09/01/2025
সাধুর সাথে প্রতারণা করতে এসে শেষমেশ আশীর্বাদ চেয়ে পলায়ন প্রতারকদের।
সাধুকে প্রতারকরা জানিয়েছিল, আপনাকে ডিজিটাল অ্যারেস্ট করা হল। আপনার কী কী অ্যাকাউন্ট আছে জানান।যেখানে থাকেন ঘুরিয়ে দেখান। লম্বা জেরার পর্বে পুলিশের পোষাক পড়া প্রতাকর বুঝতে পারে সাধুর কাছে কিছুই পাওয়া যাবে না। তখন সাধুর কাছে আশীর্বাদ চেয়ে বসে লাইন কেটে দেয়।
এবার সাইবার প্রতারকদের প্রতারণার চেষ্টা সর্বত্যাগী সাধুকেও। আতঙ্কে দিশেহারা পূর্ব বর্ধমানের পালিতপুর তিব্বতি বাবার আশ্রমের আশ্রমিক সাধক অশোক চক্রবর্তী। তিব্বতি বাবার আশ্রমটি বর্ধমান শহর থেকে বেশ খানিকটা দূরে পালিতপুর গ্রামে। জেলার বহু পুরনো আশ্রমগুলির মধ্যে এই একটি অন্যতম । বর্তমানে এই আশ্রমে থাকেন অশোক চক্রবর্তী।
অশোকবাবুর কথা অনুযায়ী মহারাষ্ট্রের একটি অচেনা নাম্বার থেকে একটি ফোন কল আছে। এরপরই ফাঁদ পাতে প্রতারক। অশোকবাবু জানান, আমার কাছে একটি ফোন আসে। আমাকে বলা হয়, আমার নামে অনেকগুলি মামলা আছে। এক আধটি নয়, সতেরোটি মামলা। সেগুলি সবই মহারাষ্ট্রের তিলকনগর থানায়।কিছুক্ষণ পর থেকেই আপনার ফোন আর চলবে না। আমরা ফোন কোম্পানি থেকে কল করছি। এরপর বলা হয়,আপনাকে একটি সুযোগ দেওয়া হচ্ছে।আপনাকে ভিডিও কল করা যেতে পারে?
সাধুবাবা জানান, হ্যাঁ,নিশ্চয়ই।
এরপর অপরপ্রান্ত থেকে জানান হয়, আপনি কলে নিজেকেও দেখতে পাবেন।
কলে দেখা যায়, পুলিশের পোশাক পড়ে একজন বসে আছেন।
তিনি আমায় নানা প্রশ্নবাণে জর্জরিত করেন।
তার মধ্যে ছিল?
আপনার রোজকারের উৎস কী,চলে কী করে?
আমি বলি, আমি ভিক্ষেও করিনা। আমার কোনো সম্পত্তি নেই।যারা আসে তারা যা দেয় তাতেই আমার চলে।
এভাবেই আমি নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেন সাধুবাবা।
এরপরে তাকে আশ্বস্ত করা হয়, আপনার কোনো চিন্তা নেই।" এরপর সাধুবাবার কাছে আশীর্বাদ চেয়ে ফোন কেটে দেয় প্রতারকরা।
সাধু অশোক চক্রবর্তী জানান, তিনি সেই মুহূর্তে অন্যন্ত ভীত হয়ে পড়েন। যদিও তার হারাবার কিছু নেই।
অশোক চক্রবর্তী জানান, এতটাই কনফিডেন্সে গোটা প্রক্রিয়া চলে আমি ফ্রড কল কী না ভাবার ফুরসতও পাইনি।