভারতের বিচার বিভাগের একটি বিশেষ সাংবিধানিক মর্যাদা আছে । শাসন বিভাগের প্রভাব থেকে বিচার বিভাগকে মুক্ত রাখার ব্যবস্থাও সংবিধানে করা হয়েছে । ইংল্যান্ডের গণতান্ত্রিক রীতি নীতি অনুযায়ী জনসাধারণ কর্তৃক প্রাপ্তবয়স্ক ভোটাধিকারের ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় সরকার এবং প্রাদেশিক সরকার সমূহ নির্বাচিত হয় ।

৪:-গান্ধীজি কিভাবে অহিংস অসহযোগ আন্দোলন সংঘঠিত করেন তা আলোচনা করো? উত্তর -অসহযোগ আন্দোলন মহাত্মা গান্ধী ও ভারতীয় জাতীয়...
16/01/2023

৪:-গান্ধীজি কিভাবে অহিংস অসহযোগ আন্দোলন সংঘঠিত করেন তা আলোচনা করো?

উত্তর -অসহযোগ আন্দোলন মহাত্মা গান্ধী ও ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস পরিচালিত ভারতব্যাপী অহিংস গণ-আইন অমান্য আন্দোলনগুলির মধ্যে সর্বপ্রথম ১৯২০ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ১৯২২ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলা এই আন্দোলন ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের ইতিহাসে “গান্ধী যুগ”-এর সূত্রপাত ঘটায়।

ব্রিটিশ পার্লামেন্টে রাওলাট আইন পাস হলে, ভারতের ভাইসরয় ও ইম্পিরিয়াল লেজিসলেটিভ কাউন্সিল ১৯১৯ সালের ৬ এপ্রিল সেই আইন বলবৎ করে। এই আইনবলে ভারতবাসীর উপর দমনমূলক নানা বিধিনিষেধ আরোপিত হয়। সাধারণ মানুষের ন্যায়বিচার লঙ্ঘিত হয়, ন্যূনতম প্রমাণ দাখিল ব্যতিরেকেই সেনা ও পুলিশকে সাধারণ ভারতীয়দের গ্রেফতার, কয়েদ ও সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার অনুমতি দেওয়া হয়।

অধিকন্তু, ভারতীয় জনসাধারণের ইচ্ছা-অনিচ্ছাকে গুরুত্ব না দিয়ে প্রথম বিশ্বযুদ্ধে ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষের একতরফা ভারতীয় সেনা পাঠানোর সিদ্ধান্ত অনেক ভারতবাসীকেই ক্ষুব্ধ করেছিল। মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ, অ্যানি বেসান্ত, গোপালকৃষ্ণ গোখলে ও বাল গঙ্গাধর তিলকের মতো উদার মধ্যপন্থী নেতাদের আহ্বানে হোমরুল আন্দোলন শুধুমাত্র আবেদন-নিবেদন ও রাজনৈতিক সভাসমিতির মাধ্যমে চলছিল; তার এমন কোনও বিধ্বংসী চরিত্র ছিল না যা সরকারি কাজে বিপুল বাধার সৃষ্টি করতে পারে।

চম্পারণ, খেদা, খিলাফত ও অমৃতসর:
১৯১৮ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় এবং বিহারের চম্পারণ ও গুজরাটের খেদায় মহাত্মা গান্ধী দেখিয়ে দিয়েছিলেন কিভাবে গণ-আইন অমান্য করে সরকারি কাজে বাধা দিয়ে ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষের সম্ভ্রম ও দৃষ্টি আকর্ষণ করা যায়।

১৯১৮ সালে চম্পারণ ও খেদা সত্যাগ্রহের সময় অস্বাস্থ্যকর অবস্থা, গার্হস্থ্য হিংসা, কুসংস্কার, নারীনির্যাতন ও অস্পৃশ্যতার অন্ধকারে নিমজ্জিত গরিব কৃষকদের নেতৃত্ব দেন তিনি। এই সব দুর্দশার মধ্যেও তাদের বাধ্য করা হচ্ছিল খাদ্যশস্যের বদলে নীল, তামাক ও তুলা উৎপাদনে। বদলে দেওয়া হচ্ছিল অতি নগণ্য মজুরি। তার উপর, দুর্ভিক্ষ সত্ত্বেও তাদের করদানে বাধ্য করা হচ্ছিল।

মহাত্মা গান্ধীকে সাহায্য করেন রাজেন্দ্র প্রসাদ ও জওহরলাল নেহেরুর মতো একদল তরুণ ভারতীয় বিপ্লবী। খেদা আন্দোলনটি সামগ্রিক পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল। তিনিও গান্ধীজির অন্যতম সহসৈনিকে পরিণত হন।

পাঞ্জাবের জালিয়ানওয়ালাবাগে একটি নীরস্ত্র জমায়েতে রেজিন্যাল্ড ডায়ারের নির্দেশে নির্বিচারে গুলি চালানো হলে শতাধিক মানুষ নিহত ও সহস্রাধিক আহত হন। মহিলা, শিশু ও বৃদ্ধদেরও ছেড়ে দেওয়া হয় না। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে বিক্ষোভ শুরু হলে ব্যাপক ধরপাকড়, লাঠিচার্জ ও হত্যালীলা চালায় পুলিশ।
সাফল্য ও আন্দোলন প্রত্যাহার সম্পাদনা:-
অসহযোগ আন্দোলনের সাফল্য ও লক্ষ লক্ষ ভারতীয়ের এই আন্দোলনে স্বতঃস্ফূর্ত যোগদান ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষকে সন্ত্রস্ত করে তোলে। কিন্তু ৪ ফেব্রুয়ারি, ১৯২২ তারিখে চৌরি চৌরায় প্রতিবাদী জনতা ও স্থানীয় পুলিশের হিংসাত্মক সংঘর্ষে পুলিশের গুলিতে তিনজন আন্দোলনকারী নিহত হন। গান্ধীজি অনুভব করেন আন্দোলন বিপথে চালিত হচ্ছে। তিনি চাইতেন না আন্দোলনে জনতা ও পুলিশ মারমুখী হয়ে পরস্পর পরস্পরকে আক্রমণ করুক ও সাধারণ নাগরিকগণ তাতে নিহত হন।

গান্ধীজি তিনদিন অনশন পালন করেন। ভারতীয় জনগণকে সংগ্রাম বন্ধ করার অনুরোধ জানান ও গণ-অসহযোগ আন্দোলন প্রত্যাহার করে নেন।

প্রতিক্রিয়া সম্পাদনা:-চৌরি চৌরার ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে অসহযোগ আন্দোলন প্রত্যাহৃত হয়। কিন্তু একা এই জাতীয় গণ আন্দোলন থামানো সত্ত্বেও ১৯২২ সালের ১০ মার্চ গান্ধীজিকে গ্রেফতার করা হয়। ১৮ মার্চ রাজদ্রোহমূলক লেখালিখির অভিযোগে তাঁর দুইবছর কারাদণ্ড হয়। যে ব্রিটিশ বিচারক এই মামলার রায়দান করেন, তিনি প্রশংসার আবেগে উচ্ছ্বসিত হয়ে বলেছিলেন, সরকার গান্ধীজিকে মুক্তি দিলে তিনিই সবচেয়ে খুশি হবেন।

কংগ্রেস নেতৃবৃন্দ গান্ধীজির অবস্থানকে সমর্থন করলেও অনেকেই তাঁর সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ হন। আলি ভাতৃদ্বয় তাঁর তীব্র সমালোচনা করেন। মোতিলাল নেহেরু ও চিত্তরঞ্জন দাশ স্বরাজ্য পার্টি গঠন করে গান্ধীজির নেতৃত্ব অস্বীকার করেন। অনেক জাতীয়তাবাদী নেতা মনে করেন, একটি বিচ্ছিন্ন হিংসার পরিপ্রেক্ষিতে সমগ্র আন্দোলন প্রত্যাহার করে নিয়ে গান্ধীজি সঠিক কাজ করলেন না। তাঁরা গান্ধীজির নেতৃত্বের উপর হতাশা ব্যক্ত করেন।

সমসাময়িক ঐতিহাসিক ও সমালোচকদের কথা থেকে জানা যায়, এই আন্দোলন এতটাই তীব্র আকার ধারণ করেছিল যে ১৯৪৭ সালের বহু আগেই তা ব্রিটিশ শাসনের মেরুদণ্ড ভেঙে দিয়ে ভারতে স্বাধীনতা এনে দিতে পারত। আবার অনেক ঐতিহাসিক ও নেতা গান্ধীজির অবস্থানকে সমর্থন করতেও দ্বিধা করেননি। তাঁদের মতে, তিনি যদি আন্দোলন প্রত্যাহার করে না নিতেন, তবে এই আন্দোলন অরাজক অভ্যুত্থানে পর্যবসিত হত এবং সাধারণ মানুষের সমর্থন বিচ্যুত হয়ে সশস্ত্র বিপ্লবীদেরই উৎসাহদান করে যেত।

আন্দোলন পুনর্সংগঠন:-১৯৩০ থেকে ১৯৩৪ সালের মধ্যবর্তী সময়ে ভারতে পুনরায় অহিংস গণ আন্দোলন শুরু করেন গান্ধীজি। লক্ষ লক্ষ দেশবাসী লবণ সত্যাগ্রহের মাধ্যমে বিশ্বের সামনে ভারতের অহিংস আন্দোলনের উজ্জ্বল ভাবমূর্তিটি তুলে ধরেন। সত্যাগ্রহ শেষ হয় গৌরবময় সাফল্যমণ্ডিত হয়ে। ভারতীয়দের দাবি মেনে নেওয়া হয় এবং কংগ্রেস ভারতীয় জনগণের প্রকৃত প্রতিনিধির মর্যাদা লাভ করে। ভারত শাসন আইন ১৯৩৫ দেশের মানুষকে প্রথম গণতন্ত্রের স্বাদ দেয় – স্বায়ত্তশাসন।

৩:-শেরশাহের শাসনব্যবস্থা সম্পর্কে আলোচনা করো?উত্তর: ভারতবর্ষের ইতিহাসে যে সমস্ত শাসক নানা দিক থেকে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেছ...
16/01/2023

৩:-শেরশাহের শাসনব্যবস্থা সম্পর্কে আলোচনা করো?

উত্তর: ভারতবর্ষের ইতিহাসে যে সমস্ত শাসক নানা দিক থেকে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেছেন, তার মধ্যে অন্যতম হলো শেরশাহ।

কনৌজের যুদ্ধের পর বিহারের সাসারামের জায়গীরদার হাসান পুত্র সুর বংশীয় আফগান (পাঠান) পরিচয় উপাধি গ্রহণ করে নিজেকে দিল্লির সম্রাট বলে ঘোষণা করেন। মাত্র পাঁচ বছর (১৯৪০-৪৫) রাজত্বকালে যুদ্ধ-বিগ্রহ নিয়ে সদা ব্যস্ত থাকা সত্ত্বেও তিনি যে শাসন কর্তৃত্ব, সাংগঠনিক প্রতিভা ও শাসকোচিত অন্তর্দৃষ্টি পরিচয় দেন তা পরবর্তীকালে শাসকদের অনুসরণযোগ্য হয়ে উঠেছে। তাঁর শাসন ব্যবস্থার বিভিন্ন দিক লক্ষ্য করেই ঐতিহাসিক ডক্টর কালিকারঞ্জন কানুনগো তাঁকে 'আকবরের চেয়েও মৌলিক প্রতিভা সম্পূর্ণ শাসক ও সংগঠক' বলে অভিহিত করেছেন।

(১) শাসন ব্যবস্থা
শেরশাহের শাসন ব্যবস্থা দুটি প্রশাসনিক স্তরে বিভক্ত ছিল, যেমন (ক) কেন্দ্রীয় শাসন ব্যবস্থা এবং (খ) প্রাদেশিক শাসন ব্যবস্থা।

(ক) কেন্দ্রীয় শাসন ব্যবস্থা:
শেরশাহের শাসন পদ্ধতির উৎস ছিল তুর্কি সুলতানদের আমলে প্রতিষ্ঠিত শাসনব্যবস্থা ও পারসিক শাসন পদ্ধতি। কেন্দ্রীয় শাসন ব্যবস্থায় সর্বোচ্চ ছিলেন সুলতান স্বয়ং। কেন্দ্রীয় শাসন পরিচালনার জন্য তিনি চারজন মন্ত্রী নিয়োগ করেন, এরা হলেন: 'দেওয়ান-ই-উজিরাৎ' (রাজস্ব বা অর্থমন্ত্রী), 'দেওয়ান-ই-আর্জ'(প্রতিরক্ষামন্ত্রী), 'দেওয়ান-ই-রিয়াসৎ' (পররাষ্ট্রমন্ত্রী), এবং 'দেওয়ান-ই-ইনসা' (রাজকীয় ইস্তাহার তৈরি ও প্রেরণের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী)। এছাড়া বিচার ও গুপ্তচর বিভাগের প্রধান ছিলেন যথাক্রমে দেওয়ান-ই-কাজি' ও 'দেওয়ান-ই-বারিদ' (শিকদারান)।

(খ) প্রাদেশিক শাসন ব্যবস্থা:

শাসনকার্যের সুবিধার জন্য শেরশাহ সাম্রাজ্যকে ৪৭ টি সরকারে ও প্রতিটি সরকারকে কয়েকটি পরগনায় বিভক্ত করেন। সেই অর্থে, পরগনাই ছিল প্রশাসনিক ব্যবস্থার সর্বনিম্ন স্তর। প্রত্যেকটি সরকার শিকদর, প্রধান মুনসেফ (মুনসিফে-মুনসিফান) ও একজন প্রধান কাজীর দ্বারা পরিচালিত হত। পরগনার শাসনকার্য পরিচালনার জন্য তিনি 'পাটোয়ারী', 'চৌধুরী', 'মুকাদ্দাম', নামক কয়েকজন কর্মচারী নিয়োগ করেন। গ্রামের শাসন ব্যবস্থার ক্ষেত্রে শেরশাহ দেশের প্রচলিত শাসন ব্যবস্থাকেই অক্ষুন্ন রেখে ছিলেন। অভ্যন্তরীণ শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য শেরশাহ দেশের পুলিশ প্রশাসনকে শক্তিশালী করে তোলেন।

২) রাজস্ব ব্যবস্থা:
রাজস্ব ক্ষেত্রে শেরশাহ আমূল পরিবর্তন করেন। কৃষি ও ভূমি রাজস্ব ব্যবস্থার উন্নতির জন্য শেরশাহ কয়েকটি ব্যবস্থা অবলম্বন করেন, এদের মধ্যে উল্লেখ্য ছিল: (ক) জমির পরিমাণ যথাযথ মাপজোকের ভিত্তিতে নির্ধারণ, (খ) রাষ্ট্রের প্রাপ্য ফসলের পরিমান নির্দিষ্ট করা, (গ) ভূমি রাজস্ব যথাসম্ভব নগদ অর্থে আদায় করা, (ঘ) মধ্যস্বত্বভোগীদের অধিকার বিলুপ্ত করা এবং (উ) কৃষকদের জমির পরিমাণ স্বত্ব নির্দিষ্ট করা।

(৪) সামরিক সংস্কার:
আলাউদ্দিন খলজির অনুকরণে শেরশাহ তাঁর সামরিক ব্যবস্থা গড়ে তোলেন। সেনাবাহিনীতে আফগান ও পাঠানদের আধিপত্য থাকলেও তাতে বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর সন্ধান পাওয়া যায়।

(৫) ধর্ম ব্যবস্থা:
ধর্মীয় উদারতা ছিল শেরশাহের শাসন ব্যবস্থার অন্যতম উল্লেখযোগ্য দিক। তিনি হিন্দুদের সঙ্গেও যথাসম্ভব উদার ব্যবহার করেন। রাষ্ট্রনীতি থেকে ধর্মকে বিচ্ছিন্ন রাখার ব্যাপারে শেরশাহ খুবই সচেতন ছিলেন।

(৬) জনকল্যাণমূলক সংস্কার:
সাম্রাজ্যের বিভিন্ন অংশের মধ্যে সংযোগ স্থাপনের জন্য শেরশাহ 'সড়ক-ই-আজম' গ্রান্ড ট্রাঙ্ক রোড, আগ্ৰা থেকে বারহানপুর, লাহোর থেকে সুলতান প্রভৃতি রাজপথ নির্মাণ করেন। এছাড়া, সংবাদ আদান প্রদানের জন্য তিনি ডাক বিভাগের প্রতিষ্ঠাও করেন। রাস্তার ধারে বৃক্ষরোপণ এবং যাত্রীদের সুবিধার্থে সরাইখানা প্রতিষ্ঠার ব্যবস্থা করেন।

মূল্যায়ন:
শেরশাহের শাসন ব্যবস্থা মৌলিকতা বিচার করে শহীদ বলেছেন, "যদি শেরশাহ আরও কিছুকাল বেঁচে থাকতেন, ইতিহাসের রঙ্গমঞ্চে মোগল সম্রাটদের আবির্ভাব হয়তো ঘটত না।"

২:-হায়দার আলীর নেতৃত্বে কি ভাবে মহীশূর রাজ্য উত্থান ঘটেছিল  আলোচনা করো? উত্তর -মহীশূর রাজ্য সম্পাদনা ওয়াদিয়ার রাজবংশ দ...
16/01/2023

২:-হায়দার আলীর নেতৃত্বে কি ভাবে মহীশূর রাজ্য উত্থান ঘটেছিল আলোচনা করো?

উত্তর -মহীশূর রাজ্য সম্পাদনা ওয়াদিয়ার রাজবংশ দ্বারা শাসিত মহীশূর রাজ্য (১৩৯৯-১৯৫৬)-এর রাজধানী ছিল এই শহর। প্রারম্ভে এটি বিজয়নগর সাম্রাজ্য-এর একটি সামন্তরাজ্য হলেও পরবর্তীতে ১৫৫৩ সাল থেকে তা স্বাধীন রাজ্যে পরিণত হয়।

১৭৬১ সালে রাজ্যের সেনাপ্রধান হায়দার আলী-র উত্থান ঘটে। তার নেতৃত্বে প্রথম ইঙ্গ-মহীশূর ও দ্বিতীয় ইঙ্গ-মহীশূর যুদ্ধ সংগঠিত হয়। পরবর্তীতে তার পুত্র টিপু সুলতান রাজ্যের শাসক হন।

মাইসোরের শেষ রাজা ছিলেন শ্রীকান্তদত্ত নরসিংহরাজা ওয়াদিয়ার। তাঁর মৃত্যুর পর ফের এই রাজপরিবারে যদুবীর গোপাল রাজ উরসকে দত্তক নেওয়া হয়,এবং তিনিই এই মুহূর্তে এই রাজ পরিবারের রাজা। ২০১৫ সালের ২৮ মে তিনি এই পরিবারের দায়িত্ব নেন। রয়্যাল সিলকের খনি মাইসোর প্যালেসের রাজা এখন তিনিই, যদুবীর গোপাল রাজ উরস। সিলকের পারিবারিক ব্যবসার সাথে রাজবংশ জড়িত ।

১:-ভারত ছাড়ো আন্দোলনের গুরুত্ব আলোচনা করো?উত্তর - ভারত ছাড়ো আন্দোলন ছিল  ভারতের ব্রিটিশ শাসন  অবসনের অন্তিম পদক্ষেপ "19...
16/01/2023

১:-ভারত ছাড়ো আন্দোলনের গুরুত্ব আলোচনা করো?

উত্তর - ভারত ছাড়ো আন্দোলন ছিল ভারতের ব্রিটিশ শাসন অবসনের অন্তিম পদক্ষেপ "1942এর বিদ্রোহ বাস্তবিক ছিল সৈনিকের যুদ্ধ| সেনা পতি ছিলেন দ্বিধাগ্রস্ত, কিন্তু সৈনিকদের ভূমিকা ছিল গৌরবজনক কারণ তারা দেশের স্বাধীনতার জন্য শহীদের ন্যায় জীবন উৎসর্গ করেছিলেন |"

• ভারতছাড়ো আন্দোলনের গুরুত্ব- 1942 খ্রিস্টাব্দের আগস্ট আন্দোলনের শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হয় কিন্তু ভারতের স্বাধীনতার প্রাক্কালে এই আন্দোলন বিশেষ প্রভাব বিস্তার করে।

ক) সুমিত সরকার এর মতে -ঐতিহাসিক সুমিত সরকার এই আন্দোলনের গুরুত্ব সম্পর্কে বলেন- আন্দোলনে বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ অংশগ্রহণ করায় আন্দোলনটি দুর্দমনীয় হয়ে ওঠে। মানুষ যে স্বাধীনতার জন্য সবকিছু হারাতে রাজি তা ব্রিটিশরা বুঝতে পেরেছিল।

খ) স্বাধীনতার সোপান- ডক্টর অরুণ ভূঁইয়া এই আন্দোলনের গুরুত্ব সম্পর্কে বলেন - "ভারত ছাড়ো আন্দোলন থেকে যে জাতিয় জাগরণ ও ঐক্য গঠিত হয়, তা স্বাধীনতার সোপান রচনা করেছিল।"

গ) কংগ্রেসের মর্যাদা বৃদ্ধি- এই আন্দোলন কংগ্রেসকে জাতীয় মর্যাদায় পূর্ণ প্রতিষ্ঠিত করে। স্বাধীনতার জন্য মানুষ কংগ্রেসকে একমাত্র রাজনৈতিক দল হিসেবে মেনে নেয়। ঐতিহাসিক জয়প্রকাশ নারায়ণ এই যুক্তিকে সমর্থন করেন।

ঘ) সাম্প্রদায়িক ঐক্য- জাতীয় মুক্তির আশায় এই আন্দোলনে হিন্দু ও মুসলিম উভয় সম্প্রদায়ের মানুষ যোগ দিয়ে সাম্প্রদায়িক ঐক্য গঠন করেছিল মুসলিম লীগের বিরোধিতা করা সত্ত্বেও দেশের বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মুসলিম জনগণের আন্দোলনে যোগ দেয়।

গণ আন্দোলন হিসেবে ভারত ছাড়ো আন্দোলন প্রকৃত অর্থে হয়ে উঠেছিল সর্ববৃহৎ জাতীয় গণ আন্দোলন | এই আন্দোলনে শ্রমিক-কৃষক সহ সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি স্বতঃস্ফূর্তভাবে শামিল হয়ে একটি গণ আন্দোলনে রূপ দান করে | নিখিল ভারত কংগ্রেস কমিটি ও এই আন্দোলনকে গণ জনযুদ্ধ আখ্যা দিয়েছিল |

উপসংহার :- ভারত ছাড়ো আন্দোলনের গুরুত্ব এখানেই যে - এই আন্দোলন ঠিক করে দেয় ভারতবাসী স্বাধীনতা পাচ্ছে, কবে সেই স্বাধীনতা আসছে,প্রকৃত পক্ষে এই আন্দোলন তীব্রতা কে ভয় পেয়ে ব্রিটিশ সরকার সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছিল যে ভারতবাসীকে এবার স্বাধীনতা প্রদান করতে হবে |

Astronomical Clock from Prague, Czech Republic 1966.
10/01/2023

Astronomical Clock from Prague, Czech Republic 1966.

নিজের প্রতি  আস্তা আর আত্মবিশ্বাস থাকলে হাজারো ঝড় তুফান কে দূরে সরিয়ে দেওয়া যায়।
10/01/2023

নিজের প্রতি আস্তা আর আত্মবিশ্বাস থাকলে হাজারো ঝড় তুফান কে দূরে সরিয়ে দেওয়া যায়।

ইচ্ছে গুলো যদি একদিন পূরণ হয় সেই লক্ষে অবিচল থাকার পালা 🙏
29/10/2022

ইচ্ছে গুলো যদি একদিন পূরণ হয় সেই লক্ষে অবিচল থাকার পালা 🙏

18/10/2022

রাজনীতি (Politics)শব্দটির উৎপত্তি জেনে নেওয়া যাক :

বিশ্ববিখ্যাত গ্রিক দার্শনিক অ্যারিস্টটলের কালজয়ী গ্রন্থটির নাম 'পলিটিকস 'শব্দ টি এসেছে। 'পোলিস'শব্দের অর্থ হলো 'নগর 'বা (city)সময় কালীন গ্রিক নগররাষ্ট্রসমূহ (city states)এবং তাঁদের অনুসৃত নীতি ও সমস্যাদি -সংক্রান্ত আলোচনাকে অ্যারিস্টটল 'রাজনীতি'র বিষয় বস্তু হিসেবে গ্রহণ করেছিলেন।

কিন্তু আকৃতি, প্রকৃতি,কার্যবলী প্রভতি সর্বক্ষেত্রেই আধুনিক রাষ্ট্রের সঙ্গে প্রাচীন গ্রিসের নগররাষ্ট্রের মৌলিক পার্থক্য লক্ষ্য করা যায় না। তাছাড়া, বর্তমানে মানুষের রাজনৈতিক জীবন অত্যন্ত জটিল ও সমস্যাসংকুল।প্রাচীন গ্রিক পদ্ধতিতে এইসব সমস্যার সমাধান করা আদৌসম্ভব নয়। তাই 'রাজনীতি 'বলতে অ্যারিস্টটল যা বোঝাতে চেয়েছিলেন, বর্তমানে সেই অর্থে 'রাজনীতি 'শব্দটির প্রয়োগ দেখা যায় না।

18/10/2022

আদিবাসী সম্প্রদায়ের এক ঐতিহ্য পূর্ণ নৃত্য পদর্শনী করার সঙ্গে সঙ্গে নিজেরাই গান গেয়ে
নৃত্য পদর্শন করেন।বলা যেতে পারে আদি কাল থেকেই এই ভাব ধারা আজও বিরাজমান।
১০মাইল সংগ্রামী সংঙ্ঘের লক্ষী পূজা উপলক্ষে মেলার বিশেষ আকর্ষন বলা যেতে পারে।

মোদীর ভারত সংকীর্ণ ও সীমাবদ্ধ :বিশিষ্ট ঐতিহাসিক রোমিলা থাফার :
18/10/2022

মোদীর ভারত সংকীর্ণ ও সীমাবদ্ধ :বিশিষ্ট ঐতিহাসিক রোমিলা থাফার :

 খুঁবই ভালো উদ্যোগ।
18/10/2022


খুঁবই ভালো উদ্যোগ।

Address

Falakata Madari Road
Falakata
735220

Telephone

+919609689321

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Rajjak Hossain. History. posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Rajjak Hossain. History.:

Videos

Share