13/04/2023
পৃথিবীর মানচিত্রে ছোট একটি দেশ বাংলাদেশ। বাংলাদেশের ৬৮ হাজার গ্রামের একটি গ্রাম আটরশি। রাজধানী থেকে দূরত্ব প্রায় ১০০ কিঃমিঃ।
এই আটরশি ই আজ সূফী বাদের আধ্যাত্নিক রাজধানী, আশেকের ঠিকানা, জাকেরের আশ্রয়স্থল।
বহু দশক আগের কথা। সভ্যতা ও আধুনিক জীবন যাত্রার সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা বন্ঞ্চিত অজপাড়া গাঁয়ে পদাপর্ন করলেন নায়েব রাসূল, যামানার নূর, আখেরী মুর্শেদ বিশ্বওলী খাজাবাবা ফরিদপুরী (কুঃছেঃআ) পীর কেবলাজান ছাহেব।
একটি ছোট কুঁড়েঘর স্থাপনের মাধ্যমে শুরু জাকের ক্যাম্প যা আজকে মহাসমুদ্র আকারে বিশ্ব জাকের মঞ্জিল নামে সারা পৃথিবীতে প্রতিষ্ঠিত ও পরিচিত।
পীর কেবলাজান যখন প্রথম আটরশিতে আসেন সে সম্পর্কে তিঁনি পাক জবানে ফরমান, " আমি যখন এখানে আসি তখন এখানকার মানুষ ইসলামকে বুঝতে না। তারা ঈদের দিনে হাল নিয়ে মাঠে যেত। যখন হিন্দুদের পূজো হতো তখন গোসল করে মিষ্টি খেয়ে পূজোয় যেত। গোমাংসকে সবাই অস্পৃশ্য মনে করত। গরু জবেহ হলে তার কাছাকাছি এমনকি গ্রামে সে গ্রামে যেতো না।
প্রথম যেদিন আসি, তখন ছিল ঈদের দিন। সংগে ছিলেন মুহসিন উদ্দিন খান। কিন্তু ঈদের জামাত ছিলনা। তাছাড়া হিন্দু জমিদারের প্রভাব ছিলো খুব বেশি। সবাই হিন্দুয়ানী চালে চলতো। হিন্দুদের নীতি এরা ভালবাসতো, মুসলমানদের নীতি এদের সম্পূর্ন অজানা ছিল।
তারপর ধীরে ধীরে ধর্ম প্রচারের কাজ শুরু করি। একজন দুজন করে ডেকে আনতাম। আবার ভয় ও হতো। ওরা এমনভাবে চলাফেরা করতো, দেখলে মনে হতো গুন্ডা-পান্ডা।
আর সবচেয়ে নিম্নস্তরের ছিলো এই আটরশি গ্রাম, সবচেয়ে কুখ্যাত গ্রাম হিসাবে পরিচিত ছিলো। বোধ হয় বাংলাদেশের এমন নিম্নস্তরের গ্রাম ছিল না। এখানে কোনো ধনী, জ্ঞানী, মানী লোক ছিলো না। সন্ধ্যে হলেই এরা যা ইচ্ছে করতে পারত। আস্তে আস্তে আমি তাদের পরিবর্তন করি।"
কিন্তু আজ পৃথিবীর মধ্যে বিখ্যাত গ্রাম আটরশি। আজ জ্ঞানী-গুনী, শিক্ষিত সমাজ, আমলা-মন্ত্রী, বড় বড় আন্তজার্তিক পত্রিকার সাংবাদিক থেকে শুরু করে কৃষক, মজুর, শ্রমিক সবার আজ তীর্থ এই আটরশি।
"রোগ, জরা, দুঃখ-দারিদ্র, অভাব-অনটন বিপযর্স্ত ও হতাশাগ্রস্ত মানুষ তাঁর কাছে শান্তি ও আশ্বাসের আসায় ছুটে যাচ্ছে দলে দলে, বিশ্ব জাকের মঞ্জিল আজ এক তীর্থক্ষেত্র, মানব সম্মিলনের এক পবিত্র ভূমি।"
-সম্পাদকীয় "বিপ্লব"-২-৩-১৯৮৩
এখানে মানুষ আসে শান্তির খোঁজে। আসে আল্লাহ ও রাসূল (সাঃ) কে পাওয়ার উদ্দেশ্যে। ইহকাল পরকালের মুক্তির আশায় দলে দলে মান