15/11/2022
প্রেম ধীরে মুছে যায়, নক্ষত্রেরও একদিন মরে যেতে হয়ঃ পর্ব-১
"A little over three minutes plus additional time remaining. As so often Portugal's hopes rest on Cristiano Ronaldo's shoulder.”
সোচির পুরো স্টেডিয়াম তখন নিশ্চুপ, শুনসান নিরব, একদম পিনপতন নিরবতা যাকে বলে। পিকের ফাউলে স্পেন বক্সের খানিকটা দূরে ফ্রি-কিক পেলো পর্তুগাল। বলটা নিয়ে বসালেন, গুণে গুণে তিন কদম পিছনে গেলেন। বুক ভরে নিশ্বাস নিলেন, তার চোখ তখন শিকারির চোখের ন্যায়। যেনো লক্ষ্য ঠিক করছেন, একটু পরেই ছুড়ে মারবেন তার তীর। রোনালদো এগিয়ে এলেন, এবং ফ্রি-কিক নিলেন। পুরো সোচি তখন উন্মত্ত, উন্মাদ। ধারাভাষ্যকারের গলায় ভাসছেঃ
Ronaldoooo! Oh, Genius! Absolute Genius! Exemplary! Perfection! And It's a hat trick for Cristiano Ronaldo! "
সোচির সেই রাতে ক্রিস্টিয়ানো ত্রাতা হয়ে এসেছিলেন পর্তুগালের জন্য। সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক, আর দলকে এনে দিলেন ১ পয়েন্ট। হারের মুখে থাকা দলকে টেনে নিয়ে এলেন খাদের কিনারা থেকে, মরোক্কোর বিপক্ষে করলেন আরো এক গোল! এক বিশ্বকাপে চার গোলই এখন পর্যন্ত ক্রিশ্চিয়ানোর সর্বোচ্চ।
নভেম্বর ১১, ২০১৩। সোলনার ফ্রেন্ডস অ্যারেনায় মুখোমুখি সুইডেন বনাম পর্তুগাল। ইব্রাহিমোভিচের ঘরের মাঠে সেদিন সুইডিশরা স্বপ্ন দেখেছিলো বিশ্বকাপের মঞ্চ মাতানোর। সেই স্বপ্নে সেদিন বাধা হয়ে এসেছিলেন একজনই। সোলনায় সেদিন রোনালদোর হ্যাটট্রিকের পরে ধারাভাষ্যকারের মুখে সেদিন বয়ে যাচ্ছিলো ক্রিস্টিয়ানো বন্দনা, "Irrepressible, Irreplaceable, A rampant Ronaldo has delivered a magnificent individual performance to end Sweden's hopes and send Portugal on their way, a hat-trick on the night, a goal in the first leg when it was all about determination, drive, and will to win."
আরো একটি কথা ছিলো এমন, ইব্রাহিমোভিচ সবসময় নিজেকে বিধাতার আসনে কল্পনা করে থাকেন, রোনালদো ঠিক তেমনটাই করে দেখালেন। পর্তুগালকে নিজের কাধে ভর করে নিয়ে গেলেন বিশ্বকাপের মঞ্চে, কিন্তু সেবার বিশ্বকাপের ঠিক আগ মুহুর্তেই ইনজুরিতে পড়ে স্বপ্নের আকাশে কালো মেঘ নেমে আসে। আলোয় ভরা পৃথিবীর যত অন্ধকার সব যেনো ঠিক তার সামনেই এসে পড়ে। সেবার আর গ্রুপ পর্ব উতরাতে পারে নি পর্তুগাল। পর্তুগালের টিম ডাক্তার তখন আফসোস করে বলেছিলেন, “ ইশ আমাদের যদি দুটো রোনালদো থাকতো!”
বিশ্বকাপের মঞ্চে রোনালদো মাঠে নেমেছেন ১৭ বার, গোল করেছেন ৭ টি। চার বিশ্বকাপে গোল করার গুটি কয়েক ফুটবলারদের মধ্যেও নিজের নাম লিখিয়েছেন এই পর্তুগিজ মহাতারকা। ক্রিস্টিয়ানোর বিশ্বকাপের যাত্রা শুরু হয়েছিলো ২০০৬ বিশ্বকাপে। সেবারের যাত্রা থেমেছিলো জিদান নামক এক জাদুকরের কাছে। পরের বিশ্বকাপে গেলেন বিশ্বের সবচেয়ে দামি ফুটবলার হিসেবে। দক্ষিণ আফ্রিকায় সেবার বিশ্ব ফুটবলের সবচেয়ে বড় মঞ্চে রোনালদোর যাত্রা থেমেছিলো রাউন্ড অফ ১৬ তেই। ২০১৪ বিশ্বকাপে মাঠে নেমেছিলেন ইনজুরি নিয়েই, কারণ দল তাকে ছাড়া তখন অচল। শেষমে