28/05/2023
🙏🏼🥀!!*হরে কৃষ্ণ*!!🥀🙏🏼
"।ভক্তদের শুদ্ধ ও অশুদ্ধতা।".*****-****-.- #-.-****-****..
# শ্রীকৃষ্ণই পরমেশ্বর ভগবান। তিনি এক ও অদ্বিতীয়। অনাদির আদি গোবিন্দ। অনন্ত কোটি ব্রহ্মান্ড, অনন্ত বৈকুন্ঠ ও অনন্ত অবতারের আধার। মায়া ও জীবের আশ্রয়। তাঁর অঙ্গ কান্তি নির্বিশেষ রুপে প্রতিভাত ব্রহ্ম স্বরুপ যা জ্ঞানীদের আশ্রয়।
# তিনি জগৎ ও জীব সৃষ্টি, সংহার ও পালনকারী পরমাত্মা ঈশ্বরতত্ত্ব যা অষ্টাঙ্গ যোগীদের আশ্রয়। তাঁর সর্বশক্তিমান সচ্চিদানন্দ বিগ্রহ রুপে আনন্দ প্রধান শ্রীভগবান রুপে ভক্তগনের কাছে প্রতিভাত হন।
# পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের শক্তি, প্রকাশ ও বিলাস নিত্য অনন্ত। ঐশ্বর্য্য, বীর্য, যশ, শ্রী, জ্ঞান ও বৈরাগ্য তাঁর ষড়ৈশ্বর্য নিত্য গুণ। এর মধ্যে বৈরাগ্য গুণ বিশেষ ভাবে গুনান্বিত। যেমন, শ্রীকৃষ্ণ যুথিষ্ঠির মহারাজের দূত হয়ে যুদ্ধ-বিগ্রহ এড়ানোর জন্য দুর্যোধনের নিকট শেষপর্যন্ত পাঁচ ভাইয়ের জন্য পাঁচটি গ্রাম প্রার্থনা কিরেছিলেন।
# তিনি অনন্ত কোটি ব্রহ্মান্ডের মালিক, স্বরাট ও স্বাধীন পুরুষ হয়েও তিনি যুথিষ্ঠিরের রাজসূয়ো যজ্ঞে অতিথিদের হাত-পা ধোয়ার দায়িত্ব নিয়ে সেবা করেছেন। তিনি অর্জুনের রথের সারথি হয়ে অর্জুনের আজ্ঞায় রথ পরিচালনা করেছেন। তিনি দ্বারকার রাজা হয়েও সুদামা বিপ্রের পাদপদ্ম ধৌত করেছিলেন। তার স্ত্রীর দেওয়া নিকৃষ্ট খাদ্য চোখের জলে ভেজা চিড়াও প্রীতি সহকারে খেয়েছিলেন।
# এই কলিযুগে শ্রীকৃষ্ণই চৈতন্য মহাপ্রভু রুপে অবতীর্ন হয়ে বৈরাগ্য রুপ ধারন করে গোলকের প্রেমধন হরিনাম। যাকে তাকে দান করেছেন। মহাপ্রভু নিজেকে নগন্য মনে করে সার্বভৌম ও দিগ্বিজয়ী কেশব কাশ্মিরীকে হারিয়েও তাদেরকে সম্মান প্রদান করেছিলেন। পরবর্তীতে, মহাপ্রভুর অনুসারীরাও একেক জন মহা বৈরাগ্যবান ছিলেন। মহাপ্রভুর ভক্তরা আজও নিজকে দ্বীন-হীন মনে করেন।
# একটি দুষ্ট ছেলে সব সময় সাধুদের উত্যক্ত করতো। সে সাধুদের চুলের শিখা ধরে টান দিতো, ধুতি টান দিয়ে খুলে দিতো। যদি কোনো সাধু চেচাতো বা তাকে গালি দিতো, তাতে সে আরও আনন্দ পেতো।
# ছেলেটি প্রতিদিন এই করে বেড়াতো আর সাধুর গালি শুনে হাসতো, আর বলতো, "দেখো দেখো সাধুরাও গালি দেয়।"
# একদিন ছেলেটি দুপুরের ক্ষর রৌদ্রে গঙ্গার ধারে হাটছিল, ঐ সময় এক গৈরিক বসনে পরা সাধু গঙ্গায় স্নান করতে এলো। ছেলেটি ভাবলো, আজকে এই সাধুকে নিয়ে অনেক মজা করবে। সাধু বাবা গঙ্গায় স্নান শেষ করে উঠে হাটতে থাকলে ছেলেটি সাধুর সামনে গিয়ে তার শরীরে থুতু ছিটিয়ে দিলো। থুতু গায়ে লাগার কারনে সাধুটি কোনো কথা না বলে আবার গঙ্গায় ডুব দিয়ে স্নান করে এলেন। ছেলেটি আবারও থুতু দিলো, সাধু বাবা আবারও স্নান করে এলেন। ছেলেটি আবারও থুতু দিলো।
# এই ভাবে ছেলেটি যতোবার থুতু দিতে লাগলো, ততোবার সাধু বাবা কোনো কথা না বলে, গঙ্গায় গিয়ে স্নান করে আসতে লাগলেন। দুপুরের ক্ষর রৌদ্রে প্রচন্ড গরমে ছেলেটি বারবার থুতু দিতে দিতে তার মুখ শুকিয়ে গেলো। শেষ পর্যন্ত ছেলেটি সাধু বাবা সামনে এলেও তার মুখ দিয়ে আর থুতু বের হলো না। সাধু পাশ কাটিয়ে চলে যাচ্ছে দেখে ছেলেটি চেঁচিয়ে বলে উঠলো, "তুমি কেমন লোক একটি কথাও না বলে চলে যাচ্ছো?"
# সাধু বাবা ঘুরে তার কাছে এসে ছেলেটির পা বরাবর দন্ডবত হয়ে মাটিতে শুয়ে প্রনাম করলেন। ছেলেটি ভাবছে এটা কি হলো। এমন সময় সাধু বাবা তাকে বললেন, ''হে প্রভু আমার অপরাধ হয়ে যাচ্ছিলো যে, আপনাকে প্রনাম না করে চলে যাচ্ছিলাম। আজ আপনার জন্য আমার ১০৮ বার পবিত্র গঙ্গাস্নান হলো।"
# শুদ্ধ ভক্তের বৈরাগ্য এই রকম। বৈরাগ্যবান তিনি যিনি নিজকে সমস্ত গর্ব, অহংকার, মান পরিত্যাগ করে নিজেকে তৃনের থেকে নীচ, দীন, হীন, অকিঞ্চন ও অযোগ্য মনে করে। তিনিই বৈষ্ণব, তিনিই হরিনাম করার অধিকারী।
**
।জয় শ্রীরাধাগোবিন্দের জয়।
* #*
# পরমকরুনাময় গোলোকপতি সচ্চিদানন্দ ভগবান শ্রীকৃষ্ণ ও তাঁর একান্ত হ্লাদিনী শক্তি ব্রজেশ্বরী
শ্রীরাধারাণী আর ভক্তশ্রেষ্ঠা গোপীকাবৃন্দ আর সকল বৈষ্ণব ভক্ত পার্ষদদের শ্রীচরণকমলে আমাদের ভক্তিপূর্ণ প্রার্থনা, সবার জীবন মঙ্গলময়, কল্যাণময়, প্রেমময়, ভক্তিময়, মুক্তিময়, শান্তিময়, সুন্দরময় এবং আনন্দময় করে রাখুণ নিরন্তর।( )
"হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ
কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে
হরে রাম হরে রাম
রাম রাম হরে হরে!!"
!!জয় হোক সকল ভক্তদের!!
!!জয় শ্রীবাসুদেব!!জয় রাধে!!
🙏🏼🥀"কৃষ্ণ কথা"🥀🙏🏼