10/02/2024
নিজের ভালোলাগা, নিজের ভালো থাকা, নিজের শান্তি, আনন্দ, বেঁচে থাকার কারণগুলোকে টুকরো টুকরো জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রাখতে হয়। কোনও পার্টিকুলার একজনকে কেন্দ্র করে নিজের সবটুকু নিয়ে আবর্তন করতে থাকা নিরাপদ নয় মোটেও। ছোটবেলায় একটা প্রেম করেছিলাম ১২ বছর ধরে। এতগুলো বছরে আমার বন্ধু, প্রেম, ভালোবাসা, গল্প করার মানুষ, রেস্তোরাঁয় খেতে যাওয়ার মানুষ, সিনেমা দেখতে যাওয়ার মানুষ, ঘুরতে যাওয়ার মানুষ, মন খারাপে হালকা হওয়ার মানুষ, ইত্যাদি বলতে ওই একজনই ছিল। আর কারোর প্রয়োজনীয়তা অনুভবই করিনি কোনওদিন। তারপর একদিন তার আমাকে বিদায় জানানোর সময় এলো। সে ভাবলোও না সে ছাড়া আমার আর কেউ নেই। সে চলে গেলো। আর ফিরলো না কোনওদিন। যার চলে যাওয়ার কথা ভাবিইনি কোনওদিন তাকে হারিয়ে ফেলে বুঝলাম, এই পৃথিবীতে সব কিছুর গ্যারান্টি হলেও হতে পারে, কিন্তু মানুষের থেকে যাওয়ার কোনও গ্যারান্টি হয় না।
অনেকগুলো বছর লেগেছিলো নিজেকে সামলাতে। রীতিমত হিমশিম খেয়েছিলাম নিজেকে আগলাতে। এক একটা দিন এতো একলা লাগতো, অসহায় লাগতো যে বেঁচে থাকার থেকে যন্ত্রণাদায়ক কিচ্ছু মনে হতো না। বছর পেরোনোর পরেও এতটাই ট্রমা ছিল বুকে যে ঘুমের মধ্যেও চোখ ভিজে যেত।
এই ধাক্কা সামলে ওঠার পর আমি বুঝতে শিখি জীবনের সমস্ত সঞ্চয় এক ভাঁড়ে জমিয়ে রাখতে নেই। কিছু সঞ্চয় বন্ধুত্বে রাখাও ভালো, কিছু সঞ্চয় আত্মীয়তাতেও ভালো, কিছু ঘুরতে যাওয়ার মানুষেও ভালো, কিছু সম মানসিকতার চেনা মুখেও ভালো, কিছু গল্পের বইয়ে ভালো, কিছু পোষ্যে ভালো, কিছু গাছ বাগানে ভালো। ভালো থাকার অনেকগুলো কারণ থাকা ভালো। জীবনে হঠাৎ ঘন অন্ধকার নেমে আসলে হাতের পাশে কটা মোমবাতি থাকা ভালো। তাতে অন্তত অন্ধকার গিলে খেতে আসে না...