15/04/2020
ফোন টা হাতে ধরতেই শুভ দেখলো পাঁচ টা missed call...from *Heartbeat*♥️...
এতক্ষণ meeting চলছিল, তাই অগত্যা phone silentকরতেই হয়েছিল। তার মধ্যেই রাত্রি এতবার call করে ফেলেছে। ঘাবড়ে যাচ্ছেন তাই তো??? না, না,..এত confusion এ রাখবো না। আসলে ফোনের Heartbeat ♥️ আর রাত্রি দুজনেই এক।
কলেজে 3rd semester এর প্রথম দিন class-এ প্রথমবারের জন্য রাত্রিকে দেখে হৃদপিন্ড মহাশয় যে গতিতে স্পন্দন করেছিল ওরকমটা কখনো হয়নি আর। অন্য কলেজ থেকে শুভদের কলেজে এসেছিল রাত্রি,আর ওর গলায় "may I come in Sir" আর ওর black ফ্রেমের চশমার ওপর থেকে পড়া চুল,উফফফ্ শুভ তো প্রথম দেখাতেই ফিদা। একদম সোজা কথায় love at first sight ... সেদিন রাতেই কলেজ group থেকে ওর number নিয়ে শুভ save করেছিল Heartbeat ♥️ বলে।
যাক্ গে flashback আপাতত এইটুকুই , ওদিকে আমাদের রাত্রি already রেগে আগুন। শুভ বেচারাও পড়ে গেছে tension এ। একেই সেদিন resturantএ নিজেই scene create করে আজ প্রায় তিন দিন কথা হয়না। শুভ ভয়তে আর কাজের ফাঁকে একবার ফোন করে sorryও বলেনি। তার মধ্যেই রাত্রি নিজে ফোন করেছে আর এতগুলো missed call, আজ তো সর্বনাশ!!! পৃথিবী আজ ওলটপালট হয়ে যাবে তবু ফোন আর received হবেনা। তাও সাহস করে ফোন করে শুভ আর as expected ..."the number you are calling is currently busy" ..দুবার ring না হতেই কেটে দিয়েছে। খানিকক্ষন পর একটা message -Don't call me, everything is over.....
ব্যস্ হয়ে গেল, শুভর মাথায় হাত। কি করবে , তাহলে এবার কি সত্যিই গেল??? ফোন করলেও ধরবে না রাত্রি। কিভাবে বলবে শুভ ওর কথা। ঘড়িতে আটটা বেজে গেছে। অগত্যা অটো ধরে নিজের ফ্ল্যাটে চলে গেল । কিছু ভালো লাগছে না শুভর, what's app check করে দেখল রাত্রির last seen সেই বিকেলবেলা। Tension হচ্ছে, কি করছে ও কে জানে । এভাবেই এক ঘন্টা কেটে গেছে, "I'm sorry " টাইপ করেও delete করে দেয়, জানে এরকম করলে রাত্রি আরও রেগে যাবে।
রাত সাড়ে দশটা, আর থাকতে পারছে না শুভ। কিছু না ভেবেই বাইক নিয়ে বেরিয়ে গেল। আর কোনো উপায় নেই,ঠিক করেছে গিয়ে হাজির হবে রাত্রির বাড়ির সামনে। এত রাত হয়েছে কিংবা রাত্রির বাবা-মা ওকে পছন্দ করে না এসব কোনো কিছুই কাজ করছে না মাথায়।
রাত সাড়ে এগারোটা, শীতের দিনে প্রায় পুরো শহর ঘুমিয়ে পড়েছে এতক্ষণ। রাত্রির বাড়ির পেছনদিকে গিয়ে শুভ এবার call করে রাত্রিকে । স্বাভাবিক ভাবেই কেটে দেয় ফোন রাত্রি। আর কোনো উপায় না পেয়ে message করে----" Tor barir niche dariye a6i, please ay ekbar niche,jani kaku kakima ghumiye pore6e,tui Rege a6is jani...but tao please ektu ay, Thanda lag6e,ami tarahuro kore jacket poreo beroini "....message delivered হয়ে যায়, কিন্তু পাঁচ মিনিট পরেও no reply। তাহলে কি সত্যিই আসবে না??...এমন সময় গেট খোলার একটা আওয়াজ খানিকটা স্বস্তি দিল। একটু পর অন্ধকার থেকে ফুটে উঠল রাত্রির মুখ। বলা বাহুল্য,রাগ, অভিমান সব মিলিয়ে রাত্রির মুখটা রাতের এই আবছা আলোয় অদ্ভুতরকম মায়াবী লাগছিল। সামনে এসে দাঁড়ায় ....
রাত্রি- কি চাই ? এত রাতে এখানে কেন তুই?
শুভ- তোর সাথে কথা ছিল। দু-মিনিট।
রাত্রি- আমার তোর সাথে কোনো কথা নেই ।
(রাগ আর অভিমান একসঙ্গে ঠিকরে পড়ছিল ওর কথায়)
শুভ- আমার ফোন তুই ধরলিনা । আর খুব tension হচ্ছিল। তাই বাধ্য হয়ে..... Am sorry রাত্রি, সত্যিই sorry... everything is my fault...
রাত্রি- হুমমম !! আর কিছু ?? তাহলে আসতে পারিস।
শুভ- তুই কিছু বলবি না?? আমি meeting এ ছিলাম তাই তোর ফোন ধরতে পারিনি। Am really sorry....
রাত্রি- আমার যা বলার message এ বলে দিয়েছি।
এভাবেই রাগ অভিমানের কথা চলে আরও দু তিনটে, রাত্রির কথায় এবার রাগের থেকে অভিমান বেশি।
রাত্রি- নিজে দোষ করলি,আর তারপর তিনদিন এ একটা callও করতে পারলি না!!! উপরন্তু আমার ফোন টাও ধরলি না!!!!
আর কোন কথার অপেক্ষা রাখে না শুভ, হাতটা ধরে রাত্রির। কাছে টেনে নেয় ওকে নিজের। রাত্রির চোখটা বন্ধ হয়ে আসে । চারিদিকের স্তব্ধতায় শুভর বুকে মাথা রেখে রাত্রি অনুভব করতে পারে প্রত্যেকটি স্পন্দন। কলেজে প্রথম দিন রাত্রিকে দেখার পর থেকে যে স্পন্দন শুরু হয়েছিল শুভর,যা আজও একরকম লাগে যখনই রাত্রি ওর কাছে আসে। রাত্রের এই অন্ধকারে দুটো ঠোঁট মিশে যায় কোনো অজানা ঠিকানার খোঁজে,শুভর দুই হাতের মধ্যে নিজের জায়গা খুঁজে নেয় রাত্রি।
রাত্রি- সাবধানে বাইক চালাবি...
কিছুটা এগিয়ে গিয়ে ,আবার ফিরে আসে শুভ।
রাত্রি- আবার কি হলো??
শুভ- sorry, এটা তোর জন্য এনেছিলাম, দিতে ভুলে গেছিলাম..
একটা Cadbury Bubbly আর একটা সুন্দর গোলাপ 🌹 , রাত্রির খুব পছন্দের দুটো জিনিসে। শুভ ওর জন্য এনেছিল মনে করে।
রাত্রি- Thank Youuuuuuu
শুভ- আমার gift ?
রাত্রি শুভর গালে একটা মিষ্টি করে kiss করল আর বলল.. ☺️*শুভরাত্রি*☺️
✍️ *কলমে* ✍️... Hritesh Sen