মন্ডা মিঠাই - Monda Mithai

মন্ডা মিঠাই - Monda Mithai আমাদের সবই মন্দ।
(8)

"নারীত্বের পূর্ণতা মাতৃত্ব"... নিশ্বব্দে অপলকে অনুভব করছে রীত। ছোট্ট একটা হৃদয়ের স্পন্দন... মৃদু মৃদু নিঃশ্বাস প্রশ্বাস...
27/06/2024

"নারীত্বের পূর্ণতা মাতৃত্ব"... নিশ্বব্দে অপলকে অনুভব করছে রীত। ছোট্ট একটা হৃদয়ের স্পন্দন... মৃদু মৃদু নিঃশ্বাস প্রশ্বাস এর শব্দ...এক অপার্থিব সুখের সূত্র। কতশত রাতের পর এই দিনটা এসেছে রীতের জীবনে। ছোট্টবেলায় পুতুল খেলার ঘরকন্না-রান্নাবাটির আড়ালে চলে বাস্তবের সংসারের মহড়া। সব মেয়েই স্বপ্ন দেখে পুতুল পুতুল দেখতে জ্যান্ত একটি নরশিশুর মাতৃত্বের স্বাদ নিতে। রীতের কাছে মাতৃত্ব বারবার ধরা দিয়েও পূর্ণতা পাচ্ছিল না!...মাস কয়েকের খুশির পৃথিবী লোহিত স্রোতের অকাল বানে বারবার ভেঙে গুঁড়িয়ে যেতো। কান্না আর শূন্য গর্ভ নিয়ে আরও একবার নতুন করে গড়ার লক্ষ্যে ডাক্তার রীতকে উজ্জীবিত করত। আজ রীতের সেই পরিপূর্ণতার দিন! সব যন্ত্রনা...অপূর্নতা... কটুক্তি... দীর্ঘশ্বাস আজ পিউপার আচ্ছাদন কেটে খুশির রঙিন প্রজাপতি হয়ে রীতের কোল আলো করে আছে। একদৃষ্টিতে নিজের গর্ভজাত সন্তানকে দেখে দেখে বিশ্বাস করতে পারে না রীত যে এটা সত্যি! ডাক্তার দত্তর উদ্বেলিত কন্ঠের ডাকে সম্বিত ফেরে রীতের।
-"তাহলে ?! কি নাম রাখবেন আপনার মেয়ের! মিসেস সিং?!"
একটুখানি আরও কোলের কাছে টেনে আনে রীত নীজের সদ্যজাত সত্তাকে। তারপর এক নিঃশ্বাসে বলে ওঠে...
আজ থেকে ওর নাম "মুমকিন"!

কলমে - #ইন্দ্রানী
ছবি - সংগৃহীত(Dm for credit)

-আসার সময় দুটো ডিম এনো তো।-নাহ! -কেন? -তুমি তো দুটো ডিম আমাকেই খাইয়ে দেবে, নিজে তো খাবে না তাই। -আরে আমার তো ডিম খেতে ...
25/06/2024

-আসার সময় দুটো ডিম এনো তো।
-নাহ!
-কেন?
-তুমি তো দুটো ডিম আমাকেই খাইয়ে দেবে, নিজে তো খাবে না তাই।
-আরে আমার তো ডিম খেতে ভালো লাগে না।
-ভালো লাগার জন্য খেতে হবে তো বলি নি, শরীরের ভালোর জন্যই খেতে বলা হয়।
-আচ্ছা খাব, তুমি এনো তো।
-মনে থাকে যেন কথাটা। দ্বিতীয়বার আর যেন কথা না বলতে হয় আমাকে এই নিয়ে।
-ঠিক আছে বাপু।
-পুষ্টিটা শুধু আমার নয় তোমারও দরকার। তুমি তো সমান সমান হিসেবে গরমিল করছো।
-সকাল সকাল আমায় বকো না তো।
-বকলাম কোথায়?
-বকলাম কোথায়? সারাদিন তাই করো তো।
-আবার আমাকে ভ্যাঙচাচ্ছো?
-বেশ করেছি।
-স্বাধে কি আর বাচ্চা বউ বলি!
-সেই বাচ্চা তো আমি।
-না তো কি!
-আমার আজ স্কুল ছুটি বলে, নইলে আমি কিনে আনতাম।
-আরে আমি আনব গো। কিছুই তো আর দিতে পারি না তোমাকে।
-আবার শুরু করলে তো?
-সত্যিই তা বললাম। একটা ছাপোষা ডাক্তার আমি, তাই হয়ে চাঁদে হাত বাড়িয়েছি...
-আমিও এসেছি তোমার কাছে। কেউ জোর করে আনে নি বা দিয়ে যায় নি। নিজের ইচ্ছে তে এসেছি।
-সরি আমি সেভাবে বলি নি।
-ছাড়ো!
-ছাড়লে হবে?
-হুম হবে।
-না না আমার তো এই মিষ্টি বউটাকে একটু প্রাণ ভরে ভকলোবেসে জড়িয়ে আদর করে না গেলে সারাদিনের শক্তিটা পাব কোথায়?
-যত্ত ঢং।
-সে যাই বলো, আমি ছাড়ছি না এখন তোমায়।
-দেরি হচ্ছে না।
-না।
-একটা কথা বলব।
-হুম।
-কোলকাতা যেতে হবে।
-কেন?
-তোমাকেও যেতে হবে মণি ডেকেছে।
-দিদির ব্যাপারটা নিয়ে?
-হুম।
-ওহ!
-আমার ননদিনীর বিয়ে হবে। উফ্ কি মজা।
-সে আর বলতে।
-ছুটি জমিয়েছি অনেক গুলো। একমাস থাকব আমি।
-বাঃ।
-না না আরো বেশি থকব। একদম পূজো কাটিয়ে আসব।
-আর আমার কি হবে?
-কি আবার হবে? এইইইইই যা! সরি সরি...
-দিলে তো বোতামটা ছিঁড়ে?
-অন্য জামা দিচ্ছি বের করে আলমারি থেকে দাঁড়াও।
-না না সেলাই করে দাও এটা চট করে।
-আরে না পাল্টে নাও না জামাটা চট করে লক্ষীটি।
-আমার বোতাম নিয়ে খুঁট খুঁট করা স্বভাবটা তোমার আর যাবে না বলো?
-হে হে হে!

কলমে - #দুঃখবিলাসী
ছবি - সংগৃহীত(Dm for credit)

বিকেল তখন পাঁচটা পনেরো, তিয়াশ বাড়ি থেকে বেরিয়ে কিছুটা এগিয়ে বড়ো রাস্তার দিকে গিয়ে দাঁড়ালো। ভাবছে সে কখন আসবে, ঠিক...
17/06/2024

বিকেল তখন পাঁচটা পনেরো, তিয়াশ বাড়ি থেকে বেরিয়ে কিছুটা এগিয়ে বড়ো রাস্তার দিকে গিয়ে দাঁড়ালো। ভাবছে সে কখন আসবে, ঠিক তখনই পেছন থেকে হর্নের শব্দ এলো। তিনি এসে গেছেন। অবাক করা বিষয় হলো দু'জনের ড্রেসের রঙ এক হয়ে গেছে। বেশ কিছুদিন আগেই ও তীর্থকে বলেছিল ওকে চেক শার্ট এ বেশ ভাললাগে আর সেটাই পরে এসেছে ও। সেটা দেখে তিয়া একটু খুশিই হয়।

- আমি কিন্তু হেলমেট পরবো না আগে থেকে বলে দিচ্ছি।
- আচ্ছা বাবা তুমি আগে বসো বাইকে।
- ওকে..
তীর্থ তিয়াশকে নিয়ে ওর এক বন্ধুর বাড়ি গেলো সেখান থেকে বুঝিয়ে ঠিক হেলমেট পরিয়ে দিলো ওকে।

- তুমি একটুও আমার কথা শোনো না।
- এতো রাগ করলে চলে?
- আচ্ছা আমরা যাচ্ছি কোথায় জানতে পারি?
- হ্যাঁ, আমরা একটা খুব সুন্দর জায়গাতে যাচ্ছি
- হ্যাঁ সে নাহয় বুঝলাম কিন্তু কোথায়?
- একটু অপেক্ষা করো..

প্রথমে রাস্তাটা বুঝতে না পারলেও কাছাকাছি এসে গেলে তিয়াশ বুঝে যায়।

- বাবু ঘাট?
- হ্যাঁ ম্যাডাম, আপনার প্রিয় জায়গা!
তিয়াশ ভীষণ খুশি হয়, আসলে অনেকদিন আসা হয়নি ওর এই দিকে।

- আপনার তো দেখছি সব দিকেই বেশ নজর!
- হ্যাঁ কি আর করবো বলুন একটু রাখতে হয়।
- তাই বুঝি?
ঠিক এই সময় তিয়াশের ফোন বাজে। দেখে অর্নার ফোন। ফোনটা ধরতেই অর্না বলে ওঠে,

- কিরে কোথায়? বাবু ঘাট ?
- এই এই তুই কি করে জানলি? তুই আসে পাশে আছিস নাকি ? কই তুই ?
- আরে আরে আমি বাড়িতে রে..
- না না তোকে বিশ্বাস নেই বল কই তুই?
- আচ্ছা আমি ফোনটা রাখি বুঝলি
- আরে শোন...

ফোনটা কেটে যায়। আর তিয়াশ বুঝে যায় আর তীর্থর দিকে তাকালে দেখে ও মুচকি হাসছে।
- সব তোমাদের প্ল্যান তাই না ?
- কই না তো!
- দাঁড়াও হচ্ছে তোমাদের

বলে নিজেও হেসে ফেলে তিয়া। তারপর ধীরে ধীরে সন্ধ্যে নামে আর ওরা সেই দিকে তাকিয়ে থাকে।এক সময় তিয়াশ তীর্থর কাঁধে মাথা রাখে আর তীর্থ ওর মাথায় হাত বুলিয়ে দেয়। আচ্ছা ভালোবাসা কি এতো তাডাতাড়ি হয়? হ্যাঁ হয়। তীর্থ যে বড্ড ভালবেসে ফেলেছে যে তিয়াশকে।

- তিয়া!
- হুম বলো?
ওরা একে অপরের চোখের দিকে তাকায়; হয়তো আজকেই সবটা বলে দেবে একে অপরকে জড়িয়ে ধরে। দু' জনের চোখে বেশ স্পষ্ট সবটা। আচ্ছা ওরা কি বোঝে না!
নাহ্ বোঝে সবই কিন্তু সময়টাও তো দরকার। প্রতিটা সম্পর্কে সময় দেওয়া দরকার, ধীরে ধীরে এগোনো টাই যে উচিৎ।
হাওয়ায় তিয়ার মুখের ওপর চুল এসে পড়লে সরিয়ে দেয় তীর্থ।

এতো কথা বলি যাকে, চিনি আমি চিনি তাকে।
চোখে চোখে কথোপকথন,
তুই হাসলি যখন,
তোরই হলো এ মন...

কলমে- #অন্বেষা
ছবি - সংগৃহীত (Dm for credit)

"- প্লিজ সায়ন্তন... একটু বোঝার চেষ্টা করো! অহনা তো আমাদেরই সন্তান...! পৃথিবীর সব শিশুর মত ও ও তো বাবা মা উভয়েরই ভালোবা...
10/06/2024

"- প্লিজ সায়ন্তন... একটু বোঝার চেষ্টা করো! অহনা তো আমাদেরই সন্তান...! পৃথিবীর সব শিশুর মত ও ও তো বাবা মা উভয়েরই ভালোবাসা পাওয়ার যোগ্য বলো?!
- না! কেন বারবার এক কথা বলো তুমি অনন্যা?! কেন ভুলে যাও তুমি সত্যটা!? এখনো যদি না মেনে নাও তাহলে আমার আর তোমার ওই নুলো - পঙ্গু মেয়ের মধ্যে একজনকে বেছে নিতে হবে...এই আমি শেষবারের মতো বলে দিলাম।"
ডুকরে ফুঁপিয়ে কেঁদে ওঠে অনন্যা। এ কোন চক্রবূহ্য ... সে বুঝে উঠতে পারে না। একদিকে তার নিজের জীবনসঙ্গী আর অন্যদিকে তার গর্ভজাত আত্মজা "অহনা" যার একটাই দোষ যে সে জন্মগতভাবেই "অটিজম" নিয়ে এসেছে পৃথিবীতে। মা হয়ে কিভাবে পারবে তার সন্তানের এই অনিচ্ছাকৃত জন্মগত ত্রুটির জন্য তাকে একটা মেন্টাল হোমে চিরকালের জন্য নির্বাসিত করতে! দুচোখের জলেরা ঝরতে ঝরতে কখন যেন শুকিয়ে গিয়েছে এই কবছরে। ডাক্তার- বৈদ্য- হাকিম - থেরাপি- তাবিজ- কবচ- মাদুলি-পুজো- মানত কিছুই পারেনি এ রোগ সারাতে! মাঝখান থেকে সায়ন্তন তিতিবিরক্ত হয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে অহনাকে একটা মেন্টাল হোমে রেখে আজীবন ব্যায়ভার বহন করবে,আর পরবর্তীতে একটি সুস্থ সন্তান দত্তক নিয়ে তাকেই বড় করবে। কিন্তু অনন্যা! সে তো গর্ভ ধারণ থেকে অহনাকে অনুভব করতে শুরু করেছিল,তাকেই সে সম্পূর্ণ বিনাদোষে কিভাবে ছেড়ে দেবে অজানা ভবিষ্যতের হাতে। একরত্তি মেয়েটা যে নিজে হাতে খাবার ও খেতে পারে না!ভাবতেই চোখটা জ্বলে উঠলো। মাথার ভিতরে শূন্যতা অনুভব করতে করতে কখন যেন অঝোরে বৃষ্টি শুরু হয়েছে বাইরে অনুভব করতে পারেনি অনন্যা। ধীর পায়ে ব্যালকনিতে এসে দ্যাখে ছোট্ট অহনা তার প্রিয় ড্রয়িং খাতা আর রং পেন্সিল এর পাশেই গুটিশুটি পাকিয়ে ঘুমিয়ে আছে। মমতা আর জীবনসঙ্গী এই দুয়ের সহাবস্থান কেন একসাথে হল না অনন্যার জীবনে?!কী ভীষণ কঠিন যুদ্ধ! ছোট মেয়েটা কি ভীষণ আঁকতে ভালোবাসেন।সারাক্ষন আঁকিবুঁকি...মনের অপ্রকাশিত ভাবগুলো রঙের মাধ্যমে প্রকাশ করে সে! দিব্যি বুঝতে পারে যে তার জন্মদাতা তাকে চায়না। লালা ঝরা মুখে শূন্য দৃষ্টিতে চেয়ে দেখে সায়ন্তন কে। অথচ কতশত স্বপ্ন ছিল তার বাবার তাকে নিয়ে! হাত বাড়িয়ে ড্রয়িং খাতাটা ভাঁজ করতে নিতেই,দেখতে পায় কি সুন্দর একটা ছবি এঁকেছে অহনা। এক মা তার মেয়েকে স্কুলে থেকে সাইকেল চালিয়ে নিয়ে ফিরছে আর পিছনে রেইনকোট গায়ে দিয়ে থাকা একরত্তি মেয়েটা ছোট্ট হাত দুটো দিয়ে আপ্রাণ চেষ্টায় ছাতাটা মা- এর মাথার ওপরে ধরে বৃষ্টির হাত থেকে বাঁচাতে চেষ্টা করছে।
কত সুন্দর একটা সহজাত সম্পর্ক। নাড়ীর সঙ্গে নারীর সম্পর্ক।
আস্তে আস্তে অহনাকে কোলে তুলে ঘরে নিয়ে যেতে যেতে মনস্থির করে অনন্যা যে ওই ছবিটার মতোই তাদের মা মেয়ের একটা আলাদা পৃথিবী গড়বে কাল থেকে, যেখানে তার জন্মগত ত্রুটির জন্য তাকে ত্যাগ করে যাওয়া মানুষের প্রবেশ নিষেধ।

কলমে - #ইন্দ্রানী
ছবি - সংগৃহীত (Dm for credit)

সৌরিশ আর মেঘনার বিয়েটা শেষমেষ হয়েই গেলো। আসলে ওদের সম্পর্ক সেই ক্লাস 10 থেকে দেখতে গেলে প্রায় এগারো বছরে পা দিলো কিন্...
08/06/2024

সৌরিশ আর মেঘনার বিয়েটা শেষমেষ হয়েই গেলো। আসলে ওদের সম্পর্ক সেই ক্লাস 10 থেকে দেখতে গেলে প্রায় এগারো বছরে পা দিলো কিন্তু ওদের বিয়েটা নিয়ে ঠিক ততটাই সমস্যা দেখা দিয়েছিল। এদিকে মেঘনার বাড়ির লোকজন ওর জন্য প্রায় রোজই একটা নতুন বিয়ের সম্বন্ধ আনে আর ও সোজা নাকচ করে দেয়; আর এদিকে বেচারা সৌরিশ এখনো বাবাকে বলে উঠতে পারে নি যে একটা মেয়েকে ভালবাসে।
এদিকে যখন টালমাটাল অবস্থা হটাৎ সৌরিশের জন্য সম্বন্ধ আসে আর ওর হাজার চেষ্টার পর ও সেই মেয়ের সঙ্গেই ওর বিয়ে ঠিক হয়। কথা বলা বন্ধ হয়ে যায় মেঘনার সঙ্গে। তবে বিয়ের শর্ত ছিল, বিয়ের আগে ছেলে মেয়ে কেউই দেখা করতে পারবে না; সোজা ছাদনাতলাতে দেখা হবে। কিন্তু বিয়ের দিন মেয়ে পানপাতা সরাতেই সৌরিশের মাথা ঘুরে গেলো মেয়েকে দেখে! এতো মেঘনা! আসলে সবটাই প্রি-প্ল্যানড। বাড়ির সবাই সবটা জেনে গেছিলো। তাই তারা আর দেরি করে নি বিয়ের জন্য। মেঘনা সবটাই জানত, তাই পানপাতা সরিয়ে সৌরিশের অবস্থা দেখে হেসে ফেলেছিল। বেচারা সৌরিশ! ওর অবস্থা ভাবলেই হাসি পায়। এরপর আর কি ওদের হানিমুন আর সেটা সোজা দার্জিলিং এ।

- এই মেঘনা!
- হুম বল।
- তুইই সবটা বাবাকে বলেছিলি না ?
- তা নয়তো কি করবো বল? তুই এখন যদি ভয়ে মরিস আমাকেই তো বলতে হবে। তোর ভরসায় থাকলে এতদিনে আমার অন্য জায়গায় বিয়ে হয়ে যেতো আর সেটা দেখে তুই চান্না মেরেয়া গানটা গাইতিস।
- একটা গাট্টা মারবো মাথায়! খালি বাজে কথা তাই না?
- ভুল কি বললাম ভীতুরাম?
- আমি ভীতু তাই না ?
- হ্যাঁ হ্যাঁ হ্যাঁ তুই ভীতু..
- তবে রে!

এই বলে ওর হাত ছাড়িয়ে ফাঁকা পাহাড়ি রাস্তায় ছুটতে লাগলো মেঘনা আর ওকে ধরার জন্য সৌরিশ ঠিক ওর পেছনে দৌড়তে লাগলো। একটা জায়গায় এসে ও মেঘনাকে ধরে ফেললো।

- এবার আর কোথায় পালাবি বল?
- এই সামনে দেখ!

সামনে তখন কুয়াশা পরিষ্কার হয়ে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখা যাচ্ছে। কি সুন্দর সেই দৃশ্য।

- কিরে পছন্দ তো ?
- হ্যাঁ ভীষণ কিন্তু...
- কিন্তু কি?
- তার থেকেও বেশি পছন্দ তোকে Mr.

ওরা একে অপরকে জড়িয়ে ধরে, ঠিক যেমন কুয়াশা জড়িয়ে ধরে পাহাড়কে।

কলমে- #অন্বেষা
ছবি - সংগৃহীত (DM For Credit)

-মা পেপসি খাব। -ওসব পেপসি একদম ময়, সব নর্দমার জল...-দাও না একটা কিনে। -না। -প্লিজ। -রাস্তার ওই পারে চল আইসক্রিম কিনে দে...
03/06/2024

-মা পেপসি খাব।
-ওসব পেপসি একদম ময়, সব নর্দমার জল...
-দাও না একটা কিনে।
-না।
-প্লিজ।
-রাস্তার ওই পারে চল আইসক্রিম কিনে দেব।
-না না না।
-বড্ড জেদি হয়েছিস তো তুই!
-সবাই খায় মা।
-সবাই যা করে তুমিও কি তাই করবে?
-না কিন্ত...
-আবার কিন্ত কিসের? তাড়াতাড়ি বাড়ি চল। এই রোদে বেশিক্ষণ থাকলে শরীর খারাপ হয়ে যাবে।
-আমি দাদাভাইকে দেখেছি।
-কোথায়? দাদাভাই তো বাড়িতে পড়াশুনো করছে।
-হ্যাঁ জানি, কিন্ত পরশু দিন দেখেছি আমি ওকে বন্ধুদের সাথে পেপসি খেতে।
-আবার মিথ্যে কথা?
-না গো সত্যি।
-কখন?
-টিফিনের সময়। আমি জানালা দিয়ে দেখেছি, ক্লাস থেকে।
-আচ্ছা আমি জিজ্ঞাসা করব।
-হুম। বকবে তো ওকে। কি গো বকবে তো?
-বড়োদের নামে নালিশ করতে নেই আমি শিখিয়েছি তো তোমাকে নাকি?
-হুম, সরি মা।
-চল আইসক্রিম কিনে দেই।
-দাদাভাইয়ের জন্যও কিনব।
-একটু আগেই তো নালিশ করছিলিস দাদার নামে?
-না ওর ও তো দুঃখ হবে ওকে আইসক্রিম আমি না দিয়ে খেলে।
-তাই?
-হুম।
-আচ্ছা দেখ কোনটা নিবি।

কলমে- #দুঃখবিলাসী
ছবি- সংগৃহীত (Dm for credit)

-এই বৃষ্টি আসার আগের সময়টা যে আমার কি প্রিয়...-জানি তো। -এই যে আকাশটা অন্ধকার হয়ে এসেছে, চিনচিনে হাওয়া বইছে একটা, আহা...
27/05/2024

-এই বৃষ্টি আসার আগের সময়টা যে আমার কি প্রিয়...
-জানি তো।
-এই যে আকাশটা অন্ধকার হয়ে এসেছে, চিনচিনে হাওয়া বইছে একটা, আহা! কি যে ভালো লাগে আমার, আমি বলে বোঝাতে পারব না।
-আমার থেকেও বেশি ভালো লাগে?
-অদ্ভূত প্রশ্ন!
-আগেও বৃষ্টি হয়েছে এখানে।
-হুম, রাস্তাটা ভেজা।
-এই পাগল প্রেমিক তোমায় তোমার প্রিয় মুহূর্তটা একটা বাইকে চাপিয়ে উপভোগ করার ক্ষমতাটাও রাখে না, এতটাই অযোগ্য।
-দামি জিনিস থাকাটা যোগ্যটার পরিচয় নয় আসিফ।
-তাও,
-এই মুহূর্তটা আমি তোমার সাইকেলে চেপে বিগত তিন বছর উপভোগ করেছি এবং বাকি জীবনটাও তাই চাই। সে তুমি বাইক পরে কিনলেও।
-দাঁড়িটা টানলে কেন?
-ইচ্ছে করল।
-বদমাশি যত!
-শোনো গলির সামনের মুদি দোকানটায় দাঁড়াবে।
-কেন?
-ডিম কিনব দুটো।
-খিচুড়ি বানাবে?
-হুম। চলবে তো?
-চলবে বলছো কি গো? দৌড়োবে তো।
-তাহলে ওই কথাই থাকল।
-সব সব্জি তুমি কেটে রাখবে আমি এসে বসাব, তারপর গরম গরম খাব।
-এই রকম দিনগুলোতে মিসেস মৈত্রও খিচুড়ি বানাতেন আমার জন্য।
-উনার কথা মনে পরে তোমার খুব?
-না স্মৃতি গুলো মনে পরে শুধু।
-আচ্ছা।
-যে মহিলা তার এগারো বছরের বাবা মরা ছেলেকে ফেলে দিয়ে অনায়াসে প্রেমিকের সাথে চলে যান আমি তাঁকে মা সম্বোধন দিতে লজ্জা বোধ করি।
-সরি।
-সরির কিছুই নেই তোমার তো এখানে। উনার প্রসঙ্গ আমি আমলাম এখানে তুমি নও।
-তাও...
-কি তাও? নিজেকে ছোট করাটা অপরাধ রিয়া।
-আচ্ছা এসব বাদ দাও।
-হুম। তুমি আজ ওপরের তাতাইকে পড়াতে যাবে তো?
-হ্যাঁ।
-অন্য পড়ানো থাকলে এই বৃষ্টির দিনে সমস্যা হতো।
-হুম, আমি তো ছাতা নিয়ে বেরিয়েছিলাম।
-ওহ্।
-তাড়াতাড়ি চালাও একটু, বৃষ্টি এলো বলে।
-আসুক না, ভিজিয়ে দিক আমাদের।
-সব গ্লানি মুছে দিক।

*॥পাগলী, তোমার সঙ্গে ব্রক্ষ্মচারী জীবন কাটাব*
*পাগলী, তোমার সঙ্গে আদম ইভ কাটাব জীবন॥*

কলমে- #দুঃখবিলাসী
ছবি- সংগৃহীত (Dm for credit)

- হ্যালো দিতি!আসছিস!- কি হয়েছে! এতো থমথমে লাগছে কেনো!- জানি না মনটা বড্ড কেমন করছে,তুই আসবি!- কটার সময়!কোথায় যাবো বল!...
26/05/2024

- হ্যালো দিতি!আসছিস!
- কি হয়েছে! এতো থমথমে লাগছে কেনো!
- জানি না মনটা বড্ড কেমন করছে,তুই আসবি!
- কটার সময়!কোথায় যাবো বল! আমার তো আবার টিউশন আছে!
- ওহ্!তাহলে আসতে পারবি না!
- সেটা বলিনি!বললাম কখন আসতে হবে বল।তাহলে টিউশন টার টাইমিং চেঞ্জ করে নেবো।
- বিকেল চারটে ময়দান পার্ক।
- ওকে!তুই কিছু খেয়ে নে।মনে হচ্ছে কিছু খাস নি।
- হম।ঠিক আছে রাখলাম।
- হম।

(বিকেল চারটা নাগাদ)

- কি হয়েছে দিতি!
- না রে ভাবছি...এতগুলো চেষ্টা করলাম কিন্তু এই ইন্টারভিউ টাও ভালো গেলো না।বুঝতে পারছি কি হবে।
- তুই আবার এত ভাবছিস! তুই তো তোর দিক থেকে চেষ্টা করেছিস!এবার ফলাফল যা হবে ভালোই হবে দেখিস।
- জানি না কেমন যেনো হতাশা হয়ে পড়েছি।
- হাল ছাড়িস না কখনো। যাই হয়ে যাক না কেন।
- কি করবো বল ভীষণ একা লাগে।বাড়ির পরিস্থিতি ও খুব একটা ভালো নয়। শরীর টাও মাঝে মাঝে খারাপ হয়ে যাচ্ছে,আর যেনো ভালো লাগে না।
- হম! স্বাভাবিক তাও চেষ্টা কর ধৈর্য ধরার দেখিস সব ভালো হবে।
- দেখি কি হয়।
- ও হ্যা আরেকটা কথা এনি প্রবলেম ইউ আলসো কল কথা কলি,সি আলসো ট্রাই টু হার বেস্ট।
- আচ্ছা ইংলিশ মহারানী ইংলিশ ঝাড়া বন্ধ করুন।
- এই তো! সেই আবার তুই ,তোরা না মূল্য দিলি না।
- হয়েছে হয়েছে,চুপ কর।কি খাবি বল।
- না আজ আমি খাওয়াবো।
- না আমি।
- না বলছি
- ওকেহ্!খাওয়া।
- কি খাবি বল!
- যা ইচ্ছে।
- ধুত!বল না কি খাবি!
- তুই যা অর্ডার করবি!আমার জন্যও করে নিস।
- ওকেহ!এস ইউর উইশ ম্যাডাম।

কলমে- #সোনাই
ইলাস্ট্রেশন- সংগৃহীত ( Dm for credit)

মনস্বিতার মননের আকাশ আর বাইরের আকাশ দুটোর রঙ-ই আজ ঘোরতর কৃষ্ণবর্ণ! প্রবল কালবৈশাখীর আবাহনে ধীরে ধীরে উত্তাল হয়ে উঠছে নদ...
18/05/2024

মনস্বিতার মননের আকাশ আর বাইরের আকাশ দুটোর রঙ-ই আজ ঘোরতর কৃষ্ণবর্ণ! প্রবল কালবৈশাখীর আবাহনে ধীরে ধীরে উত্তাল হয়ে উঠছে নদী…গাছের পাতা। ভিজতে চায় শুকনো মাঠ...ঘাট..গাছ...প্রান্তর। তাপহরা তৃষা হরা লয়ে ভিজতে চায় প্রানীকূল।আর মনস্বিতা?!... তার হৃদয় জুড়ে পূর্ব রাগের ঘনঘটা। মনের আকাশের জল থই থই মেঘ টুপটাপ ঝরতে শুরু করে যখন মনসিজ এসে নিঃশব্দে তার মাথার ওপরে ছাতা ধরে। এত অভিমানেও হাসি পায় মনস্বিতার!এই প্রবল কালবৈশাখীর সামনে এই ছাতা?!...ছেলেরা কি সব কিছুতেই এত বোকা হয়?! নয়তো মনস্বিতার চোখের ভাষা এত বছরেও মনসিজ পড়ে উঠতে পারল না??!সেই কোন ছোটবেলা থেকেই কর্কট রোগী বাবার সেবা-পথ্য করতেই ব্যাস্ত মনস্বিতা নিজের মনের ভাব জানানোর সুযোগ ই পায়নি কখনো। তবুও সবসময় জেনেছে যে মনসিজ ও সে ঈশ্বরের নির্ধারিত জুটি।‌ কিন্তু আজ অফিসে বসে মনসিজের বিয়ের খবর পেয়ে খুব ভেঙে পড়েছে। পরেমেশ্বরের সব ভালো মন্দ সিদ্ধান্ত চিরকাল মুখ বুজে সয়েছে একাই। ভরসার জায়গা ছিল কেবল মনসিজ। তবে কি সেই পুরুষটি কখনোই পড়তে পারেনি মনস্বিতার চোখের ভাষা...আকুতি... কৃতজ্ঞতা... ভালোবাসার প্রবলতা?! নিজের হৃদয়কে শান্ত করতে একাই চলে এসেছে গঙ্গার ধারে। আজ প্রকৃতিও তার মতো গুমোট। নিজেকে ঝরিয়ে দিয়ে,হালকা হতে চায়।যা কিছু শোষণ করেছে তিলে তিলে ভূমি থেকে...কড়ায় গন্ডায় ফিরিয়ে দিতে এসেছে। টুপটাপ ঝরতে শুরু করা ঝিরিঝিরি বৃষ্টি তে হঠাৎ একটা চেনা সুবাস পেয়ে বুঝতে পারে মনসিজের নিঃশব্দ উপস্থিতি।
"তুমি এই ঝড়বৃষ্টিতে একা এখানে কেন এসেছো মন?"
উত্তরেরা কান্নায় অবরুদ্ধ হয়ে যাচ্ছে বুঝতে পেরে চুপ করে থাকে মনস্বিতা।
"ফিরে চলো বাড়ি।"
"বাড়ি??কার বাড়ি কিসের বাড়ি?! চারদেয়ালের ঘর কখনো বাড়ি হয়না মন! আমি চেয়েছিলাম তোমার সাথে একটা ঘর বাঁধতে... চেয়েছিলাম একটা লাল-নীল সংসার গড়তে! আর তুমি?!... (মনস্বিতার গলাটা জ্বালা করে ওঠে কান্না তে)"
কখনো কখনো নিঃশব্দতা অনেক কিছু বলে দিয়ে যায়। এই এখন যেমন ঝড়ের হাওয়া মনের সব জ্বালাকে আস্তে আস্তে জুড়িয়ে দিচ্ছে।
"তোমার সাথে ঘর তো আমি সেই স্কুলের বেঞ্চে টিফিন শেয়ারের দিন থেকেই কোরে আসছি, শুধু সামাজিক পরিচয় দেওয়া হয়ে ওঠেনি কাকুর অসুস্থতার জন্য। আমি ভেবেছিলাম ভালোবাসার অনুভূতি...টান যখন আমাদের দুজনের ই সমান ভাবে, তখন আর সবার সামনে ঢাকঢোল পিটিয়ে নাই বা প্রচার করলাম। শুধু তুমি জানলেই হবে যে এই মনটা ওই মনের তারেই বাঁধা।
হু হু করে আসা জলীয় বাতাসের দমকায় ছাতাটা বারবার বেসামাল হয়ে পড়েছে। আর তার সাথে সাথেই অভিমান...বিরহ.. যন্ত্রনার অবয়ব ধুয়ে গিয়ে মনস্বিতা আর মনসিজ প্রেমের নব প্রতিমায় রূপান্তরিত হচ্ছে। নব প্রেমের জোয়ারে ভাসছে চরাচর।

কলমে- #ইন্দ্রাণী
ছবি- সংগৃহীত (Dm for credit)

–কিরে তোর কি রোদে কষ্ট হচ্ছে?–কই না তো, তাছাড়া এখনও কত কেনাকাটা বাকি। করবি না?–ধুর!–কি হলো আবার? কি করলাম আমি?–আরে তুই ক...
16/05/2024

–কিরে তোর কি রোদে কষ্ট হচ্ছে?
–কই না তো, তাছাড়া এখনও কত কেনাকাটা বাকি। করবি না?
–ধুর!
–কি হলো আবার? কি করলাম আমি?
–আরে তুই কিছু করিস নি, দেখ এই সুয্যমামা টা খালি পাগলের মতো পড়েই যাচ্ছে।সামনে মনে হয় ওর পরীক্ষা আছে।
–হাহাহাহা!
–হাসছিস তুই?
–মা রে দাঁড়া হেসে নি উফফফ!তুইও না কি যে বলিস হাসতে গিয়ে দাঁত খুলে বেরিয়ে আসবে এবার।
–ঢং করিস নাতো!
–কেনো প্রিয়তমা? তোমার সাথে ঢং করবো নাতো কার সাথে করবো?
–করিস কিন্তু এই গরমে আমার আর ভালো লাগছে না।
–এটা কেমন হলো, তোর ঘ্যান ঘ্যান শুনতে শুনতে কান দিয়ে রক্ত বেরোনো শুরু হয়ে গেছিলো, আর আজ সেটা বন্ধ করার জন্য বেরোলাম। তুই এইটুকু ঘুরেই কুপোকাত?
–গরম লাগছে, ধুর আমার এই রোদ টা একদম ভালো লাগে না।
–কেনো সোনা তুমি তো এই গরমেই জন্মেছিলে।
–তো?
–না তোর তো গরম কাল পছন্দের সময়। তাহলে এতো বিরক্ত হচ্ছিস কেনো?
–শোন গরমকাল ভালো লাগে তা বলে এতো রোদ ভালো লাগে না।
–না ঠিকই বলেছিস, খুব রোদ উঠছে রে। আমারই উচিত হয় নি তোর পাগলামি তে সঙ্গ দেওয়া, সন্ধ্যেবেলা বেরোলেই ভালো হতো।
–হ্যাঁ রে ঠিক বলেছিস।
–বেরিয়ে যখন পড়েছি কি আর করবো, চল দেখি ঐ দিকে কিছু জুস বা কিছু পাই কিনা...
–এই এই একটা আবদার রাখবি?
–কি বল!
–ডাবের জল খাবি?
–হ্যাঁ খাওয়াই যায়, শরীর আর তোর মাথা দুটোই ঠান্ডা রাখবে।
–তবে রে হনু...
–পরে মারবি চল চল নাহলে ডাব শেষ হয়ে যাবে।আর মাত্র কয়েকটাই ডাব পরে আছে কিন্তু।

(ডাবের দোকানের সামনে এসে )

–দাদা দুটো ডাব দিন তো, কেটে দেবেন.. ভালো দেখে দেবেন।
–এই দুটো কেন নিচ্ছিস?
–কটা নেবো তাহলে, তুই তো বললি ডাবের জল খাবি।
–হ্যাঁ কিন্তু দুটো নিতে বলি নি একটা নে, একটাই দুজনে ভাগ করে খাবো।
–কিন্তু কেনো?
–কারণ আমি একা একটা ডাবের পুরো জল খেতে পারবো না।
–কি যে পারিস তুই ভগবান জানে।
কাকু একটাই দাও, ভালো দেখে দিও হুম।.
–চল ঐ দিক টায় বসে খাই, এই গরমে নিজে একটা শাড়ি আর আমারে পাঞ্জাবী পরাইসে।
–চুপ কর কি ভলো লাগছে দেখতে।
–হ্যাঁ সত্যিই সুন্দর লাগছে।
–কাকে?
–আমার প্রিয়তমা কে।
–মা গো মা পারি না আর। পরে একটা বস্তা কিনে তোর ভালোবাসাটা ঢুকিয়ে নেবো। এখন এটা খা।
–হুম তুই খা , আমি একটু তোকে চোখ ভোরে দেখি, কি ভালো লাগছে দেখতে।
–ঢং যতসব!

এই বলে মেয়েটা ডাবের জল খেয়ে শরীর ঠান্ডা করছে, আর ছেলে টা তার সামনে বসে থাকা তার প্রিয়তমা কে দেখে চোখ, মন ঠান্ডা করছে।
আসলে কি বলতো লং ডিসটেন্সে থাকা সন্পর্ক গুলোই এরকম হয়, সারা বছর তো এদের দেখা হয় না তাই যেদিন দেখা হয় সেদিন মন ভোরে নিজের প্রিয় মানুষটাকে দেখে নিতে হয় আগামী কিছু দিন বা মাসের জন্য কারোর করে ক্ষেত্রে তো সেটা বছরও পেরিয়ে যায়। এই বাহ্যিক গরমের তীব্রতা, বৃষ্টি, ঠান্ডা এদের দেখা করার ওপর প্রভাব ফেলতে পারে না। ভালোবাসা হয়তো এটাকেই বলে।

কলমে- #মৌ
ছবি- সংগৃহীত (Dm for credit)

-এনেছো?-দুপুরে বাড়িতে খেতে গেলে তো আর এভাবে দুপুরের খাবারটা সন্ধেবেলা রাস্তায় দাঁড়িয়ে খেতে হয়না ! জয়িতা টিফিনবক্সট...
15/05/2024

-এনেছো?
-দুপুরে বাড়িতে খেতে গেলে তো আর এভাবে দুপুরের খাবারটা সন্ধেবেলা রাস্তায় দাঁড়িয়ে খেতে হয়না ! জয়িতা টিফিনবক্সটা বাড়িয়ে দিল অংশুর দিকে।
-আজ খুব চাপ ছিল গো দুপুরে, অংশু টিফিনবক্সটা খুলতে খুলতে হাসল, তবে আজ ইনকামটা ভালোই হয়েছে।
-ইনকামের চক্করে নিজের খাওয়া ঘুম ভুললে তো হবে না, শরীরটারও তো খেয়াল রাখতে হবে নাকি!
-তুমি তো আছো তার জন্য।
-সেই , জয়িতা মুখ বেঁকাল,আমি না থাকলে যে তোমার নাওয়া খাওয়া মাথায় উঠত তা আমি ভালোই জানি।
অংশু খেতে খেতে একটু হাসল।
-হেসো না তো , এবার থেকে দুপুরে যতই চাপ থাকুক, বাড়িতে এসে খেয়ে তারপর বেরোবে, তাতে দুটো অর্ডার গেলে যাবে।
-তাই নাকি ?
-আজ্ঞে।আমি আর পরের দিন থেকে আসতে পারবো না।
অংশু একটু আনমনা হয়ে গেল, তোমার খুব কষ্ট হয় নাগো ?
-হঠাৎ একথা ভাবার কারণ ?
-আমার সাথে সাথে তোমার খাটনিটাও তো কম হয়না।সারাদিন বাড়ির কাজ তো করোই, তারপর আবার আমি এরকম মাঝে মাঝেই খাবার নিয়ে আসার জন্য উৎপাত করি।
-তা নিয়ে কী আমি কখনো কিছু বলেছি ?
-তা নয়। তবে আমি তো বুঝি। গ্র্যাজুয়েশনটা শেষ করলে হয়তো কিছু একটা চাকরি পেতাম, বাবা চলে যাওয়ায় তাও তো হলনা। তারপর তোমার বাড়িতে বিয়ের চাপ দিলে তুমি এককাপড়ে বেরিয়ে এলে।জানোতো মাঝে মাঝে ভাবি হয়তো বাড়ির লোকেদের কথা শুনলেই ভালো করতে তুমি।আমি তো তোমায় কিছুই দিতে পারিনি।
-তুমি এই অতিরিক্ত ভাবনাগুলো কবে কমাবে গো ?মাঝে মাঝে মনে হয়না, ভাবনাগুলোয় একটু লাগাম দিই?
-ভুল তো কিছু বলিনি বলো !
-হ্যাঁ, আমার বাড়ি থেকে বেড়িয়ে আসা অবধি ঠিক আছে কিন্তু তারপরের মহাভারতগুলো না ভাবলেও হত।
কিছুক্ষণ একটু চুপ করে রইল দুজনেই,তারপর জয়িতা বলল,তোমার কাছে আমি কিছু পেতে আসিনি।ভালোবাসি তোমায়, তাই এসেছি। নিজের ইচ্ছায় এসেছি, অংশুর চুলগুলো ঘেঁটে দিল জয়িতা, তাই আমায় নিয়ে এত ভাবনা না ভাবলেও চলবে। বুঝলেন ?
হেসে টিফিনবক্সটা বন্ধ করে জয়িতার হাতে ধরিয়ে দিল অংশু , বুঝলুম। ঠিক আছে আমি বেরোই এবার,অর্ডার এসেছে একটা।
-ব্যাগটা দাও।
-কেন ?
-উফফ দাও না।
ব্যাগটা নিয়ে অংশুর সাইকেলের পিছনে উঠে বসল জয়িতা , চলো। তোমার সাথে যাবো আজ।
-কী দরকার জয়ি, বাড়ি গিয়ে একটু বিশ্রাম নাও। কষ্ট হবে তোমার।
-কিচ্ছু কষ্ট হবে না।বরং তোমার কাজও হবে,আমার তোমার সাথে ঘোরাও হবে।অনেকদিন আমায় নিয়ে ঘুরতে বেরোওনি। চলো চলো।
হেসে ফেলল অংশু, যথা আজ্ঞা মহারানি।

কলমে - #জিনিয়া
ছবি- সংগৃহীত (Dm for credit)

- কী হলো এত রাতে ফোন করছিস কেন?- আরে দরকার আছে বলেই তো বলছি।- তুই কোথায়?- আরে তোদের ব‍্যালকনির  কাছে এসে রাস্তার দিকে দে...
14/05/2024

- কী হলো এত রাতে ফোন করছিস কেন?
- আরে দরকার আছে বলেই তো বলছি।
- তুই কোথায়?
- আরে তোদের ব‍্যালকনির কাছে এসে রাস্তার দিকে দেখ।
- মানে তুই পাগল এত রাতে আমাদের বাড়িতে এসেছিস? জানিস কেও জানতে পারলে কী হবে?
- কিছু হবেনা... অত চাপ নেই। তুই বেরিয়ে আয়।
- নাহ বাবা - মা জানতে পারলে আমাকে মেরে ফেলবে।
- আরে চুপি চুপি আয় তো।
- ঠিক আছে দেখছি বাবা-মা ঘুমিয়েছে কি না তারপর যাচ্ছি।
- ঠিক আছে আয় আমি অপেক্ষা করছি...
- কি হয়েছে বল? এত রাতে কী দরকার?
- আরে আমি ভিখারি নাকি এইভাবে বলছিস!
- তুই মাঝেমাঝে এমন পাগলের মত কাজ করিস কী বলবো মাথা গরম হয়ে যায়।
- আচ্ছা তাই?
এই বলতে বলতে হঠাৎ রাজু, শিল্পাকে চুমু খেতে শুরু করে...
- এই কী করছিস?যদি কোন বাড়িতে কেও দেখে কী হবে ভেবে দেখেছিস!
- এত ভয় কীসের আমি আছি তো। আসলে তোকে দেখতে খুব ইচ্ছে করছিল তাই চলে এলাম।
- ঠিক আছে দেখা হয়েছে এইবার যা।
- ঠিক আছে বাবা।
- সাবধানে যা। গিয়ে ফোন করিস।
- ওকে।
----------- সমাপ্ত----------

কলমে- #সুপ্রিয় ঘোষ
ছবি- সংগৃহীত (Dm for credit)

-আমি বড়ো হলে এসি কিনব বাবা।-হঠাৎ এ কথা কেন বাবান?  -আর সেটা রান্না ঘরে লাগাবো মায়ের জন্য। -আচ্ছা। -আসলে জানো তো বাবা ম...
12/05/2024

-আমি বড়ো হলে এসি কিনব বাবা।
-হঠাৎ এ কথা কেন বাবান?
-আর সেটা রান্না ঘরে লাগাবো মায়ের জন্য।
-আচ্ছা।
-আসলে জানো তো বাবা মায়ের খুব কষ্ট।
-কেন?
-এই গরমে রান্না করছে সবসময় আমাদের জন্য।
-তা তো ঠিক বাবান। আসলে মায়েরা এরকমই হয়।
-হ্যাঁ বাবা।
-আমরা এই গরমে হাঁপিয়ে উঠছি। আর তোমার মা রান্না করছেন এই গরমে তাও আবার ওভেনের সামনে ওই আগুনের তাপে দাঁড়িয়ে।
-আমার খুব কষ্ট হয় বাবা মায়ের জন্য।
-সে তো আমারও হয় রে কষ্ট তোর মায়ের জন্য। কিন্ত কি করব বল তো?
-সেই!
-কারখানা থেকে ফিরে যে তোর মাকে রান্না ঘরের কাজে একটু সাহায্য করব, তাও পারি না! বড্ড ক্লান্ত হয়ে যাই যে রে।
-হুম।
-কি যে করি,
-কিন্ত আমি একটা অন্য কথা ভাবছি বাবা।
-কি?
-ভাবছি এখন তো আমি অনেক ছোট, বড়ো হয়ে পড়াশুনো করে, চাকরি পেয়ে, এসি কিনতে কিনতে তো অনেক বছর সময় লাগবে গো!
-তাই তো। কি করবি ভাবছিস তাহলে?
-কি করি, কি করি...
-আমার কাছে একটা উপায় আছে।
-কি বলো?
-তোর ঠাম্মি যখন এইরকম গরমে গ্রীষ্মকালে কষ্ট করে উনুনে রান্না করতেন আমাদের জন্য তখন আমি আর তোর পিসিমণি মাদুর পেতে তোর পিসিমণির পাশে বসে বসে পড়াশুনো করতাম আর হাতপাখা দিয়ে হাওয়া করতাম তোর ঠাম্মিকে।
-আমিও তাহলে তাই করব বাবা।
-বেশ তো।
-আজ তো 'মা'-এদের দিন। আজকে তাহলে এটাই হবে আমার তরফ থেকে মাকে দেওয়া উপহার।
-শ্রেষ্ঠ উপহার!
-সত্যি?
-হ্যাঁ রে।
-মা খুশি হবে তো গো বাবা?
-হুম ভীষণ খুশি হবে।
-আচ্ছা।
-আমি আর একটা ব্যবস্থা করব ভাবছি।
-কি বাবা?
-তোর মায়ের জন্য রান্না ঘরে যদি একটা দেওয়ালে টাঙানো ছোট ইলেকট্রিকের ফ্যানের ব্যবস্থা করতে পারি।
-বাহ্! কি মজা, তাহলে তো মায়ের একটু হলেও আরাম হবে।
-হ্যাঁ রে।
-কবে কিনবে বাবা ফ্যান?
-এ মাসে তো হবে না রে বাবান, পরের মাসে কিনব বেতন পেলে।
-আচ্ছা।
-কিন্ত আগে ফ্যান কিনলে হবে না।
-কেন বাবা?
-ফ্যানটা কোথায় লাগালে ওভেনের আগুন নিভে যাবে না হাওয়া লেগে, কিন্ত আবার তোর মায়ের গায়েও হাওয়া লাগবে সেটা আগে বুঝতে হবে।
-আচ্ছা।
-তার জন্য তো নবীন কাকুকে ডাকতে হবে বাবা।
-হ্যাঁ রে।
-বাবা আজ আমি মায়ের জন্য উপহার তৈরি করেছি একটা।
-কি?
-মা তো গাছ ভালোবাসে, তাই একটা টব তৈরি করেছি ছোট্ট একটা গাছের চারা দিয়ে।
-বাহ্।
-কিন্তু সেটা বিকেলে দেব মাকে।
-বেশ তাই দিস।
-মা যে আমাকে স্কুলে যাওয়ার সময় মাঝে মাঝে টিফিনের টাকা দেয়, সেই টাকা বাঁচিয়ে মায়ের জন্য একটা ছোট্ট কেক কিনেছি বাবা। সেটা বিকেলেই মাকে দিয়ে কাটাবো।
-বেশ, বেশ!
-তার আগে চল তোর মাকে একটা স্যালুট জানিয়ে আসি, এই ভয়ানক গরমেও নিয়মিত আমাদের রান্না করে খাওয়ানোর জন্য।

কলমে- #দুঃখবিলাসী
ইলাস্ট্রেশন- সংগৃহীত (Dm for credit)

বিকেল ৫টা বেজে ১০, ইট কাঠের এই শহরে রোজকার কর্মজীবনে একটু নিঃশ্বাসের বড় অভাব। বাড়ি ফেরার পথে গঙ্গার ধারে এসে বসলাম । চ...
11/05/2024

বিকেল ৫টা বেজে ১০, ইট কাঠের এই শহরে রোজকার কর্মজীবনে একটু নিঃশ্বাসের বড় অভাব। বাড়ি ফেরার পথে গঙ্গার ধারে এসে বসলাম । চোখ পড়ল ৪টে সিঁড়ি নীচে বসে থাকা একটি মেয়ের ওপর । পরনে লাল শাড়ি এলোমেলো হাওয়া অগোছালো কেশ বারংবার বিরক্ত করছে তাকে, অন্যদিকে নিশ্চুপ মুখে চোখদুটি যেন তার অন্য কথা বলছে ..
এগিয়ে বসতেই সে বলল আচ্ছা ভালো রাখা না ভালোবাসা কোনটা বেশি জরুরি ? বেশ অবাক এবং অপ্রস্তুত হয়ে বললাম ভালো রাখা । মেয়েটি আবারও চুপ। অনেকবার জিজ্ঞেস করায় সে বলে
- বাবা অসুস্থ মা আর আমি ছোট্ট সংসার, মাস ২ হলো একটি স্কুলে চাকরি পেয়েছি এখন অনেক দায়িত্ব. - এতো খুশির খবর তাও‌ কেনো চোখ ছলছল করছে আপনার? ইতিমধ্যেই কালো মেঘে ঘাটে নেমে এসেছে নিঃস্তব্ধতা.. একজন কে ভালবাসতাম সে আজ বলছে তাকে যদি বিয়ে করতে হয় আমাকে তার সাথে বিদেশ যেতে হবে আমার পরিবার ছেড়ে নয়তো সে অন্য কাউকে... আমি না বলে এসেছি তাকে .. গাল বেয়ে জল নামছে তার । বাইরেও বৃষ্টি উপস্থিত হয়েছে আমাদের দুজনের মাঝে। হাত ধরে চায়ের দোকানের সেডের তলায় আনলাম তাকে,
- ভিজে গেছেন মুছে নিন
একটা কথা বলি, ভালোবাসতে গেলে আগলে রাখতে হয় , মানিয়ে নিতে হয় , ভালো রাখতে হয়
ঠিক যেমন আপনি আপনার পরিবারকে বাসেন । জীবনে কিছু রাস্তা শেষ হয় নতুন কোনো মোড় শুরুর জন্যই... চলুন আপনাকে বাড়ি পৌঁছে আসি,
- ধন্যবাদ।
- চলি তবে ?
- চলি নয় আসি বলতে হয় ।
- হ্যাঁ হয়তো নতুন মোড়ে আপনার কাছেই আসতে হবে।
ঝড় শেষে শান্ত নদীতে আবার নতুন গল্প শুরু হবে...

কলমে- #তিয়াসা
ছবি- সংগৃহীত (Dm for credit)

-স্টিল গুলো তুলে দে তারপর ব্লগটা শুরু করছি। -আচ্ছা। -দাঁড়া আগে খাওয়ারটার ছবি তোল ভালো করে। -উফ্ আমি কখন খাবো বল তো? -এই...
07/05/2024

-স্টিল গুলো তুলে দে তারপর ব্লগটা শুরু করছি।
-আচ্ছা।
-দাঁড়া আগে খাওয়ারটার ছবি তোল ভালো করে।
-উফ্ আমি কখন খাবো বল তো?
-এই তো এইবার।
-আচ্ছা ভালো ভালো খাওয়ার সামনে রেখে এত কিছু করতে করতে লোভ লাগে না তোর?
-হে হে!
-হাসছিস? মোমো গুলো তো ঠান্ডাই হয়ে গেল মনে হয়, ধুর!
-না না একদম গরম ধোঁয়া ওঠা রে। হু হু করছে দেখ। তুই এখন খেতেই পারবি না আর একটু ঠান্ডা না হলে।
-ওহ্।
-এবার কামড় দিয়ে রিভিউ দিবি তো?
-না,
-তাহলে?
-আজ অন্য কিছু করব ভাবছি।
-কি করবি?
-আজ তোকে দিয়ে রিভিউ শোনাবো।
-এ বাবাহ্ না না।
-কি না না রে?
-না না আমি ওসব পারব না।
-একশো বার পারবি। আমি ক্যামেরা ঘোরাচ্ছি।
-না, প্লিজ।
-ঠিক আছে করছি না।
-তুই রাগ করলি?
-ধুর!
-আচ্ছা তুই এখন এমনই ভিডিও করে নে, পরে ভয়েস ওভার দিয়ে দিস।
-আচ্ছা।
-তাতে না হয় আমি ভয়েস দেব।
-সত্যি দিবি তো?
-হ্যাঁ রে।
-ধন্যবাদ, ধন্যবাদ।
-হু, ন্যাকা!
-আমার কলেজের বান্ধবী এত দিন পর বিদেশ থেকে দেশে ফিরেছে এবং সে আমার ব্লগে থাকছে এটা আমার কাছে কম আনন্দের?
-তুই যে ব্লগিং শুরু করবি আমি ভাবতেই পারি নি রে।
-পরিস্হিতি আমাদের অনেক কিছু শেখায় রে।
-সেই। আমি কিন্তু তোকে প্রথম সোশ্যাল মিডিয়াতে দেখে ভীষণ খুশি হয়েছিলাম।
-তাই?
-হুম।
-আসলে চাকরিটা হঠাৎ করেই চলে গেল রে পোস্ট-প্যান্ডেমিক সময়ে। সব সামলে উঠতে হিমশিম খাচ্ছিলাম রে, তখনই এই বুদ্ধিটা মাথায় এলো। পরে চাকরি পেয়ে গেলেও এটা আর ছাড়তে পারি নি।
-দুখের দিনের সঙ্গীকে কি ভোলা যায়?

কলমে- #দুঃখবিলাসী
ইলাস্ট্রেশন- সংগৃহীত (Dm for credit)

বৌদ্ধ দেবের সবথেকে ছোটো শিষ্য উমানের আজ অভিষেকের দিন, বৌদ্ধ ধর্মে দীক্ষিত হওয়ার দিন। উমানের পিতা ও মাতা যশোর দেব এবং সে...
06/05/2024

বৌদ্ধ দেবের সবথেকে ছোটো শিষ্য উমানের আজ অভিষেকের দিন, বৌদ্ধ ধর্মে দীক্ষিত হওয়ার দিন। উমানের পিতা ও মাতা যশোর দেব এবং সেমন্তিনি দেবী প্রথম থেকেই দীক্ষিত,তাই আজ তাদের একমাত্র সন্তানের দীক্ষিতের দিন। বলা হয়েছে এক নদীর ধারে এই কাজ সম্পন্ন করা হবে,কিন্তু সে নদী বা একবাক্যে সমুদ্রই বলা যায়,তার নাম অজানা,তবে জানা গেছে যে প্রথম যে সন্তান ওখানে দীক্ষা নেয়,তার কাছে নাকি ভেসে আসে। এ আবার হয় নাকি! তবে দেখাই যাক।
উমান বড্ড ডানপিটে ছেলে,কারোর কথা শোনে না,শুধু অন্যায় আবদার করতে থাকে, বাবা মা সামলাতে না পেরে দীক্ষিত করে গুরু গৃহে রেখে যাওয়ার চরম সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

আজ সেই দিন...
সকাল থেকেই সবাই কাজে ব্যস্ত,এদিকে উমান সমুদ্রের পাড়ে চলে গেছে খেলতে খেলতে,কারো কোনো হুস নেই,তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।তন্ন তন্ন করে খোঁজা হচ্ছে,কিন্তু ছেলের হদিস নেই। হঠাৎ তার মায়ের চোখ পড়েছে অনেকটা দূরে সমুদ্রের পাড়ে কেউ যেনো কিছু একটা কুরোচ্ছে,কিছুটা এগিয়ে গিয়ে দেখলো,ওমা এ তো উমান,হাতে তার শঙ্খ,এছাড়াও তার চারদিকে আরো কত শঙ্খ পড়ে আছে,ছেলেতো ভীষণ খুশি হাতে নিয়ে খেলা করছে,আর মুখে এক গাল হাসি,
উমানের মা: তবে কি সবাই যা বলে তা কি সত্যি!
উমানের মা কেঁদে ফেললেন এবং সেই সমুদ্রের সামনে দাড়িয়ে সূর্য প্রণাম করলেন, এবং সন্তানের মঙ্গল কামনা করে সেখান থেকে চলে গিয়ে, দীক্ষার আহূতিতে বসলেন।
দীক্ষা শেষে সবাই ওই সমুদ্রের ধারে এসে মা গঙ্গা কে স্মরণ করে ফুল ভাসিয়ে দিলেন। তবে সেই ছোট্ট ছেলে উমান কিন্তু ওই শঙ্খ টা পাওয়ার পর থেকে খুব আনন্দ পেয়ে গেছে।

কলমে- #সোনাই
ইলাস্ট্রেশন- সংগৃহীত (Dm for credit)

– এই দিকটায় আগে কখনও এসেছ?– হ্যাঁ, দু'-একবার।– আমাকে কখনও নিয়ে আসনি তো!– অনেক আগে আসতাম এদিকে, বন্ধুরা মিলে। এখন আর আসা ...
04/05/2024

– এই দিকটায় আগে কখনও এসেছ?
– হ্যাঁ, দু'-একবার।
– আমাকে কখনও নিয়ে আসনি তো!
– অনেক আগে আসতাম এদিকে, বন্ধুরা মিলে। এখন আর আসা হয় কতটুকু! তাছাড়া এদিকে কোনো দোকানপাট নেই, অক্সিজেনের অভাব হবে তো তোর!
– ঘুরেফিরে সেই আমার দোষ হল বলো?
– অফকোর্স।
– কতদিন পর শাড়ি পরলি! ভাল্লাগছে তো বেশ তোকে আজ!
– প্যারাসিটামলটা ব্যাগে রয়েছে। ব্যাগটা আবার গাড়িতে। দাঁড়াও নিয়ে আসি।
– তোর জ্বর কখন এল?
– আমার না গো। তোমার। জ্বরের ঘোরে মানুষ এরকম অনেকই ভুলভাল বকে। যাকগে!
– ভালো কথাও বলা যাবে না। ধুর!
– তো আমি আড়াই ঘণ্টা ধরে তোমার পাশে বসে এলাম, তুমি এখন এসে দেখলে যে শাড়ি পরেছি আমি। এখন তোমার কমপ্লিমেন্ট দিতে ইচ্ছা করল!
– ব্যাকগ্রাউন্ড ভালো না হলে কি ছবি ভালো হয় রে!
– উফ! নাজুক!
– একদিন দেখব আমার একটা পা তোর হাতে।
– মানে?
– এত লেগপুলিং করিস! এত পুল করলে একদিন খুলে বেরিয়ে যাবেই আমার পা।
– কি ভয়ঙ্কর ইংলিশ মাগো! তার থেকেও অখাদ্য সেন্স অফ হিউমর। উফ!
– খালি খ্যাচখ্যাচ করে। এত সুন্দর ওয়েদার, তোর ভালো লাগছে না?
– তা লাগছে… এমা সুড়সুড়ি লাগছে একি! এইইই! হ্যাট!
– হ্যাট আবার কী কথা? আমি কাক?
– না না, কোকিল। কেমন সুন্দর গান করো বাথরুমে ঢুকে! আহা!
– গানের খোঁটা দিবি না। আমাদের মতো বেসুরো লোকেরা না থাকলে তোদের সুরের কদর করত না কেউ বুঝলি!
– কিরম বাচ্চাদের মতন যুক্তি দাও তুমি। এসব আমরা ফাইভ-সিক্সে বলতাম।
– আবার সুড়সুড়ি দিয়ে দেব, ভাল্লাগবে?
– নো, একদম না! নট এগেইন!

কলমে- #আহি
ইলাস্ট্রেশন- সংগৃহীত (Dm for credit)

ট্রেনের বাড়তে থাকা গতির সাথে সাথে রাধার খুশির উড়ানের ডানাতেও জোরে বাতাস লাগতে শুরু করে। এইটাই হয়তো তার অফিসিয়াল শেষ ...
03/05/2024

ট্রেনের বাড়তে থাকা গতির সাথে সাথে রাধার খুশির উড়ানের ডানাতেও জোরে বাতাস লাগতে শুরু করে। এইটাই হয়তো তার অফিসিয়াল শেষ ট্রেন সফর! এরপর শুধুই দূরের ওই নীল আকাশের সামিয়ানা আর স্বপ্নের দেশে যাতায়াত! এতদিনে রাধার আকাশে ওড়ার স্বপ্নটা সফল হতে চলেছে। আনন্দে আত্মহারা হয়ে আছে সে। প্রবল আধ্যাত্মিক মা আর ততটাই বামপন্থী বাবার একমাত্র সন্তান রাধা। সহযোদ্ধা "কমরেড"রা যখন নাস্তিক পিতার কন্যার নামকরণ"রাধা" রাখা হল, তখন প্রবল হাসাহাসি হলো। কিন্তু পিতার অকাট্য যুক্তি... জীবনের ধারার উল্টো দিকে হেঁটে যে নিজেকে প্রমাণ করে সেই "রাধা"! তথাকথিত জীবনের পথে সে কোনোকালেই সরলরেখায় চলেনি। চিরকাল ছূঁতে চেয়েছে আকাশ। পাখির মত হালকা হয়ে ভাসতে চেয়েছে। আজ তার সপ্ন উড়ানের প্রথম পদক্ষেপ। কাল ব্যাঙ্গালোর এয়ারপোর্ট থেকে প্রথম বার পাইলট হয়ে উড়বে তার প্রিয় বাহন নিয়ে। পরনের নীল ইউনিফর্ম যেন তার চিরচেনা স্বপ্নের পাখির অবয়ব। দুঃখ একটাই বাবা দেখে যেতে পারল না তার এই যথার্থ ভাবে "রাধা" হয়ে ওঠার সাফল্যকে! দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে আসে অজান্তেই! বাবার ও অনেক আগেই পারাপারের দেশে চলে যাওয়া মা বলতেন " হালকা হতে হয় রাধুমা...বুঝলি! তবেই পাখির মত ওড়া যায়! আমরা মানুষেরা কেবলই সুখ দুঃখের ঝোলা বয়ে বেড়াই...তাই আমাদের আর আকাশ ছোঁয়া হয়না। যেদিন হিসাবে নিকেষ...দেনা পাওনা সব মিটিয়ে হালকা হতে পারি... সেদিন ই দেহ ছেড়ে আত্মা পাখি হয়ে পরমাত্মার কাছে পৌঁছে যায়"। দুঃখ কষ্টকে ধারায় বের করে দিতে শেখেনি কখনো রাধা, কারন বাবা বলতেন...কান্না মানুষকে দূর্বল করে। যদি কাঁদতেই হয়,বন্ধ ঘরে কেঁদে হালকা হয়ে হাসিমুখে পৃথিবীর সামনে আসবে। পুরানো সব স্মৃতিরাও পিছনে ফেলে আসা স্টেশনগুলোর মত দূরন্ত গতিতে পিছনে রয়ে যাচ্ছে। বেদনাতে শুকিয়ে আসা গলাটা ভেজাতে,লাল টুকটুকে একটা আপেলে কামড় বসায় রাধা। একদিন একাকী ভেঙে পড়া নিউটন আপেলর পতন দেখে বিশ্ববিখ্যাত সূত্র আবিষ্কার করেছিলেন। আর কাল থেকে রাধাও তার স্বর্গীয় বাবা- মা-এর আশীর্বাদ মাথায় নিয়ে এই মহাবিশ্বের এক প্রান্তের মানুষকে নিরাপদে অন্য প্রান্তে পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে নামবে। লাল আপেলর রসালো মিষ্টতায় মনটা ভরে ওঠে রাধার।

কলমে- #ঈন্দ্রাণী
ইলাস্ট্রেশন- সংগৃহীত (Dm for credit)

-হাঁপিয়ে গিয়েছিস ? রাহুল সরে বসে উষাকে বসার জায়গা করে দিল।-হাঁপাবো না ? কীভাবে বাড়ি থেকে বেড়িয়েছি আজ শুধু আমিই জান...
30/04/2024

-হাঁপিয়ে গিয়েছিস ? রাহুল সরে বসে উষাকে বসার জায়গা করে দিল।
-হাঁপাবো না ? কীভাবে বাড়ি থেকে বেড়িয়েছি আজ শুধু আমিই জানি।
-আজকের দিনটাই তো।কাল থেকে তো আর আসতে হবে না।
উষা মুখ বেঁকাল,এমন করে বলছিস যেন অন্য গ্রহে চলে যাচ্ছিস।
-তা না, তবুও।এরপর তো অনেক কিছুই বদলে যাবে।
-হয়েছে ভাই।তুই চাকরি করতে কলকাতা যাচ্ছিস,অন্য কোনো দেশেও না।
-তুইও তো যেতে পারতিস বল।একসাথেই যেতাম দুজনে। তা না জেদ ধরলি যে গ্রামেই থাকবি, এখানকার স্কুল ছেড়ে যাবি না এখন।
-এটা নিয়ে তো আগেও আমরা কথা বলেছি রাহুল। আমার ভালোলাগে এখানে পড়াতে। আর তাছাড়া....
-কী ?
উষা হাসল, আমার বাবা বিয়ের আগেই বরের সাথে পালানোর ইচ্ছে নেই।সবার সাথে সময় কাটাই,তারপর তো যেতেই হবে।
-তোকে আবার কে বিয়ে করবে ?কলকাতাতে কী সুন্দরী মেয়ের অভাব আছে!
উষা রাহুলের কানটা টেনে ধরল, তাই নাকি? তা যা না,দেখি কোন মেয়ে তোকে পাত্তা দেয়।
-ছাড় ভাই ছাড়। দুটো মাত্র কান আমার, একটা চলে গেলে খুব প্রবলেম হয়ে যাবে।
-বাঁচা যাবে।
শব্দ করে হেসে উঠল দুজন।
অনেকক্ষণ ধরেই মেঘলা করছিল আকাশটা।হঠাৎই বড়ো বড়ো ফোঁটায় বৃষ্টি নেমে এল।
-ব্যাস, শুরু হয়ে গেল। এবার কখন থামবে কে জানে।
রাহুল উষার হাতটা ধরল , চল।
-এই একদম না।কাল সকালে তোর ট্রেন।এরমধ্যে বৃষ্টিতে ভিজে শরীর খারাপ করলে....
-উফফ, তুই আয় তো।

উষার বাধা না মেনে ওকে টেনে মাঠের মাঝখানে নিয়ে এল রাহুল। প্রথমে না না করলেও কিছুক্ষণ পর উষাও প্রাণভরে ভিজতে লাগল। ওর হাসিমুখের দিকে তাকিয়ে রাহুল যেন কোথায় হারিয়ে গিয়েছিল। হঠাৎ উষার চোখ পড়ল ওর দিকে।
-কী দেখছিস ?
উত্তর না দিয়ে রাহুল এগিয়ে এল।উষার চোখে চোখ রেখে জিজ্ঞেস করল, একটা জিনিস চাইব তোর কাছে?
উষা ভুরু কোঁচকাল, এরকম করে বলার কী আছে ? বলে ফেল।
-এই বৃষ্টিভেজা মুহূর্তগুলো আমায় দিবি ?
হাসতে গিয়েও থেমে গেল উষা,কি যেন খুঁজে পেল রাহুলের চোখে, দেব। তোকেই দেব।
রাহুল হাসল , ব্যস।তাহলে আর তোর কলকাতার সুন্দরীদের ভয় নেই , বলেই রাহুল ছুট লাগাল।
-তবে রে.... উষাও ছুটল ওর পেছনে।
দুজনের হাসিতে ধীরে ধীরে ভরে উঠতে লাগল ছোট্ট মাঠটা।

কলমে - #জিনিয়া
ছবি- সংগৃহীত (Dm for credit)

Address

Bishnupur, Bankura
Bishnupur

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when মন্ডা মিঠাই - Monda Mithai posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Videos

Share


Other Social Media Agencies in Bishnupur

Show All